আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 440

কালিহাতীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

সবুজ সরকার:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে তোষা পাট বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও কালিহাতী পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট এবং পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তালিকাভুক্ত একশ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ওই পাট বীজ ও সার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসেইনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী, কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক ও উপ সহকারি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ফারুক হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা পরিষদের সি. এ. আবুল কালাম আজাদ।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ মার্চ-২৪ /মওম

চলতি বছর ফিতরা সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আলোকিত ডেস্ক:

হিজরি ১৪৪৫ সনের সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।  গত বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতে হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/২১ মার্চ-২৪ /মওম

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত 

আবু সায়েম:
কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে বনবিভাগের হলরুমে আন্তর্জাতিক বন দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার ” উদ্ভাবনায় বন,  সম্ভাবনায় বন” এ প্রতিপাদ্য  স্লোগান কে সামনে রেখে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের হলরুম কক্ষে সকাল ১১ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ হতে একটি র‍্যালি বের হয়ে বাহারছড়া পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের কার্যালয় এসে মিলিত হয়।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন  কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন   কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম। এছাড়া কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক আনিসুর রহমান, নেকমের উপ-  প্রকল্প  পরিচালক ডঃ শফিকুর রহমান, চ্যানেল আই এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সরওয়ার আজম মানিক,কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দিপক শর্মা দিপু,  যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম রাশেদ বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা  বন ও বনভূমি রক্ষার্থে বনায়নের গুরুত্ব ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আওতাধীন সুফল প্রকল্প কিভাবে বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর মাঝে  ভূমিকা পালন করছে এসব বিষয় ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন  ৭৬ হাজার একর বনভূমি গতো বছর থেকে  ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।  বনাঞ্চলে অবৈধ জবরদখল আছে কিনা! কেউ পাহাড় কাটছে কিনা! সবকিছু ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে । এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়  ” উদ্ভাবনায় বন, সম্ভাবনাময় বন”এ স্লোগান কে সামনে রেখে  বনবিভাগ কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ প্রতিপাদ্যের আওতায় সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে অনলাইনের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, হারিয়ে যাওয়া গাছগুলোকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে । তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বৈলাম। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন সকল রেঞ্জের মাধ্যমে ৬ হাজার একর বনভূমি সৃজন করা হয়েছে । সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আওতাধীন সুফল প্রকল্প বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর মাঝে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করেছে। যারা বনের গাছ কাটতো,লাকড়ি সংগ্রহ করে সংসার চালাতো আজ  সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এখন  তারা স্বাবলম্বী। তাদের মধ্যে কেউ গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালন করছে, আবার কেউ ইজি বাইক চালাচ্ছে। সুফল প্রকল্প তাদের এ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সুফল প্রকল্প চালু হওয়ায় বন ও প্রকৃতি রক্ষা হচ্ছে ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন সকল রেঞ্জে ৯ হাজার একর বনভূমি সৃজন করা হয়েছে। বনাঞ্চল সহ  সবকিছু এখন   আমরা   ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছি। সরকারের পাশাপাশি, স্থানীয় জনসাধারণসহ সকলকে বন, বনভূমি ও প্রকৃতি রক্ষায় আরো গভীরভাবে সংযুক্ত হতে হবে ।
উক্ত আলোচনা সভায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের  সহকারী বনসংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ, সহকারী বনসংরক্ষক শীতল পাল, সহকারী বনসংরক্ষক মনিরুল ইসলাম,  বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমা, সকল রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ মার্চ-২৪ /মওম

বীর মুক্তিযোদ্ধা এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে গোপালগঞ্জে শোকের ছায়া

মোঃ শিহাব উদ্দিন:
গোপালগঞ্জ জেলার সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. বদরুদ্দোজা বদর এর মৃত্যুতে গোপালগঞ্জবাসীর গভীর শোক প্রকাশ। গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী গ্রামের মৃত বজলার রহমানের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম বদরুদ্দোজা বদর। তার জন্ম হয় ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসের ৪ তারিখে। গত ২০ মার্চ বুধবার ভোর আনুমানিক ৬টার সময় ঢাকা বার্ডেম হাসপাতালে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী সহ অনেক গুনগ্রহী রেখে গেছেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের গোপালগঞ্জ শহরের নতুন স্কুল রোড মোহাম্মাদ পাড়া নিজ বাড়িতে লালনপালন করে গেছেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২০১০ ও ২০১৪ সালে কমান্ডার নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও তিনি তার দক্ষতা ও সততার উপহার স্বরূপ প্রায় ৪০ বছর যাবৎ মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। পরোপকারী, সমাজ সেবক হিসাবে তার নাম সর্বজনিত।
গোপালগঞ্জ জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র অভিভাবক, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিপদে সাথি, তাদের সার্থ সংস্লিস্ট সকল কাজের সহাহায়ক সহ গোপালগঞ্জ জেলার অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি আদায়ের একমাত্র ভরসার স্থল ছিলেন তিনি।এক কথায় তিনি ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব নেতা। তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে। জানাজায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত হয়ে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।  তিনি আরো বলেন বদর ভাইযের সাথে আমার সবসময় যোগাযোগ হতো, তিনি সবসময় গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থ সংস্লিস্ট কাজ করে গেছেন।  তার জানাজায় গোপালগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগ, জাসদ ও কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীসহ গোপালগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ মার্চ-২৪ /মওম

ঈদের আগে-পরে ৬ দিন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ থাকবে

আলোকিত ডেস্ক:

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে সর্বমোট ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদকে কেন্দ্র করে যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রচুর ভোগান্তি আমরা দেখতে পাই। তাই এবছর ঈদের আগে তিনদিন এবং পরে তিনদিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ রাখতে হবে। ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ঈদে ট্রাক-ভ্যান বন্ধ থাকলেও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস মালামাল, ওষুধ জাতীয় পণ্য, জ্বালানি, সার জাতীয় পণ্যের গাড়িগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে। অর্থাৎ বাকি সব বন্ধ থাকলেও এগুলো শুধু চলবে।

dhakapostরাজধানী ঢাকায় চলাচল করা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িগুলো বাংলাদেশে উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে এবং আমাদের লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি দেখে, তখন আমাদের খুব লজ্জা হয়। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পরিবহন মালিকদের এদিকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন,পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ঢাকার বাইরে থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঢাকায় ঢোকে। আমি তো বলব বাইরে থেকে সিটিতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি কম আসে। বরং সিটিতেই অনেক লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির কারখানা আছে। আমি সেগুলো নিজের চোখে গিয়ে দেখেছি।

আলোকিত প্রতিদিন/২১ মার্চ-২৪ /মওম

সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়ার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পরিদর্শন 

একেএম ফারুক হোসেন ঃ
নোয়াখালীর জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া পরিদর্শনে এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। ২০ মার্চ বুধবার সকাল ৮টায় তি‌নি বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ ক‌রেন।
হেলিকপ্টার থেকে অবতরণের পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা আলী। এ সময় হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২১ মার্চ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তার এ সফরের অংশ হিসেবে আজ বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকার আসেন। এরপর তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের নতুন সুইচ বাজার পরিদর্শন করেন এবং গুচ্ছগ্রামের জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া নলচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন করবেন তিনি। তারপর ভাসানচর যাবেন এবং ভাসানচর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, ‘প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার আগমনে আগামীর হাতিয়ার জন্য বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি’।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি হাতিয়ায় আগমন উপল‌ক্ষে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ডসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে’।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম

কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত তৈরি করার লক্ষ্যে এনপিআই কাজ করে যাচ্ছে: ড. ফারুক হোসেন 

মো: মহিদ:
ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,পরিচালক প্রকৌশলী ড.মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেছেন মানিকগঞ্জ এন.পি.আই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব: ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী কর্মবারের বহুমাত্রিক ক্ষেত্র এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি অপপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে মানবসভ্যতায় যে নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটি মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সভ্যতার ইতিহাসে যেমন সম্ভাবনার হাতছানি আছে, তেমনি রয়েছে নানাবিদ সমস্যা। চিরচারিত ধারায় এটি ছিল এবং আগামীদিনেও থাকবে। সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ব্যবসা প্রশাসন, ভাষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, অপরাধ, জীবনাচরণ অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণালব্ধ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বহু আত্মত্যাগ, রক্ত ও সাধনার বিনিময়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে। জনবহুল বাংলাদেশে মানবসম্পদ ব্যবহারের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও প্রকৃত শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা ও গবেষণার অভাবে সেটি আমরা কাজে লাগাতে পারি নাই। দুর্ভাগ্য হলো-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিমুখ শিক্ষা দর্শনে অতীতে সনদনির্ভর শিক্ষা দিয়ে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদকে মানববোঝায় পরিণত করা হয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনে নানাবিদ কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। এর জন্য আমরা সরকার কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিশ্বব্যাপী আর্থ সামাজিক অগ্রগতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানান বিস্ময়কর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। বিষয়টি অনুধাবনে নিয়ে সরকার দেশে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার উপর জোর দিয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দেশের সুবিধাবঞ্চিত এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি বাকাশিবো এর অধীনে বেসরকারি কারিগরি পলিটেকনিক অনুমোদন দিয়েছে। সরকারের এই বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দেশের কিছু শিক্ষানুরাগী স্ব-উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে মানিকগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত করেছে এনপিআই, মানিকগঞ্জ। মানবিক মূল্যবোধ ও দর্শন অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত্তি গড়ে দেয়া এবং কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করাই এন.পি.আই এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।কারিগরি শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক কেন্দিক কর্মভিক্তিক, যেখানে উদীয়মান শিক্ষার্থীদের আধুনিক জ্ঞান, দক্ষতা ও জীবনাচরণ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। যাতে করে তারা দেশের অভ্যন্তরে ও বহিঃবিশ্বের কর্মবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জাতীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন-উৎপাদন অগ্রগতিতে অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়। বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত ব্যবসা পরিকল্পনাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বের অপরাপর দেশের তরুণদের সাথে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হয়, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে কারিগরি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখার পাশাপাশি গ্লোবাল ভিলেজ ফ্রিল্যান্সিং ও উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক জ্ঞান বিজ্ঞান আদান প্রদানের ধারণাপ্রসূত থেকে এন.পি.আই অনেক স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, আধুনিক শিল্পব্যবস্থায় কি ধরনের জনশক্তি প্রয়োজন সে লক্ষ্যে বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে কারিকুলাম প্রণয়ন ও পাঠদান করা হচ্ছে। মূলতঃ মানসম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা দিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের গতিশীল অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করে উন্নত জীবনব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ উচ্চ শিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করার মহান দায়িত্ব পালনের লক্ষ্য নিয়ে এনপিআই কাজ করে যাচ্ছে। “দক্ষ জাতি দক্ষ দেশ, বদলে যাবে বাংলাদেশ” অন্যতম লক্ষ্য। এন.পি.আই মানিকগঞ্জ ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সসমূহ: ** কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ** ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ** সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ** ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ** অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ** আকির্টেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ** মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ** টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং মেধাবী ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বিবেচনায় শিক্ষা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য শতভাগ বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। মেয়েদের ১০০% টিউশন ফ্রি। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১০০% ছাত্রী এবং ৭০% ছাত্রের জন্য মাসে ৫০০/- টাকা করে বৃত্তি এবং বছরে বই ক্রয়ের জন্য ২০০০/- টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়াও এন.পি.আই মানিকগঞ্জ থেকে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। শুধুমাত্র মাসিক টিউশন ফি-এর উপর বিশেষ ছাড় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০০% গোল্ডেন জি.পি.এ জি.পি.এ ৫.০ জি.পি.এ ৪.৭৫ থেকে ৫ এর নিচে ৩৫% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/ পৌষ্য ও আদিবাসীদের জন্য ছাড় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান / পৌষ্য ও আদিবাসী ৩০% ভর্তির যোগ্যতা এসএসসি বিজ্ঞান/ভোকেশনাল/টেক্সটাইল/ মানিবক / ব্যবসা শিক্ষা/ মাদ্রাসা/ ওপেন ইউনিভার্সিটি বা সমমান পরীক্ষায় উজ্জ্বর্ণ।বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ভর্তির নিয়মাবলি অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এইচএসসি বিজ্ঞান শাখা থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৩য় পর্বে এবং এইচএসসি ভোকেশনাল শাখা থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৪র্থ পর্বে ভর্তির সুযোগ পাবে। কারিগরি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা শেষ করে আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় মানিকগঞ্জ এর একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এন.পি.আই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, মানিকগঞ্জ এ বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। দক্ষ জাতি হয়ে দেশের কল্যানে নিয়োজিত হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম

কুড়িগ্রামে হাতে তৈরি টুপি যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে

জি এম রাশেদুল ইসলাম:
কুড়িগ্রামের প্রত্যান্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন ডিজাইনে বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছিল অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি।মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা।নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় মোছাঃ কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে  মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এর পর মোর্শেদা বেগম গ্রামে ফিরে আসেন। প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন তিনি লাখোপতি। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও একাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন,সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি। টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০-১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ ১৪০-১৫০ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০- ৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।
পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছাঃ মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরি কাজ করি। এখান থেকে যা উপার্জন করি। লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি। বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদে সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮ -১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর। হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ,আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাতকরণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম

মাংস বিক্রি করতে হবে সরকার নির্ধারিত দামেই: ডিসি 

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে  সরকার নির্ধারিত ৬৬৪টাকা ৩৯ পয়সা মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে গত দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের গরুর মাংস বিক্রয়। গত ১৯ মার্চ মঙ্গলবার  বিকেলে মাংসের মূল্য বাড়ানোর দাবি করে বিক্রেতারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।  কিন্তু জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সার্বিক দিক বিবেচনা করে  জানিয়েছেন, মাংশ বিক্রেতাদের সরকার নির্ধারিত মূল্যেই মাংস বিক্রয় করতে হবে। তা নাহলে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক আহমেদ। এছাড়া তাদের সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি আজিজুল হক। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে দাবি দাওয়া পেশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে। উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত যেন লাভজনক হয়, তা হিসেব করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা। এতেও উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যকের লাভ হিসেব করেই ধরা হয়েছে। সারাদেশেই এই মূল্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ হচ্ছে না বলে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। সারাদেশে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তারা অবশ্যই তা মেনে চলবে। কেউ অতিরিক্ত মাংসের মূল্য নিলে তা আমরা দেখবো। তবে এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মাংস ব্যবসায়ীদের বলেছেন, ‘আপনারা আজকে যেমন এসেছেন, কিন্তু আসার আগে মাংস বিক্রয় কেন বন্ধ করলেন? সুবিধা অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন সরকারি দরে তারা মাংস বিক্রয় করতে পারবেন না। এখন অতিরিক্ত দরে বিক্রয় করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করবেন। তাই দোকান বন্ধ করছেন। অন্য ৬৩ জেলায় বিক্রয় করতে পারলে, এখানে কেন পারবেন না? তখন জেলা প্রশাসক ব্যবসা চালু রাখার কথা বলেন এবং স্মারকলিপির ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য মেনেই মাংস ব্যাবসায়ীদের মাংস বিক্রয় করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো ১০ গুণ

আলোকিত ডেস্ক:

জামানতের অংক বাড়ানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী নিয়ে ‘উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয়পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। ১৯ মার্চ মঙ্গলবার এ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় ‘নির্বাচনি সময়েরও’ সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত নির্বাচনি সময় বলতে তফসিল ঘোষণা পর থেকে গেজেট প্রকাশের পর ১৫ দিন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নতুন নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে, উল্লেখ করতে হবে টিআইএন নম্বর। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালা এটি সংশোধন করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনি ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ এক থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ২ লাখের বেশি ভোটার সম্বলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন। নতুন বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং ‘মহিলা সদস্য’ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন। এবার তা সংশোধন করে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচারণা শুরুর কথা বলা হয়েছে। প্রচার-প্রচারণার আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভোটারদের সমর্থনসূচক সই লাগবে না। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না।  ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম