আজ শনিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2136

বিশেষ পরিকল্পনায় আগামী বছর থেকে মশার উপদ্রব কমবে, আশা তাপসের

::জোছনা মেহেদী::
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন- ডিএসসিসি এলাকায় মশা নিধনে বছরব্যাপী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী বছর থেকে মশার প্রজনন ব্যাপক আকারে কমবে বলে আশা করছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার সকালে লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্কে ‘বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম’ উদ্বোধন করতে এসে তিনি বলেন, মশা নিধনে গতানুগতিক কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে এসেছে ডিএসসিসি। পুরো পরিকল্পনাটি উপর থেকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। নতুন এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আজ  থেকে শুরু হল। এটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে চলবে।’

মেয়র জানান, প্রতি ওয়ার্ডে আটজন করে কর্মী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং করবেন। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ১০ জন কর্মী দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফগিং করবেন। তিনি বলেন, এ পুরো কার্যক্রমের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সম্পৃক্ত থাকবেন। এ কার্যক্রম যথাযথভাবে চললে আশা করছি আগামী বছর থেকে মশার প্রজনন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। নগরবাসী ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হোক তা আমরা চাইনা। এ কারণেই করোনার এ মহামারীর মধ্যেও মশক নিধন কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে।

আগামী ১৪ জুন থেকে ডিএসসিসি এলাকার জলাশয় এবং নর্দমা পরিষ্কার শুরু হবে। জলাশয়ে তেলাপিয়া মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস পালনের উদ্যোগের কথা জানান তাপস। ‘এতে জলাশয় সচল থাকবে ফলে মশার লার্ভা থাকতে পারবে না’, বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্‌ মো. ইমদাদুল হক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মকবুল হোসেন এবং ডিএসসিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হেফাজত আমির আহমদ শফী আইসিইউতে

::সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম::

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির শাহ আহমদ শফী। রোববার রাত ৮টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৯৫ বছর বয়সী আহমদ শফিকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে তার ছেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানী জানিয়েছেন। তিনি  বলেন, “পেটের পীড়াসহ বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ভুগছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’ তবে ভর্তির পর তার বাবার শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলে জানান আনাস মাদানী।

বয়ঃবৃদ্ধ আহমদ শফী এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাকে সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল হজম এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এর তিন দিন পরেই তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

হাটহাজারীর কওমি মাদ্রাসা দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের মহাপরিচালক শফী তার ঘরানার মানুষের কাছে যেমন শ্রদ্ধেয়, তেমনি নারীবিরোধী নানা বক্তব্যের কারণে অন্য মহলে সমালোচিত।

করোনাকালীন সময়ে পাঁচ দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করত জালিয়াত চক্র

  ::নিজস্ব প্রতিবেদক::

অন্তত ৩০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল পাঁচটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ও কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। আগের রাতে ঢাকা ও ফরিদপুর থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতারের পর রোববার দুপুরে কারওয়ানবাজারে মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাজমুল জমাদ্দার (১৯),  হাসান মীর (১৮), ইব্রাহিম মীর (১৮), তৌহিদ হাওলাদার (২৩), মোহন শিকদার (৩০),পারভেজ মীর (১৮), সোহেল মোল্যা (২৬),  মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫),সৈয়দ হাওলাদার (২০), বাকির হোসেন (২৪),মোহাম্মদ আলী মিয়া (২৬), পলাশ তালুকদার (৩৪), মো. ইমন (২৫)। এদের সবার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। তাদের কাছে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২ টাকা, ৩১টি মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ,দুটি ট্যাব, ১২০টি সীম, একটি রাউটার ও একটি টিভি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘একজন মাস্টারমাইন্ড পুরো প্রতারক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এই চক্রের ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। চক্রটি হান্টার, স্পুফিং, কাস্টমার কেয়ার, টাকা উত্তোলন ও পর্যবেক্ষক দলে ভাগ হয়ে প্রতারণার কাজ করে থাকে। প্রতিটি গ্রুপ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে থাকে। হান্টার গ্রুপ বিভিন্ন নম্বর ও ওই নম্বরের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। স্পুফিং গ্রুপের কাজ হলো নম্বর ক্লোন করা। ফেইক কাস্টমার সেন্টারের কাজ বিভিন্ন নম্বরে ফোন করে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে পিন কোড নেওয়া। উত্তোলন দলের কাজ হলো বিভিন্ন জায়গায় তাদের লোক বসিয়ে টাকা তুলে নেওয়া। ওয়াচম্যানের কাজ হলো- বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট পানের, মুচিসহ বিভিন্ন দোকান নিয়ে বসিয়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতি বা গতিবিধি দেখা।’ লটারি জেতা ও তার জন্য কুরিয়ারের চার্জের কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নেয় বলে তিনি জানান।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং করতে গিয়ে প্রতারণা শিকার হচ্ছেন অনেক মানুষ। আর করোনাভাইরাসের সময় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনে বেড়ে যাওয়ার সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে এই প্রতারক চক্র। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ১৩ জন আগে কখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এদের মধ্যে মোহন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, গত দুই মাসে সে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’

বাংলার মানুষের মুক্তি উদ্ভাসিত হয়েছিল ৬ দফায় : প্রধানমন্ত্রী

 ::নিজস্ব প্রতিবেদক::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তান আমলে নিপীড়ন, নিষ্পেষণ, শোষণ, বঞ্চনা থেকে বাঁচতে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। করোনাভাইরাস সঙ্কটকালে অনলাইনে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘৬ দফা দাবিটা জনগণ এমনভাবে লুফে নিয়েছিল, আমি জানি না, পৃথিবীর কোনো দেশে এত দ্রুত কোনো দাবি এত বেশি জনপ্রিয়তা পেতে পারে।’ পাকিস্তান আমলে ভাষা অধিকার বঞ্চিত হওয়া থেকে শোষণ-নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে ছয় দফা দাবিতে বাংলার মানুষের এক হওয়ার দিকটি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলার মানুষ এটা নিয়েছিল তাদের বাঁচার অধিকার হিসেবে। এই দেশের মানুষ এত দ্রুত ৬ দফাকে সমর্থনই শুধু করেনি, তারা স্বায়ত্তশাসনের এই দাবিকে নিজের দাবি হিসেবে গ্রহণ করল। বাংলার মানুষের মুক্তির দাবি হিসেবে এই ৬ দফা সকলের সামনে উদ্ভাসিত হল।’

স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তিনি ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এই ৬ দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করে এবং ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয়।

বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯৬৬ সালের ৭ জুন কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে নিহত শ্রমিক নেতা মনু মিয়া, আবুল হোসেন, শফিক, শামসুলসহ যারা জীবন দিয়েছিলেন তাদের স্মরণ করেন। ৬ দফা দাবির পটভূমি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “এই দাবির মূল বক্তব্য ছিল যে প্রদেশ হিসেবে এই দেশের, আমাদের দেশের মানুষকে সুরক্ষিত করা, অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করা, বাংলাদেশের এই অঞ্চল অর্থাৎ এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নতি এবং প্রতিরক্ষার দিক থেকে এই অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা। সেই সাথে সাথে বাঙালির যে অস্তিত্বের দাবি সে দাবিটা তুলে ধরা।”

এই দাবিটা তুলে ধরতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাধা পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হল, আমাদের বাংলাদেশেরও দুই-একজন নেতা সেখানে বাধা দিয়েছিল।’ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ফিরে ৬ দফার সমর্থনে বঙ্গবন্ধুর দেশের আনাচে-কানাচে ছুটে বেড়ানোর তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যে ৩২টা মিটিং তিনি করেছিলেন সারা বাংলাদেশে। এর মধ্যে যখন যেখানে যেতেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হত। এভাবে ৮ বার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের আদমজিনগরে যেই জনসভাটা করেন, তারপর তিনি ঢাকায় ফিরে আসলে তাকে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আর জামিন দেওয়া হয়নি।’

ছয় দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন দমনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নির্যাতনের বিবরণ জানতে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি পড়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দমন-পীড়নে ৬ দফা দাবির আন্দোলন আরও জোরালো হওয়ার তা স্তব্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়েনর করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৮ সালে ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হল। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দেওয়া হল, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে এই মামলা পরিচিতি পেয়েছিল। আসলে মামলাটা ছিল রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করা হল এবং সামরিক-অসামরিক ৩৪ জনকে মামলার আসামি করা হয়। সেই মামলার প্রধান অভিযোগটাই ছিল যে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তান থেকে এই পূর্ববঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে।’

ওই মামলার পর মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল, যা রূপ নিয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে। যার ফলে মামলা তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানি জান্তা সরকার। ৬ দফা দাবি বাংলাদেশকে কীভাবে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়েছিল, তাও বলেন শেখ হাসিনা। ৬ দফার ভিত্তিতে ৭০ এর নির্বাচন। যে নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। কাজেই ৬ দফা এবং ৭ জুন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

ছয় দফা দাবি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের এক দফা দাবিতে কীভাবে পরিণত হয়েছিল, মূল প্রবন্ধে তা তুলে ধরেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

আলোচনা সভার পাশাপাশি ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন ও তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রোববার রাত ৯টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী ‘শতবর্ষে শত পুরস্কার’ শিরোনামে একটি অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ২ লাখ প্রতিযোগী নিবন্ধন করে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। আয়োজকরা জানান, যত দ্রুত সম্ভব ফল ঘোষণা করে কুইজ প্রতিযোগিতায় ১০০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

১ম পুরস্কার ৩ লাখ টাকা, ২য় পুরস্কার ২ লাখ টাকা, ৩য় পুরস্কার ১ লাখ টাকা, ৪র্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, ৫ম পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ পুরস্কার ৯৫টি প্রতিটি ৫ হাজার টাকা।

বগুড়ায় মীম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদদাতা,বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে ফাঁকা মাঠে গার্মেন্টসকর্মী মীম আক্তারকে ধর্ষণ, হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং সারাদেশে নারী শিশু ধর্ষণ-নির্যাতন, হত্যা বন্ধের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম বগুড়া জেলা শহরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। রবিবার (৭ জুন) দুপুর ১টায় শহরের সাতমাথায় সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম বগুড়া জেলা শাখার আহবায়ক দিলরুবার সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ বগুড়া জেলার আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু, সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য রেনুবালা, আকলিমা খাতুন, রাধারানী বর্মন প্রমুখ।এসময় বক্তারা বলেন, সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় মিম আক্তারকে তার স্বামী ৩ জুন ডিভোর্স দেয় এবং ৪ জুন মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। সেদিনই সে ঢাকা থেকে সন্ধা ৬টার গাড়িতে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৫ জুন সকালে মিমের লাশ শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে ফাঁকা মাঠে পাওয়া যায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার রহস্য উদঘটন না হতেই দেখা গেল চাকরি দেয়ার নাম করে গাইবান্ধা থেকে ডেকে এনে শিবগঞ্জে ধর্ষণ করা হলো। সমাবেশ ও মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে মীম ধর্ষণ, হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ নির্যাতন ও হত্যা বন্ধের দাবি জানান।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৭ জুন ‘২০/এসএএইচ

ঘাটাইলের বংশাই নদীতে দুই যুবক নিখোঁজ, ১ জনের লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধি,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বংশাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া দুই যুবকের মধ্যে আব্দুল্লাহ (২৫) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রবিবার (৭ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার মানিকপুর আঙ্গারখোলা এলাকায় সেতু সংলগ্ন বংশাই নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অপরজনকে উদ্ধারে ডুবুরি দলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত আব্দুল্লাহ উপজেলার ছনখোলা গ্রামের আব্দুল বাছেদের পুত্র। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে বলেন, ‘দুই যুবক মিলে দুপুরে অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলা শেষ করে বংশাই নদীতে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে তারা দুইজন পানিতে ডুবে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরি দল গিয়ে বিকেলে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়। অপরজনকে উদ্ধারে ডুবুরি দলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৭ জুন ‘২০/এসএএইচ

নাটোরে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় আরো ১৬ জনকে জরিমানা

সংবাদদাতা,নাটোর: নাটোরে জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।গতকাল (৬ জুন) শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক ব্যবহার না করায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় ৫১ জনকে জরিমানা করা হয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার (৭ জুন) নাটোর শহরের নিচাবাজার, স্টেশন বাজার এবং রেলওয়ে স্টেশনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় ১৬ জনকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অভিযানকালে গরীব ও অসচ্ছল ৫০ ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক প্রদান করা হয়।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৭ জুন ‘২০/এসএএইচ

মানিকগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ২৬, মোট ৩০৫ এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ১

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৬ বছরের এক যুবক। আজ(৭ জুন) রবিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামের ওই যুবক (সাদ্দাম হোসেন, ২৬, পিতা-নায়েব আলী) শরীরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৬য়টার দিকে জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ভর্তি করার ১৫ মিনটের মাথায়ই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত হতে তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউশনে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা ।
এনিয়ে জেলায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ১৫জন। নিহতদের মধ্যে ১০জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ১জন কিশোর। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩জন। এদের মধ্যে দুই জন সিংগাইর উপজেলায় এবং অন্যজন হরিরামপুর উপজেলায়।
এদিকে, মানিকগঞ্জে নতুন করে আরও ২৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩০৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সাটুরিয়া উপজেলায় ৯জন, মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর উপজেলায় ৬ জন করে, দৌলতপুর উপজেলায় ৩জন ও ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ২ জন।আজ (রবিবার) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রফিকুন নাহার বন্যা। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ২৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দুই হাজার ৯১০টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩০৫জনের দেহে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৪ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ৬৭জন, সিংগাইর উপজেলায় ৬০ জন করে, ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ৪৫ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ২৮, শিবালয় উপজেলায় ২২ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ৯জন।’ আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ২১৫ জন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। সুস্থ হয়েছেন ৮৭জন এবং মারা গেছেন ৩জন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৭ জুন ‘ ২০/এসএএইচ

সুন্দরগঞ্জে নদীগর্ভে বিলীন ৩ শতাধিক বসতভিটা

সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া এবং শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভিটাবাড়ী হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছে তারা। শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে গত কয়েকদিনে শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের শতাধিক ঘড়বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। গত ৬ জুন শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সৈয়দ-ই-মাহমুদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৭ জুন ‘২০/এসএএইচ

যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরার প্রচলন

সংবাদদাতা,নিউইয়র্ক: কোনো ব্যক্তির ওপর পুলিশের হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরা নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে যখন তখন পুলিশি হস্তক্ষেপের বিষয়টিও নিষিদ্ধ হচ্ছে। উল্লেখিত বিষয়সহ পুলিশ বিভাগে বেশ কিছু সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিল। এসব সিদ্ধান্ত ক্যালিফোর্নিয়াতেও নেওয়া হচ্ছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তগুলো পাস হয়েছে। তবে এগুলো কার্যকর হতে একজন বিচারকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। পাস হওয়া সংস্কার প্রস্তাবে আরো রয়েছে, জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার গ্যাসসহ অন্য অস্ত্র ব্যবহারের জন্য মিনিয়াপলিস পুলিশ প্রধানের অনুমতি নিতে হবে। পুলিশের নথি বিশ্লেষণ করে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ বার মানুষের গলা চেপে ধরে অজ্ঞান করা হয়েছে। অনেক পুলিশ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সংখ্যা আরো বেশি হবে।
মিনিয়াপলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচিত নেতাদের জবাবদিহিতা থেকে শুরু করে কাঠামোগত সংস্কার।
২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে হত্যার শিকার হন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে নিরস্ত্র ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ডেরেক চাওভিন নামের এক পুলিশ অফিসার। এই হত্যার প্রতিবাদে টানা ১১ দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন দেশেও এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৭ জুন ‘২০/এসএএইচ