নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের নামাজ শেষে অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের দেখতে হাসপাতালে যান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন তিনি। নামাজ শেষে দেশ ও জনগণের অব্যাহত অগ্রযাত্রা, শান্তি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। পরে আইজিপি পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য এবং মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। নামাজ শেষে আইজিপি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে চিকিৎসাধীন অ্যাডিশনাল ডিআইজি তোফায়েল আহমেদ, কনস্টেবল মো. আবদুর রাজ্জাকসহ অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসক ও অসুস্থদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যগণও উপস্থিত ছিলেন আইজিপি তাদের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবারের খোঁজ খবর নেন।

আলোকিত/১১/০৪/২০২৪/আকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি (ইমরান রিপন ও মোঃ জাকির হোসেন):

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক। আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে  গুলশানস্হ বিএনপির চেয়াপারসন এর কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আমিনুল হক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষেদের  ঈদ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগনের ভোটাধিকার নেই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বন্দী অবস্থায় আছেন। প্রকারান্তরে বাংলাদেশকেই বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন,  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ নির্বাসিত। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আমাদের মুক্ত করতে হবে, দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে হবে। আমিনুল হক বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্নীতি লুটপাট দুঃশাসনে সারা দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দেশে উন্নয়নের নামে দূর্নীতি, অপকর্ম, দুঃশাসন ও লুন্ঠনের রাজনীতি চলছে। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোঃ মোস্তফা জামান, মহানগর সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, হাজি মোহাম্মদ ইউসুফ, দফতরের দায়িত্ব প্রাপ্ত এবিএমএ রাজ্জাক, জিয়াউর ইসলাম জিয়াসহ বিএনপির সকল থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত/১১/০৪/২০২৪/আকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি (ইমরান রিপন ও মারুফ):

২০১৫ সালে অবরোধ চলাকালে গাজীপুর থেকে গুম পল্লবী থানা যুবদলের সাধারন সম্পাদক নুরে আলম,পুলিশের গুলিতে নিহত পল্লবী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহীদ মকবুল ও পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক তরিকুল ইসলাম তারার পরিবারের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনের মা, মাটি ও গণমানুষের নেতা আমিনুল হক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে সমবেদনা জানাতে তিনি এ সকল নেতাকর্মীদের বাসায় যান। এ সময় শোকাহত পরিবারের লোকজন তাকে পেয়ে আনন্দিত হন। আমিনুল হক বলেন, আপনারা সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ এটার ফয়সালা করবে। এই জালিম সরকারের পতন অবশ্যই ঘটবে। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। আমাদের স্থানীয় নেতা কর্মীরাও আপনাদের পাশে থাকবে সব সময়। তিনি আরো বলেন, বিদেশী প্রভুদের দাসত্বের সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র যখন পরাধীন হয়ে উঠে সেই রাষ্ট্র আর জনগণের হয় না বলে তিনি মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক আরো বলেন, আমরা কিন্তু বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল নই, আমরা আমাদের নিজেদের শক্তি এবং এই দেশের জনগণের উপর নির্ভরশীল। এই আওয়ামী সরকারের জনগণের ভোটের দরকার হয় না, তাদের বিদেশি প্রভূদের দরকার হয়। তারা বিদেশি প্রভুদের দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের এ ক্ষমতা তারা বেশি দিন ধরে রাখতে পারবে না। কারণ বিদেশি প্রভুদের দাসত্বের সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র যখন পরাধীন হয়ে উঠে সেই রাষ্ট্র আর জনগণের হয় না।

আলোকিত/১১/০৪/২০২৪/আকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি (ইমরান রিপন ও মারুফ):

শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ একটা দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে  রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ সংগ্রাম করে চলছে, জনগণের আন্দোলন বৃথা যায় না। সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ব। সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বান্দরবানের ঘটনা প্রমাণ করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর বাংলাদেশকে রাষ্ট্র বলে মনে হয় না। বর্তমান সরকারকে না সরিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে পরনির্ভরশীল করার ম্যান্ডেট দিয়েই এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরই অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলের শিকার বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কঠিন দুঃসময় পার করছে বিএনপি। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা হাবীবুর রশীদ হাবীবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত/১১/০৪/২০২৪/আকাশ

মোঃ শওকত আলী:

সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর সরাইল উপজেলার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় আগামী ৮ মে সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করে বলেন, আমি সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমার সামর্থ্ মত সরাইলের সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, এবং আমি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান নাও পারি তাহলেও সবসময় সরাইলের আপামর জনগণের পাশে থাকবো, তিনি আরো বলেন মানুষের জীবনে ভুল ত্রুটি থাকবে আর ভুল ত্রুটি দিয়েই মানুষ আমি সরাইলের সাধারণ জনগণের কাছে আমার একটি চাওয়া আগামী দিনে যদি ওনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, ইনশাল্লাহ আমার বাকি জীবনটুকু তাদের জন্য, উৎসর্গ করে দিব কারণ আমার জীবনে আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই।

আলোকিত/১১/০৪/২০২৪/আকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি (ইমরান রিপন ও জাকির হোসেন):  

আওয়ামীলীগ সরকারের গুম, খুন, জুলুম নির্যাতনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঈদ আনন্দ বিবর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব  রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, একদিকে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা অন্যদিকে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে দেশের অর্থনীতিকে বিনষ্ট করছে শেখ হাসিনা। বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, দেশকে পরনির্ভরশীল করে তুলছে ক্ষমতাসীনরা। গণতন্ত্র বঞ্চিত দেশের মানুষ, ভোট দিতে পারে না। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে বলেই ৯৮ ভাগ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। এসময় গণমাধ্যমকে সরকার দলীয় করে নিয়েও লুকোচুরি ঠেকাতে পারছে না সরকার বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হকের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান মন্টুর সঞ্চালনায় ও থানা বিএনপির সদস্য ওয়াহিদ আলমের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং। উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ ও সদস্য (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে ১৭ বছর ধরে। সবকিছুকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। দুঃসময় পার করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপি করা পরিবারের সবাই কোন না কোনভাবে নির্যাতিত। সবার বাড়িতে কোন না কোন শোকের মাতম। শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজমান বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে। ঈদে বিবর্ণ আনন্দ পালন করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ লুটপাট করছে দেশের অর্থনীতি । বিদেশে পাচার করছে টাকা। গণতান্ত্রিককামী মানুষের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম অন্যদিকে চলছে উল্লাস। তিনি বলেন, অভাবে হাটে গিয়ে সন্তান বিক্রি করছে বাবা। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বর্গতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। গোটা দেশকে শেখ হাসিনা পরনির্ভরশীল করার জন্য কত চিৎকার। গণতন্ত্র বঞ্চিত দেশের মানুষ, ভোট দিতে পারে না। তারেক রহমানের আহবানে ৯৮ ভাগ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ভোট নিয়ে তেলেসমাতি নিয়ে যে কাণ্ড সেটা নিয়ে পাশের দেশ সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগকে। রিজভী বলেন, মীরজাফরের আত্মা শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের হাছান মাহমুদের কাছে। গণতান্ত্রিক কামী মানুষের আন্দোলন সফল হবে। এত দমন পীড়নের পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা দল থেকে সরে যায়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ  অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১৬ আসনের মা মাটি ও গণমানুষের নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে আওয়ামী সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই। এই আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে , মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ও তাদের প্রত্যাশা তোয়াক্কা না করে এক তরফা ডামী নির্বাচন করেছে। ডামি নির্বাচনের পর অবৈধ এ সরকার এখন বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ক্ষমতায় বসে আছে। আমিনুল হক বলেন, যে দেশে জনগনের ভোটের প্রয়োজন হয় না, অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকা এই আওয়ামী সরকারের দেশে প্রতিনিধিত্ব করারও যোগ্যতা তাদের নেই। আওয়ামীলীগের রাজনীতি ঘুনে খেয়ে ফেলেছে, আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে নিজেদের জন্য, জনগনের জন্য নয় উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন বিএনপি জনগণের দল, জনগনই বিএনপির শক্তি। জনগণকে সাথে নিয়েই ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনে এই আওয়ামী দুঃশাসনের পতন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক ছাত্র নেতা ঢাকা-১৫ আসনের উদীয়মান তরুণ নেতা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত) তরিকুল আলম তেনজিং বলেন- আমরা মিরপুরে রিজভী ভাইয়ের নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন করেছি এবং আগামীতেও করবো ইনশাআল্লাহ।

আলোকিত/১০/০৪/২০২৪/আকাশ

২০১৭ সাল। তখন স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্র ভাবল, “ঈদের আনন্দ তো সবার, তাহলে কেন মানুষ ঈদের নতুন নতুন সবকিছু থেকে বঞ্চিত হবে?” এ ভাবনা থেকেই পথশিশু থেকে শুরু করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিপ্রায়েই স্কুল পড়ুয়া একদল সমমনা শিক্ষার্থী মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলে, আত্মপ্রকাশ করে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংগঠন ‘তাঁদের পাশে আমরা’। এভাবেই ২০১৭ সালের ১লা জুলাই “সেবাই মহত্ত্ব, সেবাই মনুষ্যত্ব” মূলমন্ত্রে ‘তাঁদের পাশে আমরা’ সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম ইভেন্ট সফল হবার কারণেই আজ ২০২৪ সালে এসেও এই নামে সংগঠনটি টিকে আছে।  ২০১৭ সালের ঈদ-উল-ফিতর এ প্রায় ১০৬ জন পথশিশু, দরিদ্র পল্লীর মানুষদের হাতে ঈদের নতুন কাপড় কিনে উপহার দেয়া হয়। এই ইভেন্টের সফলতাতেই পরে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুলপড়ুয়া একদল কিশোর একটা সংগঠনই গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ‘তাঁদের পাশে আমরা’ কর্তৃক আয়োজিত ‘শীতবস্ত্র বিতরণ উৎসব’ এ ৬০ জন পথশিশু এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর ৪৩ জন ছাত্র-শিক্ষককে কম্বল উপহার দেয়া হয়। পরে ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একইভাবে ‘তাঁদের পাশে আমরা’ ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছে। ২০২০ সালের করোনা প্যান্ডেমিক এর কারণে হতাহত ছাড়াও অনেক পরিবারের একমাত্র আয়ক্ষম ব্যক্তি কাজ হারিয়েছেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলও হয়েছেন। এই সময় ‘তাঁদের পাশে আমরা’ এগিয়ে এসেছে। পরে বন্যাদুর্গতদের উদ্দেশ্যে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১ সালে ঈদের দিনে কালশীতে বিরাট ঈদ আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক শ’ মানুষকে ঈদের নতুন জামা দেয়ার পাশাপাশি ৭ দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়া হয়। এর পাশাপাশি ‘মেহেদী উৎসব’ এবং একসাথে সবাই মিলে ইফতার এর আয়োজনও ছিল। এরপর ২০২২ ও ২০২৩ সালে কার্যত ‘তাঁদের পাশে আমরা’ অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবেই সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ‘তাঁদের পাশে আমরা’ সংগঠনের ঢাকার বাইরে প্রথম শাখা নেত্রকোণায় খোলা হয়। ‘তাঁদের পাশে আমরা- নেত্রকোণা’ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক উদ্যোগ নেয়া হয়, যা আজও অব্যাহত আছে। বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সারা দেশে ‘তাঁদের পাশে আমরা’ সংগঠনটি ছড়িয়ে পড়বে- এ ধারণা কল্পনাতীতই ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ই এপ্রিল, ২০২৪ হাজারীবাগে অর্ধশতাধিকেরও বেশি পরিবারকে ৭ দিনের খাদ্যসামগ্রী (চাল, তেল, ডাল, চিনি, কিশমিশ, দুধ, সেমাই) উপহার দেয়া হয়। ঐদিনই ‘তাঁদের পাশে আমরা’ সেবামূলক সংগঠন কর্তৃক ‘মেহেদী উৎসব’ আয়োজিত হয়। এরই অভিপ্রায়ে একইভাবে পরিকল্পনামাফিক, ৯ই এপ্রিল, ২০২৪ তাঁদের মাঝেই ঈদের নতুন কাপড় উপহার দেয়া হয়। এই আয়োজনের সাথে ছিল ‘charity.care’ সংগঠনটি। ‘তাঁদের পাশে আমরা’ সেবামূলক সংগঠন এই সংগঠনটির প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। “সেবাই মহত্ত্ব, সেবাই মনুষ্যত্ব” মূলমন্ত্রকে মনেপ্রাণে ধারণ করে সবার সাথে হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ রেখে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়াতেই প্রকৃত সুখ, তাঁদের পাশে আমরা- এই দর্শনে বিশ্বাসী। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংগঠনটি এগিয়ে যাচ্ছে তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল নোমান (প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি), রজত শুভ্র রায় (সহ-প্রতিষ্ঠাতা), রুকাইয়া আক্তার মীম (কার্যনির্বাহী সদস্য), মোঃ সামিউল কিবরিয়া সাজিদ (কার্যনির্বাহী সদস্য), মোঃ হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া (কার্যনির্বাহী সদস্য), শফিকুল হাসনাত সিফাত (কার্যনির্বাহী সদস্য), ফারহানা তাসনুভা (কার্যনির্বাহী সদস্য), ইখতিয়ার আহমেদ লিখন (কার্যনির্বাহী সদস্য), মোঃ আব্দুল্লাহ আল শাহরিয়া (কার্যনির্বাহী সদস্য), শাহজাদী (কার্যনির্বাহী সদস্য), জামসাদ চৌধুরী (কার্যনির্বাহী সদস্য), ওয়াসি ফাহিম (স্বেচ্ছাসেবক) প্রমূখ।

ইমরান রিপন ও মারুফ সরকার:  ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা ১৬ আসনসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিপ্লবী সদস্য সচিব আমিনুল হক।

তিনি বলেন, ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর, পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানেরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত। বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় সত্বার জাগরণ ঘটায়।

তার আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদুল ফিতরের উৎসব সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় ও সৃষ্টি করে পরষ্পরের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাবোধ।

ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে নিবিড় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ ও তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির বোধে উদ্দীপ্ত করে ঈদুল ফিতরের উৎসব।

তাই এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে। ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলের আমরা’।

এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায় ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য।

তিনি আরো বলেন, আমি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনাদের যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই  অসহায় নেতা কর্মীদের  পাশে দাঁড়াবেন। আপনারা হতাশ হবেন না। আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন।  আল্লাহ নিশ্চয়ই উত্তম ফয়সালা কারী।

আলোকিত/১০/৪/২০২৪/আকাশ

মোঃ শওকত আলী, ক্রাইম রিপোর্টার

সরাইল উপজেলা বাসীকে জানাই পবিত্র ঈদ মোবারক আলোকিত প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ হইতে সরাইল বাসিকে জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক অভিনন্দন জানাই,  আপনাদের জীবন হোক অনেক সুন্দর হোক এই কামনা করি। আ্যল্লাহ পাক যেন সবাইকে সুস্থ রাখে এই কামনা করি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি