রাঙ্গাবালীতে উপজেলা জামায়াত আমীরের শপথ গ্রহন
কালিয়াকৈরে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত
রায়পুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবি*রোধী দিবস পালিত, বর্ণাঢ্য রেলি
চ্চার হতে হবে। সামাজিক ভাবে দুর্নীতিবাজদের ঘৃনা করা উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোচনা করলে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে।
সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আলোকিত প্রতিবেদক : পুলিশ কিংবা আইনশৃংখলা বাহিনী ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা পোশাকে পোশাকে গিয়ে কোনো আসামিকে গ্রেফতার, বা হয়রানি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোন ভুয়া মামলা হলে সেই বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আসামিদেরও অহেতুক হয়রানি করা যাবে না।
খুলনার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলার পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ সব সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সোমবার সকালে এসব কথা বলেন তিনি।
পার্শ্ববর্তী দেশের বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের দেশের মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের দেশের মিডিয়ার উচিত দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সত্য তথ্য উপস্থাপন করা।
সীমান্তে হত্যা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা পিঠ দেখাবো না। তবে আমাদের দেশের নাগরিকদের পাচার কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আগামী বছর পেয়াঁজ আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট প্রতিরোধে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ সময় এবারের বিজয় দিবস পালনে আনন্দ মেলা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ৬ শতাধিক প্রভাবশালীদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের পোশাকের পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ চলছে এখন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
ভারতকে বিধ্বস্ত করে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা বাংলাদেশের
ক্রীড়া ডেস্ক:
আজিজুল হাকিমের বলে আউট হলেন চেতন শর্মা। বাউন্ডারি লাইনে কালাম সিদ্দিকী ক্যাচ নিতেই আনন্দে ভাসল বাংলাদেশ। মাঠে ক্রিকেটারদের কৃতজ্ঞতার সিজদাহ। উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব বাংলাদেশের। টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুব ক্রিকেটে এশিয়ার সেরা হলো বাংলাদেশের ইয়াং টাইগার্সরা। ফাইনালের মহারণে বাংলাদেশের ১৯৮ রানের জবাবে ভারত শেষ হলো ১৩৯ রানে।
আরও একবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। আরও একবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এশিয়ান ক্রিকেটের সেরা হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ। এর আগে যে অবিস্মরণীয় মুহূর্ত দেশকে এনে দিয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা, সেটাই এবার করে দেখালেন আজিজুল হক তামিমের দল। তবে এবারে আনন্দের উপলক্ষ্যটাও কিছুটা বেশি। কারণ ফাইনালে যে বাংলাদেশ উড়িয়ে দিয়েছে রেকর্ড ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকেই।
১৯৯ রানের ছোটো এক লক্ষ্য। কিন্তু সেটাকেই ভারতের জন্য পর্বতসমান করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। একের পর এক উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। থিতু হতে দেননি কাউকেই। কেপি কার্তিকেয়া ছাড়া আর কেউই সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের। তবে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের পথটা সহজ করে দেন টাইগারদের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ভারতকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন আল ফাহাদ। দলীয় ৪ রানেই আয়ুশ মহাত্রেকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন এই পেসার। বিপদের আভাস দিচ্ছিলেন আলোচিত কিশোর বৈভব সুর্যবংশী। কিন্তু তাকে বাড়তে দেননি মারুফ মৃধা। খানিক পরেই রিজান ফেরান আন্দ্রে সিদ্ধার্থকে।
এরপরেই মূলত ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ভারত। কেপি কার্তিকেয়া আর মোহাম্মদ আমানের ২৯ রানের জুটি বেশ অনেকটাই এগিয়ে দেয় ভারতকে। আম্পায়ারের পক্ষ থেকে একাধিক সফট সিগন্যাল গিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যা নিয়ে মাঠে উত্তাপও ছড়িয়েছে বেশ। কিন্তু এরপরেই ইমনের দুর্দান্ত এক স্পেল। ৭৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ৮১ রানে ৬ উইকেট।
এরপর কিরণ চারমোলেকে নিয়ে আমানের চেষ্টা ছিল জুটি গড়ার। তবে আল ফাহাদ ফেরান কিরণকে। উইকেটের পেছনে ব্যস্ত দিন ছিল ফরিদের। ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন একাই। এরপরে আর বাড়েনি ভারতের ইনিংস। শেষ উইকেটে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে আউট হলেন চেতন শর্মা। এবারেও উইকেট নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শিরোপা জয়ে যেন সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ব্যাট করতে নেমে কিছুটা বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ দল। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিলেও ফাইনালের বিগ স্টেজে এসে ক্রিজে থিতু হতেই ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভারতের বিপক্ষে যখন বলার মতো স্কোর নেই কারো ব্যাটে, তখন লোয়ার মিডল অর্ডারের ফরিদ হাসান দায়িত্ব নিলেন দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দিতে। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মারুফ মৃধাকে।
ইনিংসের শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের। ৭ম ওভারে কালাম সিদ্দিকী আউটের আগে ১৬ বলে করেছিলেন মোটে ১ রান। সেটাই হয়ত ইঙ্গিত দেয়, ব্যাটিং পিচে ঠিক কতটা সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। তবে তিনে নামা আজিজুল হাকিম তামিম কিছুটা হতাশই করেছেন। পুরো আসরে অধিনায়ক তামিম মুগ্ধতা ছড়ালেও ফাইনালে করতে পেরেছেন মোটে ১৬ রান। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
৬৬ রানে অধিনায়ক আজিজুল তামিম বিদায়ের পরেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন দিনের সেরা দুই ব্যাটার রিজান এবং শিহাব জেমস। ৬৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় শিহাব করেছেন ৪০ রান। দলীয় ১২৮ রানে বিদায় নেন আয়ুশ মহাত্রের বলে। দেবাশীষ এসেই ফিরেছেন ৩ বলে ১ রান করে। ১৫৫ রানে ফিরে যান রিজান নিজেও। মিস করেছেন ফিফটি।
সব ব্যাটিং বিপর্যয়েই নাকি একটা করে রানআউট থাকে। ক্রিকেটের সেই অলিখিত নিয়ম মেনে ১৬৫ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন সামিউন বশির। দায়িত্ব নিয়ে পারেননি ফাহাদও। ফরিদ হাসান যখন একাকী দাঁড়িয়ে, তখন ১৯ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মারুফ মৃধা। নবম উইকেটে তারা যোগ করলেন ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ১৯৮ রানে।
কিন্তু জয়ের জন্য শেষের ওই রানটুকুই হয়ে উঠেছে যথেষ্ট। শুরু থেকেই ভারতকে চাপের মাঝে রাখা বাংলাদেশ দুবাইয়ে প্রবাসী সমর্থকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশ পেল এশিয়ানদের যুব ক্রিকেটে নিজেদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করছেন বাহাদুর
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের যত মিথ্যাচার
ভারতীয় মিডিয়া প্রচার করে বেড়াচ্ছে “হাজার হাজার হিন্দুকে বাংলাদেশে হত্যা করা হচ্ছে, হিন্দু নারীদের হত্যা করা হচ্ছে।” প্রকৃতপক্ষে এমন কিছুই বাংলাদেশে হয়নি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে এদেশের সাধারণ হিন্দুরা।
এক সময় ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আর ভারতের সুসম্পর্ক নিয়ে অনেক খবর প্রকাশিত হত। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সরকার বাংলাদেশ নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করেছে। ভারতের এমন পল্টিবাজ আচরণ সম্পর্কে বিবিসি নিউজ থেকে জানতে পারি, পুণের এমআইটি এডিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্চিত পাল বলেছেন, ” ভারতের মিডিয়া এর আগে যেভাবে ভারত বন্ধু শেখ হাসিনার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেখিয়েছে, ঠিক সেই পথেই অধিকাংশ মিডিয়া হাসিনা সরকারের পতনে মুহাম্মদ ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সবর হয়েছে। কারণ তারা মনে করছে, বাংলাদেশের এই সরকার ভারতের বর্তমান শাসকদলের বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর আক্রমণ নিয়ে ভারতের মিডিয়া এতটা উচ্চগ্রামে খবর করেনি। কারণ তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। আর হাসিনা ছিলেন মোদী ঘনিষ্ঠ। এখন পরিবর্তন পরিস্থিতিতে ভারতের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা বদলিয়েছে।
বিবিসি’র এই নিউজে আরও উল্লেখ করা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পরে গত দেড় সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় যতগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে, সেখানে হিন্দুত্ববাদী নেতা-নেত্রীদের মুখে একটা কথা বারবার শোনা গেছে যে, হিন্দুরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হন, তাহলে ভারতেও একই পরিস্থিতি হবে।”
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, “ভারতের ৪৯ গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমে অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর প্রচারিত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক ৫টি গুজব প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার। এরপর রয়েছে হিন্দুস্থান টাইম, জি নিউজ ও লাইভ মিন্ট যারা প্রত্যেকে অন্তত ৩টি করে গুজব প্রকাশ করেছে।
এ ছাড়া রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ ও আজতক অন্তত দুটি করে গুজব প্রচার করেছে।
প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় মিডিয়ার ভুয়া খবর ও গুজবের মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নানে ভুয়া খোলাচিঠি, মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে মানববন্ধন করার ভিডিওকে হিন্দু ব্যক্তির দাবিতে মিথ্যা প্রচার, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ভুয়া খবর। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভিত্তিহীন দাবি এবং ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনুসের ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার ভুয়া দাবি। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ভুয়া খবর ও গুজবের মধ্যে আরও রয়েছে পাকিস্তানি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র আনার মিথ্যা দাবি। চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চিন্ময় দাসের আইনজীবী হিসেবে প্রচার, বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে যুক্তরাজ্যের জারি করা একটি ভ্রমণ সতর্কতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ। ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে বিমানবাহিনী চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় চিকেন নেকের কাছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানঘাঁটি নির্মাণ করবে। ভারতের প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের হামলায় হিন্দু মন্দিরে প্রতিম ভাঙচুর করা হয়েছে।
আমরা যদি বাংলাদেশের কথা বাদ দেই, তাহলেও ভারত হচ্ছে ভুয়া তথ্য প্রচার করা তথ্যের মধ্যে প্রথম। এ বছরের মার্চ মাসে GLOBAL RISK REPORT 2024 অনুযায়ী ভারত হচ্ছে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো দেশের মধ্যে শীর্ষে।
যে দেশ পৃথিবীর মধ্যে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়ানোর মধ্যে প্রথম, সেই দেশের কাছ থেকে আসলে আমরা সত্য প্রকাশের আশা করতেও পারি না। কারণ তাদের ভিত্তিই টিকে আছে সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর।
রাজধানীতে সবজির দাম চড়া, বাজারে নেই সয়াবিন তেল
শফী উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীর ইন্দিরা রোড পশ্চিম রাজা বাজার, কাওবান বাজার, মোহাম্মদ পুর, নয়া বাজার, নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখা যায় শীতকালীন সবজির অভাব নেই। দোকানীরা নিত্যনতুন সবজি দিয়ে তাদের দোকান আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সবজির দাম বেশি হওয়ার কারনে খুচরা ও পাইকারি বাজারে তুলনামুলকভাবে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।
অবশ্য আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে যাবে বলে আড়তদারিগণ মন্তব্য করেন। সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় :- নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০/- পুরাতন আলু প্রতি কেজি ৮০/- ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০/- মুলা প্রতি কেজি ৬০/-ওল কপি প্রতি কেজি ৮৫/- লাউ প্রতিটি (বড়) ৭০-৮০/- ছোট ৪০-৫০/- পেঁপে প্রতি কেজি ৫০/- কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৩০-১৪০/- ১টি পাতা কপি ৫০/- পাকা টমেটো প্রতি কেজি ১৫০/ কাঁচা টমেটো ৮০/পটল প্রতি কেজি ৫০/- গাজর প্রতি কেজি ১৬০/-বরবটি ১০০/শিম ১০০/ বেগুন ১০০/- দেশি পেঁয়াজ ১৩০/-ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০/- দেশি রসুন ২৫০/- ইন্ডিয়ান রসুন ২২০/- আদা ১২০/- পুইশাকের ফল ৮০/- ধেড়স ৮০/- শষা ৮০/-চিচিঙ্গা ৬৫/- মেটে আলু ১০০/- লেবু ১ হালি ২০/- জলপাই ১২০/- কচুর মুখী ৯০-১০০/- ব্রয়লায় মুরগির ডিম ১ হালি ৫০/- হাঁসের ডিম ৮২/-। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় বাজারে অধিকাংশ দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। মিঠু নামের একজন ক্রেতা বলেন, “আয় অনুযায়ী বাজারে দ্রব্যের মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় সাংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে।”
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান
২০০০ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা এবং সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর, ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন। আন্দোলন বাড়তে থাকলে আসাদ তার বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন এবং দমননীতি জোরদার করেন। এর ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হন। আসাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
যুদ্ধ চলাকালীন সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নির্বাচন আয়োজন করেন বাশার আল-আসাদ। তবে এই নির্বাচন অনেকের কাছে অগণতান্ত্রিক বলে বিবেচিত হয়েছে। যদিও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদ কখনোই বিজয় নিশ্চিত করতে পারেননি, কিন্তু তারপরও তিনি তার সমর্থকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন।
অবশেষে ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যান দীর্ঘ বাশার আল-আসাদ, অবসান হয় আসাদ পরিবারের সুদীর্ঘ ৫৩ বছরের শাসনের।
সূত্র: আল-জাজিরা
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম