আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 179

সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলোকিত প্রতিবেদক : পুলিশ কিংবা আইনশৃংখলা বাহিনী ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা পোশাকে পোশাকে গিয়ে কোনো আসামিকে গ্রেফতার, বা হয়রানি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোন ভুয়া মামলা হলে সেই বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আসামিদেরও অহেতুক হয়রানি করা যাবে না।

খুলনার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলার পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ সব সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সোমবার সকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পার্শ্ববর্তী দেশের বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের দেশের মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের দেশের মিডিয়ার উচিত দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সত্য তথ্য উপস্থাপন করা।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা পিঠ দেখাবো না। তবে আমাদের দেশের নাগরিকদের পাচার কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আগামী বছর পেয়াঁজ আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট প্রতিরোধে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে  তিনি জানান।

এ সময় এবারের বিজয় দিবস পালনে আনন্দ মেলা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ৬ শতাধিক প্রভাবশালীদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের পোশাকের পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ চলছে এখন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

ভারতকে বিধ্বস্ত করে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক:

আজিজুল হাকিমের বলে আউট হলেন চেতন শর্মা। বাউন্ডারি লাইনে কালাম সিদ্দিকী ক্যাচ নিতেই আনন্দে ভাসল বাংলাদেশ। মাঠে ক্রিকেটারদের কৃতজ্ঞতার সিজদাহ। উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব বাংলাদেশের। টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুব ক্রিকেটে এশিয়ার সেরা হলো বাংলাদেশের ইয়াং টাইগার্সরা। ফাইনালের মহারণে বাংলাদেশের ১৯৮ রানের জবাবে ভারত শেষ হলো ১৩৯ রানে।

আরও একবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। আরও একবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এশিয়ান ক্রিকেটের সেরা হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ। এর আগে যে অবিস্মরণীয় মুহূর্ত দেশকে এনে দিয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা, সেটাই এবার করে দেখালেন আজিজুল হক তামিমের দল। তবে এবারে আনন্দের উপলক্ষ্যটাও কিছুটা বেশি। কারণ ফাইনালে যে বাংলাদেশ উড়িয়ে দিয়েছে রেকর্ড ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকেই।

১৯৯ রানের ছোটো এক লক্ষ্য। কিন্তু সেটাকেই ভারতের জন্য পর্বতসমান করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। একের পর এক উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। থিতু হতে দেননি কাউকেই। কেপি কার্তিকেয়া ছাড়া আর কেউই সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের। তবে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের পথটা সহজ করে দেন টাইগারদের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।

ইমনের জোড়া ব্রেক-থ্রু, ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ভারতকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন আল ফাহাদ। দলীয় ৪ রানেই আয়ুশ মহাত্রেকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন এই পেসার। বিপদের আভাস দিচ্ছিলেন আলোচিত কিশোর বৈভব সুর্যবংশী। কিন্তু তাকে বাড়তে দেননি মারুফ মৃধা। খানিক পরেই রিজান ফেরান আন্দ্রে সিদ্ধার্থকে।

এরপরেই মূলত ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ভারত। কেপি কার্তিকেয়া আর মোহাম্মদ আমানের ২৯ রানের জুটি বেশ অনেকটাই এগিয়ে দেয় ভারতকে। আম্পায়ারের পক্ষ থেকে একাধিক সফট সিগন্যাল গিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যা নিয়ে মাঠে উত্তাপও ছড়িয়েছে বেশ। কিন্তু এরপরেই ইমনের দুর্দান্ত এক স্পেল। ৭৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ৮১ রানে ৬ উইকেট।

এরপর কিরণ চারমোলেকে নিয়ে আমানের চেষ্টা ছিল জুটি গড়ার। তবে আল ফাহাদ ফেরান কিরণকে। উইকেটের পেছনে ব্যস্ত দিন ছিল ফরিদের। ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন একাই। এরপরে আর বাড়েনি ভারতের ইনিংস। শেষ উইকেটে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে আউট হলেন চেতন শর্মা। এবারেও উইকেট নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শিরোপা জয়ে যেন সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

ব্যাট করতে নেমে কিছুটা বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ দল। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিলেও ফাইনালের বিগ স্টেজে এসে ক্রিজে থিতু হতেই ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভারতের বিপক্ষে যখন বলার মতো স্কোর নেই কারো ব্যাটে, তখন লোয়ার মিডল অর্ডারের ফরিদ হাসান দায়িত্ব নিলেন দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দিতে। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মারুফ মৃধাকে।

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুইশ’র আগেই থামল বাংলাদেশইনিংসের শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের। ৭ম ওভারে কালাম সিদ্দিকী আউটের আগে ১৬ বলে করেছিলেন মোটে ১ রান। সেটাই হয়ত ইঙ্গিত দেয়, ব্যাটিং পিচে ঠিক কতটা সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। তবে তিনে নামা আজিজুল হাকিম তামিম কিছুটা হতাশই করেছেন। পুরো আসরে অধিনায়ক তামিম মুগ্ধতা ছড়ালেও ফাইনালে করতে পেরেছেন মোটে ১৬ রান। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।

৬৬ রানে অধিনায়ক আজিজুল তামিম বিদায়ের পরেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন দিনের সেরা দুই ব্যাটার রিজান এবং শিহাব জেমস। ৬৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় শিহাব করেছেন ৪০ রান। দলীয় ১২৮ রানে বিদায় নেন আয়ুশ মহাত্রের বলে। দেবাশীষ এসেই ফিরেছেন ৩ বলে ১ রান করে। ১৫৫ রানে ফিরে যান রিজান নিজেও। মিস করেছেন ফিফটি।

সব ব্যাটিং বিপর্যয়েই নাকি একটা করে রানআউট থাকে। ক্রিকেটের সেই অলিখিত নিয়ম মেনে ১৬৫ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন সামিউন বশির। দায়িত্ব নিয়ে পারেননি ফাহাদও। ফরিদ হাসান যখন একাকী দাঁড়িয়ে, তখন ১৯ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মারুফ মৃধা। নবম উইকেটে তারা যোগ করলেন ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ১৯৮ রানে।

কিন্তু জয়ের জন্য শেষের ওই রানটুকুই হয়ে উঠেছে যথেষ্ট। শুরু থেকেই ভারতকে চাপের মাঝে রাখা বাংলাদেশ দুবাইয়ে প্রবাসী সমর্থকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশ পেল এশিয়ানদের যুব ক্রিকেটে নিজেদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা।

আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করছেন বাহাদুর 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার  জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সমুদ্র সৈকত ও শহর পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যাবহার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেন এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পর্যটন শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য  বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ এর কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করছেন বিশিষ্ট পর্যটন উদ্যোক্তা সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও স্বপ্নতরী জাহাজের স্বত্বাধিকারী হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের যত মিথ্যাচার

মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম:
৫ আগস্ট স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়ন করার পর থেকে তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ভারত, বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে।  বাংলাদেশের ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পরে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে এক ধরনের “যুদ্ধং দেহি” মনোভাব দেখা দিয়েছে। তাদের এই যুদ্ধং দেহি মনোভাব যতটা না চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জন্য তার থেকে কয়েকগুণ বেশি স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার জন্য।
ভারতীয় মিডিয়া প্রচার করে বেড়াচ্ছে “হাজার হাজার হিন্দুকে বাংলাদেশে হত্যা করা হচ্ছে, হিন্দু নারীদের হত্যা করা হচ্ছে।” প্রকৃতপক্ষে এমন কিছুই বাংলাদেশে হয়নি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে এদেশের সাধারণ হিন্দুরা।
এক সময় ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আর ভারতের সুসম্পর্ক নিয়ে অনেক খবর প্রকাশিত হত। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সরকার বাংলাদেশ নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করেছে। ভারতের এমন পল্টিবাজ আচরণ সম্পর্কে বিবিসি নিউজ থেকে জানতে পারি, পুণের এমআইটি এডিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্চিত পাল বলেছেন, ” ভারতের মিডিয়া এর আগে যেভাবে ভারত বন্ধু শেখ হাসিনার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেখিয়েছে, ঠিক সেই পথেই অধিকাংশ মিডিয়া হাসিনা সরকারের পতনে মুহাম্মদ ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সবর হয়েছে। কারণ তারা মনে করছে, বাংলাদেশের এই সরকার ভারতের বর্তমান শাসকদলের বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর আক্রমণ নিয়ে ভারতের মিডিয়া এতটা উচ্চগ্রামে খবর করেনি। কারণ তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। আর হাসিনা ছিলেন মোদী ঘনিষ্ঠ। এখন পরিবর্তন পরিস্থিতিতে ভারতের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা বদলিয়েছে।
বিবিসি’র এই নিউজে আরও উল্লেখ করা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পরে গত দেড় সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় যতগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে, সেখানে হিন্দুত্ববাদী নেতা-নেত্রীদের মুখে একটা কথা বারবার শোনা গেছে যে, হিন্দুরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হন, তাহলে ভারতেও একই পরিস্থিতি হবে।”
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, “ভারতের ৪৯ গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমে অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর প্রচারিত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক ৫টি গুজব প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার। এরপর রয়েছে হিন্দুস্থান টাইম, জি নিউজ ও লাইভ মিন্ট যারা প্রত্যেকে অন্তত ৩টি করে গুজব প্রকাশ করেছে।
এ ছাড়া রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ ও আজতক অন্তত দুটি করে গুজব প্রচার করেছে।
প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় মিডিয়ার ভুয়া খবর ও গুজবের মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নানে ভুয়া খোলাচিঠি, মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে মানববন্ধন করার ভিডিওকে হিন্দু ব্যক্তির দাবিতে মিথ্যা প্রচার, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ভুয়া খবর। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভিত্তিহীন দাবি এবং ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনুসের ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার ভুয়া দাবি। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ভুয়া খবর ও গুজবের মধ্যে আরও রয়েছে পাকিস্তানি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র আনার মিথ্যা দাবি। চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চিন্ময় দাসের আইনজীবী হিসেবে প্রচার, বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে যুক্তরাজ্যের জারি করা একটি ভ্রমণ সতর্কতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ। ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে বিমানবাহিনী চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় চিকেন নেকের কাছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানঘাঁটি নির্মাণ করবে। ভারতের প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের হামলায় হিন্দু মন্দিরে প্রতিম ভাঙচুর করা হয়েছে।
আমরা যদি বাংলাদেশের কথা বাদ দেই, তাহলেও ভারত হচ্ছে ভুয়া তথ্য প্রচার করা তথ্যের মধ্যে প্রথম। এ বছরের মার্চ মাসে GLOBAL RISK REPORT 2024 অনুযায়ী ভারত হচ্ছে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো দেশের মধ্যে শীর্ষে।
যে দেশ পৃথিবীর মধ্যে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়ানোর মধ্যে প্রথম, সেই দেশের কাছ থেকে আসলে আমরা সত্য প্রকাশের আশা করতেও পারি না। কারণ তাদের ভিত্তিই টিকে আছে সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর।
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম

রাজধানীতে সবজির দাম চড়া, বাজারে নেই সয়াবিন তেল

শফী উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীর ইন্দিরা রোড পশ্চিম রাজা বাজার, কাওবান বাজার, মোহাম্মদ পুর, নয়া বাজার, নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখা যায় শীতকালীন সবজির অভাব নেই। দোকানীরা নিত্যনতুন সবজি দিয়ে তাদের দোকান আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সবজির দাম বেশি হওয়ার কারনে খুচরা ও পাইকারি বাজারে তুলনামুলকভাবে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।

অবশ্য আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে যাবে বলে আড়তদারিগণ মন্তব্য করেন। সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় :- নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০/- পুরাতন আলু প্রতি কেজি ৮০/- ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০/- মুলা প্রতি কেজি ৬০/-ওল কপি প্রতি কেজি ৮৫/- লাউ প্রতিটি (বড়) ৭০-৮০/- ছোট ৪০-৫০/- পেঁপে প্রতি কেজি ৫০/- কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৩০-১৪০/- ১টি পাতা কপি ৫০/- পাকা টমেটো প্রতি কেজি ১৫০/ কাঁচা টমেটো ৮০/পটল প্রতি কেজি ৫০/- গাজর প্রতি কেজি ১৬০/-বরবটি ১০০/শিম ১০০/ বেগুন ১০০/- দেশি পেঁয়াজ ১৩০/-ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০/- দেশি রসুন ২৫০/- ইন্ডিয়ান রসুন ২২০/- আদা ১২০/- পুইশাকের ফল ৮০/- ধেড়স ৮০/- শষা ৮০/-চিচিঙ্গা ৬৫/- মেটে আলু ১০০/- লেবু ১ হালি ২০/- জলপাই ১২০/- কচুর মুখী ৯০-১০০/- ব্রয়লায় মুরগির ডিম ১ হালি ৫০/- হাঁসের ডিম ৮২/-। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় বাজারে অধিকাংশ দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। মিঠু নামের একজন ক্রেতা বলেন, “আয় অনুযায়ী বাজারে দ্রব্যের মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় সাংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে।”

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ায় শাসক হিসেবে আসাদ পরিবারের আধিপত্য স্থায়ী হয়েছে টানা পাঁচ দশকেরও বেশি। ১৯৭১ সালে দেশটির সামরিক নেতা হাফেজ আল-আসাদ ক্ষমতায় আসেন এবং এরপর প্রায় তিন দশক দেশ পরিচালনা করেন। ২০০০ সালের জুন মাসে তার মৃত্যুর পর পুত্র বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

২০০০ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা এবং সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর, ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন। আন্দোলন বাড়তে থাকলে আসাদ তার বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন এবং দমননীতি জোরদার করেন। এর ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হন। আসাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।

যুদ্ধ চলাকালীন সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নির্বাচন আয়োজন করেন বাশার আল-আসাদ। তবে এই নির্বাচন অনেকের কাছে অগণতান্ত্রিক বলে বিবেচিত হয়েছে। যদিও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদ কখনোই বিজয় নিশ্চিত করতে পারেননি, কিন্তু তারপরও তিনি তার সমর্থকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন।

অবশেষে ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যান দীর্ঘ বাশার আল-আসাদ, অবসান হয় আসাদ পরিবারের সুদীর্ঘ ৫৩ বছরের শাসনের।

সূত্র: আল-জাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম

বাগেরহাটে বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

মাহমুদ কাজী বাগেরহাট:  বিকেলে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি ইসকন ইস্যুতে আয়োজিত এ সমাবেশে বিএনপি দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ এ সমাবেশে অংশ নেয়। চিরুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সমš^য়ক ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন হেফাজাত ইসলামের নেতা মাওলানা আঃ মাবুদুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শেখ শমসের আলী মোহন, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ শাহেদ আলী রবি, সৈয়দ নাসির উদ্দিন মালেক, হাদিউজ্জামান হিরো, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি সরদার লিয়াকত আলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলী সাদ্দাম দ্বীপ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শাহীদা আক্তার,জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরকান আহমেদ , জেলা যুবদলের সাবেক নেতা এ্যাডভোকেট সাজ্জাত হোসেন সহ ইউনিয়ান বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ইসকন ইস্যুতে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা এবং যাতে এ নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে কোন বিভেদ তৈরি না হয় সেই দিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান। একইসঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সাম্পদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

বাদাম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন নিজে অন্ধ, স্ত্রীও বাকপ্রতিবন্ধি, অর্থ কষ্টে সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ

মো: মহিদ আহমেদ: মানিকগঞ্জে মো. জসিম উদ্দিন (৩৬)  চোখে দেখতে না পেলেও বাদাম বিক্রি করেই চালাচ্ছেন সংসার। স্ত্রী শিরিন আক্তারও বাকপ্রতিবন্ধি। ছেলে সিফাত ও মেয়ে জান্নাতি আক্তারকে নিয়ে কোনমতে দিনপার করছেন এই দম্পতি। তারপরেও করেন না ভিক্ষাবৃত্তি। ছোট বেলায় কিছুটা দেখতে পেলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে হারিয়েছে পুরো দৃষ্টিশক্তি। কষ্ট করে হালাল রুজি উপার্জন করার এমনই এক অদম্য সাহসী মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোসাইনগর গ্রামে।
তিনভাই বোনের মধ্যে বড় জসিমের চিকিৎসার জন্য বাবা দুদু মিয়ার বিক্রি করতে হয়েছে একমাত্র মাথা গোজার বাড়িটিও। প্রতিদিন ৩কেজি করে বাদাম ভেজে দেয় স্ত্রী শিরিন আক্তার। সকালেই বাদামের ঝাকা মাথায় তুলে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসেন স্বামী জসিমকে। আর তা বিকেল পর্যন্ত শহরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে ২০০ টাকা আয় করে কোনমতে টিকে আছে তারা।
এরই মধ্যে টাকার অভাবে গড়পাড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে সিফাতের পড়ালেখা বন্ধ করে গাড়ির মেকানিকের কাজ শিখতে হচ্ছে। আশা একদিন তার বাবা দেখবে এই দুনিয়ার আলো । আর পাঞ্জনখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শেণীতে পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতিকে কিভাবে মানুষ করবে সেই চিন্তাই বাবা মার।
যেখানে তার ভিক্ষা করে চলার কথা কিন্তু তার এমন সাহসীকতায় প্রশংসা করছেন গ্রামবাসীও। তাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে যদি একটু সাহায্য করা হয় তাহলে একটু ভাল থাকতে পারবে জসিম ও তার পরিবার।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্মারকলিপি দিলো বিএনপির ৩ সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠন।

৮ নভেম্বর রবিবার দুপুর সোয়া ১টায় ভারতীয় হাইকমিশনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ জন প্রতিনিধি ওই স্মারকলিপি জমা দেন। প্রতিনিধিরা হলেন-যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির। স্মারকলিপিটি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে দেওয়া হবে। স্মারকলিপিকে সাম্প্রতিক অবন্ধুসুলভ ঘটনাবলি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

dhakapost

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই মর্মে গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করছি যে, দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার অভাবনীয় তুমুল আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আপনার দেশে পালিয়ে যাওয়ার পর আপনারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। অতঃপর আপনার দেশের অতি উগ্রবাদী নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষ করে কতিপয় সংবাদ মাধ্যম এবং মিডিয়া বাংলাদেশের এই গণশত্রু হাসিনাকে পুনরায় পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করবার নিমিত্তে একের পর এক অজ্ঞ-অর্বাচীনের ন্যায় কাজ করে যাচ্ছে।’

‘যাতে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের বন্ধুত্ব ছিল হাসিনার সাথে, বাংলাদেশের জনগণের সাথে নয়। হাসিনা এখন বাংলাদেশের নিরাপত্তা এ্বং স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে উঠেছে। একদিকে তিনি বাংলাদেশের ভিন্ন দলমতের মানুষদের ঘরবাড়ি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুকুম দিচ্ছেন। অপরদিকে যারা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন। ভারতের নিরাপদে আশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার এই অপচেষ্টা বাংলাদেশের জনগণ ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না।’

‘এক্সিলেন্সি, আপনি সম্যক অবগত আছেন যে, গত ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। নৈতিক পদস্খলনের কারণে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উগ্র হিন্দুত্ববাদী হাজার হাজার মানুষ যখন রাষ্ট্রীয় মদদ এবং প্রশ্রয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করছিল তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে আপনার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’

‘প্রাপ্ত বিবরণগুলো চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে, তারা জাতীয় পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরে সম্পত্তিরও ক্ষতি করে। দুঃখজনকভাবে, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় না থাকতে দেখা গেছে। এটি কূটনৈতিক নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুতর লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমন ন্যাক্কারজনক বিস্ময়কর ঘটনাসমূহের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও আপনার সরকারের নীরবতায় বাংলাদেশের জনগণ হতাশ। আমরা পরস্পরের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হবে সমতা, পরস্পরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্মান প্রদর্শনের ওপর।’

dhakapost

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘সার্বভৌম কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল। ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ বলে আমরা চাই ভারত সরকার ভারতীয় মিডিয়া আউটলেটগুলোকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার আদর্শ প্রচার করতে পরামর্শ দেবে।’ তারা প্রত্যাশা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, অপতথ্য বন্ধ করতে ভারতীয় সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশগুলোর মধ্যে একটি স্থিতিশীল, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতিসংঘের সনদের নীতির উপর ভিত্তি করে ‘সকল সদস্যের সার্বভৌম সমতার’ ভিত্তিতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘জাতীয়তাবাদী আমাদের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপির মাধ্যমে আপনাকে অবগত করছি এবং অনুরোধ জানাচ্ছি যে, জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অবস্থান এবং মতামত ভারতীয় সরকারের নিকট পৌঁছে দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

বেলা সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা ভারতের হাইকমিশন অভিমুখে এগোতে থাকেন। পরে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুলিশ রামপুরা ব্রিজে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এসময় পুলিশের প্রস্তাবে ৬ জনের প্রতিনিধি দলকে ভারত হাইকমিশনে নিয়ে যাওয়া হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম

বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলোকিত প্রতিবেদক:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনও বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেক দেশেরই নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে কত বিদেশি এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, সেই তথ্য তার কাছে নেই বলেও জানান তিনি। ৮ ডিসেম্বর রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বড় দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির সভা ছিল। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয়, তারা যাতে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।  ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় একটু ‘পানিটানি’ খায়, যাতে সেটা না করে আপনারাসহ সবাই তাদের একটু বুঝিয়ে বলবেন। যাতে রাস্তাঘাটে কোনও অসুবিধা না ঘটায়। ওইদিন আমাদের সাধারণ মদের বারগুলো বন্ধ থাকবে। আতশবাজি এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা যাতে কেউ না ওড়ায় সে জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও এগুলো গ্রহণযোগ্য না।

দেশের পুরো সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সীমান্তে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না। আপনারা সত্যি খবর প্রচার করলে তাদের মিথ্যা খবরের মুখে চুনকালি পড়বে। তাছাড়া বর্ডারে বড় ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম