আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 60

জনপথ জঙ্গল সলিমপুর ফের সন্ত্রাসীদের জিম্মায়

মুহাম্মদ জুবাইর, 
গৃহ থেকে শুরু করে ঘুমাতে দিতে হয় চাঁদা
সভাপতি ছাদূ্র ছত্র ছায়ায় ফ্যাসিস আওয়ামী দোষরা আবারো সক্রিয় 
চট্টগ্রামের আলোচিত জনপথ জঙ্গল সলিমপুর আবারো সন্ত্রাসীদের জিম্মায়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস আওয়ামী সরকারের পতনের পর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোল্ট পাল্টিয়ে মহানগর বস্তিবাসী ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছায়েদুল হক ওরফে সভাপতি ছাদুর ছত্রছায়ায় চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সাথে যুক্ত হয়েছে এলাকার কথিত চিহ্নিত ও একাধিক হত্যা মামলার আসামিরা। তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একেবারেই অতিষ্ঠ এলাকাবাসী । তাদের জিম্মায় গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে ঘুমাতে দিতে হচ্ছে চাঁদা টাকা।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সীতাকুণ্ড থানার ক্রাইম জোন খ্যাত বহু আলোচিত জঙ্গল সলিমপুর  সন্ত্রাসীদের আস্তানা হিসেবে বেশ  সু-পরিচিত । প্রতিনিয়ত এই এলাকায় ঘটে খুন, রাহাজানি ,সন্ত্রাসী দখলবাজি , মাদক, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানান অপরাধ ।
বর্তমানে এই জঙ্গল সলিমপুরে দুইশত এর অধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে। তাদের ছায়াসঙ্গী হিসেবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সতীকুন্ড এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী বহু মামলার আসামি রোকন মেম্বার। এই গডফাদার রোকন মেম্বার  ও মহানগর বস্তিবাসী ছিন্নমূল সমন্বয়  সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছায়েদুল হক ওরফে সভাপতি ছাদুর নিয়ন্ত্রণে  ১০-১৫ জনের একটা সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপ।
গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আরমান, মাসুদসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে এই গ্রুপটি। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার ছেড়েছেন অনেকেই।
যাদের অত্যাচারে অনেক ভুক্তভোগীর মত নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার  চট্টগ্রাম জেলা বাবুর্চি সমিতির সভাপতি, অসুস্থ নিরীহ আহমদ উল্ল্যহ (৫২)। যাকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছে ছাদুর পালিত সন্ত্রাসী গ্রুপ। গত ৪ এপ্রিল ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে  তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন ছয় মাস পূর্বে আহমদ উল্ল্যার ক্রয়কৃত জাগার জন্য তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আহমদ উল্ল্যাহ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ৪ এপ্রিল আহমদ উল্ল্যাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা।
সেইসময় ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে  তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাইকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন জোর করে গত ১৪ এপ্রিল আহমদ উল্ল্যাহর ক্রয়কৃত অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিয়ে জবর দখল নেয়। একি সাথে তারা দীর্ঘদিন ধরে আহমদ উল্ল্যাহকে নানামুখী নির্যাতন, মারধর ও হত্যার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন।
আহমদ উল্ল্যাহ আরো জানান আমি নিঃস্ব , নিরিহ সহ সাধারণ একজন নাগরিক হওযায় ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে  তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাইকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন আমার উপর নীর্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। এমনকি আওয়ামী দোষর এসে এমন ওসমান ও রিদোয়ান আমাকে মাথায়  অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার ছেড়ে করে আমার ঘর থেকে বের করে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহমদ উল্ল্যাহকে আমাদের সামনে তার জায়গা থেকে বের করে দিয়ে ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে  তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন তাকে বেদম মারধর করে ও অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে প্রাননাশ করতে চায় ওসমান ও রিদোয়ান। এরিসাথে সে-সময় তারা আহমদ উল্ল্যাহর ঘর বাড়ি ভেঙ্গে তাদের দখলে নেন।
মহানগর বস্তিবাসী ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছায়েদুল হক ওরফে সভাপতি ছাদুর বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রতিবেদককে জানান, তিনি জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নন এবং তিনি আওয়ামী দোষদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন না। চট্টগ্রাম জেলা বাবুর্চি সমিতির সভাপতি আহমদ উল্ল্যাহ এর দাবী সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। তার দাবী আহমদ উল্ল্যাহ টিকটকে তার ভিউ বাড়ানো জন্য হামলার নাটক করতেছে।
সাদুর তথাকথিত ভাগিনা হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি কামরুল হাসান রিদোয়ান বলেন, আমি আহমদ উল্ল্যাহকে দুই মাইল দুর থেকে দেখলে সম্মান করি। আমি এই ধরনের কোন কর্মকান্ডে জড়িত নয়। এটা তার সাজানো নাটক।
এবিষয়ে ওসমান প্রতিবেদককে, আহমদ উল্ল্যাহ অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। এই ধরনের ঘটনা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় আহমদ উল্ল্যাহর সাথে ঘটেনি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ফুলবাড়ীতে কৃষক কৃষাণীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ 

মোস্তাফিজার রহমান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফুলবাড়ীর আয়োজনে কৃষকদের মাঝে প্রদর্শনী পুনঃ স্থাপনের উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
 বুধবার সকাল ১১ টায়  উপজেলা কৃষি অফিস  চত্বরে ১৮৫ জন কৃষক কৃষাণীর মাঝে বীজ, নেট ও সাইনবোর্ড বিতরণ করা হয়।
বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছয় ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ আরো অনেকেই।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ সদস্য আটক!

 খোরশেদ আলম , আশুলিয়া (ঢাকা) : ঢাকার আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৬ সদস্যকে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল ও পবনারটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে ইব্রাহিম (১৮), একই এলাকার সেলিম খানের ছেলে নাজমুল খান (১৮), শফিকুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন রনি (১৮), সোহরাব মিয়ার ছেলে তুষার মিয়া (১৮) ও আলী হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (১৮)। এছাড়া পবনারটেক এলাকার মানিক হোসাইনের ছেলে আবদুল্লাহ নয়ন।

 

তারা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, আশুলিয়ার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠন একটি ঝটিকা মিছিল করেছিল। পরে তাদের চিহ্নিত করে রাতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। উল্লেখ, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের একটি ঝটিকা মিছিলের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে কয়েকজনকে ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ওই মিছিলকে ছাত্রলীগের মিছিল বলে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ঈদুল আযহার আগেই আসছে নতুন নোট, নকশায় জুলাইয়ের গ্রাফিতি!

আলোকিত প্রতিবেদক : ঈদুল আযহার আগেই নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকার নতুন নোটে থাকবে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নির্দশন আছে এই নোটে।

এদিকে চাহিদা থাকলেও বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নোট গ্রাহকদের দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ফলে খোলাবাজার থেকে ছেঁড়াফাটা নোট পরিবর্তন করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন গ্রাহকেরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ৯ মাস হলেও এখনো বাজারে আসেনি নতুন নকশার নোট। টাকায় বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায়, গেল ঈদুল ফিতরে ছাড়া হয়নি নতুন নোট। ফলে চাহিদা বাড়ে খোলাবাজারে।

নতুন নোটের সংকটে গ্রাহকের হাতে বেড়েছে ছেঁড়াফাটা নোটের সংখ্যা। ফলে অনেকেই পুরোনো কিংবা ছেঁড়াফাটা নোট পরিবর্তন করছেন রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায়। বাড়তি টাকায় এসব নোট পরিবর্তন করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে গ্রাহকদের। এদিকে, ব্যাংকগুলোতে ছেঁড়াফাটা নোট পরিবর্তন করতে গ্রাহকদের অনেক নিয়ম-নীতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ভল্টে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নোট থাকলেও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাহকদের তা দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন নকশার নোট ছাপাতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। তবে, গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় রেখে কোরবানি ঈদের আগেই নতুন নোট ছাড়া হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি আরো জানান, নতুন ৯ ধরনের নোট ছাপানো হলেও সবগুলো এখনই পাওয়া যাবে না এখন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রতি বছর বিভিন্ন মূল্যমানের ১৫০ কোটি পিস নতুন টাকার চাহিদা থাকলেও, টাকশাল ছাপাতে পারে ১২০ কোটি পিস।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলায় ৩০০ ঘর হস্তান্তর করলো সরকার

আলোকিত প্রতিবেদক:

গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করেছে সরকার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ঘর তৈরির কাজ বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ৩০ এপ্রিল বুধবার দেশের চার জেলায় এসব ঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসকরা। জেলায় জেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটওয়া জানান, দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম; এই চার জেলায় ২০২৪ সালের আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় এসব এলাকার যেসব বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসবাসের মতো ঘর অবশিষ্ট নেই, তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর মাধ্যমে চার জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এই ঘর নির্মাণে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩০০টি ঘর নির্মাণে প্রায় ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজউদ্দিন মিয়া জানান, বুয়েট থেকে পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ডিজাইনে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এসব ডিজাইন অনুমোদন দিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে আমরা চারটি জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিই। জায়গার পরিমাণের উপর নির্ভর করে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনে এসব ঘর করা হয়েছে। এই জায়গাগুলো নির্ধারণে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চার জেলায় কমিটি ছিল। সেই নির্বাচিত জায়গাগুলোতে এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ২৪ এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এই নির্মাণ কাজ করেছে। তারা খুব অল্প সময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যেই টাকা দিয়েছিলাম, তার অর্ধেক টাকা খরচ হয়েছে। এটা বলতে গেলে উল্টো খবর। সাধারণত বরাদ্দের দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ আবার চাওয়া হয়। এই অর্ধেক টাকাতে ৩০০ ঘর তৈরি হয়েছে। এটাও একটা আনন্দের খবর। সেনাবাহিনীর যারা কাজে নিয়োজিত ছিলেন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই কাজ ছিল না, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই গৃহ নির্মাণ কাজ ছিল। ঘর নির্মাণে অনেক জিনিসপত্র একত্রিত করতে হয়। এটা কঠিন ছিল, রাস্তা ঘাট বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই কাজটি করতে হয়েছে। সুন্দর বাড়ি হয়েছে। আমরা সবার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা সেনাবাহিনী এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। 

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য এক বা একাধিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির যৌথ জরিপের মাধ্যমে উপকারভোগীদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ৩০০টি ঘরের মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ঘরগুলো যেন দুর্যোগ সহনীয় এবং টেকসই হয় সে লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহযোগিতায় দুটি ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়।

প্রতিটি ডিজাইনে দুটি মূল কক্ষসহ কমন স্পেস, টয়লেট, রান্নাঘরসহ বারান্দা রয়েছে। প্রথম ডিজাইনের ঘরের আয়তন ৪৯২ বর্গফুট এবং প্রাক্কলিত টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৪ টাকা এবং দ্বিতীয় ডিজাইনের ঘরের আয়তন ৫০০ বর্গফুট এবং প্রাক্কলিত টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ টাকা। উপকারভোগীদের নিজ বসতভিটার স্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গৃহগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র, সহজে কেউ হামলা করতে পারবে না: মরিয়ম নওয়াজ

তিনি বলেছেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও দেশের স্বার্থে সবাইকে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াতে হবে। ৩০ এপ্রিল বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

দ্য ডন বলছে, পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায় কোনও শত্রু সহজে (এই দেশে) আক্রমণের সাহস করবে না বলে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়াম নওয়াজ শরিফ।

তিনি বলেন, “আজ পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম। পাকিস্তানের শত্রুরা জানে—এই দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য যাই থাকুক না কেন, দেশের বিরুদ্ধে যদি কোনও বহিরাগত আগ্রাসন আসে, তাহলে সবাইকে একসঙ্গে সেনাবাহিনীর পাশে ইস্পাতের প্রাচীরের মতো দাঁড়াতে হবে।”  পাকিস্তানের শক্তির মূল উৎস হচ্ছে শহীদদের আত্মত্যাগ। এ সময় তিনি দাবি করেন, “নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন।”

প্রসঙ্গত, জম্মু এবং কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।

এমনকি আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে হামলা করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটি। এমন অবস্থায় ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। শেহবাজ বলেন, “ভারত যদি আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ড রক্ষায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে”।

এছাড়া ভারত যদি সত্যিই পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে, সেক্ষেত্রে নিজেদের অস্তিত্ব এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ গত সোমবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

পাকিস্তানকে সমর্থন করে পোস্ট করায় ৩০ জন গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের জম্মু এবং কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে চরম উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানকে সমর্থন করে পোস্ট দেওয়ায় অন্তত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের পুলিশ।

রাজ্য প্রশাসনের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এই গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার রাজধানী গুয়াহাটিতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সাদৃশ্য নেই। দু’টি দেশ পরস্পরের শত্রু এবং আমরা তাই থাকব।”

গত ২৪ এপ্রিল, অর্থাৎ পেহেলগাঁওয়ে হামলার দু’দিন পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আসাম রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে। ২০১৯ সালে কাশ্মিরের পুলোওয়ামায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, সে সময় এই হামলাকে ‘বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করে একটি ভিডিওবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন এআইইউডিএফ আসাম রাজ্য শাখার জ্যেষ্ঠ নেতা আমিনুল ইসলাম। ২২ এপ্রিল পেহেলগাঁওয়ে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পুরোনো ভিডিওবার্তাটি ভাইরাল হয়। এর জেরে গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে।

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু এবং কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহেই গতকাল মঙ্গলবার ভারতের শীর্ষ সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পাকিস্তান হামলার জন্য সবুজ সংকেত তিনি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে  পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত কোনো প্রকার সামরিক পদক্ষেপ নিলে তার উপযুক্ত জবাব দেবে ইসলামাবাদ।

সূত্র : এনডিটিভি অনলাইন

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

হেলাল আকবর চৌধুরী ও ফজলে করিমের একচেটিয়া রেলওয়ের টেন্ডার বাণিজ্য

মুহাম্মদ জুবাইর, চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সাথে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিমের রেলওয়ের টেন্ডার সংক্রান্ত সম্পৃক্ততা। চট্টগ্রামের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের টেন্ডার সম্রাট হিসেবে পরিচিত এ নেতার বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার টেন্ডার-বাণিজ্য ছিল একক আধিপত্য। তার অনুমতি ছাড়া টেন্ডার দিতে পারত না খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও। একই সঙ্গে অপরাধ জগতেও ছিল তার শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা।
খুন, মাদক, চাঁদাবাজি ও নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলাসহ অপরাধের সব বিভাগে ছিল সমান বিচরণ। জানা যায়, টেন্ডার আর অপরাধম‚লক কাজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে গড়ে তোলেন একটি বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বড় একটি অংশ কিশোর গ্যাং হিসাবে নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াত। রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় সিআরবি ও পাহাড়তলীতে অবস্থিাত ওয়ার্কশপ, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার ও প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অফিসে নজরদারির জন্য ছিল পৃথক টিম। বেশিরভাগ টেন্ডার বাগানোর কাজ বাহিনীর লোকজন দিয়েই করতেন।
ঝামেলা হলে নিজে গিয়ে উপস্থিত হতেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দপ্তরে। সঙ্গে থাকত ব্যক্তিগত বাহিনীর সদস্যদের বহনকাজে যুক্ত ৮/১০ মাইক্রোবাসের বহর। গাড়ি থেকে নেমে দ্রতই ঢুকে পড়তেন কর্মকর্তার দপ্তরে। চারপাশ ঘিরে থাকতেন বিশাল বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় জরুরী কাজে যাওয়া লোকজন কর্মকর্তার রুমের ভেতরে ঢোকার কোনো সুযোগই পেতেন না। অসহায়
কর্মকর্তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতেন বাবর। এ সময় কর্মকর্তার কক্ষে যাওয়া আসা করতেন বহরের সদস্যরা।
স্রেফ ভয়ভীতি দেখাতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের কোনো কর্মকর্তার দপ্তরে গেলেই দলবল নিয়ে যেতেন। বাবর রেলওয়ের দপ্তরে গেলেই খবর দ্রত ছড়িয়ে পড়ত সব দপ্তরে। কোনো ধরনের আগাম এপয়েন্টমেন্ট না নিয়েই হুটহাট এসে পড়তেন বাবর ও তার দলবল। রেলওয়ের টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বদলি নিয়োগ-বাণিজ্যকে বাংলো বরাদ্দের নেপথ্যে ছিল বাবরের প্রভাব। বাবর কর্তৃক টেন্ডার বাগিয়ে নিলেও রেলওয়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতেন। আবার বাবরকে ব্যবহার করে নিজের মতো করে টেন্ডার পাইয়ে কমিশন-বাণিজ্যে যুক্ত ছিল কর্মকর্তাদেরই একটি চক্র। প‚র্বাঞ্চলের ১২ বিভাগের মধ্যে প্রকৌশল ও সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরেই টেন্ডার বেশি হতো। বছরে দুই বিভাগে অন্তত ২৫০ কোটি টাকার টেন্ডার হতো। বাকি প্রতিটি বিভাগে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার টেন্ডার হতো। সব মিলে প‚র্বাঞ্চলে বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার টেন্ডার হতো। বাবর নিজের নামে বা নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কখনো টেন্ডার জমা দিতেন না। ভিন্ন নামে আত্মীয়স্বজন এবং পরিচিত ঠিকাদারের নামে টেন্ডার জমা দিতেন।
বাবরকে এড়িয়ে প‚র্বাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক ঠিকাদারের কারও পক্ষে টেন্ডার জমা দেওয়া সম্ভব ছিল না। ১ লাখ টাকা থেকে ২০০ কোটির টেন্ডার-সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন বাবর। কেউ বাবরকে এড়িয়ে টেন্ডার জমা দিলে রীতিমতো ধরে নিয়ে আসা হতো। টেলিফোনে হুমকি ধমকি তো ছিলই।রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সরঞ্জাম কেনার টেন্ডার থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক সেলাই করা কোনো ধরনের টেন্ডার কাজ বাবরকে এড়িয়ে করা যেত না। বাবরকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে সহায়তায় মেতে উঠেছিল। তাই বাবরের সম্মতি ছাড়া বা তার সমর্থিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ টেন্ডারে অংশ নিতে পারতেন না। অভিনব উপায় অবলম্বন করতেন টেন্ডার বাগাতে। নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য নামের প্রতিষ্ঠান দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতেন টেন্ডার। শাহ আলম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে টেন্ডার-বাণিজ্য নিয়ে তার ছিল গভীর সখ্য। শাহ আলমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম এসএ করপোরেশন ও ইউনিক ট্রেডার্স। গত ১৮ বছর এই প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের টেন্ডারের বড় অংশের কাজ পেয়েছে। নেপথ্যে বাবর এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ পেতে সহযোগিতা করেছেন।
নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠান নিয়ে একচ্ছত্র টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে আরেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টেন্ডার বাগাতেন। ঘুরেফিরে টেন্ডারের আয় বাবরই করতেন। টেন্ডার-বাণিজ্য করেই শতকোটি টাকার মালিক বাবর। টেন্ডারবাজির টাকায় গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধমন্দির রোডে রয়েছে তার পাঁচ তলা আলিশান বাড়ি। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ডি-ব্লকের ২ নম্বর রোডে ২৩/১ নম্বরের বাড়ির চার তলায় রয়েছে ফ্ল্যাট। ঢাকার বনানীতে দুটি সাত তলা বাড়ি। নন্দনকানন ২ নম্বর গলিতে তার স্ত্রীর নামে ৩ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং স্টেশন রোডে একটি বার।
টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে অপরাধম‚লক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। থানায় তার নামে আছে অসংখ্য খুনের মামলা। অপরাধ জগতে তার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসাবেও পরিচিতি আছে। চট্টগ্রামের এমইএস কলেজভিত্তিক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন বাবর। তিনি এ কলেজছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগের একটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে জড়িয়ে ছিলেন নগরকেন্দ্রিক অপরাধম‚লক কর্মকান্ড। আছে কয়েকডজন হত্যাকান্ডের অভিযোগ।
এসবের মধ্যে আছে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আশিককে হত্যা, রাউজানের আকবর-মুরাদ হত্যা, বিএনপিকর্মী আজাদ হত্যা, মির্জালেনে ডাবল মার্ডার, তামাকুন্ডী লেনে রাসেল হত্যা, ফরিদ হত্যা। প্রতিটি হত্যাকান্ডের জন্য বাবরকে প্রধান আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা আছে। ২০১৩ সালের ২৪ জুন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সিআরবিতে বাবর বাহিনীর হাতে শিশু আরমান ও সাজু পালিত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন।
ওই দিনদুপুরে সংগঠিত ডাবল মার্ডারের এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। খুনের ঘটনার পর সাজু পালিতের মা থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার আসামি হিসাবে রয়েছে বাবরের নাম। মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই কেন্দ্রিক একটি সিন্ডিকেটও পরিচালনা করতেন। তিনি একটি মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০১১ সালে জেল থেকে বের হয়ে পাড়ি জমান দুবাইতে। সেখান থেকে দেশে ফেরেন ২০১২ সালে। এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন দলীয় পদ পেতে। ব্যয় করেন প্রচুর টাকাও। এরপর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ পান। পদ পাওয়ার পরই রেলের টেন্ডারবাজিতে আরও প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।
রেলওয়ের অঘোষিত সম্রাট হিসেবে পরিচিত বাবরের মূল অভিভাবক হিসেবে ফজলে করিম চৌধুরীর ছিলেন মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে। ফজলে করিম চৌধুরী গত কয়েকটি সংসদে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ে সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডে বাবরের সম্পৃক্ততা।
নগরের মুরাদপুর এলাকায় (১৬ জুলাই) গুলিতে ওয়াসিম, ফারুক, শান্ত নামীয় তিনি জন মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এলাকায় গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্রতড়ুয়া, সাইমন মাহিন, তানভীর সিদ্দিকি ও ফজলে রাব্বি। উক্ত ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যাপক সংবাদ প্রচার হয়। প্রকাশ্য দিবালকে ঘটনা সংগঠিত হওয়ায় পথচারি, আন্দোলনকারী, বিভিন্নমিডিয়ার সাংবাদিক পুরো ঘটনার ভিডিও করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ১৬ জুলাই পিস্তল হাতে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। এছাড়া কাটা বন্দুক হাতে ছিলেন যুবলীগ নেতা ফিরোজ। শটগান হাতে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মোঃ দেলোয়ার। পিস্তল হাতে দেখা যায় যুবলীগ কর্মী এন এইচ মিঠু ও মো. জাফর। ১৮ জুলাই পিস্তল হাতে দেখা যায় চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ, যুবলীগ কর্মী মোঃ জালাল ওরফে ড্রিল জালাল ও মো. মিজানকে। শটগান হাতে ছিলেন যুবলীগ কর্মী মোঃ তৌহিদ। এদিকে গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সংঘর্ষে প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। ঐদিন নগরের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট ও আসকারদিঘির পাড় এলাকায় ১০ জন অস্ত্রধারীকে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিটি কলেজ রোডের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের পেছন থেকে রিভলবার হাতে গুলি ছোড়েন হেলমেট পরা এক যুবক। তাঁর পাশে থাকা আরেকজন ককটেল নিক্ষেপ করেন। গত ৪ আগস্ট ২০২৪ইং নগরের জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের নেতৃত্বে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে নগরের আসকারদিঘির পাড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিতে দেখা গেছে। ওই সময় তাঁর পাশে থাকা এক যুবককে শটগান হাতে দেখা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, কাউন্সিলর ওই যুবককে সামনে এগোতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এরপর বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা যায়। ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে জামালখান ও সার্সন রোডের দিকে চলে যান। শটগান হাতে থাকা যুবকের নাম ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে রিন্টু। রিন্টু ফজলে করিমের অনুসারী ও রাউজানের বাসিনআ। নগরের লাভলেইন এলাকায় রিন্টু থাকতেন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক উপসমাজসেবা সম্পাদক। চট্টগ্রামের স্থানীয় লোকজন জুলাই আগস্ট হত্যাকান্ডে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়ে মূলত বাবর বাহিনী জড়িত ছিলো মর্মে জানায়। উক্ত বাবরের গ্রামের বাড়ি রাউজান।
রেলওয়ে ঠিকাধারীতে এককচ্ছত্র নিয়ন্ত্রনে বাবরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ফজলে করিম চৌধুরীকে দায়ী করা হয়। উক্ত ঘটনায় রুজুকৃত একাধিক মামলায় ফজলে করিম চৌধুরীকে এজাহারে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফজলে করিম গ্রেফতার হওয়ার পর উক্ত মামলা সমূহে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে আনা হয়েছে। মামলাগুলি তদন্তাধীন আছে।কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ২০২৪ ফজলে করিমের ভ‚মিকা:-রাউজানের সংসদ সদস্য হলেও পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন কারনে চট্টগ্রাম মহানগরসহ পুরো চট্টগ্রামজেলায় ফজলে করিম চৌধুরীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের পর বর্তমানে তিনি এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে বিবেচিত হন।
এছাড়া সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী নিকট-আত্মীয় হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনসহ সার্বিক সার্বিক বিষয়ে তিনি অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে ভ‚মিকা পালন করতেন মর্মেজানা যায়। তার পাথরঘাটা বাসভবণ থেকে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় সাংসদ, নেতা-কর্মীরা তার পাথরঘাটা বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তার বাসা থেকে তার ছেলে ফারাজ করিমের নেতৃত্বে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।
রাউজানের সন্ত্রাসীরা মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট সহ আশেপাশে এলাকায় অস্ত্রসহ ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। তার ও তার ছেলের নেতৃত্বে এ হত্যাকান্ডগুলো পরিচালিত হয়।চট্টগ্রাম শহরের রাজনীতির মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর চট্টগ্রামে অন্যতম শীর্ষ অস্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে গত ১৬ বছর বিভিন্ন দপ্তরে ঠিকাধারী নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। হেলাল আকবর চৌধুরীর সাথে অস্ত্র সরবরাহ কাজে তার বাসায় পরিকল্পনা করে থাকেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পাকিস্তানকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র দিল চীন, বিপদে ভারত

জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ দুটির পাল্টাপাল্টি অবস্থান নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে এখন। আর এমন সময়েই পাকিস্তানকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে মাঠে নেমেছে চীন। জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে ইসলামাবাদের কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বেইজিং।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাস্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের হাতে অত্যাধুনিক পিএল-১৫ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছে চীন। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামাবাদের নতুন এই অস্ত্রে নয়াদিল্লির নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ অনেকটাই বেড়ে গেছে।

খবরে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের বিমান বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান-এর ছবি প্রকাশ করে, যা চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ছিল। এই যুদ্ধবিমানগুলোর ছবি প্রকাশের মাধ্যমে পাকিস্তান পরোক্ষভাবে ভারতের প্রতি একধরনের ‘শক্তি প্রদর্শন’ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিনের সরকারি সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অফ চায়না (AVIC) নির্মিত পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি রাডার নিয়ন্ত্রিত সক্রিয় অস্ত্র, যা প্রায় ২০০-৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা শত্রু বিমানকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করতে সক্ষম। এর গতি ম্যাক ৫ প্লাস (শব্দের গতির ৫ গুণ) বলে দাবি করা হয়।

চলতি দশকে পিএলএ (চীনের বিমানবাহিনী) এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করে এবং ২০২৩ সালের ঝুহাই এয়ারশোতে এর উন্নত সংস্করণ, ভাঁজযোগ্য পাখাসহ সংস্করণ প্রদর্শন করে। যদিও এক্সপোর্ট ভার্সনের পাল্লা প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার বলা হয়, তবে প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের হাতে থাকা সংস্করণটির পাল্লা এর চেয়েও বেশি।

ভারতের বিমান সেনার অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধবিমান রাফাল ফাইটার জেট, যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ইউরোপীয় মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র- বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যতম সেরা বলে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রায়ই মিটিওরের প্রতিযোগী বলে বিবেচনা করা হয়।

প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে, চীন সংঘাতময় পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে কৌশলগতভাবে ইসলামাবাদকে সহায়তা করছে।

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান এখন একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে। এই পরিস্থিতিতে চীনের এমন পদক্ষেপ দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। ইউরেশিয়ান টাইমস এবং প্রতিরক্ষা সংবাদমাধ্যম ক্ল্যাশরিপোর্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, চীন ভবিষ্যতেও পাকিস্তানকে আরও উন্নত অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলতা কঠিন হাতে দমন করছেন আফরোজা খান রিতা

বিশেষ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতার দৃঢ় ও আপসহীন নেতৃত্বে জেলার বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান চলমান রয়েছে। সংগঠনকে শৃঙ্খলা ও আদর্শিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে তিনি চাঁদাবাজি, দায়িত্বে গাফিলতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একের পর এক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিল্লি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাটুরিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনকেও দায়িত্বে গাফিলতি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া গত ২৭ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. মোবারক হোসেনকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেন যুবদল পৌর শাখার আহ্বায়ক রাজিব হাসান খান।

সর্বশেষ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হরিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন মোল্লাকে একই ধরনের অভিযোগে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এর আগে, শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির জমি ও দোকান দখলের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত হন তিনি। পাশাপাশি গত ৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তোজাম্মেল হক তোজাকেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আফরোজা খান রিতা বারবার কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজদের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। যারা ব্যক্তিস্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংগঠনকে আদর্শিক ও শৃঙ্খলিত করতে হলে অপরাধীদের দল থেকে নির্মূল করতে হবে এখন। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি বার্তা দিয়ে আরও বলেন, আচরণ, শৃঙ্খলা ও নীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই। সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।

আফরোজা খান রিতার এ কঠোর পদক্ষেপে জেলা বিএনপিতে ইতোমধ্যেই শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি দৃঢ় বার্তা পৌঁছেছে বলে দলীয় নেতাকর্মীসহ  সাধারন জনগণ মনে করছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি