দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের সাংবাদিক জাহিদুল হক রনি’র মা, আর নেই
মানিকগঞ্জে মাদকের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন
মিজানুর রহমান খান কুদরত মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে মাদকের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেন আলেম-উলামা,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও সচেতন জনতা। তারা জেলা প্রশাসকের নিকট ডেরা রিসোর্ট, আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন ফ্ল্যাটে মাদকের আড্ডাসহ নানা ধরনের অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবীতে স্বারকলিপি দিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১ টায় মানিকগঞ্জ শহীদ রফিক সড়কে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুফতি আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা শেখ মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুফতি রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা জুবায়ের হুসাইন ফয়জী, মাওলানা আব্দুর রহমান নাদেমী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আশিকুর রহমান সানোয়ার, মাওলানা আব্দুল মতিনসহ অন্যান্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতাদের ছত্র-ছায়ায় অসৎ উদ্দেশ্যে গড়ে উঠে। শুরুতে গরুর ফার্ম করার নামে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে জোরপূর্বক জমি ক্রয় করে পরবর্তীতে রিসোর্ট করা হয়। রিসোর্টে বিনোদন ও অবকাশ যাপনের অন্তরালে চলছে মাদকসহ সকল অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। সম্প্রতি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি মদের বার খোলার অনুমোদনের জন্য জোর তদবীর চালাচ্ছে।
বক্তারা অবিলম্বে ডেরা রিসোর্টসহ সন্দেহজনক সকল রিসোর্ট, আবাসিক হোটেল ও সন্দেহজনক ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির যাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন সকল প্রকার মদের লাইসেন্স বাতিল করা এবং কোনভাবে অনুমোদন না দেয়া, মাদক ও সকল প্রকার অনৈতিককাজের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সার্বক্ষণিক তৎপরতা,অভিযান পরিচালনা, ও মাদকমুক্ত মানিকগঞ্জ গড়তে প্রশাসন এবং স্থানীয় আলেম-উলামা, ছাত্রজনতার সমন্বয়ে মাদক বিরোধী মনিটারিং সেল গঠনকরাসহ বিভিন্ন দাবী জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজ ৮২৫ কনটেইনার পন্য নিয়ে বন্দরে ভিড়েছে
আলোকিত ডেস্ক:
এবার পাকিস্তান থেকে আগের চাইতে দ্বিগুণের বেশি ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পন্য নিয়ে বাংলাদেশে এলো ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের সেই জাহাজ। পাকিস্তানের করাচি ও জেবল বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এই জাহাজে রয়েছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার আলু, চিনি, খেজুরসহ গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
২২ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি দুই নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে জাহাজটি। যে পরিমাণ কনটেইনার জাহাজটিতে রয়েছে তা খালাস করতে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি প্রথম ট্রিপের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কনটেইনার নিয়ে এসেছে এবার। এর আগে জাহাজটিই দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে গত ১১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। সে সময় জাহাজটির বিভিন্ন কনটেইনারে সোডা অ্যাশ, ডলোমাইট চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম ভাঙা কাচ, কাঁচামাল কাপড়, রং, গাড়ির যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন, হুইস্কি, ভদকা ও ওয়াইন ছিল। এবার একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছে দ্বিগুণেরও বেশি পন্য নিয়ে।
পাকিস্তান থেকে এবার ২৮৫ কনটেইনারে প্রায় সাড়ে সাত হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছে। এসব চিনি এনেছে দেশের খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী বৃহৎ শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল, শেহজাদ ফুড প্রোডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম এবং ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল। পণ্য নিয়ে আসলেও এবার জাহাজটিতে আনা হয়েছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পন্য।
এর আগে এই জাহাজটিই দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে গত ১১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। সে সময় জাহাজটির বিভিন্ন কনটেইনারে সোডা অ্যাশ, ডলোমাইট চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম ভাঙা কাচ, কাঁচামাল কাপড়, রং, গাড়ির যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন, হুইস্কি, ভদকা এবং ওয়াইন ছিল। এবার একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছে দ্বিগুণেরও বেশি পন্য নিয়ে।
পাকিস্তান থেকে এবার ২৮৫ কনটেইনারে প্রায় সাড়ে সাত হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছে। এসব চিনি এনেছে দেশের খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী বৃহৎ শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল, শেহজাদ ফুড প্রোডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম এবং ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল।
দুবাইভিত্তিক ফিডার লাইনস ডিএমসিসি জাহাজটি পরিচালনা করছে। রিজেনসি লাইনস লিমিটেড জাহাজটির লোকাল এজেন্ট। এবার এই জাহাজে আনা হয়েছে আলু, চিনি, খেজুর, সোডা এ্যাশ, মার্বেল স্টোন, পারফিউম, লুব্রিকেন্ট অয়েল, ডেনিম ফেব্রিক্স,সুতোসহ গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল। যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম থেকে ইন্দোনেশিয়ার বন্দরের জন্য ৪০০ টিইইউ’স এবং মালয়েশিয়ার বন্দরের জন্য ৬০০ টিইইউ’স খালি কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ডিসেম্বর-২৪/মওম
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের ইন্তেকালে আগামীকাল সোমবার ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। সেজন্য ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, মরহুমের রুহের মাগফেরাতের জন্য একই দিন বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
২০ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান। পরে ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই হাসান আরিফ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি সম্পন্ন করেন।
তিনি কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাসান আরিফ।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ডিসেম্বর-২৪/মওম
ভাতা ৫০ হাজারের দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ
আলোকিত প্রতিবেদক:
মাসিক ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, মাসিক ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা বা ৯ম গ্রেড করতে হবে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান, সকাল ১০টায় শাহবাগের বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ভেতরে দেশের সব প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার অবস্থান নিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন। পরে তারা শাহবাগ অবরোধ করেন। যার ফলে আশপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনও বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে আশ্বাস না পেলে তারা সেখান থেকে যাবেন না। দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনে অবস্থান নিয়ে ট্রেইনি চিকিৎসক মাহমুদুল বাসার বলেন, ‘আমাদের এখন ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়, তাও ঠিকমতো দেওয়া হয় না। এই টাকা দিয়ে কীভাবে চলা সম্ভব! সবকিছু বিবেচনা করে সর্বনিম্ন হলেও আমাদের ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত।’
ডাক্তারদের অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি’ এবং তার সহযোগী সংগঠন ‘পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যসোসিয়েশন’ ২০২২ সাল থেকেই বেসরকারি পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের যৌক্তিক দাবি ভাতা বৃদ্ধির জন্য রাজপথে আন্দোলন করে আসছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে দেখা করি। সবাই ভাতা বাড়ানোর দাবিকে যৌক্তিক বলে মত দেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নথি যথার্থ ধাপ পার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে নথিভুক্ত হয়ে পড়ে আছে। বারবার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যতক্ষণ না আশ্বস্ত করা হবে আমরা শাহবাগ ছাড়বো না।’
আলোকিত প্রতিদিন/২২ডিসেম্বর-২৪/মওম
চসিক মেয়রের সঙ্গে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
আলোকিত প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। আজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় বালাদেশ সরকার।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।
পরে ১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এ রকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছিল।
অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেকডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী,বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুজন হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠিত হলো মির্জাপুর বিআরডিবি নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন: ড. ইউনূস
আলোকিত প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি আমার সারা জীবন ধরে করেছি আমি। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করছি যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া আর দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণেরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি একটি উদাহরণ যে তরুণরা কত শক্তিশালী হতে পারে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তারা। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে। তাদের সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা সক্ষম। এই তরুণেরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি