আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 200

শীতে ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাবেন যেসব খাবার!

লাইফস্টাইল ডেস্ক…

শরীর ভালো রাখতে নজর দিতে হবে ফুসফুস সুরক্ষায়। শীতের এই সময়টা একদিকে যেমন উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, অন্যদিকে, শারীরিক নানা সমস্যাও তৈরি করে তখন। শরীর সুস্থ রাখতে ফুসফুস সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কোনো কারণে ফুসফুসের সমস্যা হলে দেখা দেয় শ্বাসযন্ত্রের নানা জটিলতাও।

আপেল : শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা কমাতে নিয়মিত আপেল খেতে পারেন। আপেলে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অ্যাজমা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতেও এই ফল বেশ উপকারী বটে।

ব্লুবেরি : ব্লুবেরিতে রয়েছে পিউনিডিন, পেটুনিডিন, মালভিডিন, সায়ানিডিন এবং ডেলফিনিডিনের মতো অ্যান্টোসায়ানিন উপাদান। যা আপনার ফুসফুসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রতিরোধ করবে। ফুসফুস ভালো রাখতে এই ফলটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন আপনি।

অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েলে অ্যান্টি -ইনফ্ল্যামেটরী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই থাকায় এটি অ্যাজমা ও শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে। সালাদে কিংবা রান্নায় এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কোকো : কোকোতে থাকা উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। তাই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন নিয়মিত।

মসুর ডাল : মসুরের ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার থাকায় এটি শ্বাসযন্ত্রের নানা জটিলতা এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা হলুদ : কাঁচা হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান যেকোন ধরনের প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে ফুসফুস পরিষ্কার করে এর কার্যকারিতা বাড়ায়। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রতিদিন একটু টুকরা কাঁচা হলুদ চিবিয়ে কিংবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

গ্রিন টি : গ্রিন টি প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পলিফেনল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমায় ও এর কার্যকারিতা বাড়ায়।

আদা : অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান সমৃদ্ধ আদা ঠান্ডা, কাশি সারাতে ভূমিকা রাখে। এটি শ্বাসনালিতে জমে থাকা টক্সিনও দূর করে। তাই নিয়মিত আদা খেতেই পারেন। এতে আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বে।

মধু : মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শ্বাসতন্ত্রের নানা অস্বস্তি কমায়। নিয়মিত মধু খেলে শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতা কমে যায়।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

  দরিয়ানগরে খাল দখলের অভিযোগে প্রশাসনের অভিযানে ৮১টি পিলার উচ্ছেদ

আবু সায়েম:
কক্সবাজার সদর উপজেলার দরিয়ানগর এলাকায় ব্রীজের নিচ দিয়ে প্রবহমান বড়ছড়া নামক এলাকায় খালের উপর কংক্রিটের পিলার নির্মাণ করে খালের পানির  প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি এবং খাল দখলের অভিযোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
১৭ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৪ টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন এবং সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমীন সুলতানার নেতৃত্বে  বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ছড়ার উপর নির্মিত ৮১ টি পিলার উচ্ছেদ করা হয়। খালের পানি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করায়  বালিভর্তি জিওব্যাগগুলো কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে বাঁধ অপসারণ করা হয়।
জানা যায়, দরিয়ানগর ব্রীজের নিচে বড়ছড়া নামক এলাকায় খাল দখলের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় শ্রমিক এবং বীচকর্মীদের সহযোগিতায় ৮১ টি পিলার ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলে খালের পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করায় জিওব্যাগগুলো কেটে বালি ও মাটির সাথে মিশিয়ে বালির বাঁধ অপসারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমীন সুলতানা বলেন,  নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বড়ছড়া এলাকায় খাল দখলের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ছড়ার উপর নির্মিত ৮১ টি পিলার ভেঙে উচ্ছেদ করা হয় এবং পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করায় জিওব্যাগ কেটে বালির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।  অভিযানে অপরাধের সাথে জড়িত কাউকে আটক করা হয় নি। জড়িতদের বিরুদ্ধে
 পরিবেশ আইনের মামলা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের স্পেশাল টিমের ওসি সমীর রঞ্জন সাহা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মুসাইব ইবনে রহমান, ভূমি অফিসের নাজির আলমগীর, ব্যাটেলিয়ন আনসার, বীচ কর্মী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ নভেম্বর-২৪/মওম

তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে মহাখালীতে রেল ও সড়কপথ অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে মহাখালীতে সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশের সড়কেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচলও। ১৮ নভেম্বর সোমবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে এসে অবরোধ করেন তারা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা পৌনে এগারোটার দিকে তারা মিছিল বের করেন। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে দুপুর পৌনে বারোটার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসা আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস শিক্ষার্থীদের অবরোধ উপেক্ষা করে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়। ট্রেনটিকে শিক্ষার্থীরা থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। এসময় নারী শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে ট্রেনটি গতি কমিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

dhakapost

অবরোধের বিষয়ে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিভুক্ত সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের যে আন্দোলন চলছে সেটির সঙ্গে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা নেই। বরং তিতুমীর কলেজকেই শুধু আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন, ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’। সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, কর্মসূচিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের সব সহ-শিক্ষামূলক সংগঠনগুলোকে (ক্লাব) স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে। সরকারি তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে রূপান্তরের ৩ দফা দাবিকে ক্লাবগুলো আগে থেকেই লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছে। আমরা আজ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ পালন করব।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রুপান্তর করার দাবি পুরোনো। শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালিত হবে। আমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পিছ পা হচ্ছি না।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের একাডেমিক সব কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ নভেম্বর-২৪/মওম

আল-জাজিরাকে ড. ইউনূস, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে

আলোকিত প্রতিবেদক

আগামী নির্বাচনের সঠিক সময় কখন হবে, সে বিষয়ে তার কোনো ভাবনা আছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “না। আমার মাথায় এমন কিছু নেই।” তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হতে পারে। এটা আরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ড. ইউনূস।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এই ভিডিও সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে এই সম্প্রচারমাধ্যমটি। সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে আল–জাজিরাকে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ যেসব সংকট মোকাবিলা করছে এখন, সেগুলো নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশে চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া, আগামী নির্বাচন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সীমা কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং এটা (অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ) চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপরে নির্ভর করবে’

তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি চার বছর থাকছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমি তা বলিনি যে চার বছর। আমি বলেছি, এটা সর্বোচ্চ মেয়াদ হতে পারে। তবে আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়। আমাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা।

চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুরো সরকারব্যবস্থা সংস্কার হবে। মানুষ নতুন কিছু চায়। সেখানে সব ক্ষেত্রে সংস্কার হবে। এমনকি সংবিধানও সংস্কার হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুটো প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলছে—নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সব সংস্কার শেষ করার প্রস্তুতি।

সারা দেশ নতুন কিছু চেয়েছে জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে যাওয়া শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সাক্ষাৎকারে। প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছেন। এগুলো বাংলাদেশের জন্য উপকারী নয়। তাই ভারতের কাছে তারা এসব বিষয়ে বলছেন। তাকে আশ্রয় দিচ্ছে, ঠিক আছে। কিন্তু এমনটা হতে থাকলে তাদের কাছে আবার অভিযোগ করা হবে।

১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দেওয়া এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাক্ষাৎকারে বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. ইউনূস বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) নিজেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। এমনকি ভারতও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছে। সুতরাং আশ্রয়দাতাও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কিছু বলছে না এখন।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

ভারতের সঙ্গে মিলে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা করতে চান বলে উল্লেখ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে দুর্নীতির নিমজ্জিত ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দেশকে বের করার চেষ্টা করছে তার সরকার।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,পুরো সরকারব্যবস্থার সংস্কার হবে: আল জাজিরাকে ড. ইউনূস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো সরকারব্যবস্থার সংস্কার হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এমনকি সংবিধানও সংস্কার হচ্ছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন করা হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন,  দুটো প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলছে- নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সব সংস্কার শেষ করার প্রস্তুতি। সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৯) জাতীয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্মেলনের ফাঁকে আল জাজিরাকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন ড. ইউনূস। ১৭ নভেম্বর রবিবার এই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করে আল-জাজিরা। সাক্ষাৎকারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ যেসব সংকট মোকাবিলা করছে তা নিয়ে কথা বলেছেন ড. ইউনূস। পাশাপাশি বাংলাদেশে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, আগামী নির্বাচন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কখন হবে নির্বাচন? এ বিষয়ে ড. ইউনূসের কোনও ভাবনা আছে কি না? অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সীমা কী হতে পারে?

এসব প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপর। যদি রাজনৈতিক দলগুলো চায় সংস্কার ভুলে যাও, নির্বাচন দাও। তাহলে সেটাই করা হবে।’

তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে তিনি কি চার বছর থাকছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বলেছি, সরকারের সর্বোচ্চ মেয়াদ হতে পারে চার বছর। তবে আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়। আমাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা।’

সাক্ষাৎকারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও এসেছে। বাংলাদেশের বন্যা তথা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে হাসিনা সরকারের গত ১৬ বছরের শাসনের দুর্নীতি জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশের পানির উৎস অন্য দেশগুলো। ফলে সেই দেশগুলোর সঙ্গে পানি ব্যবস্থানার ওপর জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্র দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু দেশে নয়, পুরো বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি/দুটি কর্মসূচি নয় বরং পুরো বিশ্ববাসীকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শেখ হাসিনা বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে ‘বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। ভারত থেকে বাংলাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছেন। এগুলো বাংলাদেশের জন্য উপকারী নয়।’ ভারতকে তার এসব বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ভারতকে বলা হয়েছে, তাকে আশ্রয় দিচ্ছে, ঠিক আছে। কিন্তু এমনটা হতে থাকলে ভারতের কাছেই আবার অভিযোগ করা হবে।

ড. ইউনূস আরও বলেছেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) নিজেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। এমনকি ভারতও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছে। অথচ ভারতই তাকে আশ্রয় দিয়েছে। আশ্রয়দাতাই তাকে সাবেক বলছে।’খ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের তীব্র জলবায়ু ঝুঁকি, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ আছে কি না? যদিও ড. ইউনূস একসময় ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন, তবে তা নিয়ে চাপ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ নভেম্বর-২৪/মওম

হাসিনার বি*রুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নি*র্দেশ!

আলোকিত প্রতিবেদক

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) গণহত্যার মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তিনি এ নির্দেশ দেন।

এদিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে আজ। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো।

এর আগে কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ১৩ আসামিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে উপরের ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়। এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় তখন। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৫ সালের পর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অনেকটা গতি হারিয়ে ফেলে। তবে হাসিনা সরকার পতনের পর ফের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আ*সামিকে হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে!

আলোকিত প্রতিবেদক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে আজ। তবে অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় আজ হাজির করা হচ্ছে না সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাককে।

আজ সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

সকালেই চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। বর্তমানে অন্য মামলায় তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

যাদেরকে হাজির করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি,  শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেকমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম।

এর আগে ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের হাজির করার আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন: বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে ৫৬০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, ব্যবসায়ীর পলায়ন 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত, মানিকগঞ্জ 
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের বারাদিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম ফয়েজ আহম্মেদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। অভিযানকালে ৫৬০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। তবে পলিথিন ব্যবসায়ী মদন দাস পালিয়ে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়েজ আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে বারাদিয়া বাজারে অভিযান চালানো হয়। পলিথিন ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত কাতরাসিন গ্রামের বাসিন্দা মদন দাস পালিয়ে যায়। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। জনস্বার্থে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

গোদাগাড়ীতে ২৪ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেফতার

নাহিদ ইসলাম (রাজশাহী): রাজশাহী জেলা ডিবির অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোর সোয়া ৫টার দিকে গোদাগাড়ী মডেল থানাধীন সাহাব্দিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ২৪ কেজি তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার ধোবরা সন্নাসী গ্রামের মেছের আলীর ছেলে মাসুম (২১), একই গ্রামের গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে হোসেন আলী (৩২) ও একই থানার শ্যামপুর মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মুসলিম ফিটুর ছেলে কামাল (৩৮)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার ডিবি জানতে পারে গ্রামস্থ রুপা ইট ভাটার উত্তরপার্শ্বের ফাঁকা রাস্তা ASHOKE LEYLAND ট্রাকে করে মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁজা নিয়ে গোদাগাড়ী দিকে যাচ্ছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই নাছিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ASHOKE LEYLAND ট্রাকটি গতিরোধ করে ঘেরাও করে তল্লাশি শুরু করলে ট্রাকের সামনের কেবিনের ভিতর থাকা ৬টি প্লাস্টিকের বস্তায় থেকে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আলোকিত/১৭/১১/২০২৪/আকাশ

সাফ জয়ী বাংলাদেশকে ফ্রিজ দিয়ে সম্মাননা: ওয়ালটনের

ক্রীড়া ডেস্ক….

নেপালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান অব্যাহত রয়েছে এবার। টানা দুটি শিরোপা জিতে এবারও নগদ অর্থ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার সাফজয়ী ৩২ সদস্যকে ফ্রিজ উপহার দিয়েছে ওয়ালটন। নারী ফুটবলে দীর্ঘদিনের পৃষ্ঠপোষক এই কোম্পানি। আজ রবিবার বাফুফে ভবনে তাদের সম্মাননা জানায় ।

ওয়ালটন এর আগেও নারী ফুটবলে টিভি ও অন্য সামগ্রী উপহার দিয়েছে তারা। এবার ফ্রিজ দিয়েছে তারা ভিন্ন পদ্ধতিতে। পুরস্কার প্রাপ্তরা যে যার সুবিধাজনক অবস্থানের নিকটস্থ ওয়ালটন শো রুম থেকে ফ্রিজ সংগ্রহ করতে পারবেন।

নারী ফুটবলারদের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতের নানা পথচলা ও সমস্যার বিষয় উঠে এসেছে। নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা নারী ফুটবলারদের আরো সুযোগ-সুবিধা দিতে চাই আমরা। এজন্য সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা দরকার।’

২০২২ সালে দীর্ঘ দুই দশকের খরা কাটিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালে টানা দ্বিতীয়বার সাফ শিরোপা জয় করে ভারত ও নেপালের মতো শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে তারা দেশের সম্মান বাড়িয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি