আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 180

বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলোকিত প্রতিবেদক:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনও বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেক দেশেরই নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে কত বিদেশি এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, সেই তথ্য তার কাছে নেই বলেও জানান তিনি। ৮ ডিসেম্বর রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বড় দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির সভা ছিল। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয়, তারা যাতে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।  ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় একটু ‘পানিটানি’ খায়, যাতে সেটা না করে আপনারাসহ সবাই তাদের একটু বুঝিয়ে বলবেন। যাতে রাস্তাঘাটে কোনও অসুবিধা না ঘটায়। ওইদিন আমাদের সাধারণ মদের বারগুলো বন্ধ থাকবে। আতশবাজি এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা যাতে কেউ না ওড়ায় সে জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও এগুলো গ্রহণযোগ্য না।

দেশের পুরো সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সীমান্তে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না। আপনারা সত্যি খবর প্রচার করলে তাদের মিথ্যা খবরের মুখে চুনকালি পড়বে। তাছাড়া বর্ডারে বড় ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর-২৪/মওম

সরাইলে ডা*কাতির প্রস্তুতিকালে পাঁচ জন গ্রে*প্তার

শওকত আলী: সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনামতে সরাইল থানার এসআই মোঃ আবু তাহের, এসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন, এসআই মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, এএসআই রুবেল আখন, এএসআই মোঃ সামশুল আলম, এএসআই মোঃ লিটন মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানাধীন পশ্চিম কুট্টাপাড়া শ্রীডোবা এলাকাস্থ পরিত্যক্ত ফাইভ স্টার নামীয় অটোরাইছ মিলের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর ডাকাতি করার প্রস্তুতি করাকালে অদ্য ৭/১২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত ২৩.২৫ ঘটিকার সময় একটি সাঁড়াসী অভিযান পরিচালনা করে অভ্যাসগত ডাকাত মোঃ লিয়াকত আলী গ্রুপের মোট ৫,জন ডাকাত সদস্য যথাঃ-১,মোঃ লিয়াকত আলী(৩৪), পিতা-মৃত আব্দুল কাহার, মাতা-জয়নব বেগম, সাং-মালিহাতা, ১নং ওয়ার্ড, বুধল ইউপি, থানা-সদর মডেল থানা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২,মোঃ শরীফ(২৩), পিতা-মৃত ফরিদ মিয়া, মাতা-হামিদা বেগম, সাং-গুনারা, সদর ইউপি, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বর্তমানে-চান্দিয়ারা (বড় বাড়ি), বুধল ইউপি, থানা-সদর মডেল থানা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩,মোঃ সাগর(২২), পিতা-ফুল মিয়া, মাতা-নাসরিন বেগম, সাং-সাদেকপুর, ৩নং ওয়ার্ড, থানা-সদর মডেল থানা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৪, মোঃ শামীম মিয়া(২০), পিতা-মোঃ আক্তার মিয়া, মাতা-মোছাঃ আসমা বেগম, সাং-মালিহাতা, চৌকিদার বাড়ী, থানা-সদর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৫,মোঃ আলী আজম(৩৪), পিতা-মোঃ আব্দুল হামিদ, মাতা-মোছাঃ মাকসুদা, সাং-ইসলামবাগ, নুর ইসলাম সর্দারের বাড়ী, ২নং ওয়ার্ড, বুধল ইউপি, থানা-সদর মডেল থানা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদের ১টি চাইনিজ কুড়াল,৪টি বিভিন্ন সাইজের ছোরা সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যদের মধ্যে ডাকাত মোঃ লিয়াকত আলীর রিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা রয়েছে। সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব রফিকুল ইসলাম বলেন এই বিষয়ে  আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

 জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে কোন টাকা লাগবে না: অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া

মোঃ আতিকুর রহমান রোজেন : ফেনী পৌরসভার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ড এর শাহীন একাডেমি ফিসারী মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশ শূরা সদস্য, এ কে এম শামসুদ্দিন।
 আরো উপস্থিত ছিলেন – ফেনী জেলা সাহিত্য সম্পাদক সাবেক শহর আমির, মোঃ ইলিয়াস,ফেনী শহর সেক্রেটারি মাওলানা সামাউন হাসান,সভাপতিত্ব করেন – ফেনী পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের আমির, এম এম শামসুদ্দিন এম.এ ওয়ার্ডের সেক্রেটারি শফিকুর রহমান দুলাল এর পরিচালনায়,বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ডের সহ-সেক্রেটারি মোঃ শহিদ উল্ল্যা,শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন এর ফেনী শহর শাখার সভাপতি জনাব জাকির রুবেল,ষ্টার লাইন ইউনিটের সভাপতি মোঃমনিরচৌধুরী, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি  মোঃইয়াকুব ফারুকী, মহিপাল ইউনিটের সভাপতি হাকীম মোঃরায়হান উল্যাহ,সাবেক ছাএ নেতা আইয়ুব আলি মামুন সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন – বিগত বছরগুলোতে স্বাধীনভাবে মানুষ কথা বলতে পারে নাই, বাকশক্তি পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছিল, তারা করেছিল ক্ষমতার অপব্যবহার, দিতে পারে নাই মানুষ ভোট, দেশ থেকে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেল, এটা কি ভাল কাজ?  তাদের কর্মের কারণে তারা পালাতে হয়েছে, বাইতুল মোকাররম মসজিদের এর ইমাম সাহেব ও পালাতে হলো। কই আমরা তো পালাই নাই।
তবে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে, হবে না কোনোদিন দুর্নীতি , থাকবে মানুষের স্বাধীনতা ও বাকশক্তি।  দিতে হবে না কোন শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার জন্য কোন টাকা পয়সা, ফ্রিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়তে পড়ালেখা করতে পারবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

মানিকগঞ্জে ক্ষেতমজুর সমিতির বি*ক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত : দেশের ক্ষেতমজুর-ভূমিহীনদের জন্য জমি,কাজ-মজুরি ও ইনসাফসহ সংগঠনের ১০ দফা দাবি নিয়ে সারাদেশব্যপী বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) তারই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জ রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় প্রয়াত কমরেড আজহারুল ইসলাম আরজু বাসভবনে সকাল থেকে জেলা সম্মেলনের জন্য উদ্ভোদনী পর্ব, শহরে বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনা সভা ও কমিটি গঠনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মিজানুর রহমান হযরত এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আনোয়ার হোসেন খান রেজা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মোতালেব মোল্লা।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুজিবুর রহমান মাস্টার, জেলা শাখার এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, ক্ষেতমজুর নেতা কমরেড নাসির উদ্দী, কমরেড আশরাফ সিদ্দিকী, প্রগতি লেখক সংঘের জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- অবিলম্বে চাল ডাল তেলসহ নিত্য পন্যের দাম কমাতে হবে। পল্লী রেশন ও পেনশন ব্যবস্থা  চালু করে ক্ষেতমজুরদের জন্য খাসজমি বন্দোবস্ত করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

 খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পরিদর্শন করলেন এডিশনাল ডিআইজি: খাইরুল আলম 

শওকত আলী: শনিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা আকস্মিক পরিদর্শন করলেন এডিশনাল ডিআইজি মো: খাইরুল আলম। এসময়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে থানায় কর্মরত সকল অফিসার ও ফোর্সের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্তে বক্তব্য শ্রবণ পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে থানায় কর্মরত সকল অফিসার ও ফোর্সদেরকে মহাসড়কের শৃঙ্খলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে সরকারি দায়িত্ব পালন করার জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন। তার সাথে তিনি আরো বলেন অবৈধ যানবাহন চলাচলের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ধারাবাহিকভাবে চলবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

নোয়াখালীতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

প্রতিনিধি,নোয়াখালী:

১৯৭১ সালে এই দিনে ৭ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয় নোয়াখালী। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় নোয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ড কাউন্সিলের ব্যানারে এক বিজয় র‍্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  মুক্ত মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় বক্তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। এসময় আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহাসমারোহে বিজয় দিবস উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিক উল্যাহ জিন্নাহ, মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল আলম,আবদুল মতিন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড কাউন্সিল নোয়াখালী জেলার সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শাহ জাফর উল্যাহ রাসেল,সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাসেল,আন্তর্জাতিক কমাণ্ড সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম,সদর উপজেলার সভাপতি ইঞ্জিঃ ফখরুল ইসলাম ইয়াছিন,আলমগীর,নাজিম উদ্দিন,নূর নবী শাহাজাহান,মমিনুর রহমান এরশাদ,ফয়সাল আহমেদ ভুইয়া,কবিরহাট উপজেলা সভাপতি নাজমুল হোসেন ডালিম,সাধারণ সম্পাদক কাজী ফাহাদ,আবদুর রহিম রাব্বি, চাটখিল উপজেলা সভাপতি আলা-উদ্দিন-সুজন,সাধারণ সম্পাদক রুবেল প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/০৭ ডিসেম্বর-২৪/মওম

ভারতের রাজনীতিকরা হাসিনার জন্য কুমিরের মায়া কান্না করছে : রিজভী

আলোকিত প্রতিবেদক:

পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না করছে ভারত-এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনীতিক, নীতিনির্ধারকসহ আরও অনেকেই এই স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না করছে। ডাহা মিথ্যার বেড়াজাল নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। সেই স্বার্থ রক্ষার জন্যই তারা শেখ হাসিনার জন্য যে কুমিরের মায়া কান্না করছেন এটাই এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।

৭ ডিসেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্শ্ববর্তী দেশের কঠোর সমালোচনা করে করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তারা (ভারত) এত দূর গেছে যে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার যে পতাকা সেই পতাকা ছিড়ে ফেলেছে। কূটনৈতিকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী এটা ভয়ংকর রকমের আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। সেই অপরাধ তারা করেছে। তারা একবারও ভাবেনি শেখ হাসিনা এই দেশে কি নিষ্ঠুরতা, কি নির্দয়তা, কি হিংসাশ্রয়ী আচরণ করেছে নিজ দেশের নাগরিকদের সঙ্গে।

রিজভী বলেন, আজ বার্ন ইউনিটে যে দৃশ্য দেখলাম এই দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না। আন্দোলনের সময় আমি কারাগারে ছিলাম বের হয়ে অনেক হাসপাতালে গিয়েছি কিন্তু এত বর্বরতা এত মর্মান্তিক বুকফাটা কান্না বেরিয়ে আসে এই দৃশ্য দেখলে কারো মুখ ঢাকা মুখ খুললেই মনে হয় এজন্য কোনো হরর ছবির দৃশ্য দেখছি। কে নেবে তাদের দায়িত্ব? কি করে তারা বাঁচবে? এই পরিস্থিতি তৈরি করে গেছেন পলাতক স্বৈরাচার। আর তাদের জন্য এত মায়া কান্না? তার জন্য বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা নাকি বিক্ষোভ করবে। শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য তারা ইসকনের নামে যে চিন্ময় ইসকন থেকে বিতাড়িত অপকর্মের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে তার জন্য মনে হচ্ছে ভারতের দিল্লি থেকে শুরু করে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, সার্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে কেউ মাথা নত করাতে পারবে না। এই বাংলাদেশকে ভয় দেখিয়ে চোখ রাঙিয়ে নতজানু করানো যাবে না। এই বাংলাদেশে অপরাধীদের বিচার হবে। যারা আমাদের ভাইদের পঙ্গু করেছে, যারা অপরাধ করেছে মন্ত্রী থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের অপরাধীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দীন বকুল, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা আওয়াল প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/০৭ ডিসেম্বর-২৪/মওম

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ১২ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়ায় চালানো হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গভর্নর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইভান ফেডরভ বলেন, শুক্রবারের হামলায় একটি গাড়ির গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশনে আগুন ধরে যায়। টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায় সেখানে আগুন জ্বলছে। তাছাড়া আহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে হামলা এবং পাল্টা হামলার সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তাছাড়া শীতের শুরুতে হামলা জোরালো করেছে মস্কো। ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিহতেও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। স্থানীয় গর্ভনর জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন।

সেখানের জরুরি সার্ভিস জানিয়েছে, ১৬ জন আহতের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। তাছাড়া নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলেও জানানো হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/০৭ ডিসেম্বর-২৪/মওম

মানিকগঞ্জে ৭৯৫ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধনের অ*ভিযোগ, নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত :মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৭৯৫ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের সরকারি নিবন্ধন আইডি বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় সাময়িকভাবে ওই পরিষদের সরকারি নিবন্ধন অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে।

কয়েকজন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ-চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসব সনদ দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ‘চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৭৯৫ জনকে জন্মনিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি শিগগিরই তদন্তকাজ শুরু করবেন।’

ইউনিয়ন পরিষদের নির্ভরযোগ্য সূত্র জনিয়েছে, এই অবৈধ কাজে সহায়তাকারী পরিষদের উদ্যোক্তা নিজের দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছেন।

জেলার স্থানীয় সরকার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চরকাটারী ইউনিয়নে ৭৯৫ জনের অবৈধ জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়। গত ১০ মাসের মধ্যে হওয়া ওই জন্মনিবন্ধনগুলো বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরে জন্ম নিবন্ধনগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

এদিকে চরকাটারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কম্পিউটারের কাজ তেমন বুঝি না। আমি টাচ মোবাইলটাও ভালো করে চালাতে পারি না। পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জলিল মণ্ডলের কাছে আমার জন্মনিবন্ধনের আইডির পাসওয়ার্ড থাকত। সেই সুযোগেই উদ্যোক্তা জলিল এ রকম অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমিও খুব বিপদে পড়ছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে উদ্যোক্তা মো. জলিল মণ্ডলকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

তাঁর ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘শুনেছি সে অসুস্থ, ছুটিতে আছে।’

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উদ্যোক্তা জলিলকে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল, ওয়াজ উদ্দিন ও রহিম মিয়া বলেন, ‘৭৯৫ জনের যে জন্মনিবন্ধন হয়েছে, তারা কেউ আমাদের এলাকার বাসিন্দা না। চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তারা টাকার বিনিময়ে অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছেন।’

ইউপি সদস্য মো. জয়েদ আলী মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘৭৯৫ জনের অবৈধ এ জন্মনিবন্ধন হওয়ায় আমাদের চরাঞ্চলের মানুষের ক্ষতি হবে। এর দায় চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তার।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরকাটারী ইউনিয়নে দীর্ঘদিন কোনো সচিব ছিল না। উপজেলার পার্শ্ববর্তী বাচামারা ইউনিয়নের সচিব আলমগীর হোসেন এই ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ২০ অক্টোবর নতুন সচিব মো. সেলিম দায়িত্ব গ্রহণের পরই অবৈধ জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি সবার নজরে আসে এবং তিনি ইউএনওকে অবগত করেন।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান ও সচিবের নিবন্ধন আইডি বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করেছে, তবে এখনো তদন্ত-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি।’

আহসানুল আলম আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

ভারতের সঙ্গে আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়: সাবেক সেনা সদস্যরা

আলোকিত ডেস্ক:

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা এবং জাতীয় পতাকা অবমাননা স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি ‘হুমকি’ মনে করে দেশটির ক্ষেত্রে আর ‘নতজানু’ পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং ‘সাম্যতার ভিত্তিতে’ সেটি ঠিক করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা। ৭ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সের নিচে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে এমন কথা বলা হয়।

সরকারকে আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ বলেন, আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, সাম্যতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি চাই। কোনো ধরনের নতজানু নীতিকে কোনো অবস্থাতেই আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেব না।

একইসঙ্গে ভারতের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। আপনারা আমাদের বন্ধু, কিন্তু ভারতের গেরুয়া পোশাকধারী হিন্দু আধিপত্যবাদকে আমরা কোনোভাবেই এ দেশে প্রশ্রয় দিতে রাজি নই। সনাতনী হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার এবং কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ভারতে, বিশেষ করে বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। গত সোমবার এমন একটি বিক্ষোভ থেকে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা চালানো হয়। পরে তারা সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে বলে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এ ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব কূটনৈতিক মিশন ও সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানায় ঢাকা।

মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদপত্র তুলে দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যদের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ বলেন, হজরত শাহজালাল, হজরত শাহ মখদুম, অতীশ দীপঙ্কর, শ্রী চৈতন্য, অনুকূল ঠাকুর, লোকনাথ ব্রহ্মচারী প্রমুখের আবাসভূমি এই বাংলাদেশ। আমরা যুগ যুগ ধরে এই শ্যামলভূমিতে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছি। কিন্তু অতি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সম্প্রীতি বাংলাদেশের লেডি ফেরাউন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতের হিন্দু নেতৃত্বের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে আমাদের দিকে। তাদের ইদানিংকালের কর্মকাণ্ড এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, তাদের সর্বশেষ উদ্যোগ ছিল আগরতলা এবং কলকাতার বাংলাদেশি দূতাবাসে আক্রমণ চালানো এবং আমাদের বাংলাদেশের পতাকাকে অবমাননা করা। আমরা এই সমস্ত ঘটনাগুলোকে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে মনে করছি। এ ছাড়া ভারতের কিছু মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশকে নিয়ে সার্বক্ষণিক বিষোদগার করে চলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যে কোনো দূতাবাসে হামলা মানে সেই দেশের সার্বভৌম এলাকার ওপরে হামলা। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে যখন আমাদের সার্বভৌমত্বের উপরে হামলায় হয়, আমাদের পতাকা পদদলিত হয়, তখন আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা চুপ করে থাকতে পারি না।

কর্মজীবনের শুরুতে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথ থেকে এখনও ‘বিচ্যুত’ হননি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। আসুন সব ধরনের রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে গিয়ে, ধর্ম-মত এবং দলের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করি।

এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের তরুণ ছাত্র এবং শ্রমিক জনতাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনাদের আরও আশ্বস্ত করতে চাই সশস্ত্র বাহিনীর লাখ লাখ প্রশিক্ষিত সৈনিক, হাজার হাজার প্রশিক্ষিত অফিসার সবসময় এ দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, আমরা থাকবো। আমরা যে কোনো প্রয়োজনে দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আভ্যন্তরীণ, আন্তর্জাতিকসহ যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র হবে আমরা আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে চাই।

৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিনেও সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যদের ভূমিকা তুলে ধরে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনীষ দেওয়ান বলেন, আজ পুনরায় আবার এখানে জমায়েত হয়েছি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখার জন্য।

ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ‘বার্তা দিয়ে’ তিনি বলেন, মোদিজি, অমিতজি এবং রাজনাথজি, আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেটা দেখেছেন, ৭২ সালের সেই সেনাবাহিনী এখন আর নাই। আমরা এখন যে কোনো শত্রু মোকাবেলায় প্রস্তুত। আপনারা আর আস্ফালন তুলবেন না, ভয় দেখাবেন না। আমরা শুধু সশস্ত্র বাহিনী নই, ১৭ কোটি জনতা আছে আমাদের সাথে আপনাদের সীমান্তেই রুখে দিতে।

সমাবেশ সঞ্চালনার সময় সরকারের উদ্দেশে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল লুৎফুল হক বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সকল জাতীয় চুক্তিগুলো তুলে ধরুন। যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করে প্রয়োজন না থাকলে তাদের ফেরত পাঠানো হোক। যেসব ভারতীয় মিডিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে দেশে সেগুলো বাতিল করা হোক।

সমাবেশ শেষে বিভিন্ন বাহিনীর সাবেক সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি রাওয়া ক্লাব থেকে শুরু হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংলগ্ন ক্রসিং হয়ে ঘুরে আবার রাওয়া ক্লাবে এসে শেষ হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/০৭ ডিসেম্বর-২৪/মওম