আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 173

বউ কোথায় জানে না স্বামী, জামা কেটে দিলো বন্ধু!

বিনোদন : স্বামীকে না জানিয়ে বন্ধুর সঙ্গে রিয়েলিটি শো’তে হাজির হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা হালদার নামে এ এক নারী। অনুষ্ঠানে ক্যামেরার সামনেই বন্ধুকে দিয়ে প্রকাশ্যে নিজের জামা কেটে ফেলেন সেই নারী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে এমনই এক ভিডিও, যা নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা গেছে, প্রিয়াঙ্কা লাল পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি কাঁচি দিয়ে পোশাকের কিছু অংশ কাটছেন তিনি। এরপরই বিচারকের আসনে থাকা সময় রায়না এবং ভারতী সিং তার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

প্রিয়াঙ্কা জানান তিনি বিবাহিত। তার একটি ১৫ বছরের ছেলেও আছে। এই কথা শুনে অবাক হয়ে যান বিচারকরা। প্রিয়াঙ্কাকে উদ্দেশ্যে করে একজন বলেন, ‘ছেলেদের ইগো খুব জটিল হয়। তাদের প্রেমিকার দিকে কেউ তাকাক সেটা তারা চায় না। আর সেখানে আপনার স্বামী কিছু বলল না?’

জবাবে প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি বাড়িতে বরকে না জানিয়েই এখানে এসেছেন। এরপর নিজের বন্ধুকেও পরিচয় করিয়ে দেন। প্রিয়াঙ্কার এই কথা শুনে অবাক হন নেটিজেনরা। তার পোশাক কাটা ও মন্তব্য নিয়ে সমানে কটাক্ষ করতে শুরু করেন সকলে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেন, সেই নারীর স্বামী-সন্তান নিয়ে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে। বর্তমানে মুম্বাইয়ে থাকেন। তার বয়স ৩৩ বছর। অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলে। মাত্র ১৮ বছরেই সন্তানের মা হন। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী চাকরি করেন ভারতীয় রেলে। বর্তমানে নাগপুরে থাকেন তিনি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন। ছোটপর্দার বিভিন্ন শো- ক্রাইম পেট্রোল, উঠাপটকসহ বেশ কিছু প্রজেক্টে দেখা মিলেছে তার। কাজ করেছেন শর্ট ফিল্ম, নাটকেও।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

টাঙ্গাইলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলার অভিযোগ!

সাইফুল ইসলাম সবুজ:
টাঙ্গাইলের বাসাইলে দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সদ্য কার্পেটিং করা একটি সড়কের বিভিন্ন স্থান খুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আ’লীগ নেতা ফজলু মিয়ার বিরুদ্ধে । এমন অভিযোগে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ঠিকাদার মো.বেল্লাল হোসেন । ৯ ডিসেম্বর সোমবার বাসাইল থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
দায়েরকৃত অভিযোগে বেল্লাল হোসেন উল্লেখ করেন, সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরুর পরপরই স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন চাঁদা দাবি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ডিসেম্বর আমার অফিসে ম্যানেজারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কয়েকজন ম্যানেজার নবীনকে কিল, ঘুষি মেরে জখম করে। পরে ভয়ে বিবাদীদের ২০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়।
ঠিকাদার বেল্লাল হোসেন বলেন, সড়কে কাজ করতে গেলে ৫ আগস্টের হত্যা মামলার আসামি ইউপি সদস্য ও আ’লীগ নেতা ফজলু মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কাজে বাধা দেয়। তাদের বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ শুরু করে শ্রমিকরা। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হতো। সড়কটিতে ভালোভাবে নতুন কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করার পরপরই যানবাহন চলাচল শুরু করে। কিন্তু গত রোববার রাতে দুর্বৃত্তরা ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সড়কের একাধিক অংশের কার্পেটিং তুলে ফেলে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজে এমন ঘটনা ঘটলে তা সত্যি দুঃখজনক। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনায় ঠিকাদার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, রাতের বেলা ইউপি সদস্য ও আ’লীগ নেতা ফজলু মিয়ার নেতৃত্বে নতুন সড়কের বিভিন্ন স্থানে খুঁড়ে গর্ত করেছে। হাবলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাদু মিয়া বলেন, খুব ভালো মানের করা নতুন রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে এভাবে খুঁড়ে খুবই অনৈতিক কাজ করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার একজন আসামি ইউপি সদস্য কিভাবে এত সাহস পায়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মাঝামাঝি কয়েকটি স্থানের কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১২ ডিসেম্বর-২৪/মওম

প্রতিভাবান সৃজনশীল রাজনীতির পথপ্রদর্শক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির: হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার

এম. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম: একজন মানবিক ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে যার নাম সমাদৃত তিনি হলেন, আনোয়ারার হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার। বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসা একসময়ের তরুণ এখন হাজার তরুণের স্বপ্নযাত্রী। ‘সেই একটা সময় ছিল ত্যাগ-ব্রতের রাজনীতি। তাঁদের ঘিরে যারা জড়ো হতেন তাঁদের মধ্যে গভীর দেশপ্রেম ছিল। রাজনীতি চর্চার জন্য শিক্ষা ও আদর্শ ছিল, চরিত্রে সংহতি ছিল। তাঁরা দেশের মানুষকে ভোটার বা রাজনীতিকে ক্ষমতার সিঁড়িই শুধু ভাবতেন না, মানুষক তারা বড় করে দেখতেন। হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার হচ্ছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর আদর্শের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির এক সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল মানুষ। ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকে ত্যাগ- ব্রতে হুমায়ূন কবির আনসারের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের দর্শন ফুটে উঠেছে।

হুমায়ুন কবির আনসার স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, স্বৈরশাসক ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার বিরোধীসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা একটি নাম, একটি ইতিহাস। যার হাত ধরে ৯০ এর পরবর্তী সময়ে আনোয়ারা কর্নফুলিতে ছাত্র ও যুব রাজনীতির বীজ রোপিত হযেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালনের নিমিত্তে আপোষহীন নেত্রী ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশের কল্যাণকামী ছাত্র ও যুবসমাজকে সাথে নিয়ে হুমায়ূন কবির আনসার আনোয়ারা ও কর্নফুলিতে ছাত্র ও যুব আন্দোলনের বীজ বপন করেন ।

নেতৃত্ব গুণাবলী, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন আনোয়ারা- কর্নফুলিসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম ছাত্র ও যুব সমাজের আইকন। যিনি নিজ মেধায় হয়ে উঠেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর রাজনীতির এক প্রতিচ্ছবি। দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্বৈরশাসক এরশাদ ও ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নক্ষত্র, বহুগুণে গুণান্বিত এবং বিরল প্রতিভার অধিকারী হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার ঐতিহাসিক দেয়াঙ রাজ্যে আনোয়ারার বরুমচড়ায় ১৯৭১ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

তাঁর পিতার নাম মৃত নওশের আলী চৌধুরী ও মাতার নাম দিলোয়ারা বেগম চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহ এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বুদ্ধিমত্তার স্বাক্ষর রাখায় তার দল বিএনপি তাঁকে ১৯৮৬ সালে আনোয়ারা কলেজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৯ সালে আনোয়ারা কলেজ ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও বিতর্কিত সম্পাদক, ১৯৯০ সালে আনোয়ারা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, ১৯৯২-৯৫ সালে আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, ১৯৯৯- ২০০২ ইংরেজি সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯- ২০১৮ সাল পর‌্যন্ত আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য নির্বাচিত করেন।

এছাড়াও হুমায়ূন কবির চৌধুরী আনসার দুই মেয়াদে ৫ নং বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৮৮- ৮৯ সালে বরুমচড়া শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন সহ রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন আনসার। পরবর্তীতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর সুযোগ্য সন্তান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান এবং চট্টগ্রাম বিএনপির কিংবদন্তি নেতা- নেত্রীদের হাতেই রাজনৈতিক আন্দোলন- সংগ্রামের হাতেখড়ি হয় হুমায়ূন কবির চৌধুরী আনসারের। তাছাড়াও হুমায়ূন কবির আনসার মামলা- হামলা, জেল- জুলুমের শিকার হয়েছেন অসংখ্যবার। আনসার তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই অসীম সাহসী ও স্পষ্টবাদী ছিলেন। একারণেই বিগত ২০২৩ সালে নিউ মার্কেট এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক সমাবেশে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আসন্ন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার বলেন, নিজ অস্তিত্ব ‘মৃত্যু’ নামক অন্ধকারে বিলীন হয়ে যাবার আগেই মানব সেবার ব্রত নিয়ে বেঁচে থাকাটাকে স্বার্থক করার নামই জীবন।

হুমায়ূন কবির আনসার স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানাসহ ধর্মীয় বিভিন্ন উপাসনালয়ে অদ্যাবধি আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সেবা, সহযোগিতা, দানশীলতা, উদারতা ও পরোপকারীতার জন্য সকলের নিকট প্রিয় একজন মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন হুমায়ূন কবির চৌধুরী আনসার। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটের তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকলেই হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসারকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চান। তাই মানবিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে আগ্রহী হয়ে উঠেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

কক্সবাজারে ৩ ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ 

আবু সায়েমঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ক্ষমতা হারানো চেয়ারম্যানবৃন্দ  হলেন, চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের মুজিবুর রহমান, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের টিপু সুলতান এবং ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের কামাল উদ্দিন।
১০ ডিসেম্বর বুধবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, ওই তিন ইউপি চেয়ারম্যান ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় জনগণের নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তি এবং বিদ্যমান অসুবিধা দূরীকরণের লক্ষ্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পত্র প্রেরণ করেন।
এ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ওই তিন ইউপিতে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
এদিকে তিন ইউপির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকবৃন্দ  হলেন, চৌফলদন্ডী ও ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা পেয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমীন চৌধুরী এবং ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা।
আলোকিত প্রতিদিন/১২ ডিসেম্বর-২৪/মওম

অপ*হরণের চারদিন পর শিশুর নিশাতর ম*রদেহ উদ্ধার,৩ আসামি গ্রে*ফতার

মোঃ আতিকুর রহমান রোজেন: ফেনীতে  অপহরণের ০৪ দিন  পর শিশুর নাশিত এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার  দুপুরের দিকে  পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান  এক সংবাদ সম্মেলন করেন,  অপহরণের বিস্তারিত বলেন।
নিহত শিশুর পিতা মাঈন উদ্দিন সোহাগ এর  চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া পুত্র সন্তান আহনাফ আল মাঈন প্রকাশ নাশিত (১০) গত  ৮ ডিসেম্বর  তারিখ রাতে প্রাইভেট পড়া শেষে বাসায় ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করিয়া ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী নং- ৬৩৪, তাং-  ৯ ডিসেম্বর  খ্রিঃ দায়ের করেন। সাধারণ ডায়েরী নং- ৬৩৪, তাং- ০৯/১২/২০২৪খ্রিঃ এর প্রেক্ষিতে সদর মডেল থানার এসআই আব্দুস ছাত্তার’কে নিখোঁজ ভিকটিম আহনাফ আল মাঈন প্রকাশ নিশাত (১০) কে উদ্ধারের জন্য বাদীর সাথে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করিতে থাকে।
অতঃপর ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করাকালে অজ্ঞাতানামা বিবাদী/বিবাদীরা রাত্র ২১.১৭ ঘটিকার সময় হইতে বাদীর হোয়াটসঅ্যাপ-এ বিভিন্ন মেসেজের মাধ্যমে ভিকটিমের মুক্তিপণ বাবদ ১২ (বার) লক্ষ টাকা দাবি করে। এ-প্রেক্ষিতে বাদী থানায় আসিয়া ভিকটিমের অপহরণ ও মুক্তিপণ বিষয়ে এজাহার দায়ের করিলে ফেনী মডেল থানার মামলা নং-১২, তাং- ১১/১২/২০২৪খ্রিঃ, ধারা-৭/৮/৩০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত-২০২০) রুজু হয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার  হাবিবুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা, পিপিএম এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ ফেনী মডেল থানা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা, অফিসার ইনচার্জ, ফেনী জেলা গোয়েন্দা শাখা, মোঃ সামসুজ্জামান, ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইকবাল হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) আব্দুস ছাত্তার, ফেনী মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র)/ মোঃ মোতাহের হোসেন ও ডিবির এসআই (নিরস্ত্র) স্বপন কুমার দাশ সহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স সহ একটি টিম গঠন করিয়া তদন্ত ও অভিযান কালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সন্ধিগ্ধ আসামী আশরাফ হোসেন তুষার (২০) কে আতিকুল আলম সড়ক,  মোঃ মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) এবং  ওমর ফারুক রিফাত (২০) দ্বয়কে বিসিক এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীদের কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম আহনাফ আল মাঈন প্রঃ নাশিত (১০) কে গত ০৮/১২/২৪খ্রিঃ রাত ১৯.৩০ ঘটিকার সময় ১নং আসামী আশরাফ হোসেন তুষার (২০) ও ২নং আসামী মোঃ মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সু-কৌশলে আসামীদ্বয় ভিকটিমকে আতিকুল আলম সড়ক হইতে সালাউদ্দিন মোড় সংলগ্ন রেললাইনে নিয়া আসে। ২নং আসামী মোঃ মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) যোগাযোগ করে  ০৩নং আসামী ওমর ফারুক রিফাত (২০)কে ঘটনাস্থলে আনলে  সকল আসামীগণ ভিকটিমকে সালাউদ্দিন মোড় সংলগ্ন রেললাইনে নিয়া যায়। আসামীগণ ভিকটিমের ছবি এবং ভিডিও বাদীকে প্রেরণ করে ১২(বার) লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। ১নং আসামী আশরাফ হোসেন তুষার (২০) এর নির্দেশনা মতে ২নং আসামী মোঃ মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) জুসের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে পান করাইয়া ভিকটিম ঘুমিয়ে পড়ে। ভিকটিম নিশাত এর ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাড়ীতে চলিয়া যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলে আসামীগণ রেললাইন সংলগ্ন ঝাউবনে নিয়া পরস্পর মিলিয়া ভিকটিমকে গত ১২/১২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ০১.৩০-২.৩০ ঘটিকার সময় শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করে।
ভিকটিম যেহেতু আসামীদের পূর্ব পরিচিত ছিল, তাই আসামীগণ ভিকটিমকে ছেড়ে দিলে জানাজানি হবে ভেবে ভয়ে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। উক্ত হত্যার ঘটনা আড়াল করার জন্য আসামীগণ ভিকটিমের ব্যাগের ভিতর পাথর ভর্তি করিয়া সেটি ভিকটিমের কাধে চাপিয়ে ঝাউবন সংলগ্ন কুচুরিপানা ভর্তি ডোবায় লাশ ফেলে দেয়। গত ০৯/১২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিনের বেলায় আসামীরা ডোবায় পার্শ্বে যাইয়া লাশ যথাযথ স্থানে আছে কিনা যাচাই করিতে যায়। আসামীরা ১০/১২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ ডোবা হইতে সিএনজি যোগে লাশ অন্যত্র নেওয়ার পরিকল্পনা করিলেও স্থানান্তর করিতে পারে নাই।
ভিকটিমকে হত্যার করার পরও আসামীরা বাদীর নিকট পূর্বের মুক্তিপনের টাকা দাবি করিতে থাকে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে অত্র মামলা রুজু হওয়ার ০৮ ঘন্টার মধ্যে অত্র মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আসামীগণ গ্রেফতার, ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার ও মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করিতে সক্ষম হয়। বলে পুলিশ  জানায়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

হামলা ও ভাঙচুর মামলায় হাবলু গ্রেফতার

মো: মহিদ:
হামলা এবং ভাঙচুর মামলায় হাবিব দেওয়ান হাবলুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ ডিসেম্বর বুধবার  সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের পূর্ব দাশারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমানুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত হাবিব দেওয়ান হাবলু মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দাশরা গ্রামের হেলাল ডাক্তারের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত‌। পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধে মো.লিটন (৪০) নামের এক মুদি ব্যবসায়ীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় হাবলু গং। তার স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী নাজমিন আক্তার মামলা করলে হাবিব দেওয়ান হাবলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার এজাহারা সূত্রে জানা যায়,জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে হাবিব দেওনের(হাবলু)সাথে লিটনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। চলতি মাসের ৭ তারিখে একই ঘটনার জেরে হাবিব তার লোকজন নিয়ে এসে স্থাপনা থেকে সরে যেতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর এক পর্যায়ে তার (হাবলু) লোকজন স্থাপনাটি ভাঙতে শুরু করে। লিটন এ সময় বাধা দিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাকে গুরুতর আঘাত করা হয়। তাকে বাঁচাতে তার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধরক মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে ততক্ষণে স্থাপনাটি ভেঙ্গে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মামলার বাদী নাজমিন আক্তার বলেন, ‘অন্যায়ভাবে হাবলু (হাবিব দেওয়ান) আমার জমি দখলে নেওয়ার জন্য ভাঙচুর এবং আমার স্বামীকে মারধর করেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা আহতের স্ত্রী মামলা করে। এ মামলায় আজ সন্ধ্যায় হাবিব দেওয়ানকে তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১২ ডিসেম্বর-২৪/মওম

হাসিনার বক্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত : বিক্রম মিশ্রি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনও বক্তব্যকেই সমর্থন করে না ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

মূলত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে তিনি একথা জানিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক কেবল একটি “একক রাজনৈতিক দল” বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলেও জানিয়েছেন বিক্রম মিশ্রি। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ব্রিফিংয়ে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন-বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনাকে ভারত সমর্থন করে না এবং এটি (হাসিনার বক্তব্য) বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই ছোট বা তুচ্ছ বিষয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক কেবল একটি “একক রাজনৈতিক দল” বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং “বাংলাদেশের জনগণের” ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে ভারত। চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন।গত জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে এরপরও হাসিনা ভারত থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।

এমন অবস্থায় সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করেন। তার ঢাকা সফর থেকে ফেরার দু’দিন পর তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন। বুধবার নয়াদিল্লির সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ব্রিফে দেশটির ২১ থেকে ২২ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে বিক্রম মিশ্রি বলেন, শেখ হাসিনা তার “ব্যক্তিগত যোগাযোগের ডিভাইস” ব্যবহার করে এসব বক্তব্য এবং বিবৃতি দিয়ে চলেছেন এবং ভারত সরকার তাকে এমন কোনও প্ল্যাটফর্ম বা সুবিধা প্রদান করছে না যা তাকে ভারতের মাটি থেকে তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর সুযোগ দেয়।

তিনি দাবি করেন, অন্য দেশে হস্তক্ষেপ এড়ানোর জন্য ভারতের ঐতিহ্যবাহী যে রীতি রয়েছে, এটি তারই অংশ। দ্য হিন্দু বলছে, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে প্রায় নানা ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন হাসিনা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে মিশ্রি আরও জানান, সোমবার ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছেন-বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক “কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল” বা একটি নির্দিষ্ট সরকারের বাইরেও আছে এবং ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং বর্তমান সরকারের সাথেও জড়িত থাকবে। তিনি বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বাণিজ্য এবং যোগাযোগের বৃহত্তম অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই পক্ষ রেল যোগাযোগ, বাস সংযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ নির্মাণ করেছে। তিনি অবশ্য কমিটিকে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা এখনও “স্থগিতই” রয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর নয়াদিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/১২ ডিসেম্বর-২৪/মওম

র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে সরকারের সি*দ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে!

আলোকিত প্রতিবেদক : র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্তির বিষয়ে সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। এ সময় র‌্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা গুম ও খুনের অভিযোগের জন্য ক্ষমা চান তিনি। পাশাপাশি দায়িত্বে থাকাকালীন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।

সমসাময়িক বিষয় ও সাম্প্রতিক আভিযানিক কার্যক্রম সম্পর্কে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র‌্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে তিনি জানান।

গত কয়েকদিন ধরে র‍্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনের অভিযোগের পাশাপাশি র‍্যাবের আয়নাঘর প্রসঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে র‍্যাবের বক্তব্য কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘র‍্যাবে আয়নাঘর ছিল, আছে। সেটা সেভাবেই রাখা হয়েছে। গুম, খুন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে আয়নাঘরসহ যা যে অবস্থায় আছে সেভাবেই রাখার জন্য। আমরা কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করিনি। যা যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থাতেই রাখা হয়েছে এখনও।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাবের বিরুদ্ধে আয়নাঘর, গুম, খুনসহ যত ধরনের অভিযোগ ছিল তার তদন্ত করছে কমিশন। আমরা র‍্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করছি। আমরা মনে করি, তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র‍্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র‍্যাবের ১৬ সদস্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো ২৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং নির্দেশদাতাসহ ৩৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযানে, বলেন র‍্যাব মহাপরিচালক।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন হয়েছে, তবে প্রত্যাশিত জায়গায় এখনো যায় নেই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব তার দায়িত্ব আন্তরিকতা সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে ছিন্নমূল শীতার্তদের মাঝে কৃষক দলের শীত*বস্ত্র বিতরণ

মো: মহিদ আহমেদ : মানিকগঞ্জ অসহায় ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছে মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক দল। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাসমান ৩ শতাধিক মানুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত শীতার্তরা বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর নাই শ্রমিকের কাজ করি দিনশেষে টার্মিনালের বারান্দায় আমাদের মাথা গোজার ঠাই। আমরা গরীব মানুষ এই শীতে আমাদের খুবই কষ্ট হইতেছিল। এই কম্বলটা পাইয়া কষ্ট কিছুটা হইলেও কমবো।
এ সময় জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান পাভেলসহ জেলা কৃষক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

 ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা, দুই রোহিঙ্গা সহ আ*টক-৩

মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নকল পিতা সাজিয়ে এক রোহিঙ্গা নারীর ভোটার হওয়ার চেষ্টায় তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার নির্বাচন অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সুমি আক্তার (রোহিঙ্গা), মো. তৈয়ব (রোহিঙ্গা) ও মো. ইসমাঈল।
জানা যায়, দুপুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসেন সুমি আক্তার (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা নারী। এ সময় উপজেলার জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইসমাঈল নামের একজনকে নকল পিতা সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তাদের নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান নির্বাচন অফিসের দায়িত্বরত কর্মরতরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে থেকে মেয়েটির পিতা মো. তৈয়ব তার স্ত্রীসহ জুঁইদণ্ডি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে মেয়েটির জন্মের পর তার মা মারা যান। এরপর থেকে মেয়ে এবং তার পিতা জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির প্রকৃত নাম সুমি হলেও সুমাইয়া আক্তার মুন্নী নামে তার অন্য একটা জন্মসনদ দিয়েছেন। সেই জন্মসনদে মো. ইসমাঈলকে পিতা এবং ইসমাঈলের স্ত্রী মোহসেনা খাতুনকে মাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অফিসে সেই নারীর ভাই হিসেবে ইসমাঈলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মো. ইউনুসের এনআইডি দেওয়া হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় সব ধরনের কাগজপত্র প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে সত্যায়িত করেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: ইব্রাহিম।
ইসমাঈল বলেন, ‘মেয়েটি কান্নাকাটি করে বলছে তা-ই আমি মানবিক দৃষ্টিতে নকল পিতা সেজে এসেছি।’
জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘মেয়েটিকে আমি চিনি না, ইসমাইলের মেয়ে মনে করে ভুলবশত আমি স্বাক্ষর করেছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ বলেন, ‘দুপুরে কাগজপত্র নিয়ে তারা আসে। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় অফিসের স্টাফরা তাদের আমার কাছে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে তাদের আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ‘ এ বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনার বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আলোকিত প্রতিদিন/এপি