আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2131

নাসিমের মৃত্যুতে বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

::নিজস্ব প্রতিবেদক  ::
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম শনিবার সকালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় বলেন, ‘পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত নাসিমের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

করোনা: আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়াল বাংলাদেশ

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

আরও ২৮৫৬ রোগী শনাক্ত হওয়ায়  করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন পরিসংখ্যানে চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন। অন্যদিকে চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ২২৮ জন। বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায়  আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ রোগে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৮ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৮৮২ জন সুস্থ হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শনিবার (১৩জুন) দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

মানিকগঞ্জে করোনায়: মৃত্যু ১,নতুন আক্রান্ত ১৭, মোট ৪০৪

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে আরও একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির (বিজয় সরকার, ৪৫, পিতা মহেন্দ্র সরকার) বাড়ি ঢাকার ধামরাই এলাকায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। হঠাৎ শারীরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।আজ (১৩ জুন) শনিবার সকালে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান একজন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী এলাকায়।চাকুরীসূত্রে তিনি মানিকগঞ্জে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি ৭ জুন বিকেল থেকে গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরে উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ায় ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়া, আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা হাসপাতালে আনার পর মায়া রাণী সূত্রধর (৫০) নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক। তবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।তাঁর বাড়ি জেলার সাটুরিয়া উপজেলার কৈট্টা এলাকায় জানান ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ৫ ব্যক্তি মারা গেলেন।তবে, সরকারী হিসেব অনুযায়ী ৪জন। কেননা ধামরাই থেকে আসা নিহত ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছিল নিজ এলাকায়। গত ২৪ ঘন্টায় মানিকগঞ্জে নতুন করে আরও ১৭জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ৪০৪ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে সাটুরিয়া উপজেলায় ৭ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৫ জন, ঘিওর উপজেলায় ৩ জন এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। আজ (১৩ জুন) শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রফিকুন নাহার বন্যা। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৭টির পজিটিভ এবং ১১টির নেগেটিভ এসেছে। এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ১০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে তিন হাজার ৮৫৫টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এতে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪০৪ জনের দেহে। এদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১২ জন, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় রয়েছেন ৮১জন করে, ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ৫৫ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ৩৩, শিবালয়। উপজেলায় ২৭ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ১১জন। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ২৫৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন এবং মারা গেছেন ৪জন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ জুন ‘২০/এসএএইচ

পরপারে চলে গেলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আ.লীগের জেষ্ঠ্য নেতা নাসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ জুন) বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তিনার ছেলে তানভীর শাকিল জয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ৫ জুন থেকে তিনি কোমায় ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাতে মোহাম্মদ নাসিমের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছিলেন, নাসিমের শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। অবস্থার উন্নতির জন্য সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চেষ্টা করা হচ্ছে।করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার করোনা টেস্ট করা হয়। ওইদিন রাতে তার করোনা পজিটিভ আসে।করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলেও পরদিন থেকেই মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থার উন্নতি হয়। কিন্তু গত ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে জরুরিভাবে ওই দিনই তার অপারেশন করা হয়। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। ওই সময় পার হওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই তিনি কোমায় ছিলেন। তবে ৯ জুন পুনরায় তার করোনা পরীক্ষায় করলে নেগেটিভ আসে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ জুন ‘২০/এসএএইচ

গাইবান্ধায় করোনায় আক্রান্ত আরও ৪, মোট ১৫১

সংবাদদাতা,প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় আরও ৪ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাড়ালো ১৫১ জনে। গত (১২ জুন) শুক্রবার নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১, সুন্দরগঞ্জে ১ এবং সাঘাটা উপজেলার ২ জন রয়েছে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গাইবান্ধায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৬৩ জন, গাইবান্ধা সদরে ২৭, ফুলছড়িতে ৫, সাঘাটায় ১২, পলাশবাড়ীতে ১৬, সুন্দরগঞ্জে ১২ এবং সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৬ জন রয়েছে। গত ৫ দিনে গাইবান্ধায় ৬৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২৪ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫ জন। তাদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ২ জন, সাদুল্লাপুরে ১ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ জুন ‘২০/এসএএইচ

যৌতুকের বলি গৃহবধু শারমিন: পুলিশ সুপার নীলফামারী

সংবাদদাতা,নীলফামারী: স্বামীর দাবি ছিল অভিমান করে তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার শারমিন (১৯)বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।স্ত্রীকে বাঁচাতে নিয়েও এসেছিল নীলফামারী সদর জেনারেল হাসপাতালে তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শারমিনকে জরুরী ভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন শারমিনের বাবা মা ও আত্মীয়স্বজনেরা।কিন্তু শারমিনকে নিয়ে রংপুর যাবার পথে নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড এলাকা পার হতে না হতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শারমিন। এ্যাম্বুলেন্সটি পুনরায় সদর জেনারেল হাসপাতালের দিকে ফেরার পথে এ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে পালিয়ে যায় স্বামী মোমিনুল ইসলাম।জামাই পালিয়ে যাওয়ায় রহস্য দানা বাধে শারমিনের বাবার মনে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মেয়ের লাশ ফিরে এনে তিনি নীলফামারী থানায় বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ ছুটে এসে সব কিছু জানার পর পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় থানা পুলিশ মাঠে নেমে পড়েন তদন্তে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মাথায় পুলিশের জালে আটক হন শারমিনের স্বামী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার সীমানায়। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় শারমিনের শ্বশুড় লাল মাহমুদকেও। জিজ্ঞাসাবাদে যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকার জন্য বাবা ছেলে মিলে শারমিনের উপর প্রচন্ডভাবে শারিরিক নির্যাতন চালানোর কথা স্বীকার করেন তারা। শারমিনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসে কাহিনী সাজায় স্বামীর উপর অভিমান করে শারমিন বিষপান করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবা ও ছেলে সব কিছু স্বীকার করেন। এরপর পুলিশ তাদের বাড়ি হতে শারমিনকে নির্যাতনের কাজে ব্যবহৃত খাটের রোলার, মাথায় আঘাত করা একটি স্টীলের বড় মগ উদ্ধার করে। এভাবে বেরিয়ে আসে শারমিন বিষপানে নয় যৌতুকের বলি হবার কাহিনী।শুক্রবার(১২ জুন)দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান (বিপিএম-পিপিএম) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, গত বুধবার(১০ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাবা ও ছেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেন। এ ঘটনায় শারমিনের বাবা হাবিল শেখ বাদী হয়ে ১০ জুন নীলফামারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এদিন জেলার মর্গে শারমিনের লাশের ময়না তদন্ত করা হয়। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ পাওয়া যায়। পুলিশ সুপার জানান,দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে শারমিনের বাবার বাড়ি। এক বছর আগে নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সাবুল্লিপাড়া গ্রামে মোমিনুলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় যৌতুক ঠিক হয়েছিল এক লাখ ২০ হাজার টাকা। শারমিনের বাবা নগদ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করলেও বাকী ৪০ হাজার টাকা প্রদান করতে পারেননি। দীর্ঘদিনেও ৪০ হাজার টাকা না পাওয়ায় স্বামী ও শ্বশুড় শারমিনের উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। এই নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ঘটনার দিন ৯ জুন দুপুর ১২টার দিকে। সে সময় শারমিনের হাত পা বেধে ছেলে ও বাবা শারিরিক নির্যাতন চালায় শারমিনের শরীরে।তিনি জানান,মামলার তদন্ত ও স্বীকারোক্তি সব পুলিশের কাছে রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল, নীলফামারী সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী ও ডিআইও ওয়ান লাইছুর রহমান প্রমুখ।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ জুন ‘২০/এসএএইচ

সুন্দরগঞ্জে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত: জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান

সংবাদদাতা,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারী কাজে বাধা প্রদানের দায়ে ৫ জনকে অর্থ জরিমানা এবং অপর ২ জনকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। গত (১১ জুন) বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী লুতফুল হাসান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে দন্ডিতরা সকলেই স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে স্ব-স্ব দোষ স্বীকার করে। অর্থ দন্ডেদন্ডিতরা হলেন উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আজিম উদ্দিন বেপারীর পুত্র মোসলেম আলী (৩৬), চাঁন মিয়ার পুত্র শরিফুল ইসলাম (৩৮), মৃত হোসেন আলীর পুত্র লাল মিয়া (৫২), হেলাল উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহিম (৫৫), আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল লতিফ (৪৮)। এদের প্রত্যেককে ৫শত টাকা করে মোট ২ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর পুত্র আকবর আলী (৫৫) ও সাইদুর রহমানের পুত্র জামিউল ইসলাম (৩৮) কে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। অপরদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি আদেশ না মেনে জোর করে ঋণের কিস্তি আদায় করায় দুই এনজিও’র ৪ জন মাঠ কর্মীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান। গত বুধবার বিকালে পৌর সভার পশ্চিম বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরা হলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আশা’র মাঠকর্মী জাহাঙ্গীর আলম, নুর আহাম্মদ এবং বাংলাদেশ এডুকেশন এক্সটেনশন (বিজ) এর মাঠ কর্মী শরিফুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি। এরপর সরকারি আদেশ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকের এক হাজার করে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ জুন ‘২০/এসএএইচ

কবি রোকেয়া ইসলাম প্রশিকার নতুন চেয়ারম্যান, আলোকিত প্রতিদিন সম্পাদকের অভিনন্দন

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

কবি, গল্পকার ও নাট্যকার রোকেয়া ইসলাম ‘প্রশিকা’র নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন আলোকিত প্রতিদিন সম্পাদক সৈয়দ নুরুল হুদা রনো। অন্যধারা সাহিত্য সংসদের অন্যতম উপদেষ্টা রোকেয়া ইসলামকে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কবির কাব্যিক ছোঁয়ায় দেশের প্রথম সারির এনজিও প্রশিকা নতুন করে প্রাণ পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন কবির চোখ সর্বস্তরে পৌঁছে; নজর থাকে সৃজনশীলতায়। কবির চোখ অনেক দূর দেখতে পায়, যা সাধারণের চোখ এড়িয়ে যায়। নন্দিত কবি রোকেয়া ইসলাম কবি হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ট নেত্রীও। তার নেতৃত্বে নতুন নতুন পরিকল্পনা প্রশিকাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস রাখি।’
গত মঙ্গলবার (৯ জুন) রাজধানীর মিরপুর-২ বিপিএমই ভবনে রোকেয়া ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিকার পরিচালনা পর্ষদের ১৪২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২ মে প্রশিকার চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়ে পড়লে সংস্থাটির নিয়ম অনুযায়ী এই সভা থেকে নতুন সিদ্ধান্ত আসে। এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান  ছিলেন নন্দিত এই কবি ও গল্পকার। নতুন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান এবং রফিকা আক্তার কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।
সভায় প্রশিকার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ এবং উপ-প্রধান নির্বাহী সিরাজুল হকসহ অন্যদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে সামাজিক নিরাপত্তা ও দরিদ্র মানুষদের পাশে থেকে সচেতনতা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময়  প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জন্ম নেয়া কবি রোকেয়া ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান আরজুর সহধর্মিনী। তিনি সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় অবদান রেখে নজরুল সন্মাননা পদক ও ড. আশরাফ সিদ্দিকী স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বজ্রপাতে নিহত-১

সংবাদদাতা,সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বজ্রপাতে সজিব হোসেন (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সজিব হোসেন উপজেলার ১১নং দেয়াড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দলুইপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়া বেড়াতে গিয়েছিলো নিহত সজিব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব শেখ মুনীর-উল-গীয়াস। ওসি জানান, ‘সজিব হোসেন খোরদো হাইস্কুলের ৯ম শ্রেনির ছাত্র। সে তার নানা পানিকাউরিয়া গ্রামের সোলায়মান গাজীর বাড়ীতে বেড়াতে যায়। শুক্রবার সকালে মাছ ধরাতে গিয়ে বজ্রপাতের ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।’ কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম জানান, ‘বজ্রপাতের ঘটনায় আহত সজিবকে সাথে সাথে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ দলুইপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আহাদ আলী জানান, ‘সজীব তার নানাবাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হলে সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ সজীবের এমন মৃত্যুতে নানাবাড়িসহ দেয়াড়া ও দলুইপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ জুন ‘২০/এসএএইচ

গাইবান্ধায় আরও ১২ জন করোনায় আক্রান্ত, মোট ১৪৭

সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় আরও ১২ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির সংখ্যা দাড়ালো ১৪৭ জনে। নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ৫, পলাশবাড়ীতে ৫, সুন্দরগঞ্জে ১ এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ১ জন রয়েছে। গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য জানান। গাইবান্ধায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৬৩ জন, গাইবান্ধা সদরে ২৬, ফুলছড়িতে ৫, সাঘাটায় ১০, পলাশবাড়ীতে ১৬, সুন্দরগঞ্জে ১১ এবং সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৬ জন রয়েছে। গত ৪ দিনে গাইবান্ধায় ৬৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়। গত ২৪ ঘন্টায় (১১ জুন) বৃহস্পতিবার নতুন করে ৭৩ জনসহ ৬০৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জে ৯৮, গোব্দিন্দগঞ্জে ১৯৭, গাইবান্ধা সদরে ১১৪, ফুলছড়িতে ৩২, সাঘাটায় ১৪, পলাশবাড়িতে ২৪ এবং সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১২৫ জন রয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ