আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 445

আমিনুল হকের উপস্থিতিতে পল্লবীতে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

 ইমরান হোসেন ও মোঃ জাকির হোসেন
দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, এরফলে মানুষ মৃত্যুযন্ত্রণায় ভুগছে। ফলে কঠিন অবস্থায় মানুষ আজ জীবন অতিবাহিত করছে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, দুঃখ লাগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও আমাদের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে।  আজ ১৬  মার্চ (শনিবার ) বিকেলে  রাজধানীর পল্লবী-রুপনগরের ঢাকা মহানগর উত্তর ২, ৯২, ৩, ৬ (আঞ্চলিক), ৫, ৬, ৭ (আঞ্চলিক) , ৯২ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন। দেশের মানুষ দেখেছে ২% মানুষও এ নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের লোকজনও ভোট দেয়নি।  এ নির্বাচন পৃথিবীর কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নির্বাচন দেশে ও সারা বিশ্বের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।দেশের গণতন্ত্র, জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার না ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত এক দফার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমিনুল হক দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা মাস্টারের সভাপতিত্বে পল্লবীর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর উত্তর এর ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক,
৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজুর সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়েরের সন্চালনায়,
৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাদশাহ মিয়ার সভাপতিত্বে আসলাম হোসেন গাজীর সঞ্চালনায়,৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আউয়াল ইসলাম তপনের সঞ্চালনায়, ৬ নং (আঞ্চলিক) ওয়ার্ড বিএনপির  সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন সৈয়দের সভাপতিত্বে ও ৭ নং ওয়ার্ড আঞ্চলিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুনের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেরুন নেছা হক, মহানগর সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, ছাত্রদল মহানগর পশ্চিমের সদস্য সচিব জুয়েল হাসান রাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মহসিন সিদ্দিকী রনী বিএনপি নেতা গাজী সিরাজ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, রুপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিনিয়ার মজিবুল হক, শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, সরাফত আলী সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

১৫ বছরের অবৈধভাবে জবরদখলকৃত ৮ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার

আবু সায়েম:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও রেঞ্জের অভিযানে ১৫ বছর যাবত অবৈধভাবে  জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় প্রায় ৮ একর সরকারি সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়।
১৬ মার্চ শনিবার সকাল ১০ টায়  বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের “১০০ কার্যদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা ” বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জবর দখলকৃত বনভুমি উদ্ধারের লক্ষ্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশনায়   ঈদগাঁও রেঞ্জের  আওতাধীন ভোমরিয়াঘোনা বিট অধিক্ষেত্রে রামু উপজেলাধীন, জঙ্গল ঈদগড় মৌজাস্থ( আর এস দাগ নংঃ ৫০) এ ধুমছাকাটা নামক এলাকায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময়  সরকারী সংরক্ষিত বনভুমিতে আনুঃ ১৫ বছরের  অবৈধভাবে জবর দখল কৃত কয়েকটি বরই বাগান উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তা,স্টাফসহ  ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন,  বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের “১০০ কার্যদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা ” বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জবর দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে ১৫ বছরের জবরদখলকৃত কয়েকটি বরই বাগান উচ্ছেদ করে সরকারি বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় প্রায় ৮ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়।জড়িতদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।  সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ  করলে উচ্ছেদ করা হবে  এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

চট্টগ্রামে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপিত

মীর সালাহউদ্দীন:
সারা বিশ্বের মতো চট্টগ্রামে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপিত হয়েছে। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি”। দিবসটি পালন উপলক্ষে ১৫ই মার্চ ২০২৪ইং বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে সকাল ১০.০০টায় নগরীর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জনাব তোফায়েল ইসলাম। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জনাব কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম(বার), পিপিএম,চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক(ডিআইজি) জনাব নুরে আলম মিনা,দি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট জনাব ওমর হাজ্জাজ এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বিশেষ অতিথি ছিলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক জনাব মোঃ ফয়েজউল্যাহর স্বাগত বক্তব্যে এবং ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চেম্বারের পরিচালক এবং মেট্রোপলিটন শপ ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অহিদ সিরাজ স্বপন, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও বিশিষ্ঠ নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ,বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব ছালামত আলী,বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্বি ইলিয়াছ ভু্ইয়া,বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি আলহাজ্ব ছালে আহমদ সুলেমান,বনফুলের মহাব্যবস্থাপক আমানুল আলম প্রমুখ।এছাড়াও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর,বিভাগ,ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য/সদস্যা,বিভিন্ন বাজার সমিতি,দোকান মালিক সমিতি ও হোটেল ও রেস্তোরা মালিক সমিতি,সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি,নারী নেতৃবৃন্দ,পেশাজীবি ও সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

নান্দাইল পুলিশের অভিযানে এনামুল হক হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

খালেদ হাসান:
নান্দাইল থানা পুলিশের অভিযানে এনামুল হক হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল ইসলামকে মামলা গঠনের ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত ১৩ মার্চ বেলা ০২.৩০ ঘটিকার সময় নান্দাইল থানাধীন ভাটি চারিয়া সাকিনে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এনামুল হক (৩০) এবং আবুল ইসলাম ও খলিল গংদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় আবুল ইসলাম এবং খলিল গংদের টেটার আঘাতে এনামুল হক গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনার কারনে নান্দাইল মডেল থানায় (মামলা নং-২০) তারিখঃ ১৪/০৩/২০২৪খ্রিঃ ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/৫০৬(২)/১১৪ পেনাল কোড রুজু হয়। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেলের নির্দেশে নান্দাইল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ এর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জ হইতে এজাহার ভুক্ত ১নং আসামি আবুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত- আঃ জব্বার, সাং- ভাটী চাড়িয়া, থানা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এনামুল হক হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার হওয়ায় মামলার বাদী সহ এলাকার লোকজন থানা পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

সোনারগাঁয়ে একই রাতে পাশাপাশি দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

সুজন মাহমুদ: 
সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নোয়াকান্দী কুন্দেরপাড়া (কাজহরদী) এলাকায় মরহুম শামসুল হক মাস্টারের বাড়ি এবং ইসলাম মুন্সীর বাড়িতে পরিবারের সদস্যদেরকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং ধারালো চাপাতি দিয়ে ইসলাম মুন্সীর মাথায়, হাতে ও পায়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে ডাকাতদল। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যমতে, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১টায় শামসুল হক মাস্টারের বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে ১২-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দোতলায় গিয়ে বাড়িতে অবস্থান করা মফিজুলের স্ত্রী সোনিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির সকল কক্ষের আসবাবপত্র তছনছ করে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এসময় ডাকাত দল বাড়ির প্রতিটি কক্ষের আসবাবপত্র খুলে সেখানে থাকা ব্যবহৃত মালামাল তছনছ করে মেঝেতে ফেলে রেখে চলে যায়। আনুমানিক দেড় টায় পাশের বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে ঢুকার চেষ্টা চালায় ডাকাতদল, তখন শব্দ শুনে বাড়ির মালিক ইসলাম মুন্সী দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং তার স্ত্রী আছিয়াকে জিম্মি করে তার ব্যবহৃত ২ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। ডাকাতরা আসবাবপত্র খোলার জন্য কক্ষে প্রবেশ করলে বাড়িতে অবস্থান করা ইসলাম মুন্সীর ছেলে একরামুল কৌশলে ডাকাত ডাকাত বলে ডাকচিৎকার দিলে তখন ডাকাতদল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা আহত ইসলাম মুন্সীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিকটস্থ আবুল বাশার মেডিকেলে এবং পরবর্তীতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান স্বজনরা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে’।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

রোজা রাখলে কী ঘটে আপনার শরীরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান রোজা রাখেন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে। কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে। ইউরোপের কোন কোন দেশে কুড়ি ঘণ্টাও রোজা রাখতে হচ্ছে।

প্রথম কয়েকদিন কষ্টকর:

শেষবার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না। আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ, সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে, তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। যেহেতু রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা কমে যায়, সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবং ঝিমুনির ভাব আসতে পারে। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ সময়টাতে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে।

৩ হতে ৭ রোজা: প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে। কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় যেহেতু আপনি কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না, তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। নইলে আপনি মারাত্মক পানি-শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি। একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন বা আমিষ, লবণ এবং পানি থাকবে।৮ হতে ১৫ রোজা: এই পর্যায়ে এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালো লাগছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের ‘অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের’ কনসালট্যান্ট ড. রাজিন মাহরুফ বলেন, এর অন্যান্য সুফলও আছে।”সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমত করতে পারে না, যেমন ধরুণ শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে।” “কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোস থাকছি, তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। কাজেই রোজা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।”

সব ধরণের খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়

১৬ হতে ৩০ রোজা: রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং দেহত্বক এখন এক ধরণের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন শুদ্ধ হয়ে উঠবে। “এসময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে। আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগের উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন”, বলছেন ড. মাহরুফ। “শরীরের শক্তি জোগানোর জন্য আপনার আমিষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। যখন আপনার শরীর ‘ক্ষুধার্ত’ থাকছে তখন এটি শক্তির জন্য দেহের মাংসপেশীকে ব্যবহার করছে। এবং এটি ঘটে যখন একটানা বহুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি উপোস থাকছেন বা রোজা রাখছেন।” “যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।”

ড: রাজেন মাহরুফ

তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
ড. মাহরুফ বলেন, অবশ্যই, তবে একটা ব্যাপার আছে। “রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো, কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। একমাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না। “শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা কোন উপায় হতে পারে না। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশীর ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।” ড. মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে, রমজান মাসের পর মাঝে মধ্যে অন্যধরণের উপোস করা যেতে পারে। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।

সূত্র : বিবিসি

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

ম্যাচ হারে অপেক্ষা বাড়লো বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক:

আক্ষেপ নিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ ছাড়তে হলো। তাওহীদ হৃদয়ের এমন দুর্দান্ত ইনিংসের পর শুরুতেই লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে পেসাররা আশা জাগিয়েছিলেন। শেষটা জমিয়ে দিলেও সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেল! দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ বল আগে ৩ উইকেটে লঙ্কানদের এই জয় বাংলদেশকে অপেক্ষাতেও রাখলো। এখন সিরিজের শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ওই ম্যাচে যারা জিতবে, তাদের ঘরেই যাবে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্যটা খুব সহজ ছিল না। ৪৩ রানে তিন উইকেট তুলে দারুণ সূচনাও পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কা ও পাথুম নিসাঙ্কা মিলে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটি এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাদের ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়েই শ্রীলঙ্কা পৌঁছে যায় ২২৮ রানে। এমন ম্যাচে হতাশার ফিল্ডিংও দায়ী বলতে হবে। জমে যাওয়া আসালাঙ্কা ৬ রানেই ফিরে যেতে পারতেন! কিন্তু লিটনের পিচ্ছিল হাত তার ক্যাচ নিতে পারেনি। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল আসালাঙ্কা দূর থেকেই খেলেছিলেন। যা ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে। কিছুটা কঠিন হলেও সেই ক্যাচটি লিটন নিতে পারেননি। আর জীবন পেয়ে আসালাঙ্কা উপহার দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৯১ রানের ইনিংস। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন পাথুম নিসাঙ্কা। লঙ্কান এই ওপেনার পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৭৩ রানে জীবন পেয়েছিলেন লঙ্কান এই ওপেনারও। পরে সুযোগটা বেশ ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়তেও অবদান রাখেন তিনি। ১৯৯০ সালে আরভিন্দ ডি সিলভা ও আর্জুনা রানাতুঙ্গার ১৩৯ রানের জুটি ছিল এতদিন চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। রেকর্ড জুটি গড়া নিসাঙ্কা ১১৩ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। এরপর সঙ্গীকে হারিয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকা আসালাঙ্কাও সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। তাকে ফিরিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটে শততম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাসকিন। ৬ রানে জীবন পাওয়া আসালাঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন। দুই সেট ব্যাটারকে ফেরাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। লিয়ানাগেকে তানজিম হাসান আউট করলে লঙ্কানদের বিপদ বাড়ে আরও। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুনিথ ভেল্লালাগে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। জয় থেকে দুই রান দূরে থাকতে হাসারাঙ্গা ১৬ বলে ২৫ রান করে আউট হলেও ভেল্লালাগে অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। তাদের ব্যাটেই শ্রীলঙ্কা ১৭ বল আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছিল শিশির!  প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আগের ম্যাচে লঙ্কানরা ভুগেছে, আজ ভুগেছে বাংলাদেশ। তারপরও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সুযোগ তৈরি করেছিল। ফিল্ডাররা সুযোগগুলো নিতে পারলে ম্যাচটি জেতা সম্ভব হতো। শরিফুল ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ, তাইজুল ও জুনিয়র সাকিব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে ফিরিছেন লিটন। ২য় ম্যাচে  রান করতে পারেননি তিনি। রানে ফিরতে মরিয়া হয়ে থাকা লিটন ম্যাচ শুরুর আগে প্রেসবক্স প্রান্তের নেটে বেশ খানিকক্ষণ অনুশীলন করেছিলেন। তার পরেও ভাগ্য বদলালো না। প্রথম ওভারেই রানের খাতা না খুলে আউট হন তিনি। তার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অস্বস্তিতেও পড়ে যায়। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকার মিলে প্রতিরোধ গড়েছেন। তাদের ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শান্ত দুইবার জীবন পেয়ে খেলেছেন ৪০ রানের ইনিংস। ৩৯ বলে ৬ চারে শান্ত তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। শান্তর আউটের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সৌম্য। তবে ৫৪ বলে ৫৫ রানের জুটির পর হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তার আগে অবশ্য দ্রুততম দুই হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। সৌম্য ৬৪ ইনিংসে এই ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার এত কম ইনিংসে ২ হাজার রান করতে পারেননি। পরে ৬৬ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি আউট হয়েছেন। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগ স্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট-বলের সংযোগ না হওয়ায় রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হয় তাকে। পরে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে তাওহীদ হৃদয় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি হতেই হাসারাঙ্গার বলে কাটা পড়েন মুশফিক। অথচ আগের ম্যাচে লঙ্কান এই লেগস্পিনারকে সুযোগই দেননি তিনি। আজ ৮ রানে জীবন পাওয়ার পর ২৫ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তাওহীদ তখনও এক প্রান্ত আগলে খেলে গেছেন। প্রথমে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ বলে ১৬ এবং তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন। এই জুটিতে রান কিছুটা কম হওয়ায় চাপ বেড়ে যায় তাওহীদের ওপর। তবে তাসকিনকে নিয়ে তার ২৩ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটাই দলের স্কোরকে ২৮৬ রানে নিয়ে গেছে। তাসকিন ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। তাওহীদ অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ১০২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

কালীগঞ্জে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ 

মতিয়ার রহমান
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার কালীগঞ্জে পৌর এলাকায় ঝিনাইদহ সদরের ছয়জন  টিসিবি’র ডিলার শহরের ভূষণ হাই স্কুল রোডে পণ্য বিক্রি করেন। এসব ডিলারদের মধ্যে “মেসার্স আফজাল হোসেন” নামক ডিলারের পণ্য বিক্রিতে দিনভর ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন কার্ডধারী উপকারভোগীরা। টিসিবির পারিবারিক পরিচিতি কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে ফেরত গেছেন  বলে জানা যায়। আবার কার্ড নেই এমন অনেকে একাধিক প্যাকেজের( প্রতি প্যাকেজে  রয়েছে মসুর ডাল ২কেজি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাউল ও ১ কেজি ছোলা) পণ্য ক্রয় করে বস্তা ভরে বাড়ি নিয়ে যান।প্রতিটি পণ্য আলাদা প্যাকেটজাত করে বিক্রির নিয়ম থাকলেও এই ডিলার চাউল প্যাকেট করা ছাড়াই বিক্রি করেন। ডিলারের সুষ্ঠু বিক্রয় ব্যবস্থাপনার অভাবে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য কিনতে আসা উপকারভোগীদের মধ্যেও দফায় দফায় হট্টগোল করতে দেখা যায়। সরেজমিনে ঐদিন বিকেল ৬ টায় যেয়ে দেখা যায়, অন্যান্য ডিলারদের মাল বিক্রি সম্পন্ন হলেও এই ডিলার এখনো তার নির্ধারিত  ৮৮১ ফ্যামিলি কার্ডের মাল বিক্রি সম্পন্ন করতে পারেননি। অথচ ততক্ষণে অন্যান্য ৫ জন ডিলার তাদের নির্ধারিত পণ্য বিক্রি শেষ করেছেন। আর মেসার্স আফজাল হোসেন নামক ডিলারের পণ্য বিক্রির ঘরের সামনে তখনও প্রায় ২ শত লোক দাড়িয়ে অপেক্ষায়। বিক্রি কার্যক্রম করা হচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। ভিড় ঠেলে ডিলারের ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায়, ১৮ কাটুন সয়াবিন তেল(প্রতি কার্টুনের ১৮ লিটার তেল),১১ বস্তা মসুর ডাল (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি), ৪২ বস্তা চাউল (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) এবং কয়েক বস্তা ছোলা রয়েছে।এই ডিলারের ট্যাগ কর্মকর্তাকেও সে সময় খুঁজে পাওয়া যায়নি।আবার ডিলার মোঃ আফজাল হোসেনও পণ্য বিক্রির সময়ও উপস্থিত ছিলেন না।
টিসিবির পারিবারিক পরিচিতির ১৭৫৫ নম্বর কার্ডধারী রিকশাচালক নওয়াব আলী এই প্রতিবেদককে জানান, কার্ড থেকেও মাল পাচ্ছি না। অনেকের কার্ড নেই অথচ তাদের কাছে বস্তা বস্তা মাল বিক্রি করে দিচ্ছে ডিলার। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে তাই দাঁড়িয়ে না থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছি। আজ আর মাল কেনা হলো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক উপকারভোগী বলেন, “মেসার্স আফজাল হোসেন” নামক ডিলার স্থানীয় লোকজনের চাপে রাত ১০ টা ১৫ মিনিট  পর্যন্ত মাল বিক্রি করতে বাধ্য নন। এ সময় যারা মাল ক্রয় করেছেন তাদের কাররই  ফ্যামিলি কার্ড ছিল না। এরপরও চলে যাওয়ার সময় সিএনজিতে করে সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ৮ বস্তা টিসিবির চাউল নিয়ে যান ডিলারের লোকজন। অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে টিসিবির ডিলার মেসার্স আফজাল হোসেন এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আফজাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করছেন কেন? আমার লোকজন ঠিকমতো মাল দিয়েছে।কোনো মাল নিয়ে আসা হয়নি। আপনার তথ্যে ভুল আছে বলে সংযোগটি তিনি কেটে দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানকে মুঠোফোনে টিসিবির পণ্য বিক্রির অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ওই ডিলারের প্রতিনিধির সাথে মুঠোফোনে কথা বলে নির্দেশনা প্রদান করেন।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে : আমিনুল হক

মোঃ জাকির হোসেন

১৫ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৪ ইং। পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে এক গভীর অন্ধকার নেমে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। লাগামহীন জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে গভীর অন্ধকার। আজ ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার ) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনীর পাতিরায় ঢাকা মহানগর উত্তর ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এটা বিএনপির সমস্যা নয়, দেশের জাতীয় সমস্যা, জনগণের সমস্যা। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মানুষ খুব সহসাই রাস্তায় নেমে আসবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার না ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামীলীগ একটা অনির্বাচিত সরকার, এরা বিনা ভোটের সরকার। এরা প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। ইনশাআল্লাহ জনগনকে সাথে নিয়ে এদের প্রতিহত করা হবে। ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার আহমেদ মোল্লার সভাপতিত্বে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন সন্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আকতার হোসেন, মহানগর সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সি এম আনোয়ার হোসেন, জহির উদ্দিন বাবুসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে বিকেলে আমিনুল হক ভাটারা থানার ৪০ ও খিলক্ষেত থানার ১৭ নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। ৪০ নং ওয়ার্ডের ইফতারে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া,ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী এম এস ফজলুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা যুগ্ম আহবায়ক সি এম আনোয়ার হোসেন, জহির উদ্দিন বাবু, মাহফুজুর রহমান সজীব, অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ মজনু দর্জি, সঞ্চালনায় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসির।এছাড়াও মহানগর উত্তর ছাএদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন সহ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত : পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ 

আবু সায়েম:
 কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বারের সার্বিক  দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মিজানুর রহমান বিপিএম এবং কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর তত্ত্বাবধানে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে  পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত করা ২ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৩ মার্চ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ছিনতাইকারী সাইফুল ইসলাম (৪৫) কে অভিযান চালিয়ে বড় বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া একই দিন রাত ১১ টার দিকে আরেক ছিনতাইকারী সাপু রাখাইন (২৫) কেও শহরের ৬ নং জেটি ঘাট এলাকা থেকে  গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,১৩ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে দায়িত্বরত পুলিশ। এসময় ছিনতাইকারীরা কর্তব্যরত পুলিশ সস্যদের   ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে উপ- পরিদর্শক আব্দু সাত্তার ও কনস্টেবল এনামুল হক গুরুতর আহত হন।
এদিকে আঘাত গুরুতর হওয়ায়  আহত  পুলিশ সদস্য এনামুল হককে  আশংকা জনক অবস্থায়  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে । কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর ( অপারেশন) এসএম শাকিল হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই উইলিয়াম  ত্রিপুরা,বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ মার্চ-২৪ /মওম