আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 203

দেশের ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো অন্যায়ের মোকাবিলা করা যায় : ড. ইউনূস

আলোকিত প্রতিবেদক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো অন্যায়, অবিচার মোকাবিলা করা যায়। শুধু তাই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমরা জুলাই-আগস্ট মাসে দেখিয়েছি।

১৬ নভেম্বর শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’-এর  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দেশ–বিদেশের ৮০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে।

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, কোনো অন্যায়, দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি, তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে, যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।

ড. ইউনূস বলেন, মাত্র একশ দিন আগে একটি অনন্য রাজনৈতিক উত্থানের সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ বছর ধরে চলা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছে ছাত্ররা। আমি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অতিথিদের একটি সদ্য উদীয়মান দেশে স্বাগত জানাই।

জুলাই বিপ্লবে প্রায় ১,৫০০ ছাত্র জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তাদের সকলকে শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা সারা জীবনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখ এবং অনেক শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই সময়ে এ ধরনের এই সমাবেশের আয়োজন করার জন্য সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজকে ধন্যবাদ জানাই।’

সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের উদ্দেশে তিনি  বলেন, ঠিক এক’শ দিন আগে এই শহরে যা ঘটে গেছে তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মে কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এই ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি। এই বিপ্লবের কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনো সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে।

সম্মেলনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম সারিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছর, উপকূলীয় জেলার মানুষগুলো নানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের প্রয়োজন।

ড. ইউনূস বলেন, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স ২৭ বছরের কম। কত বড় শক্তি। তাদের এই সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অনেক শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব। আমাদের তরুণদের শক্তি আছে বিশ্বকে টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার, আমাদের পরিবেশ রক্ষা করার। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা, সাহস এবং নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার মানসিকতা এবং অটুট বিশ্বাস। আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে নিয়ে গেছে। আসুন একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করি, একে অপরের কথা শুনি এবং পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারাসহ একটি নতুন বিশ্ব কল্পনা করার সাহস করি।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ৭৭টি সেশনে গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সমরবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার আট শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর-২৪/মওম

স্যামসন ও তিলকের জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে সিরিজ জিতল ভারত!

স্পোর্টস ডেস্ক…

ওয়ানডে ও টেস্টে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না টিম ভারতের। তবে টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো উড়ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল তারা। ঘরের মাঠে শুরু করা সেই ঝড় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও টেনে এনেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে দুইবার দুইশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিল তারা। এবার শেষ ম্যাচে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়েছে তারা। সাঞ্জু স্যামসন-তিলক ভার্মাদের ঝড়ে উড়ে গেছে প্রোটিয়ারা! রেকর্ড গড়া জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজটাও নিজেদের ঘরে তুলেছে ভারত দল।

জোহানেসবার্গে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২০ রান করেছেন তিলক। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্যামসনও। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা দল।

 

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন শুরুর পর আর ফিরতে পারেনি তারা। চাপেই যেন শেষ হয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে ১০ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটাররা।

এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও ডেভিড মিলার মিলে ৮৬ রান যোগ করে মান রক্ষা করতে পেরেছেন। তবে কতটা পেরেছেন সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে! স্টাবসের ৪৩ আর মিলারের ৩৬ রানের সুবাদে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে দলীয় রান। তবে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার এড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। ১৮ বলে ৩৬ রান করে আভিষেক শর্মা ফিরে গেলে ভাঙে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

 

ইনিংসে এরপরের গল্পটা শুধুই স্যামসন-তিলক জুটির। জোহানেসবার্গের চেনা ২২ গজে এদিন প্রোটিয়া বোলাররা বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দুই প্রান্তেই সমানতালে ব্যাট চালিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। দুজনেই পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন, একই মাইলফলক ছুঁতে তিলক খেলেছেন মাত্র ৪১ বল।

দুজনের জুটিতেও হয়েছে বিশ্ব রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের জুটি টি–টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান এটা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

গাজীপুরে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও রশি টান খেলা অনুষ্ঠিত

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ 
গাজীপুরে সদর উপজেলার নয়াপাড়া সাপ্তাহিক হাট কমিটির উদ্যোগে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও রশি টান খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ( ১৫ নভেম্বর) সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ডগরী নয়াপাড়া এলাকায় সানরাইজ মডেল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভাওয়াল মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক কবির হোসাইন মাস্টারের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুল হক মুসল্লী, গাজীপুর সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এমারত হোসেন এবং মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ জামিম উদ্দিন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল বাশার, এবং মির্জাপুর যুবদলের সদস্য সচিব জনাব মোঃ শরিফুল বাশার সজল।
অনুষ্ঠান শেষে, নয়াপাড়া গ্রাজুয়েট ফোরামের সহযোগিতায় একটি মাদকবিরোধী রশি টান খেলার আয়োজন করা হয়। “মাদককে না বলি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি” এই শ্লোগানে এ আয়োজন মাদক থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

রাস উৎসব উদযাপনে কুয়াকাটা সৈকতে পুণ্যার্থীদের ঢল

মোঃ সোহাগ (বিশেষ প্রতিনিধি): রাস উৎসব উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতে হাজার দশকের ভিড় জমিয়েছে হাজারো নারী-পুরুষ বিভিন্ন ধরনের ধর্ম বলি রাস উৎসব উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো নারী-পুরুষ। সকল জাগতিক পাপ মোচনের আশায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাস উৎসব। সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেল থেকেই সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো নারী-পুরুষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃঞ্চ মন্দিরে ভগবানকে আমন্ত্রণ, মঙ্গলঘট স্থাপন, সন্ধ্যা আড়তি, আলোচনা সভা এবং ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাতভর চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান, ভাবগত পাঠ ও মাহনাম কীর্তন।

শনিবার ভোররাতে পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তবে পূর্ণিমা চলমান থাকায় ভোরে মতুয়াসহ অনেক হিন্দু সম্প্রদায় গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন। এদিকে কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
শহরের মদনমোহন সেবাশ্রমে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শনের মাধ্যমে এ রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় শাঁক, উলুধ্বনি এবং নাম কীর্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ। পঞ্জিকা মতে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৫টা ৪৩ মিনিটে শুরু হয়েছে পূর্ণিমা। থাকবে পরদিন শুক্রবার ভোররাত ৩টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। সৈকতে আগত পুণ্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে নিযুক্ত ছিলো বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। জানা যায়, মানবতা রক্ষায় দ্বাপর যুগে কংস রাজাকে বস করে পূর্ণিমা তিথিতে ঘটে রাধা-কৃষ্ণের পরম প্রেম। সেই থেকেই মূলত রাস উৎসবের প্রচলন হয়। তবে সত্য ও সুন্দরের জয়ের আকাঙ্ক্ষায় প্রায় ২০০ বছর ধরে কুয়াকাটা ও কলাপাড়ায় রাস উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
খুলনা থেকে আসা পুণ্যার্থী সজল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আজ সকালে এখানে এসেছি। পরিবারের সব সদস্য আমার সঙ্গে রয়েছে। আগামীকাল পূর্ণিমা তিথিতে আমরা গঙ্গাস্নান করবো। তবে এ বছর এখানে আসলেও বিগত বছরগুলোতে আমরা দুবলার চরে রাস উদ্‌যাপন করেছি।’
বরিশাল থেকে আসা পুণ্যার্থী সম্রাট কর্মকার বলেন, ‘রাতভর এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। এ অনুষ্ঠান থেকে ভোররাতে পুণ্যস্নান করবো। তাই প্রতি বছরের ন্যায় বছরও কুয়াকাটায় আসা। আসা করছি পূণ্যস্নানের মাধ্যমে সকল জাগতিক পাপ দূর হয়ে যাবে।’

রাস উৎসবে অংশগ্রহণ করা সৌমির বলেন, ‘সারা বছর অপেক্ষা করি এ দিনটির জন্য। আমি ৫ বছর ধরে স্নানে আসি এবং আমি আমার মানত করা পূজা দেই গঙ্গায়। যাতে গঙ্গা মা আমাকে মঙ্গল করে।’
বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হচ্ছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এমনটাই বলেন কুয়াকাটা রাসপূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরন দাস।
কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক নেহের রঞ্জন মন্ডল বলেন, ‘গতকাল থেকেই আমাদের এখানে ব্যাপক পুণ্যার্থী এসে উপস্থিত হয়েছে। আজও অনেকে আসছে। আমরা রাতভর এখানে পূজার্চনাসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর পুণ্যার্থীদের চাপ একটু বেশি।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবীবুর রহমান বলেন, ‘গতকাল থেকেই পুরো কুয়াকাটা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতকারী যেন কোনো সমস্যা না করতে পারে সে বিষয় সজাগ রয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে আমরা ধারণা করছি তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক থানা-পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন।’
আলোকিত/১৬/১১/২০২৪/আকাশ

৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন

শম্পা দাস (কলকাতা): আজ ১৫ নভেম্বর শুক্রবার, ঠিক দুপুর ৩ টায়, কলকাতার দ্য পার্ক হোটেলে, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের উদ্যোগে, আসন্ন ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। এবং আগামী বইমেলার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলেন। তাহার সাথে একটি লোগোর শুভ সূচনা করলেন।
উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে। কলকাতার জার্মান ভাইস কনসাল মিস্টার সিমোন ক্লাইনপাস, কলকাতার গোয়েটে ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর ম্যাডাম অ্যাস্ট্রিড ভেগে, মিলিন্দ দে, রনিত দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য সদস্যগণ।
প্রতি বছর শারদ উৎসবের পর এই রাজ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, তাই এই ৪৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু হতে চলেছে ২৮ শে জানুয়ারি থেকে নয় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গনে।
এই মেলার শুভ সূচনা করবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক অন্যান্য গুণীজনেরা। সহযোগিতা করছেন, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ,নগর উন্নয়ন দপ্তর ,ফায়ার ব্রিগেড, বিধাননগর পৌর সংস্থার সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যান্য দপ্তর। তাহার সাথে সাথে পরিবহন দপ্তর ও মেট্রো পরিষেবা।
এবারে আনন্দিত পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি থেকে শুরু করে অন্যান্যরা, এবারের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ৪৮ তম বৎসরের ইতিহাসে এই প্রথম ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করছে, সাহিত্য সংস্কৃতিতে এক ঐতিহ্য মন্ডিত দেশ জার্মানি।।
প্রতিবছরের মতো আগামী ২০২৫ এর বইমেলায় যে সকল দেশ অংশগ্রহণ করছেন, তাহাদের মধ্যে গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং লাতিন আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশ।, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, তেলেঙ্গানা, কেরালা, উড়িষ্যা, ছাড়াও থাকছে লিটিল ম্যাগাজিন, প্যাভিলিয়ন চিল্ড্রেন্সসহ অন্যান্য স্টল।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক বন্ধুদের মুখোমুখি হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দুঃখিত স্টল না বারাতে পাড়ায়, কারণ আমাদের যে জায়গার পরিধি তার মধ্যেই আমাদেরকে বইমেলা করতে হয় তাই এবারও একই স্টল থাকছে, কিন্তু নতুন বইয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে, সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হবে, শুধু একটা কথাই বলতে চাননি এবারে বাংলাদেশের স্টল নিয়ে, এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি কথাই বললেন, সরকার যেভাবে অনুমোদন করবেন, আমরা সেভাবেই এগোবো, তবে এবারে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভেল, কেএলএফ অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আর ধন্যবাদ জানাবো, বইপ্রেমীদের, যাহারা বইমেলার বই কিনে, আমাদেরকে এক এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, আমরা আশা করব এবারও ভালো ফল পাবো, বইমেলায় আরো ভিড় জমবে, এবং বিক্রি বাটাও বেশি হবে। প্রতিবছরের মতো বইপ্রেমীদের জন্য সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা একই রকম থাকছে।
আলোকিত/১৬/১১/২০২৪/আকাশ

রাজশাহীতে বাসচাপায় প্রাণ গেল দুই মোটরসাইকেল আরোহীর

নাহুদ ইসলাম (রাজশাহী): রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর কাজীপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪২) ও একই গ্রামের মো. কালুর ছেলে নাজমুল হক (৩০)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে পুলিশের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ফায়ার ফাইটার মাহবুবুর রহমান নয়ন জানান, বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় থাকা রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আশরাফুল ও নাজমুল একই মোটরসাইকেলে রাজশাহীর দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই আরোহী। পরে খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। এরপর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর বাসটি শনাক্ত করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। মরদেহ আপাতত থানায় রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
আলোকিত/১৫/১১/২০২৪/আকাশ

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালু করবে সরকার!

আলোকিত প্রতিবেদক

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর এ পদক্ষেপ ব্যাকহোলিং, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকের ডেটা ব্যবহারের পাশাপাশি ডিজিটাল বিভাজন দূর করে সেতু বন্ধনে নতুন দ্বার উন্মোচনে সহায়ক হবে। কেননা এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্টারলিংক এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করতে পারে।

খসড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে ‘জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্ম নিবন্ধক’-এর অধীনে নিবন্ধিত মালিকানা, অংশীদারত্ব এবং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে এনজিএসও স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং পরিষেবাগুলো নির্মাণ, মালিকানা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১০০ শতাংশ এফডিআই বা বিদেশি অংশীদারত্ব বা যৌথ উদ্যোগ বা অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) থেকে বিনিয়োগ এনজিএসও স্যাটেলাইট সিস্টেম এবং পরিষেবাগুলো নির্মাণ, মালিকানাধীন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করতে পারবে।

খসড়া নির্দেশিকা অনুযায়ী লাইসেন্সের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এতে আরও বলা হয়, লাইসেন্সধারী নিম্নলিখিত এনজিএসও স্যাটেলাইট পরিষেবাগুলো প্রদানের জন্য অনুমোদন পাবে: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা, ইন্ট্রানেট পরিষেবা (দেশীয় ডেটা যোগাযোগ), ইন্টারনেট অব থিংস ও মেশিন-টু-মেশিন সংযোগ, গতি পরিষেবায় আর্থ স্টেশন, আর্থ এক্সপ্লোরেশন স্যাটেলাইট পরিষেবা, রিমোট সেন্সিং ও আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিষেবা এবং বিটিআরসি দ্বারা অনুমোদিত অন্য কোনো পরিষেবা।

তবে অপারেটররা সরাসরি-টু-হোম পরিষেবা, সম্প্রচার পরিষেবা, স্যাটেলাইট আইএমটি-ভিত্তিক পরিষেবা বা টেলিযোগাযোগ পরিষেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত নয়।

আবেদন বা প্রসেসিং ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে অধিগ্রহণ ফি ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক ফি ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও বার্ষিক স্টেশন/টার্মিনাল ফি ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে এখানে।

লাইসেন্সধারীকে তার বার্ষিক নিরীক্ষিত মোট রাজস্বের ৫ দশমিক ৫শতাংশ বিটিআরসিকে দিতে হবে। গ্রস রাজস্বের আরও ১ শতাংশ বাধ্যতামূলক হিসেবে ‘মহাকাশ শিল্পের উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনায় অবদান’-এর অংশ হিসাবে জমা দিতে হবে।

লাইসেন্সধারীকে অবশ্যই সেবা শুরু করার আগে বাংলাদেশের মধ্যে অন্তত একটি গেটওয়ে সিস্টেম স্থাপন করতে হবে। তবে বিটিআরসি লাইসেন্সধারীদের অতিরিক্ত গেটওয়ে স্থাপনে উৎসাহিত করছে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে স্থাপন করা যেকোনো ব্যবহারকারীর টার্মিনাল অবশ্যই এই স্থানীয় গেটওয়ের মাধ্যমে এবং পরিবেশিত হতে হবে। খসড়া অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরিষেবার জন্য এই টার্মিনালগুলো থেকে সমস্ত ট্রাফিক অবশ্যই এই স্থানীয় গেটওয়ের মাধ্যমে হতে হবে।।

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করি এই নতুন পরিষেবা চালু করার আগে জনসাধারণের পরামর্শ নেওয়ার নিয়ন্ত্রকের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। আমরা এ উদ্যোগের প্রশংসা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনসাধারনের পরামর্শ নেওয়ার এ প্রক্রিয়াটি এর ভবিষ্যত দিক-নির্দেশনা তৈরিতে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন্স শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের জীবন, সমাজ, অর্থনীতি এবং সামগ্রিকভাবে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম যে কোন নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানায় গ্রামীনফোন।’

গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা প্রদানে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর প্ল্যাটফর্ম ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (আইএসপিএবি) যে কোনো নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তার আগে এটিতে যাওয়ার আগে প্রথমে এই প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করার ওপর জোর দিয়েছে তারা।

আইএসপিএবি সভাপতি মো. এমদাদুল হক বাসসকে বলেন, দেশ ও শিল্পের জন্য উপযুক্ত হলে তারা সবসময় নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানায়।

তিনি বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে প্রযুক্তিটি দেশ ও জনগণের জন্য উপযোগী কি না তা আগে বিবেচনা করা উচিত বলে আমি মনে করি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৭ বছর আজ, ভয়াল স্মৃতি এখনো তাড়া করে উপকূলবাসীর

মোঃ কাওছার আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী
ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৭ বছর আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর)। ২০০৭ সালের এই দিনে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ভয়ানক এই ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এরপর বছরের পর বছর কেটে গেলেও অরক্ষিত রয়েছে সাগর ও নদী বেষ্টিত দ্বীপ ‘রাঙ্গাবালী’। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুর্যোগপ্রবণ এ জনপদের দুর্গম এলাকা চরনজির, চরকাশেম ও চরহেয়ার-এ এখনো বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি। এখনো পানি বাড়লে সেখানকার মানুষের জীবনের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
শুধু এই তিন চর নয় যেখানে বাঁধ আছে, সেখানকার মানুষেরও ঝুঁকি রয়েছে। কারণ উপকূলের মানুষের জানমাল সুরক্ষায় নির্মিত বাঁধগুলোর দশা অনেকটাই বেহাল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৮৭ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ বাঁধগুলোর উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৬ মিটার পর্যন্ত।
যে বেড়িবাঁধ মানুষের জানমাল রক্ষা করবে, সেই বাঁধ নিজেই অরক্ষিত। কোথাও ভেঙে আছে, কোথাও নাজুক কিংবা দুর্বল অবস্থা। আবার কোথাও উচ্চতা কম। আশি-নব্বই দশক থেকে পরবর্তীতে নির্মিত পটুয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীর বেশিরভাগ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের অবস্থা এমনই।
বহু বছর আগে নির্মিত এ বাঁধগুলোর অবস্থা এখন নাজুক। উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ারচর, বউবাজার, চরআন্ডা, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চরলতা, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া, চরইমারশন, কাউখালী, মৌডুবি ইউনিয়নের কাজিকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও বাঁধের উচ্চতা আছে এখন মাত্র দুই থেকে তিন মিটার। কোথাও বাঁধ ভেঙে আছে। কোথাও আছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। নতুন করে যেসব বাঁধ সংস্কার হয়েছে- সেগুলোও টেকসই নয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার শঙ্কা স্থানীয় মানুষের।
আগুনমুখা ও ডিগ্রি নদী ঘেঁষা চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নেছার হাওলাদার বলেন, ‘নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ আমরা। প্রতিবার বাঁধ ভেঙে বিলীন হয় বসতভিটা। এ পর্যন্ত দুইবার বাড়ির জায়গা বদলেছি। এরপর বাঁধ ভাঙলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাব সেটাই চিন্তা করতেছি। টেকসই এবং উঁচু করে ব্লক বাঁধ নির্মাণ করলে আমাদের বাঁধ ভাঙার আর কোনো ঝুঁকি থাকত না।’
ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারশন গ্রামের হেলাল খান বলেন, ‘ঝড়-বন্যা আমাদের নিত্যদিনের সাথী। সিডর, আইলা, মহাসেনসহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বাঁধ ভেঙে, বাঁধ উপচে পানি ঢুকে। পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যায়। ফসল নষ্ট হয়। ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়।’ একই ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের বজলুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের এই বাঁধের উচ্চতা অনেক কম। কোথাও কোথাও মাত্র দুই-তিন মিটার। জোয়ারের পানি বাঁড়লেই বাঁধ ছুঁইছুঁই অবস্থা। আর ঝড়-বন্যা হলে পানি ঢুকে যায়। সহায়-সম্পদের ক্ষতি হয়। তাই বাঁধগুলো উঁচু করা খুবই প্রয়োজন।’
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস যখন হয়, তখন স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বেশি থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন পানির উচ্চতা দুর্যোগকালীন সময়ে আরো বেশি হয়। যে কারণে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। আমাদের আগের বেড়িবাঁধের উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৩ মিটার থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত। উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গাবালীসহ বিভিন্ন উপজেলায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিটার উচ্চতার বেড়িবাঁধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই প্রকল্প এখনও প্লানিং পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পের ইনসেফশন রিপোর্ট তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে কাজটি যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ চলছে। এটি এখনো অনুমোদিত হয়নি। প্রকল্প অনুমোদিত হলে বিশ্ব ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো উন্নয়ন সংস্থা বাজেট দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
যেসব চরে এখনো বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব জায়গায় বেড়িবাঁধ করা সম্ভব না। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হয়। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয় কিনা সেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয় আছে। পরিবেশ ও মানুষের উপকার হয়, এমন স্থানে বেড়িবাঁধ করা হয়। সাগর ও নদী ঘেরা রাঙ্গাবালীর বাঁধগুলো স্থায়ী সুরক্ষা দেওয়ার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে এতদিন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন আমরা যেখানে জনসংখ্যা বেশি এই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সেসব এলাকার বাঁধগুলো স্থায়ী সুরক্ষার পরিকল্পনা করেছি।’
জলবায়ু গবেষক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মো. শাহরিয়ার জামান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের যত ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড খরা হওয়া, অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়া, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়। আমরা ১৯৭০ পরবর্তী অনেক ঘূর্ণিঝড় দেখেছি। এরমধ্যে শুধু সিডরেই ১০ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে। আমরা একটি গবেষণায় দেখেছি শুধু বাংলাদেশে ০.৩ মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ০.৫ মিলিয়ন মেট্রিকটন ধানের উৎপাদন কমে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার জীবন রক্ষা বাঁধগুলো সেই ৭০ দশকের পরবর্তী নির্মাণ করা হয়েছে। সেসব প্রাকৃতিকসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। যথাযথভাবে মেরামতও করা হয় না। এ কারণে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে লবণাক্ত পানি খুব সহজেই উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করে কৃষি উৎপাদনকে ব্যাহত করে। কাজেই এই বাঁধগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্লকসহ যথাযথ প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। টেকসই এবং উঁচু বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বিজয়নগরে আট কেজি গাঁজাসহ গ্রে*ফতার-২

মোঃ নিশাদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে থানা পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৮ (আট)কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ ইং সকাল ৬.৪৫ মিনিটের দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আসামী দুজন হলেন, রেহেনা বেগম প্রকাশ জোসনা (৪১),পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া স্বামী-লোকমান মিয়া ও ফাতেমা (৪০), পিতা-মৃত বিল্লাত আলী, স্বামী-আব্বাস আলী, উভয় গ্রাম-কাশিনগর (বাগান বাড়ি),ইউনিয়ন সিঙ্গারবিল, থানা- বিজয়নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পুলিশের উদ্ধৃতি থেকে জানা যায়,
বিজয়নগর থানায় কর্মরত  এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ ইউনুছ মিয়ার নেতৃত্বে এএসআই(নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল করিম ও সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজয়নগর থানার ৭নং সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর সিঙ্গারবিল রাস্তার শাহজাহান মিয়ার দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি ভারতীয় গাঁজা সহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রওশন আলী (আই জি পি ব্যাজ) বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং বিচারিক কার্যক্রমের জন্য আসামিদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নাগরপুরে বিডি ক্লিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পুকুর পরিষ্কার অভিযান

নাগরপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুকুর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযানে নেমেছে বিডিক্লিন নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠে পুকুর পরিস্কার অভিযান-২০২৪ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আরাফাত নোমান। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বিডিক্লিন টাঙ্গাইল জেলা শাখার বাস্তবায়নে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক।

বিডিক্লিন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সমন্বয়ক মির্জা মো. মাসুদ রানার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাসুম বিল্লাহ ,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক অর্থ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা- উপজেলার বিডিক্লিনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

দিনব্যাপী অভিযানে নাগরপুর উপজেলা পরিষদের পুকুরে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে বিডি ক্লিনের অর্ধশতাদিক স্বেচ্ছাসেবী সদস্য অংশ নিয়েছেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আরাফাত নোমান বলেন, বিডি ক্লিন বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সার্বিক সহযোগিতা করায় বিডি ক্লিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এবং সেই সাথে পরিচ্ছন্ন কাজ চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য,এছাড়াও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা ও মশা-মাছিসহ ডেঙ্গুর উপদ্রপ কমাতে দেশের সকল জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার খাল ও ডোবা পরিস্কার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিডি ক্লিন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা চত্বরে অবস্থিত পুকুর পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় থাকা খাল ও ডোবা পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। পরিচ্ছন্নতার এ মহা কর্মযজ্ঞে সকলের সহযোগীতা কামনা করি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি