আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 433

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আগামী ৩০ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।‌ রুটিন অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আজ ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণত আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা, আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি। করোনার কারণে গত কয়েক বছর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। সে বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল। ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় এবং নম্বরে নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২এপ্রিল-২৪ /মওম

চয়নিকা-বুবলীকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য পরীমনির!

বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনি বর্তমান কলকাতায় সিনেমার শুটিংয়ে তিনি ব্যস্ত। এরই ফাঁকে আমি বেয়াদব, সারা জীবন বেয়াদবী করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই। এমনইভাবে নিজের দুঃখ প্রকাশ করলেন ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনি নিজেই। তিনি বলেন, অকারণে অনেকেই আমাকে ভুল বোঝে। সম্প্রতি বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও কথা বলেন পরীমনি। আর সেখানেই চয়নিকা আর বুবলীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী। শুটিংয়ের ফাঁকেই একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন পরীমনি। ওই সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপ করেন তিনি। আলাপচারিতার শুরুতেই পরী জানান, কলকাতায় এটি তার দ্বিতীয় সফর। এর আগেও সিনেমার শুটিং করতে ১২ দিনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। পুরোপুরি বাণিজ্যিক সিনেমাতেই কাজ করতে অভ্যস্ত হলেও নিজের অভিনয় প্রতিভা বাড়াতে এবার ভিন্ন ধারার সিনেমায় অভিনয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন পরী। কলকাতার সিনেমায় শুটিং শুরু করার পরই ওপার বাংলার একাধিক সিনেমায় অভিনয় করার অফার পাচ্ছেন তিনি। যে কারণে বছরের অর্ধেকটা সময় কলকাতায় থাকার ইচ্ছাও জানিয়েছেন এ নায়িকা। আড্ডার এক ফাঁকে পরীকে প্রশ্ন করা হয় নায়িকা হিসেবে তিনি বিতর্কিত নাকি সমালোচিত? এমন প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন, আসলে আমাকে বেশিরভাগ লোকই অকারণে ভুল বোঝে। এমন সব উদ্ভট তথ্য বলে যে মাঝে মাঝে আমিই দ্বিধায় পড়ে যাই যে তারা কোন পরীর কথা বলছে? পরীকে নিয়ে বেশি কোন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে পরী বলেন, আমি ব্যক্তিগত নয়, শুধু কাজের জগতের কথাই বলতে পারি না। এই যেমন অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে, আমি নাকি শুটিং ফাঁসাই। আবার ব্যক্তিগত জীবনে আমাকে নিয়ে যে ভুল ধারণা রয়েছে সেটি হলো আমার অনেক প্রেমিক, আমার বরও অনেক। এসব ব্যাপারে আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আমাকে নিয়ে এসব ভুল ব্যাখ্যা দেবে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব আমি। এরপরই তিনি বলেন, আসলে আমি খুব স্পষ্টভাষী। মনে এক মুখে আরেক; এমন আমি কখনও ছিলাম না আর কখনও হতেও চাই না। বাস্তব জীবনে অভিনয় করতে পারব না। আমি মনে করি, আমার জীবনটা সিনেমা নয়, তাই অত ‘ফিল্টার’-ও দিতে চাই না। শুটিং ফাঁসানো প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আমি শুধু এটুকুই বলব, যে কোনো সিনেমার কাজ নিলে তা দায়িত্ব নিয়ে শেষ করি। তবে হ্যাঁ, দুই একদিন ব্যতিক্রম হতে পারে। এটা দেখে যদি কেউ আমাকে অপেশাদার ভাবেন, প্রকাশ্যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন তাহলে বিষয়টি সত্যি কষ্টদায়ক। এসময় নাম প্রকাশ না করে পরী বলেন, তাই আমি ঠিক করেছি, আর কখনও নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করব না। করলেও বুঝেশুনে করব। অকারণে বদনাম বা বেয়াদব হতে চাই না। আলাপচারিতার এক পর্যায় ঢালিউড চিত্রনায়িকা বুবলী প্রসঙ্গ উঠতেই পরী বলেন, দেখুন আমি আমার ছেলের ব্যাপারে বরাবরই সিরিয়াস। পদ্মর ব্যাপারে কিছু করতে গিয়ে আমি কাউকে কপি করি না। আবার নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ কেউ কপি করলে তা মেনেও নিতে পারি না। বুবলী প্রসঙ্গে পরী আরও বলেন, আমার ইমোশন হঠাৎ করে আসে না। যখন প্রথম মা হতে চলেছি জানতে পারি, ৩ মিনিটের মধ্যে তখনই আমার ভক্তদের সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করেছি। যখন অনুভব কললাম আমার বেবিবাম্প, সঙ্গে সঙ্গেই সে অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। হঠাৎ সন্তান জন্মের দুই বছর পর নিজের বেবিবাম্প ভক্তদের দেখানোর জন্য হাজির হইনি। এরপরই পরী বলেন, ছেলের জন্মদিনে নিজের আবেগ নিয়ে যে ভিডিও আমি বানিয়েছি, সেটা বাচ্চার তিন বছর পরে আমার আবেগ কাজ করবে না। আমি বলতে চাইছি, আমার আবেগ হঠাৎ করে আসে না। আর তাৎক্ষণিক যেটা আসে সেটা কারো কপি করা হয় না। আমি মনে করি প্রত্যেক মায়েরই মা হওয়ার একটা সুন্দর জার্নি আছে। মানুষ ভেদে অনুভূতিগুলো যেমন আলাদা, তেমনি প্রকাশের ধরনও আলাদা হওয়া উচিত থাকে। প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে এই মুহূর্তে চিত্রনায়িকা বুবলীল সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে পরীর। আর মনোমালিন্য বাড়াতে তাতে আরও ঘি দিয়েছেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। পরী-বুবলী দ্বন্দ্বের মাঝেই চয়নিকা বুবলীর প্রশংসা করে বলেন, ‘বুবলীকে নিয়ে কাজ করা অনেক আরাম, সে বেয়াদব নয়’। এরপর থেকেই চয়নিকার এমন মন্তব্য ভালো চোখে দেখেননি পরী। সবশেষে সরাসরি নাম প্রকাশ না করে নারী পরিচালকের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢালিউড এ চিত্রনায়িকা পরিমনি।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

উখিয়ায় বন কর্মকর্তাকে ডাম্পার চাপায় হত্যা

আবু সায়েম,কক্সবাজার
সর্বত্র ক্ষোভ এবং শোকের ছায়া-
উখিয়ায় বেপরোয়া বালুদস্যুদের হাতে প্রাণ হারান উখিয়া দোছড়ির রেঞ্জ এর বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদুজ্জামান সজল । রবিবার গভীর রাতে পাহাড়ের মাটি ও বালু রক্ষার অভিযানকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রাত ৩টায় বালু ও মাটি পাচারের খবরে রাস্তায় অভিযানে নামা বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদুজ্জামান হরিণমারা এলাকায় একটি ডাম্পার গাড়ির ড্রাইভারকে থামার নির্দেশ দেন। কিন্তু বেপরোয়া ড্রাইভার গাড়ি না থামিয়ে সাজ্জাদুজ্জামানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া ও ইনানী রেঞ্জে রাতের আঁধারে বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার করা হচ্ছে শত শত ডাম্পার পাহাড়ের মাটি ও বালি। বন সম্পদ রক্ষাকবচ হিসেবে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত পাহাড় সাবাড় করছে পাহাড়খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা। উখিয়া রেঞ্জে নিয়মিত অভিযানে ডাম্পার জব্দ করা হলেও সুকৌশলে বন কর্মকর্তাদের পাহারা দিয়ে পাচার কাজ অব্যাহত রাখে মাটিখেকো চক্র। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাটি পাচার করা হয় উখিয়া রেঞ্জ ও ইনানী রেঞ্জের সীমানাবর্তী হরিণমারা ও তুতুরবিল এলাকা থেকে। অন্যদিকে, পাহাড় সাবাড় করে ভরাট করা হচ্ছে নিচু কৃষিজমি। এ নিয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে কোর্টবাজার এলাকার একটি কৃষিজমি ভরাটের দৃশ্য ধরা পড়লে নোটিশ প্রদান করে জবাব চাওয়া হয়।
বিট কর্মর্তাকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া ডাম্পারটি পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করেছে। রবিবার দুপুরের দিকে ঘাতক ডাম্পারটি উখিয়া নিয়ে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। থানা পুলিশের ওসি(তদন্ত)  নাছির উদ্দীন মজুমদারের উপস্থিতিতে তদন্তের স্বার্থে জব্দকৃত ডাম্পার থানা হেফাজতে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালেহ আহমদ।
অন্যদিকে, ডাম্পার চাপায় নিহত বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানের মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্স মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম। তার মৃত্যুতে সর্বত্র নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পাহাড়খেকোদের ডাম্পারে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করা বিট কর্মকর্তা সদা মিষ্টভাষী ছিলেন বলে জানান শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কর্মকর্তা নিহতের পরপরই দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সরোয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা একজন দক্ষ বন কর্মকর্তাকে হারালাম। পাহাড়খেকোদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তথা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।বনকমর্তা হত্যার এ ঘটনায় ক্ষোভ এবং গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাংবাদিক ও দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন পাহাড়খেকো এবং বালু খেকোরা নিলর্জ্জ এবং বেপরোয়া। এদের থামাতে প্রশাসনের যৌথ অভিযান প্রয়োজন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে এবং বালু ব্যবসায়ীদের ধরতে প্রশাসনের নিকট দাবী জানান তিনি। মার্চ মাসে কয়েকটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিল হাতিমোরা ও থাইংখালী গৌজঘোনা এলাকা হতে ডাম্পার জব্দ করে বনবিভাগ। এরপর থেকে দিন দিন কৌশল পরিবর্তন করে পাহাড় সাবাড় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে পাহাড়খেকোরা। হরিণমারা এলাকায় ডাম্পার চাপা দেওয়া চালক বাপ্পিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ডাম্পারের মালিক একই এলাকার ছৈয়দ করিম বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিকে, এলাকায় খোঁজ নিয়ে দায়িয়ত্বশীল জানা গেছে , হিজলিয়া সড়ক দিয়ে ঢুকে ৪০ টি অবৈধ ডাম্পার দিনে রাতে পাহাড়ের মাটি ও বালি পাচার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যে যেখানে পারছে বালি মজুত করছে। হিজলিয়া থেকে শুরু করে হরিনমারা হয়ে খয়রাতি পাড়া পর্যন্ত সড়কের দু পাশে মজুত করা রয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বালি। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বালির মজুত নেই।
পাহাড়কাটা ও বালি পাচার কাজে নিয়োজিত অবৈধ ডাম্পার মালিকদের মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণ মারা ও বাগানের পাহাড় এলাকার মোহাম্মদ কোম্পানি, গফুর কোম্পানি, মাহমুদুল হক, ছৈয়দ করিম, মাস্টার কবির আহমেদ, বদু প্রকাশ ফিটিং বদু, শাহ আলম, কানা সৈয়দ করিম, হিজলীয়া একেএনসি স্কুল সড়ক ঠান্ডা মিয়ার ছেলে বাবুল, জাদিমোরা এলাকার সাইফুল কবির, আলিমোরার জামাল, হিজলিয়া মাজর পাড়া এলাকার মৌলভী রেজা। তাদের সহযোগি হিসেবে রয়েছে হিজলিয়ার আব্দুল্লাহ, হেলাল, রশিদ, উত্তর পুকুরিয়ার বেলাল, তুতুরবিলের সালাহ উদ্দিন, কুতুপালং এলাকার মংচানু বড়ুয়া, কুতুপালং পিএফপাড়া এলাকার সাগর বড়ুয়া প্রমুখ। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, আমরা অবৈধ ডাম্পারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। গত কয়েকদিন আগেও মাটি ভর্তি একটি ডাম্পার আটক করে মামলা দিয়েছে। বিট কর্মকর্তা সহ আমরা বনকর্মীরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের বনসম্পদ রক্ষার্থে। দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিজের প্রাণটা পর্যন্ত দিয়ে দিলো। অবৈধ ডাম্পার, বালি উত্তোলন,পাহাড় কাটা, অবৈধ সমিল সহ সবকিছুর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিষয় গুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, উখিয়া পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট গুলো বেপরোয়া ও ভংয়কর। তারা মূর্তিমান আংতকের নাম হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে ।
এরা দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধাশীল। এই সিন্ডিকেটকে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এই চক্রের কারনে উখিয়া পুরোপুরি ধ্বংসের পথে। পাহাড় ধ্বংসকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উখিয়া রেঞ্জে দায়িত্বরত বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও ইনানী রেঞ্জের দায়িত্বরত বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে রহস্যজনক কারনে।  এ নিয়ে উখিয়ায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের আশেপাশে ডিবির বেশে ডাকাত চক্র তৎপর

মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম 
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেটকারযোগে হাটহাজারী যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী নুর উদ্দিন আশরাফী। এ সময় তার সঙ্গে ছিল প্রবাসী স্বজনদের পাঠানো ৩০০ গ্রাম সোনার অলংকার ও তিনটি ল্যাপটপসহ কিছু মূল্যবান উপহার সামগ্রী। আবুধাবি ফেরত তিন যাত্রীর মাধ্যমে এসব উপহারসামগ্রী কিংবা চালানী পাঠান আশরাফীর স্বজনরা। পথে বায়েজিদ থানার রিংরোড এলাকায় কয়েকজন মিলে আশরাফীর গাড়ির পথরোধ করে। তাদের কেউ নিজেদের কাস্টমস কর্মকর্তা ও কেউ আবার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে আশরাফীকে জানায়, তিনি চোরাই মালামাল বহন করছে বলে গোপন তথ্য আছে তাদের কাছে। একপর্যায়ে আশরাফীর কাছে থাকা সব মালামাল নিজেরা নিয়ে নেয়। পরে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার কথা বলে আশরাফীর প্রাইভেটকারের নিয়ন্ত্রণ নিজেরা নিয়ে নেয়। এরপর কোতোয়ালী থানা এলাকায় টাইগারপাস মোড়ের কাঠের বাংলোর সামনে এনে আশরাফীকে গাড়ী থেকে কৌশলে নামিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে সরে পড়েন ডিবি সদস্য পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা। গত ২৫ মার্চের এমন ঘটনার তিন দিন পর ২৮ মার্চ কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন আশরাফী। সেই মামলার তদন্তে মাঠে নেমে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই চক্রের প্রধান টার্গেটই হলো বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীরা। পুলিশ বলছে, বিমানবন্দরের ভেতর থেকেই সোর্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক প্রবাসীকে টার্গেট করে চক্রটি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অনেকটা নিরবে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের সর্বস্ব লুটেপুটে নিচ্ছে এই চক্র। প্রাথমিকভাবে তথ্যদাতা হিসেবে মীর আহম্মদ বিপ্লব নামে একজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে বিপ্লবসহ ওই চক্রের মোট ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আশরাফীর কাছ থেকে ছিনতাই করা দুটি মোবাইল, ল্যাপটপ, ৮৮.১৯ গ্রাম স্বর্ণসহ স্বর্ণ বিক্রির নগদ দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকাও। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন সিফাত, মুজিবুল হাসান তাসির, মো. শাহাদাত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. হানিফ প্রকাশ আসাদ এবং মীর আহম্মদ বিপ্লব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান শুভ সাংবাদিকদের বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাইকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। তারা নিয়মিত বিদেশ ফেরত যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করে আসছে। বিমানবন্দরের ভেতরেই এই ছিনতাইকারী চক্রের সোর্স আছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ করে মীর আহম্মদ বিপ্লব। এটি অনেক বড় একটি চক্র।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

মোহাম্মদপুরে দুর্ধর্ষ আসামি জুয়েল ও ফয়সাল কর্তৃক সাংবাদিককে হুমকি-ধামকির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক:
সাংবাদিক শেখ মইনুল হাসান অত্যন্ত সুনামের সাথে গত এক যুগ যাবৎ যথাক্রমে এস এ টিভি, টিবিএন ২৪ নিউজ, গাজী টিভি এবং বর্তমানে একটি অনলাইন পত্রিকায় সিনিয়র ক্রাইম

আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত'র সাথে সাংবাদিক মইনুল হাসান রুবেল
আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত’র সাথে সাংবাদিক মইনুল হাসান রুবেল

রিপোর্টার পদে কর্মরত আছেন। তিনি ঢাকার মোহাম্মাদপুরে কাজী নজরুল ইসলাম রোডের মোহাম্মাদপুর থানা উত্তর চৌহদ্দিতে বাড়ি নং ৮/এ, ফ্ল্যাট নং- ১১ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ হতে উত্তরাধিকার সূত্রে বসবাস করে আসছেন। সততা, সাহসিকতা, সদা নম্র, ভদ্র, সাংবাদিকের বেশ সুনাম এবং পরিচিতি রয়েছে দেশে ও দেশের বাহিরে।

সত্য ও ন্যায় উদঘাটনের কারণে তার উপর গত ০৯/ ০৯ / ২০২৩ ইং তারিখে একদল দুর্বৃত্ত পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে মোহাম্মদপুর থানা কর্তৃপক্ষ আশেপাশের মানুষের সহায়তায় তাকে সহ তার একমাত্র বোনকে উদ্ধার করে সরকারী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য পাঠান। চিকিৎসা শেষে সাংবাদিক শেখ মইনুল হাসান (রুবেল) ডিএমপি মোহাম্মাদপুর থানায় ৬ জনকে আসামী করে মামলা ৫০ (৯) ২৩ ইং দায়ের করেন। যাহার জি আর নাম্বার ৫০/১৩৮২ ধারা ১৪৩/৩১৩/৩০৭/৩২৬/
৪১৭/৩৭৯/৭০৬ পেনাল কোড ১৮৬০। জানা যায়, দুর্বৃত্তরা বেআইনিভাবে জনসম্মুখে মারপিট করে জখম, হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এমনকি বাসায় চুরিও করে। ঘটনাস্থল ছিল- ডিএমপি মোহাম্মাদপুর থানা উত্তর চৌহদ্দী কাজী নজরুল ইসলাম রোড বাড়ি নং ৮/এ, ফ্ল্যাট নং- ১১।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশ দুর্ধর্ষ

১ নং আসামী মোহাইমিনুল হাসান জুয়েল
১ নং আসামী মোহাইমিনুল হাসান জুয়েল

আসামী ১ নং মোহাইমিনুল হাসান জুয়েল ও ২ নং আসামী ফয়সালকে খুবই দক্ষতার সাথে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করে। উক্ত আসামীদের সঙ্গীয় ও অপরাপর বাকী ৪ জন আসামী সুকৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পলাতক আসামীরা ও তাদের লোকজনেরা এই আটকে ক্ষুব্ধ হয়ে বাদী সংবাদিক শেখ মইনুল হাসানকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল, মিথ্যা মামলার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

২ নং আসামী ফয়সাল
২ নং আসামী ফয়সাল

গত ০৭/১১/২০২৩ ইং তারিখে উক্ত ডি এম পি মোহাম্মাদপুর থানায় রজুকৃত মামলা ৫০ (৯) ২৩ এর ধারা তারিখে বাদী সাংবাদিক শেখ মইনুল হাসান ঢাকা
সি এম এম কোর্টে হাজিরা শেষে ফেরার সময় উক্ত মামলার আসামীরা তার পিছু নিয়ে অনুসরণ করে এবং পার্শ্ববর্তী রেবতী মেনশন ( ২য় তলায় শেখ হাফিজ – বিশেষ জেলা জজ ৯ এর অফিস কক্ষ ) এর সামনে সাংবাদিকের পথ রোধ করে হুমকী দিয়ে বলে বাদী না থাকলে মামলা কিসের? এই মামলায় হাজিরা দিতে আসবে না। নিউজ করলে খবর আছে ইত্যাদি। যাহার ডি এম পি কোতয়ালী থানার জি ডি নং – ৩২৭ তারিখ: – ০৭/১১/২৩ ইং

জিডির কপি
জিডির কপি

এস আই মোজাম্মেল তদন্তের অনুমতি প্রার্থনা করলে ১২/০৩/২৪ সংশ্লিষ্ট আদালতে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তা মঞ্জুর হয়। নন জি আর থেকে ১৩/০৩/২৩ ইং ডি এম পি কোতয়ালী থানায় প্রেরণ করা হয়।
বর্তমানে এস আই মোজাম্মেলের কাছে সাংবাদিকের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে অতি জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ উক্ত বিষয়টির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের প্রেরণের নিমিত্তে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দিয়া সংস্থার সভাপতি

মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারে অবস্থিত দিয়া সংস্থার সভাপতি নাজমুল হাসান সবুজকে সুকৌশলে অপহরনের চেষ্টা করেছে ওই এলাকার সন্ত্রাসীরা। বিষয়খালী গ্রামের সন্ত্রাসীরা হলেন সোহেল রানা ও শামীম, কেসবপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে রফিকুল, নৃসিংহপুর গ্রামের আশিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন। সবুজ ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে বিষয়খালী দিয়া সংস্থার সামনে সুকৌশলে সবুজকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এরই এক পর্যায়ে মোটর সাইকেলে তাকে উঠিয়ে অপহরনের চেষ্টা করে। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে সেসময় তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনার এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। দিয়া সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, আমার সাবেক প্রতিষ্ঠান রান সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতি লিমিটিড এর ফিল্ড অফিসার আকলিমা প্রতিষ্ঠানটির ৫৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলার পর সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় আকলিমা আমার জীবন নাশের হুমকি দিলে আমি থানায় জিডি করি। এরই এক পর্যায়ে আকলিমা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। যার ফলে আমি সুবিচার চেয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য সন্ত্রাসীরা বর্তমানে সবুজের বাড়ির আশ পাশ দিয়ে ঘোরা ফেরা করছে। তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র আমি এবং আমাদের দিয়া সংস্থার সভাপতি নাজমুল হাসান সবুজকে প্রতিষ্ঠান চালাতে হলে চাঁদা দেওয়া লাগবে, না দিলে কিছু লোক সাঁজিয়ে মানববন্ধন করে অপদস্ত করা হবে বলে হুমকি দেয়। রান সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতি লিমিটিডে এর সাবেক ফিল্ড অফিসার আকলিমাসহ এলাকার কিছু ঋণ গ্রহিতারা তাদের যোগসাজসে দিয়া সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে দিতে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

পাহাড় রক্ষা করতে গিয়ে ঘাতক ডাম্পার কেড়ে নিলো বন কর্মকর্তার প্রাণ

আবু সায়েম:

বনরক্ষা করতে অভিযান চালাতে গিয়ে ‘পাহাড়খেকোর’ ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় বনবিভাগের এক বিট কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ । রবিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়খেকোর ব্যবহৃত ডাম্পারের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান (৩০)। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে রাতে অভিযানে নামেন সাজ্জাদুজ্জামান ওরফে সজল ।  হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালি সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) সাজ্জাদকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।ডাম্পারের চাপায় পিষ্ট হয়ে ওই বন কর্মকর্তার মস্তিষ্ক দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে আহত হন আরো একজন।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক ডাম্পারটি হরিণমারার কানা ছৈয়দ করিমের। স্থানীয়ভাবে তিনি পাহাড়খেকো নামে পরিচিত। বাপ্পি নামের এক যুবক ঐ ডাম্পার চালাচ্ছিলেন। উখিয়া রেঞ্জের বন রেঞ্জ  কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম বলেন, নিহত সাজ্জাদুজ্জামানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন। কর্মকর্তা নিহতের পরপরই দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সরোয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা একজন দক্ষ বন কর্মকর্তাকে হারালাম। পাহাড়খেকোদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তথা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। নিহত সাজ্জাদুজ্জামানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। এক কন্যা সন্তানের জনক সাজ্জাদের পিতা মোহাম্মদ শাহজাহান । তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বনবিভাগে যোগ দেন। এদিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন  উখিয়া দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের এমন নির্মম মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  শোকের ছায়া নেমে আসে। কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ  বনবিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই এ  জঘন্যতম হত্যার সুষ্ঠু বিচার কামনা করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ-২৪ /মওম

নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাশেদুল বাসার ডলারের বিরুদ্ধে কমিটির অনাস্থা! 

জাহিদুল হক,নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাশেদুল বাশার ( ডলার)এর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্য ৩০ মার্চ শনিবার বেলা ১১ টার সময় লক্ষ্মীপাশা মধুমতি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অত্র কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ। নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজে অভিভাবক শ্রেণীর নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যবৃন্দ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বিদ্যুৎসাহী সদস্যগণ ও শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্যবৃন্দদের সদয় অবগতির জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অত্র কলেজের বিগত গভর্নিং বডির সভাপতি ও বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি একই ব্যক্তি রাশেদুল বাশার ডলার অতীতে কলেজে কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন করেছেন। এ বিষয়ে এলাকার ব্যাপক সমালোচনা চলছে। বিগত কমিটির সভাপতি থাকাকালীন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, আর্থিক লোভের বসবতি হয়ে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষকদের( তার পছন্দের) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য সহ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা কলেজ তহবিল থেকে আত্মসাৎ করেছেন। এখানে উল্লেখ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গণ সকলেই বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিপক্ষের লোক । বর্তমান কমিটিতেও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যুৎসাহী সদস্য মনোনয়নে অধ্যক্ষ বিএম ফায়েজ আহমেদ এর নাম না পাঠালেও তিনি (সভাপতি) অগণতান্ত্রিকভাবে বিএম ফায়েজ আহমেদ কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য মনোনীত করে এনেছেন। বিষয়টি এলাকার জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে অহমিকার সাথে বলেন, আমি সভাপতি হই আমার ক্ষমতা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বড় ভাই আছে, তাকে দিয়ে আমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারি।
কারণ বিএম ফায়েজ আহমেদ এর পিতা মৃত্যু লুৎফর রহমান বিশ্বাস কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় বিরোধিতা করেছিল। অন্যদিকে বর্তমান সভাপতি তার ক্ষমতার দাপটে সর্বদা শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ করেছেন এমনকি বর্তমান কমিটিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশা নিয়ে কটুক্তি সহ অসম্মান করেছেন। এমন একজন অর্থ লোভী, অসৎ ,অসভ্য, দুর্নীতিবাজ ও দুর্ব্যবহারকারী, কলেজের স্বার্থ পরিপন্থী সভাপতি কে সাথে নিয়ে কলেজ পরিচালনা করা অসম্ভব।
সর্বোপরি বর্তমান সভাপতি রাজাকার পরিবারের সদস্য, তার দাদা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লোহাগড়ায়  রাজাকারদের অন্যতম ছিলেন। তাই সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠান কপি ইতিমধ্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাননীয় হুইপ মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপি, ৯৪, নড়াইল ২ , মাননীয় শিক্ষা সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, জেলা প্রশাসক নড়াইল কে অবগত করেছেন । এহেন পরিস্থিতিতে অনতি বিলম্বে এই দুর্নীতি পরায়ণ দুরব্যবহারকারী, অসৎ অর্থলোভী ও কলেজের সাধ্য পরিপন্থী সভাপতির অপসারণ চান। সাংবাদিকদের মাধ্যমে, সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত ঘটনাবলী পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করে ন্যায় বিচার পেতে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

আনোয়ারা ভূমি অফিসে অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত

মোঃ জহির উদ্দিন বাবর:
অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ভূমি অফিসে। অফিসটিতে টাকা ছাড়া কোনো ধরনের কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে মাসের পর মাস নড়ে না কোনো ফাইলপত্র। এছাড়াও প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মোছাঃ শাহানাজ আক্তারের  বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের অফিস সহকারী শাহানাজ আক্তার বিভিন্ন জায়গা নামজারীর কথা বলে হাতিয়ে নিতেন বিপুল পরিমান অর্থ।কারো কাছে ১৫ হাজার কারো কাছে  ২০ হাজার এরপর মাসের পর মাস কাটিয়ে দেন তিনি। এ যেন চোরের মায়ের বড় গলা। ভুক্তভোগী আবু হানিফ আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন , নামজারির কথা বলে  ৮ মাস আগে শাহানাজ আক্তারকে টাকা দিলে কয়েকদিন পর আসার কথা বললেও আজ কাল করে হয়রানি করেছে। টাকা ফেরত চাইলে দেওয়া হয় হুমকি।
আরেক ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন বলেন, নামজারি করাতে ২৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। ১ম পর্যায়ে হাতে  ১০ হাজার টাকা দেয় তিনি। এরপর বিকাশে ৫০০০ হাজার টাকা নেন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেও কোন কাজ করেনি শাহানাজ আক্তার। খোজ নিয়ে জানা যায় ১০০ টাকা দিয়ে শুধু ফাইল জমা করেন তিনি। কামাল উদ্দিন ৫ মাস ধরে টাকা ফেরত চাইলেও ফেরত দেয়নি টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ টাকা চাইতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন তিনি। এই  ব্যাপারে শাহনাজ আক্তারের সাথে কথা বলতে চায় দৈনিক অলোকিত প্রতিদিনের । সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন গালমন্দ এবং তাদেরকে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন শাহানাজ আক্তার।  অভিযোগ রয়েছে তার পুরান চাদগাঁও ফাটান্নে গোদায়  কোটি টাকার জমির প্লট রয়েছে। সাদ মুছা গার্মেন্টসের মালিক মহসিনের গাড়িও ব্যবহার করতে দেখা যায় তাকে। তার কথায় উঠে বসে এমন কথাও বলেন শাহানাজ আক্তার।
এবার গভীর অনুসন্ধানে যেতে চাই আমরা,শাহানাজ আক্তারের বাড়ি বাঁশখালির বাহার ছড়া ইউনিয়নে। সেখানে প্রতিবেশিদের সাথে কথা বললে বেড়িয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। এইযেন কেচো খুরতে সাপ বেরিয়ে আসার গল্প।
সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে, একপর্যায়ে সাংবাদিকদের চিনতে পারেন প্রতিবেশিরা। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও একপর্যায়ে পরিচয় গোপন রাখার কথা বলে কথা হয় প্রতিবেশিদের সাথে। তারা বলেন শাহানাজ আক্তার বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের ভয় ভিতি দেখিয়ে চলেন এলাকাবাসীকে। মানুষের জমি দখল করে বাড়ি করার অভিযোগ উঠে আসে অনুসন্ধানে।
বড় ভাই নূরনবীর আগে এডিসি থাকলেও এখন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে চাকরী করেন।তার হাত ধরেই চাকরী হয় শাহানাজের। ছোট ভাইয়েরও চাকরী হয় গুনাগলি ভুমি অফিসের সহকারী হিসেবে৷ ছোট বোনের চাকরী হয়েছে সরকারি প্রাঃবিদ্যালয়।
প্রতিবেশিরা বলছেন ১ পরিবারে ৬ জনের সরকারি চাকরী করে তারা। আর এলাকাবাসিকে দেখান ভয় ভিতি। তাদের বয়েছে বড় সন্ত্রাসী  বাহিনীও। থানা পুলিশ কোট যেন তাদের হাতের মুঠোই এমনটাই বলছিলেন প্রতিবেশিরা। ভুমি অফিসের অফিস সহকারী হয়েও শাহানাজের রয়েছে  কোটি টাকার সম্পদ।এলাকার বাসির প্রশ্ন অফিস সহকারী হয়েও এত টাকার মালিক এত সম্পতি কী ভাবে হল শাহানাজের। তাহলে কী শাহানাজের কাছে আলাউদ্দিনের চ্যারাগ আছে?
এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী ভূমি পিযুষ কুমার চৌধুরীর সাথে। এসময় তিনি বলেন আপনার যে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আভিযোগের কথা শিকার করে বলেন এর আগের আমি দুইটি লিখিত ও একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ গুলো আমি আমার উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এর আগে শাহানাজ আক্তারবের কয়েকবার বদলিও হয়েছেন অনিয়ম ও হয়রানির কারণে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ-২৪ /মওম

ফয়েল পেপার আটকে বন্ধ মেট্রোরেল

আলোকিত ডেস্ক:

বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল সকালে প্রায় একঘণ্টা বন্ধ ছিল। ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে যাত্রীদের স্টেশনে এসে অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকে আবার ভিন্ন উপায়ে গন্তব্যে গিয়েছেন। ৩১ মার্চ রবিবার সকালে মেট্রোরেলে এ বিভ্রাট দেখা দেয়। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন । সূত্রটি জানিয়েছে, সকালে ঝড়ো বাতাসের সময় একটি ফয়েল পেপার উড়ে এসে বিজয় সরণি এবং ফার্মগেট স্টেশনের মধ্যবর্তী কোনো এক জায়গায় ওভারহেড ক্যাটেনারিতে পরে। এটি সরাতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লেগেছে। কিন্তু মেইনটেনেন্স টিম ওই সময় না থাকায় এক ঘণ্টার মতো সময় অতিবাহিত হয়েছে। যারা নিয়মিত মেট্রোরেলে চড়ে অফিসে যান, তাদের একজন জানান, অফিসে যাওয়ার জন্য প্রতিদিনের মতো আজও সকাল সাড়ে ৭টায় কারওয়ান বাজার স্টেশনে যাই। পরে ৮টা পর্যন্ত কোনো ট্রেন না আসায় আমি বাধ্য হয়ে সিএনজি অটোরিকশায় অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আরেক যাত্রী বলেন, জানতে পারলাম বৃষ্টির কারণে নাকি মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। বাধ্য হয়ে ৮টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন থেকে ফেরত এসেছি। পরে সাড়ে ৮টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানতে পারলাম।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ-২৪ /মওম