::প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ::
শপিংমল খোলার দ্বিতীয় দিনে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে মানিকগঞ্জে। ঈদকে সামনে রেখে রোববার সকালে মানিকগঞ্জের সব দোকান-পাট,শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে দোকানগুলোতে। বাচ্চা ও থান কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। ভিড়ের মধ্যে ক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষণ দেখা মেলেনি। এদিকে শর্ত মেনে দোকান খোলার কথা থাকলেও তোয়াক্কা করেননি কেউই। কয়েকটিতে শুধু
দায়সারা গোছের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা গেলেও তা আদতে করোনাপ্রতিরোধী কি না তা নিয়ে রয়েছে যতেষ্ট সন্দেহ।
দেখা গিয়েছে, দোকানপাটে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানছেন না ক্রেতারা। তবে অধিকাংশের মুখে পরতে দেখা গেছে মাস্ক।
মানিকগঞ্জ শহরের কয়েকটি মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু হাত ধুয়েই ভেতরে প্রবেশ করছে সবাই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। দোকানেগুলোতে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভীড়। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তবে গতকালের চেয়ে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি হলেও বেচাবিক্রি কম বলে জানান দোকানিরা।
দোকানিরা জানান, অনেক কাস্টমার আছে কিন্তু বিক্রি কম হচ্ছে। তবে অনেক দিন পর মার্কেট খোলা হয়েছে তো, তাই একটু কম, বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।
এদিকে বাচ্চাদের পোশাকের দোকানেও ভীড় দেখা গেছে। বাচ্চার পোশাক কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, বাচ্চারা তো আর ভাইরাস কি তা বোঝে না। তাদের কাছে ঈদ মানেই আনন্দ। তাই ওদের কেনাকাটা করতে আসলাম। মানিকগঞ্জ শহরের তৈরি পোশাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম আব্বাস আকন মিল্টন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শহরে প্রায় দেড় শ ছোট-বড় দোকান রয়েছে। সব দোকানেই হাত ধোয়ার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা পালনের চেষ্টাও করা হচ্ছে। তবে, বড় দোকানগুলোতে সব নির্দেশনা মানা হলেও ছোট দোকানগুলোতে সম্ভব সেটি হচ্ছে না।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবিএম শামসুন্নবী তুলিপ বলেন, ‘দোকানপাট খোলায় মানুষ যেভাবে আসছে, এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা দূরত্ব রক্ষা করাসহ বিধিগুলো মানছেন না। আমরা আশা করবো, প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব রক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা ও নির্দেশনা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। তবে সমাজের সবাই যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা না করে, তাহলে এটা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে।’
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ভালো বেচাবিক্রি প্রস্তুতি নিচ্ছে দোকানিরা। দোকানে নতুন নতুন পোশাক তুলছে। তবে শেষ পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকবে কিনা এনিয়েও সংশয়ে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
বাড়ছে ভিড়, বাড়ছে ঝুঁকি: মানিকগঞ্জে শপিংমল-দোকানে তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির
করোনাভাইরাস: বেশি পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে গাইবান্ধায় সিপিবির মানববন্ধন
::সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে::
বেশি বেশি করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাসহ ২৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার সিপিবির গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে নেতাকর্মীরা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্ত¡রে এই কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ছাতা ব্যবহার করা হয়।
‘বেশী করে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা কর, চিকিৎসা দাও, মানুষ বাঁচাও’ এ শ্লোগানে গত ১১ মে সোমবার দুপুুর ১২টায় একঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গাইবান্ধা শাখার জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা সাধারণ স¤পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মাহমুদুল গনি রিজন, জাহাঙ্গীর মাস্টার প্রমুখ। বক্তারা বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি না করে চিকিৎসকসহ সকল পেশাজীবী সংগঠন, সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন করোনাভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধে জেলায় জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করে পর্যাপ্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে আগামীতে ভয়াবহ মহামারীর কাছে যুদ্ধ না করেই পরাজিত হতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চিকিৎসক, সেবিকা, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশি¬ষ্ট সকলের জন্য পর্যাপ্ত পিপিইসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রীর ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও দাবি জানান বক্তাগণ। মানববন্ধন শেষে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির ২৫ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি সিভিল সার্জন আবু হানিফ এর কাছে হস্তান্তর করেন।
করোনায় আক্রান্তের খবরে পলাতক, খুঁজতে মাঠে নেমেছে মানিকগঞ্জ পুলিশ
:: প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ::
করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। তাকে খুঁজতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকা গাবতলীর চায়ের দোকানদার। গত ৯ মে সর্দি ও জ্বর নিয়ে তিনি সাটুরিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন। পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সোমবার (১১ মে) ওই ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিভাগ।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মামুন উর রশিদ থানার অফিসার-ইন-চার্জ মতিয়ার রহমান মিয়াকে নিয়ে ওই ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে তাকে বাড়িতে পাননি। ধারনা করা হচ্ছে মোবাইল ফোনে তাকে বিষয়টি জানানোর পরপরই তিনি পালিয়েছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, আমরা জানতে পারি পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায়, তিনি ঢাকার গাবতলীতে অবস্থান করছেন। তাকে খুঁজতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
অপরদিকে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ তার ওই আত্মীয়ের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ।
নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
::সংবাদদাতা, নাটোর::
নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর আলী (৬০) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে বনপাড়া-হাটিকুমরুল হমাসড়কের আইড়মারী এলাকার এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার রহমানপুর গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে এবং বাগাতিপাড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শফিকুল ইসলাম জানান, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের ফিডার সড়ক দিয়ে পাঁচযাত্রি নিয়ে একটি সিএনজি চালিত আটোরিক্সাটি বনপাড়া থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যাচ্ছিল। আটোরিক্সাটি আইড়মারি এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই কাপড় ব্যবসায়ী আকবর আলী মারা যান। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দূর্ঘটনা কবলিত অটোরিক্সা এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ীর ছেলে আকাশ জানান, তারা বাবা একজন কাপড়ের ব্যবস্যায়ী। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর কাপড়ের মোকামে (পাইকারী হাট) ঈদের জন্য নতুন কাপড় কিনতে যাচ্ছিলেন। তিনি বাবাকে সকালে মোটরসাইকেল করে বাগাতিপাড়া থেকে বনপাড়া বাইপাস মোড়ে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে দিয়ে যান। এরপর বাড়িতে পৌঁছার আগেই বাবার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পান।
আখ নিয়ে বিপাকে চাষিরা
::সংবাদদাতা, গাইবান্ধা::
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সময় মত আখ বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আখ চাষিরা। পরিবহন বন্ধ থাকায় উপজেলার বিশেষ জাতের কিউ-৬৯ আখ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছে তারা। তৈরি হয়েছে লোকসানের আশঙ্কা।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কামারদহ ইউনিয়নসহ কযেকটি ইউনিয়নের কৃষকরা দীর্ঘদিন থেকে কিউ-৬৯ জাতের রসালো লাল আখ চাষ করে আসছে। অতি মিষ্টি এ আখ রমজান মাসে বেশি চাহিদা থাকে। লাভজনক হওয়ায় রমজানকে সামনে রেখে কিউ-৬৯ এর প্রতি চাষিরা ঝুকেছিলেন বেশি।
আরও জানা যায়, এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এ জাতের আখ ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, খুলনা ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারগণ এসে আখ কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর করোনার কারণে সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পাইকাররা আসতে পারছে না। ফলে কৃষকগণ আখ বিক্রয় করা সম্ভব যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদিত আখ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে তারা।
কৃষকরা জানান, তাদের অনেকে ব্যাংক কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করেছেন। এই অবস্থায় আখ বিক্রয় করতে না পারলে একদিকে নষ্ট হবে আখের, অন্যদিকে ঋণের বোঝা।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার পরও সম্ভব হয়নি।
এসএসসির ফল ‘এ মাসেই’
::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না কমলেও চলতি মাসেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবে সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সোমবার এ তথ্য জানান। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, অফিস খোলার দুই সপ্তাহের মধ্যে এসএসসির ফল ঘোষণা করা হবে, বোর্ডগুলো সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই অবস্থান থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, “ডাক বিভাগ আমাদের সাহায্য করছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওএমআর শিটগুলো বোর্ডে আনতে তারা সহায়তা করছে। তাই আমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি, এ মাসেই এসএসসির ফল ঘোষণা করব।”
এসএসসির ফল প্রকাশের পর কলেজে ভর্তির কার্যক্রমও শুরু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে প্রস্তুতি নেবে। এখন কলেজে ভর্তির সব কার্যক্রম অনলাইনেই হয় বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জিয়াউল। গত ৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ৬০ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার তাতে বিলম্ব হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে এএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হবে না বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ২২ মার্চ পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
রুশ কবি ওসিপ মান্দেলেশ্তামের কবিতা
লেনিনগ্রাদ
[ভাবানুবাদ : মনজুরুল হক]
.
ফিরে এসেছি নিজের শহরে, যে-শহর অশ্রম্নর মতো পরিচিত আমার,
পরিচিত ধমনির মতো, শৈশবের ফুলে যাওয়া গ্রন্থির মতো।ফিরে এসেছ এখানে তুমি – গিলে নাও দ্রম্নত
লেনিনগ্রাদের নদীতীরের সড়কবাতির মাছের তেল।চিনে নাও অল্পদিনে ডিসেম্বরের দিন,
ডিমের কুসুমে যেখানে মিশে থাকে পিচের ঘ্রাণ।শোনো পিতারবুর্গ, আমি এখনো চাই না মরে যেতে :
তোমার কাছে জমা আছে আমার সব টেলিফোন নম্বর।পিতারবুর্গ, আমার আছে এখনো ঠিকানা,
যেখানে আমি নিশ্চিত পেয়ে যাব মৃতদের কণ্ঠস্বর।অন্ধকার সিঁড়িতে আমার বসবাস, আর কপালে আমার
আঘাত করে ছিঁড়ে নিয়েছে মাংস।সারারাত আমি অপেক্ষায় থেকেছি আগের মতোই প্রিয় অতিথির আগমনের,
মোমের আলোয় সেঁটে নিয়ে দুয়ারের আংটা।আমরা বেঁচে আছি, পায়ের তলায় দেশের কোনো অস্তিত্ব অনুভব না করে,
আমাদের মুখের কথা দশ কদম আগেও যায় না শোনা,
তবে সেইখানে চলে যায় এমনকি অর্ধেক কথাবার্তাও,
যেখানে এর অর্থ করে নেয় ক্রেমলিনের পর্বতবাসী।
তাঁর পুরু আঙুল, যেন নাদুস কোনো কীট,
আর কথা তাঁর ওজনের পাথর, ভারী,
তেলাপোকার গোঁফ তাঁর ঝুলে থাকে বাইরের দিকে,
জুতোর মাথা তাঁর চকচকে উজ্জ্বল।চারিদিকে তাঁর ভিড় করে আছে ভীত সব কাঙাল যোদ্ধা,
সে খেলে এইসব অর্ধেক মানুষকে নিয়ে।
কেউ দেয় শিস, কেউ কাঁদে, কেউবা করে বিড়ালের ধ্বনি,
তবে একাই সে করে গর্জন, তুলে ধরে আঙুল,
ঘোড়ার খুরের মতো জারি করে সে নির্দেশ একের পর এক :
কাউকে কুঁচকিতে করে আঘাত, কারো বা কপালে কিংবা পিঠে।
যেন শাস্তি নয়, বরং আনন্দ অফুরান
বিশাল এক বুক আমাদের এই ওসেতিনের।অলঙ্কারের সোনালি আভায় জ্বলছে
বনে বড়দিনের সজ্জিত গাছ;
ঝোপে আছে খেলনার নেকড়ে
তাকিয়ে ভয়ংকর চোখে।হে, যাবতীয় এইসব দুঃখ আমার,
হে, আমার নীরব মুক্তি
অনুভূতিহীন নিষ্প্রাণ
যেন সদাহাস্যরত স্ফটিক!আমাকে দেয়া হয়েছে এই শরীর – কী যে করি আমি এটাকে নিয়ে,
এতটা অনন্য আর সবটাই আমার?এই সুখে নীরবে নিশ্বাস নিই আর বেঁচে থাকি
বলো, কাকে জানাতে হবে কৃতজ্ঞতা?আমি মালি, আর আমিই যে ফুল,
অন্ধকার পৃথিবীতে নই আমি একা।অনন্তের কাচে রেখে যাই আমি
নিশ্বাস আর দেহের উষ্ণতা।এর ওপর আঁকা হয়ে যায় নকশা
অজানা এই সময়ের।আসুক মুহূর্তের মেঘাচ্ছন্ন পতন –
সুন্দর এই নকশা যাবে না মুছে।অনিদ্রা। হোমার। খোলা পাল।
পড়ি আমি জাহাজের তালিকা মাঝামাঝি পর্যন্ত :
এই দীর্ঘ বিষণ্ণতা, এই সারসের রেলগাড়ি
কোনো একসময় যা হেলাস থেকে উঠে গেছে আকাশের দিকে।অজানা দেশের দিকে উড়ে যাওয়া সারসের গোঁজের মতো –
সম্রাটের মাথায় ঐশ্বরিক ফেনা –
কোথায় ভেসে যাও তুমি? হেলেনের খোঁজে,
ট্রয় কি তোমার একার, এচিয়ান পুরুষ?এই সমুদ্র আর হোমার – সবকিছু আন্দোলিত ভালোবাসায়।
কার কথা শুনব আমি? এবার যে নীরব থেকে যায় হোমার,
কালো সাগর, কাছে আসে, করে কোলাহল
আর রূঢ় চিৎকারে ঢুকে যায় মাথায় আমার।সহায় হও তুমি, প্রভু আমার, এই রাত করে দিতে পারো।
ভীত আমি জীবনের ভয়ে, গোলাম তোমার,
পিটারের শহরে বসবাস যেন হচ্ছে শুয়ে থাকা
সঙ্গে নিয়ে কবরের অন্ধকার।
জার্মান কাপ ফাইনাল ৪ জুলাই
::ক্রীড়া ডেস্ক::
চলতি মৌসুমের জার্মান কাপের ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালের নতুন সূচি ঠিক করেছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)। প্রতিযোগিতাটির শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হবে আগামী ৪ জুলাই।
ডিএফবি সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, বায়ার্ন মিউনিখ ও আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং সারব্রুকেন ও বায়ার লেভারকুসেনের সেমি-ফাইনাল দুটি হবে যথাক্রমে আগামী ৯ ও ১০ জুন। বুন্ডেসলিগা ও বুন্ডেসলিগা-২ এর খেলা পুনরায় শুরু হবে আগামী ১৬ মে। সব প্রতিযোগিতার ম্যাচ হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।
শাহজাহানপুর ও শাহবাগে মেয়র তাপসের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ
::জোছনা মেহেদী::
নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে ১১ নং ওয়ার্ড শাহজাহানপুর থানা ও ২০ নং ওয়ার্ড বৃহত্তর শাহবাগ থানা ফুলবাড়িয়া মার্কেট ১ হাজার ২০০ পরিবারকে ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণ করেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আহাম্মদ উল্লাহ্ মধু। এপ্রিলের প্রথেম দিন থেকে টানা এই খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় আহাম্মদ উল্লাহ্ মধুর সঙ্গে ছিলেন মহানগর দ. মো. সাঈদ মোল্লা সহ-সভাপতি যুবলীগ মহানগর দঃ যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ, ইসমাইল হোসেন তপু সাবেক সহ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা ইমরান খাান, এম আজাদ, মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজুর রহমান, এনামুল হক হিল্টন, হাজী রফিকুল ইসলাম রুবেল,মোঃ রফিক, মোঃ আনিস, এস কে সাইমন, মোঃ রজ্জব প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন হামিদুল হক শামীম সাবেক কাউন্সিলর ১১ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন দ., ব্যবস্থাপনায় রাশেদুল আলম রিংকু সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রলীগ মতিঝিল থানা, মাহবুব আলম মিনার সাবেক সহ সম্পাদক ছাত্রলীগ ৫০০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী এবং শাহবাগ থানা ২০ নং ওয়ার্ড বৃহত্তর ফুলবাড়িয়া মার্কেট এলাকায় ৭০০ পরিবারকে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় মোঃ রেজোয়ান সেন্ট্রাল মসজিদ সেক্রেটারি, মোঃ আবুল, মোঃ আবদুল হাই রিপন, মোঃ নুরুজ্জামান ।
সামাজিক দূরত্ব ও সর্বাধিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল- চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, লবন, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য।
দীর্ঘদিনের ফাঁকা রাস্তায় ফের ফিরছে পুরাতন চিত্র
করোনার প্রভাবে দীর্ঘ দিন ফাঁকা থাকা সড়কের মোড়ে মোড়ে ফের ফিরতে শুরু করেছে পুরাতন চিত্র। সীমিত আকারে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অফিস খুলে যাওয়ায় তৈরি হচ্ছে যানজটও। রংপুর নগরীর সিটি বাজারের সামনে আজ দেখা মেলে এমনই চিত্র।
দীর্ঘ দেড় মাসের অঘোষিত লক ডাউনের পর রংপুরে ফিরতে শুরু করেছে কর্মচাঞ্চল্য। জীবনজীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন মানুষ। আর রাস্তায় নেমেছেন এতদিন ঘরে বন্দি থাকা রিক্সা-ভ্যানচালকরাও। অটো টেম্পুও দেখা মিলেছে কোথাও কোথাও। তবে হঠাৎ শীথিলতায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে বলেও অভিযোগ কারও কারও। অফিসগামী কয়েকজন বলেন, ‘আমাদেরকে অফিসে যেতেই হচ্ছে। এর মধ্যে সীমিতর নামে গণহারে মানুষ বাইরে বের হতে শুরু করেছে। এতে আমরা আর নিরাপদ নই। নিরাপদ থাকতে পারছেন না ঘরে থাকা বয়স্করাও। কারণ, আমাদেরকে ঘরে ফিরতে হচ্ছে। এত মানুষ আশে পাশে থাকায় আমরা খুবই অসংরক্ষিত, অনিরাপদ।’
বাজারে উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ‘প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।’
নগরীর কোথাও কোথাও পোশাকের দোকানেও বেশ লোকের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। তবে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। কোন কোন দোকানে হ্যন্ডসেনিটাইজারের নামে ডেটল বা স্যাভলন জাতীয় দ্রব্যের সঙ্গে পানি মিশিয়ে রাখতে শোনা গেছে। আর অধিকাংশ সেটাও করেনি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।