আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 47

নাগরপুরে ঐতিহ্যের নিঃশব্দ সাক্ষী পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি

প্রতিনিধি,নাগরপুর (টাঙ্গাইল):
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীতীরে অবস্থিত পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি শিল্প, ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অনন্য নিদর্শন হলেও অবহেলার কারণে হারাচ্ছে তার গৌরবময় অতীত।
প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই জমিদারবাড়িটি টাঙ্গাইল সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে আজও দাঁড়িয়ে আছে কারুকার্যখচিত অট্টালিকা, পুরোনো মন্দির, নাটমন্দির, দীঘি ও কূপ—যা একসময়ের জমিদারি জীবনের নীরব সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তৎকালীন ব্রিটিশ রাজধানী কলকাতার সঙ্গে মেইল স্টিমার ও যাত্রীবাহী নৌযোগে নাগরপুরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরেই কলকাতা থেকে আগত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহা মণ্ডল এখানে জমিদারি শুরু করেন। ১৯১৫ সালে নির্মিত হয় পরপর তিনটি বিশাল অট্টালিকা—একই নকশায়, পাশ্চাত্য শিল্পের প্রভাবে। জমিদারবাড়িটি পরিচিত ছিল ‘তিন তরফ’ বা ‘তিন মহলা’ নামে।
প্রতিটি অট্টালিকার সামনের বারান্দায় দুটি পূর্ণাঙ্গ সুন্দরী নারী মূর্তি, রেলিংয়ের কার্নিশে সারি সারি ক্ষুদ্র নারী মূর্তি এবং লতাপাতা-ফুলের অলংকরণে মণ্ডিত নকশা—সবই চমৎকার শৈল্পিক ছোঁয়া বহন করে। জমিদাররা তাদের প্রজাদের জুতা পায়ে বা মাথায় ছাতা নিয়ে বাড়ির সামনে দিয়ে চলাচলে নিষেধ করতেন—এ থেকেই বোঝা যায় সে সময়কার আভিজাত্যের পরিমাণ।
জমিদারবাড়ির প্রবেশমুখে রয়েছে একটি পুরোনো মন্দির, যা এককালে দুর্গাপূজার প্রতিমা নির্মাণে বিখ্যাত ছিল। ভারতবর্ষের খ্যাতনামা কারিগররা শরৎকালে এখানে প্রতিমা তৈরি করতেন। এখন সেখানে ইট খসে পড়ছে, নকশাগুলো ঝুঁকিতে। পাশাপাশি রয়েছে তিনটি নাটমন্দির ও মাঠের মাঝে একটি দ্বিতল নাচঘর।
পরে এ জমিদারবাড়ির মূল ভবনের একটি অংশ অধিগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকুটিয়া বিসিআরজি ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), যা এখনো চালু আছে। অন্য ভবনগুলোয় বর্তমানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি দাতব্য সংস্থা ও তহশিল অফিস পরিচালিত হচ্ছে। এটি আজও যথাযথ সংরক্ষণের বাইরে।
নাগরপুরের এই ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রতিদিন অনেক পর্যটককে আকৃষ্ট করলেও, সরকারি উদ্যোগের অভাবে ভবনগুলোর রূপ-লাবণ্য হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এমন একটি মহামূল্যবান সম্পদ যেন কালের গর্ভে বিলীন না হয়—এই দাবিই এখন জোরালো হচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে।
পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি শুধু প্রাচীন স্থাপত্য নয়, এটি একসময়ের সংস্কৃতি, শাসন ও সমাজবিন্যাসের নিঃশব্দ সাক্ষ্য। যথাযথ সংরক্ষণেই ফিরতে পারে এর হারানো ঐতিহ্য।
আলোকিত প্রতিদিন/১১মে ২০২৫/মওম

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমালোচনায় অভিনেতা ঋত্বিক!

বিনোদন ডেস্ক:
অপপ্রচারসহ স্বাভাবিকভাবে কোনো ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করাটা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে নতুন কিছু নয়। বলতেই হয়, সেখানকার সংবাদ উপস্থাপনের পদ্ধতি যেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংবাদমাধ্যমের তুলনায় অনেকটা বেশিই আলাদা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন ক্যামেরায় কখনো অতি উত্তেজিত হয়ে বা চিৎকার করে, কখনো লাফিয়ে এমনকি দৌড়েও সংবাদ পরিবেশন করতে দেখা যায় ভারতীয় সংবাদকর্মীদের।

সম্প্রতি যুদ্ধ আবহে এমন নানা নজির দেখিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। আর তা নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি করছেন নেটিজেনরা। তারকাঅঙ্গনও একরকম বিরক্ত ভারতীয় মিডিয়ার এহেন কর্মকাণ্ডে।

আবার কয়েকদিন আগে বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি সার্কাস বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। তাদের সংবাদ পরিবেশনের ধরন দেখে যে অভিনেত্রী বিরক্ত, তা প্রকাশ করতে একটু দ্বিধাবোধ করেননি। অভিযোগ তোলেন যতসব ভুয়া ফুটেজ, ছবি দিয়ে তথ্যবিভ্রাট, অতিনাটকীয় শব্দগঠন এবং সংবাদ কর্মীদের চিৎকার-চ্যাঁচ্যামেচি দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর।

আদতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ভারতের নানা মিডিয়ায় অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এমন উত্তপ্ত আবহের সুযোগ নিতে গিয়ে ইন্টারনেট থেকে নেওয়া কিছু ভুয়া ভিডিও ও ছবি নিয়ে সেদেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো পাকিস্তানে হামলার দৃশ্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে বিপাকেও পড়েছে সেই মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো। মূলত তা নিয়েই সোনাক্ষী সিনহা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিয়ে এমন তোপ দাগেন, সরাসরি ‘সার্কাস’ এর সঙ্গে তুলনা করেন।

এবার একই বিষয় নিয়ে মিডিয়ার ওপর তোপ দাগলেন ওপার বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী; তিনি অবশ্য ভারতীয় সংবাদগুলোকে একরকম সিনেমার সঙ্গেই তুলনা করলেন! সামাজিক মাধ্যমে রসিকতা এবং সমালোচনা করতে করতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন অভিনেতা।

এক ফেসবুক পোস্টে ঋত্বিক লেখেন, ‘আমাদের এখানে নিউজ চ্যানেল গুলো কি ভালো ফিকশান কন্টেন্ট বানাচ্ছে!’

নেটিজেনরাও তার মন্তব্য ঘরে অভিনেতার সঙ্গে তাল মেলান। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘প্রতিটি ছায়াছবির ভিএফএক্স, সঞ্চালকের অভিনয় এবং সাইরেনের আবহসংগীত মন কাড়ছে। আপামর জনগণকে বাংলা নিউজ ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।’ আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘তাও ভিডিও গেম এর ফুটেজ দিয়ে।’

নেটিজেনদের এসব মন্তব্য বেশ উপভোগ করছিলেন ঋত্বিক। তাই তো সমালোচনা বা এই রসিকতা শুধু একটি পোস্টেই সীমাবদ্ধ রাখেননি অভিনেতা। যেমন এক নেটিজেনের মন্তব্য ছিল, ‘বিভিন্ন রকম ওয়ার স্ট্র্যাটেজি থাকে-বাটনটা মিউজিক ডিরেক্টরের হাতে থাকলেই ভালো না? যদিও শ্রোতা – দর্শকদের সমালোচনা করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।’

উত্তরে ঋত্বিকের মন্তব্য, ‘মিউজিক ডিরেকশান আর ভিএফএক্স-এ ক্রিয়েটিভিটির অভাব থাকলেও সঞ্চালকের প্রাণঢালা অতি-অভিনয় মনে রাখবো অনেক দিন।’ আবার অভিনেতার এই মন্তব্যের উত্তরে এক নেটিজেন লেখেন, ‘এবং অতি চিৎকার…’ প্রত্যুত্তরে আরেক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘আর কি স্বরক্ষেপন! মনে হচ্ছে না স্টুডিওতে, যেন খোলা মাঠে খবর শোনাচ্ছে, না চ্যাঁচালে কেউ শুনতে পাবে না।’

আরেক নেটিজেন লেখেন, ‘জল ঘোলা, মাছও প্রচুর, মিডিয়ার দোষ নেই।‘ সেখানেও উত্তর দেন ঋত্বিক। বলেন, ‘জল ঘোলা, প্রচুর মাছ, আর মিডিয়া চন্দনে চোবানো তুলসীপাতা।’

তবে মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ ঋত্বিকের জন্য নতুন নয়। এর আগে মলম বিক্রেতা খ্যাত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের ওপর তোপ দাগিয়েছিলেন অভিনেতা। সামাজিক মাধ্যমে তাকে ‘গাধা’ বলে মন্তব্য করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/১১মে ২০২৫/মওম

আগেই আ.লীগের বিচারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি: সালাউদ্দিন

আলোকিত ডেস্ক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কয়েক মাস আগেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিতভাবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

১১ মে রবিবার দুপুরে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনিস্টিউটে এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন এবং সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাবের ওপর এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে শাহবাগে গিয়ে কথা বলতে হবে কেন। আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কয়েক মাস আগে বিএনপির পরামর্শ আমলে নিলে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ঐতিহাসিক ঘটনাকাল বাংলাদেশে হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার অন্তর্ভুক্ত করায় সরকারকে স্বাগত জানাই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়াতন্ত্র করেছে। দলটির বিচারে যাতে দেশি-বিদেশি কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ শিগগিরই নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে দেশে আবারও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সালাহউদ্দিন।

বড় ভলিউমের সংবিধান থাকলেই সমৃদ্ধ দেশ হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান রোগাক্রান্ত হয়েছে, দলীয়করণ হয়েছে, সেটি সংশোধনের মাধ্যমেই ঠিক করা সম্ভব। গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন নেই।’

আলোকিত প্রতিদিন/১১মে ২০২৫/মওম

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রাজধানীতে পুড়ছে জনজীবন 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা দেখা গেছে, সকাল থেকেই রোদের প্রখরতা বাড়তে শুরু করে। দুপুরের দিকে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। রাস্তায় লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলকভাবে কম। যারা বাইরে বেরিয়েছেন, তাদের অনেকেই মাথায় কাপড় অথবা ছাতা দিয়ে রোদের তাপ এড়ানোর চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা। রিকশাচালক, ভ্যানচালক এবং মজুররা জীবন ও জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। মাথার ওপর রোদ যেন আগুনের মতো পড়ছে। গরমে একদম টিকতে পারছে না মানুষ।

একজন রিকশাচালক বলেন, সকাল থেকে শুধু পানি খাচ্ছি। খেতেও পারছি না, কাজও ছাড়তে পারছি না। রোদে বের হলেই মাথা ঘোরে।

অন্যদিকে, চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকার রাস্তার পাশের ঠান্ডা শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে বেল, লেবু এবং তোকমা শরবতের বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাসস্ট্যান্ডের শরবত বিক্রেতা বলেন, এই গরমে মানুষ ঠান্ডা কিছু খুঁজছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই এক গ্লাসের পর আবারও নিতে চাইছে। সকালে বের হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্রাম নেই। তারপরও বিক্রি বেশ ভালো।

এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। সেজন্য সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা, হালকা খাবার খাওয়া এবং সরাসরি রোদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার কথাও বলছেন তারা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বর্তমানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি বা তার ওপরে রয়েছে। ঢাকায়ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এলাকাভেদে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কাছাকাছি কিংবা ছুঁইছুঁই অবস্থা বিরাজ করছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১১মে ২০২৫/মওম

চীনা যুদ্ধবিমানে রাফাল ভূপাতিত, তাদের প্রযুক্তি নজর কাড়ছে 

গত ৬ মে রাত থেকে ৭ মে ভোর পর্যন্ত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বিমানযুদ্ধ সংঘটিত হয়। আকাশে উঠেছিল প্রায় ১২৫টি যুদ্ধবিমান-সংখ্যার দিক থেকে ভারত ছিল এগিয়ে।

কিন্তু যুদ্ধ শেষে, পাকিস্তান যখন দাবি করে যে তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে-যার মধ্যে ছিল তিনটি অত্যাধুনিক ফরাসি ‘রাফাল’ ফাইটার জেট-তখন পুরো বিশ্বজুড়ে সামরিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এই প্রথম, বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনও রাফাল ফাইটার গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটল।

চীনা প্রযুক্তির বাস্তব পরীক্ষা: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই লড়াইয়ের পর চীন ও পশ্চিমা দেশের সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতের বৃহৎ শক্তির সংঘর্ষে যেসব অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে, তার একটি বাস্তব নমুনা দেখা গেল এই যুদ্ধে। এই সংঘাতের নানা ঘটনাও সামরিক বিশ্লেষকদের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হবে।

রাফাল বনাম চীনা যুদ্ধবিমান:রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) ওল্টার ল্যাডউইগ বলেন, “অনেক বছর পর আমরা সত্যিকারের রাষ্ট্র-ভিত্তিক তথা এক রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক রাষ্ট্রের বিমানযুদ্ধ দেখলাম। এটি শুধু অস্ত্রের পরীক্ষা নয়, একটি যুদ্ধনীতিরও দৃষ্টান্ত।” আকাশযুদ্ধে পাকিস্তানের জে-১০সিই যুদ্ধবিমান ভারতের বিমান বাহিনীর রাফাল ফাইটার জেট ভূপাতিত করেছে -এমন প্রমাণ সামনে আসার পর, চীনের যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চেংদুর শেয়ারদর মাত্র দুইদিনে ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সামরিক মহাকাশ বিভাগের সিনিয়র ফেলো ডগলাস ব্যারি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের বিমান যুদ্ধ সংক্রান্ত সম্প্রদায়গুলো যতটা সম্ভব আসল সত্য- কৌশল, পাল্টা কৌশল, পদ্ধতি, কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল, কোনটা কাজ করেছিল এবং কোনটা করেনি -তা বের করতে অত্যন্ত আগ্রহী হবে।”

চীনের জন্য সেরা বিজ্ঞাপন:যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের চীনা সামরিক বিশ্লেষক ইয়ুন সান বলেন, “বাস্তব যুদ্ধে চীনা প্রযুক্তির এমন সাফল্য বেইজিংয়ের জন্য আনন্দের চেয়ে কম কিছু নয়।” চীনা সামরিক উপকরণ এই প্রথমবার পশ্চিমা অস্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলো -এবং সেখানেও সফল হলো। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো দ্রুত ভারত থেকে যুদ্ধের তথ্য চাইছে -বিশেষ করে জে-১০সিই’র রাডার এবং ইলেকট্রনিক সিগন্যালের ডেটা — যাতে তারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আপডেট করতে পারে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামের অধ্যাপক সুশান্ত সিং বলেন, “এই যুদ্ধ ভবিষ্যতে তাইওয়ান বা অন্য কোনও সংঘাতে কী হতে পারে – তার প্রাথমিক ইঙ্গিতও বটে।”

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সাবেক সম্পাদক হু শিজিন দাবি করেন, “এই লড়াই দেখিয়েছে, চীনের সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন এখন রাশিয়া এবং ফ্রান্সকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাইওয়ানের এখন আরও আতঙ্কিত হওয়া উচিত।”

চীনা পিএল-১৫ মিসাইল: পাকিস্তানের উপপ্রধান বিমান কর্মকর্তা আওরঙ্গজেব আহমেদ নিশ্চিত করেছেন, এই যুদ্ধে পিএল-১৫ ধরনের বিভিআর (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ) মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।

এই মিসাইল, চীনের তৈরি এইএসএ (AESA) রাডারের সাহায্যে মাঝপথে পরিচালিত হয় এবং টার্গেটের কাছাকাছি এলে নিজস্ব রাডার দিয়ে অতি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

একটি “নো-এসকেপ জোন” তৈরি করে এই মিসাইল, যার কারণে শত্রুপক্ষ পালাতে পারে না। চীনা গবেষক ফ্যাবিয়ান হফম্যান বলেন, “এই প্রযুক্তি এমন যে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দেওয়ার পর বিমানটি নিজে পালাতে পারে, কিন্তু মিসাইল টার্গেটে আঘাত হানবেই।”

পাকিস্তান চীনা অস্ত্রের প্রদর্শন মঞ্চ: চীনা সামরিক গবেষক রিক জো বলেন, পাকিস্তান-ভারত এই সংঘর্ষ চীনের জে-১০সি এবং পিএল-১৫ মিসাইলের বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আন্তর্জাতিক কৌশলগত গবেষণা ইনস্টিটিউটের মতে, পাকিস্তানের প্রায় ৮১ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম এখন চীনা এবং তাদের ৪০০টিরও বেশি বিমান বাহিনীর অর্ধেকই চীনা প্রযুক্তি নির্ভর। এক সময় যেখানে চীন পাকিস্তানকে শুধু সাধারণ অস্ত্র দিত, এখন তারা জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং অত্যাধুনিক মিসাইল সরবরাহ করছে।

ভারতের বিপরীতে চীনা জোগান দ্রুত এবং কার্যকর: ভারত যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ, কিন্তু তারপরও তাদের প্রধান সরবরাহকারী রাশিয়া এবং ফ্রান্স সময়মতো দিল্লিকে অস্ত্র সরবরাহ দিতে পারছে না। ফলাফল: ভারত এখনো পুরোনো মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। অথচ চীন পাকিস্তানকে স্বল্প সময়েই আধুনিক জে-১০সি এবং মিসাইল দিয়েছে।

বর্তমানে পাকিস্তানই একমাত্র দেশ -চীন ছাড়া -যারা জে-১০সি যুদ্ধবিমান চালাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি ২০২০ সালে ৩৬টি জে-১০সিই ও ২৫০টি পিএল-১৫ই মিসাইল অর্ডার দেয়। ২০২২ সালে প্রথম ৬টি ডেলিভারি হয়, এখন পর্যন্ত ২০টি সক্রিয় সার্ভিসে আছে।

চীনের জে-১০সি যুদ্ধবিমানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশকারী দেশগুলোর মধ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরও রয়েছে, অন্যদিকে মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান তার বিমান বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য রাফাল ফাইটার জেটের সাথে এর তুলনা করছে বলে জানা গেছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের বার্তা: তবে সব বিশ্লেষকই একমত নন। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. জেমস প্যাটন রজার্স বলেন, “চীনা গণমাধ্যম পড়লে মনে হবে তারা এখন বিশ্বসেরা – কিন্তু একটি সংঘর্ষ দিয়ে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয়।”

তিনি আরও বলেন, “চীনের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হচ্ছে ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার। জে-১০ যুদ্ধবিমান সম্ভবত রাফাল ফাইটার জেটের রাডার নষ্ট করে এবং তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার ফলে পাইলটরা বাধ্য হয় নামতে বা ক্র্যাশ করে।”এই বিষয়টাই পশ্চিমা দেশগুলোকে বেশি ভাবিয়ে তুলবে- কারণ এর অর্থ চীনের প্রযুক্তি রাশিয়ার মতো সীমাবদ্ধ নয়।

বিশ্ববাজারে চীনা অস্ত্রের সম্ভাবনা: রজার্স বলেন, “যেসব দেশ আগে থেকেই চীনা অস্ত্রের দিকে ঝুঁকছিল, তাদের জন্য এই যুদ্ধ একটি চূড়ান্ত প্রমাণ – এখন তারা রাজনৈতিকভাবে আরও সহজে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।”

তবে তিনি আরও বলেন, “অস্ত্র কেনা শুধু প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে না-বরং এটি রাজনৈতিক সম্পর্ক, খরচ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, এসবের মিশ্রণও থাকে।”

তবুও ভারত এবং পাকিস্তানের এই সংঘর্ষে চীনা অস্ত্রের বাস্তব পরীক্ষার ফলাফল সেসব অস্ত্রের ভাবমূর্তি নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল করেছে।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

আলোকিত প্রতিদিন/১১মে ২০২৫/মওম

সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের!

আলোকিত ডেস্ক : সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ শনিবার এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানায়, আজ উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে।

সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

“উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।

আরো জানানো হয়েছে, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে আজ।

আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ঢাকায় আন্দোলন করছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি-সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন।

প্রথমে কর্মসূচির ডাক দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন তিনিসহ অনেকে।

পরে বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠক এই কর্মসূচির সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে তারা।

পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান চলছে। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে শাহবাগে গনজমায়েত কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি, ইসলামী ছাত্র শিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ বা আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

শনিবার রাতে অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আসার পর শাহবাগে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি  

মার্কিন মধ্যস্থতায় বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান!

আলোকিত ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিবেচনা বোধ ও দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!’

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানাই, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টা তিনি ও জে ডি ভ্যান্স শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফও ছিলেন।

অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান—উভয়েই ‘স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করবে’, যা কার্যকর হবে ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার বিকেল ৫টা থেকে।

এ ছাড়া দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই ডিজিএমও আবার আগামী সোমবার দুপুর ১২টার সময় কথা বলবেন বলেও জানান মিশ্রি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি  

এক সিনেমায় ৬ তারকা, মুক্তি ঈদুল আজহায়!

বিনোদন, আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। মুক্তির তালিকায় ইতিমধ্যে অনেকগুলো সিনেমারই নাম শোনা গেছে। এবার সেই লড়াইয়ে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন আরেক সিনেমা। ফ্যামিলি ড্রামা ঘরানার ‘উৎসব’ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসছেন ‘কাইজার’খ্যাত নির্মাতা তানিম নূর।

 

ফ্যামিলি ড্রামা, কমেডি, রোমান্স এবং হররের মিশেলে নির্মিত এই সিনেমার গল্প ঈদকে ঘিরে। চমকপ্রদ বিষয় হলো, সিনেমাটিকে দেখা যাবে এক ঝাঁক তারকাকে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, অপি করিম, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাদিয়া আয়মান, সৌম্য জ্যোতিসহ আরো অনেকেই।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত এবং পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

টানা কয়েকদিনের হামলা পাল্টা হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। দুই দেশই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

যুদ্ধবিরতিটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন “পাকিস্তান সবসময় এ অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করেছে। তবে এক্ষেত্রে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নিয়ে কখনো আপস করিনি।”

অপরদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আজ দুপুরে পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশন্সের মহাপরিচালক ভারতীয় মিলিটারি অপারেশন্সের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়।

তিনি বলেন, “তারা সম্মত হন যে দুই পক্ষ লড়াই এবং স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করবে। যা ভারতীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে কার্যকর হবে। এ চুক্তিটি কার্যকরে দুই পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মিলিটারি অপারেশন্সের মহাপরিচালকরা আগামী ১২ মে ফের কথা বলবেন।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ-এ ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির কথা জানান। তিনি বলেন, দুই দেশ তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।

ট্রুথ-এ তিনি লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ এক রাতের আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি ভারত এবং পাকিস্তান পূর্ণ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেছেন, “নিজেদের সঠিক জ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করায় দুই দেশকে অভিনন্দন।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে একটি নিরপেক্ষ জায়গায় আলোচনায় বসবে।”

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে তিনি লিখেছেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বেঁছে নেওয়ায় আমরা (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং (পাকিস্তানের) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং রাষ্ট্রনায়কত্বের প্রশংসা করি।”

সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/১০মে ২০২৫/মওম

চট্টগ্রামে বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল!

বিশেষ প্রতিনিধি : তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র ডাক দিয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে চলছে বিএনপির তারুণ্য মহাসমাবেশ। শনিবার (১০ মে) বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তামিম ইকবালকে মঞ্চে উঠতে দেখা যায়। এরপর তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার পাশে বসেন তিনি।

মঞ্চে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তামিমকে মঞ্চে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। দুপুর গড়াতেই পলোগ্রাউন্ড মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বিভাগের ৯৯টি উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয়।

আয়োজকরা জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঞ্চ ও মাঠজুড়ে শোনা যাচ্ছে নানা স্লোগান ও উদ্দীপনামূলক সংগীত, যা পুরো এলাকাকে রূপ দিয়েছে এক উৎসবমুখর।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি