আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 205

সরকারি খাস জমিতে বসুন্ধরার ২৩টি প্লট খালি করার নির্দেশ

আলোকিত প্রতিবেদক:
বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের ২৩টি প্লট সরকারি খাস জমি দাবি করে দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
 প্রকল্পেএসব জমিতে অনেকেই গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। কারো বাড়ি নির্মাণাধীন। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ওইসব প্লট এবং ফ্ল্যাট মালিকেরা। সংকট সমাধানে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ। আর খাস জমি উদ্ধারে কঠোর অবস্থানে ঢাকা জেলা প্রসাশন। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমি নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্প। অত্যাধুনিক হাসপাতাল,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলাধুলার সুবিধাসহ গড়ে তোলা হয়েছে রাজধানীর বুঁকে এক টুকরো শহর। তবে হঠাৎ করেই বিপাকে এইচ ব্লকের বেশ কিছু প্লট ও ফ্ল্যাট মালিক। জমি কিনে বাড়ি করেছেন, বসবাসও করছেন, অথচ এখন হুট করে জেনেছেন তাদের বাড়ি সরকারি জমিতে। জেলা প্রসাশন থেকে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে লাল নিশান ও বিশেষ সতর্কবার্তা কাঁটাতারের বেড়া তুলে দেয়া হয়েছে কারও কারও প্লটে। এইচ ব্লকের ৯ নম্বর সড়কে ৩ কাঠার ১৫টি ও ৮ নম্বর সড়কের আরও ৮টি প্লট পড়েছে খাস জমিতে। এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘অ্যাসিল্যান্ড এসে লাল পতাকা দিয়ে গেছে। পরে এসে কাটা তার এবং এরও দুই দিন পর এসে সাইনবোর্ড দিয়েছে কোনো নোটিশ ছাড়াই। এ নিয়ে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। তারা এসে বলছে এটা সরকারি জায়গা।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাদের এভাবে হ্যারাজমেন্ট করার তো দরকার নেই। গ্রাহকের ভোগান্তির দায় কাঁধে নিয়ে জটিলতা নিরসনে কাজ শুরু কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা কৃর্তপক্ষ।  জেলা প্রসাশন থেকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল নিশান ও বিশেষ সতর্কবার্তা।
বসুন্ধরা হাউজিংয়ের ডিএমডি বিদ্যুৎ ভৌমিক বলেন, ‘ওইটা তারা (প্রশাসন) আরএস থ্রুতে ক্লেইম করতেছে। আমাদের কিন্তু সিএস, এসএ আমরা প্রোপারলি (সঠিকভাবে) কিনেছি এবং সেটা সিটি জরিপেও কিন্তু এটা ওন করে। যেহেতু তারা অভিযোগ তুলেছে,আমরা চেষ্টা করছি সঠিক উপায়ে সেটা সমাধান করার। ঢাকা জেলা প্রশাসন বলছে সিএস, এসএ,আরএস ও সিটি জরিপ অনুযায়ী ওই জমিগুলো সরকারি। আইনি প্রক্রিয়ায় যা দখলমুক্ত করা হচ্ছে। ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, বলেন সিএসই,এসএ, আরএস ও সিটি জরিপ সহ সবগুলো রেকর্ডেই কিন্তু জমি খাস খতিয়ানভুক্ত। অনেকরই কিন্তু, যাদের সাথে তাদের কথা হয়েছে, এই দাগের দলিল না। হয়তো অন্যকোনো দাগে তাদের দলিল করে দেওয়া হয়েছে, দখল এইখানে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, হাউজিং কর্তৃপক্ষ তাদেরই তো আসলে প্রথম দায়িত্ব বর্তায় যে তাদের যারা ক্লায়েন্ট আছেন, তাদের নিষ্কন্টক জমি দেওয়া। প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে পড়া মালিকদের সংকটের সমাধান বসুন্ধরাকেই করতে হবে বলে মনে করেন, ঢাকা জেলা প্রশাসন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ নভেম্বর-২৪/মওম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন

আলোকিত প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তারা। এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আহতদের অবস্থা এখনও ভালো নয়। কিছু আহতের চিকিৎসা দেশেও সম্ভব নয়, তাদের দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।

বিএনপির পক্ষ থেকে আহতদের আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ইতোমধ্যেই আহতদের ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং পূর্বেও তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

এসময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তি কীভাবে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায় এবং রাজনীতি করতে চায়—এটাই আমাদের প্রশ্ন।” তার এই বক্তব্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীনদের কার্যকলাপের দিকে ইঙ্গিত করা হয়।

বিএনপির নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারীদের জন্য ভবিষ্যতে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশ্বস্ত করেন যে, দল ক্ষমতায় এলে তাদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সংস্কারের গতিই বলে দেবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে: এএফপিকে ড. ইউনূস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশে নির্বাচন দেওয়ার আগে অবশ্যই সংস্কার করা প্রয়োজন। আর এই সংস্কারের গতিই বলে দেবে দেশে নির্বাচন কত দ্রুত হবে। ১৩ নভেম্বর বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই কথা বলেছেন তিনি।শান্তিতে নোবেলজয়ী ও মাইক্রোফাইন্যান্সের পথিকৃৎ ড. ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অবস্থান করছেন। এই সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি এএফপিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি বলেন, সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে। তিনি দেশকে গণতান্ত্রিক ভোটের দিকে নিয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রস্তুত হব, তত দ্রুত নির্বাচন হবে এবং নির্বাচিত ব্যক্তিরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারবেন। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন, সরকারের পরিধি, সংসদ এবং নির্বাচনী নিয়মাবলীর সম্ভাব্য সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রয়োজন। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। তাই আমাদের সময়কাল যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত।

গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. ইউনূস। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এই আন্দোলনে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে বহু মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

তবে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দেশে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ড ইউনূস বলেন, যেকোনো সরকারই স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে। আমরাও তাই। আশা করছি, আমরা এটি সমাধান করতে পারব এবং শান্তিপূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারব। বিপ্লবের পর মাত্র তিন মাস পেরিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এর সমাধান করতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারব।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ নভেম্বর-২৪/মওম

রাঙ্গাবালীতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন পরিস্কার-পরিছন্ন করেন বিডি ক্লিন

মোঃ কাওছার আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী 
“পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিডি ক্লিন টিমের তারুণ্যের অংশগ্রহণে উপজেলার মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্ন অভিযান করেন রাঙ্গাবালী বিডি ক্লিন টিম। আজ বুধবার মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শপথ শেষে অত্র প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন।
বিডি ক্লিনের উপজেলা সমন্বয়ক ইউসুফ আলী সিরাজুলের নেতৃত্ব পরিচ্ছন্ন অভিযান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহ সমন্বয়ক মো.নাইম মাহমুদ, সমন্বয়ক আইটি এন্ড মিডিয়া মো.আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান সুজন, তানজিম হাসান, মো. ইমন, মো. মিশকাত হোসেন সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরিচ্ছন্ন প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করে বিডি ক্লিনের উপজেলা সমন্বয়ক ইউসুফ আলী সিরাজুল বলেন,’শুধু মাত্র নাগরিক সচেতনতা ও পরিচ্ছন্ন মানসিকতাই পারে একটি পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আসুন, নিজেদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করি, গড়ে তুলি একটি পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ।’
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

যেসব চা পানে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়!

লাইফস্টাইল ডেস্ক…

নিয়মিত চা পানে অভ্যস্ত কমবেশি সবারই আছে। ব্ল্যাক-গ্রিন টি’সহ বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক যৌগ আছে। যা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। জানলে অবাক হবেন, নির্দিষ্ট কিছু চা পানে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে নিয়মিত চা পানে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে, তাও আবার ১৭ শতাংশ পর্যন্ত। তবে কোন চা পান করছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনি কতটা ঝুঁকিমুক্ত হবেন। ৮ দেশের ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের উপর পরিচালিত নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কালো, সবুজ ও ওলং চায়ের মাঝারি ব্যবহার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে বলে মনে হচ্ছে।

চীনের উহান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রধান লেখক জিয়াইং লি বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণার ফলাফল সত্যিই অবাক করার মতো, টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে দিনে ৪ কাপ চা পান করার মতো সহজ কিছু আর হতে পারে না।

প্রথমত, তারা চায়না হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন সার্ভে থেকে টি-২ডি (টাইপ ২ ডায়াবেটিস) (গড় বয়স ৪২) এর কোনো ইতিহাস নেই এমন ৫ হাজার ১৯৯ প্রাপ্তবয়স্কদের (২৫৮৩ জন পুরুষ, ২৬১৬ জন নারী) ডাটা সংগ্রহ করা হয়।

গবেষকরা দেখেছেন, বয়স, লিঙ্গ ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার মতো জীবনযাত্রার ভুল অভ্যাসের কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে তা সে চা পানকারী হোক আর না হোক। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি। তবে সঠিক জীবনযাপনের পাশাপাশি নিয়মিত কালো, সবুজ বা ওলং পান করলে এই রোগের ঝুঁকি আরও কমে যায়।

গবেষকরা জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা প্রতিদিন ১-৩ কাপ চা পান করেন তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪ শতাংশ কমে, আর যারা প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ কাপ পান করেন তাদের ঝুঁকি কমে ১৭ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চায়ের নির্দিষ্ট উপাদান যেমন পলিফেনল, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

ওলং চা হলো একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা চা, যা সবুজ ও কালো চা তৈরি করতে ব্যবহৃত একই উদ্ভিদ থেকে তৈরি হয়। পার্থক্য হলো এই চা ভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। অন্যদিকে সবুজ চাকে বেশি অক্সিডাইজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না, কালো চা কালো হওয়া পর্যন্ত অক্সিডাইজ করার অনুমতি দেওয়া হয় ও ওলং চা আংশিকভাবে অক্সিডাইজ করা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সাংবাদিক মোঃ শওকত আলী সফল সংগঠক হিসেবে বিটিএসএফ সম্মাননায় ভূষিত 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সন্তান,
বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সফল সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদানের জন‍্য বিটিএসএফ “
সম্মাননা স্মারক” পেয়েছেন।
গত শনিবার (৯ নভেম্বর ২০২৪) দুপুরে
ঢাকার তোপখানা রোডের ধানসিঁড়ি রেষ্টুরেন্টে বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরাম (বিটিএসএফ) ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এসময় দেশের নানান শ্রেণী পেশার বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইতিপূর্বেও বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
বিটিএসএফ-এর চেয়ারম্যান কায়সার হাসানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোঃ আল-আমিন শাওনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক এমপি ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, বিশিষ্ট  সংগঠক ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহিদা রহমান রিংকু। প্রধান বক্তা ছিলেন, বার্তা প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট জাদু শিল্পী ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা এ্যাড. মাসুদুর রহমান, ঢাকার লাবণ্য ক্রিয়েশনের চেয়ারম্যান ও  বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মোঃ মনিরুজ্জামান, ইদিলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মোঃ দেলোয়ার হোসেন শিকারী, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান শরীফ মোঃ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ প্যাকেজিং মালিক কল্যাণ পরিষদ ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল আলম, রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালযের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইদ মাহমুদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন, বিটিএসএফ-এফ ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম,  এম, এ, গফুর মোল্লা, মাহবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ভাইস-চেয়ারম্যান মু. হারিসুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ ছবুর হোসেন,  হামিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিঞা প্রমূখ। বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মৎস্য কন্যা : আ. জ. ম. সাইফুর রহমান

মৎস্য কন্যা

আর কত চিৎকারে তৃষ্ণার্ত কণ্ঠনালী আক্রান্ত হলে এক ফোঁটা জল দেবে?
কতটা ক্ষুধার্ত হলে পেট ও পিঠের সাথে ফারাক থাকে না
তার পরিমাপ করে এক মুঠো ভাত খেতে দেবে?
আর কত জীর্ণশীর্ণ বিবস্ত্র শরীর এক টুকরো বস্ত্রে ঢেকে দেবে?
সাতাশ বছর ধরে আটলান্টিকে সাঁতার কেটেছি
আরো কত পথ বাকী মৎস্য কন্যা ভেসে উঠবার?
হৃদয় অভ্যন্তরে আরো কত রক্ত ঝরালে
সূচাগ্র যন্ত্র দিয়ে করবে সেলাই।
আরো কত হিম হলে হিমাঙ্কের স্তব্ধ হিমানীতে
উলান হয়ে দেবে একটু উত্তাপ?
সুদীর্ঘ পথের সাঁতারক্লান্ত আমি নিশ্চিত ডুবে যাবো
তবুও কি টেনে তুলবে না?
আমার চোখের জল শেষ হলে রক্ত ঝরে যাবে
তবুও কি বিন্দু ভালোবাসা ঢেলে দিয়ে আসবে না বুকের গভীরে?
আলোকিত/১৪/১১/২০২৪/আকাশ

রাজশাহী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা খতিয়ান-নকশা

নাহিদ ইসলাম (রাজশাহী): রাজশাহী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস এখন দূর্নীতির আখড়া। অনিয়ম যেন এই অফিসের নিয়মে পরিনত হয়েছে। সরকারী এই প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে অফিস সহায়ক যোগ স্বাজসেই চলে নিয়ম বহির্ভূত কাজ। সেই সাথে চলে অবৈধ লেনদেন। তাদের এই দূর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও ভূক্তভোগীদের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, ২০০৭ সালে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের একটি মাঠ জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঠ জরিপে যেসকল জমি রেকর্ড করা হয় সেই সকল জমির মালিকদের ভূমি সংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি প্রদান শুরু হয় চলতি বছরের ১৭ জুলাই। আইন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে এটি পৌঁছে দেয়ার কথা থাকলেও নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটিয়ে বিতরণ কার্যক্রম চলে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
শুধু তাই নয় সরকার নির্ধারিত একটি ফি পরিশোধ করে কাগজাদি সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলে রমরমা ঘুষ বাণিজ্য। খতিয়ান ও মাঠ খসড়ার জন্য সরকারি ফি ১০০টাকা হলেও সেটি সংগ্রহ করতে গুনতে হয় ২০০ থেকে ৫০০টাকা। আর নিদিষ্ট মৌজার নকশার জন্য সরকার নির্ধারিত ৫০০টাকার পরিবর্তে জমির মালিকদের গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০টাকা। এরপরও মিলছেনা কাগজের আসল কপি।
সরকার নির্ধারিত ফি এর সাথে বাড়তি টাকা দিয়ে মিলছেনা জমির কাগজের স্ক্যান কপি। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস থেকে সরবরাহকৃত ওই কাগজ গুলো আসল কাগজের স্ক্যান কপি বলে ভূক্তভোগীদের দাবী। আবার অনেক ভূক্তভোগী আসল কাগজ চাইতে গেলেই সেটেলমেন্ট কতৃপক্ষ কাগজ পুনরায় মূল্যায় করার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানায়। যৌথভাবে এই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলাম, আ: ওহাব, সার্ভেয়ার আবুল কাশেম, সৈয়দ আলী ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আবু সাঈদ।
ভূক্তভোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর মৌজার কৃষক মো: কামরুজ্জামান বলেন, আমরা মাঠ বুঝার জন্য খতিয়ান নিতে এসেছি। না দিয়ে বার বার হয়রানি করছে। সরকারি ফি ১০০ টাকার কাছে ২০০,৪০০,৫০০,৭০০, ৮০০ টাকা করে লিয়েছে। কিন্তু আজকে বলছে আমাদের মৌজার কাগজ ঢাকায় গেছে।
খতিয়ান নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন, এখানে খতিয়ান নিতে এসেছি, জুলাই থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে। পয়লা নিয়েছে ২০০ এখন নিচ্ছে ৫০০,৭০০ টাকা। আবার বলছে সাহেব নাই, নথি ঢাকা গেছে। ভোগান্তির শেষ নাই।
মাঠ খসরা নিতে আসা দেবীনগরের বাবলু বলেন, আমার একটা সালিশ আছে, আজকে এসেছি ২-৩দিন আগে একবার এসেছিলাম মাঠ খসড়া নিতে। তারা বলছে মাঠ খসরা নাই। মাঠ খসড়া ঢাকায় চলে গেছে। কখন আসবে তা বলতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এই কার্যক্রমের সহযোগি হিসেবে ছিলাম। যে কয়দিন কাজ করেছি সরকারী রেট ১০০ ও ৫০০ টাকা নিয়েছি। যদি কেউ অতিরিক্ত দিয়েও থাকে এসে দাবী করেনি।
এ ব্যাপারে রাজশাহী দিয়ারা অপারেশনের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো: আতিয়ার রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমি পাইনি। পূর্বে এই অভিযোগ দায়ের করা ছিলো। সেটির তদন্ত ঢাকায় চলছে। যদি কেউ আমার কাছে এই অভিযোগ নিয়ে আসেন তবে আমরা তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
আলোকিত/১৩/১১/২০২৪/আকাশ

রাজশাহীতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ

নাহিদ ইসলাম (রাজশাহী): রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁর নাম শিহাব আল রশিদ ওরফে গালিবকে (২৭)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিহাব আল রশিদ ওরফে গালিব রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তিনি পাবনা সদরের চাকপাইলানপুর গ্রামের হারুন আর রশিদের ছেলে। আগে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে ২০১৭ সালে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। রাজশাহীতে তিনি ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হন ছাত্রলীগ কর্মী শিহাব। পরবর্তীতে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে বৃত্তিমূলক (প্রফ) পরীক্ষা দিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে আসেন শিহাব। মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে দেখে শিহাবকে চিনে ফেলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তখন তারা সেখানে তাকে ধরে মোটরসাইকেলে তুলে বন্ধগেট এলাকায় নিয়ে এসে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের আগে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা আছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শিহাব আল রশিদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত/১৩/১১/২০২৪/আকাশ

রাত নাম‌লেই পা‌ল্টায় মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালীর রূপ, চ‌লে মাদক সেবন ও জুয়াখেলা

মো: নজরুল ইসলাম (টিটু), বান্দরবান 
বান্দরবা‌নের লামার আর্কষনীয় পর্যটন স্পট নাম মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালী ‌রি‌সোর্ট এন্ড রে‌ষ্টু‌রেন্ট। দি‌নের বেলায় মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালী থে‌কে চার‌দিক থে‌কে প্রাকৃ‌তিক দৃশ‌্যাবলী দেখ‌লে মন প্রাণ জু‌ড়ি‌য়ে যায় পর্যটক‌দের। আর তা‌তেই পাগল হ‌য়ে উঠে ভ্রমণ পিপাসু মানু‌ষেরা। কিন্তু রা‌তের আধার নাম‌তেই এটি হ‌য়ে উঠে অত‌্যান্ত ভয়ংকর। চা‌রদি‌কে নিরব নিস্তব্ধ। বিদ‌্যুৎ না থাকায় আরো ভয়ংকর হ‌য়ে উঠে এটি। পর্যটক‌দের গা ছমছম ক‌রে। হঠাৎ ঘুম থে‌কে শিউরে উঠে পর্যটকর‌া। আর এমনই ভী‌তিকর প‌রি‌বেশে সারারাত জু‌ড়ে চ‌লে বখা‌টে‌দের আসর।
মদ‌্যপান, ইয়াবা সেবন ও জুয়া‌খেলা প্রতি‌দিনের নিত‌্যসঙ্গী। সব‌কিছুর নেতৃত্ব দেন উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের সরকারী গাড়ী চালক জিয়াউর রহমান ও লামা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা সাদনান আহম্মেদ। সবকিছু ধামাচাপা দি‌তে স্থানীয় প্রশাসন ও মি‌ডিয়া‌কে ম‌্যা‌নেজ করার কথাও স্বীকার ক‌রে‌ছেন গাড়ী চালক জিয়াউর রহমান নি‌জেই।
স্থানীয়রা জানায়, লামার মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালী‌র মা‌লিক লামার সা‌বেক উপ‌জেলা চেয়ারম‌্যান মোস্তফা জামা‌নের গাড়ী চা‌লক জিয়াউর রহমা‌ন। প্রভাবশালী লামা আওয়ামীলীগ নেতা ও সা‌বেক উপ‌জেলা চেয়ারম‌্যান মোস্তফা জামা‌নের গাড়ী চা‌লক। তখনকার সম‌য়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাকুরী দেওয়ার কথা বলে অসহায়‌দের কাছ থে‌কে হা‌তি‌য়ে নি‌য়ে‌ছেন কো‌টি কো‌টি টাকা। লামায় গ‌ড়ে‌ছেন ক‌য়েক কো‌টি টাকার সম্পদ।
আর এ টাকায় লামার শহ‌রের প্রবেশ প‌থে গড়ে তুলেছেন মি‌রিঞ্জা ভ্যালি রি‌সোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট না‌মে এ রি‌সোর্ট। প্রশাস‌নিক কোন ধর‌নের অনু‌মোদন ছাড়া প্রভাব খা‌টি‌য়ে এটি গ‌ড়ে‌ছেন তি‌নি। এদি‌কে গত দুই বছর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপজেলা পরিষদের গাড়ি না চালিয়েও বেতন নিচ্ছেন প্রতি মাসে। অথচ নি‌জে পাজেরো জিপ গাড়ি কিনে সে‌টি নি‌জেই চা‌লি‌য়ে জেলাজু‌ড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
নি‌জের রি‌সোর্ট ব্যবসাও দেখাশোনা করছেন তি‌নি। তারা আরো জানায়, এটি দি‌নে দেখ‌তে আর্কষনীয় হ‌লেও রা‌তের প‌রি‌বেশ ভিন্ন। অন্ধকার নাম‌লেই গা ছমছম ক‌রে। পর্যটকরা ভো‌গেন নিরাপত্তাহীনতায়। এরই ম‌ধ্যে জিয়াউর রহমা‌নের নের্তৃ‌ত্বে সারারাত চ‌লে মদ‌্যপান, ইয়াবা সেবন পাশাপা‌শি জুয়া‌খেলা আর হৈ‌চৈ যেন যেন এরই এক‌টি অংশ।
স‌রেজ‌মি‌নে ঘু‌রে দেখাগে‌ছে, লামা শহ‌রের অদূ‌রে শহ‌রের প্রবেশ প‌থে পাহাড়ী আঁকাবাঁকা নির্জন নয়না‌ভিরাম স্থা‌নে গ‌ড়ে উঠে‌ছে মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালী। অথচ এর আশে পা‌শে নেই আইনশৃংখলা বা‌হিনীর কোন নিরাপত্তা চৌ‌কি। শহ‌রের অদূ‌রে হওয়ায় প্রশাস‌নের নজরদারীও নেই সেখা‌নে। পর্যটক‌রা অনায়া‌সে নি‌চের ইচ্ছেমত আস‌ছে আর য‌া‌চ্ছে। কোন জবাব‌দিহীতাও নেই সেখা‌নে। কিন্তু সন্ধ‌্যা নাম‌লেই শহ‌রের অ‌নেক বখা‌টে ঝা‌কে ঝা‌কে মোটর বাইক চা‌লি‌য়ে আস‌তে থা‌কে মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালীর দি‌কে। সারারাত সেখা‌নে মদ, ইয়াবা আর জুয়ার আসর ব‌সি‌য়ে ভোর রা‌তে ফি‌রে আসে বা‌ড়ি‌তে। অ‌নে‌কের ম‌তে সম্প্রতি রা‌তের বেলায় অ‌নেক মামলার আসামীদের দেখা মি‌লছে এই পর্যটন স্পষ্টে।
এ বিষ‌য়ে বান্দরবা‌নের বা‌সিন্দা নুরুল হক ব‌লেন, লামার মি‌রিঞ্জা অত‌্যান্ত সুন্দর ও ম‌নোরম। ত‌বে সেখা‌নে পর্যটকদের কোন নিরাপত্তা নাই। প্রশাস‌নিক অনু‌মোদনও নাই।  তারপরও কিভা‌বে এটি চল‌ছে জানা নাই।
সোহরাব হো‌সেন না‌মের একজন জানায়, আওয়ামীলীগ সরকা‌রের আম‌লে  জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা সাদনা ও জিয়াউর রহমানের মা মহিলা কাউন্সিলর জাহানার বেগমের প্রভাব কা‌জে লা‌গি‌য়ে সে অ‌বৈধভা‌বে এটি গ‌ড়ে‌ছে। স্থানীয়দের দাবি অবৈধ আয়ের উৎস, অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান এবং চাকুরী না করে বিগত দুই বছর সরকারি কোষাগার থেকে বেতন উত্তোলনের বিরু‌দ্ধে তদন্ত ক‌রে আইনগত ব‌্যবস্থা নেয়া জরুরী।
লামার সা‌বেক মেয়র জ‌হিরুল ইসলাম ব‌লেন, জিয়াউর রহমান বে‌শির ভাগ সময়ই মদ‌্যপ অবস্থায় থা‌কে। রা‌তে বে‌শি মাতাল হ‌লে সবাইকে গা‌লিগালাজ ক‌রে। তাই কেউ তার সম্পর্কে মুখ খুল‌তে চায়না। ত‌বে পর্যটক‌দের নিরাপত্তার বিষয়‌টি প্রশাস‌নের নজ‌রে রাখা উচিত।
এ ব‌্যাপা‌রে  জিয়াউর রহমান ব‌লেন, আমি আর সরকারী চাকুরী কর‌তে চাইনা। আমার মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালী‌তেই বাকী সময় পার কর‌বো। এখা‌নে পু‌রোপু‌রি নিরাপত্তা র‌য়ে‌ছে জা‌নি‌য়ে তি‌নি ব‌লেন, এখা‌নে রা‌তে কোন মদ, ইয়াবা সেবন বা জুয়ার আসর চ‌লেনা। তবে পাশ্ববর্তী উপজাতি পাড়া থেকে মদপান করলে আমার কিছু করার নেই।
এ বিষ‌য়ে লামা উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী ব‌লেন, নিরাপত্তার জন‌্য মি‌রিঞ্জা ভ‌্যালীর আশেপা‌শে কোন পু‌লিশ ফা‌ঁড়ি নেই। ত‌বে এর পা‌শেই বি‌জি‌বির এক‌টি পর্যটন কেন্দ্র র‌য়ে‌ছে। নিরাপত্তার জন‌্য ইতিম‌ধ্যে এক‌টি প‌ু‌লিশ ফা‌ঁড়িও দেবার প‌রিকল্পনা র‌য়ে‌ছে সেখা‌নে। মাদকের বিষয়টি অনেকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন তবে লিখিত অভিযোগ পায়নি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি