আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2132

মানিকগঞ্জে করোনার অব্যাহত সংক্রমণ:তিনটি উপজেলা লকডাউনের সিদ্ধান্ত,মোট আক্রান্ত ৩৮৭

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে আশঙ্কাজনকহারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জেলাকে আবারও লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলায় সর্বোচ্চ কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হবে বলে জানান করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির প্রধান এবং জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস। আজ শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গণ-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির সদস্যদের মতামত এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গণ-বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ বাইরে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শপিং মল, দোকানপাট ও কাঁচাবাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন পূর্বক খোলা রাখা যাবে। তবে আবশ্যিকভাবে বিকেল চারটার মধ্যে বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়াও জেলার বাইরে যাওয়া যাবে না এবং অন্য জেলা থেকে এই জেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না। যৌক্তিক কারণে জেলার বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিদের অবশ্যই নিজ ঘরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। জনসংখ্যা এবং পরীক্ষার আনুপাতিকহারে আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া এবং সিংগাইর উপজেলাকে হট স্পট ধরা হচ্ছে।
এ কারণে গত সোমবার করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির প্রধান এবং জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের আহবানে তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দসহ কমিটির সদস্যরা ওই সভায় উপস্থিত থেকে মানিকগঞ্জের অব্যাহত করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কঠোরভাবে লকডাউন পালনের সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
সরকারি হিসেব মতে, এ পর্যন্ত মোট চার হাজার ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে তিন হাজার ৭১৬ টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৮৭ জনের দেহে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১০ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৭৬ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ৭৪ জন, ঘিওর উপজেলায় ৫২ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ৩৩ জন, শিবালয় উপজেলায় ২৭ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২ জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ২৪৮ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১০৪ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন।
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি আদেশে ৩১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করলে দোকানপাট, অফিস আদালত ও গন-পরিবহন চলাচল শুরু হয়। এরপর থেকে মানিকগঞ্জে করোনা শনাক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ

২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ৪৬, আক্রান্ত ৩৪৭১

সৈয়দ এনামুল হুদা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্ব মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো মোট ১ হাজার ৯৫ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটি নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪৭১ জন। এটাও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে এ নিয়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৮১ হাজার ৫২৩ জনে। শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। নতুন সংযুক্ত ৩ টিসহ মোট ৫৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে ডা. নাসিমা জানান, করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৯৯০টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৭১ জন। ফলে এ আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৮১ হাজার ৫২৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ১ হাজার ৯৫ জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫০২ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৭ হাজার ২৫০ জন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ

রাঙ্গুনিয়ায় শ্বাসকষ্টে শিক্ষকের মৃত্যু: লাশ দাফনে এলাকাবাসীর বাধা,প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দাফন

সংবাদদাতা,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের লাশ তার নিজ গ্রাম রাউজানে দাফন করতে নিয়ে যাওয়া হলে গ্রামবাসী তার লাশ দাফন করতে দেয়নি। এমনকি শিক্ষকের স্বজনরাও তার লাশ গ্রহণ করেনি। পরে ওই শিক্ষকের লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কর্মস্থল রাঙ্গুনিয়ায়। সেখানেও লাশ দাফন বাধা দেওয়া হয়। পরে কোনো উপায় না দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় পরিবারটির সদস্যরা। খবর পেয়ে গভীর রাতে ফোর্স নিয়ে ছুটে আসেন রাঙ্গুনিয়া থানার এস আই ইসমাঈল হোসেন জুয়েল ও গাউছিয়া কমিটির একটি টীম। তাদের উদ্যোগে ভোর ৪ টায় ওই শিক্ষকের লাশ দাফন করা হয়।
আজ শুক্রবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের (৫৯) বাড়ি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় হলেও তিনি কর্মসূত্রে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত ৮ টার দিকে তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। তিনি ওই কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গুরুতর অবস্থায় তাকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এরপরও ৯ জুন তার করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করা হয়েছে।ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত ৮ টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কলেজ শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ারপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় নিজ উপজেলা রাউজানের নোয়াপাড়ায়। কিন্তু সেখানে তার স্বজনদের কেউই তাঁর লাশ গ্রহণ করেনি। এমনকি প্রতিবেশীরাও এ সময় খারাপ আচরণ করেন। লাশ দাফনে এমন অভাবনীয় বাধা পেয়ে ওই শিক্ষকের পরিবার লাশ নিয়ে আবার রাঙ্গুনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।শুক্রবার (১২ জুন) দিবাগত রাত ১ টায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে ফেরত আসে। যেখানে তিনি ভাড়া থাকতেন। কিন্তু সেখানেও লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়। কোনো উপায় না দেখে মরিয়ম নগরের পাগলা মামার মাজার এলাকায় লাশ নিয়ে অসহায় পরিবারটির সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির সদস্যরা এগিয়ে আসে। এলাকার উদ্যমী তরুণদের সঙ্গে নিয়েই খোঁড়া হয় কবর। সব রীতি মেনে সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই ইসমাঈল হোসেন জুয়েল জানান, ‘এই শিক্ষকের লাশ রাউজানের তার নিজ গ্রাম থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে খবর পাওয়ার পর রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ দাফনের দায়িত্ব নেয়। এলাকার তরুণদের সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।’ এই শিক্ষকের মৃত্যুর খবরে এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ

দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সব কাজ করতে প্রস্তুত: সাতক্ষীরায় সেনা প্রধান

সংবাদদাতা,সাতক্ষীরা: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন,দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ যেকোন কাজ করবে। বড় বড় ড্রেজিংয়ের কাজ, চট্রগ্রামের জলাবদ্ধতার মেগা প্রজেক্ট সেনাবাহিনী করছে। সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরে বাঁধ রক্ষার কাজ সেনাবাহিনী সফলভাবে করছে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর দায়িত্বে দিলে সাগ্রহসহকারে সেনাবাহিনী করবে বলে জানান সেনাপ্রধান। তিনি (১১ জুন) বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। জেনারেল আজিজ আহমেদ আরো বলেন,সূপেয় পানি সংকটেও সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে সেনাবাহিনী। সংশ্নিষ্টরা চাইলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সরবরাহ করা হবে। এছাড়া ঘর নির্মাণসহ খাদ্য সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে সেনাসদস্যরা। এছাড়া মাসব্যাপী গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা সেবা দিবে মেডিক্যাল কোরের সদস্যরা। লকডাউনের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায়। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কতটুকু কঠোরতা প্রয়োজন। পরে সেনাপ্রধান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দেখতে আশাশুনি ও কয়রাতে যান।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী মাসেই করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা

সংবাদদাতা,নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বহুল পরিচিত ওষুধ কোম্পানি মডার্না করোনা ভাইরাসের প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জুন) কোম্পানিটি জানিয়েছে, জুলাই মাসে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে এই ধাপকে চূড়ান্ত পর্ব হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের অনুমোদিত কোনোও টিকা আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় এ ধরনের ৭৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আরএনএ টিকা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো প্রথম কোম্পানি। এ টিকা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি। মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে দিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করাই এর লক্ষ্য। এই টিকা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মডার্না। ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজ-ভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের এই পরীক্ষার লক্ষ্য হবে করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট রোগের লক্ষণ সারিয়ে তোলা। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করা, যাতে করে মানুষকে হাসপাতালে যেতে না হয়।মডার্না জানায়, শেষ ধাপের পরীক্ষার জন্য ভ্যাকসিনের ডোজের ১০০ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষা সফল হলে এই ডোজের মাত্রা অনুসারে কোম্পানিটি প্রতিবছর ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। তবে ২০২১ সালের শুরু থেকে সুইডেনের ওষুধ নির্মাতা লঞ্জার সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
মডার্নার টিকাটি পরীক্ষামূলকভাবে গত মার্চে মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করানো হয়। প্রথম পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক। যে আট স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম। ওই আটজনের প্রত্যেকের শরীরেই করোনাভাইরাসের ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ এমন মাত্রায় তৈরি হয়েছে, যা এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা তার চেয়ে বেশি। নিউট্রালাইজিং অ্যান্ডিবডিগুলো ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেয়, তার মানবদেহে আক্রমণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ

ফরিদপুরে বৈশ্বিক দুর্যোগেও জনসেবা অব্যাহত, ই ফাইলিং এ প্রথম ফরিদপুর ‘জেলা প্রশাসন’

সংবাদদাতা,ফরিদপুর: বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় সার্বিক কর্মকান্ডের সাথে সাথে ইলেকট্রনিক ফাইলিং (ই ফাইলিং) এ পিছিয়ে নেই ফরিদপুর জেলা। গত দু মাসের প্রথম হওয়ার ধারাবাহিকতায় এ মাসের ফলাফলে আবারো প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে পরপর তিনবার ই ফাইলিং এ প্রথম স্থান অর্জন করলো ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। মূলতঃ সচেতনতা সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সেবায় সতর্ক দৃষ্টি, কর্মহীন ও দুঃস্বদের জরুরী ত্রাণ তৎপরতাসহ নানা ক্ষেত্রে জনসেবা অব্যাহত রেখেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। একই সাথে করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক দূর্যোগের সময়ও জনসেবায় পিছিয়ে নেই ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। একসেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ই ফাইলিং এ ক্ষেত্রে এ ক্যাটাগরির জেলা ২৫ টি। আর এই এ ক্যাটাগরির ২৫ টি জেলার মধ্যে এপ্রিল মাসের ফলাফলে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। ১৮ হাজার ৫শত ৭৬ টি ডাক নিষ্পন্নের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন প্রথম স্থান অর্জন করে। একই সাথে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে স্ব-উদ্যোগে সৃজিত নোটের সংখ্যা ২হাজার 88 টি, ডাক থেকে সৃজিত নোট ২ হাজার ২শত ৭২ টি, মোট পত্রজারী ২ হাজার ১শত ৭৩ টি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ফলাফলেও প্রথম স্থান অর্জন করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। চলমান বৈশ্বিক করোনা দূর্যোগেও জনসেবা এবং ই ফাইলিং এ যেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসন পিছিয়ে না থাকে সেজন্য কর্মরত সকলকে কাজ করার প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার। তার আহবানে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মরত সকলেই স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে কর্মকান্ডে এগিয়ে আসে। দুর্যোগ মোকাবেলা ও ই ফাইলিং এ একযোগে কাজ করছে জেলা প্রশাসনে কর্মরত সকলে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জুন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন জনাব অতুল সরকার। প্রথম দিনেই তিনি জেলা প্রশাসনে কর্মরতদের সাথে আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ই ফাইলিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর প্রতি নিয়তই এ বিষয়ে তিনি নিবিড় তদারকি করছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের মধ্যে ই ফাইলিং অবস্থানে সর্ব নিম্নের কাছাকাছি থেকে উপরে উঠতে থাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। ফলশ্রুতিতে গত মাসে ই ফাইলিং এ অব্যাহতভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। মূলত সরকারি অফিসে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। ই-ফাইলিং সরকার ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়াচ্ছে। জনগণ ও সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করছে এটি। এটি এখন ক্ষেত্র বিশেষের বিজ্ঞান নয়, সার্বজনীন বিজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে কাজ চালানো যায় এ সুবিধা দিয়ে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২ জুন ‘২০/এসএএইচ

মানিকগঞ্জে কৃষকের আড়াই বিঘা ধান কাটলো ছাত্রলীগ নেতা ফারাবী এবং যুবলীগ নেতা নাহিদ

সৈয়দ এনামুল হুদা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের দিক নির্দেশনায়, মানিকগঞ্জ জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের আহবানে এবং সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারের অনুপ্রেরণায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বকজুরি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক শুভ মিয়ার আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে দিয়েছে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সদর উপজেলার বকজুরি গ্রামের কৃষক শুভ মিয়া জমির পাকা ধান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দিনমজুরের অভাবে কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না। এ খবর শুনেই হাজির যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-তথ্য সম্পাদক ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাহদী আল ফারাবী এবং পৌর যুবলীগ নেতা নাহিদুল ইসলাম হৃদয়ের নেতৃত্বে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীরা তার জমির ধান কেটে দিয়েছে। এ বিষয়ে মাহদী আল ফারাবী বলেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কৃষকদের পাশে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দিক নির্দেশনায় এবং মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারের আহবানে পৌর যুবলীগ এবং জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে পৌরসভার বকজুরি গ্রামের কৃষক শুভ মিয়া চাচার আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছি। “কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের আজকের এই কর্মসূচি। এই ধারাবাহিকতা আগতদিনগুলিতেও অব্যাহত থাকবে। বকজুরি গ্রামের কৃষক শুভ মিয়া জানান, দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে জমির ধান পাঁকার পরও শ্রমিক সঙ্কটে ধান কাটতে পারছিলাম নাহ। কিন্তু যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের এ নেতাকর্মীরা সংবাদ পেয়ে এসে আমার জমির ধান কেটে দিলেন। এতে আমি উপকৃত হয়েছি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও পৌর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সামিউর রহমান কম্পন, খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ পলাশ মাহমুদসহ যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের অনেকেই ধান কাটায় সহযোগিতা করেন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১১ জুন ‘ ২০/এসএএইচ

সিংগাইরে পিকআপ চাপায় নিহত বড় বোন,আহত ছোট বোন

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে পিকআপ ভ্যান চাপায় নয় বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ইশা নামে নিহতের ছোট বোন আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সড়কের বাস্তা-গাজিন্দা মাদ্রাসা এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুবর্ণা ও আহত ইশা উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাস্তা গ্রামের রিকশাচালক ইস্রাফিল হোসেনের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক পিকআপ ভ্যান চালক ও তার সহকারি পলাতক রয়েছে। পারিবারিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে তিনটার দিকে শিশু সন্তান সুবর্ণা ও ইশাকে বাড়ি সংলগ্ন হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সড়কের পাশে দাড় করিয়ে রেখে তাদের মা মোবাইল ফোনে টাকা লোড করার জন্য পার্শ্ববর্তী দোকানে যান। এসময় ঢাকাগামী একটি পিকাপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই শিশুকে চাপা দিয়ে ছিটকে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বড় বোন সুবর্ণা নিহত ও ছোট বোন ইশা গুরুতর আহত হন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু ইশাকে ঢাকার সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে এঘটনায় স্থানীয় বাস্তা-গাজিন্দা মাদ্রাসার প্রতিবন্ধী শিক্ষক হাফেজ ছানোয়ার হোসেন অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেছেন। তিনি সড়কের পাশ দিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় ঘাতক পিকআপ চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১১ জুন ‘২০/এসএএইচ

মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ নিহত-২

সংবাদদাতা,মাদারীপুর: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় চালক সহ ২জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকাল ৮ টায় টেকের হাটের তুলাতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে লাশ ২টি উদ্ধার করে এবং ট্রাক ও নসিমন জব্দ করে। নিহতরা হলেন নসিমন চালক সোহেল মুন্সি ও ব্যাবসায়ি সেলিম খলিফা। মস্তফাপুর হাইওয়ে ফারির ইনচার্জ দ্বীন মোহাম্মাদ জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার সময় টেকের হাটের তুলাতলা নামক স্থানে দাড়ানো গ্যাস বোঝাই ট্রাকের পিছনে মাদারীপুর থেকে আসা নসিমন টি সজোরে আঘাত করে এতে ঘটনা স্থানেই ২জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,মৃতরা হলেন মাদারীপুর সদরের মিঠাপুর গ্রামের শাহজাহান মুন্সির ছেলে নসিমন চালক সোহেল মুন্সি (৩৮)ও উত্তর দুধখালি গ্রামের নুর উদ্দিন খলিফার ছেলে পিয়াজ ব্যাবসায়ি সেলিম খলিফা (৪৫)। খবর পেয়ে মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে লাশ ২টি উদ্ধার করে এবং ট্রাক ও নসিমন জব্দ করেন। মস্তফাপুর হাইওয়ে ফারীর ইনর্চাজ দ্বীন মোহাম্মাদ জানান, খবর পেয়ে আমরা এসে লাশ ২টি উদ্ধার করি এবং ট্রাক ও নসিমন জব্দ করি।এবং লাশ উদ্ধারের সময় পিয়াজ ব্যাবসায়ি সেলিম খলিফার নিকট ১৮ হাজার ৫শত টাকা পাই যা আমাদের কাছে আছে। যথাযতভাবে ওই টাকা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১১ জুন ‘২০/এসএএইচ

বোস্টনে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি ভাংচুর

সংবাদদাতা,নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে আমেরিকা আবিষ্কারক হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ক্রিস্টোফার কলম্বাসের একটি মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বোস্টন শহরের আটলান্টিক এভিনিউয়ের ক্রিস্টোফার কলম্বাস পার্কের ওই মূর্তিটির মাথা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ঘটনাস্থলটিকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে চিহ্নিত করে রাখে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর আমেরিকা আবিষ্কার করেন ইতালীয় নাগরিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস। স্পেনের তৎকালীন রানির অর্থানুকূল্যে এ ভূখণ্ডে অবতরণ করেন তিনি। তবে আমেরিকার আবিষ্কারক হিসেবে কলম্বাসের ভাবমূর্তি যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে। সমালোচকদের অনেকেই তাকে আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের হোতা এবং স্থানীয় আদিবাসীদের ওপর গণহত্যার অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের সময়ে কলম্বাস বিরোধী মনোভাব জোরালো হয়েছে। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে তার একটি ভাস্কর্যে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় সময় ৯ জুন মঙ্গলবার রাতে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ভাস্কর্যটি লেকের পানিতে ফেলে দেয় তারা। বোস্টন শহরে আক্রান্ত হওয়া কলম্বাসের মূর্তিটি এর আগেও আক্রান্ত হয়েছে। ২০০৬ সালেও একবার মূর্তিটির মাতা ভেঙ্গে ফেলা হয়। ২০১৫ সালের জুন মাসে মূর্তিটির গোড়ায় লিখে দেওয়া হয় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১১ জুন ‘২০/এসএএইচ