::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না কমলেও চলতি মাসেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবে সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সোমবার এ তথ্য জানান। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, অফিস খোলার দুই সপ্তাহের মধ্যে এসএসসির ফল ঘোষণা করা হবে, বোর্ডগুলো সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই অবস্থান থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, “ডাক বিভাগ আমাদের সাহায্য করছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওএমআর শিটগুলো বোর্ডে আনতে তারা সহায়তা করছে। তাই আমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি, এ মাসেই এসএসসির ফল ঘোষণা করব।”
এসএসসির ফল প্রকাশের পর কলেজে ভর্তির কার্যক্রমও শুরু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে প্রস্তুতি নেবে। এখন কলেজে ভর্তির সব কার্যক্রম অনলাইনেই হয় বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জিয়াউল। গত ৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ৬০ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার তাতে বিলম্ব হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে এএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হবে না বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ২২ মার্চ পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
এসএসসির ফল ‘এ মাসেই’
রুশ কবি ওসিপ মান্দেলেশ্তামের কবিতা
লেনিনগ্রাদ
[ভাবানুবাদ : মনজুরুল হক]
.
ফিরে এসেছি নিজের শহরে, যে-শহর অশ্রম্নর মতো পরিচিত আমার,
পরিচিত ধমনির মতো, শৈশবের ফুলে যাওয়া গ্রন্থির মতো।ফিরে এসেছ এখানে তুমি – গিলে নাও দ্রম্নত
লেনিনগ্রাদের নদীতীরের সড়কবাতির মাছের তেল।চিনে নাও অল্পদিনে ডিসেম্বরের দিন,
ডিমের কুসুমে যেখানে মিশে থাকে পিচের ঘ্রাণ।শোনো পিতারবুর্গ, আমি এখনো চাই না মরে যেতে :
তোমার কাছে জমা আছে আমার সব টেলিফোন নম্বর।পিতারবুর্গ, আমার আছে এখনো ঠিকানা,
যেখানে আমি নিশ্চিত পেয়ে যাব মৃতদের কণ্ঠস্বর।অন্ধকার সিঁড়িতে আমার বসবাস, আর কপালে আমার
আঘাত করে ছিঁড়ে নিয়েছে মাংস।সারারাত আমি অপেক্ষায় থেকেছি আগের মতোই প্রিয় অতিথির আগমনের,
মোমের আলোয় সেঁটে নিয়ে দুয়ারের আংটা।আমরা বেঁচে আছি, পায়ের তলায় দেশের কোনো অস্তিত্ব অনুভব না করে,
আমাদের মুখের কথা দশ কদম আগেও যায় না শোনা,
তবে সেইখানে চলে যায় এমনকি অর্ধেক কথাবার্তাও,
যেখানে এর অর্থ করে নেয় ক্রেমলিনের পর্বতবাসী।
তাঁর পুরু আঙুল, যেন নাদুস কোনো কীট,
আর কথা তাঁর ওজনের পাথর, ভারী,
তেলাপোকার গোঁফ তাঁর ঝুলে থাকে বাইরের দিকে,
জুতোর মাথা তাঁর চকচকে উজ্জ্বল।চারিদিকে তাঁর ভিড় করে আছে ভীত সব কাঙাল যোদ্ধা,
সে খেলে এইসব অর্ধেক মানুষকে নিয়ে।
কেউ দেয় শিস, কেউ কাঁদে, কেউবা করে বিড়ালের ধ্বনি,
তবে একাই সে করে গর্জন, তুলে ধরে আঙুল,
ঘোড়ার খুরের মতো জারি করে সে নির্দেশ একের পর এক :
কাউকে কুঁচকিতে করে আঘাত, কারো বা কপালে কিংবা পিঠে।
যেন শাস্তি নয়, বরং আনন্দ অফুরান
বিশাল এক বুক আমাদের এই ওসেতিনের।অলঙ্কারের সোনালি আভায় জ্বলছে
বনে বড়দিনের সজ্জিত গাছ;
ঝোপে আছে খেলনার নেকড়ে
তাকিয়ে ভয়ংকর চোখে।হে, যাবতীয় এইসব দুঃখ আমার,
হে, আমার নীরব মুক্তি
অনুভূতিহীন নিষ্প্রাণ
যেন সদাহাস্যরত স্ফটিক!আমাকে দেয়া হয়েছে এই শরীর – কী যে করি আমি এটাকে নিয়ে,
এতটা অনন্য আর সবটাই আমার?এই সুখে নীরবে নিশ্বাস নিই আর বেঁচে থাকি
বলো, কাকে জানাতে হবে কৃতজ্ঞতা?আমি মালি, আর আমিই যে ফুল,
অন্ধকার পৃথিবীতে নই আমি একা।অনন্তের কাচে রেখে যাই আমি
নিশ্বাস আর দেহের উষ্ণতা।এর ওপর আঁকা হয়ে যায় নকশা
অজানা এই সময়ের।আসুক মুহূর্তের মেঘাচ্ছন্ন পতন –
সুন্দর এই নকশা যাবে না মুছে।অনিদ্রা। হোমার। খোলা পাল।
পড়ি আমি জাহাজের তালিকা মাঝামাঝি পর্যন্ত :
এই দীর্ঘ বিষণ্ণতা, এই সারসের রেলগাড়ি
কোনো একসময় যা হেলাস থেকে উঠে গেছে আকাশের দিকে।অজানা দেশের দিকে উড়ে যাওয়া সারসের গোঁজের মতো –
সম্রাটের মাথায় ঐশ্বরিক ফেনা –
কোথায় ভেসে যাও তুমি? হেলেনের খোঁজে,
ট্রয় কি তোমার একার, এচিয়ান পুরুষ?এই সমুদ্র আর হোমার – সবকিছু আন্দোলিত ভালোবাসায়।
কার কথা শুনব আমি? এবার যে নীরব থেকে যায় হোমার,
কালো সাগর, কাছে আসে, করে কোলাহল
আর রূঢ় চিৎকারে ঢুকে যায় মাথায় আমার।সহায় হও তুমি, প্রভু আমার, এই রাত করে দিতে পারো।
ভীত আমি জীবনের ভয়ে, গোলাম তোমার,
পিটারের শহরে বসবাস যেন হচ্ছে শুয়ে থাকা
সঙ্গে নিয়ে কবরের অন্ধকার।
জার্মান কাপ ফাইনাল ৪ জুলাই
::ক্রীড়া ডেস্ক::
চলতি মৌসুমের জার্মান কাপের ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালের নতুন সূচি ঠিক করেছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)। প্রতিযোগিতাটির শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হবে আগামী ৪ জুলাই।
ডিএফবি সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, বায়ার্ন মিউনিখ ও আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং সারব্রুকেন ও বায়ার লেভারকুসেনের সেমি-ফাইনাল দুটি হবে যথাক্রমে আগামী ৯ ও ১০ জুন। বুন্ডেসলিগা ও বুন্ডেসলিগা-২ এর খেলা পুনরায় শুরু হবে আগামী ১৬ মে। সব প্রতিযোগিতার ম্যাচ হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।
শাহজাহানপুর ও শাহবাগে মেয়র তাপসের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ
::জোছনা মেহেদী::
নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে ১১ নং ওয়ার্ড শাহজাহানপুর থানা ও ২০ নং ওয়ার্ড বৃহত্তর শাহবাগ থানা ফুলবাড়িয়া মার্কেট ১ হাজার ২০০ পরিবারকে ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণ করেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আহাম্মদ উল্লাহ্ মধু। এপ্রিলের প্রথেম দিন থেকে টানা এই খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় আহাম্মদ উল্লাহ্ মধুর সঙ্গে ছিলেন মহানগর দ. মো. সাঈদ মোল্লা সহ-সভাপতি যুবলীগ মহানগর দঃ যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ, ইসমাইল হোসেন তপু সাবেক সহ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা ইমরান খাান, এম আজাদ, মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজুর রহমান, এনামুল হক হিল্টন, হাজী রফিকুল ইসলাম রুবেল,মোঃ রফিক, মোঃ আনিস, এস কে সাইমন, মোঃ রজ্জব প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন হামিদুল হক শামীম সাবেক কাউন্সিলর ১১ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন দ., ব্যবস্থাপনায় রাশেদুল আলম রিংকু সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রলীগ মতিঝিল থানা, মাহবুব আলম মিনার সাবেক সহ সম্পাদক ছাত্রলীগ ৫০০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী এবং শাহবাগ থানা ২০ নং ওয়ার্ড বৃহত্তর ফুলবাড়িয়া মার্কেট এলাকায় ৭০০ পরিবারকে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় মোঃ রেজোয়ান সেন্ট্রাল মসজিদ সেক্রেটারি, মোঃ আবুল, মোঃ আবদুল হাই রিপন, মোঃ নুরুজ্জামান ।
সামাজিক দূরত্ব ও সর্বাধিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল- চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, লবন, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য।
দীর্ঘদিনের ফাঁকা রাস্তায় ফের ফিরছে পুরাতন চিত্র
করোনার প্রভাবে দীর্ঘ দিন ফাঁকা থাকা সড়কের মোড়ে মোড়ে ফের ফিরতে শুরু করেছে পুরাতন চিত্র। সীমিত আকারে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অফিস খুলে যাওয়ায় তৈরি হচ্ছে যানজটও। রংপুর নগরীর সিটি বাজারের সামনে আজ দেখা মেলে এমনই চিত্র।
দীর্ঘ দেড় মাসের অঘোষিত লক ডাউনের পর রংপুরে ফিরতে শুরু করেছে কর্মচাঞ্চল্য। জীবনজীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন মানুষ। আর রাস্তায় নেমেছেন এতদিন ঘরে বন্দি থাকা রিক্সা-ভ্যানচালকরাও। অটো টেম্পুও দেখা মিলেছে কোথাও কোথাও। তবে হঠাৎ শীথিলতায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে বলেও অভিযোগ কারও কারও। অফিসগামী কয়েকজন বলেন, ‘আমাদেরকে অফিসে যেতেই হচ্ছে। এর মধ্যে সীমিতর নামে গণহারে মানুষ বাইরে বের হতে শুরু করেছে। এতে আমরা আর নিরাপদ নই। নিরাপদ থাকতে পারছেন না ঘরে থাকা বয়স্করাও। কারণ, আমাদেরকে ঘরে ফিরতে হচ্ছে। এত মানুষ আশে পাশে থাকায় আমরা খুবই অসংরক্ষিত, অনিরাপদ।’
বাজারে উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ‘প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।’
নগরীর কোথাও কোথাও পোশাকের দোকানেও বেশ লোকের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। তবে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। কোন কোন দোকানে হ্যন্ডসেনিটাইজারের নামে ডেটল বা স্যাভলন জাতীয় দ্রব্যের সঙ্গে পানি মিশিয়ে রাখতে শোনা গেছে। আর অধিকাংশ সেটাও করেনি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সুন্দরগঞ্জে কৃষকদের ধান কাটা অব্যাহত রেখেছে পৌর ছাত্রলীগ
::প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)::
মহামারী করোনাভাইরাসে শ্রমিক সংকটে যখন প্রান্তিক কৃষকরা চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে সেই দুঃসময়ে কৃষকদের ধান কাটতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কৃষকদের ধান কাটা অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগ নেতারা। সোমবার (১১ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকারের নির্দেশনায় উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর বামনজল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোনারুল ইসলামের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পৌর ছাত্রলীগ। পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কাটা সম্পন্ন করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ধান কাটায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি- সাইফুল ইসলাম ফরহাদ মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা- এনামুল হক বিজয়, সজিব মন্ডল, সন্ধি, নাহিদ হাসানসহ আরও অনেকেই।
পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুমন মিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কৃষকদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে ৩য় দফায় কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।’
৮ মে পর্যন্ত টাঙ্গাইল : দুই ডাক্তারসহ মোট করোনাপজিটিভ ৪৬
::সবুজ সরকার, টাঙ্গাইল::
টাঙ্গাইলে ৮ মে পর্যন্ত দুই ডাক্তারসহ মোট করোনাপজিটিভ ৪৬ জন। শুক্রবার (০৮ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নতুন আক্রান্ত বিষয়ক তথ্য নিশ্চিতকালে তিনি জানান, আক্রান্ত ডাক্তার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার (৩৫) হিসেবে কর্মরত আছেন। এসময় তিনি আরো জানান, মির্জাপুর উপজেলার পহেলা গ্রামের এক ব্যক্তি (৫৯) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তি সহ আরো তিনজন গত ৪ মে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামে আসেন। পরে ৫ মে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে তিনি পজিটিভ হন। বাকিদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
রাজধানীর সায়দাবাদে গুলি ছুঁড়ে ভয় দেখিয়ে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই
:: নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাস সঙ্কটে লকডাউনের মধ্যে ঈদের আগে ঢাকার সায়দাবাদে সড়কে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরের এই ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ছিনতাইয়ের শিকার সাইফুল ইসলাম সবুজ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, তিনি ও তার ভাই একটি মোটর সাইকেলে মতিঝিলে যাওয়ার পথে সায়দাবাদের জনপথ মোড়ে তারা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। সাইফুল ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম মুকুল ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং চালান। কাজলার বৌবাজার এলাকায় ‘এইচ-২০ এন্টারপ্রাইজ’ ও যাত্রাবাড়ির শহীদ ফারুক সড়কে ‘মারসুড এন্টারপ্রাইজ’ নামে দুটো দোকান রয়েছে তাদের।
সাইফুল বলেন, সাড়ে ১১টার দিকে দুটি দোকান থেকে ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা নিয়ে তারা দুই ভাই মতিঝিলের দিকে মোটর সাইকেল চড়ে রওনা হন। জনপথের মোড়ে দুটি মোটর সাইকেলে চারজন এসে তাদের মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দুই ভাইকে রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে বলে জানান সাইফুল। পরে আরেকটি মোটর সাইকেলে দুজন এসে গুলি ছোড়ে এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা মোটর সাইকেলে করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
সাইফুল বলেন, তাদের গায়ে গুলি লাগেনি, আর হেলমেট পরা ছিলেন বলে তাদের মাথা বাঁচলেও রডের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম হয়েছে। যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি ডাকাতি মামলা হয়েছে এবং অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।’