আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 446

রোজা রাখলে কী ঘটে আপনার শরীরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান রোজা রাখেন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে। কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে। ইউরোপের কোন কোন দেশে কুড়ি ঘণ্টাও রোজা রাখতে হচ্ছে।

প্রথম কয়েকদিন কষ্টকর:

শেষবার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না। আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ, সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে, তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। যেহেতু রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা কমে যায়, সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবং ঝিমুনির ভাব আসতে পারে। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ সময়টাতে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে।

৩ হতে ৭ রোজা: প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে। কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় যেহেতু আপনি কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না, তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। নইলে আপনি মারাত্মক পানি-শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি। একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন বা আমিষ, লবণ এবং পানি থাকবে।৮ হতে ১৫ রোজা: এই পর্যায়ে এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালো লাগছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের ‘অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের’ কনসালট্যান্ট ড. রাজিন মাহরুফ বলেন, এর অন্যান্য সুফলও আছে।”সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমত করতে পারে না, যেমন ধরুণ শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে।” “কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোস থাকছি, তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। কাজেই রোজা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।”

সব ধরণের খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়

১৬ হতে ৩০ রোজা: রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং দেহত্বক এখন এক ধরণের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন শুদ্ধ হয়ে উঠবে। “এসময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে। আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগের উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন”, বলছেন ড. মাহরুফ। “শরীরের শক্তি জোগানোর জন্য আপনার আমিষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। যখন আপনার শরীর ‘ক্ষুধার্ত’ থাকছে তখন এটি শক্তির জন্য দেহের মাংসপেশীকে ব্যবহার করছে। এবং এটি ঘটে যখন একটানা বহুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি উপোস থাকছেন বা রোজা রাখছেন।” “যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।”

ড: রাজেন মাহরুফ

তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
ড. মাহরুফ বলেন, অবশ্যই, তবে একটা ব্যাপার আছে। “রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো, কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। একমাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না। “শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা কোন উপায় হতে পারে না। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশীর ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।” ড. মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে, রমজান মাসের পর মাঝে মধ্যে অন্যধরণের উপোস করা যেতে পারে। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।

সূত্র : বিবিসি

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

ম্যাচ হারে অপেক্ষা বাড়লো বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক:

আক্ষেপ নিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ ছাড়তে হলো। তাওহীদ হৃদয়ের এমন দুর্দান্ত ইনিংসের পর শুরুতেই লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে পেসাররা আশা জাগিয়েছিলেন। শেষটা জমিয়ে দিলেও সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেল! দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ বল আগে ৩ উইকেটে লঙ্কানদের এই জয় বাংলদেশকে অপেক্ষাতেও রাখলো। এখন সিরিজের শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ওই ম্যাচে যারা জিতবে, তাদের ঘরেই যাবে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্যটা খুব সহজ ছিল না। ৪৩ রানে তিন উইকেট তুলে দারুণ সূচনাও পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কা ও পাথুম নিসাঙ্কা মিলে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটি এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাদের ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়েই শ্রীলঙ্কা পৌঁছে যায় ২২৮ রানে। এমন ম্যাচে হতাশার ফিল্ডিংও দায়ী বলতে হবে। জমে যাওয়া আসালাঙ্কা ৬ রানেই ফিরে যেতে পারতেন! কিন্তু লিটনের পিচ্ছিল হাত তার ক্যাচ নিতে পারেনি। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল আসালাঙ্কা দূর থেকেই খেলেছিলেন। যা ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে। কিছুটা কঠিন হলেও সেই ক্যাচটি লিটন নিতে পারেননি। আর জীবন পেয়ে আসালাঙ্কা উপহার দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৯১ রানের ইনিংস। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন পাথুম নিসাঙ্কা। লঙ্কান এই ওপেনার পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৭৩ রানে জীবন পেয়েছিলেন লঙ্কান এই ওপেনারও। পরে সুযোগটা বেশ ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়তেও অবদান রাখেন তিনি। ১৯৯০ সালে আরভিন্দ ডি সিলভা ও আর্জুনা রানাতুঙ্গার ১৩৯ রানের জুটি ছিল এতদিন চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। রেকর্ড জুটি গড়া নিসাঙ্কা ১১৩ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। এরপর সঙ্গীকে হারিয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকা আসালাঙ্কাও সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। তাকে ফিরিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটে শততম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাসকিন। ৬ রানে জীবন পাওয়া আসালাঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন। দুই সেট ব্যাটারকে ফেরাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। লিয়ানাগেকে তানজিম হাসান আউট করলে লঙ্কানদের বিপদ বাড়ে আরও। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুনিথ ভেল্লালাগে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। জয় থেকে দুই রান দূরে থাকতে হাসারাঙ্গা ১৬ বলে ২৫ রান করে আউট হলেও ভেল্লালাগে অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। তাদের ব্যাটেই শ্রীলঙ্কা ১৭ বল আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছিল শিশির!  প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আগের ম্যাচে লঙ্কানরা ভুগেছে, আজ ভুগেছে বাংলাদেশ। তারপরও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সুযোগ তৈরি করেছিল। ফিল্ডাররা সুযোগগুলো নিতে পারলে ম্যাচটি জেতা সম্ভব হতো। শরিফুল ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ, তাইজুল ও জুনিয়র সাকিব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে ফিরিছেন লিটন। ২য় ম্যাচে  রান করতে পারেননি তিনি। রানে ফিরতে মরিয়া হয়ে থাকা লিটন ম্যাচ শুরুর আগে প্রেসবক্স প্রান্তের নেটে বেশ খানিকক্ষণ অনুশীলন করেছিলেন। তার পরেও ভাগ্য বদলালো না। প্রথম ওভারেই রানের খাতা না খুলে আউট হন তিনি। তার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অস্বস্তিতেও পড়ে যায়। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকার মিলে প্রতিরোধ গড়েছেন। তাদের ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শান্ত দুইবার জীবন পেয়ে খেলেছেন ৪০ রানের ইনিংস। ৩৯ বলে ৬ চারে শান্ত তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। শান্তর আউটের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সৌম্য। তবে ৫৪ বলে ৫৫ রানের জুটির পর হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তার আগে অবশ্য দ্রুততম দুই হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। সৌম্য ৬৪ ইনিংসে এই ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটার এত কম ইনিংসে ২ হাজার রান করতে পারেননি। পরে ৬৬ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি আউট হয়েছেন। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগ স্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট-বলের সংযোগ না হওয়ায় রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হয় তাকে। পরে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে তাওহীদ হৃদয় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি হতেই হাসারাঙ্গার বলে কাটা পড়েন মুশফিক। অথচ আগের ম্যাচে লঙ্কান এই লেগস্পিনারকে সুযোগই দেননি তিনি। আজ ৮ রানে জীবন পাওয়ার পর ২৫ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তাওহীদ তখনও এক প্রান্ত আগলে খেলে গেছেন। প্রথমে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ বলে ১৬ এবং তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৬২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন। এই জুটিতে রান কিছুটা কম হওয়ায় চাপ বেড়ে যায় তাওহীদের ওপর। তবে তাসকিনকে নিয়ে তার ২৩ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটাই দলের স্কোরকে ২৮৬ রানে নিয়ে গেছে। তাসকিন ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। তাওহীদ অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ১০২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ মার্চ-২৪ /মওম

কালীগঞ্জে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ 

মতিয়ার রহমান
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার কালীগঞ্জে পৌর এলাকায় ঝিনাইদহ সদরের ছয়জন  টিসিবি’র ডিলার শহরের ভূষণ হাই স্কুল রোডে পণ্য বিক্রি করেন। এসব ডিলারদের মধ্যে “মেসার্স আফজাল হোসেন” নামক ডিলারের পণ্য বিক্রিতে দিনভর ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন কার্ডধারী উপকারভোগীরা। টিসিবির পারিবারিক পরিচিতি কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে ফেরত গেছেন  বলে জানা যায়। আবার কার্ড নেই এমন অনেকে একাধিক প্যাকেজের( প্রতি প্যাকেজে  রয়েছে মসুর ডাল ২কেজি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাউল ও ১ কেজি ছোলা) পণ্য ক্রয় করে বস্তা ভরে বাড়ি নিয়ে যান।প্রতিটি পণ্য আলাদা প্যাকেটজাত করে বিক্রির নিয়ম থাকলেও এই ডিলার চাউল প্যাকেট করা ছাড়াই বিক্রি করেন। ডিলারের সুষ্ঠু বিক্রয় ব্যবস্থাপনার অভাবে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য কিনতে আসা উপকারভোগীদের মধ্যেও দফায় দফায় হট্টগোল করতে দেখা যায়। সরেজমিনে ঐদিন বিকেল ৬ টায় যেয়ে দেখা যায়, অন্যান্য ডিলারদের মাল বিক্রি সম্পন্ন হলেও এই ডিলার এখনো তার নির্ধারিত  ৮৮১ ফ্যামিলি কার্ডের মাল বিক্রি সম্পন্ন করতে পারেননি। অথচ ততক্ষণে অন্যান্য ৫ জন ডিলার তাদের নির্ধারিত পণ্য বিক্রি শেষ করেছেন। আর মেসার্স আফজাল হোসেন নামক ডিলারের পণ্য বিক্রির ঘরের সামনে তখনও প্রায় ২ শত লোক দাড়িয়ে অপেক্ষায়। বিক্রি কার্যক্রম করা হচ্ছিল খুব ধীর গতিতে। ভিড় ঠেলে ডিলারের ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায়, ১৮ কাটুন সয়াবিন তেল(প্রতি কার্টুনের ১৮ লিটার তেল),১১ বস্তা মসুর ডাল (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি), ৪২ বস্তা চাউল (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) এবং কয়েক বস্তা ছোলা রয়েছে।এই ডিলারের ট্যাগ কর্মকর্তাকেও সে সময় খুঁজে পাওয়া যায়নি।আবার ডিলার মোঃ আফজাল হোসেনও পণ্য বিক্রির সময়ও উপস্থিত ছিলেন না।
টিসিবির পারিবারিক পরিচিতির ১৭৫৫ নম্বর কার্ডধারী রিকশাচালক নওয়াব আলী এই প্রতিবেদককে জানান, কার্ড থেকেও মাল পাচ্ছি না। অনেকের কার্ড নেই অথচ তাদের কাছে বস্তা বস্তা মাল বিক্রি করে দিচ্ছে ডিলার। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে তাই দাঁড়িয়ে না থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছি। আজ আর মাল কেনা হলো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক উপকারভোগী বলেন, “মেসার্স আফজাল হোসেন” নামক ডিলার স্থানীয় লোকজনের চাপে রাত ১০ টা ১৫ মিনিট  পর্যন্ত মাল বিক্রি করতে বাধ্য নন। এ সময় যারা মাল ক্রয় করেছেন তাদের কাররই  ফ্যামিলি কার্ড ছিল না। এরপরও চলে যাওয়ার সময় সিএনজিতে করে সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ৮ বস্তা টিসিবির চাউল নিয়ে যান ডিলারের লোকজন। অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে টিসিবির ডিলার মেসার্স আফজাল হোসেন এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আফজাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করছেন কেন? আমার লোকজন ঠিকমতো মাল দিয়েছে।কোনো মাল নিয়ে আসা হয়নি। আপনার তথ্যে ভুল আছে বলে সংযোগটি তিনি কেটে দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানকে মুঠোফোনে টিসিবির পণ্য বিক্রির অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ওই ডিলারের প্রতিনিধির সাথে মুঠোফোনে কথা বলে নির্দেশনা প্রদান করেন।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে : আমিনুল হক

মোঃ জাকির হোসেন

১৫ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৪ ইং। পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে এক গভীর অন্ধকার নেমে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, পন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। লাগামহীন জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে গভীর অন্ধকার। আজ ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার ) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনীর পাতিরায় ঢাকা মহানগর উত্তর ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এটা বিএনপির সমস্যা নয়, দেশের জাতীয় সমস্যা, জনগণের সমস্যা। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মানুষ খুব সহসাই রাস্তায় নেমে আসবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার না ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামীলীগ একটা অনির্বাচিত সরকার, এরা বিনা ভোটের সরকার। এরা প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। ইনশাআল্লাহ জনগনকে সাথে নিয়ে এদের প্রতিহত করা হবে। ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার আহমেদ মোল্লার সভাপতিত্বে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন সন্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আকতার হোসেন, মহানগর সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সি এম আনোয়ার হোসেন, জহির উদ্দিন বাবুসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে বিকেলে আমিনুল হক ভাটারা থানার ৪০ ও খিলক্ষেত থানার ১৭ নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। ৪০ নং ওয়ার্ডের ইফতারে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া,ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী এম এস ফজলুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা যুগ্ম আহবায়ক সি এম আনোয়ার হোসেন, জহির উদ্দিন বাবু, মাহফুজুর রহমান সজীব, অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ মজনু দর্জি, সঞ্চালনায় ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসির।এছাড়াও মহানগর উত্তর ছাএদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন সহ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত : পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ 

আবু সায়েম:
 কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বারের সার্বিক  দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মিজানুর রহমান বিপিএম এবং কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর তত্ত্বাবধানে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে  পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত করা ২ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৩ মার্চ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ছিনতাইকারী সাইফুল ইসলাম (৪৫) কে অভিযান চালিয়ে বড় বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া একই দিন রাত ১১ টার দিকে আরেক ছিনতাইকারী সাপু রাখাইন (২৫) কেও শহরের ৬ নং জেটি ঘাট এলাকা থেকে  গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,১৩ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে দায়িত্বরত পুলিশ। এসময় ছিনতাইকারীরা কর্তব্যরত পুলিশ সস্যদের   ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে উপ- পরিদর্শক আব্দু সাত্তার ও কনস্টেবল এনামুল হক গুরুতর আহত হন।
এদিকে আঘাত গুরুতর হওয়ায়  আহত  পুলিশ সদস্য এনামুল হককে  আশংকা জনক অবস্থায়  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে । কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর ( অপারেশন) এসএম শাকিল হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই উইলিয়াম  ত্রিপুরা,বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ মার্চ-২৪ /মওম

নেত্রকোণায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত 

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।”স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা ব্যাবহার করি” এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে  এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যাবসায়ী, সংবাদিক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র  রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে দাবী জানান ভোক্তারা।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ মার্চ-২৪ /মওম

গাইবান্ধায় বিশেষ অভিযানে পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ ৩ জন গ্রেফতার

রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন, পিপিএম  দিক নির্দেশনা মোতাবেক জেলা গোয়েন্দা শাখা,(ডিবি) গাইবান্ধা কর্তৃক অপরাধ রোধকল্পে নিয়মিত অভিযানে গত ১৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ ০৪.২৫ ঘটিকায় গাইবান্ধা সদর থানাধীন ১০ নং ঘাগোয়া ইউপির ০৪ নং ওয়ার্ড ঘাগোয়া সরকারপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন জাফরুল (৪০), পিতা-মোঃ আব্দুল জব্বার, সাং-উত্তর ঘাগোয়া সরকারপাড়া  আসামিদের জবানবন্দী মোতাবেক দড়জা জানালা বিহীন নির্মানাধীন বিল্ডিং যেখানে কেউ বসবাস করে না সেই বিল্ডিং এর পশ্চিম দুয়ারি উত্তরের ফাঁকা কক্ষের উত্তর পার্শ্বের মেঝের বালুর নিচে থেকে  একটি প্লাস্টিকের বয়ামের মধ্যে রক্ষিত সাদা পলিথিন দ্বারা মোড়ানো কালো রংয়ের একটি দেশীয় তৈরী এক নলা বিশিষ্ট ওয়ান সুটার গান ও ০২(দুই) রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এবং আসামি মোঃ আসাদুজ্জামান হিরু এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার সহিত জড়িত অপর আসামি মোঃ মোজাম্মেল (৫২) ও মোঃ খোকা মিয়া (৬০)কে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানার নিয়মিত মামলা নং-১২, গত ১৪/০৩/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ১৮৭৮ সালের আর্মস এ্যাক্ট (সংশোধনী-/২০০২) এর 19-A রুজু করা হয়েছে। মোঃ আসাদুজ্জামান ও হিরু (৫৫), পিতাঃ মৃত নুরনবী, সাং- উত্তর ঘাগোয়া সরকারপাড়া, মোঃ মোজাম্মেল (৫২), পিতা-মৃত আসমত ব্যাপারী, সাং দারিয়াপুর, মোঃ খোকা মিয়া (৬০), পিতা-মৃত কছিমুদ্দিন, সাং-উত্তর ঘাগোয়া সরকারপাড়া, সকলের থানা ও জেলা-গাইবান্ধা। জেলার  পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন, পিপিএম, মোঃ ইবনে মিজান (প্রশাসন ও অর্থ) পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল), জনাব ধ্রুব জ্যোতিময় গোপ, বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল), জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমান সরকার পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ পরির্দশক (নিঃ) মোঃ বদরুজ্জামান মোল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ মার্চ-২৪ /মওম

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন নাসরিন

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৯ এপ্রিল। সেটা পিছিয়ে ২৭ এপ্রিল করা হয়েছে। এ মধ্য জানা গেছে, ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে একটি মিশা সওদাগর- ডিপজল প্যানেল, অন্যটি নিপুণ আক্তার প্যানেল। এর বাইরে এবারের নির্বাচেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন আলোচিত অভিনেত্রী নাসরিন।  ১৩ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির অফিসে আলাপকালে এ কথা জানান নাসরিন নিজেই। নাসরিন বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করছি এবং কার্যকরী পরিষদে আমি থাকতে চাই। আমি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী। আগেও আমি নির্বাচন করেছি এবং জয়লাভ করেছি। ’চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রধান কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন এ জে রানা ও মোহাম্মদ নিশাদ। আপিল বিভাগের প্রধান হিসেবে থাকবেন শামসুল আলম। তিন সদস্যের এই বোর্ডে আরও রয়েছেন ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু এবং নির্মাতা সেলিম আজম।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ মার্চ-২৪ /মওম

এবার সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক:

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে দুই দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে টাইগারদের। এই সিরিজ জিতলে লঙ্কানদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে টাইগাররা। এর আগে ২০২১ সালে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে  জিতেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেসেখেলেই জিতেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৬ উইকেটের ব্যবধানের সেই জয়ে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খেলে বড় অবদান রেখেছিলেন অধিনায়ক। তার আগে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বিশেষ করে তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম সাকিব ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর শান্ত বলেছিলেন, ‘আমরা জানতাম, নতুন বলে খেলা বেশ কঠিন। এ ক্ষেত্রে আমি আমার দক্ষতা কাজে লাগিয়েছি এবং কিছুটা সময় নিয়েছি। পরে শিশিরের কারণে উইকেট সহজ হয়ে গিয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শুরুটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এরপর মুশফিক ভাই তার অভিজ্ঞতা মেলে ধরেছে। আমরা সবাই জানি তার সামর্থ্য কেমন। আশা করি সে তার ফর্ম ধরে রাখবে।’ প্রথম ম্যাচ শেষেই পেসার তাসকিন জানিয়েছিলেন সিরিজ জয়ের ব্যাপারে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা। তাসকিন বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক আশাবাদী সিরিজ জয়ের ব্যাপারে। ম্যাচ বাই ম্যাচ যেতে হবে। এখন এটা তো জিতে গেলাম। আরও দুটা ম্যাচ আছে; পরের ম্যাচটাই মূল লক্ষ্য। তো এটা যদি জিততে পারি, তখন হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য থাকবে। পরের ম্যাচটাতে মূল ফোকাস থাকবে এবং আমার বিশ্বাস ইনশাল্লাহ আমরা সিরিজ জিতব।’ সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৫ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতে জয় ও ৪২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে  সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে ওয়ানডে ফরম্যাটে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের আধিপত্যেরই প্রমাণ মেলে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ মার্চ-২৪ /মওম

কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন 

সবুজ সরকার:

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। ১৩ মার্চ বুধবার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের  দীর্ঘ প্রায় ২০ মাস পর এ কমিটির অনুমোদন দেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজহারুল ইসলাম তালুকদার কে সভাপতি ও আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মোল্লা কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আনোয়ার হোসেন মোল্লা এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। কমিটির অন্যরা হলেন- সহ- সভাপতি এম মালেক ভূইয়া, মো.  আনছার আলী,  মো. আখতারুজ্জামান, মোহাম্মদ নূর-এ- আলম সিদ্দিকী,  বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আজিজুর রহমান তোতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ তোতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম মিয়া, এবি এম নুরুল আলম খসুরু, মো. মাসুদ তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক – মো. নুরুন্নবী সরকার, মো. আসলাম সিদ্দিকী ভূট্টু, মো. শরীফ আহমেদ রাজু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের, তথ্য গবেষণা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান রুবেল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ মোল্লা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিনজু, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল হক বাবুল,  বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল,  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রায়হান তালুকদার,  মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাম্মৎ ফাতেমা খাতুন বৃষ্টি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মিজানুর রহমান মজনু,   যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অজয় কুমার দে লিটন,  শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ  নাজমুল করিম,  শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান সিদ্দিকী স্বপন,  সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়া,  স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুন্নবী সিদ্দিকী ,  সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রামানিক,   মনিরুজ্জামান মনির,  খন্দকার আব্দুল মাতিন,  সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান সরকার,  সহ-প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান তুহিন,  কোষাধ্যক্ষ্ আরিফুজ্জামান খান জাহিদ ।

সদস্যরা হলেন- মোঃ হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী,  আবু নাসের, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোঃ হায়দার আলী মাস্টার,  শাহাদাত হোসেন মকবুল চৌধুরী,  লিয়াকত আলী তালুকদার,  রাশেদুর রহমান বাবু,  আবুল ফজল,  আবু মুহাম্মদ জিন্নাহ, হাসানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জু, বাবুল ঘোষ, এডভোকেট আলম মিয়া,  মোঃ আব্দুল আজিজ মন্ড,  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার,  রিনা পারভিন,  বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশাররফ হোসেন মুসা ,  ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাইয়ুম বিপ্লব , মোঃ নুরুল ইসলাম ,  আব্দুল হাই আকন্দ ( ছোট হাই)  আরিফুল ইসলাম,  খাইরুল ইসলাম খায়ের, মোফাখখারুল ইসলাম,  আরিফুল ইসলাম লিটন,  সুকুমার ঘোষ, মোঃ জিন্না মিয়া, এস এম কামরুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম শফি,  সেলিম মিয়া,  মশিউর রহমান সিদ্দিকী তুহিন ,  শামসুল আলম,  রিফাত তালুকদার,  রায়হান খান রুনু, সুধীর কুমার দত্ত,  আল মামুন,  মির্জা হেলাল।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ মার্চ-২৪ /মওম