হেলাল আকবর চৌধুরী ও ফজলে করিমের একচেটিয়া রেলওয়ের টেন্ডার বাণিজ্য
পাকিস্তানকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র দিল চীন, বিপদে ভারত
জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ দুটির পাল্টাপাল্টি অবস্থান নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে এখন। আর এমন সময়েই পাকিস্তানকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে মাঠে নেমেছে চীন। জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে ইসলামাবাদের কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বেইজিং।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাস্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের হাতে অত্যাধুনিক পিএল-১৫ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছে চীন। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামাবাদের নতুন এই অস্ত্রে নয়াদিল্লির নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ অনেকটাই বেড়ে গেছে।
খবরে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের বিমান বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান-এর ছবি প্রকাশ করে, যা চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ছিল। এই যুদ্ধবিমানগুলোর ছবি প্রকাশের মাধ্যমে পাকিস্তান পরোক্ষভাবে ভারতের প্রতি একধরনের ‘শক্তি প্রদর্শন’ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি দশকে পিএলএ (চীনের বিমানবাহিনী) এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করে এবং ২০২৩ সালের ঝুহাই এয়ারশোতে এর উন্নত সংস্করণ, ভাঁজযোগ্য পাখাসহ সংস্করণ প্রদর্শন করে। যদিও এক্সপোর্ট ভার্সনের পাল্লা প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার বলা হয়, তবে প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের হাতে থাকা সংস্করণটির পাল্লা এর চেয়েও বেশি।
ভারতের বিমান সেনার অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধবিমান রাফাল ফাইটার জেট, যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ইউরোপীয় মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র- বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যতম সেরা বলে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রায়ই মিটিওরের প্রতিযোগী বলে বিবেচনা করা হয়।
প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে, চীন সংঘাতময় পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে কৌশলগতভাবে ইসলামাবাদকে সহায়তা করছে।
কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান এখন একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে। এই পরিস্থিতিতে চীনের এমন পদক্ষেপ দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। ইউরেশিয়ান টাইমস এবং প্রতিরক্ষা সংবাদমাধ্যম ক্ল্যাশরিপোর্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, চীন ভবিষ্যতেও পাকিস্তানকে আরও উন্নত অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলতা কঠিন হাতে দমন করছেন আফরোজা খান রিতা
বিশেষ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতার দৃঢ় ও আপসহীন নেতৃত্বে জেলার বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান চলমান রয়েছে। সংগঠনকে শৃঙ্খলা ও আদর্শিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে তিনি চাঁদাবাজি, দায়িত্বে গাফিলতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একের পর এক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
এছাড়া গত ২৭ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. মোবারক হোসেনকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেন যুবদল পৌর শাখার আহ্বায়ক রাজিব হাসান খান।
সর্বশেষ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হরিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন মোল্লাকে একই ধরনের অভিযোগে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে, শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির জমি ও দোকান দখলের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত হন তিনি। পাশাপাশি গত ৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তোজাম্মেল হক তোজাকেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আফরোজা খান রিতা বারবার কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজদের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। যারা ব্যক্তিস্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংগঠনকে আদর্শিক ও শৃঙ্খলিত করতে হলে অপরাধীদের দল থেকে নির্মূল করতে হবে এখন। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি বার্তা দিয়ে আরও বলেন, আচরণ, শৃঙ্খলা ও নীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই। সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।
আফরোজা খান রিতার এ কঠোর পদক্ষেপে জেলা বিএনপিতে ইতোমধ্যেই শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি দৃঢ় বার্তা পৌঁছেছে বলে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারন জনগণ মনে করছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
জনগণ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়: আমিনুল হক
বিকেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস, ৬৪ রানের লিড
ক্রীড়া ডেস্ক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিকদের জন্য দ্বিতীয় দিনের শেষটা ঠিক কাঙ্ক্ষিত হলো না। সর্বশেষ ২০ রান তুলতেই তারা ৪ উইকেট হারিয়েছে। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯১, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের লিড দাঁড়াল ৬৪ রানের।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন এবং মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোটা জুড়ে দাপট ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এদিন সেঞ্চুরির খরা কাটালেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তার পাশাপাশি মুশফিক-বিজয়দের মাঝারি ঘরানার ইনিংসে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই লিড পায় বাংলাদেশ। যদিও সাদমান বাদে আর কেউই ব্যক্তিগত ফিফটিও পায়নি। দিনশেষে মেহেদি হাসান মিরাজ ১৬ এবং তাইজুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয় নিজেদের প্রথম ইনিংসে। গতকাল ৯ উইকেটে একই স্কোর নিয়েই তারা দিন শেষ করেছিল। আজ তাতে আর বাড়তি রান যোগ হয়নি। তাইজুল ইসলামের ৬ উইকেট শিকারের সুবাদে স্বস্তি নিয়েই ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসের শুরুটাও ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার। চলমান সিরিজের মাঝপথে দলে ডাকা হয়েছিল অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে। সাদমানের সঙ্গে তিনি উদ্বোধনী জুটি গড়েন ১১৮ রানের। ২০২২ সালের পর এই প্রথম উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ।
শুরু থেকেই বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে খুব একটা ভুগতে হয়নি জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে। সাদমান ইসলাম ফিফটি পেয়েছিলেন লাঞ্চের আগেই। শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। নিয়মিত বিরতিতে আসছিল বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ১৪২ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটাও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। সেটা ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে। সাদমানের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিটাও জমে যাচ্ছিল। দুজনে মিলে গড়েছিলেন ৭৬ রানের জুটি। তবে পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগমুহূর্তে মাসাকাদজার বলে অপ্রয়োজনীয় স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই রায়ান বেনেট এলবিডব্লু করেন সেঞ্চুরিয়ান সাদমানকে। ১৮১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১২০ রান করেন সাদমান। টেস্টে যা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন শান্ত-মুশফিক।
দলীয় ২৫৯ রানে শান্ত’র (২৩) বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। তখনই শুরু হয় স্বাগতিকদের ব্যাটিং ধস। ২৫৯/৩ থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানেই স্কোরবোর্ড রূপ নেয় ২৭৯/৭ এ। রানখরার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত মুশফিক ব্যক্তিগত ফিফটি পাওয়ার কাছাকাছি থেকেই ফিরলেন দুর্ভাগ্যের রানআউটে। ভিনসেন্ট মাসেকেসার ওভারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে পরের ওভারে স্ট্রাইক নিতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলে ৪০ রানেই থামে অভিজ্ঞ এই তারকার ইনিংস। এ ছাড়া জাকের আলি ৫ এবং নাঈম হাসান ৩ রান করে ফিরলে বড় শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে মিরাজ-তাইজুল দিনের বাকি কয়েক ওভার নিশ্চিন্তে পার করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মাসেসেকা।
আলোকিত প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০২৫/মওম
মামুনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদে দেখতে চায় দলীয় নেতাকর্মীরা
মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ; চট্টগ্রাম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দেখতে চায় দলীয় নেতাকমীরা। আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সময়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন অসংখ্য বার হামলা- মামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি তার পিতা মারা যাবার পরে জানাজায়ও তিনি শরিক হতে পারেননি। ওই সময় তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে পিতার জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এমন ঘটনা থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন। এজন্য তাকে উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদে দেখার জন্য অনেকেই আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে দেখতে চাই মর্মে শুভকামনা করে লেখালেখিও করেছেন। মঙ্গলবার সকালে আলোচিত বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এই প্রতিনিধিকে বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদে দেখার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমি দায়িত্ব পেলে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দায়িত্ব পালন করে যাব ইনশাল্লাহ।
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা, ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে ঐক্যের আহ্বান
আলোকিত ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য নিশ্চিতে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবি জোরালো হচ্ছে। সমর্থকরা মনে করছেন ইমরান খানের এক ডাকেই সমগ্র দেশবাসীকে ভেদাভেদ ভুলে একত্র করতে পারে।
হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপানো এবং ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিতসহ ভারত কর্তৃক গৃহীত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণার পর সোমবার জরুরি এক সিনেট অধিবেশন ডাকে পাকিস্তান সংসদ। সেখানে উভয় পক্ষের আইন প্রণেতারা ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি ইমরান খানের মুক্তির দাবিও ওঠে অধিবেশনে।
সোমবার সিনেট অধিবেশনে পিটিআইর পার্লামেন্টারি নেতা সিনেটর আলী জাফর বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানোই একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত। এ মুহূর্তে ইমরান খানের অংশগ্রহণে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন আহ্বান জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বের কাছে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দেবে যে, পাকিস্তান এ মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তানের বক্তব্যকে আরও গ্রহণযোগ্য করবে।
পিটিআই সিনেটর ও বিরোধীদলীয় নেতা শিবলি ফারাজ বলেন, ইমরান খানকে টিভিতে আসার সুযোগ দিন, যেন তিনি মিনার-ই-পাকিস্তানে বিশাল জনসভা এবং ভারত সীমান্তের দিকে (ওয়াগা সীমান্ত) পদযাত্রা করার ডাক দিতে পারেন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, তার ডাকে মুহূর্তেই ১ কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা যদি চলতেই থাকে, তাহলে বিদেশি শত্রুরা তার সুযোগ নিতে পারে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো কাশ্মীরের সন্ত্রাসী হামলাকে ভারতের ‘পরিকল্পিত ও সাজানো ম্যাসাকার’ বা ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন বলে অভিযোগ করেছে। এ প্রসঙ্গে সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী বলেন, ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা অত্যন্ত ঘেরাটোপে থাকা কাশ্মীরের পেহেলগামে এমন হামলা কিভাবে সম্ভব? এটা পরিষ্কারভাবে সাজানো ঘটনা।’
তিনি বলেন, ভারত ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানকে দোষারোপ করল, অথচ কোনো প্রমাণ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাদের বক্তব্যকে বিশ্বাস করছে না। তিনি দাবি করেন, ভারত উল্টো পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসে জড়িত। বিএলএ ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মতো নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলোকে ভারত আর্থিক সহায়তা দিয়েছে- এ ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে।
সোমবার সিনেট অধিবেশনে যখন ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা আলোচনায় আসে তখন আরও উত্তেজনা দেখা দেয়। সিনেটর সিদ্দিকী বলেন, এই চুক্তিতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। ভারত কোনোভাবেই একতরফাভাবে এটি বাতিল করতে পারে না।
পিটিআই নেতা ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ আলী জাফর বলেন, চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, পানি মানুষের মৌলিক অধিকার। পাকিস্তানের পানি সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
হুথিদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ৮১০ কোটির বিমান
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, হুথি বিদ্রোহীদের হামলা এড়াতে রণতরীটি সরে যাওয়ার জন্য বাঁক নিয়েছিল। সে সময়ই এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানটি সাগরে পড়ে যায়। এর আগে সোমবার হুথি বিদ্রোহীরা বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে। দীর্ঘদিন ধরেই হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে ওই রণতরীটি লোহিত সাগরে অবস্থান করছে।
এই ঘটনায় এক নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন। অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিমানটি ডুবে গেছে। নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬ কোটি ডলারের বেশি। ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় আরও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে আরও হামলা চালিয়েছে। সাদা শহরে দুই দফা হামলা এবং বারাত আল আনান জেলায় চার বার হামলা চালানো হয়েছে।
বিমানটি পড়ার আগেই নিজেদের নিরাপত্তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় ক্রুরা। ফলে কেউ নিখোঁজ হননি। তবে দুর্ঘটনার সময় একজন নাবিক সামান্য আহত হন।রণতরীটি যেখানে ছিল এটি এখনো সেখানেই আছে। এছাড়া অন্যান্য বিমান অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। কীভাবে রণতরী থেকে বিমান পড়ে গেলো সেটি এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
হ্যারি এস ট্রম্যানে থাকা একই মডেলের আরেকটি যুদ্ধবিমান গত বছর ভুলক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারাই গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। তবে ইউএসএস গেটিসবার্গ গাইডেড মিসাইল দিয়ে ভূপাতিত করা বিমানটির দুইজন পাইলট সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। একটি হলো ট্রুম্যান। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে গত মার্চ থেকে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যেগুলো এই দুটি রণতরী থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি/ সিএনএন
আলোকিত প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০২৫/মওম
অপু-নিপুণ-নুসরাত-জায়েদখান সহ ১৭ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা
বিনোদন ডেস্ক, জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা ও জায়েদ খানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে আজ।
মঙ্গলবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহুরুল ইসলাম।
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটার থানাধীন এলাকায় হওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথিপত্র সূত্র জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে এই ১৭ অভিনয়শিল্পীকে।
নুসরাত ফারিয়া ছাড়াও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, আসনা হাবিব ভাবনা, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, আজিজুল হাকিমসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীকে আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আমাদের কাছে এটা তদন্তের জন্য এসেছে। সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া মেনেই মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি পান করিয়ে সুস্থ করে লুটপাট
অনলাইন ডেস্ক : মির্জাগঞ্জে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটিতে একই সময়ে দুই ঘরে ডাকাতি হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতেরা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে, ডাকাত দল দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওষুধ ব্যবসায়ী গৃহকর্তা সোবাহান হাওলাদার (৬০)। এ সময় ডাকাতেরা তাকে পানি পান করতে দিয়ে সেবাযত্ন করে। পরে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে ডাকাতেরা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে লুট করে।
এ সময় ডাকাতের একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙেও লুটপাট করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ডাক–চিৎকার না দেওয়ায় ডাকাতেরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে বলে দাবি।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী সোবাহান হাওলাদার বলেন, “আমার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাত দল। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দিলে আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ সময় ডাকাতেরা আমাকে পানি খেতে দেয়। পরে একাধিক আলমারি ভেঙে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়। ডাকাত দল এক থেকে দেড় ঘণ্টা ঘরের বিভিন্ন আসবাব তছনছ করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ও আমার স্ত্রী এ সময় ঘরে ছিলাম। কতজন ডাকাত ঘরের বাইরে ছিল, আমরা জানি না। তবে আমার কক্ষে তিনজন ঢুকেছিল। তারা আমাদের কোনো আঘাত করেনি, বরং আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমার সেবাযত্ন করে।”
আরেক ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, “রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।”
ডাকাতির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি