আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 465

নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচনে আঃলীগের সমর্থন প্রত্যাশী কামাল উদ্দিন 

একেএম ফারুক হোসেন :
সারাদেশে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সে রোডম্যাপ এবং অনুযায়ী তৃতীয়  ধাপে ১৮মে নোয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আঃলীগের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হতে আগ্রহী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য,বাস- মালিক  পরিবহন শ্রমিক নেতা, জেলা আঃলীগের সাবেক কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকা লম্বা হলেও জনসমর্থনের ভিত্তি বিবেচনায় নিলে কামাল উদ্দিনের বিকল্প নেই। তৃতীয়  ধাপে নোয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাচনে সময় থাকলেও আগ্রহী প্রার্থীদের দৌঁড় ঝাপে জমে ওঠেছে নির্বাচনের আমেজ। দেখা যায়, জেলা আঃলীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতাদের অফিসে বাসায় ভীড় করছেন আগ্রহী প্রার্থীরা। আসন্ন সদর উপজেলার নির্বাচনে নিজেকে আঃলীগের সমর্থনের প্রত্যাশী প্রার্থী ঘোষণা করেন কামাল উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের জানান,রাজনীতি যদি হয় মানুষের কল্যাণে তাহলে রাজনীতিতে আমার অবদান জেলা আঃলীগের নেতৃত্ব বিবেচনা করলে আমিই সমর্থন পাওয়ার আশা করছি। বিগত বছরগুলোতে যখন যেখানে যেমন যেভাবে দলের ও মানুষের প্রয়োজনে রাতদিন নিজেকে নিয়োজিত রেখে সেবা দিয়েছি, সেটা আপনারা জানেন।তবে তিনি এও বলেন,জেলা আঃলীগের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অতীতেও রাজনীতি করেছি ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ করে যাবো।উল্লেখ্য বাংলাদেশ আঃলীগ এবারের উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকছে  না  বলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে এলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে এবারের উপজেলা নির্বাচন উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। জেলা আঃলীগের সূত্র জানায়, এবার নোয়াখালীর উপজেলার নির্বাচনগুলোতে কর্মীবান্ধব ও জনগণের সাথে সম্পর্কযুক্ত নেতাদেরই সমর্থন জানানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে সেভাবে গ্রীণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। নিশ্চয়ই আঃলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে কামালের সমর্থনে তার অনুসারীরা একজোট। তাদের দাবী উপজেলার দলীয় সিদ্ধান্ত  কামালকে দিলে তাহলে নির্বাচনে শতভাগ সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে সদর উপজেলা উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। তাঁর সমর্থকরা অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

দূষিত বাতাসের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা

আলোকিত ডেস্ক:

ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার আপডেটে ২৩৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।  সকাল ৮টার আপডেটে ২৩৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা। গত ছয় দিন সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল। ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল যথাক্রমে ২৬৩, ২৫৭, ২৮৬, ২৩২, ২৮৮ ও ২৬৬।একিউআই স্কোরে ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০-২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১-৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

সন্তানের গায়ে পেট্রোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

মো: মিজানুর রহমান খান (কুদরত)/মো: মহিদ:

মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া গ্রামে সন্তানের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মহিন (৪০) নামে এক পিতার বিরুদ্ধে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মহিনের স্ত্রী সংসারে অভাব অনটনের কারণে গত ১ বছর পূর্বে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যায়। মহিন তার একমাত্র পুত্রকে নিয়ে ভাড়ারিয়া গ্রামে বসবাস করতেন। তার পুত্র তুহিন (৯) ভাড়ারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। মহিনের স্ত্রী সৌদি গিয়ে অন্য এক প্রবাসীর সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকেই শুরু হয় তাদের সংসার জীবনের কোলাহল। এরপর থেকেই তার স্ত্রী সংসারে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আস্তে আস্তে স্বামী এবং স্ত্রীর দন্ডের বলি হতে থকে পুত্র তুহিন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া কারনে মাঝে মধ্যেই তুহিনকে বেধারক মারপিট করত। এরই জের ধরে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৯টায় স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে প্রস্তুতি নেয়ার সময় তুহিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মহিন। শিশু তুহিন দৌড়ে প্রতেবেশী লিপি আক্তারের বাড়ির উঠানে গেলে লিপি আক্তার নলকূপের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দীর্ঘক্ষন চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও তুহিনের মুখমন্ডলসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। স্থানীয়রা মহিনকে আটক করে একটি চাপাতি উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর থানাকে বিষয়টি অবগত করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশু তুহিনকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল রেফার করেন। এ বিষয়ে লিপি আক্তার জানান, সারা শরীরে আগুন জ্বলতে থাকা অবস্থায় তুহিন আমার বাড়ীর উঠানে আসলে আমি তাকে পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সহায়তা করলে মহিন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন প্রকার গালিগালাজ ও আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহিন মাঝে মধ্যেই তার সন্তানকে বেধড়ক মাধরক করতো। কেও এগিয়ে গেলে তাদের উপর চড়াও হতো। সে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মাদক সেবন করতো বলে জানা যায়। তার ভয়ে প্রতিবেশীসহ এলাকার কেও কথা বলার সাহস পর্যন্ত পেত না।  সন্তানের উপর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মহিনের শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: হাবিল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি শুনেছি, তারা দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এবং আমাদের আইনগত কাজ চলমান রয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

নেত্রকোণায় মদনে কলেজছাত্রী ধর্ষণে অভিযোগে থানায় মামলা

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় এক কলেজছাত্রী ধর্ষণ অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।  ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন, মদন পৌরসভা এলাকার জাহাঙ্গীরপুর শ্যামলী রুট এলাকার মাসুদ মিয়া’র ছেলে। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। মামলার বরাত দিয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আজ বিকেলে থানায় মামলাটি দায়ের হয়। তিনি জানান, কলেজছাত্রী ও সাজন’র দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সেই প্রেক্ষিতে বিয়ের প্রলোভনে সাজন ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে পৌর এলাকার একটি গোডাউন কাম বাসায় ধর্ষণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

গোবিন্দগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের সেবা সপ্তাহ পালিত

রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন এর আয়োজনে হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় অফিস রুমে আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  পুলিশ সেবা সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মনুচীর মধ্যে লিফলেটে বিতরণ  এবং  ড্রাইভার, শ্রমিক, পথচারীদের সচেতনমুলুক আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ  হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম,শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক শিবগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।  হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন,দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে নানা কারনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ নিহত হচ্ছে। আহত হয়ে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে, পরিবারের উপর্জনশীল সদস্য কর্মক্ষমতা হারিয়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।  এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন সব সময় আপনারদের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আসুন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ মহাসড়ক তৈরীতে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ৩৩০ জনের মধ্যে প্রথম দফায় ফেরত ১৬৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মিয়ানমারের জাহাজে ১৬৫ বিজিপি, বিকালের মধ্যে বাকিদের হস্তান্তর ফেরত পাঠানো হচ্ছে বিজিপির ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিককে। যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে।তাদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম দফায় ১৬৫ জনকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় গভীর সমুদ্রে অপেক্ষায় থাকা মিয়ানমারের জাহাজে। বাকিদেরও বিকালের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। ১৬৫ বিজিপি গেল মিয়ানমারের জাহাজে, বিকালের মধ্যে বাকিদের হস্তান্তর ফেব্রুয়ারির শুরুতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পর মিয়ানমারের এই নাগরিকদের বিজিবি হেফাজতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের ঘুমধুমের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছিল। হস্তান্তরের জন্য বৃহস্পতিবার ভোরে বাসে করে তাদের উখিয়ার ইনানী উপকূলে নৌবাহিনীর জেটি ঘাটে নিয়ে আসা আনা হয়। ওই ৩৩০ জনের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাও দেওয়া হয়। তাদের ইনানীতে নিয়ে আসা হয় অ্যাম্বুলেন্সে করে।এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নউং এর নেতৃত্বে বিজিপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজে করে ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাটে আসেন। তারাই বিজিবির কাছ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের বুঝে নেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, ইনানীতে মিয়ানমারের নাগরিকদের রাখা হয় একটি অস্থায়ী তাঁবুতে। বিজিপি প্রতিনিধিরা আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত র উপস্থিতিতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিজিপি সদস্যদের নাম ধরে ডেকে, তাদের শনাক্ত করার পর সবকিছু মিলিয়ে তালিকায় স্বাক্ষর করে দুই পক্ষ। পরে তাদের জাহাজে তোলা শুরু হয়।মিয়ানমার নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে সকাল থেকে গভীর সাগরে অবস্থান করছিল। পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলীতে করে পৌঁছে দেওয়া হয় মিয়ানমারের ওই জাহাজে। ১৬৫ বিজিপি গেল মিয়ানমারের জাহাজে, বিকালের মধ্যে বাকিদের হস্তান্তর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় সঙ্গে করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে এসেছিলেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। আপাতত সেসব তাদের সঙ্গে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস ব্রাঞ্চ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সীমান্তের অবস্থা এখন অনেক ভালো। দুই দেশের পেট্রোল বেড়েছে।এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি কোস্ট গার্ড সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।বাহিনীগুলো হল- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ। তারা শান, রাখাইন, চীন ও কেয়াহ রাজ্যে লড়াই চালাচ্ছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট দখল করে ইতোমধ্যে তারা সাফল্য দেখিয়েছে।আরাকান আর্মি (এএ) এ জোটের অন্যতম অংশ। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র বাহিনী এটি। তারা রাখাইনের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে।

রাখাইনে সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের প্রভাব পড়ছে সীমান্তের এপারের জনগোষ্ঠীর মধ্যেও। যুদ্ধের গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে এপাড়ে। এরকম ঘটনায় অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েকজন। ঢাকায় মিয়ানমারের দূতকে ডেকে এসব ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয় বাংলাদেশের তরফ থেকে।এদিকে যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। পরের কয়েক দিনে তাদের সংখ্যা পৌঁছায় ৩৩০ জনে। শুরুতে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয় বান্দরবানের একটি স্কুলে। পরে তাদের একটি অংশকে সরিয়ে নেওয়া হয় টেকনাফে।এর মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।মিয়ানমারও তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়।কিছুদিন আগে ভারত যেভাবে মিয়ানমারের সৈন্যদের ফেরত পাঠিয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসনের জন্য বিজিপি সদস্যদের আকাশপথে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছিল বাংলাদেশ।
তবে ধারণক্ষমতা এবং একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে পরে মিয়ানমারের প্রস্তাবে তাদের নৌপথে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

এসএস সি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছেন না শিক্ষামন্ত্রী

আলোকিত ডেস্ক:

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এদিকে, প্রতি বছর শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে থাকেন। তবে এবার তা করবেন না শিক্ষা উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। চলতি বছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথমদিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছর শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে থাকেন। তবে এবার তা করবেন না শিক্ষা উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মন্ত্রী জানান, তিনি মনে করেন কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে পরীক্ষার্থীরা হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণায় পড়েন। একই সঙ্গে জনদুর্ভোগেরও সৃষ্টি হয়।মন্ত্রী বলেছেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এ মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে। মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত। প্রশ্নফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত একমাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কোচিং বন্ধ ছাড়াও নানা উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার কেন্দ্রে জেলা পর্যায়ের ট্রেজারি ও উপজেলা বা থানা পর্যায়ে থানা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হবে। থানা বা ট্রেজারি থেকে পুলিশ প্রহরায় প্রশ্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস বা এ সংক্রান্ত গুজব ঠেকাতে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলবে নজরদারি। এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি চালাবে। প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, দেশের ১১টি বোর্ডে চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭০০টি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৩৫টি। বোর্ডভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ৪ লাখ ৪ হাজার ৬৩৭ পরীক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডে। এছাড়া রাজশাহীতে ২ লাখ ২৪৫ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২৭, যশোরে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭১, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০, বরিশালে ৮৮ হাজার ৫৮৬, সিলেটে ১ লাখ ৯ হাজার ৪১২, দিনাজপুরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ এবং ময়মনসিংহে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৫ জন। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজর ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। আর কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬হাজার ৩৭৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন।কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মন্ত্রী জানান, তিনি মনে করেন কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে পরীক্ষার্থীরা হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণায় পড়েন। একই সঙ্গে জনদুর্ভোগেরও সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী বলেছেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এ মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে। মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।

প্রশ্নফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত একমাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কোচিং বন্ধ ছাড়াও নানা উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার কেন্দ্রে জেলা পর্যায়ের ট্রেজারি ও উপজেলা বা থানা পর্যায়ে থানা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হবে। থানা বা ট্রেজারি থেকে পুলিশ প্রহরায় প্রশ্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস বা এ সংক্রান্ত গুজব ঠেকাতে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলবে নজরদারি। এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি চালাবে। প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, দেশের ১১টি বোর্ডে চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭০০টি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৩৫টি। বোর্ডভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ৪ লাখ ৪ হাজার ৬৩৭ পরীক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডে। এছাড়া রাজশাহীতে ২ লাখ ২৪৫ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২৭, যশোরে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭১, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০, বরিশালে ৮৮ হাজার ৫৮৬, সিলেটে ১ লাখ ৯ হাজার ৪১২, দিনাজপুরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ এবং ময়মনসিংহে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৫ জন।
মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজর ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। আর কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬হাজার ৩৭৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

শিবালয়ে সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ইমরান নাজির, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ):

মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার টেপড়া বাজারের নিকট একাধিক সংস্থার নাম ও ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে সঞ্চয়-আমানতের নামে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ এফআইআরভূক্ত আলমকে (৪৪) কোর্টে চালান দিলেও অন্যরা জামিনে বেরিয়ে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ সকল সমিতির বিরুদ্ধে গ্রামের সহজ-সরল, দরিদ্র মানুষদেরকে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয়ের নামে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এ অবস্থায় সঞ্চয়ের টাকা ফেরতের জন্য ভূক্তভোগী গ্রাহকেরা দ্বারে-দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার টেপড়া গোবিন্দবাড়ী গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে আলম, খোর্দ্দ টেপড়ার বলাই দাসের ছেলে জগনাথ দাস (৪৫), ছোট কুষ্টিয়া গ্রামের কানাই শেখের ছেলে রজ্জব আলী ও শিবরামপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের যোগসাজসে গ্রামীণ উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ ও গ্রামের আলো নামে দু’টি এনজিও সংস্থার নামে লোকজনের নিকট থেকে সঞ্চয়-আমানত বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা নেয়। জমাকৃত টাকা সাত বছরে দ্বিগুণ হবে এমন শর্তে এরা অনেকের নিকট ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা নেয়। তিন বছর আগে সুদ-আসলে টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। তারা বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গ্রাহকদের তাদের টাকা ফেরৎ দিতে অসম্মতি জানিয়ে অসদাচরণ করতে থাকে।

ভূক্তভোগী চর-চারিপাড়া গ্রামের জলিল বিশ্বাসের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫) দেড় লাখ টাকা ফেরৎ পাওয়ার দাবিতে শিবালয় থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আলম হোসেনকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেয়। ৫ ফেব্রুয়ারী আলম জামিনে আসলে কয়েক দিন পর অন্যরাও জামিন পায়। শিবরামপুর গ্রামের সাহাজুদ্দিনের ছেলে শওকত হোসেন সাকিম উক্ত চার অভিযুক্তের নিকট দশ লাখ টাকা ফেরৎ না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করে। ঐ চার ব্যক্তির নিকট স্থানীয় অপর ৪২ জন প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা সঞ্চয়-আমানত বাবদ জমা দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা ফেরৎ না পেয়ে অনুরূপ আবেদন করে।
গোবিন্দবাড়ী গ্রামের ভূক্তভোগী নূরুল ইসলাম জানান, গ্রামীণ উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে তার স্ত্রী নামে একটি সঞ্চয় পত্রে ৩ বছর মেয়াদী ৩ লক্ষ টাকার সঞ্চয় পত্র করা হয়। তখন কথা ছিল তার সঞ্চয়ের টাকা প্রয়োজন হলে সাত দিন আগে জানাইলে উক্ত টাকা ফেরৎ দিয়ে দেবে। কিন্তু, এখন লভ্যাংশের টাকা তো দুরের কথা তার সঞ্চয়ের মূল টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
শ্রীবাড়ী গ্রামের মো: লিটন মিয়া জানান, ১৫ বছর আগে আমি ১০ লক্ষ টাকা জগন্নাথের মাধ্যমে জমা রাখি। গত দুই বছর যাবৎ আমার সঞ্চয়ের টাকার জন্য বহুবার গিয়েও ফেরৎ পাচ্ছি না। আমার সব সঞ্চয় এই জায়গায়। এই টাকা গুলিই জীবনের শেষ সম্বল। আমার পরিবাব নিয়ে চলতে পারিছি না। আমি এখন কি করব।
ভাকলা গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, স্ত্রী ও তার নামে দু’টি সঞ্চয় পত্রে ১০ লক্ষ টাকা জমা আছে। মেয়েকে বিয়ে দিবো বলে এই সঞ্চয় পত্রে টাকা জমা রেখে ছিলেন তিনি। মেয়ে বিয়ে দেবার সময় তিনি ঐ এনজিরও কাছে বহুবার গিয়েও তার ঐ টাকা ফেরৎ পায়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি ঋণ করে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে হয়েছে। এখন তার মেয়ের ঘরে সন্তান হলেও তার সঞ্চয়ের টাকা এখনো পাননি।
উক্ত সমিতির সভাপতি জগন্নাথ চন্দ্র দাস জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কমিটির ভিতরে গড়মিল থাকার কারণে গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ দিতে সমস্যা হচ্ছে। সময়মতো গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ না দেয়ার কারণে আমাদের বিরুদ্ধে প্রত্যারণার মামলাও হয়েছে। তবে, এ পর্যন্ত সঞ্চয়ের প্রায় তিন কোটি টাকা গ্রাহকরা পাবে বলে তিনি স্বীকার করেন।
উপজেলা সমবায় অফিসার সরস্বতী রাণী দাস জানান, উক্ত সমিতির কাগজ পত্র না দেখে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তদন্ত করা হবে। তদন্তর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন জানান, আমরা একটি অভিযাগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায় কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি একটু জটিল তাই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪- ফেব্রুয়ারি-২৪/এসএএইচ

রাজৈর তাথিকান্দি এলাকা থেকে র‍্যাবের অভিযানে দেশীয় মদসহ আটক-১ 

প্রতিনিধি,মাদারীপুর:
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায় মাদকের বিরুদ্ধে এলিট ফোর্সের চলমান সাড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে র‍্যাব-০৮, সিপিসি-০৩ মাদারীপুর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি. তারিখ ১৫.৪৫ ঘটিকায় মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন তাতীকান্দা সাকিনস্থ পুরাতন সড়ক পরিবহন শাখা অফিস,টেকেরহাটের উত্তর পার্শ্বের বস্তিতে স্থানীয় শীর্ষ দেশীয় মাদক ব্যবসায়ী এবং প্রস্তুতকারক মোঃ রবিউল ফকিরের ভাড়াকৃত বাসায় তৈরি মদ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ রবিউল ফকির (৩৭),পিতা-মৃত শুকুর আলী ফকির,সাং-তাতীকান্দা, থানা রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর’কে গ্রেফতার করে। শীর্ষ দেশীয় মদ প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল রাজৈর থানার একজন বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ টেকেরহাটে ভাড়া করা একটি বাসায় স্থানীয় মদ তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে অস্থায়ী একটি কারখানা গড়ে তোলে। আটককৃত আসামির নিকট থেকে প্রায় ৬ লিটার দেশীয় মদ এবং মদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জমাদি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও তার অস্থায়ী কারখানায় বিদেশী মদের বোতল, ঈস্ট এবং মদ প্রস্তুতের বিপুল সংখ্যক কাঁচামাল পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে উদ্ধারকৃত দেশীয় মদ ও মোবাইল সেটসহ মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় র‍্যাব কর্তৃক বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিহ্নিত এই মদ প্রস্তুতকারক এবং ব্যবসায়ীকে আটকের ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধে র‍্যাবের এজাতীয় কার্যক্রম ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে স্থানীয় জনগণ আশা ব্যক্ত করেছেন।  পরবর্তীতে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধূত আসামিকে রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়। র‍্যাব-৮ এর মাদক বিরোধী কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড সহ ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

আবু সায়েম:

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সেকেন্ড ইন কমান্ড, আরসা প্রধানের দেহ রক্ষী সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ১৫। এসময় ২ টি বিদেশী অস্ত্র, একটি দেশীয় অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে উখিয়ার ২০ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে র‌্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারস্থ র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা  হলেন, উখিয়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পের মো. নুরের ছেলে আবুল হাসিম (৩১), ১২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত আলী আহমেদের ছেলে হোসেন জোহার প্রকাশ আলী জোহার (৩২) ও ৬ নম্বর ক্যাম্পের নুর আলমের ছেলে মো. আলম প্রকাশ শায়ের মুছা (৩৫)। র‌্যাব জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার আবুল হাসিম আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড, মো. আলম আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী এবং আলী জোহার আরসার পরিবহন শাখার কমান্ডার। এদের সকলের বিরুদ্ধে হত্যা সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগীতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কয়েকজন আরসা সদস্য ২০ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দিক-বিদিক কৌশলে দ্রæত পালায়নের চেষ্টাকালে তিন আরসা সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। তিনি বলেন, আবুল হাসিম ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নে। ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসায় যোগদান করে। সে প্রথম দিকে নেট গ্রæপের সদস্য হিসেবে কাজ করতো। এরপর ২০২০-২২ পর্যন্ত বøক জিম্মাদারের দায়িত্বে ছিল। তার নেতৃত্বে ৪ নম্বর ক্যাম্প ও বর্ধিত অংশে আরসার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নতুন করে ঘাঁটি তৈরী করে। পরে আবুল হাসিম সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে আরসার নির্দেশনা মোতাবেক আরসার আধিপত্য বিস্তার জেন্য ক্যাম্পে সহিংসতা সৃষ্টি, মারামারি, প্রতিপক্ষ গ্রæপকে ক্যাম্প এলাকা থেকে বিতাড়িত করার জন্য দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা, আরসার টার্গেটকৃত মাঝি, সাধারণ রোহিঙ্গা ও বিত্তশালী রোহিঙ্গাদের হত্যা ও অপহরণসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শেষে সে আত্মগোপনে চলে যেত। আবুল হাসিম ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এরশাদ, ইমাম হোসেন ও সাব মাঝি সৈয়দ আলম হত্যা, ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আব্দুল হামিদ, মো. কাসিম ও ইউনুস হত্যা এবং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাছিম হত্যা সহ ৭ টি মামলা রয়েছে। লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হোসেন জোহার প্রকাশ আলী জোহার মিয়ানমারে থাকাকালীন আরসার সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ছিল এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে তাদের খুঁজে বের করে পুনরায় আরসায় ফেরত আনা ছিল তার মূল কাজ। ২০২০ সালের প্রথম হতে সে মৌলভী লাল মোহাম্মদ এবং মুফতি আতিক এর সহযোগী হিসেবে আরসার কাচারী বা আদালতে বিচার কাজ করতো। তখন আরসার কাচারীতে বিভিন্ন নির্যাতন ও জরিমানা আদায়ের মূল কাজটা করতো। ২০২২ সালে কোনারপাড়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকান্ডের পর আরসার কমান্ডাররা মিায়ানমারের অভ্যন্তরে চলে গেলে সে আরসার পরিবহন শাখার কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পায়। তার উখিয়া থানায় ২টি মামলা রয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, মো. আলম প্রকাশ শায়ের মুছা ২০১৬ সালে মিয়ানমার থাকতেই আরসায় যোগদান করে। সে মিয়ানমারে প্রথমে আরসার পাহারাদার হিসেবে কাজ করতো এবং পরবর্তীতে আরসা নেতাদের এক স্থান হতে অন্য স্থানে গমনাগমনের ক্ষেত্রে তার মোটর সাইকেল যোগে পৌঁছে দিতো। পরে আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ‘ল’ এন্ড মিডিয়া)  মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তারকৃত  ৩ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জানিয়েছেন, এক বছরে র‌্যাব-১৫ আরসার ১০১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে ৭টি বিদেশী পিস্তল, ৫২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ১৪০ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ পিস ককটেল, ০৪ পিস আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ)। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম