আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 89

জনগণ দ্রুত সময়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়:আমিনুল হক 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের জনগণ দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।
০৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে  রাজধানীর পল্লবীর কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন,আমরা আশা করি আগামী ডিসেম্বরের ভিতরেই বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।সেই নির্বাচনে দেশের নতুন এবং পুরাতন ভোটার সকলেই ভোট দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
এসময় আমিনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের সময়ে কেউ ভোট দিতে পারে নাই। ঐ সময়ে যারা ভোটার হয়েছিল, তারাও ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
তিনি বলেন,যারা ভোটার হতে এসেছেন। নতুন ইয়ং ভোটারদের সাথে কথা বলে তাদের মধ্যে ভোট দেয়ার যে আগ্রহ দেখলাম।সর্বোপরি ভোটাররা ভোট দিতে চায়। তাদের যে অধিকার,সেই অধিকার তারা প্রয়োগ করতে চায়।
এসময় তিনি আরও বলেন,নাগরিক হিসেবে আমাদের যে করণীয় আছে,সেই দিক থেকে আমরা সার্বিক ভাবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদেরকে সহযোগিতা করছি। পাশাপাশি যারা ভোটার হতে এসেছে তাদেরকেও আমরা সহযোগিতা করছি।
নতুন ভোটারদের প্রতি শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, ভোটার হওয়া হচ্ছে একজন নাগরিকের অধিকার। নাগরিকের সেই অধিকার অবশ্যই তাকে প্রয়োগ করতে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের সময়ে গত ১৫ বছরে যেভাবে তারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে নিজেরা নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় মসনদে বসেছিল। কারন তাদের এদেশের জনগণের ভোটের দরকার ছিল না। জনগণকে তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোটার হয়েছেন,তারা সকলেই তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,মাহাবুব আলম মন্টু প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ঝালকাঠিতে

সাজ্জাত বিশ্বাস, ঝালকাঠি: 
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের অভিযোগে ঝালকাঠিতে চালককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনের চালকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া ফেরত দেন গাড়িটির দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার।
গাড়িতে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বল্লে, তাঁদের টিকিট সরবরাহ করা হয়েছে তাতে কোথাও কোনো ভাড়া উল্লেখ করা নেই। মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকার ভাড়া ৯০০ টাকা হলেও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি নেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে আসা যাত্রী রাকিবের সঙ্গে কথা হলে জানান, আজ শনিবার সকালে অফিসে যোগদান করতে হবে। তাই তিনি বাধ্য হয়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৩০০ টাকা বাড়তি দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
এ বিষয় সাকুরা পরিবহনের ঝালকাঠি কাউন্টারের ইনচার্জ মো. কামাল মল্লিক বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ভাড়া ছাড়া ঝালকাঠি থেকে কখনো কোনো বাড়তি টাকা নেওয়া হয়নি। যে ঘটনা ঘটেছে, তা মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কারণে হয়েছে।’
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার বলেন ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জন্য সড়ক পরিবহন আইনে সাকুরা পরিবহনের চালককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

নবীনগরে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা 

মো: আনোয়ার হোসেন: 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও লক্ষ্য মাত্রার অধিক জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভুট্টা আবাদ হয় ৬৫ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩০ হেক্টর বেশি । ভুট্টা দুই ভাবে কৃষক ব্যবহার করে এক – ভূট্টার বয়স ৬০-৬৫ দিন বয়সে সাইলেজ হিসেবে গো-খাদ্য হিসেবে, দুই-দানা হিসেবে পোল্ট্রি শিল্পে। নবীনগর উপজেলার ২১ ইউনিয়নে মধ্যে সলিমগঞ্জ, রছুল্লাবাদ,  ইব্রাহিমপুর, শ্রীরামপুর, লাউর-ফতেহপুর, কাইতলা ইউনিয়নে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। সব চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে শ্রীরামপুর ইউনিয়নে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে। এ সকল জমি তিতাস নদী বিধৌত পলিযুক্ত মাটি খুব উর্বর, তাই এ সব এলাকায় ভুট্টার ফলন অধিক হয়ে থাকে। সরেজমিনে এ সব ইউনিয়নের মাঠ গুলো ঘুরে ভুট্টা চাষের এই দৃশ্য দেখা গেছে। কম খরচে অধিক মুনাফা অর্জনের ফলে দিন দিন ভুট্টা চাষের জন্য কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া বলেন-“ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি, তাই আমি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। আশা করি ভুট্টার ভাল ফলন হবে”। রতনপুরের কৃষক কামাল বলেন-আমি এ বছর ১ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে ভুট্টার ফলন
বেশি হবে বলে আশা করি। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের কৃষক মো. সুমন  মিয়া – ১ এ বছর ভুট্টা চাষ করেন ৪ বিঘা, শান্তনা বেগম ১.৫ বিঘা, সুমন-২ দুই বিঘা সহ এ কৃষি ব্লকে মোট ৪৫ বিঘা জমিতে এ বছর ভূট্টা চাষ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ২০-২৫ মণ হারে ফলন হয়ে থাকে। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নবীনগর উপজেলার ৬০০ শত হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি বছরে কৃষক ভুট্টা চাষ ঝুঁকেছে। কম পুঁজি, ঝুঁকিহীন হওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ ছাড়া সরকার কৃষি প্রণোদনা স্বরূপ কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন-“চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভুট্টার ফলন ভাল হবে বলে আশা করি। ভূট্টার গড় দাম এই মূহুর্তে ১,৪০০ টাকা মন। উৎপাদন খরচ কম হওয়াতে কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এ ছাড়া ভুট্টা অফ সিজনে গো-খাদ্যের যোগান দিচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদেরকে ভূট্টা বালাই ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত জাত ব্যবহার সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপে খুশি নন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেইজিংকে সতর্ক করে ৪ এপ্রিল শুক্রবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, চীন ভুল করছে। তারা আতঙ্কে এমন কাজ করছে, যার পরিণাম ভোগার মতো অবস্থায় তারা নেই। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খভর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ঘোষণার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা নতুন করে ১৬টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য চীনের বাজার ও প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারে বিধিনিষেধ আরও বাড়বে। এ ছাড়া ১১টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ‘অবিশ্বস্ত সত্তা’ তালিকায় যুক্ত করেছে। এর আওতায় চীন এসব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।

চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে জানায়, ১০ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাঁচামাল রপ্তানিও নিয়ন্ত্রণ করবে তারা।

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় অনেক দেশের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে তিনি চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা জানান, যা আগে আরোপিত শুল্কসহ ৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই বাড়তি শুল্ক আরোপের কারণে চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্যযুদ্ধ বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে। বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে শুরু হয়েছে বড় দরপতন। অর্থনীতিতেও দেখা দিয়েছে মন্দার শঙ্কা।

আলোকিত প্রতিদিন/৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

ড.ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ‘গুরুত্বপূর্ণ’: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছে বিএনপি।  ৪ এপ্রিল শুক্রবার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এরকম মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকটি নিশ্চয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার (বৈঠক) প্রয়োজন আাছে এবং প্রয়োজন ছিল। এই বৈঠকের জন্যে আমাদের সরকার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চেষ্টা করছিলেন… এই সময়ে একটা বৈঠক হওয়ার দরকার ছিল… তারা করেছেন। তবে আমি জানি না বৈঠকের অভ্যন্তরে কী আলোচনা হয়েছে… বিশদ না জানলে আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।’

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা, সীমান্ত হত্যা, তিস্তা বাঁধ প্রকল্প প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠকের পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি না জেনে কিছু বলতে পারবো না। যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে আপনার মুখ থেকে শুনলাম, নেহাতই গুরুত্বপূর্ণ এগুলো।’

‘শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং এই বিচার সময়ের দাবি, জনগনের দাবি, আমাদেরদাবি। যদি শুধু শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথাবার্তা হয়ে থাকে… তাহলে আমি একটু যোগ করতে চাইবো, ওনার (শেখ হাসিনা) যেসব সাঙ্গপাঙ্গ আছে সেখানে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরও যেন সঙ্গে ফেরত পাঠানো হয়।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ভারতের উচিত শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে পাঠিয়ে দেওয়া যাতে তার বিচারটা হয়। কারণ, একটা ফ্যাসিস্টের বিচার হওয়া খুব জরুরি। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সারা বিশ্বের জন্য এটা খুব জরুরি। কোনও ফ্যাসিস্ট কখনো বিনা বিচারে যেতে পারে না।’

‘বৈঠকে যে সমস্ত বিষয়ের কথা হয়েছে বলে আপনারা বলছেন যদি এটা হয়ে থাকে… যেমন বলেছেন তিস্তা নিয়ে কথা হয়েছে… আমি মনে করি, তিস্তাবাঁধ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নাই। তিস্তার পানির আমাদের দিতে হবে এবং তিস্তাবাঁধের প্রয়োজনীয় সংস্কার…বাঁধ আমাদের করতে হবে। তিস্তা এবং ফারাক্কার বিষয়ে নিয়ে বাংলাদেশ কোনও ছাড় দেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ একটা শক্ত অবস্থানে আছে। ভারতের সঙ্গে যেসব অসম চুক্তি বিগত সরকারের আমলে হয়েছে এখন সেসব চুক্তি বাতিল করা দরকার। যেসব অসম চুক্তি কার্যকর হয় নাই সেগুলো বাতিল করতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ আপনারা যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বললেন, এগুলো যদি হয়ে থাকে আমি মনে করি নিশ্চয়ই ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে প্রফেসর ইউনুস সাহেব আরও কিছু আলোচনা করবেন, ভালো ফলাফল আমাদেরকে দেবেন।’

শাহজাহানপুরে নিজের বাসার চেম্বারে দেশের রাজনীতি, সংস্কার, নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে একদল সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। এক গ্রুপ আছে দেশে, আরেক গ্রুপ আছে বিদেশে যারা নাকি নির্বাচনকে বাদ দিয়ে সংস্কারের কথা বলছেন… আবার বলার চেষ্টা করছেন বিএনপি নাকি সংস্কারের কথা শুনলে বিএনপির মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার এখানে তীব্র আপত্তি। বিএনপি কখনও সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি বরাবর সংস্কারের পক্ষে, একই সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনেরও পক্ষে দুইটারই প্রয়োজন আছে। কিন্তু এমন সংস্কারের পক্ষে বিএনপি নয় যেটি দেশের জনগণের স্বার্থের অধিকারের বাইরে চলে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, যাদের কাছে সংস্কার কমিশনের স্প্রেডশিট গেছে… যারা পড়েছেন তারা দেখবেন, এমন কিছু প্রস্তাব আছে যে প্রস্তাবগুলো বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মানানসই নয়, সেগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। যেগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না সেগুলো আমরা কেন মানবো?’

‘এই মানা-না মানা নিয়ে আমি গতকাল দেখলাম এক ভদ্রলোক আমি নাম নিচ্ছি না তবে আপনারা (সাংবাদিকরা) বুঝে নিয়েন যিনি দরবেশ সালমান এফ রহমানের টাকা খেয়ে মোটা হয়েছেন… স্বাস্থ্য ভালো করেছেন, চেহারা সুন্দর করেছেন তিনি লম্বা লম্বা কথা বলেন দেশের বাইরে থেকে। খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, উনি গতকাল আমার সম্পর্কে খুব বাজে কথা বলেছেন…তো বলতে থাকুক। আামি প্রথমে বলেছি যে, আমার বাগানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শূকর পড়েছে.. আমি শূকরের পর্যায়ে তাদের ধরে নেবো।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন তারা কী করতেছে? বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্র্যাকেট করার চেষ্টা করতেছে। বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্র্যাকেট করার সুযোগ নাই। বিএনপির জন্মই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এটা বুঝতে হবে। আপনারা দেখবেন, এই গোষ্ঠীরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে সমর্থনকারী ব্যবসায়ীমহল, তৎকালীন আমলা, বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে প্রধানদের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। আমি ব্যবসায়ীদের নাম বলতে পারি, সেই নাম এ্খন বলতে চাই না। ওরা এখন সকলে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে লেগেছে… উদ্দেশ্য একটাই এ দেশে ফ্যাসিজম ও আধিপত্যবাদকে প্রতিষ্ঠা করা।’

এদিন হত্যা মামলায় জড়িত আওয়ামী লীগের নেতারা কীভাবে জামিন পাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা আব্বাস।

আলোকিত প্রতিদিন/৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ, চিরচেনা কর্মচাঞ্চল্যে ফিরবে ঢাকা 

আলোকিত প্রতিবেদক:
ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার এই যাত্রা ছিল অনেকটাই নির্বিঘ্ন। সরকারি কর্মজীবীরা এবারের ঈদে সাপ্তাহিক ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে পাওয়া অতিরিক্ত ছুটি মিলিয়ে টানা ৯ দিনের অবকাশ উপভোগ করেছেন। ৫ এপ্রিল শনিবার সেই ছুটির আনুষ্ঠানিক ইতি ঘটেছে। আগামীকাল ৬ এপ্রিল রবিবার থেকে রাজধানী আবারও ফিরবে তার চিরচেনা কর্মচাঞ্চল্যে। তার জন্যই কর্মজীবী মানুষদের ঢাকা ফেরা।
আজ সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস এসে পৌঁছাচ্ছে একের পর এক। প্রতিটি বাসেই ছিল যাত্রীদের ভিড়, সবার চোখেমুখে ঈদের আনন্দের রেশ। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে ব্যাগ-লাগেজ হাতে নিয়ে ছুটছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার খোঁজে। বেসরকারি চাকরিজীবীদের কেউ অফিসের উদ্দেশ্যে, কেউবা বাসায় ফিরছেন আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে।

ফেরত আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রা ছিল তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। তবে ফিরতি যাত্রায় ভাড়া বেশি নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। গাবতলী বাস টার্মিনালে এক যাত্রী বলেন, ‘যাওয়ার সময় তেমন কোনও ভোগান্তি হয়নি, আর ফেরার সময়ে কোনও সমস্যা হয়নি। ছুটি লম্বা হওয়ায় বাড়ির সবাই যে যেদিন পারছে, আসছে। একসঙ্গে না আসাতে ঢাকায় ফেরার চাপও কম ছিল।’ আরেক যাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের সময় কাটানোটা ছিল খুবই আনন্দের। এখন আবার কাজের টানে ফিরতে হচ্ছে। তবে যাত্রাটা আরামদায়ক ছিল। অন্যদিকে বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটির শেষ দিন হওয়ায় আজ রাজধানীমুখী যাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা জানান, গত দুই দিন ধরেই যাত্রীরা ফিরতে শুরু করলেও আজ ছিল যাত্রীর মূল চাপ। সকাল থেকে আসা প্রতিটি ট্রিপেই, যাত্রী ছিল ফুল।

আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে সরকারি অফিস-আদালতসহ সবধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। ফলে বিকালের পর ঢাকায় ফিরতি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

আলোকিত প্রতিদিন/৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে দেশীয় মদ সহ ১জন আটক

সোহেল রানা চৌধুরী:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ মোঃ আজগর আলী (৪২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
০৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
আটককৃত- মোঃ আজগর আলী সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদ পুর থানার চককৃষ্ণপুর কায়েম খোলা গ্রামের জামাত আলী সরদার এর ছেলে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) মোঃ মাহাবুল করিম সংগীয় অফিসার ও ফোর্স সহ গতকাল দিবাগত রাত পৌনে এগারোটার দিকে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর জিয়া সরদার এর বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বের আসন করা কক্ষের মধ্যে থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসামি কে ২৭ (সাতাশ) লিটার দেশীয় চোলাই মদ সহ আটক করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, আটককৃতর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার তাকে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৪ এপ্রিল ২০২৫/মওম

নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর মাজেদা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ২ যুবক গ্রেফতার

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
নেত্রকোণার জেলা শহরের আরামবাগ এলাকায় চাঞ্চল্যকর মাজেদা বেগমকে (৫২) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার হাসানোয়াগাঁও গ্রামের মোঃ শহিদের ছেলে আরিয়ান আহমেদ রাজীব (২২) ও জেলা শহরের ছোট বাজার এলাকার নুরুল ইসলাম এর ছেলে সাউন বিন তোহা আব্দুল্লাহ (১৫)। পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলা শহরের আরামবাগ এলাকার মৃত আরমান আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম স্বামী ও ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি একাই এই বাসায় বসবাস করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ফারিয়া সুলতানা ইতি তার স্বামীর কর্মস্থল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার মাস্টার বাড়ী এলাকায় বসবাস করেন। গত ২০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা মাজেদা বেগমকে তার নিজ বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও কানের দুল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মৃত মাজেদা বেগমের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা ইতি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে ২৫ মার্চ নেত্রকোণা মডেল থানায় মামলা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও নেত্রকোণা মডেল থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে মাজেদা বেগমের চুরি হওয়া স্যামসাং এম-১৪ মডেলের একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।পরে মোবাইলের সূত্র ধরে ৩রা এপ্রিল নেত্রকোণা সদর উপজেলার ছোট বাজার এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত রাজীব ও আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট করা সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মাজেদা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও কানের দুল লুটের কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো কেউ জড়িত ছিল কি না সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং বাকি লুট করা মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৪ এপ্রিল ২০২৫/মওম

সাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটে চাঁদা দাবি,গ্রেফতার-১

শহিদুল্লাহ সরকার: 
সাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে চাঁদা দাবি, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব। গত ২ এপ্রিল বুধবার রাতে এ ঘটনার পর মার্কেট ও দোকান মালিকরা বিষয়টি যৌথবাহিনীকে জানান। পরে যৌথবাহিনী ও সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিল্লাল নামের একজনকে গ্রেফতার করে। পরে মার্কেট মালিক মামুন নামের একজন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৭। তারিখ ০৩/০৪/২৫ইং।
অভিযুক্তরা হলেন বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাব এলাকার ১. মৃত কফিলের ছেলে মোহাম্মদ মামুন ২. এনায়েত উল্লাহ এর ছেলে মোঃ বিল্লাল ৩.আলি আশরাফ ৪.জসীম উদ্দীন ৫.দেলোয়ার হোসেন ৬.মেহেদী  ৭.ইউসুফ মোল্লার ছেলে কাউসার মোল্লা সহ অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ২রা এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে অভিযুক্তারা সহ আরো প্রায় ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মার্কেটের ৬০টি দোকানে ৬০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সকল রেস্টুরেন্টের খাবার ফেলে দেয়। চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে এবং সব দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
মার্কেট মালিক মোঃ মামুন বলেন, বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেট টি আমরা ৫ জন মিলে তৈরি করি।  বিগত কয়েক দিন যাবত বিরুলিয়ার বিলাল ও মোহাম্মদ মামুনের ইন্ধনে তাদের লোকজন মার্কেটে এসে প্রতিনিয়তই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। গতকাল বুধবার মামুন আমাকে ফোন দিয়ে বলে মার্কেটে থাকার জন্য। বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পর আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে চলে যাই। পরে আমি জানতে পারি মোহাম্মদ মামুন ও বিল্লাল ২৫/৩০ জন লোক মার্কেটের দোকান গুলোতে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর চালায় ও দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে করে মার্কেটের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। পরে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বিল্লালকে গ্রেফতার করে। তিনি আরো বলেন বিল্লাল বর্তমানে যুবদল করে। আগে মামুন যুবলীগ করতো। মামুনের যুবলীগের ব্যানার বিরুলিয়া ব্রীজের পাশে টানানো ছিলো। সে আবার এখন নাগরিক কমিটির পরিচয় দেয়। সাভার নাগরিক কমিটির নাইম ভাই বলছে মামুন নাগরিক কমিটির কেউ না। আমি এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে এই গরীব দোকানিরা শান্তি মত ব্যাবসা করতে পারে।
রেস্টুরেন্টের মালিক ও কর্মচারীরা জানান, গতকাল রাতে ২০/৩০ জন লোক তাদের রেস্টুরেন্টে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করতে বলে। এক পর্যায়ে তারা রেস্টুরেন্টের খাবার ও জিনিসপত্র ফেলে দেয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক দোকান বন্ধ করে দেয়। বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মেম্বার বলেন, ঘটনার এক ঘন্টা পর আমি জানতে পারি এবং সেখানে যাই। দুই পক্ষকে মিলানোর চেষ্টা করি। মিমাংসার শেষ পর্যায়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। তাই আর মিমাংসা হয়নি। পরে আমি চলে আসি। বিল্লাল এই এলাকার ছেলে, সে বিএনপি করে, তার বাবা আওয়ামী লীগ করতো। আর মামুন আওয়ামী লীগ করতো। এই মামুনের সাথে মিল করে তার এ ঘটনা ঘটায়। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/৪ এপ্রিল ২০২৫/মওম

গভীর রাতে ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাতেও পাস হলো ওয়াকফ বিল

৪ এপ্রিল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, লোকসভায় পাস হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংসদের উচ্চকক্ষেও ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল পাস হয়ে যাওয়ায় বিলটির আইনে পরিণত হওয়া শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা। প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই বদলে যাবে ৭০ বছরের পুরনো আইন।

১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে অনুমোদন দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার সবই বদলে যেতে চলেছে। সব বিরোধী দলেরই দাবি, ওয়াকফ আইনের এই সংশোধন ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতাকে নজিরবিহীনভাবে খর্ব করে দিচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সমস্ত বিতর্ক এবং সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটি শেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাত ২টা ১৯ মিনিটে “ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫” পাস করানোর প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয় এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ধ্বনিভোটের ফলাফলে বিরোধী শিবির সন্তুষ্ট হয়নি। তারা বিভাজন (ডিভিশন) চায়। ভোটাভুটি শেষে রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ফল ঘোষিত হয়। তাতে দেখা যায় বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৮টি ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ৯৫টি ভোট। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে ওয়াকফ বিল রাজ্যসভায় পাস হয়ে যায়। বিতর্ক চলে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর ভাষণের মাধ্যমেই আলোচনা তথা বিতর্কের সূত্রপাত। রিজিজুর দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির অন্যতম লক্ষ্য হলো সেই সম্পত্তির মাধ্যমে মুসলিম সমাজের গরিব, নারী এবং এতিম শিশুদের উন্নয়ন। নতুন আইনে বিপুল রাজস্ব আদায় হবে বলেও রিজিজু সংসদে দাবি করেন। তবে অধিকাংশ বিরোধী দল এই বিলের বিপক্ষে কথা বলেছে। বলা হয়েছে, এই বিলের মাধ্যমে মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি। শুধু তা-ই নয়, এই বিল যেভাবে পাস করানো হয়েছে সেই কার্যপ্রণালী নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের একাধিক মুসলিম সংগঠন এই বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।

বিরোধীদের বক্তব্য, সংসদের বাইরে এই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এককাট্টা হয়ে এই বিলের বিরোধিতা করেছে। তারা সংশোধিত বিলটিকে “অসাংবিধানিক” আখ্যা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি বা জেপিসি বিরোধীদের মতামতে কর্ণপাত করেনি।

কংগ্রেস জানিয়েছে, সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এআইএমআইএম-এর আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানান, তিনি প্রতীকী পদক্ষেপে মহাত্মা গান্ধীর অনুসরণে এই আইন ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানালেন। তিনি বলেন, “২০১৩ সালে যখন লালকৃষ্ণ আদভানি, সুষমা স্বরাজের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে বিলের সংশোধনী পাস হয় তখন কোনও বিতর্ক হয়নি”। তার প্রশ্ন, “তারা কি ভুল ছিলেন?”

অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার সংসদ সদস্য অরবিন্দ সাওয়ন্ত ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলমান সদস্য এবং ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের সিইও পদে আমলা নিযুক্ত করার সমালোচনা করে বলেছেন, “সরকার কি মন্দির কমিটিতে অ-হিন্দুদের থাকার অনুমতি দেবে?”

আলোকিত প্রতিদিন/৪ এপ্রিল ২০২৫/মওম