আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1901

শরীয়তপুরে সরকারি খাল ও ব্রিজ দখল করে দোকান নির্মাণ

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:

শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি মাদ্রাসা বাজারে সরকারি খাল দখল করে প্রভাবশালীরা দোকান নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করলেও দীর্ঘদিন নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কুচাইপট্টি মাদ্রাসা বাজারে সরকারি খাল ও ব্রিজ দখল করে মোস্তাফিজুর রহমান সরদার ও রাকিব গাজী দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। কুচাইপট্টি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দেলোয়ার হোসেন জানান, পুরো বাজারটি সরকারি খাস জমিতে, বাজার ডাক হয়েছে। মোস্তাফিজ সরদার ও তার পাশে যে দোকান ঘর নির্মাণ হয়েছে তা সরকারি খাল ও ব্রিজ দখল করে করেছে। আমি প্রায় ২ মাস আগে এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট দিয়েছি, তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা জানি না। বাজারে ঘর নির্মাণের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, এসিল্যান্ড স্যার এসে মাপজোপ করে গেছেন, তারপর কী থেকে কী হলো তা জানি না। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে জানা যায়, তিনি বদলি জনিত কারণে গোসাইরহাট থেকে বিদায় নিয়েছেন। মোস্তাফিজ সরদারের ভয়ে এলাকার লোকজন মুখ খুলতেও রাজি নন। জানা যায়, বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকেন তিনি, যা লজ্জাজনক। ঘর নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে জানা যায়, মোস্তাফিজ সরদার এলাকার ৬ টি মসজিদের ব্যাটারি চুরি মামলার আসামী। এসব বিষয়ে জানার জন্য মোস্তাফিজুর রহমান সরদারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার রেকর্ডের জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করেছি। মসজিদের ব্যাটারীর বিষয়ে কথা বলার আগেই তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। রাকিব গাজীকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন সরকারি খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। লক ডাউনের পর অফিস খুললে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেব। মসজিদের ব্যাটারী চুরি মামলার বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোল্লা শোয়েব আলী বলেন, মামলার চার্জশিট দিয়ে দিছি, কোর্টে কী অবস্থায় আছে জানি না।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের অভিযানে বালু উত্তোলনকারী আটক

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভ্রম্যমাণ আদালতে ৬ জনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) বেলা ১১ টায় র‌্যাব-১২ এর ৩ নং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সোমবার ভোর রাতে র‌্যাব সদস্যরা ঘাটাইলের জামুর্কী এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সরকারি খাস থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী কদমতলী গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন, চাঁনতারা গ্রামের মো. আলাউদ্দিন, হরিপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মিন্টু, ঘাটাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. সোহেল রানা ও মো. আলম হোসেন, বীর ঘাটাইল নিশিকান্ত গ্রামের উজ্জল চৌধুরীকে আটক করা হয়। পরে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমারের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারায় ৬ জনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

মানিকগঞ্জে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীর মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জে দিলারা মোস্তফা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকি বিদ্যালয়ের অসহায় প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। সোমবার (৩ মে) সকাল ১০টায় পৌর এলাকার বান্দুটিয়া আফতাব উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে মাগুরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা মোস্তফার সার্বিক সহযোগিতায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের অসহায় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিলারা মোস্তফা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন সুলতানা লুনা, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক মাসুদ করিম, ওবায়দুর রহমান রাসেল, রুস্তম প্রমুখ। উল্লেখ্য ঈদ উপহার হিসেবে বিতরণকৃত প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, ছোলা, সেমাই ও তেলসহ মোট ১৫ কেজি খাদ্য সামগ্রী।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

রাজশাহীতে ২০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

প্রতিনিধি, রাজশাহী:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে শহীদ কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহানগরীতে বসবাসরত গরীব, অসহায়, দু:স্থ, নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল ২০ হাজার মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রীর বিশেষ প্যাকেজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে পিটিআই মাঠে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামানের সুযোগ্যপুত্র রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রথমদিন সোমবার মহানগরীর ১, ২, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ১২০০ ব্যক্তির মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৩০০জন করে ৩৭টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ১১ হাজার ১০০জন ব্যক্তি ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ সহ মোট ২০ হাজারের অধিক ব্যক্তিকে খাদ্য সামগ্রীর এই বিশেষ প্যাকেজ প্রদান করা হবে। ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে রাজশাহীতে কর্মহীন, গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার পিতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও মাতা জাহানারা জামান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর বিশেষ প্যাকেজ বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন ধরে এটি নগরীর সকল ওয়ার্ডে বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, এরআগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ গরীব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষ লক্ষাধিক মানুষকে দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বিপুল সংখ্যক মানুষকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এভাবেই সব সময় মানুষের পাশে থাকবো। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন । এরআগে পিটিআই মাঠজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সারি সারি করে বসানো হয় ১২০০ টি চেয়ার। সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে প্রবেশ করে চেয়ারে বসেন উপকারভোগীরা। প্রতিটি চেয়ারের পাশে রাখা হয় একটি করে ঈদ উপহারের বিশেষ প্যাকেজের প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে আছে ৮ কেজি চাল, ১ কেজি পোলাও চাল, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি ও ১ প্যাকেট সেমাই। সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংক্ষেপে বক্তৃতা করেন। এরপর কয়েকজনের হাতে খাদ্য সামগ্রীর বিশেষ প্যাকেট তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রতিটি ব্যক্তি তার চেয়ারের পাশে রাখা প্যাকেট নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে সারিবদ্ধ হয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। ঈদ উপহার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড আসলাম সরকার, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, রাসিকের প্যানেল মেয়র -২ ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

শিবচরে পদ্মায় বাল্কহেড ও স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ২৬

প্রতিনিধি, মাদারীপুর:
সোমবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে পদ্মা নদীতে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের অদূরে একটি বাল্কহেডের (বালু টানা কার্গো) সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌ-পুলিশের একটি দল দ্বিতীয় দফা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভোর প্রায় ৬টার দিকে স্পিডবোটটি শিবচর কাঁঠালবাড়ি (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে আসলে পদ্মা নদীতে থাকা একটি বাল্কহেড এর পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে উল্টে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নিহত রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শংকরদির পাড় গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে বয়াতীর ছেলে আবু তাহের বয়াতী, কুমিল্লার দাউদকান্দি গৌরীপুর-এর আবুল হোসেনের ছেলে কাউছার, চাঁদপুর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের আলী হোসেন, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার ছাদেক বেপারীর ছেলে রিয়াজউদ্দিন, ফরিদপুর বোয়ালমারী থানার একই পরিবারের বাবা-ছেলে পান্নু সরদার ও তার ছেলে ইয়ামিন-এর পরিচয় জানা গেছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। লাশগুলো উদ্ধার করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের পাশে একটি স্কুল মাঠে রাখা হয়েছে। সেখানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উপ-পরিচালক মো: আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। দুইজনকে আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায়নি। প্রথম দফার পর বর্তমানে দ্বিতীয় দফা উদ্ধার কাজ চলছে। উল্লেখ্য, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে প্রথম থেকেই যাত্রী পারাপার করে আসছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

কেমন ছিল পশ্চিমবঙ্গের তারকাদের নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার এবার তারকা প্রার্থীর ছড়াছড়ি । কেহ  তৃণমূল কেহ  বিজেপির  প্রার্থী হয়ে ভোট করেন। ফলাফলে দেখা যায় বিজেপি তারকা প্রার্থীদের থেকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের ছড়াছড়ি।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়: বেহালা পশ্চিমে হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না বিজেপি-র এই তারকা প্রার্থী। রাজনীতিতে নবাগতা শ্রাবন্তী প্রথমেই বিধানসভার টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারলেন না। তাঁর প্রাপ্ত ভোট যেখানে ৬৩ হাজার ৮৯৪ সেখানে পার্থ পেয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৮।

যশ দাশগুপ্ত: চন্ডীতলা কেন্দ্রে ঘরের ছেলে হয়ে ওঠার চেষ্টায় বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখেননি যশ। প্রচারে তাঁকে ঘিরে যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছিল ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন দেখা গেল না। ৬১ হাজার ৭৭১টি ভোট পেয়েছেন তিনি। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

পায়েল সরকার: বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে লড়েন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে ৩৭ হাজারের বেশি ভোটে জিতে যান রত্না। পায়েলের প্রাপ্ত ভোট ৭৩ হাজার ৫৪০। রত্না পেযেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৯৬৮টি ভোট।

লকেট চট্টোপাধ্যায়: চুঁচুড়া বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী লকেট। নিজের কেন্দ্র নিয়ে আত্মবিশ্মাসী ছিলেন লকেট। কিন্তু গণনার শুরু থেকেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৮ হাজার ৬৮৭। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের অসিত মদুমদার ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৪টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

হিরণ চট্টোপাধ্যায়: দিলীপ ঘোষের গড় পুনরুদ্ধার করলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। উল্টো হাওয়ার মধ্যেও যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। খড়্গপুর সদরে ৩৭৭১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছেন তিনি।

সায়নী ঘোষ: তৃণমূল প্রার্থী সায়নীকে রীতিমতো দৌড়ে প্রচার করতে দেখেছেন এলাকার মানুষ। সেই সায়নী পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৩৯৪ ভোট। এই কেন্দ্রে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর চলেছে দুই তারকা প্রার্থীর।

বাবুল সুপ্রিয়:  বিজেপির এই তারকা প্রার্থী পরাজিত হলেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫১ হাজার ৩৬০। সেখানে অরূপ বিশ্বাস পেলেন ১ লাখ ১ হাজার ৪৪০ ভোট।

দেবদূত ঘোষ:  তিনি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবুলের থেকে মাত্র ১০ হাজার ৭৬৩ ভোটে পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছেন তিনি।

জুন মালিয়া: মেদিনীপুরে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বিজেপি। সেখানে কিন্তু ফল আশানরূপ হয়নি। বরং ২৩ হাজার ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া।

অঞ্জনা বসু এবং লাভলি মৈত্র: সোনারপুর দক্ষিণ লড়াই দেখল এই দুই তারকা প্রার্থীর। বিজেপির অঞ্জনা শেষমেশ ৮৩ হাজার ৪১টি ভোট পান। তৃণমূলের লাভলি পান ১ লাখ ৯ হাজার ২২২ ভোট।

রাজ চক্রবর্তী: আবির্ভাবেই কিস্তি মাত করলেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী। ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ের ব্যবধান ৯ হাজার ২২২।

পার্নো মিত্র: তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়ের থেকে ৩৫ হাজার ১৪৭ ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র এই তারকা প্রার্থী। বরাহনগর কেন্দ্রে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫০ হাজার ৪৬৮।

পাপিয়া অধিকারী: তৃণমূল প্রার্থীর সামনে দাঁড়াতে পারলেন না বিজেপি-র এই তারকা প্রার্থীও। ৭৩ হাজার ৪৪২টি ভোট পেয়েছেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের পুলক করের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখের কিছু বেশি। (সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা)

সোহম চক্রবর্তী: চণ্ডীপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।

কাঞ্চন মল্লিক: টালিউডের কমেডিয়ান কাঞ্চন মল্লিক প্রথমবার রাজনীতিতে নাম লেখিয়েছেন। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই উত্তরপাড়ার টিকিট পেয়ে যান তিনি। সর্বশেষ বিজেপি প্রার্থী প্রাবাল ঘোষলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এই অভিনেতা।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

 

পোশাক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি থাকবে ৩ দিন

ডেস্ক প্রতিদিন : পোশাক কারখানায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ৩ দিনের বেশি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত অব‌্যাহত থাকবে এবং নিজ নিজ জেলায় গণপরিবহণ চলবে ৬ মে থেকে কিন্তু নিজ জেলার সীমানা পেরুতে পারবে না কোন গণপরিবহণ। লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শর্ত  সাপেক্ষে মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকবে। তবে মাস্কের ব্যবহার না থাকলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

চলমান লকডাউন বাড়লো ১৬ মে পর্যন্ত, তবে গণপরিবহণ চলবে ৬ মে থেকে

ডেস্ক প্রতিদিন : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন আগামী ১৬ মে পর্যন্ত অব‌্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।  তবে ৬ই মে থেকে  জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহণ চলবে। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। মাস্ক না পরলে কঠোর ব্যবস্থার কথাও জানানো হয়েছে।  তিনি বলেন, আজ থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

পানির সংকটে ঈশ্বরদীবাসী

প্রতিনিধি,ঈশ্বরদী:
পানির অপর নাম জীবন,  আর সেই পানির সংকটেই ভুগছেন ঈশ্বরদীবাসী। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ দিয়ে পানি না ওঠায় ঈশ্বরদীতে তীব্র খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেহরি ও ইফতারের সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠী। পানি সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। ঈশ্বরদীতে গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের মানুষ তীব্র দাবদাহ ও পানি সংকট থেকে মুক্তি পেতে নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  এদিকে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পশ্চিম টেংরী কাঁচারী পাড়ার বাসিন্দা আবু তৈয়ব তপন আলি, মো:- জালাল উদ্দিন, হুসাইন মোছা: আঁখি, ও সভা নেত্রী মুনজুরা বেগম সহ সলিমপুর এলাকার কৃষক সোলেমান হোসেন জানান, টিউবওয়েল তো দূরের কথা, বিদ্যুৎচালিত পাম্প দিয়েও এখন পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কিছু দিন আগে রাতে ও ভোরে কিছু পানি তোলা যেত। এখন কোন সময়ই পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাকশী সিভিলহাটের বাসিন্দা জানান, দিনের বেলা পানি সংগ্রহ করে না রাখলে রাতে রোজা রাখতে সমস্যা হয়। ঈশ্বরদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির ভূগর্ভস্থ স্তর নীচে নেমে গেছে। যে কারণে বেশীরভাগ টিউবওয়েল দিয়ে পানি উঠছে না। সাব-মার্সেবল ছাড়া সাধারণ পাম্প দিয়েও পানি তোলা যাচ্ছে না। পৌরসভার পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকলেও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রতি বছর তীব্র দাবদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা থাকে বলে জানান তিনি। ঈশ্বরদী উপজেলা জেলা কৃষি অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ সংকটে পড়েছেন চাষিরা। মাটিতে রস না থাকায় ফল ও সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ ঈশ্বরদীতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ

মাকে অন্যের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় মেয়েকে হত্যা!

প্রতিনিধি , ধামরাই (ঢাকা):

ঢাকার ধামরাইয়ে মাকে অন্যের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় মেয়ে মাহীকে (৭) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভোরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গুচ্ছগ্রামে। রোববার এ নিয়ে দিনভর দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক শেষে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত না করে এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই খুন হওয়া ওই শিশুটির মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে বাস্তা গুচ্ছগ্রামের মো. আব্দুর রহমানের মেয়ে পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের (২৫) যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর গ্রামের লেবু ব্যবসায়ী মো. মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে মাহী আক্তার নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কন্যাসন্তান জন্মের ৪-৫ বছর বেশ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম বিরোধের সৃষ্টি হলে মৌসুমী তার মেয়েকে নিয়ে পিত্রালয় চলে আসেন। দুই বছর যাবত পিতার বাড়িতে থেকেই তিনি ধামরাই উপজেলা সদরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছেন।  এই দুই বছরে একদিনও স্ত্রী-সন্তানের কোনো খোঁজখবর রাখেনি কিংবা ভরণপোষণও দেয়নি তার স্বামী। ফলে ওই পোশাক শ্রমিক মৌসুমী নি:সঙ্গ জীবন থেকে পরিত্রাণের আশায় পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।  এলাকাবাসীর ধারণা, ঘটনার রাতে পরকীয়া প্রেমিক ওই নারী পোশাক শ্রমিকের শয়নকক্ষে এসে গোপন অভিসারে মিলিত হয়। এ দৃশ্য ওই শিশু কন্যা মাহী দেখে ফেলায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই ওই শিশু মাহীর মুখ চেপে ধরে মাথায় আঘাত করে। এতেই তার মৃত্যু ঘটে। লোক মারফত ঘটনাটি জেনে যান মাহীর পিতা মিনহাজ উদ্দিন। এরপর তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি মো. জিয়াউর রহমান জিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাস্তা গুচ্ছগ্রামে চলে যান এবং তিনি তার শিশু মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন। মেয়ের মরদেহ তিনি তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর বনেরচর গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. এমারত হোসেন, আমছিমুর গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজুয়ান আহাম্মেদ রিজন ও শাহীন আলমের নেতৃত্বে এ নিয়ে দিনভর দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  একপর্যায়ে দিন শেষে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয় মরদেহ দাফন করার জন্য। এরপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে থানা পুলিশকে না জানিয়ে এবং কোনো প্রকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি আমছিমুর এলাকায় দাফন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।  এ ব্যাপারে শিশু মাহীর পিতা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, পরকীয়ার প্রেমিককে বাঁচাতে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এলাকাবাসীর চাপে আমি আমার মেয়ের মরদেহ দাফনে রাজি হয়েছি। শিশু মাহীর মা মৌসুমী আক্তার মেয়ে হত্যা করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ওপরে অহেতুক দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মেয়ে হার্টঅ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজুয়ান আহাম্মেদ রিজন জানান, শান্তির লক্ষ্যে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কারণ সন্তান মারা গেছে। এক্ষেত্রে মা-বাবা উভয়েরই মনে কষ্ট। কাজেই থানা পুলিশকে না জানিয়েই বিষয়টি তাদের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে। যাদবপুর ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, গ্রামের লোক হিসেবে তাদের ডেকে নিয়েছি মাত্র; যা কিছু করার গ্রামবাসীই করেছেন। আমি এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মরদেহটি দাফন করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বালিয়া ইউপি মেম্বার মো. এমারত হোসেন বলেন, মেয়েটি বাস্তা গুচ্ছগ্রামে মায়ের সঙ্গে থাকত। মেয়েটির বাবা ২ বছর ধরে তাদের কোনো খোঁজখবর রাখে না এবং ভরণপোষণও দেয় না। মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মেয়েটির মৃত্যু সংবাদ পেয়েই ওই বাড়িতে যাই। বিষয়টি কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাসেল মোল্লাকে অবহিত করি। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমঝোতা করে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে কাওয়ারীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে কেউ আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০৩ মে, ২০২১ / দ ম দ