আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 202

বাংলাদেশের ফিন্যানসিয়াল ও এনার্জি সেক্টর খেয়ে ফেলা হয়েছে: ড. দেবপ্রিয়

আলোকিত ডেস্ক:

‘বাংলাদেশের দুটো কিডনি। একটি ফিন্যানসিয়াল সেক্টর, আরেকটি এনার্জি সেক্টর। দুটোই খেয়ে ফেলেছে বিগত সরকার’, বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘যারা এনার্জি সেক্টর খেয়েছে, তারাই আবার ফিন্যানসিয়াল সেক্টর খেয়েছে।’
১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ‘মাসোহারা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে লোক রাখা হয়েছিল। তারা টাকা ছাপিয়েছে, ভুয়া রিজার্ভ দেখিয়েছে। ব্যাংক চালানোর মতো যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এমন ব্যক্তিকে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ ‘আমরা মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ে আছি। রাষ্ট্রের মেরামত যদি না হয়, দুই পয়সার সংস্কার করে কোনও লাভ হবে না। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা না গেলে, সংস্কারের পথে এগোনো সম্ভব নয়।’ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার পর, যদি দ্রুত সংস্কার না করা যায় তাহলেও এগোনো সম্ভাবনা হবে না বলেও মন্তব্য করেন সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো।

উন্নয়নের বয়ানের ব্যবস্থা করা না গেলে এগোনো সম্ভব নয় জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে প্রবৃদ্ধির তথ্য ও উপাত্তে মারাত্মক সমস্যা ছিল। তথ্যে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ ছাড়া প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে, যেখানে ট্যাক্স জিডিপি বাড়েনি। ট্যাক্স নাই, বিনিয়োগ নাই আর দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখাতে গিয়ে সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষায় গুরুতর অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংককে ডিজিটালাইজ করতে হবে অর্থনৈতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে উল্লেখ করে সেমিনারে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসাইন বলেন, ‘সরাসরি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অর্থনৈতিক সেক্টরে লুটপাট হয়েছে। যেখানে ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদরা জড়িত ছিলেন।’ অর্থনৈতিক সংস্কার ছাড়া কোনও উপায় নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, ‘বিএসইসি মার্কেট রিফর্ম করতে চায়। বর্তমান মার্কেটকে উল্লেখ্যোগ্য জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করছি।’

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর-২৪/মওম

৫ বছরের ধারা বদলে দরদের মুক্তি, যা বললেন নায়িকা অপু বিশ্বাস

বিনোদন ডেস্ক…

মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের সিনেমা ‘দরদ’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২টি দেশে একযোগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। তবে দেশে দরদের মুক্তিটা কিছুটা ব্যতিক্রম বলা চলে। কারণ প্রায় পাঁচ বছর পর প্রথমবার কোনো উৎসব ছাড়াই শাকিব খানের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।

আর এমন মুক্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শাকিব খানের সর্বাধিক সিনেমার নায়িকা ও সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস।অপু বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদের অনেক দিন পর সিনেমা রিলিজ হলো দেখলাম। দরদ আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অনেক বড় সুসংবাদ। আর শাকিবের সিনেমা নিয়ে বলার কোনো ভাষা থাকে না।

 লন্ডন, মালদ্বীপ এবং ইউএস-এর যেসব হলে দরদ মুক্তি পেয়েছে, সেগুলোতে প্রায় নব্বই শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতা অনন্য মামুন।
তবে একযোগে এতো দেশে মুক্তি পেলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুক্তি পায়নি দরদ। দুই সপ্তাহ পর ভারতীয় দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে দেখতে পারবে সিনেমাটি। দুই সপ্তাহ পর ভারতে মুক্তি দেয়ার প্রসঙ্গে নির্মাতা অনন্য মামুন জানান,দেশের সঙ্গে একই দিনে ভারতে মুক্তি দিলে পাইরেসির ঝুঁকি থেকে যেত। সে কারণে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
‘দরদ’ একটি প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা। এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। এ ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন বলিউডের রাহুল দেব, টলিউডের পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, অলোক জৈন প্রমুখ সহ আরো অনেকে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পাকিস্তান-বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল উপমহাদেশের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে গত সপ্তাহে একটি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথম কোনও পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের বাংলাদেশে নোঙর করার ঘটনা।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগকে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বড় পদক্ষেপ” হিসাবে বর্ণনা করেছে। আর এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে “ঐতিহাসিকভাবে দুর্বল সম্পর্কের” ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে। আগস্টে গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।একাত্তরের ছায়া:

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর ১৯৭১ সালের ছায়া অনেকদিন ধরেই প্রকট আকার ধারণ করেছিল। ১৯৭১ সালে ৯ মাস দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হত্যা, নির্যাতন ও নৃশংসতার স্মৃতি বাংলাদেশের জাতীয় মানসিকতায় গভীরভাবে আঁচড় কেটেছে। ঢাকা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতির জন্য পাকিস্তান কখনোই ক্ষমা চায়নি বা দুঃখ প্রকাশ করেনি। যদিও পাকিস্তান এই বিষয়টিকে মীমাংসিত ইস্যু বলেই উল্লেখ করে থাকে। পাকিস্তান মনে করে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পাকিস্তান প্রকল্প ভাঙার একটি ভারতীয় ষড়যন্ত্র। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুবই আবেগপ্রবণ একটি বিষয়। (পাকিস্তানের পক্ষ থেকে) “যথাযথ ক্ষমা প্রার্থনার” অভাবে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করা অতীতে কঠিন বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

পাকিস্তান-ভারত এবং হাসিনা:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঢাকার কিছু সরকারের অধীনে তিক্ত হয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন (১৯৯৬-২০০১, ২০০৯-২০২৪) তিনি ১৯৭১ সালে “যুদ্ধাপরাধের দায়ে” “সহযোগী” বা রাজাকারদের নির্মমভাবে বিচার করেছিলেন।যুক্তরাষ্ট্র কেন শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করল?

তিনি “যুদ্ধাপরাধীদের” বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন এবং ২০১৩ সালে এই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে। হাসিনার শাসনামলে ফাঁসি কার্যকর হওয়া অনেক বিরোধী নেতার মধ্যে তিনিই ছিলেন প্রথম। আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডকে পাকিস্তানের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই যে-১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এবং সংহতির কারণে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে”।

একইসঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসিনা নিজেই নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতেন এবং ১৯৭৫ সালে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাকে নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছিল।

 নতুন সূচনা পাকিস্তানের জন্য:

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, গত আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় আশপাশে ঘটা তিনটি ঘটনা এখন যা ঘটছে সেই প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য।

প্রথমত, হাসিনা দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার দল এবং পরিবারের অবদান থেকে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু ছাত্রদের বিক্ষোভ যেমন সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে-বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করার কৌশল কোনও কাজই করেনি।

দ্বিতীয়ত, নয়াদিল্লির সঙ্গে হাসিনার “অতি ঘনিষ্ঠ” সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভও ছিল। অনেকে মনে করতেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত খুব বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে এবং হাসিনার প্রতি প্রকাশিত ক্ষোভকে “ভারত-বিরোধী” মনোভাব হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

গত আগস্ট মাসে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজধানীতে চালু থাকা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

তৃতীয়ত, সংখ্যালঘু নিয়ে বাংলাদেশে সর্বদাই একটি আখ্যান বা বর্ণনা বিরাজমান আছে। আর সেটি ১৯৭১ সালের ঘটনাকে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিজয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নয় বরং মুসলিম জাতির ট্র্যাজেডি এবং দেশভাগের প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। ঢাকায় হাসিনা-পরবর্তী সরকার ব্যবস্থায় ইসলামপন্থি জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

আর এই সব বিষয়ই বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হাত প্রসারিত করার জন্য পাকিস্তানের পক্ষে আদর্শ পরিস্থিতি গড়ে তুলেছে। শেখ হাসিনার ঢাকা থেকে চলে যাওয়ার পরের মাসগুলোতে একাধিক পাকিস্তানি সম্পাদকীয় এবং মতামত-প্রবন্ধগুলোতে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিক বুরহানুল ইসলাম নিউজ পোর্টাল প্যারাডিজম শিফটে লিখেছেন, “স্পষ্টতই এখন সময় এসেছে বাঙালি এবং বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ১৯৭১ সালের তিক্ত অনুভূতিগুলোকে সরিয়ে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ উভয়েরই তাদের সম্পর্ক পুনর্গঠন করা উচিত।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও এখন পর্যন্ত ইসলামাবাদের বিভিন্ন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে বৈঠক করেন।

ওই বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার এবং উভয় দেশের সম্পর্কের “নতুন পৃষ্ঠা” চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর-২৪/মওম

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন ‌দি‌ল্লিতে নিযুক্ত অ‌স্ট্রিয়ার বাংলাদেশের অনাবা‌সিক রাষ্ট্রদূত ক্যাথারিনা উইজার।

১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।  বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের নিযুক্ত অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত ড.ক্যাথারিনা উইজার।

বৈঠকে উপস্থিতি রয়েছেন বাংলাদেশর অস্টিয়ার কনস্যুলার এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ফরেন উপদেষ্টা কমিটি সদস্য তাজভীরুল ইসলাম। তবে, বৈঠকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে শায়রুল কবির কিছু জানাতে পারেনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর-২৪/মওম

৩১ দফা বাস্তবায়নে দৌলতপুরে বিএনপির ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত , মানিকগঞ্জ 
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য বাঘুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৪ টার সময় বাঘুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বাঘুটিয়া বিকেএস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ কবির জিন্নাহ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো,. হাবিবুল্লাহ নোমান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জান মানিক,
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান  কুদরত, জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান ,দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম সালাউদ্দিন সেলিম, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আলামিন ও সদস্য সচিব রাজীব হোসেন,,থানা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন আহমেদ এলিট প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস. এ কবির জিন্নাহ তার বক্তব্যে বলেন- বালাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে আমাদের বহু নেতাকর্মীরা কিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সে সম্পর্কে  তুলে ধরেন। সভায় আরোও বলেন যারা এতদিন আওয়ামী লীগের দালাল ও সুবিধা বাদী ছিলেন তারা আবার আমাদের দলে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এদের দেখে সাবধানে থাকবেন কোনভাবেই যেন দলের ক্ষতি না করতে পারে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

দেশের ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো অন্যায়ের মোকাবিলা করা যায় : ড. ইউনূস

আলোকিত প্রতিবেদক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো অন্যায়, অবিচার মোকাবিলা করা যায়। শুধু তাই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমরা জুলাই-আগস্ট মাসে দেখিয়েছি।

১৬ নভেম্বর শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’-এর  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দেশ–বিদেশের ৮০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে।

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, কোনো অন্যায়, দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি, তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে, যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।

ড. ইউনূস বলেন, মাত্র একশ দিন আগে একটি অনন্য রাজনৈতিক উত্থানের সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ বছর ধরে চলা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছে ছাত্ররা। আমি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অতিথিদের একটি সদ্য উদীয়মান দেশে স্বাগত জানাই।

জুলাই বিপ্লবে প্রায় ১,৫০০ ছাত্র জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তাদের সকলকে শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা সারা জীবনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখ এবং অনেক শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই সময়ে এ ধরনের এই সমাবেশের আয়োজন করার জন্য সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজকে ধন্যবাদ জানাই।’

সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের উদ্দেশে তিনি  বলেন, ঠিক এক’শ দিন আগে এই শহরে যা ঘটে গেছে তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মে কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এই ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি। এই বিপ্লবের কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনো সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে।

সম্মেলনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম সারিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছর, উপকূলীয় জেলার মানুষগুলো নানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের প্রয়োজন।

ড. ইউনূস বলেন, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স ২৭ বছরের কম। কত বড় শক্তি। তাদের এই সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অনেক শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব। আমাদের তরুণদের শক্তি আছে বিশ্বকে টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার, আমাদের পরিবেশ রক্ষা করার। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা, সাহস এবং নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার মানসিকতা এবং অটুট বিশ্বাস। আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে নিয়ে গেছে। আসুন একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করি, একে অপরের কথা শুনি এবং পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারাসহ একটি নতুন বিশ্ব কল্পনা করার সাহস করি।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ৭৭টি সেশনে গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সমরবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার আট শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর-২৪/মওম

স্যামসন ও তিলকের জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে সিরিজ জিতল ভারত!

স্পোর্টস ডেস্ক…

ওয়ানডে ও টেস্টে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না টিম ভারতের। তবে টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো উড়ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল তারা। ঘরের মাঠে শুরু করা সেই ঝড় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও টেনে এনেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে দুইবার দুইশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিল তারা। এবার শেষ ম্যাচে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়েছে তারা। সাঞ্জু স্যামসন-তিলক ভার্মাদের ঝড়ে উড়ে গেছে প্রোটিয়ারা! রেকর্ড গড়া জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজটাও নিজেদের ঘরে তুলেছে ভারত দল।

জোহানেসবার্গে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২০ রান করেছেন তিলক। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্যামসনও। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা দল।

 

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন শুরুর পর আর ফিরতে পারেনি তারা। চাপেই যেন শেষ হয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে ১০ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটাররা।

এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও ডেভিড মিলার মিলে ৮৬ রান যোগ করে মান রক্ষা করতে পেরেছেন। তবে কতটা পেরেছেন সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে! স্টাবসের ৪৩ আর মিলারের ৩৬ রানের সুবাদে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে দলীয় রান। তবে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার এড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। ১৮ বলে ৩৬ রান করে আভিষেক শর্মা ফিরে গেলে ভাঙে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

 

ইনিংসে এরপরের গল্পটা শুধুই স্যামসন-তিলক জুটির। জোহানেসবার্গের চেনা ২২ গজে এদিন প্রোটিয়া বোলাররা বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দুই প্রান্তেই সমানতালে ব্যাট চালিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। দুজনেই পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন, একই মাইলফলক ছুঁতে তিলক খেলেছেন মাত্র ৪১ বল।

দুজনের জুটিতেও হয়েছে বিশ্ব রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের জুটি টি–টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান এটা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

গাজীপুরে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও রশি টান খেলা অনুষ্ঠিত

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ 
গাজীপুরে সদর উপজেলার নয়াপাড়া সাপ্তাহিক হাট কমিটির উদ্যোগে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও রশি টান খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ( ১৫ নভেম্বর) সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ডগরী নয়াপাড়া এলাকায় সানরাইজ মডেল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভাওয়াল মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক কবির হোসাইন মাস্টারের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুল হক মুসল্লী, গাজীপুর সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এমারত হোসেন এবং মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ জামিম উদ্দিন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল বাশার, এবং মির্জাপুর যুবদলের সদস্য সচিব জনাব মোঃ শরিফুল বাশার সজল।
অনুষ্ঠান শেষে, নয়াপাড়া গ্রাজুয়েট ফোরামের সহযোগিতায় একটি মাদকবিরোধী রশি টান খেলার আয়োজন করা হয়। “মাদককে না বলি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি” এই শ্লোগানে এ আয়োজন মাদক থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

রাস উৎসব উদযাপনে কুয়াকাটা সৈকতে পুণ্যার্থীদের ঢল

মোঃ সোহাগ (বিশেষ প্রতিনিধি): রাস উৎসব উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতে হাজার দশকের ভিড় জমিয়েছে হাজারো নারী-পুরুষ বিভিন্ন ধরনের ধর্ম বলি রাস উৎসব উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো নারী-পুরুষ। সকল জাগতিক পাপ মোচনের আশায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাস উৎসব। সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেল থেকেই সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো নারী-পুরুষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃঞ্চ মন্দিরে ভগবানকে আমন্ত্রণ, মঙ্গলঘট স্থাপন, সন্ধ্যা আড়তি, আলোচনা সভা এবং ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাতভর চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান, ভাবগত পাঠ ও মাহনাম কীর্তন।

শনিবার ভোররাতে পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তবে পূর্ণিমা চলমান থাকায় ভোরে মতুয়াসহ অনেক হিন্দু সম্প্রদায় গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন। এদিকে কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
শহরের মদনমোহন সেবাশ্রমে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শনের মাধ্যমে এ রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় শাঁক, উলুধ্বনি এবং নাম কীর্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ। পঞ্জিকা মতে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৫টা ৪৩ মিনিটে শুরু হয়েছে পূর্ণিমা। থাকবে পরদিন শুক্রবার ভোররাত ৩টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। সৈকতে আগত পুণ্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে নিযুক্ত ছিলো বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। জানা যায়, মানবতা রক্ষায় দ্বাপর যুগে কংস রাজাকে বস করে পূর্ণিমা তিথিতে ঘটে রাধা-কৃষ্ণের পরম প্রেম। সেই থেকেই মূলত রাস উৎসবের প্রচলন হয়। তবে সত্য ও সুন্দরের জয়ের আকাঙ্ক্ষায় প্রায় ২০০ বছর ধরে কুয়াকাটা ও কলাপাড়ায় রাস উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
খুলনা থেকে আসা পুণ্যার্থী সজল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আজ সকালে এখানে এসেছি। পরিবারের সব সদস্য আমার সঙ্গে রয়েছে। আগামীকাল পূর্ণিমা তিথিতে আমরা গঙ্গাস্নান করবো। তবে এ বছর এখানে আসলেও বিগত বছরগুলোতে আমরা দুবলার চরে রাস উদ্‌যাপন করেছি।’
বরিশাল থেকে আসা পুণ্যার্থী সম্রাট কর্মকার বলেন, ‘রাতভর এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। এ অনুষ্ঠান থেকে ভোররাতে পুণ্যস্নান করবো। তাই প্রতি বছরের ন্যায় বছরও কুয়াকাটায় আসা। আসা করছি পূণ্যস্নানের মাধ্যমে সকল জাগতিক পাপ দূর হয়ে যাবে।’

রাস উৎসবে অংশগ্রহণ করা সৌমির বলেন, ‘সারা বছর অপেক্ষা করি এ দিনটির জন্য। আমি ৫ বছর ধরে স্নানে আসি এবং আমি আমার মানত করা পূজা দেই গঙ্গায়। যাতে গঙ্গা মা আমাকে মঙ্গল করে।’
বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হচ্ছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এমনটাই বলেন কুয়াকাটা রাসপূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরন দাস।
কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক নেহের রঞ্জন মন্ডল বলেন, ‘গতকাল থেকেই আমাদের এখানে ব্যাপক পুণ্যার্থী এসে উপস্থিত হয়েছে। আজও অনেকে আসছে। আমরা রাতভর এখানে পূজার্চনাসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর পুণ্যার্থীদের চাপ একটু বেশি।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবীবুর রহমান বলেন, ‘গতকাল থেকেই পুরো কুয়াকাটা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতকারী যেন কোনো সমস্যা না করতে পারে সে বিষয় সজাগ রয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে আমরা ধারণা করছি তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক থানা-পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন।’
আলোকিত/১৬/১১/২০২৪/আকাশ

৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন

শম্পা দাস (কলকাতা): আজ ১৫ নভেম্বর শুক্রবার, ঠিক দুপুর ৩ টায়, কলকাতার দ্য পার্ক হোটেলে, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের উদ্যোগে, আসন্ন ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। এবং আগামী বইমেলার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলেন। তাহার সাথে একটি লোগোর শুভ সূচনা করলেন।
উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে। কলকাতার জার্মান ভাইস কনসাল মিস্টার সিমোন ক্লাইনপাস, কলকাতার গোয়েটে ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর ম্যাডাম অ্যাস্ট্রিড ভেগে, মিলিন্দ দে, রনিত দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য সদস্যগণ।
প্রতি বছর শারদ উৎসবের পর এই রাজ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, তাই এই ৪৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু হতে চলেছে ২৮ শে জানুয়ারি থেকে নয় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গনে।
এই মেলার শুভ সূচনা করবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক অন্যান্য গুণীজনেরা। সহযোগিতা করছেন, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ,নগর উন্নয়ন দপ্তর ,ফায়ার ব্রিগেড, বিধাননগর পৌর সংস্থার সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যান্য দপ্তর। তাহার সাথে সাথে পরিবহন দপ্তর ও মেট্রো পরিষেবা।
এবারে আনন্দিত পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি থেকে শুরু করে অন্যান্যরা, এবারের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ৪৮ তম বৎসরের ইতিহাসে এই প্রথম ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করছে, সাহিত্য সংস্কৃতিতে এক ঐতিহ্য মন্ডিত দেশ জার্মানি।।
প্রতিবছরের মতো আগামী ২০২৫ এর বইমেলায় যে সকল দেশ অংশগ্রহণ করছেন, তাহাদের মধ্যে গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং লাতিন আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশ।, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, তেলেঙ্গানা, কেরালা, উড়িষ্যা, ছাড়াও থাকছে লিটিল ম্যাগাজিন, প্যাভিলিয়ন চিল্ড্রেন্সসহ অন্যান্য স্টল।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক বন্ধুদের মুখোমুখি হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দুঃখিত স্টল না বারাতে পাড়ায়, কারণ আমাদের যে জায়গার পরিধি তার মধ্যেই আমাদেরকে বইমেলা করতে হয় তাই এবারও একই স্টল থাকছে, কিন্তু নতুন বইয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে, সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হবে, শুধু একটা কথাই বলতে চাননি এবারে বাংলাদেশের স্টল নিয়ে, এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি কথাই বললেন, সরকার যেভাবে অনুমোদন করবেন, আমরা সেভাবেই এগোবো, তবে এবারে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভেল, কেএলএফ অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আর ধন্যবাদ জানাবো, বইপ্রেমীদের, যাহারা বইমেলার বই কিনে, আমাদেরকে এক এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, আমরা আশা করব এবারও ভালো ফল পাবো, বইমেলায় আরো ভিড় জমবে, এবং বিক্রি বাটাও বেশি হবে। প্রতিবছরের মতো বইপ্রেমীদের জন্য সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা একই রকম থাকছে।
আলোকিত/১৬/১১/২০২৪/আকাশ