আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2129

ফের ছুটি বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনা সোমবার (১৫ জুন) শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করার কথা রয়েছে। শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ২৮ মে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এই ছুটির শেষ দিনে আবারও ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘চলতি মাস (৩০ জুন) পর্যন্ত ছুটি বাড়ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আজ (রবিবার) কথা হয়েছে। কাল সিদ্ধান্ত নেবো।’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। গত ১৭ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ছুটি বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবনা রয়েছে। একটি হলো ৩০ জুন পর্যন্ত এবং আরেকটি হচ্ছে ৩০ জুনের পরও ছুটি বাড়ানো। তবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ভিডিও ক্লাস চলছে। এই নামে একটি ওয়েব পোর্টালও ডেভেলপ করা হচ্ছে।

‘আত্মহত্যা’ করলেন বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত

::বিনোদন ডেস্ক::

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন, এমনটাই বলছে মুম্বাই পুলিশ। ঘটনা রোববার (১৪ জুন) সকালের। বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তার মরদেহ। ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি গত ছয় মাস ধরে হতাশায় ভুগছিলেন। তার বন্ধুরাও বলেছেন একই কথা। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
বড় পর্দায় ব্যস্ত হওয়ার আগে সুশান্ত ছোট পর্দায় বেশ নাম করেছেন সিরিয়ালের মাধ্যমে। বিশেষত ‘পবিত্র রিশতা’ তাকে এনে দেয় তারকা খ্যাতি। চেতন ভগতের বেস্ট সেলিং বই ‘দ্য থ্রি মিস্টেকস অব মাই লাইফ’ অবলম্বনে অভিষেক কাপুরের ‘কাই পো চে’ দিয়ে সুশান্তর বড় পর্দায় অভিষেক হয়।
২০১৩ সালের ‘কাই পো চে’র পরে সুশান্ত বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের ছবিতে কাজ করেছিলেন। থিতু হয়েছেন বলিউডে।
শ্রদ্ধা কাপুরের বিপরীতে তাকে ‘ছিচোরে’তে দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ।
প্রসঙ্গত, এই অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা স্যালিয়ানকে কিছু দিন আগে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।

রেড জোনে  ঢাকার ৪৫ এলাকা, সারা দেশে আরও ১৪

::তুষার আহসান::

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকা ‘রেড জোন’ চিহ্নিত হয়েছে বলে। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ এলাকা ছাড়াও দেশের আরও তিনটি জেলার বিভিন্ন এলাকা রয়েছে রেড জোনে। যার মধ্যে গাজীপুরের সব উপজেলা রেড জোনের আওতায় পড়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটি এই তালিকাপ্রস্তুত করেছে। জনসংখ্যার অনুপাতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেশি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। চিহ্নিত এলাকায় কবে থেকে লডডাউন শুরু হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলেননি কেউ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউনের জন্য এলাকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটা চূড়ান্ত করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর লকডাউন কার্যক্রম শুরু হবে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি’ এসব এলাকায় লকডাউন দেওয়া হবে।

কবে থেকে লক ডাউন হচ্ছে রেড জোনে এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার  জানান, তারা প্রস্তুতি শেষ করেছেন, এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছেন। লক্ডাউন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করছে তা কবে থেকে হবে। তিনি বলেন, ‘কাল থেকে লকডাউনে যেতে পারবে, এমন আমি শুনি নাই। আমরা এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। বাস্তবায়ন করবে সেসব সংস্থা, তাদের প্রস্তুতি থাকলে তা কাল থেকেই হতে পারে। দুদিন পরেও হতে পারে। তবে ঢাকায় প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে শনিবারের সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপার মিলে এসব জোনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে লাল এলাকা চিহ্নিত করবেন।

ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে গত ১৪ দিনে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে, সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই অনুপাত লাখে ১০। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি ‘রেড জোন’র মধ্যে দক্ষিণে ২৮টি এবং উত্তরে ১৭টি এলাকা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার রয়েছে ১১টি এলাকা।

এসব এলাকায় সোমবার থেকেই লকডাউন হবে কি না- জানতে চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন  জানান, তালিকা তারা পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে। এটা এখনও খসড়া তালিকা, চুড়ান্ত কোনো নয়। এটা নিয়ে আমরা স্টাডি করছি। এলাকাগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আর এসব এলাকায় কাল থেকে লডডাউন হবে কি না এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই।’

রোববার (১৪ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সারাদেশে যে অবস্থায় ছিল, ঠিক একই অবস্থা চলমান থাকবে।’ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‌‘এখন আমরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভিত্তিতে জোনিং করেছি। অধিক সংক্রমিত এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে এসব স্থানে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

ঢাকা দক্ষিণের যেসব এলাকা

যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

ঢাকা উত্তরের যেসব এলাকা

বসুন্ধরা, গুলশান, বাড্ডা, ঢাকা সেনানিবাস, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

চট্টগ্রামের যেসব এলাকা

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালীর ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

এছাড়া

আরও তিনটি জেলার কয়েকটি উপজেলা ‘রেড জোন’র আওতায় পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এবং পুরো সিটি করপোরেশন এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাজীপুরের সব উপজেলা রেড জোনের আওতায় পড়েছে। নরসিংদীর সদর মডেল থানা, মাধবদী ও পলাশ এলাকা পড়েছে রেড জোনের মধ্যে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চের পর থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়। পরে সংক্রামণ ঠেকাতে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তার ভিত্তিতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলকভাবে অবরুদ্ধ রয়েছে।

লকডাউনে স্বাস্থ্য, খাদ্য ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা

‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকা ১৪-২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হবে। লকডাউন পরিপালন হচ্ছে কি না তার জন্য পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং কমিটি করা হবে। রেড জোনে থাকা কেউ যাতে ওই এলাকার বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরের লোকজন যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নেবে। একেবারে বড় ধরনের প্রয়োজন ছাড়া ওই এলাকা থেকে কেউ বের হতে বা ঢুকতে পারবে না। শুধু ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকবে। কাঁচাবাজার, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, শপিং মলসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করবে। আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে রাখা এবং আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। জনসমাগম এড়াতে কাঁচাবাজার বন্ধ রেখে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান ও মাথায় ডুলি নিয়ে চলা ফেরিওয়ালাদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া হবে।

বগুড়ায় যুবলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

সংবাদদাতা বগুড়া : বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় প্রকাশ্যে দিন দুপুরে যুবলীগ নেতা আবু তালেবকে (৩০) গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দুপুর অনুমা দেড়টায় আকাশতারা এলাকায় তার নিজ বাড়ীর নিকটে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত আবু তালেব আকাশতারা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। বর্তমানে সে বগুড়া শহর যুবলীগের সাবগ্রাম বন্দর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আবু তালেব সাবগ্রাম বাজার থেকে বাজার করে বাড়ী ফিরছিলেন। বাড়ী থেকে অল্প কিছু দ‚রে একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে। এরপর তাকে টেনে হেঁচড়ে রাস্তার পাশে একটি কচুক্ষেতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আকাশতারা এলাকায় দিনের বেলা এই হত্যাকান্ডের সময় বগুড়া-গাবতলী সড়ক দিয়ে অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করলেও কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। নিহত আবু তালেব বগুড়া শহরের হকার্স মার্কেটে ব্যাগের ব্যবসা করতেন। এছাড়া তিনি আকাশতারা এলাকায় বালু ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলেন।
আরও জানা যায়, ২০১৫ সালে আবু তালেবের ঘনিষ্ট বন্ধু যুবলীগ নেতা মানিক খুন হন। সে সময় মানিক হত্যা মামলার আসামী আল আমিন নামের এক যুবককে ধরে মারপিট করে পা ভেঙ্গে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন আবু তালেব। সেই আল আমিন ও তার সহযোগী রাফি গত শুক্রবারে একই এলাকায় সংঘটিত শাকিল হত্যা মামলার আসামী হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আল আমিনের সহযোগী রাফিও যুবলীগ নেতা মানিক হত্যা মামলার আসামী ।
আবু তালেব হত্যাকান্ডের পর বগুড়ার মানবিক পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভ‚ঞা বিপিএম (বার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এ প্রতিবেদক-কে বলেন, হত্যাকান্ডের কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। দিনের বেলা এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ায় অনেকেই খুনিদের দেখেছেন। সেই প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে। নিহত আবু তালেবের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ জুন-২০২০/জেডএন

গাইবান্ধায় নকল নারী পুলিশ আটক

সংবাদদাতা, গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় শিখা (২৬) নামে এক নকল নারী পুলিশকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। রোরবার সকালে শহরের বাসটার্মিনাল এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত নকল পুলিশ সদস্যের বাবার বাড়ি রাজশাহী জেলার রাজপাড়া উপজেলার বাসুয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শিখা নকল পুলিশ সেজে দ্রব্যাদী ক্রয় করে থাকে এবং নিজেকে পুলিশ হিসাবে তাকে বিশ্বাস করাতে দোকান থেকে বাঁকিতে পুলিশি রংয়ের কাপড় কিনে পার্শ্ববর্তী টেইলার্সে তৈরি করতে দেয়।
বেশ কিছু দিন পার হলেও তাকে খুঁজে পায় না দোকানদার। কয়েকদিন পরে আবারো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার আচরণে ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী। এর প্রেক্ষিতে তাকে আটক করে পুলিশ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো: শাহরিয়ার বিষয়েটি নিশ্চিত করে আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, অভিযুক্ত নকল নারী পুলিশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফরিদপুর মধুখালীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সংবাদদাতা,ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালীতে কোরকদি ইউনিয়নের বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুকুল হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন ও ঘরবাড়ী ভাংচুরের প্রতিবাদে ও চেয়ারম্যানের বিচার এবং অপসারনের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (১৪ জুন) রোববার বেলা সাড়ে ১২ টায় কোরকদি ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের দাউদের চাতালের সামনে ঘন্টা ব্যাপি প্রায় অর্ধসহাশ্রাধিক মানুষের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে চেয়ারম্যান মো. মুকুল হোসেনের অপসারণ , বিচার এবং সাধারন মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সোহরাব হোসেন শেখ, ভুক্ত ভোগি মো. আবুল হাসেম শেখ, মোঃ কুরাদ মুন্সী,আয়সা বেগম,সুমাইয়া, মুন্নী,আংগুরা বেগমসহ অনেকেই। মানববন্ধন পরবর্তী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ৯ জুন রোপনকৃত মরিচ গাছের ক্ষতিসাধনকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। উপজেলার কোরকদি ইউনিয়নের চরবাশপুরের আব্দুর রহমানের রোপনকৃত মরিচের চারা বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন উঠিয়ে ফেলে। উক্ত ঘটনায় মধুখালী থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার পর মকুল বাহিনী তাদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সন্ত্রাসী হামলায় আব্দুর রহমান, সিদ্দিক মুন্সী ও মোসাঃ ছবেদা বেগম গুরুতর আহত হয়। বর্তমান আহতরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।তাদের অবস্থা আশংকাজনক।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ জুন ‘২০/এসএএইচ

টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি : প্রথম শতক ৭৯ দিনে, দ্বিতীয় ১১ দিনে, তৃতীয় ৯ দিনে

সবুজ সরকার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর এই সংক্রমনের উর্ধ্বগতিতে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন জেলার সতেচন মহল। টাঙ্গাইলকে পরিপূর্ণ কঠোর লকডাউনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

টাঙ্গাইলে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ০৮ মার্চ। সেই দিন থেকে ৭৯তম দিনে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একশ’তে পৌঁছায়। আর তার ১০ দিন পর অর্থাৎ ৫ জুন জেলার আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ’ পেরিয়ে হয় ২১৯ জনে। আর তার ৮ দিন পর অর্থাৎ ১৪ জুন জেলার আক্রান্তের সংখ্যা তিনশ’ পেরিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত টাঙ্গাইলবাসী।

আজ রোববার (১৪ জুন) তারিখ পর্যন্ত জেলার মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ৩১৯ জন। এর মধ্যে মির্জাপুর ৭৫, সদর ৪৬, নাগরপুর ৩২, কালিহাতী ৩০, মধুপুর ২৮, দেলদুয়ার ২৬, ঘাটাইল ১৯, ধনবাড়ী ১৮, গোপালপুর ১৭, ভূঞাপুর ১২, সখিপুর ১২ এবং বাসাইল ৪।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, প্রথমদিকে টাঙ্গাইলকে যেভাবে লকডাউনের আওতায় হয়েছিল তাতে করে টাঙ্গাইলের করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে লকডাউন শিথিল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর থেকে লোক প্রবেশ করায় সংক্রমনের হার দ্রæত গতিতে বেড়ে যায়। এই মূহুর্তে টাঙ্গাইলকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা দরকার।

অপরদিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলছেন যে, টাঙ্গাইলের সংক্রমনের হার সত্যিই উদ্বেগজনক। প্রথমদিকে জেলার আক্রান্তের হার পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সপিং মল খুলে দেয়া ও বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজনের আসা-যাওয়ায় সংক্রমনের হার অতি দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিষয়ে অঞ্চল ভিত্তিক লকডাউন করে প্রাথমিক ভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। তবে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সংক্রমনের উর্ধ্বগতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় ভাবে টাঙ্গাইলকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম দিকে আক্রান্তের হার কম থাকলেও বর্তমানে আক্রান্তের হার খুবই বেশি। জেলার সব মহলের সাথে আলোচনা করে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান মুঠো ফোনে জানান, পরিস্থিতি প্রথম দিকে ভালো থাকলেও পরবর্তী সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ, খোলা-বন্ধ ও সেই সময় মানুষের এলোমেলো চলাফেরা ফেরা সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকার নির্দেশিত রেড, ইয়োলো ও গ্রীণ জোন সঠিক ও কঠোর ভাবে মেনে চললে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ জুন-২০২০/জেডএন

জোটকে সংহত করতে মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন অনন্য: তথ্যমন্ত্রী

::  নিজস্ব প্রতিবেদক::
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটকে সংহত করতে মোহাম্মদ নাসিমের অনন্য ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। রোববার (১৪ জুন) বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া শেষে একথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নেতা সবার শ্রদ্ধাভাজন জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলীর সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ নাসিম যে শুধু আমাদের দলের নেতা বা সাবেক মন্ত্রী ছিলেন, তা নয়, তিনি দেশের একজন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং তার মৃত্যু দেশ, রাজনীতি ও একইসাথে আওয়ামী লীগের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মৃত্যুতে আমরা একজন একনিষ্ঠ কর্মী, নেতা ও আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনকে হারিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলকে সংহত করতে মোহাম্মদ নাসিমের ভূমিকা ছিল অনন্য। তার মৃত্যু দেশ, রাজনীতি ও একইসাথে আওয়ামী লীগের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’

তথ্যমন্ত্রী এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন, গত রাতে হঠাৎ করে আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে এসেছেন ও দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুও আমাদের দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।প্রকৃতপক্ষে একইদিনে আমরা আমাদের দু’জন নেতাকে হারালাম, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং এ বেদনা ঢেকে রাখা সম্ভব নয়।’

তথ্যমন্ত্রী এসময় স্বাস্থ্য সচিবের সদ্যপ্রয়াত স্ত্রী এবং সম্প্রতি মৃত্যুবরণকারী সবার আত্মার শান্তি কামনা করেন।

‘কালো তালিকাভুক্ত’ করতে ১৪ ঠিকাদারকে চিঠি

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি-অনিয়মে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে গত ৯ জুন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব হাসান মাহমুদের স্বাক্ষরে এক চিঠিতে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ‘অসাধু’ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক মামলা থাকা এবং তাদের কালো তালিকা করতে দুদকের সুপারিশের কথা উল্লেখ করা হয়।

যাদেরকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তারা হলেন- রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্বত্ত্বাধিকারী রুবিনা খানম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষক মো. আবজাল হোসেনের স্ত্রী। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা পাচার এবং ৩৪ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছিল দুদক। এছাড়া মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফররুখ হোসাইন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড মেসার্স এস কে ট্রেডার্সের মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মো. জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মো. আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্সের মো. মিন্টু, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. আব্দুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ইউনির্ভাসেল ট্রেড কর্পোরেশনের মো. আসাদুর রহমান, এ এস এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ এবং ব্লেয়ার এভিয়েশনের মো. মোকছেদুল ইসলামকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান  বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির দায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করতে দুদক আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আমরা সেটা অনুসন্ধান করে দেখব। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা এখনই বলতে পারব না।’

গত ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে একটি চিঠি দেয় দুদক। দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের স্বাক্ষরে ওই চিঠির অনুলিপি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেও দেওয়া হয়। দুদকের অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে কতিপয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে এমএসআর, ভারী যন্ত্রপাতি, সেবা ইত্যাদি ক্রয় করে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মালামাল সরবরাহ না করেও বিল পরিশোধের ঘটনা ঘটেছে বলে চিঠিতে বলা হয়।

চিঠি অনুযায়ী, ‘অসাধু ঠিকাদারগণ সিন্ডিকেট গঠন করে এ ধরনের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ায় প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে বর্ণিত সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ক্ষতিসাধনসহ আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়।’ সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরাসহ কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনা এবং দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে ওইসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ স্বত্ত্বাধিকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে সুপারিশ করা হয় ওই চিঠিতে।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত  বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও অনিয়ম দেখার জন্য আমাদের একটি প্রাতিষ্ঠানিক টিম আছে। এই টিমের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যখাতের নানা দুর্নীতির ঘটনায় বেশকিছু মামলা করা হয়েছে। আবার টিমের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা বিভন্ন সময় সরকারকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।’

নাটোরের বড়াইগ্রামে মাইক্রোবাস- ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত-১

সংবাদদাতা,নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের মাইক্রোচালক নিহত হয়েছে। আজ (১৪ জুন) রবিবার ভোর ৬ টার দিকে নাটোর-বন পাড়া মহাসড়কের গড়মাটি কদমতোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত চালক চট্রগ্রাম জেলা মিরশরাইল উপজেলার মিসরাই গ্রামের মরহুম মখলেসুর রহমানের ছেলে। বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা থেকে চট্রগ্রামগামী মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো ঢ ১৬-০৬৩৫) নাটোর থেকে পাবনা গামী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ২২-৪৫৪৬) গড়মাটি কদমতোলা পৌছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোচালক নিহত হয়। বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন,মাইক্রোবাসটি পাবনার ঈশ্বরদীতে যাত্রী নামিয়ে ঢাকায় ফিরছিলো। মাইক্রোবাস ও ট্রাক আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ জুন ‘২০/এসএএইচ