আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 472

রাঙ্গুনিয়ায় ২টি অস্ত্রসহ গ্রেফতার এক

মীর সালাহউদ্দীন: 
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী,ডাকাত,ধর্ষক,দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী,খুনি, ছিনতাইকারী,অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র,গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ইং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন উত্তর ঘাটচেক এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সরোয়ার আলম (৪৪), পিতা- মৃত বশির আহাম্মদ (কমান্ডার বশির)গ্রাম-উত্তর ঘাটচেক, থানা-রাঙ্গুনিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ তার হেফাজতে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে বলে স্বীকার করতঃ,তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাশের সেমিপাকা ঘরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় তার নিজ হাতে বের করে দেয়া দেশীয় তৈরী ০২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ০২ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,গ্রেপ্তারকৃত আসামি একজন সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ী। রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে তার অস্ত্র এবং মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে মারধর, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে। উল্লেখ্য সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামি মোঃ সরোয়ার আলমের নামে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া এবং চাদগাঁও থানায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক,ডাকাতি, ছিনতাই,চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ০৮ মামলার তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

টিআরপি নিয়োগ বাতিলের স্থগিত আদেশ চেম্বার কোর্টে বহাল

এম এইচ চৌধুরীঃ
সিভিল মিস চ্যালেঞ্জ পিটিশন প্রসেসিং ১১ জর্জ চেম্বার কোর্ট (CMP Judge in Chamber court)এর অ্যাপীলাত ডিভিশন এ টিআরপি রীট শুনানিতে পূর্বের অর্ডার বহাল রেখে এসআর নং-২০৭-আইন/আয়কর-০২/২০২৩ তারিখ ২৬ জন ২০২৩ এর অর্থাৎ টেক্স রিটার্ন পেপার (Tax Return Preparer TRP) বিধি মালা এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ টেক্স লয়ার’স এ্যাসোসিয়েশন (Bangladesh Tax Lawyers Association BTLA) এবং ঢাকা টেক্স বার এ্যাসোসিয়েশন (Dhaka Taxes Bar Association DTBA) যৌথভাবে একটি লিখিত আবেদন (Writ Petition) মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করেন। যার নম্বর ২৭৪/২০২৪ তারিখ ১০-১-২০২৪। মহামান্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত Writ Petition শুনানি অন্তে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৪ সপ্তাহের জন্য Rule Nisi ইস্যু করে এবং ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়। মহামান্য হাইকোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে Civil Miscellaneous Petition (CMP) দায়ের করেন। মহামান্য আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করে রবিবার ২৮শে জানুয়ারী দুপুরে চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ প্রদান করেন। এর ফলে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী আবেদন আহবানের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম আপাতত স্থগিতই থাকছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মাননীয় এটর্নি জেনারেল এডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও এডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় মঞ্জুরুল হক প্রমুখ। রিটে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ারস এসোসিয়েশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী কর আইনজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ ইকবাল মোস্তফা, ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডঃ বি এন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুজ্জামান খান দিপু, সহ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ও সাবেক ট্রেজারার, সৈয়দ জাফরুল হাসান অপু প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

প্রবাসে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রায়পুরার সুমন

পারভেজ মোশারফ:
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মোঃ সুমন মিয়া(৪০) নামে এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আহত সুমন নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। এ খবর পাওয়ার পর থেকেই সুমনের স্বজনদের কান্না থামছে নাহ। পরিবার এবং নিজের ভাগ্য বদলাতে ২০১৫ সালে কলিং ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান সুমন। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে মোটর সাইকেলে চড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয় সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর থেকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়ে যায় সে। হাসপাতালের বকেয়া পরিশোধ করে উন্নত চিকিৎসা নিতে গুনতে হচ্ছে অনেক টাকা। পরিবারটি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় এই বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্ত্রী আশামনি এবং সন্তানরা বলছেন সুমনের অবস্থা উন্নত হচ্ছেনা, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। স্বজনদের কাছ থেকে লোন করে ইতোমধ্যে কিছু টাকা পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়ায় তার কোন নিকট আত্মীয় না থাকার কারনে সেবা করে তার চিকিৎসা বা খরচ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুমন মিয়ার কিছু হলে তার পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে।
‘বাবা মারা গেলে এতিম হয়ে যাবো। আর বাবা ডাকতে পারবো না। বাবাকে বাঁচাতে একটু সহযোগিতা কামনা করেন তার ছেলে সাইফুল ইসলাম৷
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

রংপুরে দুদকের মামলায় হাবিবুরের ৯ বছরের সাজাসহ ২৮ লাখ টাকা জরিমানা

নুরুন্নবী নুরু:
গাইবান্ধা পোস্ট অফিসের কর্মচারী হাবিবুর রহমানকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালত ৯ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২৮ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এই রায় দেন। রায় ঘোষণার কালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। মামলা জানা যায়, আসামি হাবিবুর রহমান গাইবান্ধা পোস্ট অফিসে চাকরি কালীন সময় ভুয়া সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ ছাড়াও তিনি অবৈধভাবে তিন তলা বাড়ি, ৪৫ বিঘা জমি  এবং সন্তানদের নামে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে অঢেল সম্পদের মালিক হন তিনি। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করে। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক বীরকান্ত রায় বাদী হয়ে দুদক আইনে এই মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আসামি হাবিবুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৩শ ৯১ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ বলেন, আসামি পোস্টাল অপারেটর হিসেবে চাকরি করা কালীন বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ায় সাক্ষ্য প্রমাণে তা প্রমাণিত হয়েছে , তাই আদালত তার বিরুদ্ধে এ রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

প্রেম করে বিয়ে অতঃপর স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা 

প্রতিনিধি,নোয়াখালী: 
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে এক স্বামী আত্মহত্যা করেছে।  প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।  তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। নিহত মেহেদী হাসান শুভ (২০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে ও  তামান্না ইসলাম পিনু (১৬) পৌর এলাকার লিটনের মেয়ে। স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াও সম্পর্কে  তারা খালাতো ভাই-বোন ছিল। ২৯ জানুয়ারি সোমবার ভোরে নোয়াখালী পৌরসভার বসুন্ধরা কলোনী কচি ডাক্তারের বাসায় দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খালাতো ভাই-বোন প্রেম করে গত এক বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। ওই বাসায় নিহত তামান্নার মা ও ভাই থাকতেন। সোমবার সকালে তাদের কক্ষ থেকে শুভ ও তামান্নার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা-পুলিশ তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়,স্বামী শুভ প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে অবশেষে নিজে ফ্যনের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।  সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী শুভ প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে অবশেষে নিজে ফ্যনের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

নাগেশ্বরীতে স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী কারাগারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

জি এম রাশেদুল ইসলাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী সত্য চন্দ্র শীল সপ্তাহখানেক আগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।  ২৭ জানুয়ারি শনিবার রাতে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে,  ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে কুড়িগ্রাম কারাগারের ভেতরে সত্য চন্দ্র শীল নিজ শরীরে আগুন দেন বলে দাবি করেছেন জেলার আবু ছায়েম। তিনি বলেন, ‘কারা হাসপাতালের পেছন দিকে উত্তর পাশে নিজ শরীরে আগুন দেন সত্য চন্দ্র শীল। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল হয়ে রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি।’ কারাবন্দি অবস্থায় আসামি নিজ শরীরে আগুন দেওয়ার সুযোগ পাওয়া প্রশ্নে জেলার বলেন, ‘সম্ভবত সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে সে লুকিয়ে নিজ শরীরে আগুন দেয়। আমাদের কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’ কারারক্ষীদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে জেলার বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তিন জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জেল সুপার মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘আসামি নিজেই শরীরে আগুন দিয়েছে। আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। কারাবন্দি আসামি অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’গত  ২১ জানুয়ারি রবিবার ভোররাতে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কবিরের ভিটা গ্রামে নিজ ঘরে গৃহবধূ লতা রানীকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী সত্য চন্দ্র শীল কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন তাদেরই দুই ছেলে। গৃহ বধুর ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ। ২৬ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত সত্য চন্দ্র শীল ঘটনার পর পালিয়ে যান। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশের সহায়তায় সীমান্ত এলাকায় তার ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন (২২ জানুয়ারি) আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সত্য চন্দ্র শীল পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

জর্ডানে হামলার জন্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীকে বাইডেনের কড়া হুঁশিয়ারি 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছেন বাইডেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। বাইডেন  বলেন, জর্ডানে ড্রোন হামলা সম্পর্কে আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করছি তবে আমার ধারণা ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী এ হামলা চালাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এই সন্ত্রাসবাদের হিসাব রাখব এবং কোনও সন্দেহ নেই যে এই হামলার প্রতিশোধ নেব। রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন বলেন, এই হামলার একমাত্র উত্তর হতে হবে ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সামরিক প্রতিশোধ। জর্ডান তার একটি সামরিক সাইটে  এই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে নিন্দা করে বলেছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সীমান্ত প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করছে। আম্মানের একজন সরকারি মুখপাত্র দাবি করেছিলেন হামলাটি জর্ডানের মাটিতে নয় বরং সীমান্তের ওপারে সিরিয়ায় একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হয়েছে।  মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, হামলায় নিহত তিন জন ছাড়াও ২৫ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে এটিই প্রথম মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ২৪/মওম

কাশিমপুরে গোল্ডেন লাইফ স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

মোত্তাসিম সিকদার রাজীব: 
বিজ্ঞান হোক সবার,বিজ্ঞানের বিস্ময় পৌঁছে যাক ঘরে ঘরে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুরের কাশিমপুরে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি রবিবার মহানগরীর কাশিমপুরের ৪ নং ওয়ার্ডের সুলতান মার্কেট এলাকায় গোল্ডেন লাইফ স্কুল এন্ড কলেজে এই বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় মেলায় চতুর্থ শ্রেণীর দশম শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২০ টি প্রদর্শনী স্টল এর আয়োজন করা হয়।এছাড়াও মেলায় মহানগরীর বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,সৌর জগতের পরিচয়,ভূমিকম্প সতীকরণ প্রযুক্তি,সৌর প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন,এলপিজি গ্যাস তৈরি,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও রকেট তৈরি,বায়ু গ্যাস,পানি চক্র তৈরি,বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন,বাড়ি বস্তু উঠান নামার জন্য ক্রেন তৈরি,বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী জীবন ধারণ, সৌরজগতের গঠন এর কার্যক্রম, প্রত্যাশিত নগর, পরিবেশ সুরক্ষার মডেল, বর্জ্য পদার্থ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উন্নত স্বাস্থ্য প্রকল্প, স্মার্ট সিকিউরিটি, সৌর চুল্লি, স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের চিন্তা ভাবনা, স্মার্ট এন্ড ডিজিটাল বাংলাদেশ, ট্রেনে অগ্নি নির্বারক প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়। উক্ত মেলায় প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব  কাজী আতাউর রহমান,গোল্ডেন লাইফ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাজী আব্দুস সালাম মিয়া এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহ এলাকার মুরুব্বিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

নেত্রকোণায় জানাযা পড়ে ফেরার পথে হামলার শিকার

তানজিলা আক্তার রুবি:
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার শুনুই ইউনিয়নের স্বল্পশুনুই গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেবের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন শুনুই ইউনিয়নের মনসুরপুর গ্রামের   ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমন। পরে জানাযা শেষে জানাযা প্রাঙ্গনের  স্বল্পশুনুই গ্রামের স্বল্পশুনুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রাহাত বিশ্বাস পিতাঃ আক্কাস বিশ্বাস ও সোহেল পিতাঃ মৃত লালচান মিয়া স্বল্পশুনুই গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমনকে অর্তকিত হামলা করে। এসময় তার কাছ থেকে মানিব্যাগ, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অতর্কিত হামলাকারীদের উপর চরাও হলে পরে রাহাত বিশ্বাস ও তার ১০/১২জন সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায় জানাযায় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কোন মুসলমান করতে পারে না। আমাদের মানসম্মান সব নষ্ট করে দিয়েছে। এ ঘটনায় মরহুমের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এমন ন্যক্কারজনক  কাজে শুধু আমাদের পরিবারের মানসম্মান খুন্ন হয়নি গ্রামের সকল মানুষের মানসম্মান হানি হয়েছে। আজ যদি আমার বাবা মারা না যেতেন তাহলে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমন আমার বাড়িতে আসতেন না। ইমন খন্দকার আমার ভাগিনা হয়। তাই সে আমার বাবার মৃত্যুর কথা শুনে এসেছে। রাহাত এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা করবে আমি কখনো আশা করিনি। তাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক আমি চাই। এলাকাবাসী আরো জানায় আমরা গ্রামের সকল মানুষ নিয়ে বিষয়টি বসে সমাধানের জন্য একটি গ্রাম্যশালিস ডেকেছি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে এবং করব। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা রাহাত বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে  তিনি বলেন, মানিব্যাগ, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভূল । হাতাহাতি হয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন ছয় মাস আগে খন্দকার  ইমন তার নিজ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে বাজে পোস্ট ও কমেন্ট করে তার প্রতিবাদে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে হাতাহাতি হয় ।পরে তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। এ বিষয়ে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি 

মো: মহিদ :
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জননেতা মাহাবুবুর রহমান জনি। তিনি বর্তমানে দ্বিতীয় বারের মত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও।  চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়টি তিনি তার একান্ত এক সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাধারণ জনগণের উৎসাহ অনুরোধে ও অভিভাবকসম সিনিয়র নেতাকর্মীদের পরামর্শে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।  সাধারণ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে। এই উপজেলার সকল ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা ঘাট, বাড়িঘর ও মানুষের সাথে শৈশব থেকেই আমার নিবিড় সম্পর্ক । রাজনৈতিকভাবে অনেক আগে থেকেই ইউনিয়ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও জনগনের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। অসংখ্য নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর  বিজয়ে আমরা দৃশ্যমান অবদান রেখেছি। ঘিওর উপজেলা নির্বাচনেও বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি।  মাহাবুবুর রহমান জনি ২০০৩ সনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ও সেই কমিটি ২০১০ সন পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয়। ১৯৯৫ সনে স্কুল ছাত্রবস্থায় ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন তিনি। একাধারে তিনি সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত এজিএস. জেলা ছাত্রলীগের সদস্য,  সভাপতি, জেলা আওয়ালীগের সদস্য ও  সর্বশেষ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামীলীগের চরম দুঃসময়ে ছাত্ররাজনীতিতে ত্যাগী নেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তিনি। প্রবীন এই ছাত্রনেতা ছাত্রলীগের নেতৃত্বকালীন সময়ে মামলা হামলা ও প্রশাসনিক হয়রানীর স্বিকার হয়ে ২ বার কারা বরণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম