আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2163

লকডাউন শিথিল হতেই সংক্রমণ বাড়ছে জার্মানিতে

:: আন্তর্জাতিক ডেস্ক::

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে জার্মানিতে৷ দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট (আরকেআই) দৈনিক বুলেটিনে জানিয়েছে, সংক্রমণের হার ১ দশমিক ১ এ পৌঁছেছে৷ অর্থাৎ, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ ঘটানোর হার (রিপ্রোডাকশন রেট) বেড়েছে। রোগীরা এখন গড়ে একজনের বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছেন৷ এতেই বোঝা যাচ্ছে, জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সংক্রমণের হার ১ এর নিচে রাখতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত বুধবার চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল নিয়ম কানুন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ শনিবার লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেওয়ার দাবিতে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। এরপরই সংক্রমণের নতুন হারের খবর এল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কোভিড-১৯ এ সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবিরের মৃত্যু

:: সংবাদদাতা, জামালপুর::
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আনোয়ারুল কবির তালুকদার মারা গেছেন। রোববার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি বলে তার চাচাত ভাই জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি জামালপুরের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আনোয়ারুল কবির তালুকদার ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।’ মৃতের ছোট ভাই জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে তার ভাই সিএমএইচ-এ জ্বর নিয়ে ভর্তি হন।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা আনোয়ারুল কবির তালুকদার ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রথমদিকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আনোয়ারুল কবীর তালুকদার বিএনপি ছেড়ে এলডিপিতে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

ঋণ খেলাপিরাও পাবে শিল্পখাতে প্রণোদনার অর্থ

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় শিল্প খাতের জন্য সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ করেছে, তাতে খেলাপিদের ঋণ দেওয়ার যে বিধিনিষেধ ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) নীতিমালার শর্ত শিথিল করার মাধ্যমে ঋণ খেলাপিদের এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। রোববার নেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধাতের ফলে এখন যে কোনো শিল্পদ্যোক্তা এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ায় আইসিআরআর কার্যক্রম ব্যাহত ও ঋণ গ্রহীতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়াকে বিধিনিষেধ শিথিলের কারণ দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় শিল্প ও সেবা খাতের আওতায় তাদের কার্যক্রম দ্রুত চালু করার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুবিধা দিতে আইসিআরআর সম্পন্ন না করেও ব্যাংক ঋণ দিতে পারবে।” তবে নিজেরা বিধিনিষেধ তুলে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর উপর দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় ‘তবে’ যুক্ত করে বলা হয়েছে, “প্রতিটি ব্যাংক বিদ্যমান নিজস্ব নীতিমালার আওতায় ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণপূর্বক ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহক নির্বাচন করবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার শিল্প খাতের জন্য যে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতে ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে। এর ৪.৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা শোধ করবে, বাকি ৪.৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেওয়ার পর ১২ এপ্রিল ওই প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়, এই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ কোনো ঋণ খেলাপিরা পাবে না। এমনকি যে সব ঋণ খেলাপি বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সুযোগ নিয়ে তিন বারের বেশি তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন, তারাও এই প্রণোদনার অর্থ পাবে না বলে উল্লেখ ছিল নীতিমালায়। রোববার এই বিধিনিষেধটিই তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণার সময় অর্থনীতিবিদরা সুপারিশ করেছিলেন, এই অর্থ যেন ঋণ খেলাপিরা না পায়। এখন সেই সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ঋণ খেলাপিরাই তো প্রণোদনার সব অর্থ খেয়ে ফেলবে। অন্যরা বা ভালো উদ্যোক্তারা কিছুই পাবে না। এতে ব্যাংকগুলো আরও সঙ্কটে পড়বে। তাদের জন্য জন্য অশনি সংকেত।’
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশের ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি খুবই খারাপ। একবার ব্যাংক থেকে টাকা নিলে কেউ আর ফেরত দিতে চায় না। সে কারণেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে খেলাপি ঋণ। ব্যাংকগুলোকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। এই সংকটের সময়ে আবার তারাই যদি ঋণ পায়; ফেরত দেবে না। অতীতের ইতিহাস তাই বলে। তাহলে যে উদ্দেশ্যে সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে, তা ব্যাহত হবে।’

করোনাভাইরাসে ৬৪৫ চিকিৎসকসহ সহস্রাধিক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত, শুরুতে হার বেশি থাকলেও এখন কমছে

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত চিকিৎসকসহ ১ হাজার ২৭৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৯ মে পর্যন্ত সারাদেশে ৬৪৫ জন চিকিৎসক, ৪২৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং ওয়ার্ডবয়, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ২০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩৫ জন।
বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাস রোববার বলেন, শুরুতে চিকিৎসকদের আক্রান্তের হার বেশি হলেও এখন তা কিছুটা কমেছে। আগে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন আক্রান্ত হলেও এখন তা ১০ থেকে ১৫ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।’ সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার বেড়ে যাওয়া এর কারণ মনে করছেন ডা. নিরুপম।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় পিপিইর সরবরাহ বেড়েছে। চিকিৎসকরাও নিজেদের মতো করে পিপিই সংগ্রহ করছেন। এছাড়া চিকিৎসকদের মধ্যে সচেতনতাও বেড়েছে।’
রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৬৫৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই রোগে মারা গেছেন ২২৮ জন।

ধানমন্ডির ৫০০ অসহায় পরিবারকে মেয়র তাপসের ত্রাণ পৌঁছে দিলেন যুবলীগ নেতা মধু

::জোছনা মেহেদী::
ধানমন্ডি ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরন করেছেন যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণ সিনিয়র সহ-সভাপতি আহাম্মদ উল্লাহ্ মধু। নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণকালে বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে মধু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের প্রতি সর্বদা নজর রেখেছেন। বিত্তবানদেরকে জনগণের পাশে থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের নেতা মাননীয় মেয়র দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সব শ্রেণিপেশার মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি নিভৃতিতে থেকে আমাদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। আসুন, আমরা যার যার অবস্থান থেকে অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়।’ বিভিন্ন উষ্কানীমূলক অপপ্রচার সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘এখন সময় মানুষকে ভালোবাসার। এখন কে কী বললো তা দেখার বা বোঝার সময় না। মানুষের মুখের হানি তার ঠোঁটে ধরিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। তবে যারা অপপ্রচার চালিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যহত করতে চাইছে, তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। তাদেরকে মনে রাখতে হবে- চালচোরদের মত তাদেরও পরিণতি ঘনিয়ে আসছে। অসাদু এসব ব্যক্তিদের সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময় হলেই তা সবাইকে জানানো হবে।’

আজ ত্রাণ বিতরণকালে আহাম্মদ উল্লাহ্ মধুর সঙ্গে ছিলেন মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন তপু, ধানমন্ডি ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি হরি ও সাধারণ সম্পাদক ফারহান কবীর তন্ময় ও ১৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হেজাজ আলম, নজরুল ইসলাম বাবু, আহসান উল্লাহ রাসেল প্রমুখ।

নিরবে ত্রাণ বিতরণ করছেন ইকবাল মাহমুদ বাবলু, উপকৃত সহস্রাধিক পরিবার

:: ফারুক হোসাইন, নোয়াখালী::
নিরবেই ত্রাণ বিতরণ করে চলেছেন যুবলীগের সাবেক গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়াশন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু। ইতোমধ্যে উপকৃত হয়েছেন সহস্রাধিক পরিবার। অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছেন এসব পরিবার। অব্যাহত এই ধারায় আশ্বস্ত হয়েছেন আরও অনেকে।
জানা যায়, নোয়াখালীর সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি স্কুল ও একটি কলেজের প্রায় ১০৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ইকবাল মাহমুদ বাবলু মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে উপহারসমাগ্রী বিতরণ করেছেন। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে মধ্যবিত্তদের মধ্যে তিনি এই ত্রাণ বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ও সমাজে চাইতে না পারা লোকজনকে চিহ্নিত করে উপহারসামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন এই নেতা।
ইকবাল মাহমুদ বাবলু তার বক্তব্যে বলেন, ‘এটা কোন ত্রাণ নয়, এটা আমার পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র প্রয়াস। যদি আপনারা গ্রহণ করেন তাহলেই আমি কৃর্তজ্ঞ।’ তার এমন বক্তব্যে কষ্টে থাকা উপস্থিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের মাঝে নেমে আসে আনন্দ অশ্রুধারা। অত্যান্ত সুশৃঙ্খলভাবে সামজিক দূরত্ব বাজায় রেখে যার যার উপহার সামগ্রীগুলো নিয়ে যান তারা।
উপহারসামগ্রীতে জনপ্রতি ছিল ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, লবণ, তেল, সাবান, বুট, খেজুর ও ছোলাসহ সর্বমোট ১৭ কেজির একটি প্যাকেজ।

সাভারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ

::প্রতিনিধি, সাভার::
সাভারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ রোববার (১০ মে) দুপুরে সাভার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রসঙ্গে শতাধিক গরিব-অসহায়দের মাঝে প্রধান মন্ত্রীর পাঠানো উপাহার সামগ্রী বিতরণ করেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর।
সূত্র জানায়, জনপ্রতি ১০কেজি চাল ও খাদ্য সামগ্রী হাতে তুলে দেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল ইসলাম, সাভার ভূমি কমিশনার মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে।

একদিকে করোনা, অন্যদিকে কালবৈশাখি : সাতক্ষীরায় আমের বাজারে ধ্বস!

:: ইলিয়াস হোসেন, সাতক্ষীরা::
একদিকে করোনাভাইরাসে অঘোষিত লকডাউন, অন্যদিকে কালবৈশাখি। ফলে আমের আরেকটি রাজ্যখ্যাত সাতক্ষীরার আমবাজারে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ইতোমধ্যে ঝড়ের প্রকোপে ঝরে যাওয়া কাঁচা আমের পাইকারি দর গিয়ে ঠেঁকেছে ৫ থেকে ১৫ টাকায়। এদিকে গত কয়েক বছর ধরে এই জেলার হিমসাগর ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও রফতারি হয়ে আসছিল। কিন্তু এবার তাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে আম বাজারজাতের ব্যবস্থা করা না গেলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন আমচাষীরা।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৯টি আম বাগানে আম চাষ হচ্ছে। ১৩ হাজার ৯৯ জন চাষী আম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে আরো কয়েক হাজার আম চাষী রয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে গাছ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে।
জেলার প্রায় লক্ষাধিক পরিবার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে আম চাষের সাথে যুক্ত। পরিবারিক আম চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে জেলায় আম চাষ হয়ে আসছে ঐতিহ্যগতভাবে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার বাজারে সাতক্ষীরার আমের চাহিতা ব্যপক। ফলে এই জেলার অর্থনীতির অন্যতম একটি উৎস আম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, সাতক্ষীরা জেলা থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৭ মেট্রিক টন নিরাপদ ও বালাইমুক্ত আম ইতালি, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর আম রপ্তানি নিয়ে শঙ্কায় আম চাষীরা। আম রপ্তানি করা না গেলে আমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে আম চাষীরা। হ্রাস পাবে দেশের রাজস্ব।
সাতক্ষীরা পৌরসভার মিয়াসাহেবের ডাঙ্গা গ্রমের আম চাষি জালেম খা ১০টি বাগানে তার ১৫ বিঘা জমিতে ২০০-১৫০টি আম গাছ আছে। এসব আম বাগানের ইজারা ও পরিচর্যা করতে ঋণ নিয়ে খরচ করেছেন প্রায় তিন লাখ টাকা। এখনও পরিচর্যা করছেন। আশা করেছিলেন সাড়ে ছয় লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন। কালবৈশাখি ঝড় ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এক প্রকার বন্ধ। বিদেশে আম রপ্তানি করতে পারবেন না। স্থানীয়ভাবে যা বিক্রি হবে তাতে এক লাখ টাকার বেশি উঠবে বলে তিনি মনে করছেন না।
পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার আম চাষি নূরুল আমিন বলেন, জেলার বাইরে ও বিদেশে আমের বাজার ধরতে না পারলে সবাই লোকসানে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি একটি ১৭ বিঘার আম বাগান তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। দুই সপ্তাহ পর থেকে আম উঠলে আর বাজার স্বাভাবিক থাকলে খুব সহজে তা ছয় লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে।
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিষখালি গ্রামের রহমান হোসেনের ২০ বিঘার আম বাগান আছে। খরচও হয়েছে অনেক। করোনা পরিস্থিতির কারণে আম বাজারজাত করা যাবে না বলে মনে করছেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে তাঁকে লোকসান গুনতে হবে।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর কাঁচা-পাকা বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি রাশেদ জানান, কালবৈশাখি ঝড় ও করোনায় আমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বাজার জাতকরণের কারণে দাম কম। আম চাষীদের পাশাপাশি তারাও আমরে ন্যার্য দাম নিয়ে শঙ্কায়।
একই ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রওশনআলী জানান, আম চাষী, খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা প্রণোদনার দাবী রাখে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চাষিদের অনলাইনে আম বিক্রি করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কালবৈশাখি ঝড়ে আমরে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না।
সাতক্ষীরা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে এবছর বিদেশে আম রপ্তানি করার সুযোগ নেই। বর্তমানে দেশের অন্য জেলায় বাজারজাত করা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চাষিরা বিপুল টাকার লোকসানে পড়বে বলেও তাঁর আশঙ্কা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আম বাজারজাত করতে ইতোমধ্যে সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আগামী ৩১ মে থেকে হিমসাগর, ৭ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আম্রপালি আম ভাঙা ও বাজারজাত করণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরো বলেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যবসায়ী ও ফল চাষীদের নিয়ে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সকলকেই সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

ষড়যন্ত্রকারী মুক্ত হোক ছাত্রলীগ

::তুষার আহসান::
কতটা ভয়ঙ্কর হলে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির দুঃসাহস দেখাতে পারে, সিদ্ধান্তকে উল্টে দিতে পারে! না, এটা কোন সাধারণ ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগে বিশেষ পদে অবস্থান করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বদলে ফেলার দুঃসাহস কোন ভাবেই ছোট কোন ঘটনা মনে করা যেতে পারে না। ছাত্রলীগ থেকে সদ্য স্থায়ী বহিষ্কার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনের এই স্পর্ধার উদয় কোথা থেকে তা খুব সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের; অবশ্যই খতিয়ে দেখা জরুরী। এই দুঃসাহসের ইন্ধনদাতা থাকার সমূহ সম্ভাবনার গন্ধ লেপ্টে আছে। ভাবতেই হচ্ছে- কতোটা ভয়ঙ্কর এই মুমিন।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথম কোন শীর্ষ দুই নেতার চাঁদাবাজির অভিযোগে পদ হারানোর ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির নীতিনির্ধারকদের এক বৈঠকে ছাত্রলীগের সে সময়ের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেয়া হয়। স্থলাভিষিক্ত হন সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য। ঘটনার ঠিক ৮ মাসের মাথায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিন করলো আরও বড় অপরাধ। যে অপরাধ খোদ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জের সামিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বলেই সুধিজনরা মনে করছেন। শোভন-রাব্বানীর চাঁদাবাজীর ঘটনার থেকেও মারাত্মক বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে এই ঘটনা ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগকে ভাবমূর্তির ফের সংকটে ফেলেছে। যদিও এই ঘটনায় মুমিনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে দলটি। গ্রেফতার হয়েছে মুমিন। কিন্তু এটাই শেষ নয়, প্রয়োজন কঠিনতম সাজা। যে সাজা পরবর্তীতে এমন কাজ থেকে বিরত রাখবে সবাইকে। এমন সাজা হতে হবে, যেন এই কঠিন অপরাধ নয়, ছোটখাট অপরাধ করতেও বুক কেঁপে ওঠে। কোন প্রলোভনেই যেন অপরাধে জড়াতে সাহস না করে কেউ।
বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগ থেকে মুমিনকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর স্থান নেই। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে সংগঠনের ভেতরে উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে।’ কিন্তু ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটিতে যারা উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্ব নিয়ে আছেন, তাদেরকে সদা সতর্ক থাকা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। এধরণের অপরাধের ইচ্ছে পোষণের আগেই যেন তথ্য এসে হাজির হয় তাদের কাছে- এমন একটি গোয়েন্দা ইউনিট তৈরি করা প্রয়োজন তাদের মধ্যে। না হলে অপরাধীর অপরাধ সংগঠিত হয়ে যাবার পর প্রমাণ মিললে পরে বা অভিযোগের পরে বহিষ্কার কোন সুফল বয়ে আনবে না, বরং বারবার কালিমায় ঢেকে যাবে। মাত্র আট মাসের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিতদের এই অধপতন সে দিকেই আঙুল তুলছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে তরিকুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা ও ফরহাদ নামে তিনজনকে আসামি করে দায়ের করা মামলার বরাতে আমরা জানতে পেরেছি- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়েছিল। এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন। এরপরেই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। মামলায় বলা হয়, ‘এরপর সেই নথিতে তরিকুল ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। প্রায় এক মাস আগে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।’
এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পরে আরেক দফায় ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেন বলে মামলায় বলা হয়।
শোভন-রাব্বানী কিংবা বর্তমানের মুমিনের মত আর কাউকে আমরা ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দেখতে চাই না। এরা সবাই দেশের শত্রু। এরা ষড়যন্ত্রকারী। এরা দেশের জন্য, জাতির জন্য বড় অকল্যাণ ঘটাতে পারে। আমরা চাই- ষড়যন্ত্রকারী মুক্ত হোক ছাত্রলীগ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতিতে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি গ্রেফতার: সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

::প্রতিনিধি, ঢাবি::
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শনিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ‘সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে তরিকুল ইসলাম মুমিনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।’
এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে ভোলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে তরিকুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা ও ফরহাদ নামে তিনজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। তরিকুলকে ভোলা থেকে গ্রেফতার করার পর শুক্রবার ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর স্থান নেই। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে সংগঠনের ভেতরে উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে।’
মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়েছিল। এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন। এরপরেই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা।
মামলায় বলা হয়, ‘এরপর সেই নথিতে তরিকুল ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। প্রায় এক মাস আগে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।’
এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পরে আরেক দফায় ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেন বলে মামলায় বলা হয়।