আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 467

দুর্গাপুরে মজিবুর হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
এলাকায় সীমান্ত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুটার শামীম ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আওয়াল বাহিনীর হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী মজিবুর রহমান হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি  দুপুরে দূর্গাপুর উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানব বন্ধনে প্রায় চার হাজার নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করে। মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে বক্তারা শুটার শামীম বাহিনী ও আওয়াল বাহিনীর হামলায় নিহত মুজিবুর রহমান হত্যার আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল তালুকদার, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক মেম্বার ইদ্রীস আলী, নিহতের স্ত্রী ও ছেলে রাজন শেখ, এলাকাবাসীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, শুটার শামীম বাহিনী ও আওয়াল বাহিনীর হামলায় গত বছর আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা খুন হয়েছিলেন এবং নিহত মজিবুর রহমানের ভাই নুরুন্নবী গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করেন। এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করায় চলতি বছরের ৪ই ফেব্রুয়ারী মুজিবুর রহমান ওরফে (দাউ মজিবুরকে) প্রকাশ্যে হত্যা করে শুটার শামীম ও  আওয়াল বাহিনী। শুটার শামীমের নামে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির ৬৬টি মামলা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধিকে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব। তিনি জানিয়েছেন, এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে নিহতের ছেলে রাজন তার দায়ের করা এই হত্যা মামলায় ‘শ্যুটার শামীম’কে প্রধান আসামি করে মোট আঠারো জনের নাম উল্লেখসহ আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন।জানা যায়, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুর্গাপুর উপজেলায় মজিবর’র ভাতিজা খায়রুল ইসলাম ও কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল’র ছেলে আবির’র মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আক্রমন করলে নিহত হন মজিবর।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

শিহাটা গমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

মোঃ রাশেদুল ইসলাম:
এই শ্লোগানে জামালপুরের মেলান্দহে শিহাটা গমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে শিহাটা গমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,লন্ডন প্রবাসী শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও জেনারেল প্রেক্টিশনার ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ। বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি মোঃ আব্দুল মোতালেব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) মোঃ আব্দুর রেজ্জাক, চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ভুট্টো, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজাদুর রহমান ভূইয়া, আমেরিকা প্রবাসী মিস রজি আক্তার, হংকং প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউল হক জিয়া, লন্ডন প্রবাসী নাসরিন আজিজ ডলি, চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তারা আকন্দ,  সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মুকুল প্রমুখ। ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশ ও জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করতে তাদেরকে পরিপূর্নভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের তরুণরা খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার মতো বিজয় অর্জন করবে। সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। দলগত ডিসপ্লে, মশাল প্রজ্জ্বলন, মার্চ পাস্টের পর বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের মধ্যে ছিল, চকলেট দৌড়, ব্যাঙ দৌড়, রিলে দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজো, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথি ও অভিভাবকদের জন্য দৌড় ও পিলো পাসিং প্রভৃতি। সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান, ফ্যাশন শোসহ বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের আকর্ষণীয় উপহার, ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ্ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

বিয়েই যার পেশা ও নেশা, রেহাই পায়নি প্রতিবন্ধীও

খালেদ হাসান:
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনী সদস্য পরিচয় দিয়ে সাধারণ পরিবারের মোট ১৩ জন মেয়েদেরকে বিবাহের মাধ্যমে অর্ধ কোটিরও বেশী টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ০২ সদস্য গ্রেফতার। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভূয়া আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানকালে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার বেড়াজালেও সাধারণ মুসলিম পরিবারগুলোর কাছে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন এবং সামাজিক রীতি হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। গ্রামের সাধারণ মুসলিম পরিবারের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদেরকে নিজেদের সাজানো ঘটকের মাধ্যমে বিবাহের প্রস্তাব পাঠানো এবং নিজেদেরকে নৌবাহিনীর সদস্য হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ধর্মীয় রীতিতে বিবাহের মাধ্যমে এসব পরিবারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এক অপকৌশল রচনা করে আসছিল। এই সংক্রান্তে জনৈকা ভিকটিম ময়মনসিংহ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে ০৫জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে তাঁর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল গাজীপুর জেলার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা ১। মোঃ মহিদুল ইসলাম @ মইদুল (২৭), পিতা-মোহাম্মদ আলী, ঠিকানা-চরকাটারী (আহেদালী পাড়া), থানা-দৌলতপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানা এলাকা থেকে ২। কুদ্দুস আলী (৩৫), পিতা-মৃত জালাল উদ্দিন, ঠিকানা-নগুয়া, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহ-দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এরপর উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তারাকান্দা থানায় মামলা নং-০৬, তারিখ-১০/০২/২০২৪ ইং, ধারা-১৪০/৪৯৫/৪০৬/৪১৯/৪২০/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এমএলএসএস হিসেবে ০২ বছর চাকুরী করার পর বিধি বহির্ভূতভাবে বাল্য-বিবাহ করার অপরাধে চাকুরীচ্যুত হয়ে আসামি মহিদুল প্রতারণার মাধ্যমে বিবাহকেই তার পেশা হিসেবে বেঁছে নেয় এবং মামলার এজাহারে বর্ণিত অন্যান্য আসামিদের সাথে নিয়ে বিবাহের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চক্র তৈরি করে। এই কাজে বিজিবি থেকে চাকুরীচ্যুত এক সদস্য তাকে সরাসরি সহায়তা করে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামি কুদ্দুছসহ অন্যান্যরা কখনও ঘটক কখনও মহিদুলের নিকট আত্মীয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মুসলিম পরিবারের অভিভাবকদের বিশ্বাস অর্জন করত এবং প্রতারনার অপকৌশল বাস্তবায়নে সঙ্ঘবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করত। এখন পর্যন্ত মহিদুল মোট ১৩ জন মহিলাকে তার এই প্রতারণার ভিকটিম বানিয়ে সরলতার সুযোগ নিয়ে বিবাহ করেছে বলে স্বীকার করেছে। যার মধ্যে মানিকগঞ্জের ০৩ জন, টাঙ্গাইলে ০৩ জন, কিশোরগঞ্জে ০১জন ও ময়মনসিংহে ০৬ জন। মহিদুলের এই প্রতারণা চক্র এসব পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লক্ষেরও অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি তার এই প্রতারণার হাত থেকে প্রতিবন্ধী নারী ও রেহাই পায়নি। মাসিক প্রতিবন্ধী ভাতার সামান্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল জেলার এক প্রতিবন্ধী মহিলাকেও বিয়ে করে। আসামি মহিদুল এর কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, বাহিনীর ব্যবহার্য ট্রাকসুট এবং বিভিন্ন বাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি পাওয়া গেছে। মহিদুলসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল, জামালপুর সহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রতারণা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আসামিদের দ্রুত বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

ভালুকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

জিএম,ভালুকা:

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ২৬তম বার্ষিকীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তারিখ সকালে ভালুকা উপজেলার সদর দপ্তরে এর আয়োজন করেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আয়োজকরা। সভায় আশরাফুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সমিতি বোর্ডের জিএম আকমল হোসেন, সহ সভাপতি আবুল হোসাইন, বোর্ডের সচিব খোরশেদ আলম, মহিলা পরিচালক আরিফা শিরিনসহ আরো অনেকে। এসময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সচেতন হওয়ার নানা পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে নিয়মিত গ্রাহকদের হাতে সমিতির পক্ষ থেকে পুরুষ্কার দেওয়া হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

গাইবান্ধায় ডলার প্রতারক চক্রের মুলহোতা গ্রেফতার

রানা ইস্কান্দার রহমান:
১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। তিনি জানান গত ২ থেকে ৩ মাস পুর্বে নরসিংদীর ব্যবসায়ী নিজামুল হকের সাথে ধাপেরহাট এলাকার অজ্ঞাতনামা এক মহিলার মোবাইল ফোনে পরিচিত হয় এবং তাদের মধ্যে দাদু নাতির সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী নিজামুল হক ব্যবসায়িক কাজে রংপুর আসলে তাকে উক্ত মহিলা কৌশলে তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে একটি কালো রংঙ্গের ব্যাগে করে ৮০০০ হাজার ডলার রয়েছে বলা হয় এবং এই ডলার গুলোর বিনিময়ে তাকে ৭ লক্ষ টাকা দিতে বলে। তাতক্ষনিক ভুক্তভোগী নিজামুল হকের কাছে টাকা না থাকায় নরসিংদীতে ফিরে যায়। পরবর্তীতে ডলার গুলো ক্রয় করার জন্য ভুক্তভোগী নিজামুলকে নানারকম অনুনয় বিনয় করে। তাদের অনুরোধ ক্রমে গত ৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী নিজামুল ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তার জামাই সহ সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় গেলে উক্ত মহিলার চাচাতো ভাই ইজি বাইকে করে অচেনা এক বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় একপর্যায়ে অপরিচিত ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি এসে একটি কালো ব্যাগে ডলার দেখিয়ে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়। ভুক্তভোগী নিজামুল ডলার গুলো দেখতে চাইলে তারা ডলারের ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে নেয় এবং হত্যার হুমকি দেয়। তিনি আরো জানান ভুক্তভোগী  নিজামুল এই বিষয়ে সাদুল্যাপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। এরই ভিত্তিতে সাদুল্যাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামালপুর ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্য কে গ্রেফতার করে এবং এর সাথে নগদ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, একটি মাঝারি আকারের কালো হাত ব্যাগ যার ভিতরে বিভিন্ন বান্ডিল আকারে ১৩ টি বিস্কিট এবং কয়েলের ফাকা কার্টুন, ভুয়া আমেরিকান ডলারের ৫ টি বান্ডিল, ১ টি মোটর সাইকেল ১ টি ইজি বাইক, ১ টি চার্জার ভ্যান জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান, ক্রাইম অ্যান্ড অপস বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল ধ্রুব জোর্তিময় গোপ, সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান সহ অনেকে
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

শর্ত লঙ্ঘন করে বালু তুলছেন ইজারাদার,নদীভাঙনের আশঙ্কা

মো: মহিদ:
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর লেছড়াগঞ্জ বালুমহালের নির্ধারিত সীমানার বাইরে কয়েক কিলোমিটার দূরে থেকে বালু তোলা হচ্ছে। নির্ধারিত সীমানার বাইরে থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতটি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন ঠিকাদার। অবৈধভাবে এমন বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন গোপীনাথপুর এবং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের নদীপাড়ের মানুষ। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এমন চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। সরজমিনে দেখা যায়, এম বি মা-বাবার দোয়া ড্রেজিং প্রকল্প-৩, নূরে মদিনা ড্রেজিং প্রকল্প, এমভি হাফিজা ড্রেজিং, তিন্নি লোড ড্রেজিংসহ সাতটি ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও উজানপাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগে বালু সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, বাল্কহেডের মাধ্যমে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে উত্তোলনকৃত বালু। জানা যায়, হরিরামপুরে এবছরই প্রথম বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। গতবছরের ৬ এপ্রিল ১৪৩০ বাংলা সালের জন্য হরিরামপুরের লেছড়াগঞ্জসহ সাতটি বালুমহাল ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে লেছড়াগঞ্জ বালুমহালের ইজারা পায় মেসার্স দেওয়ান কর্পোরেশন। লেছড়াগঞ্জ মৌজার দিয়ারা জরিপ ১ নম্বর খতিয়ানের ৩০০১ দাগের ৩২.৪৭ একর জমি ইজারাভূক্ত। গোপীনাথপুর এবং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের নদীপাড়ের কয়েকজন জানান, যে জায়গা থেকে এখন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেটি কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের গৌরীবরদিয়া মৌজা এলাকায় পড়েছে। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে৷ বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই এই এলাকার মানুষজন নদী ভাঙনের শিকার হয়। এভাবে বালু তোলা হলে কিছুদিন পরে নদীভাঙন দেখা দিতে পারে। তবে, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানু বলেন, যে জায়গা থেকে বালু তোলা হচ্ছে তা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় পড়েছে। ওই এলাকাটি অনেক আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বালুমহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে নিয়মাবলির ২০ ও ২১ নম্বরে উল্লেখ আছে, ইজারা গ্রহণকৃত এলাকা ব্যতিত অন্য কোন এলাকা হতে ইজারাদার বালু উত্তোলন করতে পারবেন না। উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গের জন্য ইজারাদার দায়ী থাকবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে৷ এ বিষয়ে কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম রূপক বলেন, গোপীনাথপুর ও আমার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সীমানা এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধের কাজ চলছে। বালু কোথা থেকে তোলা হচ্ছে তা জানি না৷ খোঁজ নিয়ে দেখছি। সরজমিনে ড্রেজারে গেলে ড্রেজারগুলো বালুমহালের ড্রেজার বলে জানান শ্রমিকরা। শুভ নামের এক শ্রমিক বলেন, এগুলো বালুমহালের ড্রেজার৷ গোপীনাথপুর ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের এক কিলেমিটার বাঁধের কাজের জন্য নদী থেকে বাল্কহেডে করে এনে আনলোড ড্রেজার দিয়ে পাড়ে বালু স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। সেখানে কথা হয় কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ মো. জসিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার কাজের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট বালু প্রয়োজন। প্রতি ঘনফুট বালু আমরা দুই টাকা ৩০ পয়সা করে বালুমহাল থেকে কিনছি। ইজারাদারের পক্ষে পাউবোর কাজে বালু সরবরাহের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, বালুমহালের নির্ধারিত জায়গায় চর জেগেছে। তাই বাইরে থেকে বালু তোলা হচ্ছে। আপনি ইজারাদারের সাথে কথা বলেন। বালুমহালের ইজারাদার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি তো ওখানে থাকি না ভাই। ওইখানে নিয়ন্ত্রণ অন্যজনে করে। আমার একটু জানতে হবে। আপনি বললেন, বিষয়টি আমি দেখবো। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি এখনি স্থানীয় প্রশাসনকে জানাচ্ছি। আগামী বছরের জন্য বালুমহাল ইজারা দিতে হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের জন্য ডিসি অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি এবার বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবো। হরিরামপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপসী রাবেয়া বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

সোনাপুর জিরো পয়েন্ট যানজটমুক্ত হওয়ায় বইছে স্বস্তির বাতাস 

একেএম ফারুক হোসেন:

নোয়াখালী জেলা শহর সোনাপুর বৃহত্তর নোয়াখালীর সাথে সারাদেশের একমাত্র  যোগাযোগের  হাব ।এখান থেকে প্রতিনিয়ত দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস ও রেলের মাধ্যমে গড়ে কয়েক লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে। এখানে রয়েছে একটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়াও নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছেড়ে আসে বাসসহ সিএনজি থ্রিহইলার যানবাহন।এ রাস্তা ব্যবহার করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে আরো কয়েক হাজার মানুষ। যারা প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় যাতায়াত করে।এর ফলে সোনাপুরে প্রায় দূর্ঘটনা ও যানজটে পড়তে হত ব্যবহারকারীদের।পরিস্থিতি উন্নতি ঘটাতে এ সড়কটিকে ফোরলেনে যুক্ত করা হয়।তারপরও যানজটের সুরাহা না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।মানুষের দূর্ভোগ লাগবে জেলা ট্রাফিক পুলিশ একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ায় বর্তমানে যানজট প্রায় শূন্যের কৌটায়।এমন যানজটমুক্ত পরিবেশে চলাচল করতে পারায় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের মনে ফিরেছে স্বস্তি।সোনারপুর কাঠপট্টির বাসিন্দা সুবর্ণচর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবুল খায়ের বলেন,আগে সুবর্ণচর যেতে কয়েকঘন্টা লেগে যেত যেটা এখন আধা ঘণ্টায় নেমে এসেছে।এমন যানজটমুক্ত দৃশ্য তিনি এর আগে স্বপ্নেও দেখেননি।এ সড়কে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী জেলা শহরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকাশ মুহাম্মদ জসিম বলেন,বর্তমান সড়কের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। যানজট পরিস্থিতি  উন্নত করায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিবেশটির একটা স্হায়ী রূপ দিতে ট্রাফিক পুলিশ সচেষ্ট হবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নাগরিকরাও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদী। নোয়াখালী জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (এ্যাডমিন) সিরাজ উদ- দৌলা বলেন,দীর্ঘদিন থেকেই সোনাপুরের যানজট পুলিশকে ভাবিয়ে তোলে।নতুন  পুলিশ সুপার জেলায় যোগদান করে আমাদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন।সে আলোকে আমরা এই যানজটের একটা স্হায়ী রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট  বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে এর সমাধান খুঁজে বের করি।নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী বাস চালক নূর নবী জানান,আগে টার্মিনাল থেকে বাস বের করে সোনাপুর পার হতে প্রায় ঘন্টা খনেক সময় লেগে যেত। লং জার্নির সময় এমন সময় ক্ষেপণে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। অবশ্য সেটা এখন আর নেই। সোনাপুর -চট্টগ্রাম রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাঁধন পরিবহনের চালক রায়হানও একই ভোগান্তির কথা বলে জানান বর্তমানে অনেকটা নির্বিঘ্নে সোনাপুর পাড়ি দিতে পারছেন। ফুটপাত ব্যবহারকারী এক পথচারী বলেন,আগে এখানে পায়ে হেঁটে চলাচল করা কষ্ট সাধ্য ছিলো। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাত হকার মুক্ত থাকায় বিনা বাধায় রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন। এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা,সোনাপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাঁধন বাস পরিবহনের এমডি ও নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি তরুণ প্রজন্মের ও খেটে খাওয়া মানুষের জনপ্রিয় নেতা  মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন,সোনাপুর জিরো পয়েন্টর যানজটে মানুুষ দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে পড়েছে।কয়েক লক্ষ  মানুষের দূর্ভোগ লাগবে রাস্তায় দখলে থাকা শতাধিক হকারকে উচ্ছেদ করি।হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এই বিষয়ে কে কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না।আমার কাছে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের দূর্ভোগ সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি।এবং সোনাপুরের যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশকিছু শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছি।যাদের দৈনন্দিন বেতন ভাতা আমিই প্রদান করি। নোয়াখালী জেলার নতুন পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম বলেন,যোগদানের পর হতে সোনাপুরের যানজট নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে।এই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনের জন্য  নির্দেশ দেই।তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব  আপনাদের। পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, নেতা সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার একটা সফল আয়োজন সোনাপুরকে যানজটমুক্ত পরিবেশ উপহার দেওয়া।এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ২জন নিহত

প্রতিনিধি,নোয়াখালী:

নোয়াখালীতে আজ শুক্রবার বিকাল ৫ঃ৩০ টায়  সিলেটগামী সাগরিকা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন অপ্রকৃতস্থ( ৬০)মহিলস বলে জানান সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহিদ হোসেন রনি। অপরজন শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস (৮)পিতা জাকের হোসেন,চরকরমুল্যা,সদর থানার বাসিন্দা। থানা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, নোয়াখালী সোনাপুর বাইপাস সড়কের ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে বিকাল ৫ঃ৩০ টায় নোয়াখালী থেকে সিলেটগামী সাগরিকার বাসটি অবস্থান করছিল। বাসটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো শিশুটি। আর ঠিক তখনই বাসটি চালিয়ে দিলে শিশুটি চাকার নিচে পড়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘাতক বাসের ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে মূল সড়কে উঠার সময় ঘটে দ্বিতীয় বাস চপার ঘটনা। এসময় ঐখানে রাস্তায় হাটতে থাকা অপ্রকৃতস্হ মহিলাটি( ৬০) মুহুর্তের মধ্যে বাসের নিচে পড়ে যান। এমন দূর্ঘটনা ঘটিয়ে বাসটি নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়।এই দূর্ঘটনার বিষয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামালা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।তিনি আরো বলেন, দূর্ঘটনার পর থেকে ঘাতক বাসটিকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলে। বাসের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।ঘাতক বাসটি আটকের জন্য উদ্ধার  অভিযান চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

লোহাগড়া ছাত্র কল্যাণ সংসদের পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত 

জাহিদুল হক রনি:
নড়াইলের লোহাগড়ায় ছাত্র কল্যাণ সংসদের উদ্যোগে পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নিরিবিলি পিকনিক স্পটে লোহাগড়া উপজেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদের উদ্যোগে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্রকল্যাণ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম মনিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. কে এম সালাহ উদ্দীন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সমস্ত মানবিক কাজের সাথে সব সময় তিনি পাশে থাকবেন। এছাড়াও তিনি বলেন লোহাগড়ায় যেকোন শিক্ষার্থী যারা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারবে না তাদের পাশে থাকবেন এবং অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে তিনি সব সময় নিজেকে নিয়জিত রাখবেন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন ভূইয়া, নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন মোল্যা, লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন সহঃ মহাব্যবস্থাপক মোঃ মাহফুজুর রহমান, লক্ষীপাশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোরাদুজ্জামান, লক্ষীপাশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোঃ গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা শেখ সদর উদ্দিন শামিম, সিনিয়র সাংবাদিক রূপক মুখার্জি, লক্ষীপাশা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল হোসাইন , সাংবাদিক জাহিদুল হক রনি, সাংবাদিক শরিফুজ্জামান, সাংবাদিক কাজী ইমরান হোসেন , ছাত্রকল্যাণ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি আল ইমরান (রাজু), সহ-সভাপতি হায়াতুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা শেষে প্রীতিভোজসহ এক মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

বায়েজিদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে ফাঁদে ফেলে ছিনতাই আটক ৫

মোহাম্মদ জুবাইর: 
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রুপনগর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে তিন তাস নামক জুয়ার ফাঁদে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের অভিযানে বায়েজিদের বিভিন্ন এলাকা থেকে  তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- মো. সুমন (৩২), মিজান হোসেন (২৬), জয়নাল উদ্দিন জীবন (২৫), মো. রিমন (২৫) ও মো. রাসেল (২৩)। বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা গণমাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র টিউশনিতে যাওয়ার সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানার রুপনগর এলাকায় কয়েকজন তাকে তিন তাস নামক জুয়া খেলা খেলতে বলে। কিন্তু ওই ছাত্র খেলতে রাজি না হওয়ায় তখন তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিনি আরও জানান, এই চক্র কুলগাঁও এলাকায় দুই কলেজ ছাত্রকে একই ফাঁদে ফেলে দু’টি মোবাইল ছিনতাই করেছিল। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযানে নেমে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাদের নামে বায়েজিদ থানায় খুন, চাঁদাবাজি, মারামারির একাধিক মামলা আছে। তিনি আরো বলেন, ‘তিন তাস খেলার ফাঁদে ফেলে ছিনতাইকারী এই চক্র ইতোমধ্যে কয়েকজনের কাছ থেকে মোবাইল এবং টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিন তাস তাদের একটি ফাঁদ। তারা শুধু ছিনতাই-ই করে না, তাদের কথা মতো মূল্যবান জিনিসপত্র না দিলে ছুরিকাঘাত করে থাকে। এর আগেও এ চক্রের কয়েকজনকে আমরা ধরেছি। কিন্তু তারা ফের জামিনে বের হয়ে একই কাজ করছে।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম