আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1898

ফুলবাড়ীতে পাকা সড়কে কাদা পানির ছড়াছড়ি: ভোগান্তি চরমে

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের মাত্র এক কিলোমিটার দুরেই অবস্থিত পুলেরপার বাজার। উপজেলা সদরের সাথে যুক্ত দুটি সড়কের দুপাশের ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে গড়ে ওঠা দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে সেই ঘরে বিভিন্ন ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন স্থানীয় অনেক মানুষ। উপজেলা সদর হতে পুলেরপার বাজার হয়ে পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার সাথে একটি সড়ক ও অপর সড়কটি কাউয়াহাকা ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। জীবন- জীবিকার তাগিদে ফুলবাড়ী সদর হতে কাউয়াহাকা পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ রাতদিন যাতায়াত করেন। এককথায় উপজেলার ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে এটি একটি। এমন ব্যস্ত সড়কেই সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ সড়কের আশপাশের দোকানীদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈশাখের সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটির পুলেরপার বাজার অংশে প্রায় হাটুসম পানির জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চাকার মাধ্যমে পানি ছিটকে গিয়ে আশপাশের দোকানে প্রবেশ করছে। কাদাপানির ছড়াছড়িতে ব্যাহত হচ্ছে আশপাশের দোকানের বেচাকেনা। তাছাড়া পাকা সড়কে পিচ্ছিল কাদাপানিতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সড়কে জমে থাকা কাদাপানি ছড়িয়ে পড়ছে পুলেরপার বাজার হয়ে পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার সাথে যুক্ত সড়কটিতেও। সড়কের পাশের ঔষধ ব্যবসায়ী সোহরাব আলী, বিকাশ ব্যবসায়ী পুনিল চন্দ্র,ছোবেদ আলী,ভারত চন্দ্র, আব্দুল কুদ্দুস মোবাইল মেকানিক, ফল বিক্রেতা ওবায়দুল হক জানান, এখানে জলাবদ্ধতার কারণে দোকানে বেচা-কেনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কাস্টমার দাড়ানোর কোন জায়গা নেই। সড়কের জমে থাকা নোংরা পানি ছিটকে দোকানে ঢুকে মালপত্র সব ভিজে যায়। সামান্য বৃষ্টিতে যে অবস্থা তাতে বর্ষা আসলে পরিস্থিতি কি হবে? আমরা কি ব্যবসা করতে পারবো? আর ব্যবসা করতে না পারলে কি করে খাব? এ সড়কে যাতায়তকারীরা বলেন, কাদাপানিতে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা কস্টকর। ব্রেক করলেই গাড়ি উল্টে যায়। সড়কের জমে থাকা নোংরা পানিতে পোশাক ভিজে যায়। যানবাহনের চাকার চাপে পানি ছিটকে দোকানে ঢুকে পড়ার কারণে প্রায়ই দোকানীদের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ পথচারীগণ। সড়কটিতে জলাবদ্ধতার বিষয়ে সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিমল চন্দ্র সেন বলেন,জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য আজকে রাতেই চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বর্ণের দোকানে চুরি!

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে রাতের আধারে দোকান ঘরের তালা কেটে মুসলিম জুয়েলার্সের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সোনা রোপা এবং সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোলবক্স চুরি হয়েছে। মঙ্গলবার (০৪ মে) রাতে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে এ দুর্র্ধষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুুতি চলছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ধরণের চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জুয়েলার্সের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রোজা থাকায় মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে দোকান ঘর তালাবদ্ধ করে ইফতার করতে কর্মচারীদের নিয়ে বাসায় চলে যান। পরদিন বুধবার সকাল ১০টার দিকে দোকানঘর খুলতে এসে তালা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি জানান, তার দোকান ঘরে থাকা প্রায় ৬০ ভরি স্বর্ণ এবং ৩৫০ ভরি রোপা এবং সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোলবক্স চুরি হয়েছে। সখীপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শহরের জনবহুল জায়গায় এ ধরনের চুরির ঘটনা ব্যবসায়ীদের মনে ভীতির সৃষ্টি করেছে। তিনি অভিলম্ভে চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

সরকারের অর্পিত সম্পত্তি দখলে মরিয়া নাদের বাহিনী প্রধান

বিশেষ প্রতিনিধি:

রাষ্ট্রপতির ভাস্তি জামাই পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রের আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি কাজে লিপ্ত রাজধানী আজিমপুরের গুন্ডা বাহিনীর সর্দার নামে পরিচিত সৈয়দ ইকবাল নাদের প্রিন্স। যাকে এলাকার মানুষ ছোট ও বড় থেকে প্রশাসন পর্যন্ত সবাই চিনে কিশোরগঞ্জের সন্তান বর্তমান রাষ্ট্রপ্রতি এডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এর ভাস্তি জামাই হিসেবে। এলাকার স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ বেশকিছু লোক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন নিজের অপকর্ম ঢাকাতে ইকবাল নাদের কখনো টুঙ্গিপাড়া শেখ পরিবারের ভাস্তি জামাই আবার কখনো রাষ্ট্রপতির ভাস্তি জামাই পরিচয় দেন। মুলত সে দুই পরিবারের কারো কেউ নয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ইকবাল নাদের প্রিন্সের অপকর্ম। ১৯৪৭ সনে ভারত বিভাগের সময় কালী দয়াল ঘোষ ও তাহার স্ত্রী অবলা সুন্দরী ঘোষ তাদের ধর্মীয় জয়কালী বিগ্রহসহ ভারতে নিয়ে যায় এবং সেদেশের বাসিন্দা হয়ে ভারতে বসবাস শুরু করেন ১৯৪৯ সালে মুল মালিকের অবর্তমানে ও অসাক্ষাতে কিছু লোক ২৫২৫ নং একটি ভূয়া দলিল করেন। দলিল দাতা বা গ্রহিতা মুল মালিক বা তাহার স্ত্রীর কেউ নন। তৎকালীন সরকারি বিধান মতে বলা হয় কালী দয়াল ঘোষ ও তাহার স্ত্রী ১৯৬৫ সনের পূর্বে নালিশী সম্পত্তি ত্যাগ করিয়া ভারতে গিয়ে তথাকার স্থায়ী বাসিন্দা হয় সেহেতু তৎকালীন পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনের বিধান মতে তাহাদের ব্যবহারিত সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উপর ন্যাস্ত হয়।এমন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সম্পত্তি নাসির ফাতেমা (স্ত্রীর) নামে ভুয়া দলিল সম্পাদন করেন প্রিন্স এর দাদা সাবেক ডেপুটি মেজিট্রেট সৈয়দ গোলাম মাইনুদ্দিন। দলিল টি সরকারি দপ্তরের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবলোকন হওয়ার পর রাষ্ট্র পক্ষ বাদী হয়ে ১২/০৭/১৯৭৬ সনে ১৩২১ নং স্মারক ৮৫ নং কেইস মুলে একটি আদেশ পত্র পাঠান প্রকৃত মালিক কালী দয়াল ঘোষ ও তাহার স্ত্রী অবলা সুন্দরী ঘোষ এর বরাবরে যা এখনো সরকারের সাথে নিষ্পত্তি হয়নি। ভুয়া দলিলের ইস্যু ধরে প্রিন্স ও তার বাবা পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে স্বাধীন পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা আদায়ে করে আসছিলো নিয়মিত। মৃত নাসির ফাতেমা গং তথা সৈয়দ ইকবাল নাদের প্রিন্সের দাদীর নামে ভুয়া দলিলের মুল কাহিনী এলাকায় জানাজানি হলে তাদের দাবি করা জায়গায় অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা মাসিক চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ৩০/০৩/২০২১ তারিখে আজিমপুরস্থ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী নামে একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অংশ বিশেষ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন ইকবাল নাদের প্রিন্স। ব্যবসায়ীরা বলেন আমরা এতোদিন একটা ভুলের মধ্যেই ছিলাম তাই তাদেরকে মাসিক হারে চাঁদা দিয়ে এসেছি, এখন তো সবকিছু জানি, মাসিক ভাড়া যদি দিতে হয় সরকারের ভান্ডারে জমা দিবো তারপরও কোন সন্ত্রাসী বা ভুয়া দখলকারীদের দিবোনা। মৃত নাসির ফাতেমার স্বামী মৃত সৈয়দ গোলাম মাইনুদ্দিন, তার ছেলে সৈয়দ মঈনউদ্দীন নাদের, তার ছেলে সৈয়দ ইকবাল নাদের প্রিন্স, অর্থাৎ তিন প্রজন্মের পরেও যাদের কোন মালিকানা নেই সেই পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে এলাকার ব্যবসায়ীদের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করে দোকানপাট ভাংচুর করে। এতে ক্ষান্ত হয়নি নাদের ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী’কে গুম, হত্যা অথবা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে আসছেন। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন ইকবাল নাদের প্রিন্স একজন সন্ত্রাসী যে কোন সময় এলাকায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারে প্রশাসনের উচিৎ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর জৈষ্ঠ প্রতিবেদকের তথ্য মতে জানা যায় তিনি হকি ফেডারেশনের সাবেক বহিষ্কার হওয়া একজন খেলোয়াড়, ভুলভাল তথ্য, নেশাগ্রস্থ ও দলের সতীর্থদের সাথে একাধিক বার মারামারি করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ফেডারেশন থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। রাষ্ট্রপ্রতি পুত্র ও বর্তমান কিশোরগঞ্জের সাংসদের সাথে কথা হলে তিনি জানান সৈয়দ ইকবাল নাদের প্রিন্স নামে আমাদের কোন আত্মীয় নেই। আরোও অনুসন্ধানে জানা যায় ২০১৭ সালের এক মামলায় তার বিরুদ্ধে মহানগর আদালত গত ২৪/০৪/২০২১ ইং তারিখে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। তবে আদালতের রায়ের পর থেকে তিনি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসা পরিবর্তন করে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে বিশেষ সুত্রে জানা যায়। ঢাকা সিটি করপোরেশনের লালবাগ থানার অধীনস্থ হওয়ায় পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আইন সবার জন্য সমান রাষ্ট্রপতির ভাস্তি জামাই পরিচয় দিয়ে তো পার পাওয়া যাবেনা, বরংচ মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ’কে বিভ্রান্তি করার জন্য প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আরোও কঠোর অবস্থানে যাবে, কয়দিন পালিয়ে থাকতে পারবে এমন মন্তব্য করেন। সৈয়দ ইকবাল নাদের প্রিন্সের ০১৯৩৮০০০৩৩৩ নাম্বারে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

স্বাস্থ্যবিধি মান্যকারীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন এএসপি

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), রাউজান- রাঙ্গুনিয়া সার্কেল, মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি যেসকল পথচারী ও ব্যবসায়ী যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করছেন, তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। আজ (৪ মে, মঙ্গলবার) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া পথের হাট এলাকায় এএসপির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এ কার্যক্রমে অংশ নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাউজান উপজেলার প্রধানতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র নোয়াপাড়া পথের হাট বাজারে দুপুর ১টা থেকেই শুরু হয় এএসপির নেতৃত্বে অভিযান। অভিযানকালে সার্কেল এএসপি ব্যবসায়ীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের ব্যাপারে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, যে বা যায়াই স্বাস্থ্যবিধি অমান্যের চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও রাত ৮ টার মধ্যে মার্কেট বন্ধ করার বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও ব্যবসায়ীদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। শুধু ব্যবসায়ীই নয়, যেসব ক্রেতা মাস্ক না পড়ে মার্কেটে এসেছেন, তাদেরকেও মাস্ক পড়তে বাধ্য করেন তিনি। এ সময় অনেককেই পুলিশের তরফ থেকে মাস্ক উপহারও দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনে রাউজান পুলিশ সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। ভবিষ্যতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে আমাদের এমন তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

শিবালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ সভাপতি নাজমুল হাসান মিমের ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে দলীয় ফোরাম ও সচেতন মহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, বুধবার ৫ মে দুপুর থেকে বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে নাজমুল হাসান মিমের ইয়াবা সেবনের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাজমুল হাসান মিম শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সহ সভাপতি। এ বিষয়ে সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান মিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ সবের সাথে জড়িত নই। ফেসবুকে ইয়াবা সেবনের ছবি আমার নয়। কেউ শত্রুতা মূলক আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে ছবি এডিট করে ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল বলেন, কোন মাদক সেবনকারীদের ছাত্রলীগে জায়গা নাই। মিম ছাত্রলীগের শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ সভাপতি। সে কখনো ছাত্রলীগের আদর্শে ছাত্রলীগ করেনি, সে যতদিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল ততদিন ভাই লীগ হিসেবে রাজনীতি করেছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

ঈশ্বরদীতে যুবদলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি

হুসাইন মোহাম্মাদ রাফি, ঈশ্বরদী:

ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল ও ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার (৫ মে) শহরের খায়রুজ্জামান বাবু ঈদগাহ সংলগ্ন ব্রাদার্স ইউনিয়ন কাব মিলনায়নে এ সংবাদ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য ঘোষিত পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, ২ মে রাতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সেখানে ঈশ্বরদী পৌর শাখায় জাকির হোসেন জুয়েলকে আহবায়ক ও একেএম সাজেদুজ্জামান জিতুকে সদস্য সচিব করা হয়। কিন্তু ওই রাতেই আকস্মিকভাবে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের আরেকটি আহবায়ক কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যেখানে জাকির হোসেন জুয়েলকে আহবায়ক ও আলী জুবায়ের প্রতীককে সদস্য সচিব করা হয়। এর প্রক্ষিতেই গত ৩ মে জাতীয়বাদী যুবদল পাবনা জেলা শাখা , জাকির হোসেন জুয়েলকে আহবায়ক ও আলী জুবায়েক প্রতীককে সদস্য সচিব করে ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের ৪২ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অুমোদন দেয়। হাবিবুর রহমান হাবিবের স্বৈরাচারী ও দল ধ্বংসের প্রতিফলন আজকের এই পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটি। যেখানে বাদ পড়েছে ম্যিা মালার রায়ের ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামলসহ দলের দুঃসময়ের রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রপথিক নেতাকর্মীরা। অথচ যারা ১৩/১৪ বছর দলের কোন কর্মকান্ডে জড়িত নাই এমন ব্যক্তিদের পৌর যুবদলের কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই কমিটি বিলুপ্ত করে আলোচনা সাপেক্ষে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি করতে হবে। তানাহলে পরবর্তীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করবে না। এছাড়াও ৭ দিনের মধ্যে এ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা না করা হলে পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটি হতে অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আহসান হাবীব, যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ¦ খায়রুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এস এম ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব বিষ্ট সরকার, যুগ্ন আহবায়ক আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, শামসুদ্দোহা পিপ্পু, বিএনপির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ নুরুল ইসলাম, হাসান আলী, সাঁড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি, কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার আবু জাহিদ উজ্জল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাস, পৌর যুবদল নেতা সাজেদুজ্জামান জিতু, রেজাউল করিম মুকুল, রাশেদুল ইসলাম রিপন, মাহাবুল হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাহাবুবুর রহমান রিয়াদ, রফিকুল ইসলাম তুহিন, সাইদুর রহমান সাঈদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুনুর রশীদ নান্টু, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান জুয়েল, উপজেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিক কমিটির সভাপতি সাগর হোসেন রনি, কলেজ ছাত্রদলের প্রস্তাবিক কমিটির সভাপতি মাহামুদুল হাসানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

সারিয়াকান্দিতে খামারীরা পাচ্ছেন সাড়ে ৫ কোটি টাকা প্রণোদনা

প্রতিনিধি, বগুড়া:

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের জন্য নগদ প্রণোদনার টাকার দেওয়া হচ্ছে। ৪ হাজার ২৩১ পরিবারকে প্রণোদনার ৫ কোটি ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এ টাকা দেওয়ার কাজ করছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর কোভিড-১৯করোনাভাইরাসের কারনে উপজেলার বিভিন্ন স্তরের খামারীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছিলেন। এসব ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস গরুর খামারীদের জন্য ৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৫ হাজার, লেয়ার মুরগীর খামারীদের জন্য ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, বয়লার মুরগী খামারীদের জন্য ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা, সোনালী মুরগীর খামারীদের জন্য ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭ হাজার ৫ শত ও হাঁসের খামারীদের জন্য ১০ লক্ষ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা দিচ্ছে। এ জন্য উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা-কর্মীরা দিন-রাত মাঠে কাজ করছেন। এরই মধ্যে ৯৫ ভাগ টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। বাকী ৫ ভাগ কাজ টাকার দেওয়ার কাজ খুব শীঘ্রই শেষ হবে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দীকী বলেন, আমরা জরিপ করে দেখেছি এ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক খামারী রয়েছেন। তবে করোনার কারনে যারা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারাই প্রাধান্য পেয়েছেন। এল.ডি.পি.পি প্রকল্পের অর্থায়নে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়ার কাজ চলছে। তবে এ মৌসুমেও করোনার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের অনুরূপ প্রণোদনার টাকার দেওয়া হবে। এজন্য কর্মীরা এখন থেকে দিন-রাতমাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

রমজানে সুপেয় পানি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

আবু সায়েম, কক্সবাজার:
পবিত্র রমজানে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিদিন সন্ধ্যায় শহরের সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পানীয় জল নিয়ে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি আসলে সেখানে অসংখ্য সাধারণ মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।সাধারণ জনগণ বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ রমজানে পানি সংকটের মধ্যে পড়েন। এছাড়া শহরের বেশির ভাগ এলাকাতে রাস্তা উন্নয়নের কাজ চলমান থাকার কারনে অনেক এলাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শহরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি জনগণের কাছে বিশুদ্ধ পানি সুপেয় পানি ব্যবস্থা করণে নানাধরণের বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে। জনগণ সুফল পাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এমন মানবিক কার্যক্রমে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর পৌরসভায় সুপেয় পানি সংকটের স্থায়ী ও টেকসই সমাধানে বাকঁখালী নদীর পানি পরিশোধন করে ওভারহেড রিজার্ভার ও পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। । প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার সদর পৌর এলাকাবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিতে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সূত্র আরো জানায়, এছাড়াও শুষ্ক মৌসুম এবং দুর্যোগকালীন সময় ভ্রাম্যমাণ পানি পরিশোধনাগার ও ডধঃবৎ ঈধৎৎরবৎ এর মাধ্যমে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা হয়। অন্য দিকে, কক্সবাজার জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাড়ি কর্তৃক প্রতিদিন সুপেয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া বলেন,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ জনগণের পানি সংকটের দূর্ভােগ লাঘবে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০লিটার পানি চাহিদামত সরবরাহ করছে। পবিত্র রমজানে রোজাদার পথচারী এবং সাধারণ জনগণের চিন্তা করে আমরা এ ধরণের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ হাতে নিয়েছি,পানি সরবরাহ নিশ্চিত করণে তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী বলেন ,বর্তমানে শহরের অনেক এলাকাতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে আবার অন্যদিকে প্রচন্ড গরমের কারনে পানির স্তুর আরো নিচে নেমে যাচ্ছে তাই পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে আমরা পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরো জানান, পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন বিকেলে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা হবে।এছাড়া কক্সবাজার জেলা জুড়ে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণে আমরা নানা ধরণের প্রকল্প ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ

ফটিকছড়িতে বেয়াই’র হাত ধরে ঘর ছাড়লো বেয়ান!

উপজেলা, ফটিকছড়ি :
ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানাধীন নারায়ণহাট ইউনিয়নে প্রেমের টানে ইব্রাহীম নামে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সাথে পালিয়ে গেছে মনোয়ারা বেগম নামে ৪৩ বছর বয়সী এক নারী। তারা সম্পর্কে বেয়াই-বেয়ান। গত ২৩ এপ্রিল নারায়ণহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ঘড়াভাঙা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দেড় বছর পূর্বে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম চানপুর ঘরাভাঙা এলাকার মন্তু মিয়ার ছেলে মানিকের সাথে একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কাট্টস্যে এলাকার ইব্রাহীম প্রকাশ কালু ড্রাইভারের মেয়ে সাথী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে উভয় পরিবারে স্বাভাবিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এরই মাঝে বেয়াই ইব্রাহীমও মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করতেন। এক সময় দুই কন্যা সন্তানের জনক ইব্রাহীমের সাথে মেয়ের শাশুড়ি মানোয়ারা বেগমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দু’জনের এ সম্পর্ক গভীর প্রেমে রূপ নেয়।
বিষয়টি উভয় পরিবারে জানা জানি হলে এ পথ পরিহার করার জন্য দু’জনকে নানাভাবে বুঝানোর হয়। কিন্তু প্রেম তো মানে না কোনো বাঁধা। সকল বাঁধা উপেক্ষা দীর্ঘ এক বছর ধরে চলতে থাকে ইব্রাহীম-মনোয়ারার অসম প্রেম। সর্বশেষ ২২ এপ্রিল রাতে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান ইব্রাহীম। পরদিন সকাল ৭টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসেন তিনি। এর ঘন্টা খানেক পর ঠুনকো অজুহাতে পরিবারে একটি ঝগড়া সৃষ্টি করে স্বামীর সংসার করবে না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যান মনোয়ারা। এরপর থেকে এখনো ঘরে ফিরে যায়নি তিন সন্তানের জননী মনোয়ারা বেগম। পরবর্তীতে তাকে দীর্ঘক্ষণ খুঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে মন্তু মিয়া বলেন- আমার স্ত্রী মনোয়ারার সাথে ছেলের শ্বশুর ইব্রাহীমের  দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরমধ্যে ২৩ এপ্রিল সকালে নিজে ঝগড়া সৃষ্টি করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সে। পরবর্তীতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি সে পালিয়ে গিয়ে বেয়াই ইব্রাহীমকে বিয়ে করেছে।
এ ঘটনায় মন্তু মিয়া বাদী হয়ে ৩ মে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও বেয়াই ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মনোয়ারা পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলো। সে প্রায় সময় এ গুলো আমাকে বুঝাতো। ২২ এপ্রিল রাতেও তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। পরদিন সকালে সে আমার দোকানে এসে মন্তু মিয়ার সাথে আর সংসার করবে না জানিয়ে আশ্রয় দিতে বলে। আমি আশ্রয় না দিলে প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবে বলেও হুমকি দেয় বেয়ান মনোয়ারা। পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহীম বলেন- আমি তাকে ভাগিয়ে আনিনি, সে নিজে আমরা কাছে চলে এসেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৫মে/২০২১/এইচ

রুমায় সদর ইউনিয়নে রাস্তার কাজ শেষ না করে ঠিকাদার উধাও

প্রতিনিধি, বান্দরবান:

বান্দরবানে রুমা উপজেলাধীন গ্রামীণ রাস্তা সমূহ টেকসই করনের লক্ষ্যে হেরি বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়ে)” প্রকল্পের কাজ শেষ না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উধাও হওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রকল্পটি রুমা উপজেলায়, ২নং রুমা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বগালেক যাওয়া রাস্তা হতে ক্যাম্বওয়া মার্মা পাড়ার যাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মক্কা বিন্ডার্স ‌সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম বলে জানা গেছে। রাস্তাটি এইচবিবি করণ ১০০০(একহাজার) মিটার কাজ ছিল । প্রকল্পটি বরাদ্দ পরিমাণ ৬৩লক্ষ (তেচ্ছতি লক্ষ) টাকা এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়ন করেছে। তক্তাবধানে রুমা উপজেলা পিআইও অফিস বলে জানা গেছে । ঠিকাদার মামুন নামে মোবাইল: ০১৮৪৮২৯৫৮৬২ যোগাযোগ করা হলে কিছু অংশ কাজ বাকি আছে বলে জানিয়েছেন , কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে বলে জানান। উক্ত রাস্তাটি আনুমানিক ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে শুভ উদ্বোধন করেন, জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং, এম.পি মাননীয় মন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাস্তার নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা মেলে মংচথোওয়াই মার্মা (৩০) হৃদয় অভিযোগ করে বলেন, ঐ রাস্তার নির্মাণের সময় টেকসই হওয়ার লক্ষ্যে কিছু উপকরণ দিয়েছিলাম, কিন্তু এখনো আমার কায়েম পারিশ্রমিক পাওনা টাকা দেইনি ! ফোনে বারংবার যোগাযোগ করেও প্রভাবশালী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আমার পাওনা টাকা বিষয়ে কোন তোয়াক্কা করছেনা! রাস্তা শেষ না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উধাও হওয়ার বিষয়ে রুমা উপজেলা অফিসে পিআইও আলী নূর সাথে দেখা করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চুরান্ত বিল উঠে নিয়ে গেছে বলে জানান ! এক দিকে অফিস সহকারী জিপংকর চাকমা বলেন, এখনো ৪০০ফুট মতো রাস্তার কাজ বাকি আছে বলে জানিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পক্ষে সাফাই দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে যাচ্ছে ! এখানে পরিস্কার ভাবে প্রতীয়মান হয় যে,পিআইও অফিসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষর অনুমোদিত ছাড়া বিল উক্তোলন সম্ভব নয় ! তাহলে বুঝতে বাকি নেই, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও পিআইও অফিস যোগসাজশে কাজ শেষ না হতেই চুরান্ত বিল উত্তোলন করে ফেলেছে ! একই সাথে এইচবিবি প্রকল্পের কাজ বেথেল বম পাড়া হতে পলিটন পাড়ার ৫২লক্ষ টাকা, চাইনাগ্র মার্মা পাড়ার হতে সেগুন মার্মা পাড়ার যাওয়া রাস্তার ৬৪লক্ষ টাকা বরাদ্দের চলমান কাজ রয়েছে। এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলো কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান। এমতাবস্থায় অতি সহজেই বর্ষা মৌসুমে রাস্তার গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে । অন্য দিকে কাজ শেষ না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অফিস যোগসাজশে চুড়ান্ত বিল উত্তোলনের দিকে ধাবিত অপেক্ষা রয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন / ০৫ মে, ২০২১ / দ ম দ