আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 471

পাবনায় জুড়া খুনের তিন আসামি গ্রেপ্ততারসহ মালামাল উদ্ধার

মাহবুব আলমঃ
পাবনা ডিবি পুলিশের  অভিযানে চাঞ্চল্যকর চাটমোহর থানার প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং ৩ জন আসামি গ্রেফতার সহ খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয় বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন পাবনা জেলার চাটমোহর থানাধীন দিঘলিয়া গ্রামের  আব্দুর রশিদ গত ৭(সাত) বছর যাবত মালয়েশিয়া থাকেন। প্রবাসি আব্দুর রশিদ এর স্ত্রী ডিসিস্ট লাবনী খাতুন তার বাড়ী নির্মানের জন্য গত কয়েক দিন আগে প্রায় ২৫ হাজার ইট ক্রয় করে এবং ব্যাংক হতে নগদ অর্থ উত্তোলন করে বাড়িতে রাখে। ডিসিস্ট লাবনী খাতুন সহ তার ১০ বছরের ছেলে রিয়াদ গত ইং ২৫/০১/২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে খা্ওয়া দা্ওয়া শেষে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরের দিন সকাল ৮.৩০ টার দিকে ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলা এবং আসবাব পত্র এলোমেলো দেখে সবাই খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে ভিক্টিম লাবনীর মৃতদেহ ছাগল রাখার ঘরে এবং ১০ বছরের ছেলে রিয়াদের মৃতদেহ বাড়ির পাশে পুকুর পারে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চাটমোহর থানার মামলা নং-২২ তারিখ ২৬/০১/২০২৪ইং ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল  কোড ১৮৬০ রজু হয়। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন)জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর তত্ত্বাবধানে এবং নেতৃত্বে ওসি ডিবি এমরান মাহমুদ তুহিন, এসআই (নিরস্ত্র) বেনু রায়,কং/ রিমন হোসেন পিপিএম জেলা গোয়েন্দা শাখা পাবনা সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) গোলাম রসুল সহ উক্ত হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদ্ধঘাটন এবং চুরি হ্ওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামি ১।  সাদ্দাম হোসেন(২৬), ২।  হোসেন আলী(৩৭)এবং ৩। হুমায়ন মিজী @ হৃদয়(২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, আসামী  হোসেন আলী এবং ভিকটিম লাবনী খাতুন একই গ্রামে বসবাস করেন। আসামি হোসেন লক্ষ্য করেন যে, ভিকটিম লাবনী বাড়ি করার জন্য বেশ কিছু নতূন ইট নিয়ে এসেছে এবং ঘটনার ২ দিন আগে ভিকটিম চাটমোহরে গিয়েছিল ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর জন্য। তার ধারণা ছিল ভিকটিমের কাছে বেশ কিছু নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার রয়েছে। এই তথ্যটি সে তার আপন ছোট ভাই সাদ্দাম কে দেয়। সাদ্দামের বাড়ি দিঘলিয়া গ্রামে হলেও সে দীর্ঘদিন যাবত শ্বশুর বাড়ি গোপালগঞ্জে বসবাস করে এবং পেশায় একজন দূর্ধর্ষ চোর এবং ছিনতাইকারী। এই তথ্য পাওয়ার পরে ফরিদপুর জেলায় বসবাস রত আর এক চোর হুমায়ুন কবির @ হৃদয় কে সাথে নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি সকালে ফরিদপুর থেকে রওনা দেয়। আসামি সাদ্দাম এবং হৃদয় টেবুনিয়াতে অবস্থান করে অপর আসামি হোসেন ভিকটিমের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে থাকে। রাত গভীর হলে হোসেন ফোন করে সাদ্দাম এবং হৃদয় কে ডেকে নিয়ে আসে এবং আনুমানিক রাত ১ টার দিকে আসামি সাদ্দাম এবং হৃদয় ডিসিস্ট লাবনী খাতুন এর বসত বাড়ীতে গাছ বেয়ে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে বাহিরে মেইন দরজা খুলে রেখে ঘরের পিছনে টিন কেটে ঢোকার চেষ্টা করলে ভিকটিম ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং কিসের শব্দ ছিল তা জানার জন্য ঘরের দরজা খোলা মাত্রই আসামিরা তাকে ধরে ফেলে এবং কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেরে ফেলে। ইতোমধ্যে তার ১০ বছরের শিশু রিয়াদ ঘুম থেকে উঠেই ভয়ে চিৎকার শুরু করতে থাকলে আসামি সাদ্দাম তাকে পুকুর পাড়ে নিয়ে মাফলার পেঁচিয়ে মেরে ফেলে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রিয়াদের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আসামী সাদ্দাম এবং হৃদয় মিলে পুনরায় ভিকটিমের বাড়ীতে এসে ডিসিষ্ট লাবনী খাতুন এর কোমড়ে থাকা চাবি এবং কানে থাকা স্বর্ণের রিং নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের ট্রাংকে থাকা স্বর্ণের চেইন, হাতের বালা, কানের দুল, দুইজোড়া রুপার নুপুর, রুপার পায়েল নিয়ে বাড়ীর পিছন দিয়ে আসামি হোসেন এর বাড়ীর পিছনে লিচু বাগানে যায় এবং অপর আসামি হোসেন এর সাথে দেখা করে তার কাছে ডিসিষ্ট লাবনী খাতুন এর কানের স্বণের রিং রেখে আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে। আর এভাবেই মাত্র কিছু স্বর্ণ ও টাকার লোভে ২ টি তরতাজা মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় ৩ জন দূর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি  সাদ্দাম হোসেন গত অক্টোবর/২০২২ সালে চাটমোহরের ফৈলযানা এলাকায় একজন সিএনজি ড্রাইভারকে (ইসমাইল) শ্বাধরোধ করে হত্যা করে সিএনজি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল আসামী ছিল। এ মামলায় সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা বিচারাধীন আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নাম ঠিকানা: ১।  সাদ্দাম হোসেন (২৬), পিতাঃ মোজাম আলী ওরফে মোজাম্মেল, সাং-ধুপুলিয়া, থানাঃ চাটমোহর, জেলাঃ পাবনা এর বিরুদ্ধে  চুরি, হত্যা সহ একাধিক মামলা আছে। ২।  হোসেন আলী (৩৭), পিতাঃ মোজাম আলী ওরফে মোজাম্মেল, সাং-ধুপুলিয়া, থানাঃ চাটমোহর, জেলাঃ পাবনা। ৩।  হুমায়ন মিজী ওরফে হৃদয়(২৮), পিতাঃ  মোস্তাফা মিজী, সাং-খানখানাপুর দত্তপাড়া, থানাঃ রাজবাড়ী এর বিরুদ্ধে চুরি,দসুত্যা সহ একাধিক মামলা আছে। উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনা: ১। একটি স্বর্ণের চেইন (১২ আনা) ২। একজোড়া হাতের বালা ৩। একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল (৬ আনা) ৪। একজোড়া স্বর্ণের কানের রিং। ৫। দুই জোড়া রুপার নুপুর (৮ ভরি) ৬। একটি রুপার পায়েল। ৭। নগদ ৩০,০০০/- হাজার টাকা। ৮। আসামিদের ব্যবহৃত ০৩ টি মোবাইল ফোন। ৯। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত টিন কাটার কেচি। ১০। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মাফলার এবং ওড়না।
আলোকিত প্রতিদিন/১ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

গাইবান্ধায় ৩ ইটভাটায় ২১ লাখ টাকা জরিমানা 

রানা ইস্কান্দার রহমান:
পলাশবাড়ীতে ইট ভাটার ছাড়পত্র না থাকা, ভাটা সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সমস্যার কারণে ৩টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলো হচ্ছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকার নজেল মিয়ার এমসিবি ব্রিকস, পাশের বাদশা মিয়ার বিবিএফ ব্রিকস ও দোকানঘর এলাকার টিপিএল ব্রিকস। এর মধ্যে এমসিবি ব্রিকসকে ৮ লাখ, টিপিএল ব্রিকসকে ৭ লাখ ও বিবিএফ ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ইট ভাটাগুলোকে এ জরিমানা করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৩১ জানুয়ারি ২৪/মওম

লোহাগড়া থানার আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতবিনিময় সভা 

জাহিদুল হক রনি:
নড়াইলের লোহাগড়ায় আইন- শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায়ের উদ্যোগে লোহাগড়া  উপজেলার সকল  ইউনিয়ন পরিষদ ও বিট কার্যালয়ে ধারাবাহিক ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান, বিট কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী, গ্রাম পুলিশ,সমাজকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লোহাগড়া উপজেলার ১ নং নলদী ইউনিয়ন পরিষদ হতে শুরু হয়ে ২নং লাহুড়িয়া ইউনিয়ন,০৫ নং লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন, ১২ নং কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে আইন- শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ধারাবাহিক ভাবে লোহাগড়া উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়ন পরিষদেই  এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সভা গুলোতে লোহাগড়া থানার আওতাধীন এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দমন, অপরাধ দমন, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে জিরো টলারেন্স, অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতির ঘটনা এবং বিচ্ছিন্ন ছোট বড় ঘটনা নিয়ে বড় ধরনের কোন ঘটনা বা নাশকতা যাতে না ঘটতে পারে এই ধরনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।  এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, লোহাগড়া থানার আওতাধীন এলাকার সার্বিক আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সমুন্নত রাখার জন্য আমি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি। এ পর্যন্ত যে সকল ইউনিয়ন পরিষদে সভা করেছি, সেখানে উপস্থিত সকলে তাদের এলাকায় মাদক, চুরি-ডাকাতি, মারামারি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানান বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। যা থেকে আইন- শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। আমি আমার বক্তব্যে, সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন- শৃংখলা রক্ষা করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি এবং সভা গুলোতে উপস্থিত সবার সমন্বয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। তিনি আরও বলেন,আমাদের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ মেহেদী হাসান মহোদয়ের নির্দেশনায়  এই থানার আওতাধীন এলাকায় অপরাধ দমনের লক্ষ্যে লোহাগড়া থানা পুলিশ  আন্তরিক ও নিরলসভাবে  কাজ করে যাচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি ২৪/মওম

জামালপুরে শেখ হাসিনা নকশী পল্লী বাতিলের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

রাশেদুল ইসলাম:
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই স্লোগান কে সামনে রেখে জামালপুরে শেখ হাসিনা নকশী পল্লী বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাজারো কৃষক। জামালপুর পৌরসভার ১০  নং ওয়াড চন্দ্রা এবং চর  চন্দ্রা মৌজা ও মেলান্দহ উপজেলা ৭ নং চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের চরবানি  পাকুরিয়া ও চর পলিশা মৌজার, কৃষকদের ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে শেখ হাসিনা নকশী পল্লী নামে একটি বৃহৎ প্রকল্প স্থাপনের কাজ হাত নিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য কৃষকদের এই মানববন্ধ ,মঙ্গলবার সকাল  ১১ টার সময় চরবানী পাকুরিয়া এই এলাকার জমির মালিকেরা মানববন্ধন  করেছেন  মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন জমির মালিকের পরিবারের সদস্যরাও এই প্রকল্পের জন্য দুটি উপজেলার ঐ চারটি মৌজায় ৩০০ একর ভুমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ইতি মধ্যে বিগত ২০২১/২০২২ অর্থবছরের প্রকল্পটির ভুমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে দুই দফা নোটিশ পাঠানো হয়। জমির মালিকদের কাছে এই প্রকল্পটির সম্পর্কে জানাজানি হওয়ার পর থেকে কৃষি আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার গভীর হতাশায় স্থানীয় হাজারো কৃষক । আমরা কৃষকেরা সবাই এই জমি অধিগ্রহণ না করার জন্য জামালপুরে জেলা প্রশাসক কে মৌখিকভাবে অনুরোধ করার পরেও প্রশাসন থেকে দুই দফায় ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ পাওয়ার পর জমির মালিক কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা তিন ফসলি আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কাই রয়েছে। কৃষকদের পক্ষে মুরাদুজ্জামান মুরাদ  বলেন আমাদের এ তিন ফসলি কৃষি জমিতে আমরা নকশী পল্লী হতে দিবো না, এই জমিতে সব ধরনের ফসল হয়। এই জমিগুলোতে  চাষাবাদ করে হাজারো কৃষকের রিজিকের ব্যবস্থা হয়। এই জমিতে নকশী পল্লী স্থাপন হলে আমরা কোথায় যাব কোথায় থাকবো কি খাবো কি নিয়ে বাঁচবো। কৃষকদের পক্ষ থেকে  একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমানের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।  এ সময় জেলা প্রশাসক  শফিউর রহমান বলেন আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর  স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি স্মারকলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠিয়ে দিব। আর আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে উর্দ্ধতনদের অবগত করবো এ বলে স্থানীয়দের আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি ২৪/মওম

মাধবপুরে গাঁজা পাচারকালে অটোরিকশা চালক গ্রেফতার

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু:
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিনব কায়দায় ধানের কুড়ার বস্তায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪০ কেজি গাঁজা পাচারকালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৮ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানার এসআই সুজন শ্যাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড কিবরিয়া চত্বরের পশ্চিম পাশে এলাকার নাছির নগর রোডের  নতুন রাস্তার কাছ থেকে ধানের কুড়ার বস্তায় করে  ৪০ কেজি গাঁজা পাচারের কালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অটো রিকশা চালক রমজান আলী (৩৫), সে আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের আবেদ আলী ছেলে।  এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন আলোকিত প্রতিদিনকে  জানান, গাঁজা উদ্ধার কালে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত গাঁজা পাচারকারী বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি ২৪/মওম

কুমিল্লা উত্তর জেলা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন

প্রতিনিধি,দেবিদ্বার :

৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বাসকপ) এর কুমিল্লা উত্তর জেলার কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন  দৈনিক করতোয়া’র চান্দিনা প্রতিনিধি ওসমান গনি। উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের দেবিদ্বার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার উপাধ্যক্ষ এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম’কে সভাপতি ও দৈনিক সংবাদ ও আমাদের কুমিল্লার চান্দিনা প্রতিনিধি অধ্যাপক মাসুমুর রহমান মাসুদ’কে সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর দেবিদ্বার প্রতিনিধি মো: নাজমুল হাসান কে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এছাড়া কমিটিতে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. ওসমান গনি কে সিনিয়র সহ-সভাপতি, দৈনিক রুপসী বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা ও ডেইলি মর্নিং অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সুমন এবং ফখরুল হাসান ভুইয়া কে সহ-সভাপতি, মো. দুলাল আহমেদ, মো. নাঈম সরকার, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. আবদুল বাতেন ও মো. আলাউদ্দিন কে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মো. সাকিব, রায়হান উদ্দিন রুবেল, দৈনিক আজকের কুমিল্লা’র চান্দিনা প্রতিনিধি মো. শরীফুল ইসলাম, শাহ সাহিদ উদ্দিন সহ একাধিক  সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন, অর্থ সম্পাদক শাহ পরান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাজী খোরশেদ আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তার, আইটি সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান নাহিদ, সহ-আইটি সম্পাদক আবদুল্লাহ সামি, প্রচার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শামীমুল ইসলাম, সমাজ কল্যান সম্পাদক মো. আবদুল কাইয়ুম ভূইয়া, প্রকাশনা সম্পাদক রাফাত আহম্মদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ জালাল, আন্তর্যাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল আলীম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশেদুল আল-আমীন সরকার, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মো. শামীম আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ইবরাহীম ভূইয়া, সদস্য মো. পারভেজ আহমেদ ভূইয়া, সোহেল সরকার, মো. মাহমুদুল হাসান ভূইয়া ও আবদুল্লাহ আল মামুন। এদিকে, নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়ায় কুমিল্লা উত্তর জেলা বাসকপ এর নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বাসকপ) এর চেয়ারম্যান এটিএম মমতাজুল করিম, উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, মহাসচিব মোঃ ছালেহ আহম্মদ ও অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ আল—আমিন শাওন সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা বাসকপ এর নতুন কমিটিকে স্থানীয় সাংবাদিক সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি ২৪/মওম

কক্সবাজারে পতিত বনভূমিতে সবুজ বনায়ন সৃজন করেছেন বনবিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জে পতিত বনভূমিতে বন উজাড়ের ৩০ বছর পর পর্যাক্রমে নতুন ভাবে সবুজায়ন করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া, ঘিলাতলি ও জঙ্গল গর্জনিয়া মৌজা এলাকায় প্রায় ৭৬৫ হেক্টর পতিত বনভুমিতে রোপন করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির ২০ লাখ চারা গাছ। বনায়নকে ঘিরে এলাকার তিন হাজারের অধিক দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বনপ্রাণীর বাসস্থান নষ্ট, জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতা রোধে পতিত সব বনভুমিকে পর্যাক্রমে সবুজায়নের পাশাপাশি বননির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্প জীবিকার উদ্যোগ নেয়া হবে। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, ঘিলাতলি ও জঙ্গল গর্জনিয়া মৌজার বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো গাছপালাকে কেটে বন উজাড় করেন বনদস্যুরা। এতে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট, জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতা সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাগুলোর খুব বেশি ভূমিক্ষয় ও পতিত জমিতে পরিণত হয়। এভাবে প্রায় ৩০ বছর পেরিয়ে যায়।

তিনদশক পর ওই পতিত বনভুমিতে নতুন করে বন সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সুফল নামে প্রকল্পের আওতায় বাঘখালী বিটের উখিয়ার ঘোনা ও থিমছরিতে ৩০০ হেক্টর, যার বরাদ্দ ৪৪ লাখ টাকা, ঘিলাতলি বিটের বেলতলিতে ৩৫০ হেক্টর যার বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা, কচ্ছপিয়া বিটের নদীর পশ্চিমকুল ও দুছরি এলাকায় ১১৫ হেক্টর যার বরাদ্দ ১৬ লাখ টাকা সহ মোট ৭৬৫ হেক্টর জমিতে বনায়ন সৃজন করা হয়েছে।

স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, নার্সারী সৃজন, জঙ্গলকাটা, চারারোপন, বাগান রক্ষনাবেক্ষণ ও বাগান পাহারায় স্থানীয় জনগোষ্টির ৪৯০ জন মানুষের ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে । এখাতে ৪৯০ জন শ্রমিক পারিশ্রমিক হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছে। যা তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহে উপকৃত হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা। ঘিলাতলি বন বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান জানান, চারাগাছ গুলো দিনদিন বেড়ে উঠছে। ঔষুধি গাছ বাগানের সর্বত্র দেখা মেলে। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে বিলীন হওয়া বনে পুনরায় বনায়ন সৃজনও সঠিক পরিচর্যায় কারণে সর্বত্র চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।

বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান বলেন, দেশীয় প্রজাতির গামারী, চিকরাশ, অর্জুন,আমলকি, হরতকি, বহেরা, কদম, কৃষ্ণচুড়া, বট, সোনালো, চাপালিশ, গর্জন, শাল,নিম সহ ২৮ প্রজাতির প্রায় ২০ লাখ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বন বিভাগের পতিত জায়গাতে সবুজ বনাঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে সৃজিত বনায়নে দুই বার উডিং করা হয়েছে।এর আগে বনায়নে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কারও অর্জন করেছে। সুফল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই-তিন বছরের মধ্যে কক্সবাজারে ন্যাড়া ও পতিত পাহাড় আর দেখা যাবে না ।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বনসংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষে বননির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্পজীবিকার সংস্থানসহ নানান উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বনের উপর মানুষের চাপ কমে আসবে। সুফল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধির কয়েক লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ। সুদীর্ঘ পথচলায় ২০২০ সালে সফল ‘বনায়ন’ এ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা। এধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

৩০ জানুয়ারি ২০২৪

নেত্রকোণার পূর্বধলায় চোরাই মোটরসাইকেল ও চোলাইমদসহ আটক ৪

শহীদুল ইসলাম রুবেল

চোরাই মোটরসাইকেলসহ নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় মোটরসাইকেল চোর দুইজন ও একইসাথে পয়ত্রিশ লিটার চোলাইমদ বিক্রেতা নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। মোটরসাইকেল দুই চোর হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ মোবারক ও নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার মোঃ গোলাম রব্বানী’র ছেলে মরম আলী। অপরদিকে চোলাইমদসহ আটক মাদক বিক্রেতারা হলেন, পূর্বধলা উপজেলার গোয়ালাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকার নমিতা রবি দাস ও চয়ন রবি দাস। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল ও চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়। এসব উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

৩০ জানুয়ারি ২০২৪

শিবচরে ট্রেনের ধাক্কায় ঝরে প্রাণ গেলো ১ জনের

মোঃ রাশেদুল ইসলাম

উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের ভাস্যমতে নিহত ব্যক্তি অনেক দিন ধরেই শিবচরের পাঁচ্চর, কুতুবপুর এলাকায় ঘুরাফিরা করতো। তার নাম-পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মধুমতি এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন পদ্মা রেল ষ্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় নিহত লোকটি রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলো বলে স্থানীয় লোকজন জানান। মূহুর্তের মধ্যেই মুখের অংশে ধাক্কা লেগে ছিটকে লাইন থেকে ৩০ ফুট নীচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পদ্মা রেল ওয়ে ষ্টেশন মাস্টার খাইরুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে এসে পদ্মা ষ্টেশনের কাছাকাছি আসলে টানা হুইসল শুনতে পান তাঁরা, পরে জানতে পান এক ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে। তবে, স্থানীয়রা এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৮ ঘন্টা করে ৩ সিপ্টিতে আনসার বাহিনী ২৪ ঘন্টা এই ট্রেন লাইনে ডিউটি করে, তারপরও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানা যায় না, এখানে আনসারদের অবহেলা রয়েছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা জানার পরেও দুপুর ১টা থেকে রাত্র ৯ পর্যন্ত লাশটি দূর্ঘটনাস্থলেই পরেছিলো।

অত্র এলাকায় রেলওয়ে পুলিশ না থাকায় লাশটি এভাবে দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিলো বলে কর্তৃপক্ষ জানান। পরে রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের এস আই তাছির এর নেতৃত্বে এবং শিবচর থানার একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে রাত ১০ টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা সায়েদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বলেন, লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। এই এলাকা দিয়েই ঘুরাফিরা করতো। দুপুরে ট্রেনলাইনে হাঁটাহাঁটি করছিলো, ট্রেনের ধাক্কায় আজ সে মারা গেল! উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ইং ইব্রাহিম নামের এক তরুণের একইভাবে মৃত্যু হয়। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩০ জানুয়ারি ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মাঝে সংঘর্ষ, আহত ৭

মোঃ জিয়াউল ইসলাম 

গভীর বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মারামারি কে ডাকাতি রুপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রলারের জেলেদের (ঠুয়া) বিরুদ্ধে। একই ট্রলারের স্টাফদের মধ্য নিজেরা মারামারি করে সাত জন গুরুতর আহত। পরবর্তীতে এই মারারমারি কে ডাকাতি করতে বলা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সত্য ঘটনাকে অন্যদিকে চালিয়ে দেওয়া চেস্টা করেছেন সহকারী মাঝি বেলাল অভিযোগ মাঝি জয়নালের। এঘটনায় আহত সাতজনকে সোমবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধা ৭টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী।

জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্যঘাট থেকে পাথরঘাটার আলম মোল্লার মালিকানাধীন এফবি শাহ্ মোহসেন আউলিয়া-৩ ট্রলারটি ১৭ মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যায়। এর মধ্যে ট্রলারের মাঝি জয়নালের নেতৃত্বে ৯ জন ও সহযোগী মাঝি বেলালের নেতৃত্বে ঠুয়া চুক্তি সাপেক্ষ্যে ৬ জন জেলে সাগরে যায়।

সহযোগি মাঝি বেলাল জানান, আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় জয়নাল মাঝি ট্রলারে থাকা সবাইকে ডাকাতি করার কথা বলে। এতে ট্রলারে থাকা অন্যরা প্রস্তাবে রাজি নাহলে তাদের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয় এবং মাঝি ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রলার চালিয়ে পাথরঘাটার দিকে যায়। বিষখালী নদী সংলগ্ন নিশান বাড়িয়া নামক স্থানে পৌছালে মাঝি ট্রলার মালিক আলম মোল্লাকে ডাকাতির করতে রাজি না হওয়ায় কথা জানালে আলম মোল্লা ১০/১৫ জনসহ আরেকটি ট্রলার নিয়ে আমাদের ট্রলারে এসে জেলেদের মারধর করে। অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল মাঝি গনমাধ্যম কে বলেন ট্রলারে জেলে ঘাটতি থাকায় বেলালের নেতৃত্বে একট্রিপে প্রতি জেলে চার হাজার টাকার চুক্তিতে (ঠুয়া) ৬ জেলে সহ মোট ১৭ জেলে নিয়ে সাগরে যাই।

যাওয়ার পর থেকেই ঐ ছয়জন অস্বাভাবিক আচরণ করতে ছিল। রবিবার সাগরে ফালানো জাল উঠানোর সময় জাল ছিড়ে যায়। ঐ জাল জেলেদের টানতে বললে ঐ ছয় জেলে জাল টানতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বেলাল আমার গলায় দাও ধরে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ঘাটের দিকে ট্রলার চালাতে বলে। পরে রবিবার বিকেলে নেটওয়ার্কের মধ্যে এসে মালিককে জানালে তার আরেক ট্রলার কাছাকাছি থাকায় তারা আমাদের সহযোগিতা করে।

ট্রলার মালিক আলম মোল্লা বলেন, জাল টানা নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তাদের সমাধান করে দিয়ে উভয়দের রেফ কাগজে লিখিত রেখে মিলিয়ে দিয়েছি। পরে কারো পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমার ট্রলারের মুল জেলেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী জানান, সাগরে জাল টানা নিয়ে জেলেদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়েছে। রবিবার রাতে উভয়ের বক্তব্য শুনে মিলমিশ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কতেক জেলে ডাকাতির প্রস্তাবের নাটক সাজাচ্ছে বলে জানান আবুল হোসেন ফরাজী।

পাথরঘাটা থানা তদন্ত ওসি সাইফুজ্জামান বলেন, বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত দেয়নি।

৩০ জানুয়ারি ২০২৪