আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 441

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আবারও বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে টানা সাতবার সুখী দেশের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করল দেশটি। তালিকায় সবচেয়ে কম সুখী দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান। আর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩ দেশের মধ্যে ১২৯তম। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এই তালিকায় শীর্ষ দশে অন্য যেসব দেশ রয়েছে, তারা হচ্ছে- ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

এদিকে তালিকায় এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে কুয়েত। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ২২তম অবস্থানে, সৌদি আরব ২৮তম অবস্থানে, সিঙ্গাপুর ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া তাইওয়ান ৩১, স্পেন ৩৬, ইতালি ৪১, ব্রাজিল ৪৪, উজবেকিস্তান ৪৭, আর্জেন্টিনা ৪৮, কাজাখস্তান ৪৯, জাপান ৫১, দক্ষিণ কোরিয়া ৫২, থাইল্যান্ড ৫৮, মালয়েশিয়া ৫৯, চীন ৬০ ও লিবিয়া আছে ৬৬তম অবস্থানে। তালিকায় ২০ তম অবস্থানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ২৩তম অবস্থানে, জার্মানি ২৪তম অবস্থানে এবং রাশিয়া ৭২তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপাল আছে ৯৩তম অবস্থানে, পাকিস্তান ১০৮তম অবস্থানে, ভারত ১২৬তম অবস্থানে, শ্রীলঙ্কা ১২৮তম অবস্থানে এবং বাংলাদেশ ১২৯তম অবস্থানে রয়েছে। নিচের দিক থেকে, অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশগুলোর তালিকায় ১৫তম অবস্থান রয়েছে বাংলাদেশ (১২৯তম)। এমনকি উগান্ডা (১১৭), মিয়ানমার (১১৮তম), কিংবা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধরত ফিলিস্তিন (১০৩তম) এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনও (১০৫তম) রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে।

মূলত ৬টি সূচক যাচাই করে সবচেয়ে সুখী দেশ নির্ধারণ করা হয়। এই সূচকগুলো হচ্ছে- মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সহায়তা, সুস্থ জীবনযাপনের প্রত্যাশা, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, বদান্যতা, দুর্নীতি নিয়ে মনোভাব ও ডিসটোপিয়া। এখানে উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রকাশিত সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ৬৮তম অবস্থান, ২০২২ সালে  অবস্থান ছিল ৯৪ নম্বরে এবং ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হয় ১১৮তম অবস্থানে।

আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম

গোপালগঞ্জের দীননাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত 

মোঃ শিহাব উদ্দিন :
গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দীননাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ সদর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ  মোঃ আনিচুর রহমান । এ সময়ের  অফিসার ইনচার্জ  বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন এবং সকল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ মার্চ-২৪ /মওম

চসিক কাউন্সিলর টিনু কারাগারে

মীর সালাহউদ্দীন:
অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এক যুবলীগ কর্মীকে অপহরণ করে নিজ ওয়ার্ড কার্যালয়ে আটকে রেখে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় কারাগারে গেলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু। গত ৩ মার্চ পাঁচলাইশ থানায় মামলার প্রেক্ষিতে আজ আদালতে হাজির হলে আদালত কাউন্সিলর টিনুকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন৷ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু ৷ এসময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
উল্লেখ্য ৩ মার্চ প্রথমে মুঠোফোনে গালাগাল এবং হুমকি ধমকি প্রদান এরপর কাউন্সিলর টিনুর নির্দেশে বেশ কিছু যুবক তাকে চকবাজার ওয়ার্ড কার্যালয়ে তুলে নিয়ে মারধর করে মর্মে অভিযোগ করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান রাকিব।  রাতেই তিনি কাউন্সিলর টিনুর বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।  রাকিব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনির অনুসারী।  রনিও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ মার্চ-২৪ /মওম

রায়পুরায় মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার

পারভেজ মোশারফ:
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলায় ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা চর-আড়ালিয়া  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রশংসায় ভাসছে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রোজলিন শহিদ চৌধুরী  ও নির্বাচন অফিসার আজহারুল ইসলামসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা । রায়পুরা উপজেলায় অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন ও ৯মার্চের চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া নির্বাচনে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও নিরপেক্ষ ফলাফল ঘোষণায় খুশি সকল দল ও মতের ভোটাররা। প্রায় একযুগ পরে মানুষ এমন অভূতপূর্ব এবং সুন্দর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হতে দেখেছে। রায়পুরা উপজেলায় সর্বশেষ গত ৯ মার্চ শনিবার রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়া সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ, নিরপেক্ষ ও সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে আনন্দিত। নির্বাচনে প্রার্থীরাও প্রত্যাশা করেনি এমন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের হাট বাজার ও চায়ের স্টলে সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রায়পুরা উপজেলার ইউএনও। আসন্ন রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সব জায়গাতেই এখন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে নিয়ে আলোচনা। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের প্রতিজ্ঞা ভোট নিয়ে কথাবার্তা এবং বাস্তব ফলশ্রুতি নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশংসা। সব মিলিয়ে হারিয়ে যাওয়া ভোটের ঐতিহ্য ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন রায়পুরা উপজেলার ২৪ ইউনিয়নের স্থানীয়রা। ভোট গ্রহণের সাথে জড়িত ছিলেন এমন মানুষরাও প্রত্যাশা করেন নাই এতটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নিরপেক্ষ পরিবেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নাম না বলার শর্তে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ভোটের প্রতি মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। এবারের নির্বাচন মানুষের আস্থা ফেরাতে পেরেছে। রায়পুরা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একসময় যারা ভোট কারচুপি এবং পেশিশক্তির নির্বাচন নিয়ে গলা ফাটাতেন তারাই এখন কথা বলছেন ভিন্ন সুরে। এরই ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের প্রশংসায় মুখরিত হয়ে ভাসছেন ইউএনও।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রোজলিন শহিদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তাদের কথার ব্যতয় ঘটেনি, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন রায়পুরার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনারা সাংবাদিক সঠিক তথ্য দিলে আরেকটি রায়পুরার উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন বাসীকে সুষ্ঠু ও অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিবো বলে জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ মার্চ-২৪ /মওম

ইসলামে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন এক জার্মান তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসলামে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন নওমুসলিম এক জার্মান তরুণী। তার নাম মার্টিনা ওবারহোলজনার। ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম এখন মারিয়াম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) দুবাইয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং এবার রমজান মাসে রোজাও রাখছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান প্রবাসী মার্টিনা ওবারহোলজনার এখন মারিয়াম নামে পরিচিত এবং এই বছরের শুরুতে ইসলাম গ্রহণের পর দুবাইতে এবার তিনি তার প্রথম রমজান পালন করছেন। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী পবিত্র কোরআনের জার্মান সংস্করণ অধ্যয়নের মাধ্যমে তার নতুন বিশ্বাসের শিক্ষার মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন। নিজের আধ্যাত্মিক যাত্রার প্রতিফলন করে এই মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকেই আমি ইসলামের প্রতি গভীর সংযোগ অনুভব করেছি। আমি যদিও খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছি, আমি সবসময় ইসলামের শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। আমি শালীন পোশাক পরিধান করতাম এবং প্রায়ই শীলা (মাথার স্কার্ফ) পরিধান করতাম।’ তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমি দুবাইয়ের একটি ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টারে যাই এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করি, এর মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদে আমার বিশ্বাস এবং মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর রাসূল হিসেবে গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছি।’ খালিজ টাইমস বলছে, ইসলাম গ্রহণের দিকে মারিয়াম যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৪ বছর বয়সে। সেসময় তিনি প্রথম তার নিজ শহর মিউনিখের একটি মসজিদে গিয়েছিলেন। নিজের সেই কথা স্মরণ করে মারিয়াম বলছেন, ‘মসজিদে আন্তরিকতা এবং উষ্ণতার সাথে আমাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল ও তাতে আমি অভিভূত হয়েছিলাম। সেখানে আমি যে সহানুভূতি অনুভব করেছি তা আমার ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।’ সময়ের সাথে সাথে মারিয়াম নিজেকে মুসলিম বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতদের সাথে আরও যুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের সম্পর্কে যা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছিল তা হলো- তারা সর্বদা ছিলেন দয়ালু, সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে সাহায্যকারী মানুষ, যা আমার ইসলাম গ্রহণের অন্যতম প্রধান কারণ।’ দুই বোনের মধ্যে জন্ম নেওয়া মারিয়াম ২০২২ সালে বন্ধুদের সাথে ছুটি কাটাতে দুবাইয়ে এসেছিলেন। আর এখানে তিনি শহরটির প্রাণবন্ত সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হন। মারিয়াম বলছেন, ‘আমি এখানে আসার সাথে সাথেই এই শহরের প্রেমে পড়েছিলাম এবং জানতাম, আমি এটিকেই আমার থাকার জায়গা করতে চাই।’

পরের বছর যখন তিনি দুবাইয়ে চাকরির সুযোগ পান তখন তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। যদিও পরে কোম্পানি তার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। মারিয়াম বলেন, ‘আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে হতাশ এবং অনিশ্চিত বোধ করছিলাম। সেই দিনগুলোতে, আমি বিজনেস বে-তে থাকতাম, এবং আমার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে একটি মসজিদ দেখা যেত। যখনই মুয়াজ্জিনের আযান বাতাসে প্রতিধ্বনিত হতো, তখনই আমি আমার বারান্দায় ছুটে আসতাম। নামাজে আহ্বানের নির্মল সেই সুর আমার ওপর প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলেছিল।’ আর তখনই মারিয়াম ইসলামকে আরও গভীরভাবে অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘এরপর আমি একজন বন্ধুর কাছে যাই এবং পবিত্র কোরআনের একটি জার্মান অনুবাদ দিতে অনুরোধ করি।’ ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মারিয়াম কয়েক সপ্তাহের জন্য গিয়েছিলেন। আর সেখানে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে নিজেকে ইসলামিক সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত করেন। মারিয়াম তার পরিবারের সাথে দেখা করতে গত বছরের আগস্টে জার্মানিতে ফিরে যান। কিন্তু দুবাইয়ে ফিরে যাওয়ার কথা তার মাথায় অটল অবস্থায় থেকে যায়। ফিরে আসতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ মারিয়াম এরপর আবারও চাকরির জন্য আবেদন করতে শুরু করেন এবং শেষমেষ তিনি ভালো সুযোগও পেয়ে যান।

অবশেষে ২০২৩ সালের অক্টোবরে মারিয়াম দুবাইতে চলে আসেন। এখানে প্রথমবার কোরআন পড়তে শুরু করার সাথে সাথেই তিনি এক অবর্ণনীয় সংবেদন অনুভব করেন। সেকথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমি সেই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না। মাত্র ৫০ পৃষ্ঠার পড়ার পরই আমি মনে মনে বুঝতে পারলাম, আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চাই।’ আর মারিয়ামের সেই যাত্রা চলতি বছরের শুরুর দিকের এক শুক্রবারে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। খালিজ টাইমস বলছে, মরিয়ম এখন ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞানের গভীরতা আরও বাড়ানোর এবং রমজানের রুটিন মেনে চলার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি বলছেন, ‘আমি সেহরির জন্য সময়মতো ঘুম থেকে উঠি এবং সন্ধ্যায় আমার অ্যাপার্টমেন্টে ইফতার করি। আমার সেহরিতে সাধারণত একটি কলা বা দই থাকে। কারণ ভোর ৪টায় সেহরিতে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়াটা বেশি বেশিই হয়ে যায়।’

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ মার্চ-২৪ /মওম

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ

ক্রীড়া ডেস্ক:

সবশেষ তিন ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে জিতিয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ফাইনালের মঞ্চেও তার কাঁধেই এলো দায়িত্ব। আজম খান, ফাহিম আশরাফ, হায়দার আলী তিনজনেই ফিরেছেন খুব দ্রুত। ইমাদকে এই অবস্থায় কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছেন নাসিম শাহ। আগেই নিজের ব্যাটিং সক্ষমতার জানান দিয়েছিলেন তিনি। সেটা আবার প্রমাণ করলেন তিনি।  শেষ দুই ওভারে ইসলামাবাদের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ক্রিস জর্ডানের ওভারে টানা দুই চার মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ইমাদ। সেই ওভার থেকে আসে ১১ রান। শেষ ওভারে দরকার ৮ রান। প্রথম চার বলে ৭ রান নেয়ার পর পঞ্চম বলে ফিরে যান নাসিম। শেষ বলে যখন ১ রান প্রয়োজন তখন থার্ডম্যান দিয়ে চার মেরে ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন হুনাইন শাহ। ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা জিতল ইসলামাবাদ। আর টানা তিন ফাইনাল হারল মুলতান। সবশেষ চার মৌসুমের ফাইনালে উঠলেও একবারের বেশি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের।

করাচিতে জয়ের জন্য ১৬০ রান তাড়ায় আক্রমণাত্বক শুরু করেন কলিন মুনরো। তবে ইনিংস বড় করার আগেই মুনরোকে ফিরিয়েছেন খুশদিল শাহ। ১৭ রানে ফিরতে হয় তাকে। এরপর সালমান আলী আঘাকেও বিদায় করেছেন খুশদিল। চারে নেমে থিতু হতে পারেননি শাদাব। ইফতিখারের বিপক্ষে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ইসলামাবাদের অধিনায়ক। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন মার্টিন গাপটিল। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। তবে আজম খানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়তে হয়েছে গাপটিলকে। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় তাকে। শেষদিকে আজম, হায়দার এবং ফাহিম আশরাফ চলে গেলে বিপাকে পড়ে ইসলামাবাদ। কিন্তু নাসিম শাহের ৯ বলে ১৭ এবং ইমাদের ১৭ বলে ১৯ রান ইসলামাবাদকে এনে দেয় ৩য় শিরোপা। মুলতানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ইফতিখার এবং খুশদিল। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন উসামা, উইলি এবং মোহাম্মদ। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় মুলতান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াসির খান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য ওপরে আনা হয় উইলিকে। ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। ১৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন রিজওয়ান ও উসমান খান। তাদের দুজনের ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন শাদাব। রিজওয়ান আউট হয়েছেন ২৬ বলে ২৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে। এরপর দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন জনসন চার্লস এবং খুশদিল। শেষদিকে ২০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে মুলতানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন ইফতিখার। এদিন ২৩ রানের খরচায় পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ মার্চ-২৪ /মওম

 চাঁন্দগাও রুটে বন বিভাগের নাকের ডগায় ট্রাকভর্তি চোরাই কাঠ পাচার 

 আব্দুস সাত্তার টিটু 
চট্টগ্রাম নগরীতে রাতের আঁধারে বন বিভাগের নাকের ডগায় চাঁন্দগাও-বলিহাট রুটে নিরবে চলছে চোরাই কাঠ পাচারের মহা উৎসব।  প্রতিদিন এই রোডে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ট্রাক বিভিন্ন প্রজাতির চোরাই কাঠ পাচার হচ্ছে তারমধ্যে সেগুন কাঠ অন্যতম। এই দিকে কাঠ পাচার করার জন্য পাচারকারীরা ভিন্ন রকমের কৌশল অবলম্বন করছে। যেমন,যেসব ট্রাকে এই চোরাই কাঠ পাচার হচ্ছে সেইসব ট্রাকে থাকে না কোন গাড়ির কাগজপত্র এবং গাড়ির নাম্বার প্লেট। যার ফলে ধরা চোয়ার বাইরে থাকে চোরাই কাঠভর্তি এই ট্রাকগুলোর প্রকৃত পাচারকারীরা। এমন একটি ঘটনায় চোরাই কাঠ বোঝাইকৃত ট্রাকের বিষয়ে চাঁদগাও থানাকে অবহিত করলে ট্রাকের নাম্বার প্লেট না থাকায় ট্রাকটিকে আটক করতে পারেনি থানা পুলিশ। সূত্রে জানা যায়, দৈনিক ১০ থেকে ২০ ট্রাক গাছ পাচার হচ্ছে চাঁদগাও রোড হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।  বন বিভাগ ও পুলিশকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে গাছ পাচার করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সন্ধ্যার পরে কাঠ পাচার হলেও রাত দশটার পর এর সংখ্যা অনেকটা বেড়েই যায়। রাত ১২ টার পরে ঘন্টায় দুই থেকে তিনটা গাড়ি প্রবেশ করছে নগরীর চাঁদগাঁও হয়ে বলিরহাট এলাকায়। পাচারকারী এবং লাইনম্যানের যোগসাজশে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এমন অভিনব পন্থায় চোরাই কাঠ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, হিলটেক্স থেকে চোরাই কাঠ চট্টগ্রাম নগরীতে ঢোকার অন্যতম রুট হচ্ছে রাউজান, মদুনাঘাট হয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মোহরা এবং বাহির সিগনাল বেসিক এলাকার ভিতর দিয়ে ঢুকে সিএন্ডবি মোড় হয়ে সোজা বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল হয়ে খাজা রোড দিয়ে বলিরহাটে গিয়ে চোরাই কাঠগুলো খালাস হয়।চাঁদগাও এলাকার গাছ পাচার সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হারুন প্রকাশ ভাঙ্গা হারুন। প্রশাসন কিংবা বন বিভাগ কেউ গাছ পাচারের ট্রাক আটক করলে লাইনম্যান ও ক্যাশিয়ার হারুন এর নেতৃত্বে চলে রফা দফা। এই লাইনম্যান কে ম্যানেজ করলেই নাকি ট্রাক ভর্তি চোরাই কাঠ নির্দ্বিধায় শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়।
গোপনে কাঠ পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকের একটি টিম উপস্থিত হয় কাপ্তাই নজুমিয়া হাট এলাকায়। নজুমিয়া হাট এলাকার বিপরীত থেকে আসা একটি বোঝাইকৃত চোরাই কাঠের ট্রাককে সিগন্যাল দিলে সে বেপরোয়া-গতিতে চান্দগাঁও মোহরা, বাহির সিগনাল এবং বিসিক শিল্প এলাকা হয়ে পালিয়ে যায়। সাংবাদিকের অনুসন্ধানী টিম মোটরসাইকেল যোগে ওই ট্রাকটিকে অনুসরণ করলে এক সময় গাড়িটি মোহরা চাঁন্দগাঁও  বিসিক শিল্প এলাকার একটি নির্জন স্থানে গাড়ি দাঁড় করায়। কাঠ বোঝাই ট্রাক ড্রাইভারের কাছে কাঠ গুলো কোথায় থেকে আসতেছে এবং গাছের ডকুমেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে সে মুখ খুলতে নারাজ। গাড়ির ডকুমেন্টস এবং নাম্বার প্লেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো সৎ উত্তর দিতে পারে নি। পরে এই ড্রাইভার ফোন দেন জেলা ও মেট্রোর ফরেস্টের ক্যাশিয়ার এবং অবৈধ চোরাই কাঠের লাইনম্যান হারুন কে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাশিয়ার হারুন বলেন, এই রুটে যতগুলো গাছ পাচারের গাড়ি চলে সবগুলো আমার নিয়ন্ত্রণে চলে। প্রশাসন, বন বিভাগ কিংবা অন্য কেউ যেই এই গাড়িগুলোকে ধরে গাড়ীর ড্রাইভার আমার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয় এবং আমি তাদের সাথে গোপনে রফা দফা করে দেয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফরেস্ট রেঞ্জার, রেঞ্জ কর্মকর্তা, সার্ভে রেঞ্জ, চট্টগ্রাম শহর উত্তর বন বিভাগ মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, লাইনম্যান ও ক্যাশিয়ার হারুন নামের কাউকে আমরা চিনি না। কাঠ পাচারের বিষয়ে আমরা নজরদারি বাড়াচ্ছি এবং খবর পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব‌।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা দাবি করলে কঠোর শাস্তি

মো: মহিদ:
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলরত নিত্য পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি ও থ্রি হুইলারসহ যে কোনো গাড়িতে কেউ চাঁদা দাবি করলে, সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, এসব পরিবহনের দিকে বাঁকা চোখে তাকালেই, ফোনে জানাবেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ইমতিয়াজ মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মুহাম্মদ কামরুল হাসান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মো. হাবিল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছানোয়ার ছানু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহিদ মাইজভান্ডারি,সহ বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য ও ব্যবসায়ীরা
আলোকিত প্রতিদিন/১৮ মার্চ-২৪ /মওম

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক:

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৩৬ রানের। কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে তানজিদ হাসান তামিম খেলে দিলেন ৮১ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংস। তারপরও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। কিন্তু মিরাজ আউট হওয়ার পর আবারও শঙ্কা। সেই শঙ্কা কেটে গেলো রিশাদ হোসেনের শেষ সময়ের টর্নেডো এক ইনিংসে। নতুন স্পেলে বল করতে নেমে প্রথম ডেলিভারিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ৪৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। ৪০ বলে ৩ চারে ২৫ রান করে মিরাজ ক্যাচ দেন প্রমোদ মাদুশানকে। ১৭৮ রানে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। একই ওভারে হাসারাঙ্গাকে দুটি ছয় ও চার মেরে ওই ধাক্কা কাটিয়ে তোলেন রিশাদ হোসেন। ৩৭ ওভারের খেলা শেষে ৬ উইকেটে স্বাগতিকদের রান ১৯৪। সেট ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশকে ভালো একটা অবস্থানে রেখে বিদায় নিয়েছেন। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুশফিকুর রহিম ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হাল ধরেছেন। তাদের ব্যাটে চড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা। ৩২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান বাংলাদেশের। দারুণ এক ইনিংস খেললেন তানজিদ হাসান তামিম। সেঞ্চুরির বেশ কাছে ছিলেন। তবে ২৬তম ওভারে তার ইনিংসের সমাপ্তি হলো। ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৮৪ রানে চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ দেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হন তানজিদ। দলীয় ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। আবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে মাঠ ছাড়লেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১ রান করে লাহিরু কুমারার চতুর্থ শিকার হলেন তিনি। বাংলাদেশের এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের সেরা বোলিং ফিগার গড়লেন লঙ্কান পেসার। ২৪তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহকে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ বানান লাহিরু। দলীয় ১১৩ রানে চার উইকেট পড়লো বাংলাদেশের। তাওহীদ হৃদয় বেশিদূর যেতে পারলেন না। আউট হলেন ৩৬ বলে ২২ রান করে। লাহিরু কুমারার বলে দলীয় ১০৫ রানে থামলেন তিনি। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৯ রানের। ২২তম ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে প্রমোদ মাদুশানের ক্যাচ হন তিনি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অপরাজিত ৯৬ রান করেছিলেন হৃদয়। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি করেন তানজিদ। ৫১ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পঞ্চাশ ছুঁলেন তিনি। ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ৭৯ রান বাংলাদেশের। হাফ সেঞ্চুরির পর তানজিদের ব্যাটে রান কমে গিয়েছিল। ১৯তম ওভারে দুটি চার মেরে রান বাড়িয়ে নেন তিনি। একই ওভারে সহন আরাচিগের হাত গলে জীবন পান তানজিদ, তখন তার রান ছিল ৬০। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫৬ রান করে বাংলাদেশ। ১১তম ওভারে তারা হারালো আরেকটি উইকেট। লাহিরু কুমারা পেয়ে গেলেন তার দ্বিতীয় শিকার। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ বলে মাত্র ১ রান করে কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন।৫৬ রানে বাংলাদেশ হারালো ২ উইকেট। সৌম্য সরকার চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। তার বদলে কনকাশন সাব হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তানজিদ হাসান সাকিব। চতুর্থ ওভারে প্রমোদ মাদুশানকে দুটি চার ও এক ছয় মেরে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন তিনি। ওই ওভারে ১৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ৪ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করেছে বাংলাদেশ।

সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩৬ রান জানিথ লিয়ানাগে শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চার মারলেন। তাতে করে ১০১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। লিয়ানাগের কারণেই বাংলাদেশের দারুণ শুরু মাটি হয়ে গেছে। ২৩৫ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। সিরিজ জিততে বাংলাদেশ অল্প রানের লক্ষ্য পেলেও উইকেটের অবস্থা বলছে, বেশ ভুগতে হবে পরে ব্যাট করা দলকে। ৭৪ রানে চার উইকেট পড়ার পর লিয়ানাগে ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে তোলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে লিয়ানাগের ৪৩ রানের জুটি প্রতিরোধ গড়েছিল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান লিয়ানাগে। শেষ ওভারে সেটাকে প্রথম সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ১০১ বল খেলে।মাহিশ ঠিকশানার সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৬০ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন লিয়ানাগে। ১০২ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ ওভারে প্রমোদ মাদুশান এনামুল হকের ক্যাচ হন এবং শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন লাহিরু কুমারা। ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।

সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন তাসকিন। দুটি পান মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ দিকে ক্র্যাম্প নিয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার। ফিল্ডিংয়ে এনামুলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন বদলি ফিল্ডার জাকের আলী অনিক। চার আটকাতে গিয়ে বিলবোর্ডের সঙ্গে সৌম্য সরকারের পায়ে আঘাত লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে তাকে। এনামুলও চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে যান। এককথায়, ফিল্ডিংয়ে বেশ হতাশা নিয়ে দিন কেটেছে বাংলাদেশের। চোট পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের জুটি ভাঙলেন সৌম্য সরকার। ৪৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। প্রথম বলটি ওয়াইড দেন, ক্র্যাম্পের কারণে আর বল করতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নেওয়া হয় মাঠের বাইরে। অসমাপ্ত ওভারে বল করতে নামেন সৌম্য। ডিপ মিডউইকেটে ঠিকশানা ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার তানজিম হাসান সাকিবকে। ভেঙে যায় ৬০ রানের জুটি। ২১৫ রানে ৮ উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার। ৪৮ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৮ রান তাদের। ৪৬তম ওভারে তাসকিন আহমেদকে চার মারলেন জানিথ লিয়ানাগে। মাহিশ ঠিকশানার সঙ্গে তার জুটি পঞ্চাশ ছাড়ালো। তার আগের বলেই শ্রীলঙ্কার দলীয় স্কোর দুইশতে পৌঁছায় লিয়ানাগের ডাবলসে। ৪৬ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৫ রান লঙ্কানদের। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করলেন জানিথ লিয়ানাগে। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬৫ বলে ফিফটি ছোঁন তিনি। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে তার ৪৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দুনিথ ভেল্লালাগের পর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে লঙ্কান ব্যাটারকে বোল্ড করেন তিনি। বাংলাদেশি অফস্পিনারের বলে ১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ৮ বলে ১১ রান করেন হাসারাঙ্গা। চট্টগ্রামের উইকেটে রান করা শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। রানে গতি নেই একদমই, উইকেটও পড়ছে নিয়মিত বিরতিতে। ৩১তম ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরালেন দুনিথ ভেল্লালাগেকে। ১৯ রানের জুটি গড়েন তিনি জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে। ১৬তম বলে রানের খাতা খোলার দুই বল পর মাঠ ছাড়েন ভেল্লালাগে। দলীয় ১৩৬ রানে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়েছে।

জাতীয় দলে ফিরে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজচারিথ আসালাঙ্কা হাফ সেঞ্চুরি করার আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তাকে ব্যর্থ করলেন। ২৫তম ওভারের শেষ বলে লঙ্কান ব্যাটারকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। ৪৬ বলে ৫ চারে ৩৭ রানে থামেন আসালাঙ্কা। জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৩ রানের, যা এখন পর্যন্ত ইনিংস সর্বোচ্চ। ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ২৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৫ রান।

লেগ স্পিন নিয়ে হাহাকার দূর করতে রিশাদ হোসেনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এই লেগ স্পিনার যে অনেক দূরে যাবেন, সেই আশা অনেকের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে তিনি আস্থার প্রতিদান দিলেন শুরুতেই। ১৮তম ওভারে বল হাতে নিয়েই কুশল মেন্ডিসকে ২৯ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে অধিনায়ক ৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ১৮ ওভারের খেলা শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ৮০। একাদশে ফিরে সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগলো না মোস্তাফিজুর রহমানের। ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়ে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেট জুটি ভেঙে দেন তিনি।সাদিরার ব্যাটে ইনসাইড এজ হয়ে বল মুশফিকুর রহিমের হাতে চলে যায়। ১৫ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন লঙ্কান ব্যাটার। ৪১ রানে তৃতীয় উইকেট নিলো বাংলাদেশ। ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩ রান শ্রীলঙ্কার। পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বোলিং করলো বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ৩৯ রান দিয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার দুই উইকেটই পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।  দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারে পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিষ্কা ফার্নান্ডোকে আউট করেন তাসকিন। ১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা প্রতিরোধ গড়েন। তবে তাসকিন ও শরিফুল ইসলামের বলে দুজনের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো। চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশি বোলারের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে জমা হয়। মাত্র ৪ রান করেন লঙ্কান ওপেনার। ৩.৫ ওভারে ১৫ রানে ২ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে বোলিংয়ে শুরুটা যথারীতি ভালো হয়েছে। আগের ওয়ানডেতে সেরা পারফর্ম করা পাথুম নিসাঙ্কাকে এলবিডব্লিউ করেছেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নেন ডানহাতি পেসার। তৃতীয় বলে উইকেট পান তিনি। ১ রানে প্রথম উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ৮ বল খেলে ১ রান করেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার।

বাংলাদেশের একাদশে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। লিটন দাস বাদ পড়ায় ওপেনিংয়ে খেলবে এনামুল হক বিজয়। তানজিম হাসান সাকিবের ইনজুরিতে জায়গা মিলেছে মোস্তাফিজুর রহমানের। আর রিশাদ হোসেন খেলবেন তাইজুল ইসলামের বদলে। বাংলাদেশ (একাদশ): সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা (একাদশ): পাথুম নিসাঙ্কা, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ ঠিকশানা, প্রমোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা।

১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মিরাজ ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি। ৪০ বলে ২৫ করে আউট হন মিরাজ। মুশফিকের সঙ্গে তখন বলতে গেলে স্বীকৃত ব্যাটার আর কেউ নেই। শঙ্কা তাই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রিশাদ আরও একবার ব্যাট হাতে চমক দেখান। মাঠে নেমেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান এই লেগস্পিনার। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ২৩৬ রানের লক্ষ্য বেশ সহজই। রয়ে সয়ে খেলতে পারলে অনায়াসেই জয় তুলে নেয়া সম্ভব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৩৫/১০ (জানিথ লিয়ানাগে ১০১*, চারিথ আসালাঙ্কা ৩৭, কুশল মেন্ডিস ২৯; তাসকিন আহমেদ ৩/৪২, মোস্তাফিজুর রহমান ২/৩৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ২/৩৮, রিশাদ হোসেন ১/৫১)

বাংলাদেশ: ৪০.২ ওভারে ২৩৭/৬ (তানজিদ হাসান তামিম ৮৪, তাওহিদ হৃদয় ২২, মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫, মুশফিকুর রহিম ৩৭*, রিশাদ হোসেন ৪৮*; লাহিরু কুমারা ৪/৪৮)

ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রিশাদ হোসেন (বাংলাদেশ)।

আলোকিত প্রতিদিন/১৮ মার্চ-২৪ /মওম

কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীর ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান 

জি এম রাশেদুল ইসলাম:
বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। ১৮ মার্চ সোমবার সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার উদ্যোগে রাজারহাট উপজেলা সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজারহাট উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুনুর মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, আশার কুড়িগ্রাম সিনিয়র ডিসট্রিক্ট ম্যানেজার মো: রফিকুল ইসলাম, রাজারহাট ব্রাঞ্চের রিজিওনাল ম্যানেজার মো: আব্দুল আউয়াল, রাজারহাট সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা: সুয়েজ এলবার্ট মারান্ডী, ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট ডা: কে এম কোরবান আলীসহ আরো ১৪ জন সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী। দিনব্যাপী এই মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় তিন শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিকস পরিক্ষা, রক্তচাপ পরিমাপ, ফিজিওথেরাপি সেবা, পরামর্শ ঔষধ প্রদান করা হয়।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আফজাল হোসেন (৫০) নামের একজন বলেন, এখানে সিরিয়ালের মাধ্যমে ডাক্তার দেখাইলাম। ডাক্তার দেখে একমাসের ঔষধও দিলো। আবার একমাস পর আসতে বললো। আমার সমস্যা হচ্ছে, কোমড়ের ব্যাথা। ব্যাথার কারণে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারি না। দেখি একমাস ঔষধ খেয়ে কেমন হয়।রাজারহাট উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুনুর মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, গতকাল ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা ফ্রিতে মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ করলো। এ জন্য রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সেবা নিতে আসা রোগীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনাদের কোন সমস্যা হলে, আপনারা এখানেই আসবেন চিকিৎসা নিতে। ভুলেও হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন না। এখানে এমবিবিএস ডাক্তার আছেন, আসা করছি ভালো চিকিৎসা পাবেন এখানে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৮ মার্চ-২৪ /মওম