আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 167

দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়তে চাই: আমিনুল হক

ইমরান হোসেন : ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক ও বিএনপি’র ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনাব আমিনুল হক বলেছেন,দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয় ও রাজনীতিকরণ করেছে,আমাদের দেশের ক্রীড়াঙ্গন এর থেকে মুক্ত ছিল না; শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে। তিনি বলেন,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন-তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোন দলীয় ও রাজনীতিকরন ছিল না।

তখন মাঠের যারা ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড় ছিল; তাদেরকে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তুলার কারনেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের সাফল্য আমরা দেখেছিলাম। তাই ভবিষ্যতে ক্রীড়াঙ্গনে আর দলীয়করণ করা হবে না। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের লেকশো’র হোটেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব জনাব মোস্তফা জামান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন,সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন অয়ালি সাব্বির,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান সমন্বয়ক আকতার হোসেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি,এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর),মো. আক্তার হোসেন,আতাউর রহমান চেয়ারম্যান,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ,শাহ আলম,মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী,মোজাম্মেল হোসেন সেলিম,জাহাঙ্গীর মোল্লা,রেজাউর রহমান ফাহিম,ডাঃ এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ,আবুল হোসেন আব্দুল,শামীম পারভেজ,নুরুল হুদা ভূঁইয়া,রফিকুল ইসলাম মেম্বার,এ এস এম খালেদ,এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী তাসলিমা রিতা,ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা,কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আরশাদুল আরিস ডল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব মহসীন সিদ্দিকী রনী ছাড়াও দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার,যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন, তেজগাঁও থানা বিএনপির আহবায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু,উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহবায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক,যুগ্ম আহবায়ক এসআই টুটুল,যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান,উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, মিরপুর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু,আদাবর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন,যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন সরকার,আবুল কালাম আজাদ,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, রুপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হক,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিঃ মজিবুল হক,যুগ্ম আহবায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব,অলিউল হাসনাত তুহিন মাষ্টার,বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক,মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী,খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান,সিএম আনোয়ার হোসেন,বনানী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ঈমান হোসেন নূর,গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান কবির,ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া,বাড্ডা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের বাবু, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নিলুফার ইয়াসমিন,শাহআলী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সোলায়মান দেওয়ান,তুরাগ থানাবিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ খোকা, মহিউদ্দিন রাজা,মোঃ চান মিয়া,শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহজালাল সিকদার সহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ টি থানা কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা। অনুষ্ঠানে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর এর ২৬ টি থানাকে ৮ টি গ্রুপে বিভক্ত করে কোয়ার্টার ফাইনাল,সেমিফাইনাল খেলার পরে ২ টি দল নিয়ে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।খেলাগুলো ঢাকার মাঠে দেখা যাবে। জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবলের এই টুর্নামেন্টটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে নবাগত প্রথম নারী পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

মো: মহিদ:
মানিকগঞ্জে নবাগত প্রথম নারী পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুনের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে নবাগত পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তিনি তাঁদের কাছে জেলার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চান। সাংবাদিকেরা ট্রাফিক জ্যাম, সড়কের পাশে গাড়ি রাখা, ফুটপাতে দোকান, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বিষয় নবাগত পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে জনগণের আয়নাস্বরূপ, যার প্রতিফলন সব জায়গায় হয়। বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের নিয়ে আমরা একত্রে কাজ করতে চাই বিশেষ করে মানিকগঞ্জ জেলায়। চাঁদাবাজির বিষয় পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আমরা যারা এখানে কর্মরত আছি, আমরা কোনো চাঁদাবাজি প্রশ্রয় বা আশ্রয় কোনো কিছুই দেব না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। মানিকগঞ্জে যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো যাতে সমাধান করতে পারি এবং কার্যকরভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারি, সে চেষ্টা করব। মাদকের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমি মানিকগঞ্জ জেলাকে মাদক মুক্ত করতে চাই। এ বিষয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে দমন করা হবে। ট্রাফিক জ্যাম, রাস্তার ওপরে দোকান বসানো ইত্যাদি বিষয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় পুলিশ সুপার সকলকে আশ্বস্ত করেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আব্দুল ওয়ারেস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুজন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শাহানুর ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়,মহারাষ্ট্রে গ্রেফতার ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালের দিকে দিল্লির কালিন্দ কুঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশিদের শনাক্তে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং এক নারীসহ ৮ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় রাজধানীর কালিন্দ কুঞ্জ এলাকায় অবৈধ বাংলাদেশিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সেখানকার একজন বাসিন্দা বলেছেন, পুলিশ বাসিন্দাদের কাছে সরকারি পরিচয়পত্র ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য চেয়েছে। এ সময় বাসিন্দাদের বিভিন্ন বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৬ বার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তারা এখানে বসবাসের এবং সরকারি পরিচয়পত্রের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। এখানে কোনও বাংলাদেশি বসবাস করেন না।’’ এদিকে,একই দিনে দেশটির রাজধানীতে বাংলাদেশিদের অবৈধ আধার কার্ড এবং জাল নথি তৈরি করে দেওয়ার কাজে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আধার কার্ডের অপারেটর এবং ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরিতে জড়িত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন।

দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) অঙ্কিত চৌহান বলেন, অভিযুক্তরা ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাল আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং অন্যান্য ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে বাংলাদেশি নাগরিকদের সহায়তা করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘‘অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের জন্য জঙ্গল পথ এবং এক্সপ্রেস ট্রেন ব্যবহার করেছেন। দিল্লি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুয়া নথি সরবরাহের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর রাজধানীতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে মুখ্য সচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন। অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে দুই মাসের বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশও দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। দিল্লি পুলিশের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএনআই বলেছে, শহরটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

জঙ্গলে ফেলে দেওয়া, অসুস্থ বৃদ্ধের ঠাঁই হলো বৃদ্ধাশ্রমে

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সদর উপজেলায় অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে তার সন্তানেরা বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে এসে জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। পরে জয়দেবপুর থানা পুলিশের মানবিক প্রচেষ্টায় উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধ সাকিব আলী সরদার অবশেষে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধ শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার চরডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সাকিব আলী সরদার। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বড় মেয়ের বাসায় থাকতেন তিনি।
গত ৪ ডিসেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বি.কে.বাড়ি বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধকে নেওয়ার চেষ্টা করে তার সন্তানরা। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ অসুস্থতার কারণে তাকে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করলে, সন্তানেরা তাকে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। অসহায় অবস্থায় তিন দিন সেখানে পড়ে থাকার পর স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
স্থানীয়দের সহায়তায় বৃদ্ধকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা ২০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে এতদিনেও তার কোনো সন্তান খোঁজ নিতে আসেননি।
বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দেয়। এরপর মঙ্গলবার ( ২৩শে ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম নিজ উদ্যোগে তাকে থানার গাড়ি দিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে কর্তৃপক্ষের কাছে বৃদ্ধকে বুঝিয়ে দেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
ওসি হালিম বলেন, “এমন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আমি চেষ্টা করব, তিনি যেন বাকি জীবনটা শান্তিতে কাটাতে পারেন।
এই ঘটনায় স্থানীয়রা ওসির মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা জানান, এমন উদ্যোগ সমাজে মানবিক মূল্যবোধ পুনরুজ্জীবিত করবে।
পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থান পাওয়ার পর সাকিব আলী সরদার বলেন, “আমার সন্তানরা আমাকে ফেলে গেলেও আল্লাহ আমাকে সাহায্য করার জন্য এমন মানুষ পাঠিয়েছেন। আমি এই ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞ।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে যে মানবিকতা আজও বেঁচে আছে। ওসি হালিমের এ উদ্যোগ সমাজে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তিতে নাগরপুরে যুবদল ও শ্রমিকদলের আনন্দ মিছিল

প্রতিনিধি,নাগরপুর (টাংগাইল): 
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু। তার মুক্তির খবরে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মিছিল করেছে  উপজেলা বিএনপির যুবদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে রাজিয়া শপিং কমপ্লেক্স থেকে মিছিল শুরু করে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-নাগরপুর উপজেলা যুবদলের(ভারপ্রাপ্ত) আহবায়ক নাজমুল হক স্বাধীন, শ্রমিক দলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম নবা, শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.আলতাব হোসেন, যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জি.এস ইকবাল হোসেন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা মোস্তফা, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হাসান জাকির, প্রচার সম্পাদক মো.সাইদুর রহমান, যুবদল নেতা শামসুল হক, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো.শফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পিন্টু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

টেকনাফ থানার সাবেক ওসির মসজিদ নির্মাণ সম্প্রীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 
টেকনাফ মডেল থানার জামে মসজিদ নির্মাণ করে সম্প্রীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়ুয়া। ওনার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন  টেকনাফ থানার কর্মকতা কর্মচারী এবং সাধারণ মুসল্লীরা।

এদিকে টেকনাফ মডেল থানার নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ স্থাপনকারী অত্র থানার বিদায়ী ওসি বর্তমানে সহকারী পুলিশ সুপার , ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ , চট্টগ্রামে কর্মরতরনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, মুসুল্লিরা সুন্দর ভাবে প্রতিনিয়িত নামাজ পড়তে পারছে, এই আমার জন্য বড় আনন্দের। আমি খুব খুশি হয়েছি কারন আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এই মসজিটি নির্মাণে স্থানীয় জনগন ছাড়াও উক্ত থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যরাও নিরলস ভাবে আমাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এই মসজিদ নির্মাণ করার সময় আমাকে সার্বিক সহযোগীতা করে ছিলেন সাবেক মেম্বার মরহুম আলহাজ্ব আবুল কালাম এবং সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ।

স্থানীয় মুসল্লীরা বলেন, সাবেক ওসি রনজিত বড়ুয়া একজন অসম্প্রদায়িক মানুষ, টেকনাফ থানার মসজিদ নির্মান করে ওনি বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত নামাজ আদায় করে ওনার জন্য দোয়া করি।

ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে মসজিদ নির্মাণ করে তিনি অসাধারণ মানুষের পরিচয় দিয়েছেন।  বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর সংহতি ও জাতীয় ঐক্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেজন্যই ১৯৭২ সালের সংবিধানে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পথ চলতে শুরু করে।

রনজিত বড়ুয়ার পুলিশ ক্যারিয়ারে ৩০ বছরের বর্ণাঢ্য জীবন। এসআই থেকে পরিশ্রম করে ওসি। চাকরিজীবনে কক্সবাজার সহ চট্টগ্রাম বিভাগের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত আছেন।তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি একজন সফল মানুষ। তিনি ১ মেয়ে ও ১ ছেলের গর্বিত পিতা । মেয়ে মনীষা এম বি বি এস ডাক্তার । মেয়ে জামাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর এবং একমাত্র ছেলে সেনাবাহিনীর কমিশন র‍্যাংকে(বি এম এ লং কোর্স ) প্রশিক্ষণরত। স্ত্রী মিসেস শেলী বড়ুয়া  একজন নারী উদ্যোক্তা ।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

যুবলীগ নেতার বাড়িতে তরুণীর মরদেহ পোড়ানোর সময় হাতেনাতে ধরলো জনতা

অনলাইন ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অজ্ঞাত এক তরুণীকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফারহান ভূঁইয়া রনি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার ফারহান ভূঁইয়া যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজের ছেলে। সে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী এবং ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের পাশের বাড়ির বাসিন্দার ঘর থেকে রাতে রাজহাঁস চুরি হয়। সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে বের হলে পাশের বাড়ির বাসিন্দা শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাড়ির ময়লা কাপড়-চোপর পোড়াচ্ছেন।

তার কথায় সন্দেহ হলে প্রতিবেশী এনামুল এবং তার ভাই রুমান আগুনে কী পুড়ানো হচ্ছে দেখতে চান। এ সময় রনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে মারধরের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এতে সন্দেহ ঘনীভূত হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে সেখানে গিয়ে মরদেহ পুড়তে দেখেন। এ সময় গ্রামের লোকজন ফারহান ভূঁইয়া রনিকে বেঁধে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) জানান, যুবলীগ নেতার বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে মাটি খুঁড়ে গর্তে ঢুকিয়ে একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গছে। তবে দেহের সঙ্গে কোনো মস্তক ছিল না। পোড়ানো হাতে চুড়ি থাকায় দেহটি কোন তরুণীর বলে ধারণা করছে পুলিশ।

মরদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় রনিকে গ্রেফতার করা হলেও তার বাবা শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া পলাতক  আছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সালিভানের ফোন

আলোকিত প্রতিবেদক:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভানের ফোনালাপ হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় তাদের আলোচনায় দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টি উঠে আসে। গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সাড়ে চার মাস ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রশংসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, নির্বাচন সংক্রান্ত এবং অন্যান্য সংস্কার শুরুর জন্য যে অগ্রগতি হয়েছে তারও প্রশংসা করেন জেইক সালিভান।তিনি জাতীয় নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ দেন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

টেলিফোন আলাপে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি নিয়েও আলোচনা করেন। প্রফেসর ইউনূস দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে উদার সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পুনরায় সমর্থন জানিয়ে জেক সালিভান একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন।প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি বড় সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আশা করছেন। এরপর সংস্কার এবং নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করতে জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু ১৭ বছর পর কারামুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন।

২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার।

তিনি বলেন,২৩ ডিসেম্বর সোমবার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসলে যাচাই-বাছাই এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৪ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।’ বিএনপির এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে শত শত নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এ সময় শত শত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপির এই নেতা।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে। গত ১ ডিসেম্বর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর হতেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ডিসেম্বর-২৪/মওম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবাগত পুলিশ সুপারের যোগদান

শওকত আলী: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন জনাব এহতেশামুল হক মহোদয়। তিনি ২৭ তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের একজন চৌকস কর্মকর্তা। ইতোপূর্বে তিনি পুলিশ সুপার হিসাবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং  পিবিআই, মৌলভীবাজার জেলায় সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলার সকল নাগরিকের সহযোগীতার আহ্বান জানান। সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। সরাইল সাংবাদিক পরিষদের পক্ষ হতে নবাগত পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি