আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 427

৫৪ জেলায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

আলোকিত ডেস্ক:

দেশের ৫৪ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ১৫ এপ্রিল সোমবার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ও তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায় আগামী ২ দিন  রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আলোকিত প্রতিদিন / ১৫ এপ্রিল-২৪ /মওম

হামলার আগে সতর্ক করেছিল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো দেশটি। ইরান বলছে, ইসরায়েলে হামলার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ আশপাশের দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরানের এই দাবি সত্য নয়। তারা ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতিই করতে চেয়েছিল। ১৫ এপ্রিল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক, জর্ডান এবং ইরাকের কর্মকর্তারা রবিবার বলেছেন, ইসরায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক দিন আগে তাদেরকে বিস্তৃত নোটিশ দিয়েছে ইরান। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তেহরান ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেনি এবং হামলায় ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার লক্ষ্যেই এটি করেনি ইরান। সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ ছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান রবিবার বলেছেন, ইরান প্রতিবেশী দেশ এবং ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ৭২ ঘণ্টার নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিল- তারা হামলা চালাবে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা হামলার আগে ওয়াশিংটন এবং তেহরান উভয়ের সাথেই কথা বলেছিল এবং হামলার পর প্রতিক্রিয়া যেন আনুপাতিক থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আঙ্কারা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে একে অপরের বার্তা উভয়পক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, ‘ইরান জানিয়েছিল- দামেস্কে তার দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হবে এবং তারা এর বাইরে আর কিছুই করবে না। আমরা এই হামলার সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত ছিলাম। আর তাই ইসরায়েলে ইরানের এই হামলা আমাদের কাছে অবাক করার মতো কিছু ছিল না।’

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ানের বিবৃতি অস্বীকার করে বলেছেন, ওয়াশিংটন সুইস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু ৭২ ঘণ্টা আগে তারা কোনও নোটিশ পায়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা কোনও নোটিশ দেয়নি, বা তারা (হামলার বিষয়ে) কোনও ধারণাও দেয়নি, এমন কোনও ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাই তাদের সরিয়ে দিন’।এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক’। মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামলার মধ্যেই আমরা ইরানিদের কাছ থেকে একটি বার্তা পেয়েছি, সুইসদের মাধ্যমে। সেই বার্তায় হামলা সম্পন্ন হয়েছে বলে মূলত ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, তবে হামলা তখনও চলমান ছিল। সেসময় আমাদের কাছে এটিই ছিল (তাদের) বার্তা।’

অন্যদিকে ইরাকি, তুর্কি এবং জর্ডানের কর্মকর্তাদের প্রত্যেকে বলেছেন, ইরান গত সপ্তাহে কিছু বিশদ বিবরণসহ হামলার বিষয়ে প্রাথমিক সতর্কতা দিয়েছে। ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলায় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে এবং সংঘর্ষ বাড়তে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার এবং শনিবার বলেন, তারা ইরানের কাছ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে আক্রমণের আশঙ্কা করছেন এবং সেসময় তেহরানের কাছে কঠোরভাবে বাইডেনের একমাত্র বার্তা ছিল: ‘(ইসরায়েলে হামলা) করবেন না।’ ইরাকের একজন সরকারি নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ দুটি ইরাকি সূত্র জানিয়েছে, ইরান হামলার অন্তত তিন দিন আগে কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে বাগদাদকে এ বিষয়ে জানিয়েছিল।

সেই সময়ে হামলার সঠিক সময় প্রকাশ করা হয়নি, তবে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরাকি নিরাপত্তা ও সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, যেন বাগদাদ তার আকাশসীমা বন্ধ করতে পারে এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়াতে পারে।ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার ইরানি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিল, ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীও হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিল।’

জর্ডানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলে সম্ভাব্য হামলা চালানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানাতে ইরান গত বুধবার তেহরানে অবস্থানরত আরব রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছিল। যদিও ইরান হামলার সময় সম্পর্কে কিছু জানায়নি। ইসরায়েলে হামলার সময় ইরান ঠিক কোন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে, জর্ডানের ওই সূত্রটি সরাসরি উত্তর দেননি। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, সেখানে বিষয়বস্তু এটিই ছিল। ইরানি সূত্র বলেছে, কাতার, তুরস্ক এবং সুইজারল্যান্ডের কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার নির্ধারিত দিন সম্পর্কে অবহিত করেছিল ইরান। সূত্রটি আরও বলেছে, হামলাটি এমনভাবে পরিচালিত হবে যাতে প্রতিক্রিয়া উসকে দেওয়া না হয়। অবশ্য ইরানের হামলার পর উত্তেজনার বৃদ্ধি কতটা এড়ানো যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিশোধমূলক হামলায় যোগ দেবে না ইসরায়েল এখনও ইরানি হামলার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া ঠিক কী হবে তা পরিমাপ করছে। তবে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, যখন উপযুক্ত সময় আসবে, তখনই ইরানের ওপর প্রতিশোধ নেবে ইসরায়েল।

আলোকিত প্রতিদিন / ১৫ এপ্রিল-২৪ /মওম

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে র‌্যালী পান্তাভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মোঃ নুর হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
 শেরপুরের নকলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মুজিবশতবর্ষ মঞ্চ থেকে এক বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র মো. হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. ইসহাক আলী, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালী পরবর্তী সবাই একসাথে পান্তাভোজনে মিলিত হন। পান্তাভোজন শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এতে শিল্প কলা একাডেমির শিল্পীসহ স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নৃত্য প্রদর্শন করে দর্শক বাঙালির ঐতিহ্য তুলে ধরে আনন্দ দেন। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন সমাপনী বক্তব্যে উপজেলাবাসীদের প্রহেলা বৈশাখ ও ইদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

শিবচর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

আসাদ ফকির,শিবচর,মাদারীপুর
মাদারীপুর জেলার শিবচরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাঙালির ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষ পালিত হচ্ছে শিবচরের বিভিন্ন স্থানে। আয়োজন করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। রবিবার পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিবচর উপজেলা চত্বর থেকে এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের সড়ক ৭১ ঘুরে উপজেলায় গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনেও আলাদা শোভাযাত্রা বের হয়। এসময় সকলের  বাঙ্গালী সাজ ও রঙের বাহার দেখে মনোমুগ্ধকর এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
দিনটিকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী মেলায় যেখানে থাকছে পুতুল নাচ, নাগর দোলাসহ নানা আয়োজন। পাশাপাশি মেলায় পাওয়া যাবে হরেক রকমের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। দিনটি বাংলা ভাষাভাষী সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এক মহা উৎসব। প্রতি বছরই ঘটা করে বিশ্বের বাঙালি সম্প্রদায় দিনটিকে নানাভাবে উদযাপন করে থাকে। এ দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের হিসাবের নতুন খাতা খুলেন আর সারাদিনই চলতে থাকে হালখাতার আমেজ। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মঙ্গলর‌্যালী বের হয়। গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মঙ্গলর‌্যালীর পাশাপাশি পান্তা-ইলিশেরও আয়োজন করেছে। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,‘বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের এই দিনটিকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।  সকাল থেকেই উৎসবমুখোর পরিবেশ বিরাজ করছে।
 শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকারীরা ঢাক-ঢোল, পালকি, মাছ ধরার পলোসহ নানা দেশীয় সাজে সেজে অংশ নিয়েছে।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

মাইলাগীতে ঈদ পুনর্মিলনী ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

জাঁকজোমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ঘিওর ইউনিয়নে ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সদর ইউনিয়নের মাইলাগী গ্রামে মাইলাগী মিতালী সংঘ ও গ্রাম বাসির উদ্যোগে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

বাঙ্গালী সংস্কৃতির ঐতিহ্য খেলাধুলায় ইতিহাস হাজার বছরের প্রাচীন ও পুরানো। গ্রামকে বলা হয় বাংলাদেশের হ্রদপিন্ড। গ্রামীণ সমাজের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে বয়স ভিত্তিক ৫টি গ্রুপ ও উন্মুক্ত খেলা সহ ৩১টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রী থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকজন এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। গ্রামীণ সমাজের ঐতিহ্যবাহী দড়ি খেলা, বালিশ খেলা, তৈলাক্ত কলা গাছে উঠা, হাড়ি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

কল্যাণপুর গার্ল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানাজ বেগমের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট আব্দুল আলীম ভূইয়ার সঞ্চালনায়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাহবুবুর রহমান জনি।

এসময় বক্তারা খেলাধুলার গুরুত্ব উপস্থিত লোকদের মাঝে তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। সুস্থ দেহ ও মন কাজের প্রতি আগ্রহ ও কাজের গতি বাড়ায়। আর দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। বক্তারা এভাবে উপস্থিত সবাইকে খেলাধুলায় মনোযোগী হতে উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আমন্ত্রিত অতিথিরা বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।


এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন – বিশিষ্ট সমাজসেবক খোরশেদ আলন খসরু, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি আলী ইকবাল বাহার শামীম, ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন ভূইয়া, সাবেক ইউপি সদস্য ইউসুফ জান সিদ্দিকী, জাসদ নেতা ইয়াসিন আরাফাত ময়না সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- রিয়াজুল আলম মাখন, নুর এ আলম, কৃষি ব্যাংকের অফিসার মুরাদ হোসেন প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন /১৪ এপ্রিল -২৪/এসএএইচ

অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ৩টি নৌ-ট্রলার চরে আটকা, ৯৯৯ ফোন দিয়ে উদ্ধার

একেএম ফারুক হোসেন :

গতকাল ১৩ এপ্রিল শনিবার লক্ষীপুর জেলার রামগতিতে মেঘনায় ৩টি যাত্রীবাহী নৌ-ট্রলার আবদুল্লার চর নামক স্থানে আটকে পড়ে। নৌকার মাঝিরা বহুভাবে চেষ্টা করেও নৌকাগুলোকে ভাসাতে না পেরে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। এসময় উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে থাকা কয়েকজন ৯৯৯ ফোন দিয়ে সাহায্যের আবেদন জানায়। নদীর মাঝপথে যাত্রীদের এমন বিড়ম্বনার খবর পেয়ে বিষয়টি রামগতি বড়খেরি নৌ-ফাঁড়ির পুলিশকে জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে বড়খেরি নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ ও তার টীম উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বিকাল ৫:২০ টায় শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযান রাত ৮:৩০ টায় শেষ হয় বলে জানান আইসি ফেরদৌস আহমেদ। এসময় সকল যাত্রী সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলো বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সকলকে নিরাপদে যার যার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তারা আরো বলেন, জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের উদ্ধার করেন।

আলোকিত/১৪/০৪/২০২৪/আকাশ

বৈশাখী উৎসব এবং বাংলা সনের প্রচলন

শেখ মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গানের চরণ দিয়ে শুরু হয়ে যাবে বরাবরের মতো আরেকটি বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দ- ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। আদিকাল থেকেই মানবজাতির একটি ধারণা ছিল নতুন বছরের সাথে মানব জীবনের কল্যাণ জড়িত। যা আজও পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি মনে করে। মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবই হচ্ছে যাবতীয় দুঃখ থেকে দূরে থাকা। আর তাই সে বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে সুখের কথা ভাবতেও পছন্দ করে। এমনই করে নতুন বছরকে বরণ করে উৎসবের নানাবিদ আয়োজনে।  সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রবণতা অনেক বেড়েছে। আরো বেশি করে অনেকটা উন্মাদনা লাভ করে ছোট বড় সবার মাঝে। বছর শুরুর প্রথম প্রহরে বর্তমান পৃথিবীর মানুষজন যে দুটি প্রধান বাৎসরিক গণনার সাথে বেশি পরিচিত। তার একটি হলো খ্রিস্টাব্দ যা খ্রিস্টানদের নবী হযরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের সময় থেকে গণনা শুরু হয়েছে। অপরটি মুসলমানদের নবী পৃথিবীর সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সাথে সম্পৃক্ত। যা হিজরী সন হিসাবে গণনা শুরু হয়ে আজও চলমান রয়েছে। বাঙালি জাতি গোষ্ঠীর জন্য রয়েছে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ। যার শুরু হয় মোঘল  শাসক সম্রাট আকবরের রাজ দরবার থেকে অর্থাৎ মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তক। যা ১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দে ১০-১১ মার্চ কার্যকর করা হয়। এই সন পূর্বে ফসলী সন হিসাবে পরিচিত ছিল। কেননা ওই সময় মানুষের একমাত্র পেশা ছিল কৃষি জমিনে ফসল ফলানো; আর এই ফসল দিয়েই মানুষজন রাষ্ট্রের কর পরিশোধ করতো। আর এই ফসলী সনই পরবর্তীতে বঙ্গাব্দ হয়ে আজও চালু আছে। বাংলা বছর শুরু হতো চৈত্র মাসের শেষ দিন রাষ্ট্রের খাজনা পরিশোধের মাধ্যমে। বৈশাখের নতুন ফসল দ্বারা বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে যা আজও বাংলা ভাষাভাষী মানুষজন আয়োজন করে থাকে এবং বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে থাকে। সম্রাট আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত সনের অপর নাম ছিল তারিখে ইলাহী। আর বছরের বারো মাসের নাম ছিল যথাক্রমে- কারবাদিন, আর্দি, বিসুয়া, কোর্দাদ, তীর, আমার্দাদ, শাহরিয়ার, আবান, আজুর, বাহাম, ইস্কান্দার ও মিজ। কালক্রমে আকবর কর্তৃক মাসগুলোর নাম পরিবর্তন হয়ে বর্তমান বাংলা মাসগুলো নাম প্রচলিত হয়ে আসছে। ধারণা করা হয় ১২টি নক্ষত্রের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমান বাংলা ১২ মাসের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- বিশাখা থেকে বৈশাখ, জায়ীতা থেকে জ্যৈষ্ঠ, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবনী থেকে শ্রাবণ, কার্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রায়হন থেকে অগ্রহায়ন, পউস্যা থেকে পৌষ, মাঘা থেকে মাঘ, ফাল্গুনী থেকে ফাল্গুন ও চিত্রা নক্ষত্র থেকে চৈত্র মাসের নামকরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলা নববর্ষের উৎসবটি শুরু হয় ১৯১৭ সাল থেকে। যে উৎসবে সকল ধর্ম বর্ণ জাতি গোষ্ঠীকে আবদ্ধ করে। কী গ্রাম বা শহর সবাই এ উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী মহল নতুন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো শুরু করে এবং পূর্বের সকল বাকি পাওনা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকদেরকে দাওয়াতের আয়োজন করে। আদিকাল থেকেই শহর ও গ্রামে বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু রীতি চালু আছে। যেমন- খুব ভোরে উঠে গোসল করে নতুন জামা কাপড় পড়ে একে অন্যের বাড়ি যাওয়া। ভালো রান্না করা পান্তা ইলিশের আয়োজন করা। মঙ্গল শোভাযাত্রা করা যা বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে মফস্বল সর্বত্রই শুরু হয়েছে। যেখানে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। আবার অনেক অঞ্চলে নববর্ষে আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচের। এছাড়া আছে নাগরদোলা, জারি-সারি, বেহুলা লক্ষিন্দর পালা, ভাটিয়ালি সহ আধুনিক গানের আসর। ষাড়ের লড়াই, চট্টগ্রামের জব্বারের বলি উৎসব। সোনামণিদের জন্য থাকে মেলায় বিভিন্ন খেলনার উপস্থিতি। মাঠঘাট বাজার রাস্তার অলিগলিতে বসে বাহারি খাবারের দোকান। অঞ্চল ভিত্তিক প্রচলিত গ্রাম বাংলার শত বছরের সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান নববর্ষের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনে পিছিয়ে নেই আমাদের পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও। তারাও সেখানে উদযাপন করে নিজস্ব সংস্কৃতির আলোকে তিনদিনব্যাপী বৈশাবী উৎসবের। তাইতো বাঙালি কবি জীবনানন্দ দাশ বলেন- ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে চাহি না আর ‘। বাঙালি জাতির ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষ সার্বজনীন পালন করার জন্য এদিন সমগ্র দেশে সরকারি বেসরকারি কারখানা ও সকল দপ্তরের সাধারণ ছুটি থাকে। বর্তমান সংস্কৃতিপ্রিয় সরকার চালু করেছেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী উৎসব ভাতা। সর্বশেষ আমরা একথা বলতে পারি বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাঙালি জাতির কৃষ্টি কালচারের ও সংস্কৃতির মধ্যে অন্যতম। যেখানে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সবকিছু ভুলে এক প্লাটফর্মে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। এখানে উল্লেখ্য যে বর্ষবরণের নামে কোন ধরনের নারী পুরুষের প্রকাশ্যে অশ্লীলতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যা অন্যের জন্য বিব্রতকর। এ ব্যাপারে অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সমাজে অপ্রচলিত অশ্লীল কাজকর্ম কোনো বোধ সম্পন্ন জাতি-গোষ্ঠী সমর্থন করতে পারে না।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

আলোকিত/১৪/০৪/২০২৪/আকাশ

সদরঘাট ট্রাজেডি: ম্যানেজার ও চালকসহ রিমান্ডে ৫

স্টাফ রিপোর্টার: সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার লঞ্চের চার মাস্টার ও এক ম্যানেজারের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌথানার উপ-পরিদর্শক নকীব অয়জুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেলের আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে অবহেলাজনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এদিকে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃতব্যক্তির নমিনির কাছে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

আলোকিত/১২/০৪/২০২৪/আকাশ

বাংলা নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

আলোকি ডেস্ক: দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন, বাংলাদেশের সব ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১ এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

তিনি বলেন- আসুন, নতুন বছরে অতীতের সব ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।

প্রধানমন্ত্রী কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় বলেন, ‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন।’ শুভ নববর্ষ।

আলোকিত/১২/০৪/২০২৪/আকাশ

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

ষ্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্র (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) এ বসবাসরত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফলমূল ও মিষ্টান্ন দেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান নূরনবী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এগুলো পৌঁছে দেন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস এবং উৎসবে যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনে তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনাই দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়মী লীগ ছাড়া কোনো সরকার সাধারণ মানুষ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিন্তা করে নাই। একমাত্র শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে পারে। সবশেষে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

আলোকিত/১১/০৪/২০২৪/আলোকিত