আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 177

মানিকগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন জাবি শিক্ষক ড. সুলতানা আক্তার 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তারকে মানিকগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর তাকে এই সম্মাননা প্রদান করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী পরিচালিত শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া জননী নারী ক্যাটাগরিতে ডক্টর সুলতানা আক্তারের রত্নগর্ভা মা রোকেয়া রহমানকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
সুলতানা আক্তার মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছোট শাকরাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় বোন রোজিনা আক্তার এম বি এস সম্পন্ন করে দৌলতপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্নকারী মেজ ভাই মোহাম্মদ সেলিম মোল্লা দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই ইশতিয়াক মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অনার্স মাস্টার্স (প্রথম শ্রেণী) সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডক্টর সুলতানা বলেন, আমার মা রোকেয়া রহমানের অনুপ্রেরণায় আমি এবং আমার ভাই-বোনেরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। মা হাঁস মুরগি পালন করে কষ্টার্জিত অর্থে আমাদের লেখাপড়ার খরচ বহন করেছেন। আপনারা সকলে আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
এ বিষয়ে রত্নগর্ভা রোকেয়া রহমান বলেন, আমার চারটি সন্তান মানুষের মত মানুষ হয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের  নিকট হাজার শুকরিয়া আদায় করছি। এবং প্রার্থনা করছি সন্তানেরা যেন সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন, মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নি*হত

মাহমুদ কাজী, বাগেরহাট:  সোমবার বাগেরহাটের ফকিরহাটে যাত্রীবাহী (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ফকিরহাটের বনফুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এসময়, মোটরসাইকেলে থাকা আশরাফুলের ভাইয়ের ছেলে রনি (১৫) গুরুত্বর আহত হয়েছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহত আশরাফুল সাতক্ষিরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকার বাসিন্দা।
মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, ভাতিজাকা নিয়ে খুলনা-মাওয়া মহাসড়ক দিয়ে সাতক্ষিরা যাচ্ছিলেন আশরাফুল।ফকিরহাটের বনফুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে পর্যটক পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে চালক আশরাফুলের মৃত্যু হয়। আমরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ধাক্কা দেওয়া বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

দেওয়ানগঞ্জে জিলবাংলা চিনিকলে আখ মাড়াইয়ের শুভ উদ্বোধন

মোঃ ফরহাদ রেজা দেওয়ানগঞ্জ: উপজেলা প্রতিনিধিঃ জিলবাংলা চিনিকল আখ মাড়াইয়ের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৬৬ বছরে ৬৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৭২হাজার ৩৬৫ টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের জিলবাংলা চিনিকলটি ৬৭ তম আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করেছে। ৭৯ কার্য দিবসে ৭১হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৭ রিকোভারিতে ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।

শুক্রবার বিকালে চিনিকলের ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপ করে ২০২৪ -২৫ আখ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন করেছেন, বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড.লিপিকা ভদ্র। এ উপলক্ষে চিনি কলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইক্ষু বিভাগের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান, ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুদ্দিন,

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক বাবু শ্যামল চন্দ,পৌর বিএনপির আহবায়ক মনজুরুল হক মঞ্জু, পৌর বিএনপি সদস্য সচিব আতিকুর রহমান সাজু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা শাখা সহ সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন, জিল বাংলা চিনিকল ওয়ারকার্স ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি আশেদুল ইসলাম, আখ চাষি মোঃ দলিলুর রহমান সহ আরো অনেকেই। জিলবাংলা চিনিকলের ব্যবস্হাপনা পরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, এ বছর মাড়াই শুরু হয়ে ৭০ দিনের মতো চিনিকল চলবে। চিনিকল যদি ১০০ থেকে১২০দিন পর্যন্ত চালানো যায়,তবে চিনিকলটিকে লাভজনক করা সম্ভব হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

গাইবান্ধার এক টাকার মাস্টার, আলো ছড়াচ্ছেন ৪০ বছর ধরে

রানা ইস্কান্দার রহমান : গাইবান্ধার লুৎফর রহমান একজন সর্বহারা মানুষ। নদী ভাঙনে সব হারিয়ে যাকে লোকে চেনে নিঃস্ব, সর্বহারা হিসেবে। আবার কেউ আশ্রিত মানুষ হিসেবেও জানেন। তার নামের আগে ছড়িয়ে পড়ে এমন বিশেষণ। এসব পিছনে ফেলে এখন এক টাকার মাস্টার হিসেবেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত। গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর বাধে আশ্রিত লুৎফর রহমান একজন শিক্ষানুরাগি ব্যক্তিত্ব। দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে তিনি নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ৭৪ বছর বয়সেও বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘদিন যাবৎ দিনরাত ছুটিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বিনিময়ে তিনি একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দিনে এক টাকা করে নেন। আর তাই, শহর তথা গ্রামাঞ্চলের মানুষ লুৎফর রহমানকে চেনেন এক টাকার মাস্টার নামেই। এ কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ লূৎফর রহমান নামটি ভুলে যেতে বসেছেন। তবে, এক টাকার মাস্টার নামটি ওই এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভক্তির। গাইবান্ধা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের এক পাশে এক টাকার মাস্টার লুৎফর রহমানের বাড়ি। ১৯৭৪ সালে তার বাড়িঘর জমিজমা ব্রহ্মপুত্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর উড়িয়া গ্রাম থেকে এসে আশ্রয় নেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর বাধে। এখনও সেখানেই বসবাস করছেন তিনি। কপালে জুটে ‘আশ্রিত’ তকমাও। স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ চারজনের সংসার তার। ১৯৭২ সালে ফুলছড়ি উপজেলার গুনভরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন লুৎফর রহমান।
এরপর আর্থিক অনটনে তার আর পড়ালেখা করা হয়নি। দুই বছরের মাথায় নদীতে ভিটেমাটিসহ সব হারিয়ে সর্বহারা হয়ে যান। এতে মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পড়েন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার সেই ধাক্কাটা আজও তার মাঝে বিরাজমান। লুৎফর রহমান জানান, সব হারিয়ে সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে আশ্রয় নেয়ার পর চাকরির জন্য কিছুদিন চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু ভাগ্যে চাকুরি জুটেনি। স্বাধীনচেতা বলে পরে চাকরি পেতে তেমন আগ্রহ ছিল না। এজন্য স্থানীয় বাজারে লন্ড্রি দোকান খুলে বসেন। কিন্তু এখানেও মন বসেনি তার। কারণ, তিনি লক্ষ্য করেছেন ওই এলাকার দরিদ্র মানুষের শিশু সন্তানরা টাকার জন্য পড়ালেখা করতে পারছে না। স্কুলে গেলেও পড়ালেখায় এগুতে পারে না। পেটের ভাত যোগার করাই দুঃসাধ্য, তার উপর সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানো দরিদ্র পরিবারের কাছে অসম্ভব।
কেউ কিছুটা পড়ালেখায় এগুতে গিয়েও প্রাইভেট বা কোচিং পড়ার সামথ্য না থাকায় ঝড়ে পড়ছে। তাই চিন্তা করলেন এমন শিশুদের যাতে পড়ালেখা বন্ধ না হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। যারা স্কুলে যায়, বা যেতে চায় না তাদের পড়ালেখা করানোর দায়িত্ব নিজ কাধে তুলে নিলেন। শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৮৪ সাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ালেখায় সহযোগিতা করছেন লুৎফর রহমান। ১০ থেকে ১২ জনকে একত্র করেন। এভাবে ভাগ ভাগ করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের পড়াতে শুরু করলেন। সে থেকে দীর্ঘ ৪০ বছর ওই এলাকার গ্রামগুলোতে শিক্ষার আলো ছড়ানোর বিনিময়ে শুরুতে শিক্ষার্থী প্রতি দিনে চার আনা (পঁচিশ পয়সা) নিতেন।বর্তমানে ১ টাকা পর্যন্ত সম্মানিতেই সন্তুষ্ট।
এভাবে লুৎফর মাস্টার বাগুড়িয়া, মদনের পাড়া, ঢুলিপাড়া, কঞ্জিপাড়া, পুলবন্দিসহ বেশ কিছু গ্রামে পায়ে হেটেই শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আর তাই তার নাম হয়ে যায় এক টাকার মাস্টার। গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে তাকে লুৎফর মাস্টার বলে না চিনলেও এক টাকার মাস্টার হিসেবে চেনেন। মদনেরপাড়ার আকতার মাঝি ও কঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা সোহরাব মন্ডল বলেন, আমরা গরিব মানুষ। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে পারি না। প্রাইভেট মাস্টার বা কোচিং সেন্টারে দিলে ২০০/৩ ০০ টাকা দিতে হয়। সে সামর্থ আমাদের নেই। কাজেই আমরা এক টাকার মাস্টারের কাছে পড়তে দেই।
 ভালো করে যত্ন সহকারে শিক্ষা দেন। শিশু বয়সে লুৎফর রহমানের কাছে পাঠ নিয়েছেন এমন কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন রুহুল আলম। বর্তমানে তিনি একজন এনজিও কর্মী। জানান, ওই সময় ‘লুৎফর মাস্টার’ এর সহযোগিতা না ফেলে তার শিক্ষা লাভ দূরুহ ছিল। স্নাতক (ডিগ্রি) পর্যন্ত পড়েছেন জানিয়ে রুহুল আলম আরো বলেন, তার মতো এমন অনেকেই এক টাকার মাস্টারের কাছ থেকে শিক্ষার আলো নিয়ে আজ সমাজ, পরিবার ও দেশের জন্য অবদান রাখার সুযোগ হয়েছে। মাস্টার লুৎফর রহমান বলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে শিক্ষার বিকল্প নেই, শিক্ষা ছাড়া কোনো দেশ ও জাতির উন্নতি হতে পারে না। শিক্ষা জাগিয়ে তুলতে এবং জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি শিশুদের পড়ালেখা শেখান। এভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বর্তমানে মাসে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা সম্মানি পান বলে জানান লুৎফর রহমান মাস্টার।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘ*র্ষে নি*হত-১ আহত-২

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কুস্তা গ্রাম ও উপজেলা গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে লাবলু আহমেদ (৩৭) নামে এক সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লাবলু কুস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি ২০০৩ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত চার মাস আগে কুয়েত থেকে দেশে ফিরে লাবলু বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন কুস্তা গ্রামের মৃত দীন ইসলামের ছেলে রাহাদুজ্জামান খান ও কুস্তা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে হিমেল। উপজেলা গ্রামের কতিপয় ছাত্রদলের কর্মী এঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে কুস্তা গ্রাম ও উপজেলা গ্রামের স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে লাবলুর ওপর হামলা চালায়।

এতে লাবলু আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা লাবলুকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

রাঙ্গাবালীতে উপজেলা জামায়াত আমীরের শপথ গ্রহন

মোঃ কাওছার আহম্মেদ  আহম্মেদ,রাঙ্গাবালী:পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য এমারত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা জামায়াত ইসলামী রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আমীর মাওলানা মুহাম্মদ কবির হুসাইন শপথ গ্রহন করছেন। এতে সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহন করেছেন মাওলানা মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলা জামায়াত ইসলামীর রাঙ্গাবালী উপজেলা কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা শপথ অনুষ্ঠানের পরে রোকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা মজলিউশ সূরার ৪ জন সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেন মাওলানা মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান,হাফেজ মুহাম্মদ তবারক উল্লাহ,মুহাম্মদ আব্দুল বাসেত,মাওলানা আবু নোমান রাসেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা জামায়াতকে শপথ বাক্য পাঠ করান নব-নির্বাচিত  পটুয়াখালী জেলা আমীর এ্যাড. মুহাম্মদ নাজমুল আহসান। সকল রুকনদের পরামর্শক্রমে ১০ সদস্যের কর্মপরিষদ নিয়োগ করেন জেলা আমীরে জামায়াত। জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আল কায়সারী নব-নির্বাচিত দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সর্ম্পকে আলোচনা করেন ।
জেলা আমীরে জামায়াতের বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন উপজেলা আমীরে জামায়াত মাওলানা মুহাম্মদ কবির হুসাইন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

কালিয়াকৈরে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত 

শাহআলম সিকদার,কালিয়াকৈর প্রতিনিধি :গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকিয়া দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়ীতাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত  হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিল আফরোজ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা মজুমদার, কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান রাসেল,  জেন্ডার প্রমোটার রাজন খান সহ নির্বাচিত জয়ীতাগণ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ। এবছর উপজেলা পর্যায়ে ৪ টি ক্যাটাগরিতে ৪ জনকে জয়ীতা  নির্বাচিত করা হয়।এদের মধ্যে সফল জননী হিসেবে মনোয়ারা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী লাইলি আক্তার, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী সাঈদা জান্নাত ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা ক্যাটাগরিতে জেসমিন বেগম কে নির্বাচিত করা হয়। পরে জয়ীতাদের হাতে    সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

রায়পুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবি*রোধী দিবস পালিত, বর্ণাঢ্য রেলি

মিন্টু চন্দ্র দাস, রায়পুর :“দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় সরকারি মাচ্চেন্টস একাডেমির মাঠে জাতীয় ও দুদক পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সুচনা করা হয়।
এরপর এ উপলক্ষ্যে সমাজ সেবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, সমন্বয়কারী ও পুলিশে অংশগ্রহনে হায়দরগন্জ সড়কে বর্ণাঢ্য এক রেলী শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়েজনে আলোচনা সভায় সভাপত্বিত্ব করেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী লায়ন রফিকুল হায়দার চৌধুরী।
সভায় কমিটির সাধারন সম্পাদক ও শিক্ষক আবু সায়েদ চৌধুরী, সায়েমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান খান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইসমাইল হোসেন শাকিল, শিক্ষক সুমা ভৌমিক, সদস্য- মেহেদী হাসান জিয়ন ও উপজেলা সমন্বয়ক জোবায়েদ আল ইয়াসিন  প্রমূখ।
আলোচনায় বক্তরা বলেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। এর বিরুদ্ধে পরিবার থেকে প্রতিরোধ শুরু করা উচিত। শিক্ষক, মসজিদের ইমামগণ এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন। ধর্মীয় সঠিক চর্চা করতে হবে। নিজ থেকে পরিবর্তন শুরু করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সকলকে স্ব
চ্চার হতে হবে। সামাজিক ভাবে দুর্নীতিবাজদের ঘৃনা করা উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোচনা করলে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলোকিত প্রতিবেদক : পুলিশ কিংবা আইনশৃংখলা বাহিনী ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা পোশাকে পোশাকে গিয়ে কোনো আসামিকে গ্রেফতার, বা হয়রানি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোন ভুয়া মামলা হলে সেই বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আসামিদেরও অহেতুক হয়রানি করা যাবে না।

খুলনার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলার পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ সব সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সোমবার সকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পার্শ্ববর্তী দেশের বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের দেশের মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের দেশের মিডিয়ার উচিত দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সত্য তথ্য উপস্থাপন করা।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা পিঠ দেখাবো না। তবে আমাদের দেশের নাগরিকদের পাচার কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আগামী বছর পেয়াঁজ আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট প্রতিরোধে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে  তিনি জানান।

এ সময় এবারের বিজয় দিবস পালনে আনন্দ মেলা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ৬ শতাধিক প্রভাবশালীদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের পোশাকের পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ চলছে এখন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

ভারতকে বিধ্বস্ত করে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক:

আজিজুল হাকিমের বলে আউট হলেন চেতন শর্মা। বাউন্ডারি লাইনে কালাম সিদ্দিকী ক্যাচ নিতেই আনন্দে ভাসল বাংলাদেশ। মাঠে ক্রিকেটারদের কৃতজ্ঞতার সিজদাহ। উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব বাংলাদেশের। টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুব ক্রিকেটে এশিয়ার সেরা হলো বাংলাদেশের ইয়াং টাইগার্সরা। ফাইনালের মহারণে বাংলাদেশের ১৯৮ রানের জবাবে ভারত শেষ হলো ১৩৯ রানে।

আরও একবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। আরও একবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এশিয়ান ক্রিকেটের সেরা হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ। এর আগে যে অবিস্মরণীয় মুহূর্ত দেশকে এনে দিয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা, সেটাই এবার করে দেখালেন আজিজুল হক তামিমের দল। তবে এবারে আনন্দের উপলক্ষ্যটাও কিছুটা বেশি। কারণ ফাইনালে যে বাংলাদেশ উড়িয়ে দিয়েছে রেকর্ড ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকেই।

১৯৯ রানের ছোটো এক লক্ষ্য। কিন্তু সেটাকেই ভারতের জন্য পর্বতসমান করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। একের পর এক উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। থিতু হতে দেননি কাউকেই। কেপি কার্তিকেয়া ছাড়া আর কেউই সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের। তবে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের পথটা সহজ করে দেন টাইগারদের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।

ইমনের জোড়া ব্রেক-থ্রু, ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ভারতকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন আল ফাহাদ। দলীয় ৪ রানেই আয়ুশ মহাত্রেকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন এই পেসার। বিপদের আভাস দিচ্ছিলেন আলোচিত কিশোর বৈভব সুর্যবংশী। কিন্তু তাকে বাড়তে দেননি মারুফ মৃধা। খানিক পরেই রিজান ফেরান আন্দ্রে সিদ্ধার্থকে।

এরপরেই মূলত ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ভারত। কেপি কার্তিকেয়া আর মোহাম্মদ আমানের ২৯ রানের জুটি বেশ অনেকটাই এগিয়ে দেয় ভারতকে। আম্পায়ারের পক্ষ থেকে একাধিক সফট সিগন্যাল গিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যা নিয়ে মাঠে উত্তাপও ছড়িয়েছে বেশ। কিন্তু এরপরেই ইমনের দুর্দান্ত এক স্পেল। ৭৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ৮১ রানে ৬ উইকেট।

এরপর কিরণ চারমোলেকে নিয়ে আমানের চেষ্টা ছিল জুটি গড়ার। তবে আল ফাহাদ ফেরান কিরণকে। উইকেটের পেছনে ব্যস্ত দিন ছিল ফরিদের। ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন একাই। এরপরে আর বাড়েনি ভারতের ইনিংস। শেষ উইকেটে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে আউট হলেন চেতন শর্মা। এবারেও উইকেট নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শিরোপা জয়ে যেন সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

ব্যাট করতে নেমে কিছুটা বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ দল। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিলেও ফাইনালের বিগ স্টেজে এসে ক্রিজে থিতু হতেই ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভারতের বিপক্ষে যখন বলার মতো স্কোর নেই কারো ব্যাটে, তখন লোয়ার মিডল অর্ডারের ফরিদ হাসান দায়িত্ব নিলেন দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দিতে। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মারুফ মৃধাকে।

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুইশ’র আগেই থামল বাংলাদেশইনিংসের শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের। ৭ম ওভারে কালাম সিদ্দিকী আউটের আগে ১৬ বলে করেছিলেন মোটে ১ রান। সেটাই হয়ত ইঙ্গিত দেয়, ব্যাটিং পিচে ঠিক কতটা সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। তবে তিনে নামা আজিজুল হাকিম তামিম কিছুটা হতাশই করেছেন। পুরো আসরে অধিনায়ক তামিম মুগ্ধতা ছড়ালেও ফাইনালে করতে পেরেছেন মোটে ১৬ রান। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।

৬৬ রানে অধিনায়ক আজিজুল তামিম বিদায়ের পরেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন দিনের সেরা দুই ব্যাটার রিজান এবং শিহাব জেমস। ৬৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় শিহাব করেছেন ৪০ রান। দলীয় ১২৮ রানে বিদায় নেন আয়ুশ মহাত্রের বলে। দেবাশীষ এসেই ফিরেছেন ৩ বলে ১ রান করে। ১৫৫ রানে ফিরে যান রিজান নিজেও। মিস করেছেন ফিফটি।

সব ব্যাটিং বিপর্যয়েই নাকি একটা করে রানআউট থাকে। ক্রিকেটের সেই অলিখিত নিয়ম মেনে ১৬৫ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন সামিউন বশির। দায়িত্ব নিয়ে পারেননি ফাহাদও। ফরিদ হাসান যখন একাকী দাঁড়িয়ে, তখন ১৯ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মারুফ মৃধা। নবম উইকেটে তারা যোগ করলেন ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ১৯৮ রানে।

কিন্তু জয়ের জন্য শেষের ওই রানটুকুই হয়ে উঠেছে যথেষ্ট। শুরু থেকেই ভারতকে চাপের মাঝে রাখা বাংলাদেশ দুবাইয়ে প্রবাসী সমর্থকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশ পেল এশিয়ানদের যুব ক্রিকেটে নিজেদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা।

আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম