ছাত্রদল নেতার উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা
আনোয়ারার ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকে মামলায় ফাঁসিয়ে, চাঁদা দাবির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
এম জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম
সাবিল আহমেদ সাব্বির ও সোহরাব হোসেন সৌরভ নামের বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে মামলায় ফাঁসিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি যুবদলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। অদ্য ১১ নভেম্বর ২০২৪ইং (সোমবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্ত নেতারা হলেন, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এস এম আব্দুল্লাহ হারুন চোকন, স্থানীয় বিএনপি কর্মী জসিম উদ্দিন ও মাসুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডের চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সন্মেলনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আনোয়ারা উপজেলার ১ নং বৈরাগ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাবিল আহমদ সাব্বির।
সাব্বিরের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এস এম আবদুল্লাহ্ হারুন চোকন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১১ সহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামী করে গত ২৬ আগষ্ট ২০২৪ ইংরেজি সিএমপির কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন। উক্ত মামলায় আসামী করা হয়, বৈরাগ ইউনিয়ন উত্তর বন্দর গ্রামের মৃত জাফর আহমেদের ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবিল আহমদ সাব্বির এবং সাব্বিরের শ্যালক, একই গ্রামের মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের ছেলে স্থানীয় যুবদল নেতা সোহরাব হোসেন সৌরভকে। সাব্বিরের লিখিত অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, বাদী চোকনের দায়েরকৃত মামলা থেকে সাব্বির ও সৌরভকে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে হলে যুবদলের শাহাজাহান, বিএনপি নেতা হাসান, মামলার বাদী চোকন, জসিম ও মাসুদ চৌধুরীকে চার লক্ষ টাকা করে মোট আট লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে।
এ ব্যাপারে সাবিল আহমদ সাব্বির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল্লাহ হারুন চোকন, জসিম উদ্দিন ও মাসুদ চৌধুরীদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রীতিমতো অতিষ্ঠ। তিনি আরও বলেন, দলের পদপদবী ব্যবহার করে চাঁদাবাজ চক্রটি কলকারখানায় চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব অপকর্ম করে যাচ্ছে । তাদের সব অপকর্মের ফিরিস্তি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মহোদয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এসব বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও কোনঠাসা করার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
রাজশাহীতে মালিকরা পেলেন দশ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক
নাহিদ ইসলাম, রাজশাহী: রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারের ৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্প’র আওতায় অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ ভূমি মালিককে দশ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ২২৭ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. যোবায়ের হোসেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার জানান, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ করলে ওই এলাকায় প্রকৃত মূল্যের তিনগুণ টাকা ভূমি মালিককে দেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীর ৫ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩০ জন ভূমির মালিক। আজকে তাদের হাতে দশ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ২২৭ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য যদি কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করে তাহলে সরাসরি জেলা প্রশাসককে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
এসময় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক মাজদার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্প সরকারের একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে রাজশাহী জেলার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তাই জেলার উন্নয়নের স্বার্থে আমার মূল্যবান জমি এই প্রকল্পে দিতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।
তিনি আরো জানান, কোন দালালদের মাধ্যম ছাড়া আমি নিজে গিয়ে আমার জমির সকল কাগজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছিলাম। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই আজ ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৩ টাকার চেক হাতে পেলাম। এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় নিজে উপস্থিত থেকে আমাকে চেক তুলে দেন।
আলোকিত/১১/১১/২০২৪/আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শুরু
প্রতিনিধি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
৫ আগস্টের পর প্রায় ৩ মাস সড়কের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন জাতীয় মহাসড়কের অবশিষ্ট জায়গার নির্মাণ কাজ আবারও শুরু হয়েছে। দেশের পরিবর্তিত সময়ে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকল্প চলমান এলাকা থেকে সড়কের সকল ধরনের কার্যক্রম গুছিয়ে নেওয়ায় রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা আবার ফিরে আসায় চলতি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মহাসড়কের বেহাল অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে মহাসড়কের ঘাটুরা এলাকার সেতুর নির্মাণ কাজও শুরু করেছে তারা । ফলে প্রকল্পটি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো বলা যায় এখন তা ধীরে ধীরে অনেকটা কাটতে শুরু করেছে। জানা যায়, ২০১৭ সালে একনেক প্রকল্পের আওতায় আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়। তবে তখন করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হয়। এখন বর্তমানে প্রকল্পটির ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ভারতে চলে যান। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে মহাসড়কের অন্তত ৪ কিলোমিটার অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরো বহুগুনে বাড়ে। তবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে কর্মীরা ফিরে আসতে শুরু করায় সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হয়। এ ব্যপারে,প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ জানান, এরই মধ্যে ৩০ জন ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফিরেছেন। আপাতত সংস্কার কাজ চলছে এবং পাথরসহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির পর পুরো নির্মাণ কাজ আবার পুরোদমে শুরু হবে। প্রয়োজনে প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হতে পারে বলে তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর-২৪/মওম
পটুয়াখালীতে বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মোঃ সোহাগ (বিশেষ প্রতিনিধি): জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির র্যালি।
রবিবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালী পিডিএস মাঠ থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি নিউমার্কেট চত্বর শহরের প্রধান সড়ক হয়ে বনানী মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। বিএনপির র্যালিতে আকর্ষন হিসেবে দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অভিনয়ের ডিসপ্লে প্রতিযোগিতা করেন, তাছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে থাকে বৈষম্যবিরধী ছাত্র আন্দোলনের গণ-অভ্যুত্থানের পালিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা ও ছাত্র হত্যাকারি ডিবি হারুন কে গ্রেফতার করে জেলে হাজতের প্রদর্শনী। বিভিন্ন সাজসজ্জার মধ্যদিয়ে এদিনটিকে স্বরণ করে রাখবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি ওতার অঙ্গ সংগঠনগুলো।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাক আহম্মেদ পিনু,এড. মজিবর রহমান টোটন, দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু মিজানুর রহমান, থানা বিএনপির সভাপতি কাজি মাহাবুব আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. হুমায়ুন কবির, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আল আমিন, শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদুর রহমান খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মনির মাহমুদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা সিমা, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রুমা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাহিন, সাধারন সম্পাদক শাহআলম হাওলাদার, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, ও বিএনপির সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের থানা পৌর ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
আলোকিত/১১/১১/২০২৪/আকাশ
কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত-১, আহত-৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের তুমুল সংঘর্ষ এবং বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এই ঘটনায় ভারতের সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ সেনাসদস্য। উপত্যকাটির কিশতওয়ারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ১১ নভেম্বর সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মিরের কিশতওয়ারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় এক সেনা নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ কর্পস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, শনিবার কিশতওয়ারের ভরত রিজে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) নায়েব সুবেদার রাকেশ কুমার নিহত হয়েছেন।
এনডিটিভি বলছে, সম্প্রতি দুই গ্রাম প্রতিরক্ষা গার্ড (ভিডিজি) নিহত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনুসন্ধানের মধ্যে “সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানটি” শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মূলত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভিডিজিদের অপহরণ করে হত্যা করার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কুন্তওয়ারা এবং কেশওয়ানের জঙ্গলে ব্যাপক অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়। হিমালয় অঞ্চলের ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মিরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে পাকিস্তান। ১৯৮৯ সালে জম্মু-কাশ্মিরে ভারত-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে অসংখ্যবার সহিংসতা ঘটেছে।
দশকের পর দশক ধরে চলে আসা এই সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে আগের তুলনায় জম্মু-কাশ্মির উপত্যকায় সহিংসতার ঘটনা কমেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর-২৪/মওম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওসির ক*বজি কাম*ড়ে পালালেন যুবলীগ নেতা!
আলোকিত প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়াকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ সদস্য।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- নবীনগর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সামিম ভূঁইয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রমজান চৌধুরী, মো. আবদুর রশিদ, আবুল কালাম ও বিল্লাল হোসেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আসামি হালিম মিয়া রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, হালিম মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও পুলিশ আহত করার ঘটনায় মামলা আছে আরো। এছাড়াও তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলার আসামিও। রবিবারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হালিম মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ওসি মো. হুমায়ূন কবির ১২ সদস্যের দল নিয়ে খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হামিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। পুলিশের ভ্যানে উঠানোর সময় হালিমের লোকজন পেছন থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ওসি মো. হুমায়ূন কবিরের বাঁ হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যান হালিম।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাধা দেওয়াসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে এসআই নাসির উদ্দিনকে দা দিয়ে কোপ দেন হালিম মিয়া। হামলায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে এসআই নাসির উদ্দিনের মাথায় আটটি সেলাই লেগেছে।
ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, “হালিম একজন ডাকাত। তার বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা আছে। এছাড়া চাঁদাবাজির মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে। তাকে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তোলার সময় পেছন থেকে তার লোকজন হামলা চালায়। হালিম অনেক শক্তিশালী হওয়ায় আমার হাতের কবজিতে কামড়সহ পুলিশের আরেক সদস্যের মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা পেলেন রাজশাহী বিআরটিএ’র অনুদান
নাহিদ ইসলাম (রাজশাহী): রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত আরও দুজনকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
রোববার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড থেকে এ অনুদান বিতরণ করা হয়। দুপুরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেল যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আহত ও নিহত সাতজনের পরিবারের সদস্যদের হাতে ৩২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।
বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) আব্দুর রশিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর্জা ইমাম, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পাঁচ লাখ টাকার চেক পান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আয়েশা বেগম। তিনি জানান, তাঁর স্বামী দুরুল হোদা চালক ছিলেন। গতবছর এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। এরপর প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে তিনি ভীষণ বিপদে আছেন। এখন এই পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে নিজে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানের চিকিৎসা করাবেন।
আলোকিত/১১/১১/২০২৪/আকাশ
বাকুর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
আলোকিত ডেস্ক:
জলবায়ু সম্মেলনে কপ-২৯ যোগ দিতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১১ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনে উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন।’
তিনি জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে-এসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।
তিনি আরও যোগ করেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে , সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর-২৪/মওম
জামায়াত নেতাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো। ১১ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সিঙ্গাপুর সিটি নামেও পরিচিত এ উন্নত দেশটি ৬৪টি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটি উন্নত রাষ্ট্রের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চলছে। আমরা বিশ্বাস করি এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যেটার জন্য দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। কিন্তু বিগত সরকারগুলো সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিলেও এর সুফল জনগণ ভোগ করতে পারেনি। যার ফলে দীর্ঘসময় পর হলেও একটা বড় সফল গণআন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। যেটাকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করছি। তবে এটা বাস্তবায়ন হবে না যতক্ষণ দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চেষ্টা করছেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যেন সংস্কার কার্যক্রমগুলো ভালোভাবে চলে। কিছু এগিয়েছে, আরও বাকি আছে। এরই মধ্যে কিছু দল সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী আরও কাজ করছে। চেষ্টা করছি, আশা করছি খুব শিগগিরিই দেশে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাহলেই দেশে শান্তি ও সুফল আসবে বলে জামায়াতে ইসলামী মনে করে। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, আমরা বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ, ছাত্র-জনশক্তি যারা সেখানে কাজ করছে তা যেন আরও মজবুতভাবে এগিয়ে নিতে পারি সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। উচ্চ বৃত্তিসহ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠানো, জনশক্তি রপ্তানি যেন আরও বেশি করতে পারি সে ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার জন্যে আমরা কিছু পরামর্শ রেখেছি। গত গণআন্দোলনে আহত, হাতপা, চোখসহ অঙ্গহানির শিকারদের সুচিকিৎসা এবং আর্টিফিসিয়াল অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ব্যক্তি ও সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার।
সাক্ষাৎকালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার এবং মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর-২৪/মওম