আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 466

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

মোঃ শিহাব উদ্দিন :

গোপালগঞ্জের বহুল আলোচিত মোঃ ওহিদ আলম লস্কর অধ্যক্ষ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ এর বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগের কারণে দুদকের গণশুনানিতে হাজির হন। তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ আমলে এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও দুদক কমিশনার তদন্ত মোঃ’ জহুরুল হক। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রোজ বুধবার, শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলানায়তন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গোপালগঞ্জ এ দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে ১৬৪তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণশুনানির অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জের মাননীয় জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম। উক্ত গণশুনানি অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাননীয় কমিশনার (তদন্ত), মোঃ জহুরুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক এর মাননীয় কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি সম্পর্কিত নীতিমালার আলোকে জনগণের জন্য প্রদত্ত সরকারি/ আধাসরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান/ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা দক্ষ ও কার্যকর উপায়ে প্রাপ্তি নিশ্চিত হয় এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও মূল্যবোধের মান বজায় রাখা এবং কোন ব্যক্তি যাতে অনুপার্জিত আয় ভোগ করতে না পারে এ লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে দুর্নীতি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক। তাই, দুর্নীতি দমন কমিশন সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারি পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণকে সরকারি সেবা প্রদান করা আপনার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আন্তরিকতার সাথে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম দুর্নীতি, হয়রানি কমিশন সহ্য করবে না। গণশুনানিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি), গোপালগঞ্জ সদর, সকল প্রকৌশলীদের দপ্তর, শিক্ষা বিভাগ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, বিআরটিএ, পাসপোর্ট, সাব-রেজিস্টার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের সেবা প্রাপ্তি নিয়ে সাধারণ মানুষ ৫৭টি অভিযোগ উপস্থাপন করেন তার মধ্যে ০৪টি অভিযোগ সরাসরি দুদক কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের মাননীয় কমিশনার (তদন্ত) সকল অভিযোগই মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং অধিকাংশ অভিযোগ সমাধান করার নির্দেশ প্রদান করেন। প্রতিটি অভিযোগ পরবর্তীতে কমিশন থেকে মনিটরিং করা হবে এবং অভিযোগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলে গণশুনানিতে দুদক এর মাননীয় কমিশনার (তদন্ত) জানান। গণশুনানির অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আক্তার হোসেন, মহাপরিচালক প্রতিরোধ দুদক, মো. মোরশেদ আলম পরিচালক, দুদক, আল-বেলী আফিফা, পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জ জেলা, জনাব প্রফেসর সরদার নুরুল ইসলাম, সভাপতি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, গোপালগঞ্জ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

গাইবান্ধায় সমন্বিত দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের সফলতায় বদলে গেছে হতদরিদ্রদের জীবন

জোবায়দুর রহমান জুয়েল: 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে বিআরডিবি সমম্বিত দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির আওতায় এক গ্রাম এক পণ্যপল্লী গড়ে তোলার লক্ষ্যে জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন ২০২৩ ইং পর্যন্ত গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড,গাইবান্ধা  উপপরিচালকের কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের বরাদ্দ ৫০ কোটি ৫৪ লক্ষ্য টাকা, প্রকল্প ব্যয় ৪৯ কোটি টাকা। প্রকল্পে ৫৩৯ টি সমিতি গঠনের মাধ্যমে ১৮৬০০ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে নারী সদস্য সংখ্যা ১৩৯০৫ জন, পুরুষ সদস্য সংখ্যা ৪৬৯৫ জন। পণ্য ভিত্তিক পল্লী গঠন করা হয় ২২ টি। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয় ২৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। বিআরডিবি কর্তৃক প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণের সহযোগিতা পেয়ে বদলে গেছে গাইবান্ধা জেলার  প্রতিটি উপজেলায় হতদরিদ্রদের জীবন যাপনের চিত্র। এতে করে হাজারো দরিদ্র পরিবারে যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের সহায়তা গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ,সাদুল্লাপুর উপজেলায় গড়ে ওঠে এ্যমব্রয়ডারী পল্লী, নকশি কাঁথা পল্লী, খামার পল্লী সহ আরো অনেক পল্লী। এ সকল পল্লীতে হাজার হাজার দরিদ্র নারী পুরুষ কাজ করে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সদর উপজেলার খামার বোয়ালি এ্যমব্রয়ডারী পল্লীর সদস্য মোরশেদা বেগম বলেন, একটা সময় আমি খুব অভাবগ্রস্ত ছিলাম, অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হতো, ছেলে-মেয়েদেরকে স্কুলে লেখাপড়া করানোর মত খরচ জোগাতে পারতাম না, চিকিৎসা করার মত কোন টাকা পয়সা ছিল না , পরে আমি বিআরডিবি থেকে এ্যমব্রয়ডারীর উপর প্রশিক্ষণ নেই এবং সেখান থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নেই। এখন আমি এ্যমব্রয়ডারী কাজ করে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করি। এই আয় দিয়ে আল্লাহর রহমতে এখন আমি অনেক ভালো আছি এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি।
ফুলছড়ী উপজেলার উদিয়াখালী  ইউনিয়নের কালির বাজারে লিটন চন্দ্র বর্মন বলেন, সমম্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পে ইলেকট্রনিক্স এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ইলেকট্রনিক্স এর কাজ করে আমি এখন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম আজাদ বলেন সমম্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পে আওতায় ৭৭টি দল গঠন করে ২৫৯৭জন কর্মী নির্বাচন করে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৯কোটি ২৫লক্ষ টাকা ৬% সুদে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার রামভদ্র, রাজবাড়ী ,নয়ারহাট, কদমতলী, জানপাড়া এখন খামারপল্লী বা হাঁস পল্লী নামে পরিচিত পেয়েছি। উদ্যোক্তা আব্দুল মজিদ জানায়  বিআরডিবি থেকে হাঁসের খামারে উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং ঋণ সুবিধা নিয়ে হাঁসের খামার স্থাপন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। শুধু আমি একাই নই আমাদের গ্রামের প্রায় সকলেই বিআরডিবি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হাঁসের খামার গড়ে তুলে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন। সাদুল্লাপুর উপজেলার সমম্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পে আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উদ্যোক্তা লাভলী বেগম গড়ে তুলেছেন জামুডাঙ্গা এ্যমব্রয়ডারী পল্লী সমতি।এই সমিতিতে প্রায় সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০জন এ্যমব্রয়ডারী কাজ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। সমিতির অন্যান্য সদস্যরা বলেন, আমরা পরিবারের যাবতীয় কাজ শেষ করে অতিরিক্ত সময়ে এমব্রয়ডারি কাজ করি এবং আমরা প্রতি মাসে ৭থেকে ৮হাজার টাকা আয় করি।এতে করে আমরা অভাব অনটন এর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। পলাশবাড়ী উপজেলার উদ্যোক্তা মোছাঃ সাবিনা বেগম বিআরডিবি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গড়ে তুলেছেন ব্যাগ পল্লী।এখনে প্রায় ৩০০থেকে ৪০০ মহিলা কাজ করেন। আবার একই উপজেলায় গড়ে উঠেছে নুনিয়াগাড়ি এ্যমব্রয়ডারী পল্লী,নকশী কাঁথা পল্লী, যেখানে শত শত নারী পুরুষের কর্মসংস্থান সুযোগ হয়েছে। উদ্যোক্তা মিতু বেগম বলেন  সমম্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পে আওতায় প্রথমদিকে ২০ জন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করি এবং পরবর্তীতে আমার এলাকার আশপাশে হতদারিদ্র মহিলাদেরকে নিয়ে এ্যমব্রয়ডারী পল্লী গড়ে তুলেছি। এখন আমার এই পল্লীতে ৬০০ হইতে ৬২০ জন কাজ করছেন। সবাই বর্তমানে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে নকশি কাঁথা পল্লী,যা ব্যাপকভাবে সফলতা লাভ করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরদস্ত ইউনিয়নের সিংজানি গ্রামের সুফলভোগী মোঃ সাজ্জাদুল রহমান “সিংজানি পুরুষ উন্নয়ন নার্সারি সমিতি” গড়ে তুলেছেন।তিনি বলেন প্রথমদিকে আমার একটি ছোট নার্সারি ছিল তারপর বিআরডিবি অফিস থেকে আমাকে পরামর্শ দেওয়ায় সেখানে আমি প্রশিক্ষণ নেই এবং ঋণ গ্রহণ করি। বর্তমানে আমি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে নার্সারি করি। এই নার্সারির গাছে চারা বিক্রয় করে আমি এখন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। আমাদের গ্রামের ৫১টি পরিবার বিআরডিবির সহায়তা নিয়ে নার্সারি গড়ে তুলেছেন। এখন সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরদস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.খ.ম শরিফুল ইসলাম জর্জ বলেন , বাংলাদেশের পাঁচ বারের সফল রাষ্ট্র মহানায়ক দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে গাইবান্ধা দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির আওতায় এই ইউনিয়নে পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলোর মধ্যে নার্সারি পল্লী, এ্যমব্রয়ডারী ,ইলেকট্রনিক্স ,গবাদি পশু পালন, সেলাই প্রশিক্ষন এবং সামাজিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের এই এলাকার অত্যন্ত প্রাণহিত মানুষের জন্য এই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের এই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেকার যুবক-যুবতীদের মাঝে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে । বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ধরনের প্রকল্প অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
গাইবান্ধা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল সবুর বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে গাইবান্ধা সমম্বিত পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প গাইবান্ধা জেলায় জানুয়ারি ২০১৮ হইতে জুন ২০২৩ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে । এটি একটি সফল প্রকল্প। গাইবান্ধা জেলায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ১৮৬০০ জনকে । বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে মার্কেট লিংকেজ সৃষ্টি করে দেওয়া জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। তাদেরকে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অব্যহিত রয়েছিল। যার ফলে এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০,০০০ (দশ হাজার)ও বেশি মানুষ কর্মস্থানে নিয়োজিত রয়েছে । যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তার প্রত্যেকে কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তিনি আরো বলেন,এ প্রকল্পের কিছু অন্নন্য উদ্ভাবন রয়েছে সেটা হলো পণ্য ভিত্তিক পল্লী, একই ধরনের পণ্য দিয়ে একই ধরনের কাজ নিশ্চিত করা।প্রকল্পে আওতায় ২২টি পণ্য ভিত্তিক পল্লী গড়ে তোলা হয়েছে। এতে করে মার্কেট লিংকেজ সৃষ্টির হয়েছে এবং ব্যাপক নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে,নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা উন্নয়নের যে জোয়ারে ভাসছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। এই উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ২০২৩ সালে আমরা বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। যা গাইবান্ধার জন্য এবং এই প্রকল্পের জন্য একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত  হয়ে থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি জব্দ করলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি রাশিয়ার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি জব্দ করে তাহলে আরও বেশি কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা জোট। জব্দ করা হয় প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের রাশিয়ার সম্পত্তি।রাশিয়ান জব্দ করা সম্পত্তি থেকে পাওয়া লাভের অর্থ ব্যবহারের জন্য একটি আইন পাস করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মূলত ইউক্রেনের অবকাঠামোখাত  ‍পুনর্গঠনের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সম্পত্তি জব্দের বিষয়টিকে চুরি হিসেবে অখ্যায়িত করেছেন। এ বিষয়ে রাশিয়া অনেক বেশি কঠোর হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ইসরায়েল-ইউক্রেন এবং তাইওয়ানের জন্য বহুল প্রতিক্ষিত ৯৫ বিলিয়ন বা নয় হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে।১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালের দিকে কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে এই বিলের অনুমোদন হয়। এখন এই বিলের গন্তব্য রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে এই বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সূত্র: রয়টার্স
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাই নারী জাগরণের প্রমাণ করে: প্রধানমন্ত্রী

আলোকিত ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের ৪৮ আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫৫৩ জন। এ সংখ্যাই প্রমাণ করে নারী জাগরণ ঘটেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তা ব্যর্থ হতে পারে না। সে আদর্শকে ধরে রাখতেই দেশে ফিরে আসা। কবরের মাটি ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেব না, তাই করেছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে। জেল-জুলুম সব সহ্য করেই ক্ষমতায় এসেছি। জীবনের হুমকি ছিল বারবার। লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা, এ দেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আজ তা অর্জন করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, মেয়েরা সাফল্যের সঙ্গে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করে। পড়াশোনায় নারী আজ এগিয়ে। কর্মক্ষেত্রেও সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। বিভিন্ন পেশায় ভালো করছে। নানা বাধা পেরিয়ে মেয়েরা আজ খেলাধুলার মাঠে আসছে। এখানেও এগিয়েছে তারা। এখন মেয়েরা অনেক পদক আনছে। তিনি বলেন, মেয়েরা খেলতে পারবে না, ব্যবসা করবে না- ইসলাম ধর্মেও এমন বলা নেই। প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন একজন নারী, কোনো পুরুষ নয়। সাহস করে বিবি খাদিজা এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি ব্যবসা করতেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব। ১৫৫৩ মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাই প্রমাণ করে নারী জাগরণ ঘটেছে। তবে এত প্রার্থীর মধ্যে ৪৮ জনকে বেছে নেওয়া কঠিন কাজ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

অবৈধভাবে চোরাইপথে মিয়ানমারে পাচারকালে তেল, ঔষধ ও ময়দা উদ্ধারঃ দুই পাচারকারী আটক

আবু সায়েম :

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ভোজ্য তেল, ওষুধ ও ময়দা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুইজন পাচারকারীকে আটক করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফের হাতিয়ারঘোনা থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫। র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, টেকনাফে হাতিয়ারঘোনা এলাকায় জনৈক আবুল বাশার হাজির মুরগির খামার সংলগ্ন ভিটা এলাকায় একটি পাচারকারী চক্র অবস্থান করছে। এই খবর পেয়ে ওই স্থানে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পলায়নের চেষ্টাকালে দুইজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি জীপ গাড়িসহ সর্বমোট ৮৯৫টি বোতলে ৪ হাজার ৪৭০ লিটার ভোজ্য তেল সয়াবিন, বিভিন্ন প্রকারের ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫৫০ পিস ঔষধ ও ১০টি বস্তায় মোট ৫০০ কেজি ময়দা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা)। আটক দুই পাচারকারী হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিরঘোনা এালাকর আবুল বশরের পুত্র আবদুল মান্নান (২৪) ও একই এলাকার মৃত আলী হাছনের পুত্র আলী হোসেন (৪৫)।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাচালানের সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন কোম্পানী থেকে পাইকারি দামে ভোজ্য তৈল, ঔষধ, ময়দা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে এ দেশ হতে মিয়ানমারে দেশে পাচার করতো। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান, গত জানুয়ারি ২০২৪ মাসে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার রোধে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে সর্বমোট ৯ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সাথে তাদের হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় সর্বমোট ৫ হাজার ৩৮৫ লিটার অকটেন, ৪০ কেজি পেঁয়াজ, ৩১ কেজি রসুন, ৩৬ কেজি আদা উদ্ধার এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ২টি পিকআপ, নগদ ১৮ হাজার ১০০ টাকা, ৩টি বাটন ও ৪টি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। সরকারি সম্পদ রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় বনভূমিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন 

আবু সায়েম:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন উখিয়া রেঞ্জে  বনভূমিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বনবিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ২টার দিকে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১০টি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সূত্রে জানা যায়, বনবিভাগের বনভূমিতে বিদ্যুৎ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ। বিগতদিনে কয়েকটি অভিযান হলেও টনক নড়েনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের। অভিযান পরিচালনার সময় উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম ও উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম কাইজার নুর উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম  জানিয়েছেন,” রবিবার দুপুরে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলমের নির্দেশে ডিজিএম কাইজার নূরের সহযোগিতায়  কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বনভূমিতে বসবাস করা স্থানীয়দের বসতঘরে অবৈধভাবে স্থাপন করা ১০টি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরবর্তী আরও তথ্য পেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ বরাবর আবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।” অভিযানে দোছড়ি বিট কর্মকর্তা মো.সাজ্জাদুজ্জামান,থাইংখালী বিট কমকর্তা বিকাশ দাশ, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান,ওয়ালাপালং বিট কর্মকর্তা আরাফাত মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট বিটের স্টাফ, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের স্টাফ এবং ১৪এপিবিএন পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

শাহরিয়ার শামীম এর ‘তৃতীয় প্রহর’ আপন স্রোতে প্রবহমান মননের চিত্রকল্প

আলোকিত ডেস্ক:
পাঠকপ্রিয় লেখক ও কবি শাহরিয়ার শামীম। ছোটো গল্প, কবিতা, অণুগল্প সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালিখির সাথে দীর্ঘ সময় ধরে জড়িত আছেন।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে   হিসেবে কর্মরত আছেন। এতোকিছু ছাপিয়ে তিনি একজন আপাদমস্তক লেখক ও কবি। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মানুষের মনোজগত পরিবর্তনের গল্প তাঁর লেখনিতে ফুটিয়ে তুলতে।
লেখালিখির পথচলা দীর্ঘ সময়ের। এই সময়ের পরিক্রমায় এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’তে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখা কবিতার বই তৃতীয় প্রহর। এছাড়াও লিখেছেন অপেক্ষা,প্রথম প্রহর।তাঁর লেখালিখির উৎসাহ গ্রামবাংলার প্রকৃতি থেকেই অর্জিত।
কবিতার বই ‘তৃতীয় প্রহর’ উত্তরা হাউজ প্রকাশ করেছে এবং আগামী প্রকাশনী পরিবেশক হিসেবে রয়েছে। কবির শৈশব গ্রাম বাংলার প্রাণবন্ত বিকেলের গল্প এর মতই  লালমনিরহাঁট পাটগ্রাম কেটেছে ।
মানুষের স্বপ্নপূরণের প্রতীক্ষার প্রহর ও জীবনযাপনের গতিপ্রকৃতিতে যে ভিন্নতা রয়েছে এমনই উপজীব্যে রচিত কবিতাগুলো।
এছাড়াও বইটির ভূমিকা লিখেছেন ড. পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা। কবিতার বইগুলো রকমারিতে পাওয়া যাচ্ছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ডাসারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান 

সৈয়দ মোকাররম হোসেন হেমায়েত:

শারীরিক প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন এর একমাত্র অবলম্বন মুদি দোকানটি  আগুনে পুড়ে নিমিষেই  ছাই ! তিল তিল করে গড়ে তোলা একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন করে সংসার চালিকার এই মুদি দোকান খানা। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম এভাবেই আহাজারি ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছে বাকরুদ্ধ কাঞ্চন মিয়া ।মাদারীপুরের ডাসারে  রবিবার  (১১ফেব্রুয়ারি) রাত ১০:৩০ মিনিট আনুমানিক সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে এই ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ  টাকা প্রদান করেন  বিশিষ্ট ব্যবসায়িক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সোহান।  সৈয়দ আবেদ আলী বলেন উপার্জনের একটি মাত্র সম্বল দোকান তাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। দুঃখজনক ঘটনা। এসময় তিনি আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং সকলকে সাহায্য সহযোগিতা করে পরিবারটির পাশে থাকার আহ্বান জানান। অনেকেই এভাবে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় পরিবারটির উপর । ফায়ারসার্ভিসের কালকিনি উপজেলা ইউনিটের সদস্য  রুবেল আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘন্টাব্যাপি স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত  ভাবে আর্থিক সাহায্য প্রদান করার আশ্বাস দেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

শাহজাদপুরে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ স্বামী- স্ত্রী আটক

আতিকুর রহমান:
সিরাজগঞ্জের  শাহজাদপুর পৌর শহরে  দিলরুবা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া – নগরবাড়ী মহাসড়কে পূর্ব পার্শ্বে বিজয় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ওয়ার্কসপ দোকানের সামনে, ঢাকা  হতে পাবনা গামী সি লাইন পরিবহন যাত্রীবাহী বাস যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ব-১৫-২৫৫৯ তল্লাশী করে গাড়ীর ভিতরে মাঝ খানে ডান পার্শ্বে টিকিট বিহীন যাত্রী পাশাপাশি সিটে বসা অবস্থায় আসামীদ্বয়ের দেহ তল্লাশী করে উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য মিখাইল এ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুইজনকে আটক করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দার উপপরিদর্শক জনাব মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মোঃ শামীম (৩৮) , পিতা মৃত সাহেব আলী, মাতা মৃত জাহানার বেগম, বর্তমান সাং কেরানীগঞ্জ, মুসলিম বাগ থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, জেলা-ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা-সুলতানগঞ্জ সাইনবোর্ড, খানা কামরাঙ্গীর চর, জেলা-ঢাকা। মোছাঃ সুলতানা বেগম (৪০) , পিতা মৃত ফয়েজ উদ্দিন ব্যাপারী, মাতা মৃত হামিদা বেগম, স্বামী- মোঃ শামীম, বর্তমান সাং- কেরানীগঞ্জ মুসলিম বাগ (হালিম মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, জেলা-ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা- সিলিমপুর হিংগা নগর, থানা- দেলদুয়ার, জেলা-টাঙ্গাইল। আসামিদের দেহ তল্লাশি করে  পলিথিন প্যাকেটে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো মিথাইল এ্যামফিটামিনযুক্ত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ১৫০০ পিস, যার ওজন ১৫০ গ্রাম,অপর একজনে কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ১৪০০পিস, যার ওজন ১৪০  গ্রাম। দুইটি প্যাকেটে মিখাইল এ্যামফিটামিনযুক্ত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সর্বমোট ২৯০০ পিস, এ সময় আসামিদের কাছ থেকে দুইটি ও সিম দুইটি মোবাইল ফোন  জব্দ করা হয়। এ সময় উপ পরিদর্শক জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ ই ফেব্রুয়ারি  রাত্রি ৪ ঘটিকার সময়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, রাজশাহী এর বিভাগীয় স্টাফ জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির, উপ-পরিদর্শক, এএসআই মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আকন্দ, এএসআই মোঃ বায়েজিদ হোসেন, সিপাই মোঃ গোলজার রহমান, সিপাই হাবিবা খাতুন, এবং গাড়ী চালক মোঃ মুনছুর রহমান এর সমন্বয়ে একটি বেইডিং টিম গঠন করে উক্ত রেইডিং টিমের সহযোগীতায় সরকারি গাড়ী যোগে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানাধীন দিলরুবা বাসষ্ট্যান্ড নামক স্থানে হাটিকুমরুল হতে নগরবাড়ী গামী পাকা রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে বিজয় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ওয়ার্কসপ দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপরে ঢাকা হতে পাবনা গামী সি লাইন পরিবহন যাত্রীবাহী বাস যার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো ব-১৫-২৫৫৯ এর গতিরোধ করে সময় রাত্রী ৩.৪০ ঘটিকায় থামাই ও ঘেরাও করে তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট  উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ শামীম (৩৮) ও ২। মোছাঃ সুলতানা বেগম (৪০) উভয়ে স্বামী স্ত্রী।পরে তাদের কে শাহজাদপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

গাজীপুরে বাসাবাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

মোত্তাসিম সিকদার রাজীব:
গাজীপুরের কাশিমপুরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিট্টেট ফারজানা আক্তার লাবনী নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় সহ ৭ শতাধিক অবৈধ চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।এছাড়াও বিপুল প‌রিমাণ অবৈধ চুলা,পাইপ,রাইজার খুলে নেয়া হয়।উক্ত অ‌ভিযানকালে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি‌মি‌টে‌ড আশুলিয়া জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম জানান,জিএম‌পি কা‌শিমপুরের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের সুলতান মার্কেট,পশ্চিম শৈলডুবি এলাকায় এর আগে প্রায় ৬ থেকে ৭ বার অবৈধ গ্যাস সংযোগ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নতুন করে আবার একটি চক্র সংযোগ দিয়েছে,এমন ‌গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭ শতাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এসময় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আশুলিয়া জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম