আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1905

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬০ জনের মৃত্যু

ডেস্ক প্রতিদিন : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ৫১০ জনে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে  ১ হাজার ৪৫২ জনের ।  এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জনে।

গত ২৪ ঘন্টায়  সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন।

শনিবার (১ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ভেঙ্গে পড়া সুরক্ষা দেওয়ালটি আজও অবহেলিত

প্রতিনিধি, দিনাজপুর:

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের দক্ষিণের সুরক্ষা প্রাচীরটি নিমার্ণের ছয় মাসের মাথায় ভেঙ্গে পড়লেও দেখার কেউ নাই। রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবোর্ড। শিক্ষাবিষয়ে শিক্ষার্থীদের মুল্যবান নথিপত্র যেখানে সংরক্ষণ থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা প্রাচীরটি নির্মাণের ৬ মাসের মাথায় ভেঙ্গে গেলেও একছরেও টনক নড়েনি বোর্ড কর্তৃপক্ষের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষাবোর্ডের দক্ষিণ দিকের পূর্বদিক থেকে পশ্চিমে নির্মিত প্রাচীরটি প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ফিট ভেঙ্গে গেছে। ঘটনার ১ থেকে দেড় বছর পেড়িয়ে গেলেও এতদিনেও প্রাচীরটি কেন সংস্কার করা হয়নি এ ব্যাপরে জানতে শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর মো: আমিনুল হক সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে শিক্ষাবোর্ডের অর্থায়নে শিক্ষা অধিদপ্তর কাজটি করেছিল। প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়ার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে তারা একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন যেখানে বর্ষার জমে থাকা পানি ও বন্যার তীব্র স্রোতে ২০২০ সালের বন্যায় প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়ে । করোনার কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। বর্ষার পানি ও স্রোত প্রাচীরের যে অংশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সেই অংশ টা এখনো সুদৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিন্তু এই অংশ টি ভেঙ্গে পড়েছে তবে এর পিছনে প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণগুলোর ত্রুটি রয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে সুকৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

ফুলবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ১ মে শনিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৫ শ’ জন ব্যক্তিকে ত্রাণ প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হওয়া ব্যক্তিদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদেয় মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ ত্রাণ প্রদান করা হয়। উপজেলার কর্মহীন বাস ও ট্রাক শ্রমিক এবং হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিজনকে ১০ কেজি চাল, আড়াই কেজি আলু, আধা কেজি তেল, আধা কেজি লবণ ও ১ কেজি ডাল প্রদান করা হয়। ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ প্রমূখ।

আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

ভারতে এবার দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা পেরল ৪ লক্ষের উপরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা পেরল ৪ লক্ষের উপরে। পরপর ৯ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি থাকার পর শনিবার (১ মে)  নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল ভারত।  দৈনিক এই সংক্রমণ বিশ্বে প্রথম। আক্রান্তের এই রেকর্ড বৃদ্ধি কাঁপুনি ধরাচ্ছে পুরো ভারত জুড়ে। তবে আক্রান্তের  পাশাপাশি সুস্থতার হারও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থও হয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।

ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন।  মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা

হাকিমপুরে গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

প্রতিনিধি, দিনাজপুর:

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়াডের বড় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে নাছরিন নাহার (২১) নামে এক গৃহবধূ নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ জানায়, আজ শনিবার সকাল ৮টায় নাছরিনকে তার ঘরে বর্গায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে তার স্বামী সুমন হোসেন সুজন দরজা ভেঙ্গে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাছরিনকে মৃত ঘোষণা করে। নাছরিন ও তার শাশুড়ির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো বলে জানায় নিহতের স্বজনরা। হাকিমপুর থানা অফিসার ইন-চার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপের্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদ্দাম অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ গ্রেফতার 

আবু সায়েম, কক্সবাজার:

কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দামকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, মোবাইল ফোন, কিরিচ ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ সিকদারপাড়া মাটিয়া তলীস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে সাদ্দামকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এ সংবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাদ্দামের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যূতাসহ ১০ টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। গ্রেফতার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিবি’র ওসি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরের ক্রাইমজোন খ্যাত রুমালিয়ারছড়ার পাহাড়ি এলাকা, বাঁচার মিয়ার ঘোনা, তারাবনিয়ার ছড়া, সমিতি বাজার, মাটিয়ার তলী, বিজিবি ক্যাম্প, সাত্তার ঘোনা ও কারাগারের পেছনের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো কয়েকটি অপরাধীচক্র। চিহ্নিত ইয়াবাকারবারী ও জেল ফেরত আসামীরা এলাকায় নতুন করে সংগঠিত হয়। গড়ে তুলে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকাবাসীর তথ্য মতে, সাদ্দামের বাহিনীতে ১২ জনের একটি সক্রিয় টিম রয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোরে ৩ সন্ত্রাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম আসামি সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

করোনায় করুণ কাহিনি । হাসিবুর রহমান

করোনায় করুণ কাহিনি
হাসিবুর রহমান

বিকেলের ফ্লাইটে যশোর যেতে হবে। স্ত্রী,পুত্র-কন্যা সবার গায়ে হাত বুলিয়ে বললাম এইতো আগামীকালের ফ্লাইটে চলে আসবো সাবধানে থেকো। মা’র কোলন ক্যান্সারের অপারেশনের টাকা যোগাড় করতে জমি বিক্রি করে টাকা আনতে হবে। প্রথম অপারেশনের টাকা জমির বায়নার টাকা ও আমারা ভাই-বোন সবাই মিলে দিয়েছিলাম। প্রায় আট সপ্তাহ পর মা’র দ্বিতীয় অপারেশন হবে। টাকার জন্য ভাই-বোন কে কত দিবে তাই নিয়ে চিন্তা। মা এ বয়সে ঢাকা থেকে যশোর বার বার যেতে পারবে না, তাই জমিটুকু আমার আর আমার একমাত্র বোনের নামে হেবা করে দিয়েছিলেন।  সেটা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হলো।
অগ্যতা কি আর করা। সন্ধ্যায় যশোর পৌঁছালাম। পৌঁছে সবার খবর নিলাম। সবাই ভালো আছে। কিন্তু পরদিন আমার স্ত্রী ফোন দিলো তার নাকি হালকা জ্বর এসেছে। কি করবো, আমার বন্ধু ডাক্তার, তাকে ফোন দিলাম সে বললো, জ্বরের সাথে কাশি বা অন্য কোন উপসর্গ দেখা না দিলে প্যারাসিটামল খেয়ে ও সাথে গরম মশলার চা খেয়ে তিন দিন দেখো। না সারলে এন্টিবায়োটিক শুরু করতে হবে। আমি সেই অনুযায়ী ওকে বুঝায়ে বললাম। এই কালকে সন্ধ্যার ফ্লাইটে চলে আসবো। আরও বলেছিলাম তোমার বান্ধবি ডাক্তার ও অন্যদেরকেও জানাও।
আমার ছেলের মুখে শুনলাম ঐ রাতে নাকি জ্বর বেড়ে গিয়েছিল, ছেলেকে দিয়ে এন্টিবায়োটিক ও নাপা আনিয়িছিল এবং খেতে শুরু করেছিলো। পরদিন আমার বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত নয়টা, রাস্তায় ছিলো প্রচন্ড যানজট। যাহোক বাড়িতে ফিরে আগে গোসল সেরে স্ত্রীর গায়ে হাত দিলাম, থার্মোমিটারে ৯৮.৭ উঠলো। ছেলে-মেয়ে সবাই হাসলো, বাবাকে দেখেই মা ভালো হয়ে গেছে। বললাম খেয়ে শুয়ে পড়ো, সকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
পরদিন সকালে মনে করলাম প্রথমে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখি কি বলে। ওখানকার লেডি ডক্টর লিখে দিলো করোনা টেস্ট করতে। আমরা করোনা টেস্ট না করে ঢাকা মেডিকেল এর একজন ডাক্তার দেখালাম। উনি বললো টেস্টের রেজাল্ট আসতে যে সময় লাগবে তার আগেই যে ওষুধ গুলো লিখে দিলাম শুরু করে দিন। বাসায় এসে ওষুধ শুরু করে দিলো। অক্সিমিটার কিনে আনলাম। মাঝে মাঝেই অক্সিজেন লেভেল চেক করছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ চলছে কিন্তু জ্বর কমে না, সাথে পেট গরম করলো, বমির সাথে কাশি।অক্সিজেন লেভেল মাঝে মাঝে ৯৫ এর নিচেনেমে যাচ্ছে। দুঃচিন্তায় পড়ে গেলাম। এত রাতে কোথায় যাবো। মাথায় পানিপট্টি দিচ্ছি আর মহান আল্লাহকে ডাকছি, সকাল কখন হবে। সকালে কয়েক হাসপাতালে ফোন দিলাম। উত্তরে জানায় করোনার বেড খালি নেই। একটা এম্বুলেন্স ডেকে আনলাম ,আল্লাহর নামে বেরিয়ে পড়লাম, দেখি হাসপাতালের দ্বারে দ্বার ঘুরবো একটা উপায় হবেই। মনে হলো ওর গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয়েছিলো বারডেম হাসপাতালে ওখানেই আগে যাওয়া যাক। বাড়ির কাছেও হবে। ইমারজেন্সিতে নিয়ে গেলাম, এম্বুলেন্সকে ছাড়লাম না, যদি বেড খালি না থাকে। অক্সিজেন মেপে ৯৭ উঠলো ও ব্লাড পেশারও ভালো দেখালো। ডাক্তার ওকে ভর্তি নিতে রাজি হলো। অনুরোধ করলাম কেবিনের জন্য তিনি অনেক খোজাখুজি করে বললেন কেবিন খালি নেই। জেনারেলের ওয়ার্ডে একটা বেড খালি আছে। আমাদের চাই চিকিৎসা। কেবিন দিয়ে কি করবো। তাড়াতাড়ি টাকা জমা দিয়ে ৬তলায় জেনারেলের বেডে ভর্তি করে ভাড়া করা এম্বুলেন্স টাকা মিটিয়ে ছেড়ে দিয়ে ওকে নিয়ে বেডে দিলাম। এদিকে ওর বোন দেরকে জানানো হলো। ওরা একজন স্পেশাল আয়া ঠিক করে দিল ২৪ ঘন্টা পাশে থাকার জন্য। ভর্তির পরপরই চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলো অক্সিজেন, ইনজেকশন ইত্যাদি ইত্যাদি।
হাসপাতাল থেকে নডুলশ, ডিম ও স্যুপ দিলো, বসে বসে খেলো। আমাকে বললো পানি গরম করা ইলেক্ট্রনিক কেটলি আনো মশলা গরম পানি খাবো ভালো লাগবে। বাড়িতে মশলা গরম পানি খেলে একটু ভালো লাগতো। সাথে সাথে নিচে গিয়ে সব কিনে দিলাম। আয়া মশলা গরম পানি দিলো, চুমুক দিতে দিতে বললো তুমি বাড়ি যাও ছেলে-মেয়েরা না খেয়ে আছে। ওরা দু’জন ছাড়া বাসায় কেউ নেই। আমি দেখলাম ওর অক্সিজেন লেভেল ও ভালো আর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত ১০টার পর আমি বাড়ি চলে এলাম। পরদিন সকালে ওকে দেখতে গেলাম বললো আগের চেয়ে একটু ভালো লাগছে। পিঠের ব্যাথা কমেছে । পরে ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, আমি যশোর গেলে বাড়িতে কাজে বুয়া এসেছিলো, তার নাকি দু’দিন ধরে জ্বর ছিলো। তাছাড়া ৪-৫দিন আগে আমার সাথে নিউমার্কেটে গিয়েছিলো ওর বাড়ি পরা দুটো জামার কাপড় কিনতে। কাপড় কিনে টেইলরের কাছে দিয়ে এসেছিলাম, সে জামা এখনো আনা হয় নি। জামা এনে কি করবো, পরবে যে সেই তো নেই। তাছাড়া আমি যশোর যাবো বলে তার আগের দিন ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে গিয়েছিল কিছু টাকা তুলে আনতে। কোথা থেকে সংক্রান্ত হলো বুঝেই পারি না। গত এক বছর কত না শর্তকভাবে চলেছি। এ বছর একি সর্বহনাশ হয়ে গেলো।
পরদিন তখনো অক্সিজেন চলছে। তবে একটু ভালো লেগেছিল বলেই বলেছিল আমার জন্য টুথব্রাশ ও টুথপেষ্ট নিয়ে আসো, দাঁত মাজবো। সঙ্গে সঙ্গে নিচে গিয়ে কিনে নিয়ে আনলাম। সকালে ডাক্তার এলেন দেখে বললেন কোভিট টেস্ট করতে হবে। ওর স্যাম্পল নিয়ে গেলো আর আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে করোনা টেস্ট এর স্যাম্পল দিলাম। পরদিন যখন ওর রেজাল্ট পজিটিভ আসলো। ওর মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না। মুখ কালো হয়ে গেলো, কি এক অজানা আতংকে ও যেন ছটফট করতে লাগলো। কানে কম শুনছিলো, ওর কাছ গিয়ে কথা বলতে হচ্ছিলো। আমি বারবার সান্তনা দিতে থাকলাম, ভালো হয়ে যাবা, ভয় নেই। কে কার কথা শোনে। ডাক্তার বললো করোনা ওর্য়াডে বেড খালি হলে ওখানে স্থানান্তরিত করতো হবে। ওতো কাঁদতে শুরু করলো করোনা ওর্য়াডে যাবো না, ওখানে গেলে আমি বাচবো না। সবাই বুঝালো পজিটিভ রুগিকে এখানে রাখবে না। তাছাড়া করোনা রুগী অনেকেই তো ভালো হয়ে বাড়ি ফিরছে। অবশেষে সন্ধ্যায় বেড খালি হলে ওখানে স্থানান্তরিত করা হলো। ওর আতংকের শেয নেই, ওর অক্সিজেন লেভেল দ্রুত ওঠা নামা করছিলো। পরদিন প্রফেসর ভিজিটে এসে বললেন ওনাকে আইসিইউতে চিকিৎসা করতে হবে। দু’দিন অক্সিজেন ফ্লো বাড়িয়ে দিলেই ভালো হয়ে যাবে। রাতে সিটিস্ক্যানিং করানো হলো, রির্পোট ভালো না। আইসিইউ জরুরি দরকার। অন্ততপক্ষে ঢাকার ২০টি হাসপাতালে খোঁজ নেওয়া হলো। আমাদের জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন। ছোট ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে, এফসিপিএস করে এখন আমেরিকার ডালাসে চাকুরি করে। ওর ভায়রা বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিক সমিতির সদস্য। তিনিও চেস্টা করছেন। হতাশ হয়ে পড়লাম। মহান আল্লাহকে ডেকে চলছি। পরবর্তীতে শোনা গেল ৭ম  তলায় আইসিইউতে ১টা বেড খালি হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ, এবার মহান আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা ভালোই হবে। আমার করোনার রেজাল্ট দ্রুত জানার জন্য আমাদের অফিস কলিগের বোনের সহায়তায় আমার করোনার রেজাল্ট জানতে পারলাম নেগেটিভ। পরদিন পিপিই পরে ওকে দেখতে ভিতরে গেলাম, হাতের ইশারায় বোঝাতে চেস্টা করলাম ভালো হয়ে যাবা। সে কেদে ফেললো ডাক্তার আমাকে কঠিন সুরে ধমক দিয়ে বের করে দিল। আর বললো আপনি আর কখনো ভেতরে আসবেন না। কাদলে পেসেন্টের গলায় কফ জমে আরও মারাত্মক অবনতি হবে। আর আপনারও বয়স বেশি আপনিও ঝুকির্পূন। এরপর যেকয়দিন গিয়েছি বাহিরে বসে ওর মেজো বোনের ছেলেকে দিয়ে খবর নিয়েছি। ছেলেটা আমার পাশে থেকে অনেক সাহায্য করেছে। মাত্র আট দিন আইসিইউতে থেকে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে (ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্নালিল্লাহি রাজিউন) গত ১২ই এপ্রিলে ।
একয়দিন ঠিক মতো খাওয়া নেই, ঘুম নেই। আমার শরীর অনেক খারাপ হয়ে পড়লো। আমার তো আগে থেকেই গ্যাস্টিক আলসার ছিলো, মাঝে মাঝেই ডাক্তারের স্বরনাপূর্ণ হতে হয়। হালকা জ্বর ও পাতলা পায়খানা শুরু হলো। রাতে উঠে বার বার টয়লেট হয়েছে তা বাচ্চাদেরকে জানতে দিইনি। ওরা ওদের মা’কে দাফন দিয়ে এসে এমনিতেই অনেক কেঁদেছে। কোন খাবার মুখে দিতে পারছিল না। মেয়েটাকেতো রাতে গরম পানির ভাব নিতে হয়েছিল। বাড়িতে ফ্লাজিল আর ইমোটিল ছিলো তা খেয়ে টয়লেটে যাওয়া বন্ধ করালাম। সকালে উঠে আমার বোনের আগে চিকিৎসা করেছে সেই গ্যাস্ট্রোস্টোলজিস্ট ডাক্তারের কাছে ফোন দিলাম। উনি বললেন আজ সকালে আছি তাড়াতাড়ি চলে আসেন। আগামীকাল থেকে লকডাউন আমি আসবো না। দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম। আল্ট্রাসনোগ্রাম ও রক্তের রির্পোট দেখে কিছু ওষুধ লিখে দিলেন আর ১ মাস পর দেখা করতে বললেন। তবে ৭ দিনে ৫৬টা ক্যাপসুল খেতে হবে সাথে আরও আছে। বাড়ি এসে ওষুধ শুরু করে দিলাম। ২দিন পর পেটে ব্যথা কমলো।
মহান আল্লাহ মনে হয় বাচ্চা দুজনকে লালনপালনের জন্য আমাকে জীবন দিয়েছেন। আমরা ৩টি মানুষ বাড়িতে আছি। করোনার ভয়ে কেউ আসেনি। আমিও মানা করেছি না আসতে। তবে আমার বিল্ডিং এর শিক্ষক মহোদয়গণ ও আবাসিক এলাকায় আর দু’জন আমার সহকর্মী আমাদের খোজখবর নিয়েছেন প্রতিনিয়ত। ওষুধ খাওয়ার ৪র্থ দিনে রাতে হঠাৎ আবারও পাতলা পায়খানা শুরু হলো। আমিতো ঘাবড়ে গেলাম। বোনকে সব বুঝিয়ে বললাম যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে একটা এম্বুলেন্স ডেকে আমাকে কোথাও ভর্তি করে দিস। বাচ্চাদেরকে তোর ওখানে নিয়ে যাস। বার বার টয়লেট হওয়ার কথা আমার ডাক্তার ছোট ভাইকে ভাইবারে কল করে জানলাম। ও রির্পোট গুলো দেখে বললো এটা অনেক সময় ওষুধের রিয়াকশনে হতে পারে। স্যালাইন পানি ও লিকুইড খাবার, ফল  খাও বেশি করে। রাতটা দেখ সকালে না হয় ডাক্তার দেখিও। টয়লেট থেকে এসেই বার বার স্যালাইন পানি খেতে থাকলাম। সেকি করুণ অবস্থা, এরই মাঝে বোনের বাসা থেকে আনা খাবার ছেলেমেয়েদেরকে গরম করে দিচ্ছি। আমি যাওভাত আর কলা সিদ্ধ খাচ্ছি। মহান আল্লাহর রহমতে সকাল হতে হতে কিছুটা ভালো বোধ করলাম। এরই মাঝে প্রতিদিনই ওর বোনেরা এবং আমার বোন খাবার পাঠাচ্ছে। আমার শরীরটা ভালো বোধ করলাম। সবাইকে  মানা করলাম আর যেন খাবার না পাঠায়। কাজের বুয়াকে ঘরে ঢুকতে দিই নি। বাইরের কোন কিছু আর খাব না। হাসপাতালে ভর্তির আগে ও’ রোজার জন্য অনেক বাজার আনিয়েছিল সবাই মিলে রোজা রাখবো বলে। হায় কপাল!
আমি মন খারাপ করে বসে থাকি দেখে আমার মেয়ে তার ৯ম শ্রেণীর উপন্যাস গল্পের বই এনে বলে এগুলো পড়ে তাকে বুঝিয়ে দিতে। গল্প পড়েছি বহিপীর, কাকতাড়ুয়া ইত্যাদি। আমার মনে হলো কাকতাড়ুয়ার চরিত্রে বুধা’র মতো হয়ে যাচ্ছি আমরা তিন জনে। এতিম ছেলেটি যেমন জীবনের জন্য যুদ্ধ  করেছে কখনো নিজের নাম নিজেই রেখেছে  কাকতাড়ুয়া, ছন্নছাড়া, মানিকরতন, বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ, জয় বাংলা, মুক্তিযুদ্ধ, ইত্যাদি। আমরা তিনজন প্রতিনিয়ত মশলা চা, গরম পানি পান করছি, রাত ২টায়ও যদি একটু কাশি হলেও তৎক্ষনাৎ উঠে মশলা দিয়ে গরম পানি খাচ্ছি।  তাছাড়া, গৃহস্থালির সমস্ত কাজ করছি ঘরমোছা থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া, থালাবাসন মাজা, তরকারি কাটা, রান্না করা সবই করছি। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন যুদ্ধ করে চলছি। কাজ শেষে হাত ধুয়ে নিচ্ছি, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাকে দুফোঁটা এন্টাজল দিচ্ছি, প্রোভেয়ার-১০ খাচ্ছি। এভাবেই জীবনযুদ্ধ করে পার করলাম কোয়ারান্টাইন এর ১৪-১৫টা দিন।  রান্না করতে ওরা দুজনেই আমাকে সাহায্য করছে। তিনজন মানুষ এই বাড়ির মধ্যে বন্দী অবস্থায় হতাশার মাঝে কাটিয়েছি কালো দিনগুলো। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ফোন করে বা মেসেজে পাঠিয়ে সমবেদনা জানিয়েছে।
করুণ অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে জানাই, মহামারি না যাওয়া পর্যন্ত সবাইকে শর্তকভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জীবন যাপন করাটাই উত্তম। অবশ্যই মাক্স পরে বাইরে যাবো, বাড়ি ফিরে জামাকাপড় সাবান পানিতে ভিজিয়ে, গোসল করেই তবে  অন্য কাজ। তাছাড়া, বিপদে নিজেকে লুকিয়ে না রেখে অন্ততঃ সাধ্য অনুযায়ী অন্যকে সাহায্য করাটাই মানব ধর্ম।
আসুন প্রত্যেকে আমরা প্রত্যকে সাহায্য করার চেস্টা করি। সবাই সবাইর জন্য দোয়া করি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মহামারির সংকট থেকে মুক্তি দিন। মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সহায়তা করুন। আমাদের দেশকে রক্ষা করুন। মহান আল্লাহকে প্রতিনিয়ত ডাকি- “ইয়া কানাবুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন”।
(লেখক : সহকারী রেজিস্ট্রার, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়)
আলোকিত প্রতিদিন/জেডএন

ঈশ্বরদীতে বালু বোঝাই ট্রাক্টর চাপায় মটর সাইকেল আরোহী নিহত

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী:

ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের এমপি মােড়ে বালুবােঝায় ট্রাক্টর চাপায় ইমন ( ২১ ) নামের এক মােটরসাইকেল আরােহী নিহত হয়েছে । নিহত ইমন পাকশী ইউনিয়নের নতুন রুপপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে । স্থানীয়সূত্রে জানা যায় , শনিবার ( ১ মে ) বেলা ১২ টায় লক্ষীকুন্ডা চর থেকে বালু বােঝাই একটি ট্রাক্টর এমপি মােড় সংলগ্ন স্থানে আসলে পেছন থেকে একটি মােটরসাইকেল ওভারটেক করার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে । এতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মােটরসাইকেল আরােহীর ইমনের মৃত্যু হয় । খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে । এ সময় ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাক্টরটিকে আটক করা করা হয় ।

আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

প্রেসক্লাব খানজাহান আলী থানার উদ্যোগে মাক্স বিতরণ  

 প্রতিনিধি, খুলনা:
খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি বাজারে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে মাক্স  বিতরণ করেন প্রেসক্লাব খানজাহান আলী থানার উদ্যোগে। গতকাল শনিবার  ১ এপ্রিল শিলিগুড়ি শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে শিরোমনি বাজারে বিভিন্ন স্থানে মাংস বিতরণ করেন। এ সময় মাক্স বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত থাকেন  ফুলতলা উপজেলার চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাব খানজাহান আলী থানার  প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব শেখ  আকরাম  হোসেন   বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জন) অমিত কুমার বর্মন , খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রেসক্লাব খান জাহান আলী থানার উপদেষ্টা আলী রেজা কচি, ১ নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাব খান জাহান আলী থানার উপদেষ্টা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাসের কে, সি, সি  ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফজলুল রশিদ । অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন , প্রেসক্লাব  খানজাহান আলী থানা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম  মোড়ল, সহ-সভাপতি এম আর হাসান,  সহ -সভাপতি ( বীর মুক্তিযোদ্ধা) আব্দুল কুদ্দুস,   সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ মন্ডল,  সহ-সাধারণ সম্পাদক  আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাপ্পী, কোষাধ্যক্ষ উবায়দুল্লাহ,  তথ্য আইন বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাসুম , দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ্ এইচএম কাদির, প্রচার-সম্পাদক  শেখ ইউসুফ ,
 কার্যকারী সদস্য এনামূল কবীর,  শাহিন মিয়া, আলমগীর হোসেন হাওলাদার, কুমারেশ গাইন, শাহিন উজ্জামান ,  আনিসুর রহমান প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

ঈদের আগে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার-ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক প্রতিদিন : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লকডাউনের পর জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে সরকার ঈদের আগে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে।

শনিবার (১ মে) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের আন্দোলন, বিক্ষোভে না গিয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ধৈর্য ধরারও আহ্বন জানান।

আলোকিত প্রতিদিন / সা হা