আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 525

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে : রিজভী

আলোকিত ডেস্ক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে আর ইসি তাতে শেষ পেরেক ঠুকতে চাচ্ছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। কোনো পরিপত্র জারি করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। এবার জনগণ বিজয় নিশ্চিত করেই ঘর ফিরবে। বিএনপিসহ সমমনা সকল বিরোধী দলের ডাকা ১১তম ধাপের ৩৬ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন সকালে একটি মিছিল রাজধানীর মতিঝিলে আরামবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে নটরডেম কলেজের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণের মাধ্যমে কালভার্ট রোডে গিয়ে শেষ হয়। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী। এসময় নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধ নির্বাচন কমিশনাররা ইসিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনে পরিণত করেছে। তাদের ভাবখানা দেখলে মনে হচ্ছে তারা গোটা দেশের মালিক হয়ে গেছে। এখন তারা দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারেও হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে। বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে নানা ফরমুলা বের করার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা তো জনগণের ন্যায্য দাবি। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ার, মো. শাহ আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী, হাজী আনোয়ার হোসেন, হাজী আবু বকর সিদ্দীক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. বাকিবিল্লা ও দক্ষিণের সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এইচ এম হোসেন ও মহানগর দক্ষিণের নেতা শাহাদত হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদেক মিয়া, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন প্রধান, ঢাকা মহানগর ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, উজ্জ্বল ফরাজি হিরু প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

বাংলাদেশে ভোটাধিকার ইস্যুতে সম্পৃক্ত রয়েছে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বাংলাদেশে ভোটাধিকার ইস্যুতে জাতিসংঘ অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। একইসঙ্গে কোনও ধরনের হয়রানি এবং ভীতি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এই মন্তব্য করেন। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ৬ সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপায়েরেন্সেস (আইসিএইডি)-সহ ছয়টি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষায় দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তথাকথিত নির্বাচনের আগে শাসকগোষ্ঠী সমগ্র দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার এবং ভোটাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি এবং আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের জন্য আহ্বান জানাতে থাকব, যেখানে কোনও ধরনের ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই যেন বাংলাদেশের সকল নাগরিক ভোট দিতে পারে। ওই সাংবাদিক বাংলাদেশে শ্রম অধিকার নিয়ে পৃথক প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শ্রম অধিকারের বিষয়ে আলাদা বিবৃতি দিয়েছে। আপনি জানেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছেন। অথচ সরকার তাদের ওপর আক্রমণ করছে এবং তারা তাদের বেতনও পাচ্ছেন না। এসময় ডুজারিক তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, আমি এটি দেখিনি। এ বিষয়ে আমি আপনাকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করব। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হওয়ায় এক যৌথ বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ওই ছয় সংগঠন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের (আরএফকেএইচআর) ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলো হলো, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস (আরএফকেএইচআর), ক্যাপিটল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (সিপিজেপি), দ্য ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম (ইউএটিসি), এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস (এএফএডি), অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন) ও ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস (আইসিএইডি)। বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের সমন্বিত বিক্ষোভ-সমাবেশের পর চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। এই দমনপীড়নে একজন সাংবাদিকসহ ১৭ জন নিহত ও ৮ হাজার ২৪৯ জন বিরোধী নেতা আহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে পুলিশ, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনা জবাবদিহি এবং যে পরিস্থিতি সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটিয়েছে, সেসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীন তদন্তের তাগিদ দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নির্বিচারে এবং অত্যধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠি, রাবার বুলেট এবং অনুরূপ হাতিয়ার ব্যবহারে সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। পুলিশের সরঞ্জামের অপব্যবহার মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ধরনের সরঞ্জামের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার কেবল নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না, বরং উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলার মতো এমন এক ধরনের পরিবেশ তৈরি করে; যা ভিন্নমত, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং গণতান্ত্রিক সংলাপের ভিতকে দুর্বল করে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর ২৩/মওম

এখন গরুর মাংসে ৬০০ টাকাতেই মুনাফা

আলোকিত ডেস্ক:

উচ্চমূল্যে গরুর মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ার পর এখন দ্রুত কমে আসছে দাম। যে বিক্রেতারা ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতেন, হাজির করতেন নানা যুক্তি, সেই তারাই এখন ৬০০ টাকা বা তার চেয়ে কমে বিক্রি করে পোষাতে পারছেন। ক্রেতারা বলছেন, ‘অতিরিক্ত মুনাফার ফাঁদে’ পড়েছেন বিক্রেতারা। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন তারা দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে এখন ‘ক্রেতার ঐক্য’ চেয়ে জোর আলোচনা। আহমেদ ফয়েজ নামের একজন মাংসের দোকানে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারির ছবি শেয়ার করে ফেইসবুকে লিখেছেন, আজ গরুর মাংসের দোকানগুলোতে খুব চাপ। কোথাও কোথাও লম্বা লাইন। দীর্ঘদিন পর মাংস খাবে বহু মানুষ। মাংস ব্যবসায়ীদের সমিতির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে চাহিদা কমে যায়, তাই বাধ্য হয়ে এখন দাম কমাতে হচ্ছে। খামারিদের একজন নেতা জানান, গরুর মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ার পর গত কয়েক মাসে গরুর খাবারের দামও অনেকটাই কমেছে। এ কারণে খামারিদের উৎপাদন খরচ কমায় তারা কম দামে বাজারে গরু ছাড়ছেন। এটাও মাংসের দাম কমার এক কারণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর নিত্যপণ্যের দরে ঊর্ধ্বগতির যে ধারা দেখা দিয়েছিল তাতে ভুগতে থাকা দেশবাসী চলতি নভেম্বর থেকে কিছুটা স্বস্তিতে আছে। মাছ, সবজি, ডিম ও মাংসের দাম কমে আসছে। এর মধ্যে গরুর মাংসের দরপতন নিয়ে এই মুহূর্তে তুমুল আলোচনা। এখন রীতিমত দাম কমানোর ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে। আটশ টাকা থেকে কমাতে কমাতে কোথাও এখন কেজি ৬০০ কোথাও ৫৯০, কোথাও ৫৮০। বিক্রেতারা সাইনবোর্ড টানাচ্ছেন, ব্যানার সাঁটিয়েছেন, ফেইসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। তবে এখনও কোনো কোনো এলাকায় বাড়তি দরে বিক্রির চেষ্টা চোখে পড়ছে। সুপার শপগুলোতেও দাম অনেকটাই বেশি। গরুর মাংসের চাহিদা বাংলাদেশে কখনও কম ছিল না। কিন্তু দাম ৭৫০ বা ৮০০ টাকা হয়ে যাওয়ার পর স্বল্প আয়ের মানুষদের পক্ষে তা নিয়মিত কেনা সম্ভব ছিল না। গণমাধ্যমেই প্রতিবেদন আসতে থাকে, যে দোকানে দিনে চারটি গরু বিক্রি হত, সেই তারাই একটি গরুর মাংস বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছিল। এখন দাম কমে আসার খবরে তারা আবার মাংসের বাজারে ভিড় করতে শুরু করছেন। এখন দাম কমার পর বিক্রি বেড়েছে, তাই লাভ হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি। এখন যারাই দাম কমিয়েছেন, তাদেরই বিক্রি ভালো হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, অবশ্যই লাভ হচ্ছে। লাভ সীমিত হচ্ছে, অনেক বেশি সেল হচ্ছে, সেজন্য পোষায়া যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান মনে করেন, দাম আরও কমা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি ৫০০ টাকার নিচে হওয়া উচিত। গরুর মাংসের দরপতনে কমছে খাশি ও মুরগির দামও। খাশির কেজি হাজারের নিচে নেমেছে, আর ব্রয়লার এখন পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। মাছের দামও এখন পড়তি। সরকার দাম বেঁধে যে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করতে পারেনি, এখন তা নেমেছে ১২০ টাকার নিচে। দাম যেভাবে বেড়েছিল : ২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে গরু পাঠানোর ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে। ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এক নির্দেশনার পর সে দেশ থেকে বাংলাদেশে গবাদিপশু আসা এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়।‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক গরু বাণিজ্যের অর্থনীতি: পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের চিত্র’ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির এক গবেষণায় উঠে আসে, ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে গরু আমদানি হত ৫০ কোটি ডলারের। ডলার ও টাকার বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী তা সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। ভারতের ওই সিদ্ধন্তে দেশে গরুর মাংসের চাহিদা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। বিশেষ করে কোরবানির সময় পশু পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। তবে এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে গরুর খামার তৈরি হতে থাকে। ঢাকা শহরের চারপাশেও গড়ে ওঠে অনেক খামার। ধীরে ধীরে সারা বছরের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু উৎপাদন বাড়লেও এর সুফল ভোক্তারা পায়নি। ৯ বছরের মধ্যে দাম বেড়ে হয়ে যায় তিন গুণ। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশে গরুর মাংসের কেজিপ্রতি গড় দাম ২৭৫ টাকা ছিল। তখন ব্রয়লার মুরগির গড় দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৩৭ টাকা। ২০১৮ সালে গরুর মাংসের গড় দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ৪৩০ টাকা হয়। আর ব্রয়লারের দাম কমে হয় কেজিপ্রতি ১৩১ টাকা। ২০২০ সালের মার্চেও ঢাকায় গরুর মাংস পাওয়া গেছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। ওই বছর প্রথমবারের মত রোজায় গরুর মাংসের দাম ঠিক করে দেয়নি ঢাকা সিটি করপোরেশন। পরে বাজার দর বেড়ে দাঁড়ায় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। ২০২২ সালে দাম চড়ে ৭০০ টাকায়। ২০২৩ সালে আটশ টাকা ছুঁয়ে যায়। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে খাবারের দাম বৃদ্ধি, হাটে খাজনা, চাঁদাবাজিসহ নানা যুক্তি তুলে ধরনের বিক্রেতারা। তবে অতিরিক্ত মুনাফা করার বিষয়টি সব সময় ছিল আলোচনায়। গত ২৬ অগাস্ট ঢাকায় একটি বিতর্ক আয়োজনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিদেশ থেকে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশে তা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব। তবে দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে গরুর মাংস আমদানি করা হচ্ছে না।‘পথ দেখান’ বগুড়ার কালু কসাই : চলতি বছর রোজার আগে বগুড়ার গাবতলীর কালু কসাই নামে একজন বিক্রেতা ৫৮০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি আর শুক্রবারে ১০টি গরু জবাই করার কথা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন তার ছেলে আবু হোসাইন মাহমুদ। তিনি জানিয়েছিলেন, এই দামে বিক্রি করেও সব খরচ বাদ দিয়ে তাদের গরুপ্রতি এক হাজার টাকা মুনাফা থাকে, এতেই তারা খুশি।‘কালু কসাই’কে নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রচার করার পর অন্য বিক্রেতারাও চাপে পড়েন, তারাও কমিয়ে আনেন দাম। গত অগাস্টে চট্গ্রামে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়া বাজারে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা দুই তরুণ রাফিউল হাসনাত ও সাজ্জাদুর রহমান ওরফে সাকিব ৬৮০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করা শুরু করেন। এখন দাম আরও কমে ৬৬৫ টাকা করা হয়েছে। ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রামে গরুর মাংসের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি দামও থাকে বেশি। বন্দরনগরীর কোথাও কোথায় এতদিন ৯০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হত এই মাংস। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই দুই জন কেবল শুক্র ও মঙ্গলবার মাংস বিক্রি করেন। দিনে ৪০ মণের মত মাংস বিক্রি হয়। খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা থাকে ৪০ হাজার টাকার মত। এই দুই জন মিট বাজার নামে একটি ফেইসবুক পেইজও খুলেছেন। সেখানে কবে কখন কী দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে, তার ঘোষণাও থাকে। অগ্রিম বুকিংয়ের ব্যবস্থাও থাকে সেখানে। চলতি নভেম্বরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড স্ট্যান্ড মোড় এলাকায় জালু কসাইয়ের ‘বিসমিল্লাহ গোশত বিতানে’ ৬০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি শুরু হয়। গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে প্রচার চলতে থাকে। যারা কম দামে বিক্রি করতে শুরু করেন, তারা জানাতে থাকেন বিপুল চাহিদার কথা। এক পর্যায়ে ‘কম মুনাফা, বেশি বিক্রি’ নীতিই মাংস বিক্রেতাদের পকেট ভারী করতে থাকে। ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকে ঢাকার প্রধান বাজার ও এলাকার দোকানগুলোতেও। পুরান ঢাকার লালবাগ কিল্লারমোড় বাজারে গরুর মাংসের দোকানে ‘৬০০ টাকা কেজি’ সাইন বোর্ড টাঙিয়ে মাংস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। শাহজাহানপুর বাজারে ‘খলিল গোস্ত বিতান, প্রতি কেজি ৫৯৫ টাকা’ লেখা ব্যানার ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। দোকানে লম্বা লাইন : গত শুক্রবার শাহজাহানপুর বাজারে ‘খলিল গোস্ত বিতান’ এ বেলা ১টার দিকেও মাংস কিনতে একশর বেশি মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ক্রেতাদের মাংস কেটে দেওয়ার মধ্যে কথা বলার ফুরসত ছিল না কারও। ক্রেতারা বলছেন, কদিন আগে এই দোকানেই মাংসের কেজি ছিল ৮০০ টাকা, তখন দিনভর দোকান মোটামুটি ফাঁকাই থাকত। পাশের ‘হালাল মিট’ নামে একটি দোকানেও একই চিত্র। এখানেও দাম প্রতিকেজি ৫৯৫ টাকা। সেখানকার বিক্রয়কর্মী সাজু আহমেদ বলেন, আমরা সামান্য লাভে মাংস বিক্রি করছি। তবে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খচর পোষানো যাচ্ছে। গত তিন দিন ধরে এই দামে বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কতদিন এভাবে বিক্রি করা যাবে জানা নেই। এখন কমদামে গরু কিনতে পারছি তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি। মশাহরিয়ার আহমেদ নামের একজন ক্রেতা বলেন, আমি তালতলার বাসা থেকে ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এখানে মাংস কিনতে এসেছি। এটা খুবই ঐতিহ্যবাহী একটি দোকান। এখানে ভালো দামে ভালো মাংস পাওয়া যাচ্ছে। সুপার শপে কী চিত্র : সুপারশপগুলো শুক্রবার কিছুটা ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে। সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন স্বপ্ন ঢাকায় গরুর মাংস বিক্রি করেছে ৬৯৯ টাকা কেজি দরে, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৭৫০ টাকার আশেপাশে। তবে তাদের চট্টগ্রামের আউটলেটে গরুর মাংসের দাম এদিন ছিল ৭৮০ টাকা কেজি। একই দিন মীনা বাজার আবার গরুর মাংস বিক্রি করেছে ৭২৯ টাকা কেজি দরে। প্রাণের ডেইলি শপিং ঢাকায় ৭৩১ টাকায় এবং সাভার ও চট্টগ্রামে ৭৭৯ টাকা কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করেছে। আরেক সুপার শপ ইউনিমার্ট ৭৫৫ টাকা ও আগোরা ৭৪৯ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে এখনও। অর্থাৎ, বাজারদরের চেয়ে সুপারশপের দর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি।  এতদিন বেশি লাভ : ঢাকা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম স্বীকার করেছেন, বিক্রেতারা এতদিন বেশি মুনাফা করেছেন। মানুষ গরুর মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে এখন দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছে বিক্রেতারা। এতদিন বেশি লাভ করলেও বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসা ভালো হচ্ছিল না। এখন মানুষও মাংস খেতে পারবে, দোকানে বিক্রিও বাড়বে। ভোক্তাদের পক্ষের সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যখন দাম ৮০০ টাকা ছিল তখনও অতি মুনাফা হত, এখন ৬০০ টাকা হয়েছে এখনও অতি মুনাফা অব্যাহত আছে। তবে দাম যে একটু কমেছে সেই বিষয়টা স্বস্তির। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন দাম কমার পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, গত কোরবানে কিছু গরু হাট থেকে খামারে ফেরত যাওয়া ও রাজনৈতিক আন্দোলনের কারণে মাংসের চাহিদা কম। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে গত কোরবানের ঈদে ২৪ লাখ গবাদি পশু বিক্রি না হয়ে খামারে ফিরে গেছে। তিনি বলেন, এই জায়গায় একটা প্রতিযোগিতার ব্যাপার আছে। একে খামারিরা কম দামে গরু দিচ্ছে, তার ওপর এই সময় অন্যান্য বছর পিকনিক, বিয়ের চাপ থাকে, যেটা এবার কম। সে কারণে চাহিদা কম, যোগান বেশি। খামারিদের এই নেতার মতে, সরকার চাইলে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে মাংসের একটা দর নির্ধারণ করে দিতে পারে। তাহলে মাংসের বাজারে অস্থিরতাটা নাও থাকতে পারে। অবশ্য সরকার দাম ঠিক করে দিলেই যে বাজারে তা কার্যকর হয়, তা ঠিক নয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চাল এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও সেই দরে বিক্রি নিশ্চিত করা যায়নি।  ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত প্রতি রোজায় গরুর মাংসের যে দর বেঁধে দেওয়া হতো, সেই দরে মানুষ কিনতে পেরেছেন, বিষয়টি এমনও নয়। বেশি মুনাফার চেষ্টা এখনও : শাহজাহানপুরের হালাল মিটে মাংস কিনতে আসা শাহরিয়ার আহমেদ জানান, তিনি খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটে গিয়ে ৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখে এসেছেন।  মগবাজারের দিলু রোডের মাথায় একটি দোকানেও গত মঙ্গলবারও বিক্রেতাকে ৮০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। ঢাকার কোথাও কোথাও ৭০০, কোথাও ৬৫০, কোথাও ৭৫০ টাকা দর হাঁকতে দেখা যাচ্ছে বিক্রেতাদের। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, বেশি লাভ করতে করতে তাদের লোভ পেয়ে গেছে। এ কারণে অনেকেই এখনও দাম কমাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে অন্যরাও দাম কমাতে বাধ্য হবে। খাবারের দামও কমেছে : ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, গো খাদ্যের চড়া দাম নিয়েও দীর্ঘদিন আলোচনা হচ্ছে। এটি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। দাম যাতে আর না বাড়তে পারে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। খামারিদের নেতা ইমরান আহমেদ জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে গো-খাদ্যের দামও কিছুটা কমেছে। ক্ষেত্র বিশেষ ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ দাম কমেছে। মাংসের দাম কমার এটাও একটা কারণ হতে পারে, বলেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

রাজবাড়ী-২ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন নুরে আলম সিদ্দিকী হক

নিজস্ব প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি) আসনে নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আপিল আবেদনের ওপর শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এতে করে হক একক বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চারবারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। এ আসনে জাসদ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টিরও প্রার্থী রয়েছে।
এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবরে বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও পাংশা উপজেলায় কর্মী-সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নুরে আলম সিদ্দিকী হক আলোকিত প্রতিদিনকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে দলের যে কারো প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এ কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তার প্রার্থিতা বাতিলের খবরে রাজবাড়ী-২-এর (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দির) মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিল। তাদের অনুপ্রেরণায় ইসিতে আপিল আবেদনের ফলে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন। ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও আসনটি নেত্রীকে উপহার দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, ‘ইতিপূর্বে উপজেলা পরিষদের দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ও সাধারণ, তৃণমূলের নির্যাতিত-নিপীড়িত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব বলে আমি আশাবাদী।’

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩/ দ ম দ

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টার আহত

আলোকিত ডেস্ক:

গাজীপুরের ভাওয়ালে রেললাইন কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জানান, সকালে উদ্ধারকারী ট্রেনটি রওনা হয়েছে। ট্রেনটি এখন পথে রয়েছে। এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। রেললাইন কেটে ফেলায় ১৩ ডিসেম্বর বুধবার ভোর চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৩৫)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রওহা গ্রামের বাসিন্দা। এ দুর্ঘটনায় লোকোমাস্টার এমদাদুল হক, সহকারী লোকোমোস্টার সজিব মিয়া গুরুতর আহত হন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ । তিনি বলেন, গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত লোকোমাস্টার এবং সহকারী লোকোমাস্টারকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। ১৩ ডিসেম্বর বুধবার ভোর ৪টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১০ থেকে ১২ জন। রেলওয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরও জানা গেছে, বর্তমানে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ট্রেনগুলো ঢাকা-বিমানবন্দর-টঙ্গী-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর ২৩/মওম

লংগদুতে আনসার ভিডিপির সদস্যদের উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ এরশাদ আলী, লংগদু 
রাঙ্গামাটির লংগদুতে উপজেলা আনসার ভিডিপির সদস্যদের নিয়ে অনাবাদী জমি  উৎপাদন মুখী, জঙ্গিবাদ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)  সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় আয়োজনে  প্রতিইঞ্চি অনাবাদী জমি উৎপাদন মুখী করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে আনসার ভিডিপির সদস্যদের উদ্বুদ্ধকরণ করণ শীর্ষক একটি র‍্যালী উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুর আলম মোর্শেদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়।  র‍্যালীটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এতে উপজেলা আনসার কমান্ডার,  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার, ইউনিয়ন ভিডিপি  দলনেতা-দলনেত্রী, বিভিন্ন প্লাটুনের ভিডিপি কমান্ডার ও সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন।এসময়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুর আলম মোর্শেদ বলেন,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিইঞ্চি অনাবাদী জমিকে উৎপাদন মুখী করতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ দমনে আনসার ভিডিপির সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে  সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় জনসচেতনতা মূলক ভুমিকা রাখার আহবান জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

আবারো শহরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার 

আবু সায়েম, কক্সবাজার
আবারো শহরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চক্রের ৮ সদস্য কে গ্রেফতার করা হয়েছে । এসময় দেশীয় তৈরি  অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ১১  ডিসেম্বর ( মঙ্গলবার ) র‌্যাবের একটি চৌকস দল কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ঝিলংজা দক্ষিণ মুহুরি পাড়া এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে  অভিযান চালিয়ে  ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের সদস্যরা হলো, ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরি পাড়ার মৃত আবদুল্লাহর পুত্র হুমায়ুন কবির (২৩), একই ইউনিয়ন ও উপজেলার মৃত লোকমান হাকিমের পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম ( ২৬), একই ইউনিয়ন ও উপজেলার নুরল হকের  পুত্র আলী হোসেন(২২) একই ইউনিয়ন ও উপজেলার আব্দু শুক্কুরের পুত্র নাজির হোসেন নাজু(৩১), রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(২৬), একই ইউনিয়ন ও উপজেলার মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র ফজল করিম (২৮), একই ইউনিয়ন ও উপজেলার আলতাফ আহমদের পুত্র মোঃ দেলোয়ার হোসেন(২১) এবং রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ঘোনার পাড়ার মৃত হোসেন আহম্মদের পুত্র মোঃ আলম (৩৫)।পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা *০১টি রাম দা, ০১টি কাঠের হাতলযুক্ত চাকু, ০২টি টিপ ছুরি, ০২টি ছোট টচ্ লাইট, ০১টি স্ক্রু ড্রাইবার, ০২টি স্মাট ফোন, ০৬টি বাটন ফোন এবং নগদ ৭,৮৫০/- উদ্ধার* করা হয়। র‌্যাব জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি পরস্পর  জ্ঞাতসারে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে একত্রে সমবেত হয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলটি দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মত নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত । রেকর্ড পত্র যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা সংক্রান্তে তথ্য পাওয়া যায়। এসব মামলায় তারা একাধিকবার করে গ্রেফতারও হয়েছিল। অদ্য ঝিলংজার দক্ষিণ মুহুরীপাড়ায় রাতের অন্ধকারে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিকালে র‌্যাবের আভিযানিক দল ডাকাত চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।  র‌্যাব আরো জানায়,  র‌্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বাধীন কক্সবাজার জেলায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই এর সাথে জড়িত চক্রগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ পর্যটন নগরীতে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে সার্বক্ষনিকভাবে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী রেখে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী (ল’ এন্ড মিডিয়া)  বলেন, উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

টেকনাফে আইস, ইয়াবা অস্ত্র গ্রেনেড গুলিসহ গ্ৰেপ্তার-৩

হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ 
কক্সবাজারের টেকনাফ বিজিবির পৃথক অভিযানে আইস, ইয়াবা, অস্ত্র হ্যান্ড গ্রেনেড, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে মিয়ানমার দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিনজনকে আটক করেছে বিজিবি। এসময় একটি বাস এবং একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়।  মঙ্গলবার পৃথকভাবে এ অভিযান চালানো হয়। যার মধ্যে সকালে বড়ইতলী বক্করের জোড়া নামক নাফনদীর মোহানায় অভিযান চালিয়ে ২.১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩৭ রাউন্ড গুলি, ১টি হাত দাসহ দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়। এ অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ১টি কাঠের নৌকা। আটক দুই রোহিঙ্গা হলেন-উখিয়ার ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মো. শরীফের  ছেলে মো. জুবায়ের (৩০) ও ২নম্বর  রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আমির হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার (১৯)।অপর এক অভিযানে দুপুরে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং চেকপোষ্ট ৪ হাজার ইয়াবা বড়িসহ আটক করা হয় কক্সবাজার সদর উপজেলার জানারঘোনা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ওমর ফারুক (২০) কে। এ অভিযানে জব্দ করা হয়েছে বাসটি।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টার দিকে ব্যাটালিয়ান সদরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।অধিনায়ক জানান ,মিয়ানমার থেকে অস্ত্র, আইস, চালান আসার খবরে প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয়। অপর অভিযানটি নিয়মিত তল্লাশীতে আটক হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করে তিন জনকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

চন্দনাইশ মংলারমুখ দারুল উলুম নুরানী কিন্ডার গার্টেন উদ্ভোদন 

নুরুল ইসলাম:
চন্দনাইশ উপজেলার অন্তর্গত ১০ নং ধোপাছড়ি ইউনিয়নের গহীন অরণ্যে পূর্ব ধোপাছড়ি মংলারমুখ এলাকায় আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে মংলারমুখ দারুল উলুম নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা। ১০ ডিসেম্বর রবিবার মাদরাসার শুভ উদ্ভোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১০ নং ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম  বিশেষ অতিথি  ছিলেন ধোপাছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের আই.সি এসআই আনোয়ার হোসেন ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুল কবির। মাদরাসার উন্নয়ন ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক নিয়ে বক্তারা বলেন প্লে থেকে প্রথম, এবং পর্যায়ক্রমে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সমাজে ছেলেমেয়েরা যেইভাবে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে এর থেকে ফিরিয়ে এনে পড়ালেখার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। তাই প্রতিটি ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি কীভাবে যত্নবান হওয়া যায় সেটি মা-বাবার খেয়াল রাখতে হবে  এবং প্রতিটি মা-বাবাকে কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ মনছুরুল হক ছিদ্দিকী সাহেবের মোনাজাত এর মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শেষ হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২৩/মওম

আমি পুলিশ কিন্তু আগেতো মানুষ, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই: ডিবি প্রধান

আলোকিত ডেস্ক:
যারা রাস্তায় নেমে বলছে পুলিশ মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করছে, আসলে তারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গত রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে হারুন এমন মন্তব্য করেন। বিএনপির অভিযোগ পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরাতো আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে পারি না। যারা তথাকথিত মানববন্ধন করছে তারা অনেক কিছুই বলতে পারে, এটা ঠিক না। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ কিন্তু আগেতো মানুষ। আমারওতো অধিকার আছে, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই? ’হারুন বলেন, ‘যে পুলিশ জনগণের পুলিশ, যে পুলিশ জনগণের জান-মাল রক্ষায় নিয়োজিত, তথাকথিত রাজনীতির নামে সে পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে, সেসব ছবি সকলের কাছেই আছে। এমনকি পুলিশ হাসপাতালটাতে ভাঙচুর করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না? আমরা কার কাছে বিচার চাইব? ডিবি প্রধান অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে ৩০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একটি দল বা গোষ্ঠী যারা এ কাজটি করেছেন তারাই জাতিসংঘের সকল আর্টিকেল লঙ্ঘন করছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের আগেও নানা কার্যক্রম চালিয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পরে যখন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছিল, এসব কার্যক্রমের জন্য তারা যুবদল, ছাত্রদলকে আট ভাগে ভাগ করেছে। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সেসব নেতা পুলিশকে পিটিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে। কোনো সভ্য জাতি এমন কাজ করতে পারে না, তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। শুধু হাসপাতালে হামলাই করেনি অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি