আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 520

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

রানা ইস্কান্দার রহমান:
মহান বিজয় দিবস আমাদের জন্য এক গৌরবময় ও আনন্দের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। এই বিজয়ের জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন লাখো শহীদ। তাদের প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। অদ্য সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় গাইবান্ধার জেলার শাহ্ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার আয়োজনে বিজয় দিবসের ‘কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠান’-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র জেলার  পুলিশ সুপার  মোঃ কামাল হোসেন । সম্মানিত পুলিশ সুপার  জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ, ডিসপ্লে উপভোগ ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন  কাজী নাহিদ রসুল, জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা সহ জেলার সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (প্রশাসন ও অর্থ), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্),  জনাব আবদুল্লাহ আল-মামুন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল), জনাব ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) সহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

ধামরাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

মাসুদ রানা:
ঢাকার ধামরাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। শনিবার সকালে ধামরাইয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত মঞ্চে ২১বার তোপধ্বনি এবং শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে  শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাজওয়ার আক্রাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান। এরপর ধামরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাকম্যান্ড  কাউন্সিলের  পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান খান ও সঙ্গীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মালেক ও দলীয় নেতা কর্মী, বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের পক্ষে ধামরাই থানা পুলিশ,বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি সদস্যদের পক্ষে ধামরাই থানা আনসার ভিডিপ, ধামরাই উপজেলা পরিষদের পক্ষে   প্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান  এডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার  নুর রিফাত আরা ও  অন্যান্য ডাক্তারগ, ধামরাই উপজেলা   প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক  শামীম খানের নেতৃত্বে  প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকগণ  বীর শহীদ  স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও  শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এরপর ধামরাই পৌর শহরের  অদূরে কালামপুর বাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে  শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। শহিদ বুদ্ধিজীবী,ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও সকাল ৮টায় ধামরায় হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে  আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে  মূল অনুষ্ঠান শুরু হয। এতে সভাপতিত্ব করেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন   ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্ত। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য ও ধামরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম এ মালেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সম্পর্কিত  স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব  বেনজির আহমদ। এরপর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক ত্রিপিটক পাঠ, অতিথিদের বরাণ, ৬ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১১ শহীদ    বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা  ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় চলে   কুচকাওয়াজ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের  নানা ধরনের ডিসপ্লে প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সকল মসজিদ, মন্দির ও গীর্জা সহ সকল উপশনালয়ে  জাতীয় সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও  মোনাজাত ও  করা হবে। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাতব্যাপী চলবে দেশসেরা কন্ঠ শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সফল ও সার্থক করতে ব্যাপক পুলিশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এব্যাপারে  ধামরাই থানার ওসি অপারেশন নির্মল চন্দ্র দাস বলেন বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মনোজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে পুলিশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

আজ মহান বিজয় দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার । বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের অনুভূতি সব সময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও, বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের জন্য। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের এই স্বাধীনতা। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের অনুভূতি সব সময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও, বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের জন্য। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের এই স্বাধীনতা।

গভীর শ্রদ্ধার সাথে সারাদেশে মহান বিজয় দিবস পালিত :

নেত্রকোনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত:

প্রতিনিধি,নেত্রকোনা:

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদমুক্ত, সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধা সরকারী, সায়িত্বশাসিত এবং বেসরকারী ভবন ও স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬ টায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে ও স্মৃতিসৌধে সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৮টায় নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার বিডিপি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু কিশোরদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। সকাল ১১টায় স্থানীয় পাবলিক হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান এবং দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জ ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বেলা ২টায় হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও সরকারী শিশু পরিবারে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়। বিকাল ৩টায় নেত্রকোনা কালেক্টরেট ন্কুল প্রাঙ্গণে মহিলাদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে মোক্তারপাড়া মাঠে প্রবীনদের হাটা প্রতিযোগিতা, বিকাল ৪টায় মোক্তারপাড়া মাঠে মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা, কিড্ডি কিংডম পার্কে বিনা টিকিটে শিশুদের বিনোদন, সন্ধ্যা ৬টায় পাবলিক হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত:
জি এম রাশেদুল ইসলাম:
কুড়িগ্রামেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।এ উপলক্ষে শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু করে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠানে কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে সর্বস্তরের মানুুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে  কুচকাওয়াজ ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লের আয়োজন করা হয়। সেখানে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শান্তির পায়রা ও বেলুুন উড়িয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ। এরপরে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম। এ কুচকাওয়াজ ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লেতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এর আগে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ,পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম,পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম,জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন,সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু,অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু,কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক প্রমুখ।
কাশিয়ানীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন:
আশরাফুজ্জামান:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন। আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মহান বিজয় দিবস নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় । বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্ধনির মধ্য দিয়ে সকাল ৬.৩০ মিনিটের সময় উপজেলা চত্বর ও কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং ৭.৩০ মিনিটের সময় ,ভাটিয়াপাড়া ও ফুকরা বদ্ধভূমিতে  উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তক অর্পণ করে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল), আ.লীগ সভিপতি,সাধারণ সম্পাদক,  ভাইসচেয়ারম্যান ও ওসিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ৮ টায়  জিসি পাইলট স্কুল মাঠে  পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ  কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। পরে একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা  সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কাশিয়ানি উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, কাশিয়ানী জেলা আ.লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিয়া,  সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম।এসময় আর ও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মিলন সাহা, কাশিয়ানী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন সিকদার,দেশের সূর্য সন্তান যোদ্ধা ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইগাতীতে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত:
সাদ্দাম হোসেন:
নানা আয়োজনের মধ্যেদিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে শনিবার প্রত্যুষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় উৎসব পালন করা হয়। সকাল আট টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সহকারি কমিশনার (ভুমি) আশরাফুল কবীর, ওসি বছির আহমেদ বাদল। পরে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনছার সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদে কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ শারীরিক কসরত সহ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধের সন্মাননা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মুক্তিযোদ্ধাগণ, উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলী বেগম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সহ গণমাধ্যমকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত: 
মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে  সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের ফারুকী পার্ক অবস্থিত  স্মৃতি সৌধ চত্বরে তোপধ্বনীর মাধ্যমে কর্মসূচীর সূচনা করা হয় । পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন , ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা, বিভিন্ন শ্রেণী প্রেশার মানুষ একে একে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া বিভিন্ন  সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী পেশা মানুষও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এর বাইরেও দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
বেলকুচিতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস:
আতিকুর রহমান: 
যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তলনের মধ্যদিয়ে কুচকাওয়াজ র‍্যালি নিত্য পরিবেষণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকালে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্যানেল ১ রত্না হান্নান, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী সেখ, বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান, তদন্ত ওসি আহসানুল হক, বেলকুচি ভূমি কমিশনার শিবানী সরকার, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী দেলখোশ আলী প্রামানিক, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব গাজী সাইদুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা, বেলকুচি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, সোহাগপুর এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল রেজা, বেলকুচি উপজেলা প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন, কৃষি কর্মকর্তা সুকন্ত সূত্রধর ,বড়ধুল ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা, ২ নং রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সনিয়া সবুর আকন্দ সহ মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ প্রশাসন সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী ও হাজার হাজার দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত: 

মাইনুল হাসান মজনু:

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর শনিবার প্রথম প্রহরে সারিয়াকান্দি পাবলিক মাঠে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। এছাড়াও সকাল ৬.১০ মিনিটে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তাবক অর্পন করেন, সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ তৌহিদুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম (মন্টু) , পৌর মেয়র মতিউর রহমান (মতি) , উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল করিম (মন্টু) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক দুলু, সারিয়াকান্দি মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃহারুনুর রশিদ, বিভিন্ন সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন। পুষ্পাবক অর্পণ শেষে সকাল ৮.২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ-সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাধবপুরে নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন:

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু:

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে উদযাপন করা হচ্ছে মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর। দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির শুরুতেই শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১বার তপ্পোধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এরপর প্রথমে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মাহবুব আলী এমপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাহাত বিন কুতুব, ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিম, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক গণ উপস্থিত ছিলেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে উপজেলার মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রাথমিক স্তরে গংগানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিসপ্লে প্রদর্শনে ১ম স্থানে পুরস্কৃত হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয়, জয় বাংলা বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আরও একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ‘৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুনের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলিদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। অবশেষে নয় মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পালিত হলো ৫৩ তম বিজয় দিবস

প্রতিনিধি, দেবিদ্বার:

১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের সবচেয়ে আনন্দের দিন। একটি স্বাধীন, একটি জাতির পরিচয়, বীরত্বের এক অবিস্মরণীয়, স্বার্বভৌম দেশ প্রাপ্তির দিন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশ নামের নতুন এক রাষ্ট্রের। বাঙালি জাতি বিশ্বকে জানিয়েছিল আপন অস্তিত্ব। ব্যাপক আনন্দ আর উৎসবের মধ্য দিয়ে জাতি এবার পালন করলো ৫৩ তম বিজয় দিবস। জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেছে ৩০ লক্ষ শহীদকে, যাদের রক্তের বিনিময়ে অবসান ঘটেছিল পাকিস্তানি শাসনামলের। শনিবার দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয়ের ৫৩ বছরে দিনব্যাপী ছিল সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচি। ভোরের প্রথম প্রহরে বীর শহীদদের প্রতি ফুলের পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল নিয়ে উপস্থিত হন দেবিদ্বার উপজেলা মধ্যে বঙ্গবন্ধু মোড়ালের সামনে। শীতের কুয়াশা ঠেলে একের পর এক শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবীসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। দেবিদ্বার এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠান। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ছিলো স্বাধীনতার অবস্থান নাট্য চিত্র উপস্থাপন, বিকালে আয়োজন করা হয় প্রতি ফুটবল খেলা, উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে আয়োজন করা হয় গানের অনুষ্ঠান, ছিলো নাট্য চিত্র সেরা বিজয়ীদের জন্য পুরষ্কার বিতরন এবং  উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশেষ সম্মাননা। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপি, জনাবা নিগার সুলতানা (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) দেবীদ্বার সার্কেল এএসপি শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান। মো: রায়হানুল ইসলাম (সহকারী কমিশনার- ভূমি), মো: নয়ন মিয়া (অফিসার ইনচার্জ- দেবিদ্বার), মোঃ ফখরুল ইসলাম (দেবিদ্বার  পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা), হাজী আবুল কাশেম ওমানি (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা  চেয়ারম্যান), জনাবা এডঃ নাজমা বেগম (উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান), জনাব রোশন আলী মাস্টার (সেক্রেটারি- কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামিলীগ), শিরিন সুলতানা (সভাপতি- কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ), একেএম সফি উদ্দিন আহমেদ (সভাপতি- দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগ),  জনাব মোস্তফা কামাল চৌধুরী (সেক্রেটারি- দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগ), জনাব সাইফুল ইসলাম শামীম ( পৌর মেয়র), সেচ্ছাসেবক লীর এর সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন রুবেল সহ আরো অনেক নেতাকর্মী। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান বাহিনীর ৯১ হাজার ৬৩৪ জন সদস্য লেঃ জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজির নেতৃত্বে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তান কারাগারে বন্দী। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত মুজিবনগর সরকার নয় মাস যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয়টি সেক্টরে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল মুক্তিবাহিনী। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের কোনো মিল ছিল না। সে কারণে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাঙালিকে আলাদা অবস্থানের নির্দেশ দেন। ছাত্র জনতা সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে পথ চলা শুরু করে। এরপরই পাকিস্তানি বাহিনী ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাঙালিরাও। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়।”

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

মানিকগঞ্জে বেলুন ফুলানোর সময় সিলেন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১

মো: মহিদ:
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের বেলুন ফুলাতে এসে মানিকগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে আনোয়ার ব্যপারী (৫০) নামের এক বেলুন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। ১৬ ডিসেম্বর শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় এই ঘটনাটি ঘটে। এসময় নিহতের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনতালার উপরে গিয়ে পড়ে। আনোয়ার বেপারীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে মারা যান। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিল হোসেন। নিহত মো.আনোয়ার ব্যাপারী ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার আরোকান্দি গ্রামের কাওসার ব্যাপারীর ছেলে। তিনি বেলুন ব্যবসায়ী ছিলেন। আহত ব্যক্তি হলেন কবির হোসেন (২৩)। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামের আতর আলীর ছেলে। সে জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মানিকগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, ভোরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচ তলায় ওই দুই বেলুন বিক্রেতা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য বেলুন ফুলাচ্ছিল। এসময় সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে এক জন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন বলে জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

মোসাদের এজেন্টের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান

সূত্র: রয়টার্স

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল

আলোকিত ডেস্ক:

মহান বিজয় দিবসে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি করছে বিএনপি। শনিবার দুপুর ২টা পরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই র‌্যালি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। শেষ হবে মালিবাগ গিয়ে। এই র‌্যালিতে অংশ নিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের পদচারণায় নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে। ইতিমধ্যে নয়াপল্টনে নেমেছে নেতাকর্মীদের ঢল। এসময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন। এদিকে র‌্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য কার্যালয়ের সামনে লাগানো হয়েছে মাইক। আর সমাবেশের জন্য পিকআপ ট্রাকের উপর তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। এদিকে বিজয় র‌্যালিকে ঘিরে নয়াপল্টনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন অলি-গলিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ সিট ভাগাভাগি করছে : মঈন খান

আলোকিত ডেস্ক:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল কী হবে কাগজে-কলমে তা আগেই লেখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল কাগজে-কলমে লেখা হয়ে গেছে। ৭ তারিখে শুধু সেই ফলাফল ঘোষণা করবে সরকার। কাজেই এটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি তফসিল ঘোষণা করেছে। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচনে তারা প্রকাশ্যে সকল লজ্জা ভুলে গিয়ে দর কষাকষি করে সিট ভাগাভাগি করছে। এটার নাম তো গণতন্ত্র হতে পারে না। যদি সিট ভাগাভাগি করে এমপি নির্ধারিত হয় তাহলে তো এই নির্বাচন ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়েছে। শনিবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে আমরা কোন বিজয় উদযাপন করতে আসছি তা বর্তমান সরকারকে তুলে ধরতে হবে। এটা কিসের বিজয়, এটা কী এক দলীয় শাসনের বিজয়, নাকি একনায়কতন্ত্র শাসনের বিজয়? এখানে এমন একটি সরকার চলছে যারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, যারা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। মঈন খান বলেন, আজ থেকে ৫২ বছর আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য। এই কারণে কী করেছিল? তারা করেছিল গণতন্ত্রের জন্য, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। এই কথা ভুলে গেলে চলবে না। আজকে আ.লীগ এই দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধংস করেছে। আজ ৫২ বছর পরে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই প্রশ্ন করতে হবে যে, আওয়ামী লীগ যদি দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাহলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশের একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার কায়েম করেছে। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, সেই কারণে রাজপথে আছি। মঈন খান আরও বলেন, মিথ্যা মামলা-হামলা এবং ভুয়া গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার বিগত ছয় সপ্তাহে আমাদের ২৩ হাজার লোককে কারারুদ্ধ করেছে। এসব ভুয়া মামলা দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করে এই দেশে তারা থাকতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে তারা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে তারা এক এগারোর ভুয়া মামলা দিয়ে বিদেশে রেখেছে। তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না৷ আজকে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা জানে যে এই দেশে কোন রকমের ধোঁকাবাজি করে কেউ সরকারে থাকতে পারবে না। আগামীতে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অপসারিত করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, সেলিমা রহমান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আলোকিত ডেস্ক:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ৯ পদাতিক ডিভিশন-এর জিওসি, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক। তারপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম

বগুড়ার প্রথম কমিউনিটি রেডিও “রেডিও মুক্তি ৯৯.২ এফএম” এর ১যুগ পূর্তি পালন

মাজেদুর রহমান,ব্যুরো চীফঃ

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বগুড়ার প্রথম কমিউনিটি রেডিও “রেডিও মুক্তি ৯৯.২ এফ এম” এর ১যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান। ১৫ডিসেম্বর ২০২৩,শুক্রবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে ১যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান। রেডিও মুক্তি’র স্টেশন ম্যানেজার ও সিনিয়র উপস্থাপক আরিফ চৌধুরির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার।বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়ার সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার রাজাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক পরিমল প্রসাদ রাজ। অনুষ্ঠানে ২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রেডিও মুক্তি ৯৯.২ এফ এম এর সাথে যুক্ত সকল অনুষ্ঠান সঞ্চালকদের সনদ প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১২জনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি