আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 206

চট্টগ্রামে এলডিপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জাফরকে সংবর্ধনা

মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম

এলডিপি’র যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি, একই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হাজী এম. এ. জাফরকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছানোর পর তাঁকে ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় আগত এলডিপি’র চট্টগ্রামের ও সাতকানিয়ার নেতৃবৃন্দরা বিমান বন্দরে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর সংবর্ধিত এলডিপি নেতা আলহাজ্ব এম. এ. জাফর দলীয় নেৃতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা দলকে এবং আমাকে ভালোবাসার টানে সবাই বিমান বন্দরে এসেছেন।

আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আমি সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। দলের মধ্যে হাইব্রীড কেউ থাকবেনা। আমি তৃণমুল এবং দলের জন্য নিবেদিত নেতা-কর্মীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবো। আমি অতীতে যেমন আপনাদের পাশে ছিলাম; আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। এরআগে এই নেতা আসার খবর পেয়ে বিমান বন্দরে বেশকিছু গাড়ী নিয়ে শতাধিক দলীয় ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও গ্রামের বাড়ী সাতকানিয়া উপজেলার একাধিক শিক্ষা, সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বিমান বন্দরে ভীড় জমান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন আছিয়া বেগম

মো: মহিদ
মানিকগঞ্জে তৃতীয় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আছিয়া বেগম (৩০)। গত ১০ নভেম্বর রবিবার শহরের বাসস্ট্যান্ড ফিরোজা জেনারেল হাসপাতালে দুই ছেলে এক মেয়ের জন্ম দেন সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামসা গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া বেগম। পূর্বেও দুটি সিজারের মাধ্যমে দুটি ছেলে বাচ্চাও হয়েছিল তার।
৪ মাস পূর্বে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ট্রিপলেটের কথা জানতে পেরে বেশ ভয় পেয়েছিলেন তিনি। পরে মানিকগঞ্জ ফিরোজা জেনারেল হাসপাতালে আসলে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক  ওয়াহিদুর রহমানের সেবার নিশ্চয়তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে ভর্তি করে রোগির স্বজনরা।
পরে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা: ওসমান গনির মাধ্যমে সিজার অপারেশন সফল হয়। বর্তমানে  মা ও বাচ্চারা ভাল আছেন বলে জানান হাসপালটির পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান।
আছিয়ার স্বামী কৃষক খলিল মিয়া বলেন, এই হাসপাতালে আমার দুইটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে হয়েছে। তারা সবাই ভাল আছেন। এখানকার ডাক্তার নার্সরা সবাই ভাল, তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। আমি গরিব মানুষ বাচ্চাদের ভালোভাবে লালন পালন করতে সমাজের বিত্তবানদের  সহযোগিতা কামনা করি।
ফিরোজা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাথী সরকার বলেন, আমি এই আছিয়ার আল্ট্রাসনোগ্রাম করি। রোগীর আগে যেহুতু দুইটা বাবু আছে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে হয়েছে। যেহুতু ওনার পেটে তিনটা বাচ্চা প্লাস হচ্ছে, আগে দুইটা সিজার আছে, তাই আমরা কাউন্সিলিং করে দিই এবং পরীক্ষা নিরিক্ষা সবই করে দেই। তারপরে রোগী আমাদের কাছে ব্যথা নিয়ে আসে। পরে আমরা সিজারিয়ান অপারেশন করি। এখন বাচ্চারা স্কেনো ইউনিটে নিবির পর্যবেক্ষনে আছে এবং ভালও আছে।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান বলেন, গত ১০ নভেম্বর আছিয়া নামের একজন রোগী আমাদের এখানে ভর্তি হয়।ভর্তি হওয়ার পরে আমি সুন্দর করে ম্যানেজমেন্ট করে দিয়ে অপারেশনের ব্যবস্থা করে দেই। মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গণি স্যারের মাধ্যমে অপারেশনটা সফল হয়। আর তিনটা বাচ্চা জন্ম গ্রহন করে। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, এখন বাচ্চা তিনটা ভাল আছে, মাও আল্লাহর রহমতে ভাল আছে। যেহেতু রোগীর পরিবারটি খুবই গরীব তাই হাসপাতালটির পক্ষ থেকে বিল কমিয়ে আগেও ছাড়া দেওয়া হয়েছে, এবারও সর্বোচ্চ্য ছাড়া দেওয়া হবে। এছাড়া আমাদের হাসপাতালটি সরকারি নিয়ম মেনে  সহলের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর-২৪/মওম

ফুলবাড়ীয়া কলেজে নিবন্ধন ছাড়া চাকরি পাওয়া রিকুলা খাতুন এখনো স্বপদে বহাল

খালেদ হাসান, ময়মনসিংহ 
বাংলাদেশে গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের শাসনামলে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে এক অরাজক পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছিল। যার মধ্যে নিয়োগ বাণিজ্য ছিল অন্যতম।এর হাত থেকে রেহাই পায়নি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। আওয়ামী সরকারের দূর্নীতি গ্রস্ত আমলা, মন্ত্রী, এমপিরা অর্থের বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নজির অহরহ। তেমনি একটি নিয়োগের সন্ধান পাওয়া গেছে ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া কলেজের অনার্স শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রিকুলা খাতুনের। তার বিরুদ্ধে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার গুরুতর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিবন্ধন ছাড়া নিয়োগ পাওয়া রিকুলা খাতুন গত ১০/০৩/২০১৪ ইং তারিখ ফুলবাড়ীয়া কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দান করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকুরীর জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করা বাধ্যতামূলক থাকলেও ফুলবাড়ীয়ার সাবেক এমপি মোসলেম উদ্দিন ও তার ছেলে এডভোকেট এমদাদুল হক সেলিম এবং সাবেক দূর্নীতি গ্রস্ত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নাছির উদ্দিন খানের সাথে দফারফা করে বিষয়টি গোপন রেখে রিকুলা খাতুনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিয়োগের পরের বছর ০৯/০৩/২০১৫ ইং তারিখের রিকুলা খাতুনের নিবন্ধন পরীক্ষা পাশের একটি সার্টিফিকেট (যার রোল-৪০৪২১৩০৯) ফাইলে জমা রাখা হয়।এতে প্রমাণিত হয় রিকুলা খাতুন নিয়োগের সময় নিবন্ধন পাশ করেননি করেছেন নিয়োগের এক বছর পর। তিনি সকলের সামানে প্রকাশ্যে বলে বেড়ান আমি নিয়োগের সময় নিবন্ধন পাশ করিনি তাতে কি হয়েছে আমাকে চাকুরী থেকে কেউ বাদ দিতে পারবে না।
বিষয়টি নিয়ে এর আগেও পত্র পত্রিকায় অনেক সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু আওয়ামী হর্তা কর্তারদের প্রকাশ্য হস্তক্ষেপের কারণে এই ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস করেনি। আজ আওয়ামী স্বৈরশাসনের পট পরিবর্তন হয়েছে। ০৫ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটেছে। আওয়ামী লীগের দুর্নীতি গ্রস্ত এমপি, মন্ত্রীরা তাদের অপকর্ম থেকে বাঁচতে কেউ গা ঢাকা দিয়েছে, কেউবা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া রিকুলা খাতুন এখনো সদর্পে স্বপদে বহাল রয়েছেন। দেশে সংস্কারের হাওয়া বইলেও রিকুলা খাতুন এর ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নিতে গরি মশি করছে তা বোধগম্য নয়।
তাহলে কি এখনোও আওয়ামী স্বৈরশাসকের দোসরা আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে ? মোঠফোনে ফুলবাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র সরদার এর কাছে অবৈধ ভাবে নিয়োগ পাওয়া রিকুলা খাতুনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিতে বাহিরের কোন চাপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন,না আমরা কোন চাপের সম্মুখীন হচ্ছি না। রিকুলা খাতুনকে নিয়োগ শোকজ লেটার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী মিটিং এ বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে কলেজের ছাত্র ,অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে খোভের জন্ম দিচ্ছে। তাদের দাবি নিবন্ধন ছাড়া অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া রিকুলা খাতুন কে অপসারণ এবং এই পর্যন্ত কলেজ থেকে দেওয়া সমুদয় বেতন ভাতা ফেরত নেওয়া হোক। বিষয়টি নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফুলবাড়ীয়ার সচেতন মহল।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মমেক হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

খালেদ হাসান:
 ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য রাতের আঁধারে ফেলা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায়। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন রঘুরামপুর পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক অফিস এর বিপরীত পার্শ্বে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ইউজ করা সিরিন্জ,রক্ত মাখা কাঁচের টিউপ,মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন, অপচনশীল ইনজেকশনের পেকেট, সুঁই ইত্যাদি মারাত্মক পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ মেডিকেল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে আলহাজ্ব আল আমিন আহমেদ নামক একজন ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ঐ এলাকার বসবাসরত হাজারো বাসিন্দা।
এলাকাবাসী বলছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর অসচেতনতায় এমন অব্যবস্থাপনার জন্য দ্বায়ী। চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই চিকিৎসা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলা ও জীবাণুমুক্ত করার নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকার কথা থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। ত‌বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি মমেক হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে নিয়‌মিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এই বর্জ্য গুলো তাদেরই নিয়োগকৃত ফজলুল হক নামের একজন ব্যক্তি তার নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে। কোন টেন্ডার ছাড়াই প্রতিদিন ফজলুল হকের লোকজন বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কাগজ, ঔষধের প্যাকেট, ক্যাথেটার, স্যালাইন এর প্যাকেট ও কার্টন এর পাশাপাশি এইসব মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের স্টোর অফিসের সামনে এনে জড়ো করে। সেখান থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেগুলো বিক্রি করা যায় সেগুলো রেখে বাকিগুলো ফেলে দেওয়া হয়। প্রচুর পরিমাণে ফেলে দেওয়া মেডিকেল বর্জ্য গুলো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কোন ডাম্পিং প্রক্রিয়া না থাকায় তারা নিতে পারে না। ফজলুল হক প্রতিমাসে কার্টন, প্যাকেট ও অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে কিন্তু এই টাকার কতটুকু সরকারি খাতে জমা হয় তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি মমেক কর্তৃপক্ষ। ফজলুল হক আর্থিক লাভের আশায় মেডিকেল বর্জ্য রাতের আঁধারে ঐ জায়গায় ফেলে দিয়ে আসে। এই বিষয়ে ফজলুল হককে জিজ্ঞেস করলে তিনি মেডিকেল বর্জ্য ফেলে আশা জায়গাটি নিজের বলে দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোন দলিল দেখাতে পারেনি। জমির মালিক আলহাজ্ব আল আমিন আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি শহরে থাকি তাই এই বর্জ্য গুলো রাতের আঁধারে কারা ফেলে যায় বলতে পারছি না। এখানে বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে আশেপাশের লোকজন আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি এগুলো না পারছি অন্যত্র সরিয়ে নিতে না পারছি পুড়িয়ে ফেলতে। মোহাম্মদ আবুল বাশার নামে একজন এলাকাবাসী বলেন খোলা জায়গায় ফেলে রাখা এসব প্রাণঘাতী চিকিৎসা বর্জ‌্য অনেক ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। আবর্জনা গুলো পচে এলাকায় বিকট দুর্গন্ধ ছড়ি‌য়ে পরেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং ঘটনার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা উচিত। ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ মো:নামজুল হুদা বলেন যে কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হলো সিটি কর্পোরেশন বা ঐ প্রতিষ্ঠানের। ক্লিনিক্যাল বা মেডিক্যাল বর্জ্য এটার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি নিজ দায়িত্বে অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য অবশ্যই নিদিষ্ট স্থানে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যামে ফেলা উচিত। আর তা না হলে মেডিকেল ও ক্লিনিক্যাল বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষিত হবে । সুঁই বা অন্য ক্লিনিক্যাল বর্জ্য থেকে অনেক ধরনের রোগ জীবানু মানুষ ও পশু পাখির মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মমেক হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য গুলো দ্রুত অপসারণ এবং এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওয়তায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্য সচেতন মহল।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর-২৪/মওম

ময়মনসিংহে নূর আহমদ কাসেমীর জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন 

খালেদ হাসান, ময়মনসিংহ 
ময়মনসিংহ রহমতপুর ৩০ নং ওয়ার্ডের জামিয়া কাসেমিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নূর আহমদ কাসেমীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারবর্গ। গত ১২ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১২ ঘটিকায় ময়মনসিংহ গাঙ্গিনার পার অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে”প্রেস রিলিজ” পড়ে শুনান মোঃ খলিলুর রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী। প্রেস রিলিজ এ উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে বিশ্বাসী। আর এই ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর অর্থলোভী, লেবাসধারী লোক মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির নামে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। ভূমিদস্য মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী সেই প্রকৃতির একজন লোক। এতিমখানা ও মাদ্রাসাটির পরিচালক মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী মাদ্রাসাটির আশপাশের জমি গুলো কারো কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে, কারো সরলতার সুযোগে আবার কারো কাছ থেকে জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে। বর্তমানে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ মাদ্রাসার আশপাশের জায়গার মালিকগণ। আমি মোঃ খলিলুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
আমাকে ব্যবসায়ীক কারণে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকতে হয়। এই সুযোগে নূর আহমদ কাসেমী এলাকার সুদখোর আবুল কালাম ও তার কয়েকজন সহযোগী সহ বহিরাগত দেরশতাধিক লোকের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সকালে আমার ক্রয় কৃত ও ভোগ দখলে থাকা ২০১৮,২০২০,২০১৯ দাগের মোট ২৭.৭৪ শতাংশ জমি অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণ করে।আমার আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে মাদ্রাসার কোমলমতিছাত্রদের হাতে লাঠি দিয়ে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে সংঘর্ষের জন্য উসকে দেওয়া হয়।
আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই তাদের সাথে সংঘর্ষে না জড়িয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি যা বর্তমানে চলমান। জায়গাটির উপর আদালত একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলেও তা না মেনে নূর আহমদ কাসেমী বর্তমানে জমিতে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। শুধু আমার জমি নয় আমার বাবা মোঃ বজলুর রহমানের ২০১৮,২০১৯,২০২০ দাগে ৩২ শতাংশ জমির মধ্যে ২ শতাংশ জমি সরকার বাইপাসের জন্য অধিগ্রহণ করে নেয় বাকি ৩০ শতাংশ জমিও জোরপূর্বক দখল করে নেয় নূর আহমেদ কাসেমী।এখানে উপস্থিত আরো একজন ভুক্তভোগী মোছাঃ বদরুন নাহার এর ক্রয় কৃত ও চৌদ্দ বছর ধরে ভোগ দখলে থাকা ২০২০ দাগে ১৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় নূর আহমদ কাসেমী। আর একজন উপস্থিত ভুক্তভোগী খালেদা আক্তার হ্যাপি’র কাছ থেকে ২০২০ দাগের ১৬ শতাংশ জমি দলিল সংশোধনের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে লিখে নেওয়া হয়েছে।
মোঃ মিজানুর রহমান নামে আর একজন ভুক্তভোগীর ৬৫৯ দাগে ১৬ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়। এলাকাটিতে গেলে এখানে উপস্থিত ছাড়াও আরো ডজন খানেক মানুষের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার আপনারা প্রমাণ পাবেন। জমি দখলে বাধা দিতে গেলেই সন্ত্রাসী বাহিনী সহ মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। এইসব কাজে মাওলানা নুর আহমদ কাসেমীকে সাহায্য করে ঐ এলাকার সুদখোর আবুল কালাম ও তার সহযোগিরা। এলাকায় প্রচার করা হয় তিনি আওয়ামী সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
একজন সাইকেল দিয়ে ঘুরে ফেরা মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষক এখন কিভাবে দামী গাড়িতে ঘুরে ফেরেন গড়েছেন শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় তা আপনাদের উদঘাটন করে জাতির সামনে তুলে ধরার সদয় অনুরোধ করছি। আমরা চাই আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে একজন লেবাসধারী, ভূমিদস্যু নূর আহমদ কাসেমীর মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন হোক এবং সরকার যেন আমাদেরকে আমাদের সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নূর আহমদ কাসেমীর জোরপূর্বক জমি দখলের স্বীকার ভুক্তভোগীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা আক্তার জাহান,বাদল,তাজ উদ্দিন, সোহান, মনির, ফোরকান, তানিয়া আফরিন ও মাহবুবুর।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে আছে দিল্লি, ফ্লাইট বাতিল

ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাসের গুণগত মান আরও নিচে নেমেছে। ১৩ নভেম্বর  বুধবার সকালে ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে শহরটি। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় একাধিক ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এদিন সকালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৭০, যা মঙ্গলবারের একিউআই ৩৬১ এর তুলনায় বেশি। এই মান বাতাসের ‘খুব খারাপ’ পর্যায়কে বোঝায়। অর্থাৎ ‍দিল্লির বাতাসের মানের আরও অবনতি হয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই দিল্লিতে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করে। এতে করে দিল্লিগামী একাধিক ফ্লাইট রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। তবে দুপুরের দিকে দিল্লির পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় এই অবস্থা বিকাল অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবের অমৃতসার থেকে দিল্লিগামী তিনটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের সময়সূচিও বদলেছে। ব্যাহত হয়েছে যান চলাচলও।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর-২৪/মওম

 

 

নকলায় পিকআপ ও সিএনজি সংঘ*র্ষে নিহ*ত-৪

মোঃ নুর হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নারী ও পুরুষসহ ৪জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজির চালকসহ আরো ৩জন আহত হয়েছেন। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের নকলা উপজেলার পাইস্কা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের কন্যা তায়েবা (১০), শেরপুর সদর উপজেলার পালাশিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার পুত্র তাজেন মিয়া (১৫) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়া কান্দা এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী সুবিনা বেগম (২০) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র আলাল উদ্দিন (৩৫)। আহতরা হলেন, নিহত তায়েবার বড় বোন তোয়া (১৬), ছোট ভাই আদনান ছাবিদ (৩) ও মা উম্মে সালমা (৪০)।
স্থানীয়সূত্র ও পুলিশ জানায়, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা এলাকার উম্মে সালমা তার দুই মেয়ে ও শিশুপুত্রকে নিয়ে দুইদিন আগে শেরপুরের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। আজ বুধবার ময়মনসিংহের উদ্যেশে সিএনজি যোগে রওনা হন। এসময় সিএসজিতে অন্যান্য যাত্রীরা উঠেন। বেলা অনুমান সারে ১২টার দিকে নকলার গড়েরগাও থেকে পাইস্কা বাইপাস হয়ে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সিএনজি চালক উঠার সময় দ্রুতবেগে আসা ময়মনসিংহ-শেরপুরগামী পিকআপটি ধাক্কা দিলে সিএনজিটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারাযান তায়েবা ও তাজেন মিয়া।
এসময় সিএনজি চালকসহ সবাই আহত হলে স্থানীয়রা প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতের অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করলে পথিমধ্যে সুবিনা বেগম ও আলাল উদ্দিন মারা যান। বাকীরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবর রহমান বলেন, আজ দুপুরে নকলার পাইস্কা বাইপাসে সিএনজি-পিকআপের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। আরো আহত ৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আরো ২জন ময়মনসিংহ মেডক্যিাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযান। পিকআপের চালক পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি ও পিকআপটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হইছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

টাঙ্গাইলে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সাইফুল ইসলাম সবুজ:
টাঙ্গাইল পৌর শহরের বেড়াডোমা এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত এবং একজন আহত হওয়ার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
১৩ নভেম্বর বুধবার দুপুরে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বেড়াডোমা চৌরাস্তায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আমিন, সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম আজাদ, এলাকাবাসী মো. শামীম আল মামুন, রুহুল আমিন তালুকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,সড়কে যাত্রী এবং পথচারীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রত্যেকটি মোড়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে স্পিডব্রেকার দিতে হবে।
সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ চাই, যানবাহনের বেপরোয়া গতির নিয়ন্ত্রণ চাই। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, আর যেন কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত না হয়।
মানববন্ধনে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীরা অংশ গ্রহণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর-২৪/মওম

গুলিস্তান ও ফার্মগেট ফুটপাত উচ্ছেদ যেন ‘চোর-পুলিশ খেলা’

আলোকিত প্রতিবেদক

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড় থেকে সড়কের উভয় পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়েছে হকাররা। ফুটপাতের একপাশে চৌকি বসিয়ে আরেক পাশে দড়ি টানিয়ে কাপড়ের পসরা সাজানো হয়েছে। আর মূল সড়কের ওপর ঝুড়ি ও ভ্যান বসিয়ে চলছে ফল বিক্রিও। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের রমনা ভবন মার্কেটের সামনের সড়কের ফুটপাত দখলের পাশাপাশি মূল সড়কেও বসানো হয়েছে দোকান পাট।

গোলাপশাহ মাজার এলাকার অবস্থা আরও শোচনীয়। এখানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে প্রবেশের সরুপথ ছাড়া পুরো প্রাঙ্গণ হকারদের দখলে। টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে সড়কের ৮০ শতাংশ দখল করে আছে হকাররা। কেউ বসেছে ফলের দোকান নিয়ে, কেউ নিয়ে বসেছে কাপড় ও জুতা। স্টেডিয়াম রোড থেকে মাজার রোডে যেসব গাড়ি আসছে, সেগুলোকে আসতে হচ্ছে সড়কের একপাশ দিয়ে। বাকি রাস্তা হকারদের দখলে। মূল সড়কে ঘোড়ার গাড়ি, মিনিবাস, বড় বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে সখোনে।

রবিউল নামে এক হকার আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, ‘সবকিছু ম্যানেজ করেই এখানে বসেছি। এখানে না বসলে কোথায় বসব? জায়গা বের করে দেন।’ বেলাল হোসেন নামের আরেক হকার বলেন, ‘আমরা রাস্তার পাশেই বসেছি। যারা মাঝে বসেছে, তাদের তুলে দিন আপনারা। তাদের জন্যই পরে আমাদের সমস্যা হয়।

ফুটপাতে চলতে বিড়ম্বনার শেষ নেই পথচারীদের। তারা বলছেন, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এমন যাচ্ছেতাই অবস্থা মেনে নেওয়ার মতো নয়। মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই। এই দোকানগুলো রাস্তা ও ফুটপাত দখল করায় পথচারীদের চলাচলে যেমন অসুবিধা হয়, তেমনি যানজট বাড়ে এবং নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হয় বটে।

পথচারী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরে হকারদের স্থায়ী বসার জায়গা বা বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তারা ফুটপাত দখল করতেই থাকবে। এ সমস্যার সমাধানে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার।

গতকাল গুলিস্তানের শহীদ মতিউর পার্কেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বেলা ১১টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা ছিল। কিন্তু অভিযানের খবর আগেই জেনে যায় হকাররা। তারা তাদের ভ্যান গাড়িগুলো পাশে পার্কে লুকিয়ে রাখে। পুলিশ পার্ক থেকে ৫০০ ভ্যানগাড়ি জব্দ করে তখন।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নাজমুল হাসান বলেন, গুলিস্তানে আমরা দিনে চারবার অভিযান চালাই। কিন্তু অভিযানে এসে রাস্তায় কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না। পরে আমরা তথ্য পাই অভিযানে এলে হকাররা গাড়িগুলো শহীদ মতিউর পার্কে নিয়ে রাখে। আমরা চলে গেলে তারা আবার রাস্তায় চলে আসে। তাই আমরা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় গাড়ি রাখার স্থানেই অভিযান চালিয়েছি।

হকারদের সঙ্গে প্রশাসনের অনেকের যোগসাজশ রয়েছে। এই চোর-পুলিশ খেলা কবে শেষ হবে—জানতে চাইলে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। অভিযানে পাঁচশ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়িগুলো সিটি করপোরেশন বাজেয়াপ্ত করেছে।

ফার্মগেটে উচ্ছেদ প্রতিবাদে বিক্ষোভ: এদিকে ফার্মগেট এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখল করে থাকা অবৈধ অস্থায়ী দোকানপাট গুঁড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবাদে যানবাহন আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে হকাররা।

গতকাল দুপুরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও সিটি করপোরেশনের যৌথ অভিযান শুরু হয় ফার্মগেটের গ্রিন সুপার মার্কেটের সামনে থেকে। অভিযানে আনন্দ সিনেমা হল, ফার্মগেট সুপার মার্কেট, তেজগাঁও কলেজের সামনে ও খামারবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে সড়ক-ফুটপাতে গড়ে তোলা হাজার খানেক দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে কয়েকশ হকার।

হকাররা ফার্মগেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ৩টার দিকে খামারবাড়ি মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। সেখানে কয়েকটি গাড়ির ওপর হামলা করতে দেখা গেছে। পরে তারা সেখান থেকে আবার তেজগাঁও কলেজের সামনে মিছিল নিয়ে আধাঘণ্টা বিক্ষোভ করে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেয় তারা।

চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মো. শফিক নামে আরেক হকার বলেন, ‘আগে ফার্মগেটের প্রতিটি দোকান থেকে পুলিশসহ বিভিন্নজন চাঁদা নিত। তখন কোনো সমস্যা হতো না। এখন কেউ চাঁদা নিচ্ছে না, এখন আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তাহলে কি তারা আবার চাঁদা নিতে চায়? এটা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের পেটে লাথি দিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।

ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে সেখানে। ফুটপাত ও সড়ক দখলে থাকায় জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি অপরাধ তৎপরতা বাড়ছে। সোমবার ফুটপাত উচ্ছেদের বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছিল। চলে যেতে ঘোষণা দেওয়া হলেও তারা দোকানপাট সরিয়ে নেয়নি। তাই যৌথ অভিযান চালিয়ে সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নেত্রকোনার বারহাট্টায় তিনটি ফার্মেসীকে জরিমানা 

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার হাসপাতাল গেইট এলাকায় ঔষধের অনিয়ম প্রতিরোধে ১২নভেম্বর মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন, নেত্রকোণা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে বারহাট্টা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি কর্তৃক তিনটি ফার্মেসীকে “ঔষধ ও কসমেটিকস্ আইন-২০২৩” এর ৪০(খ) ও ৪০(গ) ধারা ভঙ্গের দায়ে সর্বমোট ছয় হাজার টাকা সতর্কতামূলক জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অভিযানকালে ফার্মেসীসমূহে নকল-ভেজাল এবং আনরেজিস্টার্ড ঔষধ বিক্রি না করা, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি না করা, অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রির রেজিস্টার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং লাইসেন্স এ বর্ণিত শর্ত মেনে ফার্মেসী পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঔষধ  ড্রাগ সুপার খন্দকার হাফসা নাজনীন এবং বারহাট্টা  থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ আদালত পরিচালনা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর-২৪/মওম