পাবনায় জুড়া খুনের তিন আসামি গ্রেপ্ততারসহ মালামাল উদ্ধার
গাইবান্ধায় ৩ ইটভাটায় ২১ লাখ টাকা জরিমানা
লোহাগড়া থানার আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতবিনিময় সভা
জামালপুরে শেখ হাসিনা নকশী পল্লী বাতিলের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন
মাধবপুরে গাঁজা পাচারকালে অটোরিকশা চালক গ্রেফতার
কুমিল্লা উত্তর জেলা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন
প্রতিনিধি,দেবিদ্বার :
৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বাসকপ) এর কুমিল্লা উত্তর জেলার কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক করতোয়া’র চান্দিনা প্রতিনিধি ওসমান গনি। উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের দেবিদ্বার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার উপাধ্যক্ষ এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম’কে সভাপতি ও দৈনিক সংবাদ ও আমাদের কুমিল্লার চান্দিনা প্রতিনিধি অধ্যাপক মাসুমুর রহমান মাসুদ’কে সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর দেবিদ্বার প্রতিনিধি মো: নাজমুল হাসান কে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এছাড়া কমিটিতে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. ওসমান গনি কে সিনিয়র সহ-সভাপতি, দৈনিক রুপসী বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা ও ডেইলি মর্নিং অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সুমন এবং ফখরুল হাসান ভুইয়া কে সহ-সভাপতি, মো. দুলাল আহমেদ, মো. নাঈম সরকার, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. আবদুল বাতেন ও মো. আলাউদ্দিন কে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মো. সাকিব, রায়হান উদ্দিন রুবেল, দৈনিক আজকের কুমিল্লা’র চান্দিনা প্রতিনিধি মো. শরীফুল ইসলাম, শাহ সাহিদ উদ্দিন সহ একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন, অর্থ সম্পাদক শাহ পরান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাজী খোরশেদ আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তার, আইটি সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান নাহিদ, সহ-আইটি সম্পাদক আবদুল্লাহ সামি, প্রচার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শামীমুল ইসলাম, সমাজ কল্যান সম্পাদক মো. আবদুল কাইয়ুম ভূইয়া, প্রকাশনা সম্পাদক রাফাত আহম্মদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ জালাল, আন্তর্যাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল আলীম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশেদুল আল-আমীন সরকার, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মো. শামীম আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ইবরাহীম ভূইয়া, সদস্য মো. পারভেজ আহমেদ ভূইয়া, সোহেল সরকার, মো. মাহমুদুল হাসান ভূইয়া ও আবদুল্লাহ আল মামুন। এদিকে, নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়ায় কুমিল্লা উত্তর জেলা বাসকপ এর নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বাসকপ) এর চেয়ারম্যান এটিএম মমতাজুল করিম, উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, মহাসচিব মোঃ ছালেহ আহম্মদ ও অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ আল—আমিন শাওন সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা বাসকপ এর নতুন কমিটিকে স্থানীয় সাংবাদিক সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কক্সবাজারে পতিত বনভূমিতে সবুজ বনায়ন সৃজন করেছেন বনবিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জে পতিত বনভূমিতে বন উজাড়ের ৩০ বছর পর পর্যাক্রমে নতুন ভাবে সবুজায়ন করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া, ঘিলাতলি ও জঙ্গল গর্জনিয়া মৌজা এলাকায় প্রায় ৭৬৫ হেক্টর পতিত বনভুমিতে রোপন করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির ২০ লাখ চারা গাছ। বনায়নকে ঘিরে এলাকার তিন হাজারের অধিক দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বনপ্রাণীর বাসস্থান নষ্ট, জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতা রোধে পতিত সব বনভুমিকে পর্যাক্রমে সবুজায়নের পাশাপাশি বননির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্প জীবিকার উদ্যোগ নেয়া হবে। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, ঘিলাতলি ও জঙ্গল গর্জনিয়া মৌজার বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো গাছপালাকে কেটে বন উজাড় করেন বনদস্যুরা। এতে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট, জৈব বিন্যাসের ক্ষতি ও অনুর্বরতা সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাগুলোর খুব বেশি ভূমিক্ষয় ও পতিত জমিতে পরিণত হয়। এভাবে প্রায় ৩০ বছর পেরিয়ে যায়।
তিনদশক পর ওই পতিত বনভুমিতে নতুন করে বন সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সুফল নামে প্রকল্পের আওতায় বাঘখালী বিটের উখিয়ার ঘোনা ও থিমছরিতে ৩০০ হেক্টর, যার বরাদ্দ ৪৪ লাখ টাকা, ঘিলাতলি বিটের বেলতলিতে ৩৫০ হেক্টর যার বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা, কচ্ছপিয়া বিটের নদীর পশ্চিমকুল ও দুছরি এলাকায় ১১৫ হেক্টর যার বরাদ্দ ১৬ লাখ টাকা সহ মোট ৭৬৫ হেক্টর জমিতে বনায়ন সৃজন করা হয়েছে।
স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, নার্সারী সৃজন, জঙ্গলকাটা, চারারোপন, বাগান রক্ষনাবেক্ষণ ও বাগান পাহারায় স্থানীয় জনগোষ্টির ৪৯০ জন মানুষের ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে । এখাতে ৪৯০ জন শ্রমিক পারিশ্রমিক হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছে। যা তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহে উপকৃত হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা। ঘিলাতলি বন বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান জানান, চারাগাছ গুলো দিনদিন বেড়ে উঠছে। ঔষুধি গাছ বাগানের সর্বত্র দেখা মেলে। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে বিলীন হওয়া বনে পুনরায় বনায়ন সৃজনও সঠিক পরিচর্যায় কারণে সর্বত্র চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান বলেন, দেশীয় প্রজাতির গামারী, চিকরাশ, অর্জুন,আমলকি, হরতকি, বহেরা, কদম, কৃষ্ণচুড়া, বট, সোনালো, চাপালিশ, গর্জন, শাল,নিম সহ ২৮ প্রজাতির প্রায় ২০ লাখ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বন বিভাগের পতিত জায়গাতে সবুজ বনাঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে সৃজিত বনায়নে দুই বার উডিং করা হয়েছে।এর আগে বনায়নে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কারও অর্জন করেছে। সুফল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই-তিন বছরের মধ্যে কক্সবাজারে ন্যাড়া ও পতিত পাহাড় আর দেখা যাবে না ।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বনসংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষে বননির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্পজীবিকার সংস্থানসহ নানান উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বনের উপর মানুষের চাপ কমে আসবে। সুফল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধির কয়েক লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ। সুদীর্ঘ পথচলায় ২০২০ সালে সফল ‘বনায়ন’ এ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা। এধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪
নেত্রকোণার পূর্বধলায় চোরাই মোটরসাইকেল ও চোলাইমদসহ আটক ৪
শহীদুল ইসলাম রুবেল
চোরাই মোটরসাইকেলসহ নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় মোটরসাইকেল চোর দুইজন ও একইসাথে পয়ত্রিশ লিটার চোলাইমদ বিক্রেতা নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। মোটরসাইকেল দুই চোর হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ মোবারক ও নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার মোঃ গোলাম রব্বানী’র ছেলে মরম আলী। অপরদিকে চোলাইমদসহ আটক মাদক বিক্রেতারা হলেন, পূর্বধলা উপজেলার গোয়ালাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকার নমিতা রবি দাস ও চয়ন রবি দাস। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল ও চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়। এসব উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪
শিবচরে ট্রেনের ধাক্কায় ঝরে প্রাণ গেলো ১ জনের
মোঃ রাশেদুল ইসলাম
উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের ভাস্যমতে নিহত ব্যক্তি অনেক দিন ধরেই শিবচরের পাঁচ্চর, কুতুবপুর এলাকায় ঘুরাফিরা করতো। তার নাম-পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মধুমতি এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন পদ্মা রেল ষ্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় নিহত লোকটি রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলো বলে স্থানীয় লোকজন জানান। মূহুর্তের মধ্যেই মুখের অংশে ধাক্কা লেগে ছিটকে লাইন থেকে ৩০ ফুট নীচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পদ্মা রেল ওয়ে ষ্টেশন মাস্টার খাইরুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে এসে পদ্মা ষ্টেশনের কাছাকাছি আসলে টানা হুইসল শুনতে পান তাঁরা, পরে জানতে পান এক ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে। তবে, স্থানীয়রা এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৮ ঘন্টা করে ৩ সিপ্টিতে আনসার বাহিনী ২৪ ঘন্টা এই ট্রেন লাইনে ডিউটি করে, তারপরও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানা যায় না, এখানে আনসারদের অবহেলা রয়েছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা জানার পরেও দুপুর ১টা থেকে রাত্র ৯ পর্যন্ত লাশটি দূর্ঘটনাস্থলেই পরেছিলো।
অত্র এলাকায় রেলওয়ে পুলিশ না থাকায় লাশটি এভাবে দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিলো বলে কর্তৃপক্ষ জানান। পরে রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের এস আই তাছির এর নেতৃত্বে এবং শিবচর থানার একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে রাত ১০ টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা সায়েদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বলেন, লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। এই এলাকা দিয়েই ঘুরাফিরা করতো। দুপুরে ট্রেনলাইনে হাঁটাহাঁটি করছিলো, ট্রেনের ধাক্কায় আজ সে মারা গেল! উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ইং ইব্রাহিম নামের এক তরুণের একইভাবে মৃত্যু হয়। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪
বঙ্গোপসাগরে মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মাঝে সংঘর্ষ, আহত ৭
মোঃ জিয়াউল ইসলাম
গভীর বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মারামারি কে ডাকাতি রুপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রলারের জেলেদের (ঠুয়া) বিরুদ্ধে। একই ট্রলারের স্টাফদের মধ্য নিজেরা মারামারি করে সাত জন গুরুতর আহত। পরবর্তীতে এই মারারমারি কে ডাকাতি করতে বলা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সত্য ঘটনাকে অন্যদিকে চালিয়ে দেওয়া চেস্টা করেছেন সহকারী মাঝি বেলাল অভিযোগ মাঝি জয়নালের। এঘটনায় আহত সাতজনকে সোমবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধা ৭টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী।
জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্যঘাট থেকে পাথরঘাটার আলম মোল্লার মালিকানাধীন এফবি শাহ্ মোহসেন আউলিয়া-৩ ট্রলারটি ১৭ মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যায়। এর মধ্যে ট্রলারের মাঝি জয়নালের নেতৃত্বে ৯ জন ও সহযোগী মাঝি বেলালের নেতৃত্বে ঠুয়া চুক্তি সাপেক্ষ্যে ৬ জন জেলে সাগরে যায়।
সহযোগি মাঝি বেলাল জানান, আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় জয়নাল মাঝি ট্রলারে থাকা সবাইকে ডাকাতি করার কথা বলে। এতে ট্রলারে থাকা অন্যরা প্রস্তাবে রাজি নাহলে তাদের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয় এবং মাঝি ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রলার চালিয়ে পাথরঘাটার দিকে যায়। বিষখালী নদী সংলগ্ন নিশান বাড়িয়া নামক স্থানে পৌছালে মাঝি ট্রলার মালিক আলম মোল্লাকে ডাকাতির করতে রাজি না হওয়ায় কথা জানালে আলম মোল্লা ১০/১৫ জনসহ আরেকটি ট্রলার নিয়ে আমাদের ট্রলারে এসে জেলেদের মারধর করে। অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল মাঝি গনমাধ্যম কে বলেন ট্রলারে জেলে ঘাটতি থাকায় বেলালের নেতৃত্বে একট্রিপে প্রতি জেলে চার হাজার টাকার চুক্তিতে (ঠুয়া) ৬ জেলে সহ মোট ১৭ জেলে নিয়ে সাগরে যাই।
যাওয়ার পর থেকেই ঐ ছয়জন অস্বাভাবিক আচরণ করতে ছিল। রবিবার সাগরে ফালানো জাল উঠানোর সময় জাল ছিড়ে যায়। ঐ জাল জেলেদের টানতে বললে ঐ ছয় জেলে জাল টানতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বেলাল আমার গলায় দাও ধরে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ঘাটের দিকে ট্রলার চালাতে বলে। পরে রবিবার বিকেলে নেটওয়ার্কের মধ্যে এসে মালিককে জানালে তার আরেক ট্রলার কাছাকাছি থাকায় তারা আমাদের সহযোগিতা করে।
ট্রলার মালিক আলম মোল্লা বলেন, জাল টানা নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তাদের সমাধান করে দিয়ে উভয়দের রেফ কাগজে লিখিত রেখে মিলিয়ে দিয়েছি। পরে কারো পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমার ট্রলারের মুল জেলেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী জানান, সাগরে জাল টানা নিয়ে জেলেদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়েছে। রবিবার রাতে উভয়ের বক্তব্য শুনে মিলমিশ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কতেক জেলে ডাকাতির প্রস্তাবের নাটক সাজাচ্ছে বলে জানান আবুল হোসেন ফরাজী।
পাথরঘাটা থানা তদন্ত ওসি সাইফুজ্জামান বলেন, বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত দেয়নি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪