আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1902

শিবচরে পদ্মায় বাল্কহেড ও স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ২৬

প্রতিনিধি, মাদারীপুর:
সোমবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে পদ্মা নদীতে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের অদূরে একটি বাল্কহেডের (বালু টানা কার্গো) সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌ-পুলিশের একটি দল দ্বিতীয় দফা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভোর প্রায় ৬টার দিকে স্পিডবোটটি শিবচর কাঁঠালবাড়ি (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে আসলে পদ্মা নদীতে থাকা একটি বাল্কহেড এর পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে উল্টে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নিহত রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শংকরদির পাড় গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে বয়াতীর ছেলে আবু তাহের বয়াতী, কুমিল্লার দাউদকান্দি গৌরীপুর-এর আবুল হোসেনের ছেলে কাউছার, চাঁদপুর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের আলী হোসেন, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার ছাদেক বেপারীর ছেলে রিয়াজউদ্দিন, ফরিদপুর বোয়ালমারী থানার একই পরিবারের বাবা-ছেলে পান্নু সরদার ও তার ছেলে ইয়ামিন-এর পরিচয় জানা গেছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। লাশগুলো উদ্ধার করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের পাশে একটি স্কুল মাঠে রাখা হয়েছে। সেখানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উপ-পরিচালক মো: আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। দুইজনকে আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায়নি। প্রথম দফার পর বর্তমানে দ্বিতীয় দফা উদ্ধার কাজ চলছে। উল্লেখ্য, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে প্রথম থেকেই যাত্রী পারাপার করে আসছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

কেমন ছিল পশ্চিমবঙ্গের তারকাদের নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার এবার তারকা প্রার্থীর ছড়াছড়ি । কেহ  তৃণমূল কেহ  বিজেপির  প্রার্থী হয়ে ভোট করেন। ফলাফলে দেখা যায় বিজেপি তারকা প্রার্থীদের থেকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের ছড়াছড়ি।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়: বেহালা পশ্চিমে হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না বিজেপি-র এই তারকা প্রার্থী। রাজনীতিতে নবাগতা শ্রাবন্তী প্রথমেই বিধানসভার টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারলেন না। তাঁর প্রাপ্ত ভোট যেখানে ৬৩ হাজার ৮৯৪ সেখানে পার্থ পেয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৮।

যশ দাশগুপ্ত: চন্ডীতলা কেন্দ্রে ঘরের ছেলে হয়ে ওঠার চেষ্টায় বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখেননি যশ। প্রচারে তাঁকে ঘিরে যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছিল ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন দেখা গেল না। ৬১ হাজার ৭৭১টি ভোট পেয়েছেন তিনি। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

পায়েল সরকার: বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে লড়েন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে ৩৭ হাজারের বেশি ভোটে জিতে যান রত্না। পায়েলের প্রাপ্ত ভোট ৭৩ হাজার ৫৪০। রত্না পেযেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৯৬৮টি ভোট।

লকেট চট্টোপাধ্যায়: চুঁচুড়া বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী লকেট। নিজের কেন্দ্র নিয়ে আত্মবিশ্মাসী ছিলেন লকেট। কিন্তু গণনার শুরু থেকেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৮ হাজার ৬৮৭। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের অসিত মদুমদার ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৪টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

হিরণ চট্টোপাধ্যায়: দিলীপ ঘোষের গড় পুনরুদ্ধার করলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। উল্টো হাওয়ার মধ্যেও যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। খড়্গপুর সদরে ৩৭৭১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছেন তিনি।

সায়নী ঘোষ: তৃণমূল প্রার্থী সায়নীকে রীতিমতো দৌড়ে প্রচার করতে দেখেছেন এলাকার মানুষ। সেই সায়নী পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৩৯৪ ভোট। এই কেন্দ্রে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর চলেছে দুই তারকা প্রার্থীর।

বাবুল সুপ্রিয়:  বিজেপির এই তারকা প্রার্থী পরাজিত হলেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫১ হাজার ৩৬০। সেখানে অরূপ বিশ্বাস পেলেন ১ লাখ ১ হাজার ৪৪০ ভোট।

দেবদূত ঘোষ:  তিনি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবুলের থেকে মাত্র ১০ হাজার ৭৬৩ ভোটে পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছেন তিনি।

জুন মালিয়া: মেদিনীপুরে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বিজেপি। সেখানে কিন্তু ফল আশানরূপ হয়নি। বরং ২৩ হাজার ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া।

অঞ্জনা বসু এবং লাভলি মৈত্র: সোনারপুর দক্ষিণ লড়াই দেখল এই দুই তারকা প্রার্থীর। বিজেপির অঞ্জনা শেষমেশ ৮৩ হাজার ৪১টি ভোট পান। তৃণমূলের লাভলি পান ১ লাখ ৯ হাজার ২২২ ভোট।

রাজ চক্রবর্তী: আবির্ভাবেই কিস্তি মাত করলেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী। ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ের ব্যবধান ৯ হাজার ২২২।

পার্নো মিত্র: তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়ের থেকে ৩৫ হাজার ১৪৭ ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র এই তারকা প্রার্থী। বরাহনগর কেন্দ্রে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫০ হাজার ৪৬৮।

পাপিয়া অধিকারী: তৃণমূল প্রার্থীর সামনে দাঁড়াতে পারলেন না বিজেপি-র এই তারকা প্রার্থীও। ৭৩ হাজার ৪৪২টি ভোট পেয়েছেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের পুলক করের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখের কিছু বেশি। (সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা)

সোহম চক্রবর্তী: চণ্ডীপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।

কাঞ্চন মল্লিক: টালিউডের কমেডিয়ান কাঞ্চন মল্লিক প্রথমবার রাজনীতিতে নাম লেখিয়েছেন। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই উত্তরপাড়ার টিকিট পেয়ে যান তিনি। সর্বশেষ বিজেপি প্রার্থী প্রাবাল ঘোষলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এই অভিনেতা।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

 

পোশাক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি থাকবে ৩ দিন

ডেস্ক প্রতিদিন : পোশাক কারখানায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ৩ দিনের বেশি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত অব‌্যাহত থাকবে এবং নিজ নিজ জেলায় গণপরিবহণ চলবে ৬ মে থেকে কিন্তু নিজ জেলার সীমানা পেরুতে পারবে না কোন গণপরিবহণ। লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শর্ত  সাপেক্ষে মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকবে। তবে মাস্কের ব্যবহার না থাকলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

চলমান লকডাউন বাড়লো ১৬ মে পর্যন্ত, তবে গণপরিবহণ চলবে ৬ মে থেকে

ডেস্ক প্রতিদিন : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন আগামী ১৬ মে পর্যন্ত অব‌্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।  তবে ৬ই মে থেকে  জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহণ চলবে। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। মাস্ক না পরলে কঠোর ব্যবস্থার কথাও জানানো হয়েছে।  তিনি বলেন, আজ থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

পানির সংকটে ঈশ্বরদীবাসী

প্রতিনিধি,ঈশ্বরদী:
পানির অপর নাম জীবন,  আর সেই পানির সংকটেই ভুগছেন ঈশ্বরদীবাসী। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ দিয়ে পানি না ওঠায় ঈশ্বরদীতে তীব্র খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেহরি ও ইফতারের সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠী। পানি সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। ঈশ্বরদীতে গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের মানুষ তীব্র দাবদাহ ও পানি সংকট থেকে মুক্তি পেতে নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  এদিকে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পশ্চিম টেংরী কাঁচারী পাড়ার বাসিন্দা আবু তৈয়ব তপন আলি, মো:- জালাল উদ্দিন, হুসাইন মোছা: আঁখি, ও সভা নেত্রী মুনজুরা বেগম সহ সলিমপুর এলাকার কৃষক সোলেমান হোসেন জানান, টিউবওয়েল তো দূরের কথা, বিদ্যুৎচালিত পাম্প দিয়েও এখন পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কিছু দিন আগে রাতে ও ভোরে কিছু পানি তোলা যেত। এখন কোন সময়ই পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাকশী সিভিলহাটের বাসিন্দা জানান, দিনের বেলা পানি সংগ্রহ করে না রাখলে রাতে রোজা রাখতে সমস্যা হয়। ঈশ্বরদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির ভূগর্ভস্থ স্তর নীচে নেমে গেছে। যে কারণে বেশীরভাগ টিউবওয়েল দিয়ে পানি উঠছে না। সাব-মার্সেবল ছাড়া সাধারণ পাম্প দিয়েও পানি তোলা যাচ্ছে না। পৌরসভার পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকলেও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রতি বছর তীব্র দাবদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা থাকে বলে জানান তিনি। ঈশ্বরদী উপজেলা জেলা কৃষি অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ সংকটে পড়েছেন চাষিরা। মাটিতে রস না থাকায় ফল ও সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ ঈশ্বরদীতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

মাকে অন্যের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় মেয়েকে হত্যা!

প্রতিনিধি , ধামরাই (ঢাকা):

ঢাকার ধামরাইয়ে মাকে অন্যের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় মেয়ে মাহীকে (৭) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভোরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গুচ্ছগ্রামে। রোববার এ নিয়ে দিনভর দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক শেষে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত না করে এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই খুন হওয়া ওই শিশুটির মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে বাস্তা গুচ্ছগ্রামের মো. আব্দুর রহমানের মেয়ে পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের (২৫) যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর গ্রামের লেবু ব্যবসায়ী মো. মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে মাহী আক্তার নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কন্যাসন্তান জন্মের ৪-৫ বছর বেশ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম বিরোধের সৃষ্টি হলে মৌসুমী তার মেয়েকে নিয়ে পিত্রালয় চলে আসেন। দুই বছর যাবত পিতার বাড়িতে থেকেই তিনি ধামরাই উপজেলা সদরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছেন।  এই দুই বছরে একদিনও স্ত্রী-সন্তানের কোনো খোঁজখবর রাখেনি কিংবা ভরণপোষণও দেয়নি তার স্বামী। ফলে ওই পোশাক শ্রমিক মৌসুমী নি:সঙ্গ জীবন থেকে পরিত্রাণের আশায় পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।  এলাকাবাসীর ধারণা, ঘটনার রাতে পরকীয়া প্রেমিক ওই নারী পোশাক শ্রমিকের শয়নকক্ষে এসে গোপন অভিসারে মিলিত হয়। এ দৃশ্য ওই শিশু কন্যা মাহী দেখে ফেলায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই ওই শিশু মাহীর মুখ চেপে ধরে মাথায় আঘাত করে। এতেই তার মৃত্যু ঘটে। লোক মারফত ঘটনাটি জেনে যান মাহীর পিতা মিনহাজ উদ্দিন। এরপর তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি মো. জিয়াউর রহমান জিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাস্তা গুচ্ছগ্রামে চলে যান এবং তিনি তার শিশু মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন। মেয়ের মরদেহ তিনি তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর বনেরচর গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. এমারত হোসেন, আমছিমুর গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজুয়ান আহাম্মেদ রিজন ও শাহীন আলমের নেতৃত্বে এ নিয়ে দিনভর দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  একপর্যায়ে দিন শেষে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয় মরদেহ দাফন করার জন্য। এরপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে থানা পুলিশকে না জানিয়ে এবং কোনো প্রকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি আমছিমুর এলাকায় দাফন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।  এ ব্যাপারে শিশু মাহীর পিতা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, পরকীয়ার প্রেমিককে বাঁচাতে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এলাকাবাসীর চাপে আমি আমার মেয়ের মরদেহ দাফনে রাজি হয়েছি। শিশু মাহীর মা মৌসুমী আক্তার মেয়ে হত্যা করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ওপরে অহেতুক দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মেয়ে হার্টঅ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজুয়ান আহাম্মেদ রিজন জানান, শান্তির লক্ষ্যে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কারণ সন্তান মারা গেছে। এক্ষেত্রে মা-বাবা উভয়েরই মনে কষ্ট। কাজেই থানা পুলিশকে না জানিয়েই বিষয়টি তাদের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে। যাদবপুর ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, গ্রামের লোক হিসেবে তাদের ডেকে নিয়েছি মাত্র; যা কিছু করার গ্রামবাসীই করেছেন। আমি এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মরদেহটি দাফন করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বালিয়া ইউপি মেম্বার মো. এমারত হোসেন বলেন, মেয়েটি বাস্তা গুচ্ছগ্রামে মায়ের সঙ্গে থাকত। মেয়েটির বাবা ২ বছর ধরে তাদের কোনো খোঁজখবর রাখে না এবং ভরণপোষণও দেয় না। মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মেয়েটির মৃত্যু সংবাদ পেয়েই ওই বাড়িতে যাই। বিষয়টি কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাসেল মোল্লাকে অবহিত করি। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমঝোতা করে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে কাওয়ারীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে কেউ আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

পেকুয়ায় চায়ের দোকানে দুই যুবককে গুলি ও কুপিয়ে জখম!

প্রতিনিধি, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আলী আকবর (৩৮) ও জয়নাল আবেদীন (৩৬) নামের দুই যুবককে গুলি করার পর কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রিফা আক্তার নামে এক স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আলী আকবর অত্র ইউনিয়নের আফজালিয়া পাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে ও জয়নাল আবেদীন একই এলাকার মৃত নুরুন্নবীর ছেলে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুর দোকানের সামনে আফজালিয়া পাড়ার বদি আলমের ছেলে আবু ছৈয়দ ও লঞ্চঘাট এলাকার মৃত নুরুল হোছেনের ছেলে নেজাম উদ্দিন ছোটনের নেতৃত্বে সায়েদ, মোজাম্মেল, মোস্তাক, বুলু, আবুল কাশেম, আহমদ কবির, মকছুদ, নেছার, আবু হানিফ, শওকত আলম, জিয়াবুলসহ আরও ১০/১৫ জন সশস্ত্র হামলা করে জয়নাল আবেদীনের উপর। এতে ঘটনাস্থলে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে জয়নাল আবেদীন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। জয়নালের সাথে থাকা আলী আকবরকেও গুলি করা হয়। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহমিদুল ইসলাম দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন,  এ ধরনের ঘটনায় জড়িতরা কোনভাবেই ছাড় পাবেনা। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ বস্ত্র বিতরণ

ধামরাই ( ঢাকা) , প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

আজ ২ মে রবিবার সকালে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে প্রবিত্র ঈদ উপলক্ষে এই ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়, এসময় ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রবিউল আওয়াল রুবেলের সভাপতিত্বে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরের উপস্থিতে অসহায় মানুষদের মাঝে এই ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আদনান হোসেন এর সঞ্চালনালয়ে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, সুয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. হানিফুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, আবু বক্কর সিদ্দিক আল ইমরান, তুষার আহমেদ শান্ত, সুয়াপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাহিবুর রহমান মুন্না, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ নেতা সুমন চৌধুরী, রবিউল আউয়াল, পারভেজ কবির সাকিব, মুজিবুর রহমান, মানিক মিয়া, গোবিন্দ সূত্রধর, ওয়ালিদ হোসেন উল্লাস ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ । বস্ত্র বিতরনের পৃষ্ঠপোষকতা করেন ধামরাই উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা আক্তার।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের  সাধারন সম্পাদক জনাব সাইদুর রহমান হৃদয় এর নির্দেশনায় ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের  সভাপতি মো.  শরীফ হাসান এর পক্ষ থেকে কল্যানপুর নতুন বাজারে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার বিতরন করেন ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ঐ সময়  উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান সৃজন, মো. আলামিন, মো. রানা, তনময়, শিশির, সাগর, মো. আরিফ, নাইম, রহমান, অরপন, মো. মিরাজ, জহিদ, সৌরভ আহমেদ, মো. জাহিদ, শামিম, শাওনসহ আরো নেতাকর্মী ।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

দিনাজপুরে করোনায় একদিনে মৃত্যু ৪, সবমিলিয়ে মৃত্যু ১১৫

প্রতিনিধি, দিনাজপুর:
দিনাজপুরে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১১৫ জনের মৃত্যু হলো। আর গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ২০ জনসহ এ পর্যন্ত ৫৪১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্ত ৫৪১৩ জনের মধ্যে ৫০১৮ জন সুস্থ ও ১১৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৩৮০ জন। দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ জানান, রবিবার (২ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে।সবমিলিয়ে এপর্যন্ত ১১৫ জনের মৃত্যু হলো। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তন্মধ্যে ২০ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪১৩ জন। নতুন আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে সদর উপজেলাতে ১৪ জন। এছাড়া বিরলে ৩ জন, হাকিমপুরে ১ জন ও পার্বতীপুর উপজেলায় ২ জন। করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ৫৪১৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯৫৬ জন। এছাড়া চিরিরবন্দরে ২২০ জন, পার্বতীপুরে ৪৪৭ জন, ফুলবাড়ীতে ১৯৫ জন, ঘোড়াঘাটে ৯৩ জন, হাকিমপুরে ৯০ জন, কাহারোলে ১৭২ জন, খানসামায় ১২২ জন, নবাবগঞ্জে ১৪৯ জন, বিরলে ৩১৮, বিরামপুরে ৩৩৩ জন, বীরগঞ্জে ১৬৪ জন এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৪ জন।  আর মোট মৃত্যু ১১৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫২ জন, চিরিরবন্দরে ১১ জন, পার্বতীপুরে ৮ জন, ফুলবাড়ীতে ৮ জন, হাকিমপুরে ১ জন, কাহারোলে ৫ জন, খানসামায় ৪ জন, নবাবগঞ্জে ৩ জন, বিরলে ৭ জন, বিরামপুরে ৬ জন, বীরগঞ্জে ৬ জন এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন।
আলোকিত প্রতিদিন / ০২ মে, ২০২১ / দ ম দ