রুমায় ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা
ঈশ্বরদীতে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে নিহত ১
প্রতিনিধি, বগুড়া:
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে ১জন নিহত এবং ১জন নিখোঁজ হয়েছে। রবিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপজেলার চন্দনবাইশা নওখিলা পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকট জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে বেলাল (৫০) নামে এক দিনমজুর গুরুতর আহত হয়। বেলালকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। নিহত বেলাল ঘুঘুমারি গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। অপর দিকে একই সময় কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ গ্রামের নিকট যমুনা নদীতে মাছ ধরার সময় বিপদ নামে এক জেলে বজ্রপাতে আহত হয়ে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। সে চন্দনবাইশা ইউনিযনের তালুকদার পাড়ার সুমন্ত হাওলাদারের ছেলে। পৃথক ২টি বজ্রপাতের ঘটনায় ফটিক, নবীর এবং দুুুদু সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ
মুন্সীগঞ্জে করোনাকে উপেক্ষা করে ঈদের বেচাকেনায় ব্যস্ত মানুষ
প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ :
করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে চলছে তৃতীয় দফা লকডাউন। করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মুন্সীগঞ্জ বাসী। প্রতিটি মার্কেট ও বিপণি বিতানে পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। জেলার প্রতিটি উপজেলায় মার্কেট ও বিপণি বিতানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। তবে প্রথমদিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও গত দু-তিন দিনে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে ক্রেতারা বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানে ছুটে চলছেন। ক্রেতাদের আগমনে খুশি বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সরকারের লকডাউন ঘোষণায় প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। এর সরকার লকডাউন শিথিল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সপ্তাহ খানেক আগেও তেমন একটা বেচাকেনা ছিল না বললেই চলে। তবে গত দু-তিন দিন ধরে হঠাৎ ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও বেড়ে গেছে। করোনা মহামারিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও সরকারের কঠোর বিধি-নিষেধ জারির পরও জনসাধারণের মধ্যে যেন কোনো ধরনের করোনা ভীতিই নেই। এই সংকটকালেও নিশ্চিন্তে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করছেন। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করার নির্দেশনায় জানানো হয়। সংক্রমণ থেকে রক্ষায় ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরিধান এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে আগত ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে নেই কোনো মাস্ক। এমনকি তারা গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ও বসে কেনাকাটা করছেন। আবার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরও বিক্রেতা বা সেলসম্যানের মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, আকর্ষনীয় পোষাকের সংগ্রহ রয়েছে প্রায় প্রতিটি দোকানেই। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মার্কেট ও বিপণি বিতান গুলো। বাজারের বিজনেস পার্ক শপিং সেন্টারের একজন দোকানী জানান, দশ রোজার পর থেকেই বেচা-বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। যা চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। এবারও ভারতীয় পোষাকের আধিক্য রয়েছে জানিয়ে তরুণ এ ব্যবসায়ী বলেন, বাচ্চা ও মহিলাদের পোষাকই তুলনামূলক বিক্রি হচ্ছে বেশী। বাচ্চা মেয়েদের জন্য এবার নতুন এসেছে ফ্লোর টাচ, কিটসের ম্যাগী হাতা সেট, ছেলে বাচ্চাদের জন্য অরন্য সার্ট সেট। এছাড়া বিক্রি হচ্ছে দিলওয়ালে লেহেঙ্গা, কটকটি শাড়ি, ছেলেদের সেরওয়ানী পাঞ্জাবী, গ্যাবাডিন প্যান্টসহ ভারতীয় সিরিয়ালের নামানুসারে বিভিন্ন পোষাকতো বিক্রির তালিকায় রয়েছেই। পোষাকের পাশাপাশি জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের দোকানে জমে উঠেছে বেচাকেনা। দেশীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি চায়না ও ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ডের জুতা-স্যান্ডেলের প্রতি চাহিদা রয়েছে এখানকার ক্রেতাদের। দোকানিরাও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশী পণ্যের সংগ্রহ বাড়িয়েছেন। জুতার দোকানদার দিলীপ দাস জানান, পোষাকের পাশাপাশি জুতাতেও মানুষ এখন ফ্যাশন খোঁজে। তাই বিদেশী (ভারত ও চায়না) ফ্যাশানেবল জুতাই এবার বেশী বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কসমেটিকস দোকান গুলোতেও ঈদের কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে চলতি সপ্তাহ থেকে। ড্রেসের সাথে মিল রেখে চুড়ি কিংবা অন্যান্য প্রসাধনী কিনতে তাই কসমেটিকস দোকান গুলোতে ভিড় করছে নারীরা। সবমিলিয়ে সারাদেশের মত সিরাজদিখানের বিভিন্ন বাজারে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানীরা। রবিবার সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেট ও ফুটপাতের বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতারা কেনাকাটা করার জন্য ভিড় করছেন। বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণি বিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও অনেকে আবার পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়েও কেনাকাটা করতে এসেছেন। তালতলা বাজারের সুরাইয়া ফ্যাশেন এর মালিক সোহেল দেওয়ান মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক কিছুটা কমেছে বলে মন্তব্য করে বলেন, গত দু-তিন দিন ধরে দোকানে বেচাকেনা বেশ ভালো। দোকানে ভিড়ও বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানে বেচাকেনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা আগে ঘুরেফিরে বিভিন্ন দোকান যাচাই ও দামাদামি করে তাদের পছন্দের পণ্যটি কিনতেন। কিন্তু এখন মহামারি করোনার কারণে পণ্য পছন্দ এবং দামে পোষালে দ্রুত কিনে বাসায় চলে যাচ্ছেন। গৃহবধূ বিলকিস বেগম তার দুই শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তালতলা বাজারে মার্কেটে এসেছেন বাচ্চাদের ও নিজের জন্য নতুন পোশাক কিনতে। তিনি বলেন, করোনায় প্রায় গত এক মাস ধরে ঘরবন্দি ছিলাম। ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটা করতে বের হয়েছি।
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ
পটুয়াখালীর দুমকিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ’র বস্ত্র বিতরণ
মানিকগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ
দেবীগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক ২
ঈশ্বরদীতে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ
হিলিতে নতুন পোশাক পেয়ে খুশি অসহায় শিশুরা
প্রতিনিধি, হিলি:
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দিনাজপুরের হিলিতে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের নতুন পোশাক উপহার দিলেন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাকিমপুর ফাউন্ডশন। ৮০ সদস্য বিশিষ্ট এই সংগঠনটি বিগত প্রাণঘাতী করোনার সময়ও তারা অসহায় মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছেন। ৯ মে হিলি সিপি মোড় ও চেকপোস্টের বালুচর এলাকার অসহায় শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন জামা তুলে দেন সংগঠনটির সদস্যবৃন্দরা। নতুন পোশাক পেয়ে মুখে হাসি ধরছে না ৯ বছরের শিশু জান্নাতুনের। জান্নাতুন বলেন, আমি খুবই খুশি হয়েছি, ঈদে আমার নতুন জামা হলো। আমার বাড়ি ঐ বালুরচর বস্তিতে, বাবা রিকশা চালায়। বাবার তো কামাই নাই, কি করে জামা কিনে দিবে? ইনারা আমাকে একটা নতুন জামা দিলো। নতুন জামা পড়ে ঈদগাঁ মাঠে যাবো। হাকিমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোহাগ সরকার বলেন, মানুষ, মানুষের জন্য। জীবন, জীবনের জন্য-এই প্রবাদ বাক্যটি আমরা সামনে রেখে, হিলির অসহায় মানুষদের পাশে থেকে কাজ করে আসছি। প্রতি ঈদে এসব অসহায় শিশুদের পাশে আমরা দাঁড়াই, বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ঈদ পোশাক তাদের আমরা দিয়ে থাকি।
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ