আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 91

শ্রমিক নেতা সহ শ্রমিকদের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অর্ধবেলা ধর্মঘট পালন

নাজমুল হাসান:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে  মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এর দাবিতে অর্ধবেলা কর্মবিরতি পালন করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ এনে পুলিশ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

২৬ মার্চ বুধবার কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক কোম্পানিগঞ্জ বাস ট্রার্মিনাল এলাকায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী তিশা ও গোমতী, চট্টগ্রামগামী প্রান্তিক, হানিফ, বিআরটিসি, কুমিল্লা ও বি-বাড়িয়াগামী বাস রয়েল সুপার, ফারজানা, সুগন্ধা, ফারহানা বাস সহ  সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে কুমিল্লার জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখা। কোম্পানিগঞ্জ বাস টার্মিনাল হতে কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে আন্তঃজেলার বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ বাস না চলার কারণ খুজতে গিয়ে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর উপজেলার কিছু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা সিরিয়ালের বাহিরে সিএনজি নিতে চাইলে রাস্তায় স্থানীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর নিজস্ব ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা এক লাইনম্যান বাঁধা প্রদান করেন এবং বলেন এখান থেকে সিএনজি নিতে চাইলে সিরিয়াল ঠিক রেখে সিরিয়াল টুকেন অনুযায়ী নিতে হবে। তখন ঐ লাইনম্যান ছাত্র সমন্বয়ক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করায়  উভয় তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক সহ আন্দোলনে অংশ নেওয়া কিছু ছাত্র এসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা শ্রমিক আবুল কালামকে টুকেনের বিপরীতে চাঁদাবাজ উপাধি দিয়ে তাকে পুলিশে দেয়।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কোম্পানিগঞ্জ শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি হাজী মোঃ ইদ্রিস বলেন, আমরা শ্রমিক ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন এলাকায় যানযট নিরসনে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ বাস-মালিক সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন নিয়ন্ত্রন ও সিরিয়াল অনুযায়ী  রাখার জন্য কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেই। যার খরচ বাস মালিক সমিতি বহন করে থাকেন। তারা সিরিয়াল অনুযায়ী বাস, সিএনজি, অটোরিকশা গুলো কে চলাচলে সহযোগিতা করে ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সে সুবাদে গত সোমবার আমাদের মুরাদনগর উপজেলা কিছু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র এসে সিরিয়ালের বাহিরে সিএনজি নিতে চাইলে রাস্তায় স্থানীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর নিজস্ব ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা এক শ্রমিক তাদের বাঁধা প্রদান করেন এবং তাদের মধ্যে একজন পরিচয় দেন যে তিনি সমন্বয়ক। এই নিয়ে বাঁধা প্রদান করেলে তাদের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র এসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা শ্রমিক এবং পরিবহন মালিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ উপাধি দিয়ে বাস টার্মিনালে মিছিল বের করে। পরবর্তীতে শ্রমিক আবুল কালামের মুক্তির দাবিতে মুরাদনগর থানার সামনে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে সমন্বয়ক ও মালিক-শ্রমি দের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সমন্বয়ক বাদি হয়ে পৃথক দুইটি মামলায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সহ ১৬২ জনকে আসামী করা হয়। সেই মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অর্ধবেলা ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করি। যদি অনতিবিলম্বে পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহার না করে তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করতে বাধ্য হবো।

ফখরুল, রুহুলামিন, আমজাদ এর মতো পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, আমরা পরিবহন শ্রমিক, আমরা সারাদিন পরিবহনে কাজ করে জীবিকানির্বাহ করি। আমাদের আটক শ্রমিকদের মুক্তি ও তাদের  বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার করে আমাদের শ্রমিকদের কাজে  ফিরার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো। রয়েল সুপারের মালিক জহির খান বলেন, সোমবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে গাড়ীর সিরিয়াল নিয়ে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে থানায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মুরাদনগর থানা পুলিশ বেশকিছু শ্রমিককে গ্রেফতার করে এবং শ্রমিকদের উপর মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এই প্রতিবাদে শ্রমিকরা ধর্মঘট করছে। আমরা গাড়ীর মালিক, কিন্তু গাড়ীতো চালায় শ্রমিকরা। আমরা মালিকপক্ষ তাদের অনেক বুঝিয়েছি যে এখন ঈদের সময়, গাড়ী বন্ধ করলে মানুষের দুভোর্গ হবে। তবুও তারা তাদের উপর পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে আজ বুধবার অর্ধবেলা ধর্মঘট করেছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক ধর্মঘটের কারনে বাস চলাচল বন্ধের খবর পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৭ মার্চ ২০২৫/মওম

ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ও নারী মুখপাত্র মদের আড্ডায়!

আলোকিত প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের মদের আড্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে আজ। মঙ্গলবার রাতে ইয়াসির আরাফাত নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও পোস্ট করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাগ হাতে মুখপাত্র এলমা খাতুন কক্ষে প্রবেশ করছেন রুমে। এরপর ব্যাগটি রেখে খাটের উপর অবস্থান নেন। তার পাশে শুয়ে ছিলেন সদস্য সচিব সাইদুর রহমান। এরপর সাইদুর একটি কম্বল নিজের শরীরের উপর বিছিয়ে দেন আর মুখপাত্র এলমা খাতুন ফোন টিপতে থাকেন। এরপর একটি মদ ভর্তি বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন। আরেকটি হাতে কয়েকটি ওয়ান টাইমের গ্লাস পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান জানান, তিনি ভিডিওটির ব্যাপারে অবগত না। ভিডিওটি দেখে এই প্রতিবেদককে পরে জানাবেন বলে জানান তিনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরার মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সুজনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, যদি ভিডিও সত্যি হয় তাহলে এদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি আগামীতে কিছু পাবে না বলে আমার মনে হয়। এটা সমাজের জন্য ভালো বার্তা বয়ে আনবে না।

২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল এই কমিটি অনুমোদন করেন। আগামী ছয় মাসের জন্য তাঁরা এই কমিটি অনুমোদন করেন। এই কমিটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু হুরাইরাকে আহবায়ক ও কেসি কলেজের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমানকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও সাজেদুর রহমানকে মুখ্য সংগঠক এবং ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী এলমা খাতুনকে মুখপাত্র করা হয়েছে। কমিটিতে ১৩ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৩ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৯ জনকে সংগঠক ও ৬৪ জনকে সদস্য করা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নড়াইলের লোহাগড়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার!

জাহিদুল হক রনি:
নড়াইলের লোহাগড়ায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ১০০ পিচ  ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেন, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের ইলিয়াস মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (৩৮)।
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মোঃ আব্দুস সালাম, এস আই মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগড়া পৌর এলাকার শামীম এন্টারপ্রাইজ মার্কেটের সামনের পাকা রাস্তার থেকে পলাশ মোল্যা নামের এক বেক্তিকে মাদক ব্যবসায় জড়িত সন্দেহে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ১০০ পিচ অবৈধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়। পরবর্তীতে পলাশ মোল্যাকে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অপরাধে লোহাগড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমান বলেন,বুধবার গভীর রাতে ১০০ পিচ অবৈধ মাদক ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী পলাশ মোল্যাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন,নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০২৫/মওম

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

রাশেদুল ইসলাম:
জামালপুর  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। ২৬ মার্চ বুধবার সকালে  ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের করা হয়।
র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে একাডেমীক ভবন প্রদক্ষিণ করে ফের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
প্রথমে  ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ক্যাম্পাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে ক্রমান্বয়ে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ একে একে শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায়  প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা, স্বাধীনতা অর্জন ও এর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তৃতা প্রদান করেন।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ ফরহাদ আলী বক্তৃতা প্রদান করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নূরুন্নাহার বেগম হলের প্রভোস্ট (ভারপ্রাপ্ত) ড. মৌসুমী আক্তার ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল আলম।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০২৫/মওম

ঈদযাত্রায় বকশিসের নামে ৮৩২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া আদায়!

আলোকিত প্রতিবেদক: এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা ও আশেপাশে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথের বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহনে ২২ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার বার যাতায়াত হতে পারে বলে জানা গেছে। এসময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বকশিশ বা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

মোজাম্মেল হক বলেন, “ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবেন। এ ছাড়া ঈদবাজারসহ নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন গণপরিবহনে বাড়তি ট্রিপ সম্পন্ন হবে। এসব যাত্রীর নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী তৎপরতার মধ্যেও এবারে ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হবে।

মহাসচিব বলেন, “গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের উপকমিটির সদস্যরা গত ২০ মার্চ থেকে ঢাকা মহানগরীতে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথের ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীসেবার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আমরা দেখেছি, এবারের ঈদে ৯৮% গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঈদকেন্দ্রিক পরিবহনে চাঁদাবাজি বৃদ্ধি, পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাড়তি খরচের যোগান দেওয়া, পরিবহনের মালিক-চালক-সহকারী ও অন্যান্য সহায়ক কর্মচারীদের ঈদ বোনাস তুলে নেওয়া, পরিবহন মালিকদের বাড়তি মুনাফা লুটে নেওয়াসহ নানা কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।”

রাজধানীর গণপরিবহন ও অটোরিকশার বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, “রাজধানীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে। কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতসহ দৈনন্দিন নানা কাজে যাত্রীদের গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদের আগে রাজধানীতে চলাচলকারী ২০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় প্রায় ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, প্যাডেলচালিত রিকশা ঈদ বকশিশের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। আমরা মনে করি, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ৮ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশায় ৮ কোটি ট্রিপ যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ১৬০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।”

দূরপাল্লার বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, “এবারের ঈদে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সে হিসাবে দূরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।”

সংগঠনটি জানায়, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের ২০ হাজার, যেখানে ৬০ হাজার ট্রিপে গড়ে ৩,৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সে হিসাবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ২১ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

রেলপথে বাড়তি ঘুষ ও ভাড়া আদায়ের প্রসঙ্গে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদে ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও বিপুল সংখ্যক নিম্ন আয়ের লোকজন কম খরচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করেন। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ৮০ হাজার যাত্রী ট্রেনের ছাদে যাবেন। তাদের প্রত্যেককে গড়ে ১০০ টাকা হারে ৮০ লাখ টাকা রেলে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হবে। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন, যারা গড়ে ৩০০ টাকা হারে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হবেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি সুপারিশ করেছে, এখান থেকে উত্তরণের জন্য গণপরিবহনে ডিজিটাল ভাড়া আদায় চালু করা, নগদ টাকার লেনদেন বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা পদ্ধতিতে প্রসিকিউশন চালু করা এবং আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা এখনই জরুরি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

একশ’টি দলীয় কর্মসূচির প্রত্যেকটিতে অংশ নিয়েছি : ফরহাদ ইকবাল

সাইফুল ইসলাম সবুজ:
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেছেন,
ছাত্রাবস্থা থেকে জাতীয়তাবাদের আদর্শ বুকে ধারণ করে গণমানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি। ১/১১ বা করোনাকালীন সব সময় দলীয় কর্মসূচির ঝান্ডাহতে টাঙ্গাইলের মাঠ-ঘাটে মিছিল-সমাবেশ করেছি। দলীয় একশ’ কর্মসূচি বিবেচনা করলে কখনোই ৯৯টি নয়, শতভাগ পালন করেছি- এখনও করছি। সেক্ষেত্রে দলীয় কর্মসূচি পালনের পরীক্ষায় ১০০ তে ১০০ পাওয়ার রেকর্ড আমার। এজন্য বিগত স্বৈরাচার সরকালের রোষানলে পড়ে অনেকবার জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সদরের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন-ওয়ার্ড-গ্রামে আমার পদচারণা আছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের যে কোন মানুষের যেকোন সমস্যায় তার কাছে ছুটে গিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। তাদের সমস্যা সামাধানের চেষ্টা করেছি। ২৫ মার্চ মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেণ্টে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে চা-চক্রে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী শাসনামলের দু:সহ স্মৃতি স্মরণ করে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক
সভাপতি ফরহাদ ইকবাল বলেন, র‌্যাব আমাকে ধরে নিয়ে চারদিন গুম করে রেখেছিল।
এরপর ক্রস ফায়ার করে মেরে ফেলার জন্য আমার হাত-মুখ-চোখ বেঁধে মির্জাপুরের
একটি ব্রিজের পাশে নিয়ে দাঁড় করিয়ে তওবা ও কলেমা পড়ার জন্য বলা হয়। এ সময়
চারপাশে গুলির শব্দে বুঝতে পারছিলাম আমাকে ক্রস ফায়ার দেওয়া হচ্ছে।ঐতিহ্যবাহী এমএম আলী কলেজের দুইবারের ভিপি অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, টাঙ্গাইলের গণমানুষের দোয়া ও আশির্বাদে মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি মনেকরি টাঙ্গাইলের গণমানুষের কাজ করার জন্যই মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এজন্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি। টাঙ্গাইল শহর ও সবক’টি ইউনিয়নের সমউন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রার্থীর বিকল্প নেই। দলীয় মনোনয়ন পেতে আমি গণমাধ্যমকর্মী ভাইদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি রঞ্জণকৃষ্ণ পন্ডিত, সাপ্তাহিক সমাজ চিত্রের সম্পাদক ও ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রতিনিধি মো. মামুনুর রহমান মিয়া, দৈনিক টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, টাঙ্গাইল সমাচারের সম্পাদক মাসুদুল আলম, বাংলা৭১ এর প্রতিনিধি মো. সিরাজ আল মাসুদ, দৈনিক মজলুমের কণ্ঠের প্রতিনিধি মো. মোজাম্মেল হক, দৈনিক খবরের কাগজের প্রতিনিধি জুয়েল হিমু প্রমুখ। দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই চা-চক্রে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধি, বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সহ অন্তত দুই ডজন সাংবাদিক অংশ নেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০২৫/মওম

চীনের আগে ভারত সফর করতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস: দ্য হিন্দুকে প্রেস সচিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের আগে ভারত সফর করতে চেয়েছিলেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।  ২৫ মার্চ মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটি।

প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হিসেবে চীনকে বেছে নিয়েছেন এবং চারদিনের সফরে ২৬ মার্চ বুধবার বেইজিং যাচ্ছেন তিনি।

দ্য হিন্দু বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস চীন সফরের আগে ভারত সফর করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকার সেই সফরের অনুরোধে ভারতের পক্ষ থেকে “ইতিবাচক” সাড়া পাওয়া যায়নি বলে মঙ্গলবার দ্য হিন্দুকে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২৬ মার্চ চীন সফর করবেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করবেন এবং বাংলাদেশকে চীনা বিনিয়োগের জন্য বিশেষ করে উৎপাদন খাতে একটি গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবেন।

ড. ইউনূস ভারতের সাথে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চান উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “আমরা আসলে আমাদের আগ্রহ দেখিয়েছিলাম এবং গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতীয় পক্ষকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। চীন সফর চূড়ান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এটি করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কোনও ইতিবাচক সাড়া পাইনি।

দ্য হিন্দু বলছে, ড. ইউনূস হলেন দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় নেতা যাকে চার মাসের মধ্যে চীনে আতিথ্য দেওয়া হচ্ছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা ওলি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চার দিনের সফরে চীন ভ্রমণ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ, তাদের সহযোগী ও সমর্থকদের কাজ গুজব ছড়ানো : শফিকুল আলম

শফিকুল আলম আরও জানান, ড. ইউনূস চীন থেকে ফিরে আসার পর ৩-৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা থাইল্যান্ডে আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় অধ্যাপক ইউনূস এবং মোদির মধ্যে বৈঠকের জন্য আরেকটি অনুরোধ করেছি এবং আমরা ভারতের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ২৬-২৯ মার্চ চীন সফরের সময় বিশিষ্ট চীনা বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস। কারণ তিনি বাংলাদেশকে একটি ব্যবসা-বান্ধব গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে আগ্রহী যা চীনা উৎপাদন ইউনিটগুলোকে সঠিক ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রদান করবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চীনা বিনিয়োগকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়, যার ফলে বাংলাদেশ বেসরকারি চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে পারে। সফরের এজেন্ডা সম্পর্কে শফিকুল আলম বলেন, “২৮ মার্চ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক ছাড়াও অধ্যাপক ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আতিথ্য দেওয়া হবে যেখানে তিনি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করবেন। এছাড়া ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করবেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে নিউইয়র্কে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে দেখা করেছিলেন এবং সেসময় ওয়াং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে “চীনা জনগণের পুরনো বন্ধু” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

একই বৈঠকে ড. ইউনূস বাংলাদেশে সৌর প্যানেল তৈরির জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার প্রদত্ত এক ভাষণে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে পরিণত করার আহ্বান জানান যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পাশাপাশি ভুটান এবং নেপালকে সমর্থন করবে। ভাষণে তিনি চীন সফরের ঘোষণা দেন এবং বলেন, মালয়েশিয়াও তাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে যা তিনি গ্রহণ করেছেন।

ভারত, নেপাল, ভুটান এবং চীনের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবসা-বান্ধব অর্থনীতি হিসেবে তুলে ধরেন ড. ইউনূস বলেন, “ভৌগোলিক অবস্থান আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দিয়েছে। কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আমাদের একটি দীর্ঘ উপকূলরেখা রয়েছে যেখানে বেশ কয়েকটি শিল্প অঞ্চল এবং বন্দর রয়েছে। এটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতকে রূপান্তরিত করতে পারে।”

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০২৫/মওম

চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চার দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২৬ মার্চ বুধবার দুপুর ১টার দিকে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষ একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সফরের বিষয়ে জানা গেছে, ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চীন সফর করবেন তিনি। ২৬ মার্চ (বুধবার) দুপুরে চীনের পাঠানো একটি উড়োজাহাজে ঢাকা থেকে রওনা হবেন। ২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে আয়োজিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন ড. ইউনূস। সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াংয়ের বৈঠক হতে পারে।

২৮ মার্চ বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। একই দিনে হুয়াওয়ে কোম্পানির উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন এন্টারপ্রাইজ পরিদর্শন করবেন তিনি। ২৯ মার্চ চীনের বিখ্যাত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। পরে বেইজিং থেকে চীনের একটি বিমানে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরে ছয় থেকে আটটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি এ সফরে চারটি ঘোষণা আসতে পারে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেবে চীন। এছাড়া মোংলা বন্দরের আধুকিয়ানে অর্থায়নের বিষয়টিও যুক্ত থাকবে।

আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংককে যাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০২৫/মওম

সাংবাদিক মামুন হাসানের শুভ জন্মদিন

আলোকিত প্রতিবেদক:

দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক মামুন হাসানের শুভ জন্মদিন । এই সাংবাদিক ও সমাজসেবকের শুভ জন্মদিনে আলোকিত প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ হতে শুভ জন্মদিনের নিরন্তর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০২৫/মওম

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে, জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ না করায় ‘হতাশ’ বিএনপি!

আলোকিত প্রতিবেদক: জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নাম একবারও উচ্চারণ না করায় হতাশ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

 

হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছি, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন, সেখানে নির্বাচনী রোডম্যাপের কথা বলেননি তিনি। আমি হতাশ হয়েছি, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি।

এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এসব নেতাকর্মীরা পরে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতেও অংশ নেন।

এ সময় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসন আমলের নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আবার গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত ন্যূনতম সংস্কার করে অর্থাৎ যা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন তা করে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে-যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মরণাপন্ন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থেমে থাকেননি। তিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘জিয়াউর রহমান বীরউত্তম স্বাধীনতার ঘোষক-এটাই ছিল ইতিহাস। আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করেছে, আমরা চাই না সেই ইতিহাস আবার বিকৃত হোক।’

‘আজকের দিনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে গোটা জাতিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’, বলেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি অতি শিগগির আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে পাব।’

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন- সে প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুন ছয় মাস। সুতরাং এটা কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। আমরা বারবার বলে আসছি, স্পষ্ট রোডম্যাপ ও দ্রুত নির্বাচন। তা না হলে যে সংকটগুলো শুরু হচ্ছে, তা কাটবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে না। বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থে নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত পার্লামেন্টের কথা বলছে।’

এ সময় জিয়া উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমিনুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি