আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 181

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাদক ও সন্ত্রাসী সজীবের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ তেতাভূমি গ্রামের মোঃ সজিব হোসেন পিতা মোঃ রানু মিয়া মাথা জুলেখা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মাদক গাঁজা ফেনসিডি চিনি এবং ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রাচার করে আসছে। সজীব দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণপাড়া হরিমঙ্গল শশীদল তেতাভূমি এলাকায় মাদকের আখড়া তৈয়ারি করছে এবং এলাকার অনেক যুবককে মাদক সেবনে উৎসাহিত করে আসছে, তার বিরুদ্ধে মাদক ছিনতাই এবং পথ ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে এলাকার মোহাম্মদ নায়েব আলী নামে একজন জ্যৈষ্ঠ ব্যক্তি দোকানের পাশে আলোচনা করলে সজীব শুনতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েব আলীর উপর অতর্কিত হামলা করে নায়েব আলী কে উদ্ধার করতে তার ছেলের বউ এগিয়ে গেলে তাকও মারধর করে এবং প্রাণনাসের হুমকি দেয় নায়েব আলী এবং তার পরিবার আহত অবস্থায় থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,সজিবের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল্লাহ নামের এক ছেলে থেকে সজীব বিভিন্ন কৌশলে বিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ।

এই টাকা ফেরত চাওয়াতে আব্দুল্লাহর সাথে তার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলে আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে এই মামলাতেও সজীবের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা কোট কর্তৃক জারি হয়। ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এর সাথে জানতে চাইলে তিনি জানান সজিবের নামে মাদক ডাকাতের একাধিক মামলা রয়েছে ইতিপূর্বে। সজীব দুষ্ট প্রকৃতির লোক মাদক ও ভারতীয় বিভিন্ন নেশা জাতীয় পণ্য পাছারে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে যাহা আমি ইতিপূর্বে অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনানক ব্যবস্থা নিতে আমি অভিযান অব্যাহত রেখেছি

আলোকিত প্রতিদিন/০৭ ডিসেম্বর-২৪/মওম

আগামী বছরই দেশবাসী একটা রাজনৈতিক সরকার পাবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী বছরই দেশবাসী একটা রাজনৈতিক সরকার পাবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের বড় দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক ও আয়বৈষম্য।

৭ ডিসেমাবর শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনের প্রথম সেশনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যেখান থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে রয়েছে।বাংলাদেশের আর স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকার সুযোগ নেই জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, উন্নত দেশ থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আলোচনা চলমান। অনেক দেশই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাঁচতে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আর এই কর্মযজ্ঞে যেন উদ্যোক্তা তৈরি হয় ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

ইন্দরমিত আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশলী হওয়ার পাশাপাশি সেবা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সেমিনারে আগামীতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক।

আলোকিত প্রতিদিন/০৭ ডিসেম্বর-২৪/মওম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে ডা*কাতির প্রস্তুতিকালে তিনজন গ্রে*ফতার 

শওকত আলী: আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা ইং ০৭/১২/২০২৪ সময় রাত ২.৪৫ ঘটিকায়  মোঃ বিল্লাল হোসেন, অফিসার ইনচার্জ, আশুগঞ্জ থানার নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার এসআই মো: নজরুল ইসলাম, এএসআই মো: মহিউদ্দিন ও ফোর্সদের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আসামী ১, মো: মুছা মিয়া (৪৪), ২, হুমায়ুন (৪৫), ৩, মো: হাশেম মিয়া (৪২), গণ’কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। আসামীদের হেফাজত হতে ১ টি কাঠের হাতলযুক্ত পুরাতন রিভলবার, ৩ টি রিভলবারের বুলেটসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলে-
১। মোঃ মুছা মিয়া(৪৪), পিতা- মৃত আলী বক্স, মাতা- হাসেনা বেগম, সাং- দূর্গাপুর, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
২। হুমায়ুন(৪৫), পিতা- মজু মিয়া, মাতা- মৃত খুদেজা বেগম, সাং- দূর্গাপুর, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
৩। মোঃ হাশেম মিয়া(৪২), পিতা- মৃত জজ মিয়া, মাতা- মৃত আনোয়ারা বেগম, সাং- বাহাদুরপুর, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে আশুলিয়ার কাঁসা পিতলের পণ্য

খোরশেদ আলম (আশুলিয়া, সাভার): এক সময়ের সোনালী ধাতুর রমরমা ব্যবসা ছিল কাঁসা পিতলের পণ্যর। চাহিদা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণ এর জৌলুস হারাতে বসেছে। তবে এই শিল্পের সাথে জড়িতদের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক বা সংগঠন সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করলে এ শিল্প টিকে থাকবে বহুদিন এমনটাই প্রত্যাশা এ শিল্পের কারখানা মালিকদের ।

সরজমিনে আশুলিয়ার কাছর, মধ্যপাড়া, বাঘবাড়ি, কালিকাপুর, চাঙ্গিরদিয়া, বাড়ারিয়া, কান্ঠাপাড়া এবং লালারটেক এলাকা ঘুরে এই শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই অঞ্চলে ২৬০টির বেশি বাড়ির কারখানায় কাঁসা ও পিতলের জিনিসপত্র তৈরি হতো । এর মধ্য চামচ তৈরির কারখানা ছিল প্রায় ২০০টি, বাটি তৈরির কারখানা ছিল ৪০টি এবং শুধুমাত্র কাঁসার তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরির কারখানার ছিল সংখ্যা ছিল ২৬টি।

২০ বছর আগেও ২০টিরও বেশি কাঁসা ও পিতলের কারখানা ছিল। এখন মাত্র ৬টি বাড়িতে এ শিল্প কারখানা টিকে আছে। এসব কারখানায় তৈরি হচ্ছে কাঁসা ও পিতলের খাবারের থালা, পানি খাওয়ার গ্লাস , চামচ, ফুলদানি, বেলের ঘণ্টাসহ নানা তৈজসপত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , দুই দশক আগে কাঁসা পিতল কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত পিতলের কেজি ছিল ৭০ টাকা। অথচ বর্তমানে তা ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এছাড়া কাঁসার কেজি ছিল ৪০০-৫০০টাকা কি এখন তা দাঁড়িয়েছে ১৫০০ টাকায়। একই বছর ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হওয়া রংয়ের বর্তমান বাজারমূল্য ২৩০০ টাকা। দস্তার কেজি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ২০০ টাকা। গত দুই দশকে কাঁসা ও পিতলের পণ্য তৈরির কাঁচামালের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কাঁসা পিতলের পণ্যের মূল্য। বিগত ২০০০ সালে কাঁসার এক কেজি ওজনের একটি থালা ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারমূল্য ১৪০০-১৬০০ টাকা। দুই দশক আগে ১৫০ টাকায় পিতলের থালা পাওয়া গেলেও বর্তমান বাজারমূল্য ৬৫০-৭০০ টাকা।

কথা হয় আশুলিয়ার লালারটেক এলাকায় পিতলের ব্যবসায়ী নিতিশ সরকারের সাথে তিনি জানান, তাদের পূর্ব পুরুষদের একমাত্র ব্যবসা এটি। বাপ-দাদার এ ব্যবসা তিনি প্রায় ৩০ বছর সময় ধরে টিকিয়ে রেখেছেন ।

কাঁসা পিতলের চাহিদা কমে যাওয়ায় তার সন্তানরা এই ব্যবসায় মনোনিবেশ করবে বলে মনে হয় না।

তিনি জানান, আশুলিয়ায় বর্তমানে টিকে থাকা ছয়টি কারখানার মধ্য তিনটি তার পরিবারের সদস্যদর।

নিতিশ সরকারের মতা আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এ এলাকায় স্বাধীনতার পরও এ ব্যবসা জমজমাট ছিল। কিন্তু কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধি , চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কম ইত্যাদি কারণে এখন তাদের বেশিরভাগ পেশা বদল করত বাধ্য হয়েছেন । স্থানীয় জনসাধারণ ও এ ব্যবসায় জড়িতদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, একসময় ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের অনুষ্ঠান, খৎনাসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে কাঁসা ও পিতলের জিনিসপত্র উপহার দেয়া হতো । কি বর্তমান এই রীতি বন্ধ হয় পড়লেও সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষরা উপহার হিসেবে কাঁসা-পিতলর তৈরি কিছু জিনিসপত্র কিনে থাকেন ।

এছাড়া এসব পণ্য কেনার জন্য অন্য কাউকে তেমন পাওয়া যায় না। এখন কাঁসার ঘণ্টার পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে ইলক্ট্রনিক্স বল।। থালা, কলসি, বাটি, ঘটিসহ ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্রের চাহিদাও এখন অনেক কমে গেছে । কাঁসা-পিতলের ব্যবহার কমিয়ে মানুষ এখন মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার শুরু করেছেন ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

গাজীপুর সদরে জামায়াতে ইসলামীর সূধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর:গাজীপুর সদর উপজেলা ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস  নয়নপুর ঈদগাহ মাঠে এক সূধী সমাবেশ ও ইসলাম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শুক্রবার ( ৬ ডিসেম্বর)  বিকেলে ভাওয়ালগড়  ইউনিয়ন ৯নং ওয়াড জামায়াতে ইসলামী এ আয়োজন করে। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন পেশাজীবি শাখার সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ ও আমজাদ হোসেন  এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারী আঃ আজিজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর শিক্ষাবিদ ডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান খান,জেলার তারবিয়াত সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদুল্যাহ,শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নূরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আঃ বারী,সদর উপজেলা পেশাজীবি বিভাগের সহ-সভাপতি মহসিন আলী, ইউনিয়ন ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান, রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস এলাকা সংগঠনিক থানা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সৌরভ হোসেন প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংগতি পরিবেশন করেন ইসলামি সংগীত শিল্পি শাহাবুদ্দিন সিহাব,আব্দুল্লাহ আল নোমান।স্পন্দন ও দিগন্ত শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পী বৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

অসুস্থ বৃদ্ধকে জঙ্গলে ফেলে যায় সন্তানরা, ৩ দিন পর উদ্ধার করে দায়িত্ব নিলেন ওসি

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সদর উপজেলায় অসুস্থ এক বৃদ্ধ বাবাকে তার সন্তানেরা বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে এসে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। তিন দিন পর তাকে হোতাপাড়া এলাকার বিমান ঘাঁটির পাশের বনের ভিতর থেকে উদ্ধার করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধ শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার চরডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সাকিব আলী সরদার (৬৫)। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ফেলে যাওয়ার আগে তিনি ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বড় মেয়ের বাসায় থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধের বড় মেয়ে ও তার জামাতা, অন্য ভাই-বোনদের সঙ্গে পরামর্শ করে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বি.কে.বাড়ি বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যান। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধের অসুস্থতার কারণে তাকে সেখানে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করে।
পরে তারা বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার বদলে পথের পাশে একটি জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যায়। তিন দিন সেখানে পড়ে থাকার পর স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, গত ৪ই ডিসেম্বর বিকেলে থানার আওতাধীন হোতাপাড়া এলাকার বিমান ঘাঁটির পাশের বনের ভিতর থেকে একটি জঙ্গলে এক বৃদ্ধ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বৃদ্ধকে অত্যন্ত নোংরা অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পায়ে মল-মূত্র লেগে ছিল এবং প্রস্রাবের রাস্তার জন্য একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সমাজসেবা অফিসারকে জানানো হলে তারাও দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বৃদ্ধকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাতেই থানার গাড়িতে করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরের দিন ওসি আব্দুল হালিম হাসপাতালে গিয়ে বৃদ্ধের খোঁজখবর নেন এবং তাকে ফলমূলসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ওসি আরও জানান, বৃদ্ধ সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি এ বৃদ্ধের মৃত্যু পর্যন্ত দায়িত্ব নেওয়ারও আশ্বাস দেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

রাজশাহীতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

নাহিদ ইসলাম:
রাজশাহীর জেলার বাগমারায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার সুলতানপুরে র‍্যাব-৫–এর একটি দল অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে বোমা ও ককটেল তৈরির কাজে ব্যবহৃত চার কেজি ১৫০ গ্রাম গানপাউডারও আছে। এ ছাড়া আছে ১৯টি চায়নিজ কুড়াল, ১৮টি ধারালো হাঁসুয়া, পাঁচটি কুড়াল, আটটি বড় ছুরি, চারটি ওয়ান শুটারগান, দুটি চায়নিজ রাইফেলের গুলি এবং একটি শটগানের রাবার বুলেট।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, র‍্যাবের গোয়েন্দা দল জানতে পারে, সুলতানপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে চরমপন্থী এবং সন্ত্রাসী গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র–সরঞ্জামাদি ফেলে রেখেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন।
প্রাথমিক তদন্তে র‍্যাব জানতে পারে, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য, ওয়ান শুটারগান ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ করে তোলার জন্য কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে এসব সংগ্রহ করে আসছিল। এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র বাগমারা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর-২৪/মওম

সারাদেশে চলছে ভিক্ষাবৃত্তির নামে প্রতারণা

মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম:
আমরা রাস্তায় বের হলেই দেখি কিছু মানুষ তাদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে। তারা তাদের অসহায়ত্বের কথা এমনভাবে বলে যে, মানুষ টাকা দিতে বাধ্য হয়। আর আমরাও তাদের কথা শুনে মনে করি, তারা হয়তো খুব অভাবের মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করছে এবং পর্যাপ্ত খাবার পর্যন্ত পাচ্ছে না।
এই যে এতক্ষণ যে কথাগুলো বললাম, তা হয়তো প্রত্যেকটা ভিক্ষুককে দেখেই আমাদের মনে হয়। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এমন অনেক ভিক্ষুক আছে যাদের ইনকাম আমার আপনার থেকে অনেক বেশি। শুধু ইনকামই নয়, অনেকে ঢাকা শহরে নিজস্ব বাড়ি পর্যন্ত তৈরি করে ফেলেছে। অপরদিকে আমরা এই ভিক্ষুকদের কষ্টের কথা শুনে নিজের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও তাদের দেওয়ার চেষ্টা করি। আর এখানেই তারা আমাদের আবেগ নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে চলেছে।
চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক ভিক্ষার নামে কিছু প্রতারণা: দৈনিক ইত্তেফাকের ২০১৯ সালের প্রকাশিত একটা প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় প্রচন্ড রোদের মধ্যে একটি ৩ বছরের শিশুর চোখে, মাথায় ও হাতে রক্তমাখা ব্যান্ডেজসহ মাটিতে বসিয়ে ভিক্ষা করছে তারই আপন বড়ো বোন। রক্তমাখা অসহায় শিশুটিকে দেখে এস আই আজাদের হৃদয় গলে যায়। শিশুটিকে দেওয়ার জন্য তিনি পকেট থেকে টাকা বের করেন।  তখনই ব্যান্ডেজ দেখে পুলিশ অফিসারের মনে সন্দেহ হয়। যার জন্য সে শিশুটির হাতে সামান্য চাপ দেয়। কিন্তু এ নিয়ে শিশুটির মুখে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়া যায় না। পরবর্তীতে উদঘাটন হয়, শিশুটির মূলত কিছুই হয়নি। এটি ছিলো সম্পূর্ণরূপে প্রতারণার একটি ফাঁদ। চলতি বছরে প্রকাশিত ঢাকা নিউজের এক অনলাইন প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, এক ব্যক্তির ভিক্ষা করেই দেড় মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা, আছে জমি, দোতালা বাড়ি এবং মোটরসাইকেল। ভারতের জৈন নামক এক ব্যক্তি তো ভিক্ষা করেই কোটি টাকার মালিক। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জৈন নামক ভারতীয় এই ব্যক্তি হচ্ছে গোটা দুনিয়ার সবথেকে ধনী ভিখারি। ডিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ভিক্ষা করেই লাখ লাখ টাকা আয় করে ঢাকা শহরের বহু ভিখারি।
এই লাখ লাখ টাকা কামানো ভিক্ষুকদের প্রতিই আমরা হাজার টাকা কামানো মানুষ সহানুভূতি দেখাই। এ-সব ভিক্ষুকরা শুধু আমাদের অনুভূতি নিয়েই খেলছে না। তারা সত্যিকারের অসহায় মানুষের প্রতিও সন্দেহের দৃষ্টি ফেলতে বাধ্য করছে। যার জন্য আমরা আসলে বুঝতে পারি না, কাকে সাহায্য করা দরকার, আর কাকে নয়। যাদের প্রকৃত পক্ষেই সহায়তা দরকার, হয়তো তাদের কাছে আমার আপনার অর্থ পৌঁছাচ্ছেই না।
আলোকিত প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর-২৪/মওম

স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের গণসংযোগ, লিফলেট বি*তরণ

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যুবদল, কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে ”ভয় নয় উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে অষ্টগ্রাম সদরে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

এ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম. জিলানী। এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবু নাসের সুমন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক নিজামুল হক নজরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. শাহীন, যুবদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব আলী রহমার খাঁন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জুয়েল মিয়া, সদস্য সচিব জুবায়ের হাসান ইয়ামিন, ছাত্রদলের আহবায়ক তিতুমীর হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব আল-মাহমুদ মোস্তাকসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মেঘনার ডুবোচরে মাছ ধরার নৌকা উল্টে ২ জেলে নিহত, নিখোঁজ ২

প্রতিনিধি,নোয়াখালী: 
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এছাড়া ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ দুই জেলে।
৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর রাতের দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কালির চলের প্রয়াত আব্দুল আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) এবং একই এলাকার মো: মোস্তফার ছেলে মো: জুয়েল (২৭)। তারা সম্পর্কে মামা ভাগিনা।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে স্থানীয় রবিউল মাঝির একটি নৌকা হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসাতে যায়।  আজ শুক্রবার ভোরে ডুবো চরের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় ২০ জন জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ৪ জন থেকে যান। পরে স্থানীয় জেলেরা নৌকার ভেতর থেকে আবুল হাসেম ও মো: জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেন। দেলোয়ার ও ইরান নামে অপর দুই জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন । এ ঘটনায় নিহত জেলেদের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম বইছে।
নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। নিহত জেলেদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর-২৪/মওম