আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 59

‘শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ প্রধান উপদেষ্টা

আলোকিত ডেস্ক : শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার ঐক্য ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।Pause

আজ বৃহস্পতিবার ‘মহান মে দিবস’ ও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘‘মহান মে দিবস-২০২৫’’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম, ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে ১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শ্রমিক ও শ্রমের মর্যাদা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করে। এই দিনটি শুধু সাধারণ দিবস নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস। শ্রমিক অধিকারের জন্য আত্মত্যাগকারীদের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খাত, কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন ও প্রযুক্তি-প্রতিটি খাতের উন্নতির পেছনে রয়েছে শ্রমিক ও মালিকের মেধা ও প্রাণান্তকর পরিশ্রম। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের ঐক্য ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

মহান মে দিবসের পাশাপাশি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৫’’ পালন করছেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা শুধু শ্রমিকদের অধিকারই নয়, এটি শিল্প ও অর্থনীতির উন্নয়নেরও অন্যতম শর্ত। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণ পুরো শিল্পখাত এবং দেশের অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়।’

 তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন-যাত্রায় শ্রমিক ও মালিকের অংশীদারত্বে দেশের অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’ বাণীতে ‘মহান মে দিবস-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি   

নড়াইলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী সবুজ মোল্লা গ্রেফতার

জাহিদুল হক রনি, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের পলাতক  সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ডজনখানেক মামলার এজাহারভূক্ত আসামি সবুজ মোল্লাকে (৩৫) দেশীয় অস্ত্র,মুজিব টি-শার্ট ও বহুমুখী হেলমেট সহ গ্রেফতার করেছে। সবুজ মোল্লা কালিয়া উপজেলা চাচুড়ী ইউনিয়নের পুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফসিয়ার মোল্লার পুত্র।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নড়াইল আর্মি ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়,  স্থানীয় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, নড়াইল সদর আর্মি ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে,সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কালিয়া উপজেলার চাচুড়ী ইউনিয়নের চাচুড়ী বাজার সংলগ্ন পুরুলিয়া গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে প্রায় দুই ঘন্টারও অধিক  সময়ব্যাপী অভিযান চালিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পলাতক সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তির  ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ডজনখানেক মামলার আসামি সন্ত্রাসী সবুজ মোল্লাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় যৌথ বাহিনী তার বাড়ি ও দোকানে তল্লাশি চালিয়ে ০৭ টি দেশীয় অস্ত্র (রামদা), ১০টি বল্লম, হকিস্টিক,বহুমুখী হেলমেট ও বিপুল পরিমান ক্যাপসহ মুজিব টি-শার্ট উদ্ধার করে।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার সন্ত্রাসী সবুজ মোল্লা ১৩ টি মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।এছাড়া সে বিভিন্ন সময় অবৈধ পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এলাকায় শক্তি প্রদর্শণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা মাধ্যমে জনমনে ভীতি সঞ্চার সৃষ্টি করে আসছিল বলে গোয়েন্দা ও স্থানীয় সূত্র গুলো নিশ্চিত করে। পতিত আওয়ামী লীগের পলাতক সাবেক এমপি’র ঘনিষ্ঠ সহযোগী হওয়ায় ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে যেতে সাহস পায়নি।
গত ০৫ আগষ্ট ২৪ তারিখে ছাত্রজনতার অভ্যূত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও, সবুজ মোল্লা স্থানীয় কতিপয় নেতার যোগসাজশে রাতারাতি নিজের ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি’র নেতা বনে যায়। বর্তমানে এলাকায় সে বিএনপি নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ আছে।
যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষে আটক সবুজ মোল্লা ও তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্র ও মালামাল সামগ্রী সহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিকট হস্তান্তর করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি    

নীলফামারীতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানে জরিমানা 

উজ্জ্বল আহমেদ -বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সদর  উপজেলায়  নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করায় পাঁচ গাড়ী মালিককের কাছে ৪০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে নীলফামারী পরিবেশ অধিদপ্তর।
 বুধবার  (৩০এপ্রিল  ) নীলফামারী সদর উপজেলায়   অভিযান পরিচালনা করে নীলফামারী  জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ।
পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয় কর্তৃক ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবসে-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে  নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার বাইপাস মোড় নামক স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সায়ীদ মুহাম্মদ। অভিযানে প্রসিকিউটর হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। এসময় উক্ত অভিযানে  নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করায় ০৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করাসহ ১১ টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার না করার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের চালকগণকে সতর্ক করাসহ লিফলেট বিতরণ ও স্টিকার লাগানো হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি    

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার হচ্ছে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কাজে

মোঃ আমির হোসেন, বাউফল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, তুমি আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিক জাতী উপহার দিবো।

শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড। আর ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রথম হাতেখড়ি হয় প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্বারা। আনন্দ বিনোদন ও মায়াবী আদরে শিশুদের সেই হাতে খড়ি দেওয়ার জন্য সরকার চালু করছে প্রাক প্রাথমিকের। রয়েছে সেখানে শিশু খেলনা সহ নানা উপকরণ। কিন্তু বাউফলের ৮১ নং দক্ষিণ শৌলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রাক প্রাথমিক সহ অন্যান্য ক্লাসে উপস্থিত থাকছেননা শিক্ষকরা। নাই কোন শিশুদের আনন্দ বিনোদনের খেলনা। শিক্ষকরা কোমলমতি শিশুদের পাঠদান রেখে, গ্রামের বাড়ীগুলোতে পাঠিয়ে সংগ্রহ করে আনেন দুধ, ডিম, কলা, পেপে, নানা ধরনের সবজি। পটুয়াখালীর বাউফলে ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে ৮১ নং দক্ষিন শৌলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তার মধ্যে একটি।

 

মাত্র ৬জন শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে এক জনের বাচ্চা অসুস্থ্য থাকায় তিনি রয়েছেন অনুপস্থিত। অবশিষ্ট ৫জন শিক্ষক থাকলেও প্রধান শিক্ষক শামীম জাহান লাইজু ও কণা বেগম নামে দুইজন অনুপস্থিত থাকেন প্রায়ই। নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ উপস্থিত না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ছুটি নিতে হয়। কিন্তু এই বিদ্যালয়টির চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়াল খুশিমতো স্কুলে আসেন। আবার সপ্তাহ অবদি স্কুলে না এসে একদিন এসে পিছনের উপস্থিতির হাজিরা টানেন।

 

অনেক সময় বগলদাবা করে হাজিরা খাতা নিয়ে যান তার বাসায়। যে কারণে অন্যান্য শিক্ষকরাও নানান অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। স্থানীয় অভিভাবকদের দাবী, দুই একজন শিক্ষক ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষকরা বাচ্চাদের পড়াতে অনাগ্রহ। যারা ক্লাসে থাকানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাথার উকুন পরিস্কার করেন আবার কতেক শিক্ষার্থীদের দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে পাঠিয়ে দুধ, হাস, মুরগীর ডিম,থানকুনি পাতা, পেপে, সবজি, কাচা আম ও পানিতাল সংগ্রহ করেন। যে কারণে স্থানীয় অনেক অভিভাবক শিক্ষকদের উপর বিরক্ত হয়ে বাচ্চাদের অন্যত্র নিয়ে ভর্তী করেছেন। কেউ কেউ আবার মাদ্রাসা ও মক্তবে দিয়েছেন সন্তানদের।

 

বছর তিনেক আগে বিদ্যালয়টিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালীপনার কারণে ছাত্র সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে মাত্র ৬৫ জনে। স্থানীয় অভিভাবক নিউটন সহ কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধান শিক্ষক দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ে আসেন আবার ঘন্টা দেড়েক থেকেই চলে যান। বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেওয়া তার নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। বিদ্যালয়ে এসে অধিকাংশ সময় ফোনে টিকটক দেখে সময় পাড় করেন। সহকারী শিক্ষক কণা বেগম নিজে ক্লাস না করে মো. মাঈন উদ্দিন (দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী) কে দিয়ে তার ক্লাস নেন। স্থানীয় অভিভাবকরা এসব কথা প্রধান শিক্ষককে জানালে (তিনি) প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং তাদের সন্তানদের অন্যত্র নিয়ে ভর্তী করতে বলেন। তিনি ইচ্ছেমত ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল তৈরী করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 

এছাড়া বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের সকল টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়টিতে উন্নয়ন বা ক্ষুদ্র মেরামতের কোন চিহ্নই নাই। প্রাক প্রাথমিকের বাচ্চাদের যেসব উপকরণ থাকার কথা সেখানে প্রাকের ক্লাসরুমে একটি প্লাস্টিকের চাটাই ছাড়া কিছুই নেই। স্কুলের ব্যবহৃত ২টি ল্যাপটপ ও রাউটার প্রধান শিক্ষক তার মাধ্যমিকে পড়া ছেলের কাজে বাসায় নিয়ে ব্যবহার করছেন। এছাড়া শিক্ষকদের বসার চেয়ার যেমন নেই তেমনি শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চগুলোও ঝুকিপূর্ণ। সম্প্রতি সানজিদা নামক এক শিক্ষক ভাঙ্গা চেয়ার থেকে পরে গুরুতর আহত হয়েছেন। উন্নয়ন বঞ্চিত এক বিদ্যালয় এটি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকগণ ও কয়েকজন সহকারী শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয় কথা বলায় প্রধান শিক্ষকের ধারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়।

 

বিষয়টি শিক্ষকরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলামকে জানালে তিনি এ বিষয়ে নেননি কোন ব্যবস্থা। এছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার ও বিভাগীয় উপ-পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিনের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারনে। একাধিক শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম শিক্ষকদের হুমকী প্রদান করেন এবং চাকুরীর খাতায় লাল কালী বসিয়ে দিবেন বলেও হুমকী প্রদান করেন।

 

সৈরাচার সরকারের প্রভাবশালী সাবেক এমপি চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজের ভাতিজা পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চোখ উৎপাটন মামলার আসামী মনির হোসেন মোল্লাকে দিয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করেছিলেন এই শিক্ষক যার প্রভাব এখনও দেখাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক কণা বেগমকে অন্যত্র সরিয়ে দিলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ঘটবে এবং বিদ্যালয়টি মানসম্মত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্যাচমেন্ট এড়িয়ার অভিভাবকদের।

 

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি আজ বিদ্যালয়ে নাই। আপনার সামনা সামনি কথা বলবো। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, আমার পদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া ওই স্কুলের বিষয়ে কোন কথা বলতে পারবোনা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বখতিয়ার জানান, আমি জানলাম, যদি সত্যতা পাওয়া যায় যেভাবে নীতিমালা আছে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, শীঘ্রই ওই স্কুল পরিদর্শনে যাবো। নিয়মের ভিতরে না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি    

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের প্রতিক্রিয়ায় পালাল ভারতের ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।

এমনকি আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে হামলা করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটি। এমন অবস্থায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাশ্মিরের আকাশে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান কাশ্মির অঞ্চলে টহল দেওয়ার সময় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান দেখে পালিয়ে গেছে।

৩০ এপ্রিল বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা যখন চরমে, তখন বুধবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি নিউজ দাবি করেছে—ভারতীয় যুদ্ধবিমান রাফাল কাশ্মির অঞ্চলে টহল দিতে গিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) প্রতিক্রিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

পিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান কাশ্মিরের ওপর দিয়ে উড়ছিল, যদিও ওই বিমানগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করেনি।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, “পাকিস্তান বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় বিমানগুলো শনাক্ত করে। তাদের প্রস্তুত প্রতিরক্ষার কারণে ভারতীয় বিমানগুলো একপর্যায়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।”

এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সাংবাদিকদের জানান, “বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে পারে।”

এমন অবস্থায় ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

শেহবাজ বলেন, “ভারত যদি আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ড রক্ষায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে”।

এছাড়া ভারত যদি সত্যিই পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে, সেক্ষেত্রে নিজেদের অস্তিত্ব এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ গত সোমবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, রোববার শুনানি

আলোকিত ডেস্ক : রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। একইসঙ্গে জামিন স্থগিতের আবেদন পুনরায় শুনানির জন্য আগামী রোববার (৪ মে) দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন আদালত।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, চেম্বার বিচারপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ৪ মে আসামির আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন। তারপর আদেশ দেবেন।

বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন। ওই সময় আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।

গত বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন চিন্ময়।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক:

সিলেটে প্রথম টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিম্বাবুয়ের কাছে ৩ উইকেটে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। যে হার নিয়ে হয়েছে প্রচুর সমালোচনা। তবে দ্বিতীয় টেস্টেই স্বরূপে ফিরেছে টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের কাছে সাড়ে ছয় বছর পর টেস্ট হারের প্রতিশোধ তারা নিয়েছে এবার ইনিংস ব্যবধানে জিতে। চট্টগ্রাম টেস্টে সফরকারী দলকে তিনদিনেই এক ইনিংস এবং ১০৬ রানে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ টাইগাররা শেষ করেছে ১-১ সমতায়।

জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ফলে লিড পায় ২১৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামদের তোপে ৪৬.২ ওভারে ১১১ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে সেকেন্ড স্লিপে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার।

ওই ওভারের তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটার নিকোলাস ওয়েলচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। এতে দলীয় ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর শন উইলিয়ামস (৭) দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েন নাঈম হাসানের বলে।

চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৪৭ রানের প্রতিরোধগড়া জুটি গড়েন ক্রেইগ আরভিন আর বেন কারেন। অবশেষে এক ওভারে জোড়া শিকার করে জিম্বাবুয়েকে আবারও বিপদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

৩০তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজ বোল্ড করেন ক্রেইগ আরভিনকে (২৫), শেষ বলে এলবিডব্লিউ হন ওয়েসলে মাদভেরে (০)। নিজের পরের ওভারে আরও এক শিকার মিরাজের। এবার তার ঘূর্ণিতে শর্ট লেগে এনামুল বিজয়ের ক্যাচ তাফাজওয়া টিসিগা (০)। ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে।

মিরাজ এখানেই থেমে থাকেননি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ১০ রানে এবং জিম্বাবুয়ের শেষ ভরসা বেন কারেনকে দুর্দান্ত টার্নে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার। লড়াকু কারেন ১০৩ বলে করেন ৪৬ রান।

৯৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর শেষের ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। দিনের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর আর মাত্র একটি উইকেট বাকি ছিল জিম্বাবুয়ের। আম্পায়াররা সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বেশি সময় লাগেনি। ভিনসেন্ট মাসেকেসাকে সরাসরি থ্রোতে মুমিনুল হক রানআউট করলে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রানে শিকার করেন ৫টি উইকেট। ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম এবং বাকি এক উইকেট নাঈম হাসানের।

চট্টগ্রাম টেস্টে সাদমান ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। আর জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২২৭ রানে।

বুধবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মাত্র ২.৪ ওভার খেলা হতেই বৃষ্টি নামে। ফলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ক্রিকেটাররা।

১৫-১৬ মিনিটের বৃষ্টির পর ফের খেলা শুরু হয়। বৃষ্টি থামার পর যথারীতি ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশ দলের দুই অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম।

অষ্টম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি করেন মিরাজ ও তাইজুল। টাইগারদের এই জুটি ভাঙেন জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। তাইজুলকে উইকেটরক্ষক তাফাদজওয়া সিগার হাতের ক্যাচ বানান তিনি। ৩৪২ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশের। ৪৫ বলে ২০ রান করে আউট হন তাইজুল। নিজেদের দিন বলে কথা। সে কারণে নবম উইকেটেও দারুণ এক জুটি হয়ে গেল বাংলাদেশের। মিরাজ এবং তানজিম হাসান সাকিবের ৯৬ রানের এই জুটিতে বড় সংগ্রহের আভাসই দিচ্ছিলো স্বাগতিকরা। যদিও ততক্ষণেই দলীয় সংগ্রহ ৪০০ পেরিয়ে গেছে।

৮০ বলে ৪১ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে আউট হন তানজিম সাকিব। ওয়েসলি মাধভেরের বলে নিকোলাস ওয়েলচের হাতে ক্যাচ হন সাকিব। নতুন এবং সর্বশেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদকে নিয়ে খুব বেশি এগোতে পারেননি মিরাজ। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করে ফেলেছেন ঠিকই। মিরাজ যখন ৯৯ রানে অপরাজিত, হাসান মাহমুদ তখন স্ট্রাইপ্রান্তে। তবে জিম্বাবুইয়ান স্পিনার মাসেকেসাকে কোনোমতে ঠেকিয়ে রাখেন হাসান। পরে স্ট্রাইকে গিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ।

মিরাজ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই শতকটাও তিনি করেছিলেন চট্টগ্রামে। চার বছর পর আজ বুধবার দ্বিতীয়বার তিন অংকের ম্যাজিক সংখ্যা স্পর্শ করেছেন মিরাজ। ভেন্যুও সেই  চট্টগ্রাম।

১৬২ বলে ১০৪ রান করে মাসেকাসের বলে স্টাম্পড হন মিরাজ। জিম্বাবুইয়ান স্পিনারকে সামনে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন টাইগার ব্যাটার। মিরাজকে ফেরাতে বাকি কাজটা তিনিই সারেন উইকেটরক্ষক তাফাদজওয়া । ১৬ বল খেলেও ০ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান মাহমুদ। এর আগে ১২০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।

জিম্বাবুয়ের হয়ে ১১৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্রায়ান বেনেট ও ওয়েসলি মাধভেরে ১টি উইকেট নেন।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

অভিনয়ে প্রথমবারের মতো জুটি হচ্ছেন প্রীতম-জেফার!

 বিনোদন ডেস্ক : ও অভিনয়ে সমানতালে জনপ্রিয়তা পাওয়া প্রীতম হাসান এবার নতুন এক রোমান্টিক ওয়েব ফিল্মে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন গায়িকা ও অভিনেত্রী জেফার রহমানের সঙ্গে। এই প্রথমবারের মতো অভিনয়ে একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন তারা দু’জন। ওয়েব ফিল্মটির নাম ‘তুমি আমি শুধু’, যেটি পরিচালনা করছেন ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ খ্যাত নির্মাতা শিহাব শাহীন।

নির্মাতা গণমাধ্যমকে জানান, “এই প্রজেক্টটি দুই বছর আগে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তখন জেফার অভিনয়ে আসেনি। ইচ্ছা ছিল এই কাজ দিয়েই তাকে অভিনয়ে নিয়ে আসব আমি। তবে সময়ের কারণে কিছুটা পিছিয়ে যায় বিষয়টি, এবং এর মধ্যেই জেফার অন্য কিছু প্রজেক্টে অভিনয় করে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, “প্রীতম ও জেফারকে নিয়ে নতুন এক স্ক্রিন-জুটি তৈরির চিন্তা থেকেই এই কাস্টিং করা হয়েছে। দর্শক এখানে নতুন কিছু পাবে বলে আমি মনে করি। কাস্টিংয়ে আরও কিছু চমক থাকছে।

ওয়েব ফিল্মটির শুটিং শুরু হচ্ছে আগামী ৪ মে থেকে। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশন ছাড়াও কক্সবাজারে হবে এর দৃশ্যধারণ। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ-এর জন্য নির্মিত হচ্ছে ফিল্মটি। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যেই এগোচ্ছে এর কাজ।

উল্লেখ্য, প্রীতমকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘ঘুমপরী’ ওয়েব ফিল্মে, আর জেফার অভিনয় করেছেন শিহাব শাহীনের নির্মিত ‘অ্যালেন স্বপন সিজন ২’-তে। এদিকে, এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘দাগি’ সিনেমার মাধ্যমে নির্মাতা শিহাব শাহীন দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

জীবনের সব দিয়ে যাকে ভালোবেসেছি ,সে ঠকিয়েছেন: অহনা

বিনোদন ডেস্ক:

ছোট পর্দার অভিনেত্রী অহনা রহমান। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রেম নিয়ে মোটেও ভালো অভিজ্ঞতা নেই তার জীবনে। প্রাক্তনের কাছে ঠকেছিলেন তিনি। যে কারণে পুরুষ মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন না এখন।

জীবনের সবটা দিয়ে যাকে অনেক বিশ্বাস করে ভালোবেসেছিলেন অভিনেত্রী, সেই মানুষটিই তাকে ঠকিয়েছেন। একবার সুযোগও দিয়েছিলেন; কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফের তাকে ঠকানো হয় বলেও জানান অহনা।

যদিও সেই প্রাক্তনের নাম কিংবা পুরো ঘটনা কখনোই প্রকাশ করেননি অভিনেত্রী। তবে বরাবরই জানিয়েছেন, সম্পর্কে থেকে ঠকেছেন। যে কারণে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়ানোর ইচ্ছেটুকুও আর নেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রাক্তনকে ‘অমানুষ’ বলে সম্বোধন করলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, অহনা মনে করেন- তার প্রাক্তনের মতো কিছু মানুষের কারণে অন্য পুরুষরা ক্ষতিগ্রস্থ হন।

অহনা বলেন, ‘আমার প্রাক্তন একটা জা..য়ার, একটা অমানুষ, ভয়ংকর লেভেলের অমানুষ। তাকে দেখার পরে আমার অন্য পুরুষদের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে। আমাকে যদি বলেন প্রাক্তনকে নিয়ে কিছু বলতে, তাহলে বলবো- সে একটা অমানুষ। মানুষের জাতের মধ্যে পরে না।’

এমন না পরকীয়া করে ধরা পড়ছে বা কিছু, এসব করেনি। তবে অন্য সকল কারণেই সে একটা অমানুষ- যোগ করেন অভিনেত্রী।

অহনা মনে করেন, নারীরা সবসময় একটা কেয়ারিং পুরুষকে পছন্দ করেন। তার কথায়, ‘একটা মানুষের কেয়ারিং সঙ্গী লাগে। টাকা মিলে কামানো যায়। যাদের সুগার ড্যাডি লাগে তাদের হয়তো বিষয়টা ভিন্ন, কিন্তু যেই নারী সেলফ ওরিয়েন্টেড তাদের ভালোবাসা, কেয়ার লাগে। টাকার সম্পর্ক আসলে থাকে না। এজন্যই সুগার ড্যাডি, সুগার মামিদের কথা শোনা যায় এখন।’

অহনা আরও বলেন, ‘একটা ছেলের দায়িত্ববান হওয়া উচিত। একটা মানুষের দায়িত্বজ্ঞান নাই, তখন লয়্যল হলেও হয় না। আমাদের বাবারা কিন্তু দায়িত্ববান। তারা স্ত্রী, সংসার, সন্তান সবকিছু সামলায়। তবে যারা অমানুষ, তাদের কারণে অন্য পুরুষরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।”

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

মানবিক করিডর দিয়ে দেশের জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না: আসাদুজ্জামান রিপন

প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, স্টারলিংককে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার সুযোগ এবং রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট দরকার। তবে দেশ বিক্রি করে নয়। স্টারলিংককে এ দেশের কোনো সরকারি কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা করতে দিন। তাহলে দেশে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

৩০ এপ্রিল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ‘রাখাইন পরিস্থিতি : মানবিক করিডর এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন করেছি এবং করি। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা বাংলাদেশের জনগণ এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে তুলতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা শুনলাম ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানবিক করিডর দিচ্ছে। এই মানবিক করিডর কি? মানবিক করিডর-টা হচ্ছে যখন পাশের রাজ্যে পাশের দেশে গৃহযুদ্ধ, রক্তারক্তি হয়, তখন সে দেশের সাধারণ জনগণকে নির্গমনের জন্য রাস্তা করে দেওয়া হয়। এই ধরনের ঘটনা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখেছি। কিন্তু একটি করিডরও রক্তারক্তি ছাড়া মুক্তি পায়নি। সুতরাং বাংলাদেশের যে মানবিক করিডর দেওয়া হচ্ছে এটা বাংলাদেশের জনগণ এবং সার্বভৌমত্বের জন্য সুখকর নয়।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০২৫/মওম