ক্রাইম রিপোর্ট :
কুমিল্লার নোয়াপাড়ায় অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন কেয়েকটি দোকানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন দালালকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের থেকে ২৪টি পাসপোর্ট, একটি সহকারী অধ্যাপক, একটি প্রভাষক, একটি চেয়ারম্যান ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের ডিউটি অফিসারের একটি ভূয়া সীল সহকারে মোট ৪টি ভূয়া সীলসহ নগদ ২৭,২০০ টাকা উদ্ধার করেন কুমিল্লা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এর মধ্েয সাহারা ফ্যাশন এর মাদার এন্টার প্রাইজ হতে ১১টি পাসপোর্ট, একটি প্রভাষক, একটি চেয়ারম্যান ও কোতোয়ালি থানা ডিউটি পুলিশ অফিসারের নামে ভূয়া সীলসহ নগদ ১৭,৭০০ টাকাসহ মোঃ সাহেদুল ইসলাম পলাশ(৩০), পিতা- মোঃ বাশারুল ইসলাম বাবুল, সাং- নোয়াপাড়া দক্ষিণ গ্রাম, থানা- কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা, কাজী রাইয়্যান এন্টার প্রাইজ হতে দুটি পাসপোর্ট ও নগদ ৯,৫০০ টাকাসহ মোঃ ওলি উল্লাহ (২০), পিতা- মৃত মোঃ আনু মিয়া, সাং- নোয়াপাড়া (সেলিম মেম্বার বাড়ী), থানা- কোতোয়ালি, জেলা-কুমিল্লা, মানিক এন্টার প্রাইজ হতে ৭টি পাসপোর্ট, একটি সহকারী অধ্যাপকের ভূয়া সীলসহ মোঃ সাইম আল মামুন (১৯), পিতা- মানিক মিয়া, সাং- নোয়াপাড়া (হাজি বাড়ী), থানা- কোতোয়ালি, জেলা- কুমিল্লা কে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে খোকন এন্টার প্রাইজ হতে ৪টি পাসপোর্ট জব্দ তালিকামূল্য স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয় বলে জেলা পুলিশের নির্ভরশীল সূত্রে জানা যায়। আটককৃত তিন দালালের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা যায়। উল্লেখ থাকে যে, একাধিক বার প্রশাসনের অভিযান চালানোর পরেও দালালদের প্রতারণা কোনক্রমেই থামানো যাচ্ছে না। এর আগে ২০২০ সালের ১৪ই অক্টোবর ও ১৯শে অক্টোবর ২০২০ সালে র‌্যাব ১১ সিপিসি ২ এর একটি চৌকস দল বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সকৃয় দালালের নিকট থেকে যথাক্রমে ৪৩৬টি ও ১১৪টি পাসপোর্ট, নগদ ১,৪৪,০০০ টাকা ও ২৫,৭০০ টাকা ও ভূয়া কাগজপত্রসহ সীলমোহর উদ্ধারসহ চারজন চারজন করে মোট আটজনকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০২১/দ ম দ

আলোকিত ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ১৭২ জনে। গত ১৯ এপ্রিল দেশে একদিনে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। একই দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ২৬৮ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জনে।

বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকায় ২৪, চট্টগ্রামে ২২, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ৩২, বরিশালে ২,সিলেটে ৫, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৩ জনের মৃত্যু হয়।

রোববার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

আবু সায়েম, কক্সবাজার:
মেরিন ড্রাইভ সড়কের চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারান্তরীন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ অভিযুক্ত ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত।কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সময়ে ওসি প্রদীপ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত ও কনস্টেবল সাগর দেবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে চার্জগঠনে (বিচার কাজ শুরুর প্রক্রিয়া) ধার্য্যদিন হিসেবে রবিবার (২৭ জুন) সকালে ওসি প্রদীপসহ সকল আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। কক্সবাজার জেলা কারাগারের প্রিজন ভ্যানে বেলা সাড়ে ১০টায় সিনহা হত্যায় অভিযুক্তদের কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিদের নামানোর সময় স্বজনদের কান্নার রুল পড়ে। কঠোর নিরাপত্তায় কাঠগড়ায় তোলা হয় ১৫ আসামিকে। পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ২৭ জুন আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার্জগঠনের জন্য ধার্য্যদিন ছিল। সে মতে সকালেই আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালত। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে ২৬-২৮ জুলাই স্বাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। পিপি আরো বলেন, মামলায় অভিযুক্ত বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত’র পক্ষের আইনজীবীরা ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারায় মামলার দায় হতে অব্যাহতি ও জামিনের আবেদন করলেও আদালত শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন। সাবেক ওসি প্রদীপ ও এসআই নন্দদুলালের জামিন চেয়ে গত ১০ জুন আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওই দিন আদালতে নথি উপস্থাপন না হওয়ায় শুনানি হয়নি। ১৩ জুন এ নিয়ে পুনরায় আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ঠিক করেন।
এ মামলায় অভিযুক্ত কনস্টেবল সাগর দেব গত ২৪ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন। সিনহা হত্যা মামলায় (এসটি-৪৯৩/২১) চার্জগঠন শুনানিতে আসামী পক্ষে আইনী লড়াই করেন কক্সবাজার বারের এড. দিলীপ দাশ, মহি উদ্দিন খান, মোবারক হোসেন আর চট্টগ্রাম হতে এসেছেন এড. রানা দাশগুপ্ত, এড. চন্দন দাশসহ ১০-১২ জনের একটি আইনজীবী প্যানেল। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম ও বাদীর পক্ষে এড. মোহাম্মদ মোস্তফা, সাবেক পিপি এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাখেদ খান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলীকে প্রধান করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের করা মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ ছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। উক্ত মামলায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। মামলায় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপের অন্যতম সহযোগী কনস্টেবল সাগর দেব দীর্ঘ ১১ মাস পলাতক থাকার পর ২৪ জুন আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর নির্ধারিত দিন হিসেবে চার্জগঠন শুনানিতে সকল আসামীকে ২৭ জুন আদালতে হাজির করা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০২১/দ ম দ

প্রতিনিধি, সারিয়াকান্দি:
সারিয়াকান্দিতে বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেচ পাম্প বসানোর পায়তারা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সেচ পাম্প বসানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বরেন্দ্র প্রকল্প সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ঘটনাটি প্রতিকার চেয়ে গতকাল একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে ও স্থানীয়রা জানান, কামালপুর ইউনিয়নের বিবিরপাড়া গ্রামের কৃষিকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য প্রায় ৫ বছর পূর্বে বরেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় বড় ধরনের সেচ মেশিন বসানো হয়। সে থেকে চাষীরা সম্মিলিতভাবে সেচ মেশিন ব্যবহার করে ধান, পাট, আলু, গম, ভূট্টা, শাকসবজি ও তড়িতরকারীর ফসলাদী উৎপাদন করে আসছেন। কিন্তু একটি মহল অধিক অর্থের লোভে সেই সমৃদ্ধ কৃষিকে বিশৃঙ্খলা করার জন্য তৎপর হয়েছেন। অভিযোগকারী ওই বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের সভাপতি মো: ফরিদ উদ্দিন, ম্যানেজার হরব আলী, সদস্য মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, সেচ মেশিনের অধিনে চাষাবাদ করে আমার ভালোভাবে ফসলাদী করে আসছি। কিন্তু আমাদের বিবিরপাড়া গ্রামের হাফিজারের ছেলে ইলেক্ট্রিশিয়ান আবু হাসানাত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একই গ্রামের মোজাফফর আকন্দের ছেলে মহনের নামে আরেকটি সেচ পাম্প বসানোর পায়তারা করছেন। এরই মধ্যে তারা বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করেছেন। সাড়ে ১৬’শ ফুটের মধ্যে আর কোনো সেচ পাম্প বসানোর বিধিবিধান না থাকলেও বরেন্দ্র প্রকল্পটির মাত্র ৫০০ ফুটের মধ্যে আরেকটি সেচ পাম্প বসিয়ে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করছেন। এই সেচ পাম্পটি বসানো হলে আমাদের মধ্যে কলোহ-বিবাদ, ঐক্য মোটেই থাকবেনা। সেচ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কলোহ-বিবাদ দেখা দিবে। আমাদের দৈনন্দিন কৃষি কাজে এর মারাত্বক প্রভাব পরবে। আরেকটি সেচ পাম্প বাসানোর পায়তারা বন্ধ করা উচিৎ। সারিয়াকান্দি-গাবতলী ইউনিটের বিএডিসি সেচ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মারুফ হোসেন বলেন, সেচ প্রকল্প এলকায় আরেকটি সেচ পাম্প বসানোর কোন নিয়ম নেই। কেউ যদি অবৈধ পন্থায় সংযোগের ব্যবস্থা করে থাকেন তবে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) অসিত কুমার শিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি আমরা খতিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যই সেখানে একটি তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, অভিযোগটি হাতে পাওয়ার পরপরই তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০২১/দ ম দ

প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ:
করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ স্থান ত্যাগ না করার কথা বলা হলেও বরাবরের মতো এবারও তা মানা হয়নি। সীমিত পরিসরে লকডাউনের মধ্যেই কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় অন্যান্যবারের মতো রাজধানী ও আশপাশের এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ফলে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে রয়েছে যাত্রীদের ঢল। রবিবার ২৭ জুন সকাল থেকেই উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীদের চাপ ছিল অনেক বেশি। যানবাহন পারাপারে ফেরির ব্যবহারের নিয়ম থাকলে অতিরিক্তি যাত্রীচাপে তা ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফলে পঁচনশীল পণ্য ও জরুরিভিত্তিতে পার হতে যাওয়া কয়েকশ যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে ঘাট এলাকায়। রবিবার সকাল থেকে দেখা যায়, পুলিশের বসানো চেকপোস্ট উপেক্ষা করে বিভিন্ন পথে ছোট ছোট যানবাহনে ঘাট এলাকায় জড়ো হচ্ছেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী প্রতিটি ফেরিতেই রয়েছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা মো: আহম্মেদ আলি জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও ঘাটে অতিরিক্তি যাত্রীচাপ রয়েছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। দুপুর দুইটা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় সাড়ে ছয় শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের কথা শুনে ঘাটে মানুষের খুব চাপ বেড়েছে। একইসঙ্গে গাড়ির চাপও আছে। যাত্রীদের ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০২১/দ ম দ