আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 25

বাড়ছে সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম!

বিশেষ প্রতিনিধি, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং এই খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার তামাক বীজ আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি আরোপ ও কিছু কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো প্রস্তাব করায় এবার সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম আবার বাড়ছে।

সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় এ প্রস্তাব করা হয়।

এতে বলা হয়, সিগারেট, জর্দা, গুল ইত্যাদি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক আরোপিত আছে। অন্যদিকে তামাক বীজ আমদানিতে প্রযোজ্য কাস্টমস ডিউটি ০%, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগের এইচএস কোড বিভাজন করে তামাক বীজের জন্য নতুন এইচএস কোড সৃজন করা হবে, যা আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি আরোপ করা যায়।

অন্যদিকে আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, তামাকজাতীয় পণ্যের শুল্ক ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত উপকরণ বা কাঁচামাল বাণিজ্যিকভাবে আমদানি নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিগারেট উৎপাদনের মূল্য কাঁচামাল পেপার আমদানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সে ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য পেপার আমদানিতে ৩৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে অন্য একটি কাঁচামাল অ্যাসিটেট টো এবং অ্যাসিটেট ফিল্টার রড আমদানির ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপিত নেই।

তাই কেবল বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে এই পণ্য আমদানিতে ৩৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে এসআরও সংশোধনী আনা যায়।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর স্বীকারোক্তিতে চাপে মোদি সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল কিনা, এ নিয়ে এতদিন জল্পনা চলছিল ভারতে। আর সেটিরই ইতি টেনেছেন দেশটির সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান। এতে বিরোধীদের সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে এপ্রিলে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ভারতের অপারেশন ‘সিঁদুরের পর’ পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সামরিক বাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

পাকিস্তান জানায়, ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। এ নিয়ে নয়াদিল্লি এতদিন নীরব থাকলেও মুখ খুলেছেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক।

গত ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষিত হয়। তারপর তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও ভারত সরকার এ ব্যাপারে কিছু বলেনি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। অবশেষে মুখ খুললেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান।

সিঙ্গাপুরে সাংগ্রিলা ডায়লগে অংশগ্রহণ করার ফাঁকে বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। ব্লুমবার্গ টিভির প্রশ্নে চৌহান কার্যত স্বীকার করেন, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের আঘাতে ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।সর্বাধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তান কি ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল? এক বা একাধিক? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি চৌহান। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়া বা তার সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেন সেটা ধ্বংস হল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তার মানে অন্তত একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের হামলায় ধ্বংস হয়েছিল? এর জবাবে সংক্ষেপে ‘হ্যাঁ’ বলেন চৌহান। তার ভাষায়, “গোটা ঘটনার ইতিবাচক দিক, আমরা কৌশলগত ভুলটা দ্রুত ধরে ফেলেছি। ভুল শুধরে নিয়ে দুদিনের মধ্যে আবার নতুন কৌশল প্রয়োগ করেছি।”

সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন করেন, “পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের হামলায় ভারতের অন্তত ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এটা সত্যি?” এই প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে দেন চৌহান।

সেনা সর্বাধিনায়কের মন্তব্য সামনে আসার পরে বিরোধীরা নিশানা করেছে মোদি সরকারকে। তারা প্রশ্ন তুলেছে গোপনীয়তা নিয়ে। দেশবাসীকে এই বিষয়ে না জানানোর উদ্দেশ্য নিয়েও সমালোচনা করেছে তারা।

দেশের মানুষের আগে বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে তা কেন জানানো হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন করেন, “বিদেশি সংবাদমাধ্যম কেন প্রথমে এই খবর বের করবে? এই তথ্যগুলো কেন প্রথমে ভারতীয়দের, দেশের সংসদকে এবং জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়নি?”

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য, “সর্বাধিনায়কের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করা উচিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে। কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করেছে। যুদ্ধ নিয়ে ধোঁয়াশা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।”

কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আমাদের পাইলটরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমাদেরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পাইলটদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাই।”

কংগ্রেসের দাবি, কারগিল যুদ্ধের পরে যেভাবে পর্যালোচনা কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে। তারা যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি তদন্ত করে দেখবে।

এছাড়াও কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের প্রশ্ন রয়েছে যুদ্ধবিরতি ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হয়েছে কিনা, এ নিয়েও সরকারের জবাব চাইছে তারা। এ বিষয়েও ব্লুমবার্গ টিভি সেনা সর্বাধিনায়ককে প্রশ্ন করলেও সরাসরি জবাব দেননি চৌহান।

খাড়গে বলেন, “যুদ্ধবিরতির শর্ত কী ছিল? তাহলে কি কোথাও সমঝোতা হয়েছে? আমাদের কি আপস করতে হয়েছে?”

শুক্রবার ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি বাণিজ্য বন্ধের কথা বলে দুই দেশকে সংঘর্ষবিরতির পথে নিয়ে এসেছেন। তার বক্তব্য, “আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম, এমন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালাতে পারবো না, যারা পরস্পরের দিকে গুলি ছুঁড়ছে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পথে হাঁটছে। এটা বুঝতে পেরে ওরা সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

ট্রাম্পের বক্তব্য, “যুদ্ধ থামাতে সক্ষম হওয়া আমার কাছে গর্বের। ওরা যেটা বুলেট দিয়ে করতে চেয়েছে, আমরা বাণিজ্য দিয়ে করেছি”। তবে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে সেনা সর্বাধিনায়ক মানতে চাননি।

তিনি বলেন, “পারমাণবিক যুদ্ধ ও সাধারণ সংঘর্ষের মধ্যে অনেক তফাৎ। পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেকগুলো পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। পরমাণু যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি আদতে তৈরি হয়নি।”

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের বিমান বাহিনীর যিনি প্রধান, তিনি বারবার বলেছেন- যে সমস্ত বিমানের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সময় মতো আসেনি।  এরপরই অনিল চৌহানের এই স্বীকারোক্তিতে বোঝা যাচ্ছে, ভারতের প্রতিরক্ষা কাঠামো যতটা সুরক্ষিত ভাবা হচ্ছিল, ততটা হয়তো সুরক্ষিত নয়। আমাদের ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে- পাকিস্তানের চীনা বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম কাজ করেনি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে চীনা যুদ্ধবিমান খুবই কার্যকরী। সেগুলো আমাদের যুদ্ধবিমান ভেঙে দিয়েছে। এখনো স্পষ্ট নয় যে কোন বিমান ভেঙে পড়েছে, অত্যাধুনিক রাফাল নাকি প্রাচীন মিগ।”

তবে এই তথ্য প্রকাশ্যে না এনে কি কেন্দ্র ঠিক কাজ করেছে? সমর-সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য বলেন, “যতদিন অপারেশন সিঁদুর চলছিল, ততদিন এটা নিয়ে সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দেওয়া কোনো উচিত কাজ নয় বলেই মনে হয়। যতদিন অপারেশন চলে বা সেনাবাহিনী এ ধরনের কাজ করে, ততদিন তারা এসব বিষয় নিয়ে জানায় না। ফলে অনিল চৌহান যে দেরিতে মুখ খুলেছেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।”

রাজাগোপালের বক্তব্য, “যুদ্ধ যেহেতু শেষ হয়নি, তাই সরকারের কাছে আমরা এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য দাবি করতে পারি না। জাতীয় সুরক্ষা বা সেনাবাহিনীর নৈতিক বলের কথা ভেবে সরকার এসব তথ্য নাও দিয়ে থাকতে পারে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মইদুল ইসলাম বলেন, “যুদ্ধের সময় এসব বলা যায় না, সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যেতে পারে। জনগণের মধ্যেও একটা অন্যরকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তারা উদ্বিগ্ন হতে পারে এটা ভেবে যে, আমাদের যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হলো, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে না। এখন সংঘর্ষবিরতি হয়ে গিয়ে, তারপরে বিষয়টি বলা হয়েছে।”

রাজাগোপাল বলেন, “সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্তার বক্তব্যের পার্থক্য আছে। বিমান কেন ধ্বংস হয়েছে, সরকার সেটা সময় মতো মানুষকে জানাবে। ভারত সরকারের উচিত, দেশের মানুষকে এ সব বলা অথবা কাউকে না বলা। দেশের মানুষ ভাবতেই পারেন যে, বিদেশি সংবাদমাধ্যম সরকারের কাছে যতটা আপন, ততটা দেশের মানুষ নন। এ ধরনের চিন্তাধারা মানুষকে অনেক সময়ে বিভ্রান্ত করতে পারে। বিরোধীরা সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন এটাকে ব্যবহার করার।”

রাজাগোপাল বলেন, “২০১৯ সালে বালাকোট অভিযান করেই বিজেপি জিতেছিল। রাজনীতিতে সরকারের বীরত্বের একটা ভূমিকা আছে। মানুষ খেতে পাক বা না পাক, চাকরি পাক বা না পাক, দেশ অনেকটা এগিয়েছে, এটা মানুষকে গর্বিত করে। যারা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভোটের সুফল পায়, তাদের ক্ষেত্রে মানুষের এই চিন্তাভাবনা অনেক ভোট এনে দেয়। এবার যদি দেখা যায় এটা অনেকটাই ফাঁপা চিন্তাভাবনা, তাহলে ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়বে।”

সুমন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “বিরোধীদের এই প্রশ্নের যৌক্তিকতা আছে যে, এত দাম দিয়ে রাফাল কিনে কতটা যুদ্ধে কাজে লাগলো। রাফাল নিয়ে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন করে আসছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময়ে তাদের বক্তব্য ছিল, রাফাল নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। রাফাল কেনাটা খুব উপযুক্ত সিদ্ধান্ত ছিল না। ফলে অনিল চৌহানের বক্তব্য রাফাল নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিতে পারে বা কংগ্রেসের প্রশ্নচিহ্নকে আরো সংগঠিত করতে পারে।”

মইদুল বলেন, “উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ক্ষেত্রে পাকিস্তান নিয়ে একটা উদ্বেগের জায়গা আছে। পাকিস্তানের আক্রমণে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাদের সমাজ হিন্দু–মুসলমানে অনেকটাই বিভাজিত। পশ্চিমবঙ্গ পূর্ব ভারতে হওয়ায় যুদ্ধের জিগির এখানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিহারের ক্ষেত্রে নীতীশ কুমার ফ্যাক্টর। সেখানে বিজেপি তার জোটসঙ্গী। পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত ও অনিল চৌহানের স্বীকারোক্তির ফলে নীতীশের নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট বিধানসভা নির্বাচনে কতটা সুফল পাবে, সেটা বলা মুশকিল।”

আলোকিত প্রতিদিন/০২জুন ২০২৫/মওম

ফুলছড়িতে ১৮৬ বোতল বিদেশি মদসহ আটক-২

রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের গুপ্তমনি চরে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করেছে ফুলছড়ি থানা পুলিশ।  অভিযানে মূল অভিযুক্ত মাদক কারবারি মালেক মিয়া (৩২) এবং শয়কত আলী (৪০) নামে দুই সহোদর আটক হয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা আপন দুই ভাই।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মালেক মিয়াকে আটক করা হয়।  তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে মদ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে আসছিলেন।  তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।  মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আটক মালেক মিয়া ও শয়কত আলীর বাড়ি ফুলছড়ি থানাধীন ফজলুপুর ইউনিয়নের গুপ্তমনি গ্রামে। উভয়ের পিতার নাম হাবিজার।
উল্লেখ্য, অভিযানে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অফিসার চয়েস ব্র্যান্ডের ৭৫০ মিলিলিটার ২২ বোতল, ৩০০ মিলিলিটার ৯০ বোতল এবং ভারতীয় তৈরি ম্যাকডাওয়েলস ব্র্যান্ডের ৩৭৫ মিলিলিটার ৭৪ বোতল মদ জব্দ করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/০২জুন ২০২৫/মওম

চিত্রপরিচালক আহমেদ সাত্তারের ১ জুন ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী

মোঃ আতীক রোজেন ফেনী জেলা প্রতিনিধি। আহমেদ সাত্তার ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি, ফেনী জেলার আলোকদিয়া গ্রামে আলী রাজা ভূইয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ‘ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল’ থেকে এসএসসি পাস করে, ‘ফেনী সরকারী কলেজে’ ভর্তি হন। কলেজে পড়াকালীন সময়ে আহমেদ সাত্তারকে তাঁর ফুপাত ভাই প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক আবুল খায়ের তাঁকে ঢাকা নিয়ে যান।
আবুল খায়ের-এর মাধ্যমে পরিচালক ফখরুল হাসান বৈরাগী’র সাথে সহকারী পরিচালক হিসাবে কর্ম জীবন শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে “গায়ে হলুদ” ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ লাভ করেন আহমেদ সাত্তার, যদিও ছবিটি মুক্তি পায়নি।
আহমেদ সাত্তার পরিচালিত ছবিসমূহ-
 ১৯৮৯ সালে বীর বিক্রম ও বজ্রপাত।
১৯৯০ সালে বীর যোদ্ধা,  দেশ দুশমন।
১৯৯১ সালে রুবেল আমার নাম ও গোলামীর জিঞ্জির।
তিনি প্রচন্ড দাপটের সাথেই তাঁর চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করে ছিলেন। একের পর এক ব্যবসা সফল ছবি নির্মাণের মাধ্যমে তাঁর প্রতিভাকে তুলে ধরে ছিলেন ।  তাঁর প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ দেখাতে পারেনি। একজন প্রতিভাবান তরুণ্যদীপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন আহমেদ সাত্তার। বড়ো অকালে-অসময়ে পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছিলো।
গতকাল ১ জুন ৩৪ তম তার মৃত্যুবার্ষিকী চলে গিয়েছে। তিনি ১৯৯১ সালের ১ জুন, এফডিসিতে ডাবিং থিয়েটারে কাজ করার সময় ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪ বছর। তরুণ এই চিত্রপরিচালকের প্রতি বিন্ম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
ব্যাক্তিজীবনে আহমেদ সাত্তার ১৯৮৭ সালে, ফাতেমা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আহমেদ অপু ভুইঁয়া ও আহমেদ তপু ভুইঁয়া, দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। যারা বর্তমানে ফেনী জেলার আলোকদিয়া গ্রামে  বসবাস করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

আজ বিকেলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

আলোকিত ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ২ জুন সোমবার বিকেল ৪টায় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিএনপি। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলটির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রতিনিধি দলে আরও থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের বৈঠক ডাকা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাবনার উপর আলোচনার জন্য। বিএনপির পক্ষ থেকে সংস্কার-সংক্রান্ত প্রস্তাবনা লিখিতভাবে ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/০২জুন ২০২৫/মওম

‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ ঢাকায় আসবে আজ রাত থেকে

আলোকিত প্রতিবেদক:

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশু পরিবহনের সুবিধার্থে ২ জুন সোমবার থেকে ঢাকায় আসছে তিনটি ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে বিশেষ এ ট্রেনগুলো জামালপুর থেকে কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে। প্রথম ২টি ট্রেন জামালপুর থেকে ঢাকায় আসবে আজ। অন্যটি আসবে আগামীকাল।

ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেলওয়ের ঈদ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য এবার ঈদে ৩টি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। প্রতিটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে  থাকবে মোট ২৬টি কোচ।

১নং স্পেশাল ক্যাটল:জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২ জুন বিকাল ৫টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৩ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়।

২নং স্পেশাল ক্যাটল:জামালপুরের ইসলামপুর বাজার থেকে ২ জুন দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৩ জুন রাত ১টা ৫০ মিনিটে।

৩ নং স্পেশাল ক্যাটল: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ৩ জুন বিকাল ৫টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৪ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়।

আলোকিত প্রতিদিন/০২জুন ২০২৫/মওম

মেজর সিনহা হত্যা/ ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের ফাঁসি বহাল!

আলোকিত ডেস্ক, মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শকমো. লিয়াকত আলীর ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বাকি ৬ আসামিকে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।

বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গেল ২৯ মে বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

গত ২৩ মে শুরু হয়ে উচ্চ আদালতে প্রতি কার্যদিবসে অব্যাহতভাবে শুনানি নিয়ে শেষ করা হয়। মামলায় এফআইআর, চার্জশিট, সাক্ষী, জেরা, পেপারবুক থেকে আসামি ও সাক্ষীদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠন, বিচারিক আদালতের রায় পাঠ শেষে মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়।

ওই মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব; কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা এসব আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।

অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়।পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

যতদিন নিম্নচাপ থাকবে ততদিন ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে : আমিনুল হক 

ইমরান হোসেন : বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ,১ লা জুন রোজ রবিবার ২০২৫ ইং
চার দিনের ভারী বর্ষণে পল্লবী রূপনগর থানার বেশ কিছু প্লাবিত এলাকায় গত চারদিন ধরে ৩ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি বেলায় রান্না করা খাবার বিতরণ চলমান রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের  আহবায়ক আমিনুল হক তার নিজ নির্বাচনী এলাকা পল্লবী রূপনগরের এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে রান্না করা খাবার তিনি নিজে তুলে দিচ্ছেন।
আজ রবিবার দুপুরে প্লাবিত বস্তিগুলো  পরিদর্শনে আসেন আমিনুল হক। এসময় তিনি জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর খোঁজখবর নিতে তাদের কথা শুনেন এবং সবধরনের সাহায্য সহযোগিতার আশ্বস্ত করেন তিনি।
ঢাকা- ১৬ আসনের আওতাধীন বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দি হয়ে পরা ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিগুলোর মধ্যে পল্লবী ২ নং ওয়ার্ড বেগুনটিলা বস্তি, ৫ নং ওয়ার্ড বাউনিয়াবাধ বস্তি, রূপনগর থানা ৯২ নং ওয়ার্ড দোয়ারীপাড়া বস্তি ও আরামবাগ বস্তি, আন্চলিক ৬ নং ওয়ার্ড ট ব্লক বস্তি ও চলন্তিকা বস্তির জন্য প্রতি বেলার খাবার সংশ্লিষ্ট বস্তির সামনেই আমিনুল হক এর সার্বিক তত্বাবধানে রান্না করা  হচ্ছে।
খাবার বিতরণ কালে আমিনুল হক বলেন, জলাবদ্ধতার ফলে যতদিন পর্যন্ত এ দূর্ভোগ থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই অসহায় পরিবার গুলোকে সাহায্য সহায়তা ও রান্না করা খাবার বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি এই কেন্দ্রীয় নেতা এসময়  বলেন, “জিয়াউর রহমান মানুষের পাশে ছিলেন, আমরাও তাঁর আদর্শে সেই পথেই আছি। মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবক হয়ে কাজ করে যেতে চাই।”
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোঃ ইউসুফ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর উত্তর এর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বাণিজ্যিক সিনেমাকে ‘বিদায়’ জানালেন কোয়েল মল্লিক!

বিনোদন, ‘নাটের গুরু’ দিয়ে শুরু, এরপর পেরিয়ে গেল ২২ বছর। এখনো দর্শক মনে সতেজ কোয়েল মল্লিক। তবে খন আর সচরাচর পর্দায় দেখা যায় না তাকে। গতকাল মুক্তি পেয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’।

 

নতুন করে সিনেমা ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, এমন অনেক ছবি আছে যেগুলো বক্স অফিসে সফলও হয়। আর এই ছবিটার ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, যখন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা হচ্ছিল তখন নানা বিষয় উঠে এসেছিল।

 

ক্যারিয়ারের রজত জয়ন্তী নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে কোয়েল বললেন, আমার তো মনে হয় এই সবে কাজ শুরু করলাম, কীভাবে এত বছর পেরিয়ে গেল বুঝতে পারলাম না আমি।

মেইনস্ট্রিম বাংলা ছবির নায়িকা, যার চাহিদা এখনও তুঙ্গে। তবে সাক্ষাতকারে কোয়েল বাণিজ্যিক সিনেমায় ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছন। তিনি বলেন, ওই ছবিগুলোর জন্যই আজকের আমি এখানে। দ্যাট মেইড মি। এখন অনেক বছর পেরিয়ে গেছে, আমিও অনেকটা পরিণত হয়েছি।

এই ধরনের ছবির কোটা আমার শেষ বলা যায়। দেখতে চাই, নতুনরা কেমন করছে। যদিও আগের থেকে তেমন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা কমেছে, তবুও আমি মনে করি সব ধরনের ছবির ব্যালেন্স দরকার। 

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সিরাজগঞ্জে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে র‍্যালি 

ওয়াসিম সেখ:
”দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে ” এই শ্লোগান নিয়ে – সিরাজগঞ্জে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫ ” সম্পর্কে তথ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। কুইজ,চিত্রাঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
 মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ( এলডিডিপি) এর সহযোগিতায় এবং জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সিরাজগঞ্জের আয়োজনে, ১জুন রবিবার সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সন্মুখ হতে র‍্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, স্থানীয় সরকার বিভাগ সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিটুস লরেন্স চিরান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর রহমান, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সাবেক ট্রেনিং অফিসার ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ.কে.এম আনোয়ারুল হক।
এ অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা কৃত্তিমপ্রজনন দপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এসময়ে অনুষ্ঠানে খামারী এবং স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন, পিপুলবাড়িয়ার তিনভাই ডেইরি ফার্ম স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সয়াধানগড়ার এলাকায় অবস্থিত কনা ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী কনা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০১জুন ২০২৫/মওম