আজ শনিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2133

বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু

:অর্থনৈতিক প্রতিবেদক::

শুরু হলো একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশন। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে বুধবার (১০ জুন) বিকাল ৫টায় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনীত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন, মুহম্মদ ফারুক খান, ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান মানিক, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মেহের আফরোজ চুমকি। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরাই সংসদের বৈঠক পরিচালনা করেন। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে অনুষ্ঠেয় বাজেট অধিবেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ। সংসদ সচিবালয়ের বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে অন্যদের সংসদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সংসদ ভবনে দর্শনার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত প্রথম দিনেই অনুসরণ করা হয়েছে।

এই অধিবেশনেই বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। এটি হবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন। অবশ্য গত বছর বাজেট পেশের সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে অর্থমন্ত্রী পুরো সময়টা বক্তব্য দিতে পারেননি। তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট বক্তব্য দেন।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সবাইকে স্বাগত জানান। করোনাকালে বিশেষ ব্যবস্থায় অধিবেশন পরিচালনার কথা জানান। বাজেট অধিবেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে, মাস্ক ও গ্লাভস পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ অধিবেশন চলবে। অধিবেশনের সব সদস্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে বাজেট অধিবেশনকে কার্যকর ও সক্রিয় করে তুলবেন।’

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী-এসএসএফের সুপারিশ অনুযায়ী সংসদ অধিবেশনে কাজ করবেন এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৪৩ জনের। শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং বয়স্ক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া এমপিদেরও অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

অধিবেশন চলাকালে কক্ষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়ও বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীকে আরও এক সারি পিছনে এবং প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশের আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যদের আরও কয়েক আসন দূরে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পাশেই সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বয়স বিবেচনায় অধিবেশনে যোগ দেননি।

প্রথম দিনের অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়নের পরপরই আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক তিনটি অধ্যাদেশ উপস্থাপন করেন। অধ্যাদেশগুলো হলো- আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২০ এবং আয়কর সংশোধন (অধ্যাদেশ) ২০২০। এর পরপরই স্পিকার সংসদে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। চলতি সংসদের সদস্য (ঢাকা-৫) হাবিবুর রহমান মোল্লাসহ বিগত সপ্তম অধিবেশন থেকে এ পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং যত বিশিষ্টজন মারা গেছেন তাদের জন্য শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় দেশে-বিদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিবর্গের জন্যও।

কলাপাড়ায় পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম : নাগরিক উদ্দ্যোগের আয়োজনে দুর-বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

সংবাদদাতা,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নাগরিক উদ্দ্যোগ আয়োজিত পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিল, দূর্নীতি, লুটপাট, স্বেচ্ছাচারিতা, বিদ্যুৎ বিলে অসংগতি ও সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে দূর-বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় সাধারন জনগন। বুধবার (১০ জুন) ১১টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় মনোহরী পট্টিস্থ শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কে এ দূর-বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মান্নু, লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট ও নাগরিক উদ্যোগের সদস্য দিবাকর সরকার পিন্টু। বক্তারা পল্লী বিদ্যুতের ঘনঘন লোডসেডিং,মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, তিন মাসের বিল একত্রে প্রদান ও ৯৯% বিলের নামে গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ জানান। এছাড়া ভবিষ্যতে প্রতি মাসের বিল প্রতি মাসে গ্রাহকের হাতে পৌছে দেয়ার দাবি জানান।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ জুন ‘২০/এসএএইচ

মৃত্যু যখন অবধারিত তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের জন্য, দেশের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যু যখন অবধারিত সেটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ভয় পাইনি। কখনো ভয় পাবো না। আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, একদিন সে জীবন নিয়ে যাবেন। তাই এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

বুধবার ( ১০ জুন) জাতীয় সংসদে এক শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে অংশ নেয়ায় নিজের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ আশঙ্কার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে মরি, গুলি খেয়ে মরি, অসুস্থ হয়ে মরি, মরতে একদিন হবেই। এই মৃত্যু যখন অবধারিত সেটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ভয় পাইনি। কখনো ভয় পাবো না। আমি যখন বাংলাদেশে ফিরে আসি, সেটা ছিল সেই বাংলাদেশ, যেখানে আমার মা-বাবা, ভাই, বোন, শিশু ভাইটিকে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের পরিবারের বহুজনের সদস্য বুলেটবিদ্ধ, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বুলেটবিদ্ধ বা স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন।’

করোনা কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়া মানুষের জন্য সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সবার কাজ করার সুযোগ ছিল না। যারা নিয়মিত চাকরির বেতন পান তার বাইরে কিছু লোক থাকেন, যারা ছোটখাট কাজ করে খান, ব্যবসা করে খান। এমন প্রতিটি মানুষের খবর নিয়ে নিয়ে তাদের ঘরে ঘরে খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি রিকশার পেছনে যারা আর্ট করে, সংস্কৃতি কর্মী, তাদেরকে কিছু সরকারিভাবে, কিছু আমাদের ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। আর্টিস্ট বা শিল্পী কিংবা শিল্পীদের সহযোগিতা করে যারা, তাদের কথা কেউ ভাবে না। এই ভাবনাটা কিন্তু আমার নিজের না, সত্যিকারের কথা বলতে কি- এটা শেখ রেহানার চিন্তা। সে-ই কিন্তু খুঁজে খুঁজে তাদের সাহায্য দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে এজন্য আলাদাভাবে ত্রাণ দিয়ে রেখেছি, যেন তারা সাহায্য পান। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যে যেখানে আছে, যে যেটুকু পেরেছে প্রত্যেকেই সাহায্য করেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষও সাহায্য করেছে।’

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর পর মরদেহ গ্রহণ বা লাশ দাফনের ক্ষেত্রে স্বজনদের অমানবিক আচরণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে কেউ মারা গেলে আত্মীয়-স্বজন লাশ ফেলে চলে যায়। সেই লাশটা টানে পুলিশ। তারা নিয়ে কবর দিচ্ছে, জানাজা দিচ্ছে। ভয়ে আপনজন কেউ থাকছে না। মানুষ ভীত হয়ে এরকম অমানবিক আচরণ করবে, এটাও কিন্তু দুঃখজনক। আরেকটি বিষয় আমি না বলে পারব না, যেমন আমাদের ছাত্রলীগ আমার নির্দেশে ধান কেটেছে। এমনকি এই লাশ নিয়ে এসে তাদের দাফনের ব্যবস্থা, যারা অসুস্থ তাদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া, সেবা-শুশ্রুষা করার কাজগুলো কিন্তু ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ করে যাচ্ছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, একদিন সে জীবন নিয়ে যাবেন। আর আল্লাহ মানুষকে কিছু কাজ দেন। সেই কাজটুকু যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ হয়তো আমি কাজ করে যাব। যখন কাজ শেষ হয়ে যাবে, সময় শেষ হবে, তখন আমি চলে যাব। তাই এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সরকারের তৎপরতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনার সময় অনেক দেশ বাজেট দিতে পারছে না। কিন্তু আমরা একদিকে যেমন করোনা মোকাবিলা করবো, পাশাপাশি আমরা দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করবো। তারা যেন কষ্ট না পায় সেজন্য যা যা করণীয় করে যাবো। আমি তো এখানে বেঁচে থাকার জন্য আসিনি। আমি তো জীবনটা বাংলার মানুষের জন্য বিলিয়ে দিতে এসেছি, এটাতে তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয়ের কী আছে?’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনা আক্রান্তদের জন্য কুইক রেসপন্স টিম

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তার জন্য কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। বুধবার এই টিম গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই টিমের টিম লিডার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব (সাধারণ সেবা অধিশাখা) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। টিমের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকার গঠন ও রাষ্ট্রাচার শাখা) তানবীর মোহাম্মদ আজিম, প্রটোকল অফিসার (সাধারণ সেবা অধিশাখা) মো. ইমদাদুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন ও শৃঙ্খলা শাখা) শাহেনা খানম ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতর) মো. নেছারুল হাসান।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হলে এই টিম তার বা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দেবেন। আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রতিবেদন আকারে যুগ্মসচিবের (প্রশাসন) কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে আদেশে।

এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তার জন্যও এমন কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়।

গাইবান্ধায় শিক্ষানবীশ আইনজীবিদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: গাইবান্ধা বার এসোসিয়েশনের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবিদের বার কাউন্সিলে সরাসরি তালিকাভূক্তি করে সনদ প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ জুন) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষানবীশ আইনজীবিরা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানবীশ আইনজীবি আব্দুল জলিল, শাহীন প্রধান, রায়হানুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পৃথিবী আজ মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে। শিক্ষানবীশ আইনজীবি ছাড়া বাংলাদেশে সব পেশার মানুষ আজ এই ক্রান্তিলগ্নে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার ৬ মাসের ভেতর আইনজীবি হিসেবে তালিকাভূক্তির বিধান থাকলেও এদেশে একবার তালিকাভূক্তি হওয়ার পর আরো ৩-৪ বছরেও আরেকটি তালিকা ভূক্তির কার্যক্রম শেষ হয়না। আর এই করোনা ভাইরাসে জর্জরিত বিশ্বের চলমান দূর্যোগকালিন মুহুর্তে পরীক্ষা কখন হবে তালিকাভূক্তি কখন হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। অবিলম্বে ২০২০ সালের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল আইনজীবিদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক সরাসরি আইনজীবি হিসেবে তালিকাভূক্তি করে আদালতে প্রাকটিস করার অনুমতি এবং গেজেটের মাধ্যমে সনদ প্রদানের দাবি জানান।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ জুন ‘২০/এসএএইচ

অক্সিজেন-ওষুধের সঙ্কট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে উকিল নোটিস

::নিজস্ব প্রতিবেদক ::

রাঙ্গুনিয়ায় স্ত্রীর শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে স্বামীর ‘আত্মহত্যা’

সংবাদদাতা,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় স্ত্রীর শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে মো. জামাল উদ্দিন (৩৮) নামে এক বিদেশ ফেরত যুবক আত্মহত্যা করেছে। আজ বুধবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আকবর সিকদার পাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকাল ১০ টায় রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
জামাল উদ্দিন লালানগর ইউনিয়নের আকবর সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত মনির আহমদের ছেলে। তিনি আরব আমিরাত (আবুধাবি) প্রবাসী ছিলেন। তার ৫ মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে জামালকে ঘরের বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেন তার মা রসিদা বেগম। এ সময় ভেতর থেকে কোনো আওয়াজ না পাওয়ায় জানালার ফাঁক দিয়ে তাকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের পাখার সঙ্গে জামালের লাশ ঝুলতে দেখতে পায়। পরে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গ দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় স্ত্রীর শাড়ী পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে জামাল। ধারণা করা হচ্ছে তিনি রাতের কোনো এক সময় আত্মহত্যা করেছেন। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। জানা যায়, জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন আরব আমিরাতে (আবুধাবি) ছিল, সেখানে গাড়ি চালাতেন। গত মার্চ মাসে দেশে এসেছেন। দেশে এসে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি তার মেয়েসহ স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে পাঠিয়ে নিজের খালি ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।প্রাথমিকভাবে সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি।’

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ জুন ‘২০/এসএএইচ

বহাল তবিয়তেই বহিষ্কৃত আসাদুজ্জামানের ‘ডানহাত’ ডিএসসিসির তানভীর, জনমনে বিষ্ময়

::জোছনা মেহেদী::

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) শত দুর্নীতির আরেক হোতা নির্বাহী প্রকৌশলী (পিএনডি) মো. তানভীর আহমেদের অপরাধের থলে খুলতে শুরু করেছে। বেরিয়ে আসছে শুরু করেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। সদ্য বহিষ্কৃত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত তিনি। দায়িত্বগ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস তাকেসহ আরও একজনকে বহিষ্কারর করেন। পরে আরও ২ জন বহিষ্কার এবং ২ জনকে অন্যত্র বদলি হন। তবে আসাদুজ্জামানের সকল কর্মের ভাগিদার প্রকৌশলী তানভীরকে বহাল তবিয়তে দেখে রীতিমত বিষ্মিত অনেকেই। রয়েছে তাদের নানান অভিযোগও।

জানা যায়, বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের তদবিরে মেয়র সাদেক হোসেন খোকার আমলে চাকুরী পান প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ। অভিযোগ রয়েছে, তানভীর তার চাতুর্য আর নানা অপকর্মের পরিকল্পনা দিয়ে ঘনিষ্টজন বনে যান বহিষ্কৃত প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের। এরপর তারা দুজনসহ কয়েকজনের যোগসাজসে ডিএসসিসির বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চালান দুর্নীতির মহোৎসব। প্রকৌশলী তানভীর নামে -বেনামে সম্পদ গড়ে হয়ে ওঠেন ধনকুবের।
এক অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ বছরে ডিএসসিসির মেগা প্রকল্পের দায়িত্বে থেকে সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজসে তানভীর ঠিকাদারদের কাছ থেকে নানা অঙ্কের কমিশনবাণিজ্যও করেছেন। আসাদুজ্জামানের বহিষ্কারাদেশের পর অপরাধের প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
একাধিক সূত্রের অভিযোগে আরও জানানো হয়, আসাদুজ্জামান তার দুর্নীতির হাতিয়ার হিসাবে তানভীরকে ফাইভ জোন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী, ফোর ইউনিয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিবৃষ্টি প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন। আর সেখান থেকে কালো টাকায় বনে যান ধন্যাঢ্যদের একজন।
নাম প্রকাশে এক ঠিকাদার বলেন, ‘প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান শুধু নন, ডিএসসিসিতে লুকিয়ে আছে তার মত আরও অনেকেই। যাদেরকে তৈরি করেছেন এই আসাদুজ্জামানই। তাই তিনি বহিষ্কার হলে এদের অনেকেই নারাজ ছিলেন। আবার বহিষ্কার হয়েও তলে তলে নানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছেন আসাদ।’
অপর একজন বলেন, ‘মেয়র তাপস সৎজন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তবে তাকে ভুল তথ্য দিয়েও বিভ্রান্তিতে রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। তানভীরের মত প্রকৌশলী ডিএসসিসির জন্য মারাত্মক হুমকি। সে প্রকৌশলী আসাদুজ্জামাদের মতই ভয়ানক দুর্নীতিবাজ। মেয়র মহোদয় তদন্ত করলে সব জানতে পারবেন। ফাইভ জোন প্রকল্প, ফোর ইউনিয়ন প্রকল্প, অতিবৃষ্টি প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে বিল প্রদান কতটা ঘাপলা আর দুর্নীতি হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না।’
তারা দুজনসহ আরও অনেকে মেযর তাপসের ওপর আস্থা রেখে একই সঙ্গে তানভীরকে এখনো বহাল দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।

টেন্ডারদুর্নীতি ও বিলের বিষয়ে প্রকৌশলী তানভীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, ‘একজন প্রকল্প পরিচালকই দরপত্রের সকল দায়িত্ব পালন করেন। সেক্ষেত্রে তাকে প্রভাবিত করার সুযোগ আমার অবস্থান থেকে নেই। আমি তো প্রকল্প পরিচালক ছিলাম না।’
বহিষ্কৃত প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্টজন হয়ে বিভিন্ন পকল্পের বিশেষ দায়িত্বপালন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে দায়িত্ব যথনই আমাকে দিয়েছে, আমি তা সততার সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করেছি।’

মানিকগঞ্জ বাস-টার্মিনালে স্থায়ী জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মানিকগঞ্জ বাস-টার্মিনালে স্থাপন করা হয়েছে স্থায়ী জীবাণুনাশক টানেল। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণকে করোনার সংক্রমন থেকে রক্ষা করতেই সেখানে এই টানেল স্থাপন করা হয়েছে। আজ (১০ জুন) বুধবার দুপুরে এই টানেলের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের শরীর জীবাণুমুক্ত করার মধ্য দিয়ে এই টানেলের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস। গুরুত্বপূর্ণ এই টানেল উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-লরি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লিয়াকত আলী ভান্ডারী, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল জলিল, সহ-সভাপতি কাইয়ুম খান ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন পরিবহনের নেতৃবৃন্দ। উদ্বোধনকালে এস এম ফেরদৌস বলেন, সরকারী নির্দেশনায় কিছু শর্তসাপেক্ষে সীমিতভাবে গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। যাত্রীসাধারণকে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত করতেই অধিক লোকসমাগমের এলাকাগুলোতে জীবাণুনাশক টানেল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা হাসপাতাল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ লাইন, জেলা কারাগার, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদসহ ৮টি স্থানে টানেল বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ধরণের জীবাণুনাশক টানেল বসানো হবে। সকলকে টানেল ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করতে অনুরোধ করেন তিনি। এদিকে, মানিকগঞ্জ বাস টার্মিনালে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রীসাধারণের কথা চিন্তা করে, পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে পাটুরিয়াগামী যাত্রীদের জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাটের লঞ্চটার্মিনালের সামনে একটি জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করা হচ্ছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ জুন ‘২০/এসএএইচ

দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৩৭, মোট ১০১২, নতুন আক্রান্ত ৩১৯০

সৈয়দ এনামুল হুদা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ১ হাজার ১২ জনে। একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ১৯০ জন। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৭৪ হাজার ৮৬৫ জনে।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৯৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৯৬৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৬০টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৯০ জনের মধ্যে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৭৪ হাজার ৮৬৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ১ হাজার ১২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৬৩ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ১৫ হাজার ৯০০ জন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ জুন ‘২০/এসএএইচ