আমিনুল হকের উপস্থিতিতে পল্লবীতে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা
১৫ বছরের অবৈধভাবে জবরদখলকৃত ৮ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার
চট্টগ্রামে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপিত
নান্দাইল পুলিশের অভিযানে এনামুল হক হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
সোনারগাঁয়ে একই রাতে পাশাপাশি দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
রোজা রাখলে কী ঘটে আপনার শরীরে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান রোজা রাখেন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে। কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে। ইউরোপের কোন কোন দেশে কুড়ি ঘণ্টাও রোজা রাখতে হচ্ছে।
প্রথম কয়েকদিন কষ্টকর:
শেষবার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না। আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ, সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে, তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। যেহেতু রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা কমে যায়, সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবং ঝিমুনির ভাব আসতে পারে। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ সময়টাতে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে।
৩ হতে ৭ রোজা: প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে। কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় যেহেতু আপনি কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না, তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। নইলে আপনি মারাত্মক পানি-শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি। একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন বা আমিষ, লবণ এবং পানি থাকবে।৮ হতে ১৫ রোজা: এই পর্যায়ে এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালো লাগছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের ‘অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের’ কনসালট্যান্ট ড. রাজিন মাহরুফ বলেন, এর অন্যান্য সুফলও আছে।”সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমত করতে পারে না, যেমন ধরুণ শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে।” “কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোস থাকছি, তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। কাজেই রোজা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।”
১৬ হতে ৩০ রোজা: রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং দেহত্বক এখন এক ধরণের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন শুদ্ধ হয়ে উঠবে। “এসময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে। আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগের উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন”, বলছেন ড. মাহরুফ। “শরীরের শক্তি জোগানোর জন্য আপনার আমিষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। যখন আপনার শরীর ‘ক্ষুধার্ত’ থাকছে তখন এটি শক্তির জন্য দেহের মাংসপেশীকে ব্যবহার করছে। এবং এটি ঘটে যখন একটানা বহুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি উপোস থাকছেন বা রোজা রাখছেন।” “যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।”

তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
ড. মাহরুফ বলেন, অবশ্যই, তবে একটা ব্যাপার আছে। “রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো, কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। একমাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না। “শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা কোন উপায় হতে পারে না। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশীর ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।” ড. মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে, রমজান মাসের পর মাঝে মধ্যে অন্যধরণের উপোস করা যেতে পারে। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।
সূত্র : বিবিসি
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম
ম্যাচ হারে অপেক্ষা বাড়লো বাংলাদেশের
ক্রীড়া ডেস্ক:
আক্ষেপ নিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ ছাড়তে হলো। তাওহীদ হৃদয়ের এমন দুর্দান্ত ইনিংসের পর শুরুতেই লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে পেসাররা আশা জাগিয়েছিলেন। শেষটা জমিয়ে দিলেও সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেল! দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ বল আগে ৩ উইকেটে লঙ্কানদের এই জয় বাংলদেশকে অপেক্ষাতেও রাখলো। এখন সিরিজের শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ওই ম্যাচে যারা জিতবে, তাদের ঘরেই যাবে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্যটা খুব সহজ ছিল না। ৪৩ রানে তিন উইকেট তুলে দারুণ সূচনাও পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কা ও পাথুম নিসাঙ্কা মিলে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটি এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাদের ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়েই শ্রীলঙ্কা পৌঁছে যায় ২২৮ রানে। এমন ম্যাচে হতাশার ফিল্ডিংও দায়ী বলতে হবে। জমে যাওয়া আসালাঙ্কা ৬ রানেই ফিরে যেতে পারতেন! কিন্তু লিটনের পিচ্ছিল হাত তার ক্যাচ নিতে পারেনি। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল আসালাঙ্কা দূর থেকেই খেলেছিলেন। যা ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে। কিছুটা কঠিন হলেও সেই ক্যাচটি লিটন নিতে পারেননি। আর জীবন পেয়ে আসালাঙ্কা উপহার দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৯১ রানের ইনিংস। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন পাথুম নিসাঙ্কা। লঙ্কান এই ওপেনার পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৭৩ রানে জীবন পেয়েছিলেন লঙ্কান এই ওপেনারও। পরে সুযোগটা বেশ ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়তেও অবদান রাখেন তিনি। ১৯৯০ সালে আরভিন্দ ডি সিলভা ও আর্জুনা রানাতুঙ্গার ১৩৯ রানের জুটি ছিল এতদিন চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। রেকর্ড জুটি গড়া নিসাঙ্কা ১১৩ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। এরপর সঙ্গীকে হারিয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকা আসালাঙ্কাও সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। তাকে ফিরিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটে শততম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাসকিন। ৬ রানে জীবন পাওয়া আসালাঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন। দুই সেট ব্যাটারকে ফেরাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। লিয়ানাগেকে তানজিম হাসান আউট করলে লঙ্কানদের বিপদ বাড়ে আরও। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুনিথ ভেল্লালাগে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। জয় থেকে দুই রান দূরে থাকতে হাসারাঙ্গা ১৬ বলে ২৫ রান করে আউট হলেও ভেল্লালাগে অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। তাদের ব্যাটেই শ্রীলঙ্কা ১৭ বল আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছিল শিশির! প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আগের ম্যাচে লঙ্কানরা ভুগেছে, আজ ভুগেছে বাংলাদেশ। তারপরও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সুযোগ তৈরি করেছিল। ফিল্ডাররা সুযোগগুলো নিতে পারলে ম্যাচটি জেতা সম্ভব হতো। শরিফুল ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ, তাইজুল ও জুনিয়র সাকিব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে ফিরিছেন লিটন। ২য় ম্যাচে রান করতে পারেননি তিনি। রানে ফিরতে মরিয়া হয়ে থাকা লিটন ম্যাচ শুরুর আগে প্রেসবক্স প্রান্তের নেটে বেশ খানিকক্ষণ অনুশীলন করেছিলেন। তার পরেও ভাগ্য বদলালো না। প্রথম ওভারেই রানের খাতা না খুলে আউট হন তিনি। তার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অস্বস্তিতেও পড়ে যায়। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকার মিলে প্রতিরোধ গড়েছেন। তাদের ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শান্ত দুইবার জীবন পেয়ে খেলেছেন ৪০ রানের ইনিংস। ৩৯ বলে ৬ চারে শান্ত তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। শান্তর আউটের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সৌম্য। তবে ৫৪ বলে ৫৫ রানের জুটির পর হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তার আগে অবশ্য দ্রুততম দুই হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। সৌম্য ৬৪ ইনিংসে এই ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার এত কম ইনিংসে ২ হাজার রান করতে পারেননি। পরে ৬৬ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি আউট হয়েছেন। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগ স্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট-বলের সংযোগ না হওয়ায় রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হয় তাকে। পরে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে তাওহীদ হৃদয় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি হতেই হাসারাঙ্গার বলে কাটা পড়েন মুশফিক। অথচ আগের ম্যাচে লঙ্কান এই লেগস্পিনারকে সুযোগই দেননি তিনি। আজ ৮ রানে জীবন পাওয়ার পর ২৫ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তাওহীদ তখনও এক প্রান্ত আগলে খেলে গেছেন। প্রথমে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ বলে ১৬ এবং তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন। এই জুটিতে রান কিছুটা কম হওয়ায় চাপ বেড়ে যায় তাওহীদের ওপর। তবে তাসকিনকে নিয়ে তার ২৩ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটাই দলের স্কোরকে ২৮৬ রানে নিয়ে গেছে। তাসকিন ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। তাওহীদ অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ১০২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম
কালীগঞ্জে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে : আমিনুল হক
মোঃ জাকির হোসেন
১৫ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৪ ইং। পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে এক গভীর অন্ধকার নেমে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। লাগামহীন জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে গভীর অন্ধকার। আজ ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার ) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনীর পাতিরায় ঢাকা মহানগর উত্তর ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এটা বিএনপির সমস্যা নয়, দেশের জাতীয় সমস্যা, জনগণের সমস্যা। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মানুষ খুব সহসাই রাস্তায় নেমে আসবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার না ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামীলীগ একটা অনির্বাচিত সরকার, এরা বিনা ভোটের সরকার। এরা প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। ইনশাআল্লাহ জনগনকে সাথে নিয়ে এদের প্রতিহত করা হবে। ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার আহমেদ মোল্লার সভাপতিত্বে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন সন্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আকতার হোসেন, মহানগর সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সি এম আনোয়ার হোসেন, জহির উদ্দিন বাবুসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে বিকেলে আমিনুল হক ভাটারা থানার ৪০ ও খিলক্ষেত থানার ১৭ নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। ৪০ নং ওয়ার্ডের ইফতারে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া,ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী এম এস ফজলুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা যুগ্ম আহবায়ক সি এম আনোয়ার হোসেন, জহির উদ্দিন বাবু, মাহফুজুর রহমান সজীব, অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ মজনু দর্জি, সঞ্চালনায় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসির।এছাড়াও মহানগর উত্তর ছাএদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন সহ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি