আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 434

মুক্তির পর ২দিনে ক্রু’র আয় কত?

বিনোদন ডেস্ক:

বলিউডের বহুপ্রতীক্ষিত ক্রু ছবি মুক্তি পেয়েছে ২৯ মার্চ। ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তিন বলিউড সুন্দরী টাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যানন। কমার্শিয়াল ফ্যামিলি এন্টারটেনার ঘরানার এই ছবি দর্শককে মজার সফরে নিয়ে গেছে। মুক্তির পর বক্স অফিসে ২ দিন পার করে ফেলেছে রাজেশ এ কৃষ্ণান পরিচালিত এই ছবি।দেশ ও বিদেশের বাজারে ইতোমধ্যেই ছবিটি বেশ ভালোই সাড়া ফেলেছে। Sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে মাত্র ২ দিনে বক্স অফিসে ১৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছবিটি। প্রথম দিনে ৯.২৫ কোটি টাকা আয় করেছে টাবু-কারিনা-কৃতির ছবি ‘ক্রু’। দ্বিতীয় দিনে এটা দেশীয় বক্স অফিসে ৯.৬ কোটি টাকা আয় করেছে। দুদিন মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ছবিটি ভারতে ১৮.৮৫ কোটি টাকা আয় করেছে। ছবিটি প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী ২০.০৭ কোটি টাকা আয় করেছে। ছবিতে কারিনা কাপুর তার অনবদ্য কমিক টাইমিং এবং একজন বিমান সেবিকা হিসেবে টাবুর অভিনয় দর্শকের চোখ ধাঁধাবে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কৃতি শ্যানন। যার পারফর্ম্যান্স অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করবে। ছবিতে মিলবে ডাকাতি, কমেডি, নাটকীয় মুহূর্ত, এবং প্রচুর ড্রামা। এই ছবির কেন্দ্রে রয়েছে ‘কোহিনূর’ এয়ারলাইনস এবং সোনা পাচার। ছবিতে এয়ার হোস্টেসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কারিনা, টাবু ও কৃতি শ্যানন। ফ্লাইটের জন্য চিনাবাদামের বাক্স চুরি করা থেকে শুরু করে প্রচুর অর্থ উপার্জনের পরিকল্পনা এবং গ্ল্যামারে দুনিয়ায় নজর কেড়েছেন এই ত্রয়ী।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ-২৪ /মওম

 

ঝিনাইদহে বিএনপির ইফতার মাহফিল বন্ধ 

মতিয়ার রহমান
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে পুলিশী বাঁধায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ জানা গেছে, আজ শনিবার কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা সড়কের পাশে একটি ফাঁকা মাঠে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে ইফতার মাহফিল সফল করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার সকালে পুলিশ এসে বিএনপির এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল বন্ধ করে দেয়। দুপুরে ইফতার মাহফিলের মাঠে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা মাঠেই যোহরের নামাজ আদায় করেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের জন্য এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় আবেদন করা হয়েছিল। গত ৪ দিন ধরে মাঠ সাজানোর কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। তবে তারা ফাঁকা মাঠে হলেও ইফতার করবে বলে জানান। ইফতার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, বিএনপির ইফতার মাহফিলে হঠাৎ পুলিশের বাধা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার প্রশাসনকে অবগত করেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে এভাবে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে নেতা কর্মীর মনোবল ভাঙা যাবে না। আমরা সংঘটিত ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। বর্তমানে মাঠটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।কয়েক শত নেতাকর্মীও মাঠে অবস্থান করছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আবু আজিফ বলেন, ফাঁকা মাঠে ইফতারের আয়োজন করতে হলে লিখিত অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি না নেওয়ায় বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে ।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে: অনুপম শাজাহান জয় (এমপি) 

আলমগীর হোসেন:
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে,দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে,দল-মতের উর্ধ্বে ওঠে এসে আমাদের দেশকে মায়ের মত শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় আমরা বদ্ধপরিকর। এটাই ছিল আমার বাবা মরহুম কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাজাহানের মূল আদর্শ। তিনি জীবিতকালে আপনাদের ভালবাসায় বার বার সিক্ত হয়েছিলেন,আজীব তিনি ছিলেন এই লাল মাটির মানুষের হৃদয়ে। তিনার মৃত্যুর পর জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতৃস্নেহ পেয়ে আমিও আপনাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতায়,আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আপনাদের কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবার সুযোগ পেয়েছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো,ঠিক ততদিনই চেষ্টা করবো আপনাদের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে রাখতে।
২৯ মার্চ শুক্রবার টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে সখীপুরে এসএসসি ১৯৯৮ ইং ব্যাচের বন্ধু মহলের আহবানে প্রয়াত বন্ধুদের স্বরণে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাঙ্গাইল ৮ সখীপুর- বাসাইল আসনের  দুইবারের এমপি,তরুণ প্রজন্মের অহংকার জননেতা জনাব অনুপম শাজাহান জয় এ-সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৯৯৮ ইং ব্যাচের এসএসসি সাবেক ছাত্র,শহীদ শিকদার (কাউন্সিলর ৮ নং ওয়ার্ড,সখীপুর পৌরসভা), হারুন মাহমুদ কিশোর (বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী ও সাংবাদিক), এমআরবি হাশেম,কৃষিবিদ ইয়ার মাহমুদ,মাহবুবুল আলম মাসুম,সিরাজ সিদ্দিকী,শাহ আলম (সৈকত),আবুবকর সিদ্দিকী,শাহ আলম (ভেন্ডার) প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ-২৪ /মওম

ঈদে নিম্নআয়ের মানুষদের একমাত্র ভরসা ফুটপাত

মো: মহিদ:
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ধনী দরিদ্র সবাই যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঈদ কেনা কাটায়। ঈদকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জ শহরের মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ধনীদের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের লোকজনরাও চায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এই ঈদে আনন্দ উপভোগ করতে। বিশেষ করে তুলনামূলক অল্প দামে পছন্দের পোশাক, এমিটিশন গয়না, জুতা, স্যান্ডেল, অন্য প্রসাধনীসহ পছন্দের পণ্য কিনতে তারা এখন ভিড় করছেন ফুটপাত ও খোলা জায়গায় বসানো অস্থায়ী দোকানগুলোতে। ৩০ মার্চ শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মূলত নিম্ন আয়ের লোকজনকে কেন্দ্র করে রাস্তার পাশে ফুটপাতে প্রচুর দোকান খোলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তাই ক্রেতাদের কোনো না কোনো জিনিস পছন্দ হচ্ছে আর কিনেও নিচ্ছেন। সেখানকার বেশিরভাগ গ্রাহকরা বলেছেন, তারা ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন। কারণ শপিংমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। এদিকে পৌর মার্কেটের সামনে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবুবকর বলেন, তার পরিবারে ৫ জন সদস্য রয়েছে। নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। ভাড়া বাড়িতে তারা থাকছেন। কলা বিক্রির আয় দিয়ে চলে সংসার। ঈদে কি কেনা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এমনিতেই সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঈদে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে ফুটপাত থেকে জামা কেনা হয়। মনে চায় এই ঈদে পরিবারের সবাইকে কিছু দিতে। কিন্তু ইচ্ছে করলেই অর্থের অভাবে তা আর পারছি কোথায়। মার্কেটে যে দাম জিনিসের, তাই ফুটপাতই একমাত্র ভরসা। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও শহর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন। ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও এখন বেশ বেড়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বছরের প্রধান উৎসব মাহে রমজানের শেষে আনন্দের ঈদকে বরণ করার জন্য ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে কারোরই আগ্রহ উৎসাহের কমতি থাকে না। স্বল্প আয়ের লোকদের মনে থাকে নানা দুশ্চিন্তা। তারপরও ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে চেষ্টার ত্রুটি নেই। তারা সাধ্যনুযায়ী চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটাতে। আর ঈদের আনন্দকে ভোগান্তিমুক্ত করতে কাজ করছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ। ক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ-২৪ /মওম

যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে চার কি.মি. দৃশ্যমান

সবুজ সরকার:

প্রমত্ত্বা যমুনার বুকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল
অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে। যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে । ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি ব্রডগেজ ও মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। প্রায় ৭ হাজার দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে রেল সেতুর নির্মাণকাজ। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুইটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের সমন্বয়ে এ রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের ট্রেনই সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ তৈরি করতে দুই প্রান্তে  ভায়া ডাক ও ৩০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সেতুর স্প্যানে পারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লীপার থাকবে না
সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার বুকে ভারি ভারি যন্ত্র বসিয়ে সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪৯টি পিলার। উত্তাল যমুনার ওপর দেশের এ মেগা প্রকল্পকে ঘিরে নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা বিরতহীনভাবে কাজ করছেন। কেউ পাইলিং করছেন, কেউ স্প্যানের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাত্র একটি পিলার বসানো বাকি রয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্টিল অবকাঠামোর সেতুটি চালু করা হবে। মেগা প্রকল্পের এ সেতুর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ১০০ বছর।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ রেলসেতুতে মোট পিলার (খুঁটি বা পিলার) রয়েছে ৫০টি। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। রেলসেতুতে কংক্রিটের পিলার বসানো হচ্ছে। ওপরের সুপার স্ট্রাকচার হচ্ছে স্টিলের। অপরদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণকালীন কিছু ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অনুমোদিত
ইএমপি অনুযায়ী সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রকল্প এলাকার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএডি প্রতিবেদনে প্রকল্পের কিছু দুর্বল দিকও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে সড়কবাঁধ নির্মাণে যথাযথ এবং অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ না করা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা, চুক্তি মোতাবেক প্যাকেজ ডবিউডি২-এর ল্যাবরেটরিতে মেশিনারি ও জনবল মোবালাইজ না করা, প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ না করা, অনুমোদিত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) অনুযায়ী নির্মাণকালীন সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি ও প্যাকেজে ডব্লিউডি২ সম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট শ্রেণি বিন্যাস করাহয়নি ইত্যাদি। এক্সিট প্ল্যান হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্যাকেজ ভিত্তিক এক বছর সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতু ও যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের
জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে এই সেতু এবং ভৌত অবকাঠামোর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর সচল রাখার বিষয়েপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম জানান, সেতুর পিলারগুলোর ফাউন্ডেশন জাপানি এসপিএসপি ফাউন্ডেশন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। আগামি মে মাসের মধ্যে পুরো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। এ সেতুর ফলে  রেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে যেমন গতি বাড়বে- তেমনি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা তৈরি হবে। তিনি জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি রেল চলাচল করতে পারে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। ভারতের ফুলবাড়ী অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেখানকার রেল বিভাগ রেলপথ নির্মাণ করছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার। এছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে একই সময়ে একটির বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারেনা। নতুন রেলসেতু
চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু থেকে রাজশাহী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সংস্কার ও ডাবল লাইন না করা গেলে এই রেলসেতু পুরোপুরি কাজে আসবে না। তা ছাড়া ট্রেনে লাগেজ বগিও যুক্ত করতে হবে। স্টেশনগুলোতে পণ্য পরিবহনে বিশেষ করে কাঁচামাল পরিবহনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত আম, সবজি ও মাছের মতো কাঁচামালের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা শিল্প কলকারখানার জন্য কাঁচামাল রেলযোগে সরাসরি উত্তরবঙ্গে আনার সুব্যবস্থাও
করতে হবে। তবেই এই রেলসেতুর পুরোপুরি সুফল আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। ইতোমধ্যে মোট প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশ রয়েছে। এটি রেলের জন্য যুগান্তকারী একটি প্রকল্প। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে একত্রে চলচল করতে পারবে দুটি ট্রেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। প্রকাশ, অভ্যন্তরীণ, ক্রস বর্ডার এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিকের বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় রেখে নির্বিঘেœ নিরবচ্ছিন্ন রেল চলাচল নিশ্চিত
করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যমান সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনা নদীর ওপর আরেকটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সম্পন্ন ৪ দশমিক ৮০ কিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ও প্রায় ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন সমন্বিত রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ অ্যামবাঞ্চমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতুটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রথম সংশোধনীর পর সেতু প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বা চার হাজার ৬৩১
কোটি টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা- যা পুরো প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ-২৪ /মওম

ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র-যুদ্ধবিমান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধরত ইসরায়েলকে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমা ও যুদ্ধ বিমান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের প্রকাশ্যে নিন্দা জানালেও ওয়াশিংটন ওই অস্ত্র হস্তান্তরে অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্তত দুটি সূত্র শুক্রবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র দুটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অস্ত্র প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ১৮০০-এমকে৮৪ ২০০০ পাউন্ড ও ৫০০-এমকে৮২ ৫০০ পাউন্ডের বোমা। ওয়াশিংটন তার দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়েলকে বার্ষিক সামরিক সহায়তা হিসেবে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেয়। ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান বোমা হামলা এবং গাজায় স্থল অভিযান ঘিরে আন্তর্জাতিক তীব্র সমালোচনা চলছে। এছাড়া ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক সহায়তা হ্রাসের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দলের কিছু সদস্য তার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এর মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলে নতুন করে ওই সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং যুদ্ধের অস্ত্র সরবরাহ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের এই ধরনের অবিচল নীতির সমালোচনা করেছেন কিছু ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্য ও আরব আমেরিকান গোষ্ঠী। অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে দায়মুক্তি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। এদিকে, শুক্রবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনায় মার্কিন মুসলিমরা যে খুবই মনোকষ্টে রয়েছেন, তা বোঝেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তিনি বলেন, ‌‘‘গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় চলছে। প্রতিদিন শত শত বেসামরিক মানুষের সেখানে নিহত হওয়া এবং সহিংসতার জেরে মার্কিন মুসলিমরা যে নিদারুণ মানসিক কষ্টে আছেন তা আমরা বুঝতে পারি। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এ ইস্যুতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।’’ গাজা যুদ্ধ ঘিরে নিজে মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে থাকার কথা স্বীকার করলেও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জো বাইডেন। তবে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাসও এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ওয়াশিংটন সফর করেন। তার এই সফরের পর ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলায় ইসরায়েলে সেদিন নিহত হন ১ হাজার ২০০ মানুষ, সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। নজিরবিহীন এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সেই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে ইতোমধ্যে উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৪ হাজার। সেই সঙ্গে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ-২৪ /মওম

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়া দুঃখজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আলোকিত ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক উইন রোজারিও মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ৩০ মার্চ শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ একজন তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজন।  আমাদের কনস্যুল জেনারেল সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে। পরিবারের বক্তব্য হচ্ছে, পুলিশ যে পরিস্থিতিতে গুলি করেছে সেটা প্রয়োজন ছিল না। পুলিশের বক্তব্য ভিন্ন। সেই তরুণকে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজন। তিনি বলেন, আমরা আশা করব নিউইয়র্ক প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। সেই পরিবারটির ১০ বছর আগে নিউইয়র্কে গেছে। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারী। গ্রিন কার্ডের জন্য এপ্লাই করেছে, কিন্তু এখনো গ্রিন কার্ড পায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরতি চিঠির মাধ্যমে আমাদের ঘনিষ্ঠতা, মিত্রতা, সম্পর্ক আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা যে জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, সোমালিয়ার জলদস্যুরদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আলাপ আলোচনা মাধ্যমে আমার আশা করছি সহসাই আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে পারব, জাহাজটিও মুক্ত করতে পারব । আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবার-দাবারের কোনো সমস্যা নেই। ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে তিনজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছেন। তারা আমাদের বিজিবির হেফাজতে আছে। বিজিপির ১৭৭ জন যারা পালিয়ে আসছে, তাদের নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার ইতোমধ্যে প্রস্তাব করেছে। আমরা আশা করি খুব সহসাই, তাদের নৌপথে ফেরত পাঠাতে পারবো।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ মার্চ-২৪ /মওম

ইবাদতে বাধা, নিজেদের উদ্যোগে তাই মসজিদ বানাল হিজড়ারা

আলোকিত প্রতিবেদক

দেশে এই প্রথম ময়মনসিংহের কাছে হিজড়াদের জন্য সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে একটি মসজিদ। সাধারণত হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না বলেই তারা এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় হিজড়াকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আবদুর রহমান আজাদ। তিনি বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর সবাই মিলে ব্রহ্মপুত্রের তীরে টিনের ছোট্ট এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন তারা। এর মধ্য ‍দিয়ে এই প্রথম দেশে হিজড়াদের জন্য বানানো হলো মসজিদ। আরেকটি শহরে এমন মসজিদ বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, চলতি মার্চ মাসে চালু হওয়া ময়মনসিংহের এ মসজিদ বানাতে অর্থ ও শ্রম দিয়েছেন হিজড়ারা। এতে একটি কবরস্থানও রয়েছে। গত বছর স্থানীয় কবরস্থানে এক হিজড়ার মৃত্যুর পর তাকে শায়িত করতে দেয়নি গ্রামবাসী। এরপর এখানে বানানো হয় আলাদা কবরস্থানও। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ চর কালিবাড়ি মসজিদের ইমাম আবদুল মোতালেব বলেন, ‘হিজড়ারা তো আমাদেরই সন্তান। তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ইসলাম ধর্ম শেখায় না। হিজড়াও আল্লাহর সৃষ্টি করা অন্যান্য বান্দার মতোই। তাদেরকে বঞ্চিত করা ঠিক না। আমরা সবাই মানুষ। হয়তো কেউ নারী, কেউবা পুরুষ। আল্লাহ সবার জন্যই পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। এ কারণে সবাইকে নামাজ পড়তে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ দিকে দক্ষিণ চর কালীবাড়ি মসজিদের আশেপাশের বাসিন্দাদের মাঝেও বেশ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী আসছেন হিজড়া জনগোষ্ঠীর বানানো এ মসজিদে। কথা হয় ওই এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পর পর ২ সপ্তাহ এ মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছি। আগে হিজড়াদের সম্পর্কে আমার অনেক ভুল ধারণা ছিল। একই এলাকায় বসবাস এবং একই মসজিদে নামাজ আদায় করার পর থেকে আমার অনেক ভুল ধারণা দূর হয়ে গেছে।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

সিরিজ বাঁচানোর টেস্টে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ : ফিরলেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ বড় রানের বিশাল ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি তাই সিরিজ বাঁচানোর মিশন টাইগারদের। বাঁচামরার এই টেস্টে টস হেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে, ফলে ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের উইকেটে টস একটা বড় ফ্যাক্টর। ব্যাটিং সহায়ক পিচে লঙ্কানদের কত কমে আটকে রাখতে পারেন বাংলাদেশি বোলাররা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

জমির দাবিতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে দাফনে বাধা

 মোস্তাকিম বিল্লাহ, নীলফামারী

নীলফামারীতে জমির দাবিতে মৃত বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে দাফনে বাধা সৃষ্টি করেছেন তার ছেলে নওশাদ আলী (২৮)। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পৃথক স্থানে তাঁর বাবার দাফন সম্পন্ন হয়। জেলা সদরের চাপড়া সরমজামি ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারি গ্রামে শুক্রবার  দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ভোরে মারা যান ওই গ্রামের মজিবুর রহমান (৬২)।

জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন মেজো ছেলে নওশাদ। স্বজনরা অনেক চেষ্টা চালিয়ে তাঁকে আটকাতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অন্যত্র কবর খুড়ে দাফন করা হয় মজিবর রহমানকে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক।
এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পরে থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃত মজিবুরের দাফনকার্য সমপন্ন হয়।’নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবরে শুয়ে থাকা নওশাদ আলী কবর থেকে উঠে পালিয়ে যান। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় অন্যত্র কবর খুঁড়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মজিবুর রহমানের দাফন সম্পন্ন  হয়।

লোকিত প্রতিদিন/এপি